নাবা হোমিও ফার্মেসি Naba Homeo Pharmacy

  • Home
  • নাবা হোমিও ফার্মেসি Naba Homeo Pharmacy

নাবা হোমিও ফার্মেসি Naba Homeo Pharmacy মহিলা ও শিশুদের মহিলা চিকিৎসক দ্বারা রোগী দেখা হয়। যে কেউ সিরিয়াল নিয়ে সরাসরি রোগী দেখাতে পারবেন, ইনশা আল্লাহ।

হোমিওপ্যাথি হলো একটি রোগী-নির্ভর চিকিৎসা। প্রত্যেক রোগীর জন্য কেস টেকিং করে একটি উপযুক্ত রেমেডি নির্বাচন করাই এর মূল নীত...
19/10/2025

হোমিওপ্যাথি হলো একটি রোগী-নির্ভর চিকিৎসা। প্রত্যেক রোগীর জন্য কেস টেকিং করে একটি উপযুক্ত রেমেডি নির্বাচন করাই এর মূল নীতি।

কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিছু জায়গায় এক সঙ্গে বহু ধরনের ঔষধ (কখনো ২টি, কখনো ৫–১০টি) দিয়ে থাকে। সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায় আলাদা আলাদা খাবার নির্দেশ করা হয়। এ ধরণের নিয়ম সম্পূর্ণভাবে হোমিওপ্যাথির মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে এবং রোগীর জন্যও ক্ষতিকর।

একসাথে বহু ঔষধ দিলে এসব ওষুধের কার্যক্রম একে অপরের সঙ্গে জটিলভাবে হস্তক্ষেপ করে। ঔষধের action গুলো মিলেমিশে রিএ্যাকশনে পরিণত হতে পারে। ফলে প্রাথমিক রোগ না সারার পাশাপাশি শরীরে নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও রোগ কৃত্রিম ঔষধজ রূপ ধারণ করে যা চিকিৎসা আরও জটিল করে তোলে।

আমি নিজের অভিজ্ঞতায় বহু বার এ রকম কেস দেখেছি, যেখানে রোগী সময় ও অর্থ নষ্ট করে এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক ফল পায় না।

হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা ডঃ সামুয়েল হ্যানেম্যান স্পষ্টভাবেই তাঁর গ্রন্থে এক রেমেডি-অনুগত পদ্ধতির কথা বলেছেন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রসঙ্গে ওষুধের ইন্টারঅ্যাকশনের ঝুঁকি এড়াতে Polypharmacy-এর বিরুদ্ধেই সতর্ক করা হয়েছে।

দুর্ভাগ্যবশত, ব্যবসায়িক স্বার্থে কিছু কোম্পানি “মিকচার” বা পেটেন্ট ফর্মুলা বাজারে ছাড়ছে, যেখানে একাধিক রেমেডি একত্রে মিশিয়ে নিয়ে অনুকূলভাবে নম্বর বা প্যাকেট বানানো হয়। এসব পণ্যে প্রায়ই রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ ও মূল কনস্টিটিউশন বিবেচনা করা হয় না। এছাড়া অনৈতিকভাবে মিশ্রণে অ্যালোপ্যাথিক উপাদান বা স্টেরয়েড মেশানোর ঘটনা সম্পর্কে গুঞ্জনও রয়েছে।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- একজন রোগীর জন্য একটিই রেমেডি, এবং তা নির্ধারণ করা হয় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কেস টেকিংয়ের ভিত্তিতে। আমি কোনো ধরনের পেটেন্ট মিকচার বা আখড়ার রেসিপি ব্যবহার করি না। ‘সবার জন্য একই মিশ্রণ’ দেওয়া কখনওই আমাদের নীতি নয়।

যারা এখনো একাধিক-ঔষধ প্রয়োগ করছেন তাদের জানাতে চাই, এই পদ্ধতিতে রোগ পুরোপুরি সারবে না; বরং নতুন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা ফিরে পেতে সময় ও পরিশ্রম অনেক বেশি লাগে। যদি আপনার পরিচিত কারও এমন চিকিৎসার অভিজ্ঞতা থাকে, তাদেরকে সৎ এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হোমিওপ্যাথিক মূল্যায়নের পরামর্শ দিন।

আপনি যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে চান, অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রতি সতর্ক থাকুন:

• কোনো কোম্পানির “সবার জন্য এক মিকচার” বা পেটেন্ট মিশ্রণ দেখলে আগে জিজ্ঞাসা করুন, এটি কেন দেয়া হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত কেস টেকিং হয়েছে কিনা।

• একাধিক রেমেডি একসাথে খাওয়ানোর নির্দেশ পেলে অকারণে অনুসরণ করবেন না। প্রথমে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• অনৈতিকভাবে স্টেরয়েড বা অ্যালোপ্যাথিক উপাদান মিশ্রিত পণ্যের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে পরীক্ষা করুন।

নাবা হোমিও ফার্মেসি আপনার আস্থা রাখে। আমরা পরামর্শ দেবো সতর্কভাবে, চিকিৎসা নিবেন বেফিকিরভাবে। রোগীর স্থায়ী সুস্থতা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।

যেকোনো প্রশ্নের উত্তর বা পরামর্শ পেতে সরাসরি যোগাযোগ করুন:
নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।
সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক, জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

অনেকেই ভাবেন, প্রস্রাবে জ্বালা বা বারবার প্রস্রাব হওয়া একটা সাধারণ সমস্যা। পানি কম খেলে বা সামান্য ঠান্ডা লাগলে এমন হয়। ...
08/10/2025

অনেকেই ভাবেন, প্রস্রাবে জ্বালা বা বারবার প্রস্রাব হওয়া একটা সাধারণ সমস্যা। পানি কম খেলে বা সামান্য ঠান্ডা লাগলে এমন হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এটি অনেক সময় শরীরের ভেতরে চলা এক জটিল সংক্রমণের সংকেতও হতে পারে?

