19/10/2025
হোমিওপ্যাথি হলো একটি রোগী-নির্ভর চিকিৎসা। প্রত্যেক রোগীর জন্য কেস টেকিং করে একটি উপযুক্ত রেমেডি নির্বাচন করাই এর মূল নীতি।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিছু জায়গায় এক সঙ্গে বহু ধরনের ঔষধ (কখনো ২টি, কখনো ৫–১০টি) দিয়ে থাকে। সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায় আলাদা আলাদা খাবার নির্দেশ করা হয়। এ ধরণের নিয়ম সম্পূর্ণভাবে হোমিওপ্যাথির মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে এবং রোগীর জন্যও ক্ষতিকর।
একসাথে বহু ঔষধ দিলে এসব ওষুধের কার্যক্রম একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে হস্তক্ষেপ করে। ঔষধের action গুলো মিলেমিশে রিএ্যাকশনে পরিণত হতে পারে। ফলে প্রাথমিক রোগ না সারার পাশাপাশি শরীরে নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও রোগ কৃত্রিম ঔষধজ রূপ ধারণ করে যা চিকিৎসা আরও জটিল করে তোলে।
আমি নিজের অভিজ্ঞতায় বহু বার এ রকম কেস দেখেছি, যেখানে রোগী সময় ও অর্থ নষ্ট করে এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক ফল পায় না।
হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা ডঃ সামুয়েল হ্যানেম্যান স্পষ্টভাবেই তাঁর গ্রন্থে এক রেমেডি-অনুগত পদ্ধতির কথা বলেছেন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রসঙ্গে ওষুধের ইন্টারঅ্যাকশনের ঝুঁকি এড়াতে Polypharmacy-এর বিরুদ্ধেই সতর্ক করা হয়েছে।
দুর্ভাগ্যবশত, ব্যবসায়িক স্বার্থে কিছু কোম্পানি “মিকচার” বা পেটেন্ট ফর্মুলা বাজারে ছাড়ছে, যেখানে একাধিক রেমেডি একত্রে মিশিয়ে নিয়ে অনুকূলভাবে নম্বর বা প্যাকেট বানানো হয়। এসব পণ্যে প্রায়ই রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ ও মূল কনস্টিটিউশন বিবেচনা করা হয় না। এছাড়া অনৈতিকভাবে মিশ্রণে অ্যালোপ্যাথিক উপাদান বা স্টেরয়েড মেশানোর ঘটনা সম্পর্কে গুঞ্জনও রয়েছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- একজন রোগীর জন্য একটিই রেমেডি, এবং তা নির্ধারণ করা হয় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কেস টেকিংয়ের ভিত্তিতে। আমি কোনো ধরনের পেটেন্ট মিকচার বা আখড়ার রেসিপি ব্যবহার করি না। ‘সবার জন্য একই মিশ্রণ’ দেওয়া কখনওই আমাদের নীতি নয়।
যারা এখনো একাধিক-ঔষধ প্রয়োগ করছেন তাদের জানাতে চাই, এই পদ্ধতিতে রোগ পুরোপুরি সারবে না; বরং নতুন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা ফিরে পেতে সময় ও পরিশ্রম অনেক বেশি লাগে। যদি আপনার পরিচিত কারও এমন চিকিৎসার অভিজ্ঞতা থাকে, তাদেরকে সৎ এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হোমিওপ্যাথিক মূল্যায়নের পরামর্শ দিন।
আপনি যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে চান, অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রতি সতর্ক থাকুন:
• কোনো কোম্পানির “সবার জন্য এক মিকচার” বা পেটেন্ট মিশ্রণ দেখলে আগে জিজ্ঞাসা করুন, এটি কেন দেয়া হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত কেস টেকিং হয়েছে কিনা।
• একাধিক রেমেডি একসাথে খাওয়ানোর নির্দেশ পেলে অকারণে অনুসরণ করবেন না। প্রথমে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• অনৈতিকভাবে স্টেরয়েড বা অ্যালোপ্যাথিক উপাদান মিশ্রিত পণ্যের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে পরীক্ষা করুন।
নাবা হোমিও ফার্মেসি আপনার আস্থা রাখে। আমরা পরামর্শ দেবো সতর্কভাবে, চিকিৎসা নিবেন বেফিকিরভাবে। রোগীর স্থায়ী সুস্থতা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
যেকোনো প্রশ্নের উত্তর বা পরামর্শ পেতে সরাসরি যোগাযোগ করুন:
নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।
সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক, জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।