প্রস্রাবে জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ, তলপেটে ভার বা ব্যথা, এসব উপসর্গ আসলে মূত্রনালীর ইনফেকশন (UTI)-এর লক্ষণ। মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে যারা পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন, অথবা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস্ত।

আরও ভয়ঙ্কর দিক হলো, এই সংক্রমণের যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি কিডনিতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তখন জ্বর, কোমরে ব্যথা, এমনকি শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রদাহ দেখা দিতে পারে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এই সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকর। কারণ এটি শুধু উপসর্গ নয়, বরং সংক্রমণের মূল কারণ অর্থাৎ শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা দূর করে। হোমিওপ্যাথি রোগীর দেহ, মন ও ইমিউন সিস্টেম, তিনটি স্তরেই কাজ করে। ফলে সংক্রমণ পুনরায় ফিরে আসে না।

আমি বহু রোগী দেখেছি, যারা বারবার অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে সাময়িক আরাম পেয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর আবার একই সমস্যা ফিরে এসেছে। কিন্তু হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শরীর নিজে থেকেই সেই প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে।

আপনার যদি বারবার প্রস্রাবে জ্বালা হয়, প্রস্রাবের রঙ ঘন লাগে বা দুর্গন্ধ আসে, তাহলে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ সময়মতো সচেতনতা শুধু সংক্রমণ নয়, ভবিষ্যতের বড় জটিলতা থেকেও আপনাকে বাঁচাতে পারে।

একটা ছোট অসুবিধা কখনোই অবহেলা করা উচিৎ নয়। কারণ শরীর আগে ছোট ছোট সংকেত দেয়, তারপরই আসে বিপদ।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

বারবার জ্বর-কাশি হলে সতর্ক হোন! জেনে নিন URTI-এর আসল চেহারা!“শীতে একটু ঠান্ডা লাগলেই তো বাচ্চাদের কাশি হয়, এতে ভয় কিসের?...
07/10/2025

বারবার জ্বর-কাশি হলে সতর্ক হোন! জেনে নিন URTI-এর আসল চেহারা!

“শীতে একটু ঠান্ডা লাগলেই তো বাচ্চাদের কাশি হয়, এতে ভয় কিসের?” অনেক অভিভাবকই এমনটা ভাবেন। কিন্তু যখন সেই “সাধারণ” কাশি বা জ্বর মাসে একবার নয়, বরং বারবার ফিরে আসে, তখন সেটি আর সাধারণ থাকে না।

আসলে এই পুনরাবৃত্ত জ্বর-কাশির পেছনে থাকে এক অবহেলিত সমস্যা URTI (Upper Respiratory Tract Infection)। এটি মূলত নাক, গলা, সাইনাস বা শ্বাসনালীর সংক্রমণ, যা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়। শিশুরা যেহেতু স্কুলে, প্লেগ্রাউন্ডে বা অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করে, তাই তারা এই ইনফেকশনে সহজেই আক্রান্ত হয়।

শুরুতে লক্ষণগুলো দেখতে সাধারণ মনে হলেও (যেমন সর্দি, হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, বা কাশি) ক্রমেই এটি শিশুর শরীরে স্থায়ী প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
ধীরে ধীরে দেখা দেয় ঘন ঘন জ্বর, ঘুমের ব্যাঘাত, ক্ষুধামান্দ্য, এমনকি মনোযোগ কমে যাওয়া।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না নিলে URTI ছড়িয়ে পড়ে টনসিল, অ্যাডিনয়েড বা কানের সংক্রমণ পর্যন্ত। আর তখনই শুরু হয় জটিলতা, যেমন; শিশুর নাক বন্ধ, রাতে মুখ খুলে ঘুমানো, নাক ডাকা, এমনকি শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া পর্যন্ত।

এ অবস্থায় শুধু অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায়, কিন্তু মূল সমস্যাটা থেকে যায় ভেতরে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এখানেই সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

হোমিও চিকিৎসা শিশুর শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যাতে সংক্রমণ বারবার ফিরে না আসে। এটি শুধু ইনফেকশন সারায় না, বরং শিশুর সামগ্রিক ইমিউন সিস্টেমকে এমনভাবে শক্তিশালী করে তোলে যে, পরবর্তীতে সে ঠান্ডা বা ভাইরাস আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজে থেকেই লড়াই করতে পারে।

যদি আপনার সন্তান বারবার জ্বর, কাশি বা সর্দিতে ভোগে, তাহলে সেটিকে ছোট সমস্যা ভেবে অবহেলা করবেন না।
এটি হতে পারে একটি সতর্ক সংকেত, যা সময়মতো বুঝে সঠিক চিকিৎসা নিলে শিশুর ভবিষ্যৎ অনেক বড় ঝুঁকি থেকে বাঁচানো সম্ভব।

কারণ, প্রতিটি শিশুর হাসি আর সুস্থতা একজন অভিভাবকের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।
আর সেই স্বস্তি ফিরে পেতে সঠিক সময়ে সচেতন পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

কেন শিশুরা রাতে নাক ডাকে বা মুখ খুলে ঘুমায়?রাতে শিশু যখন নাক ডেকে ঘুমায়, তখন মা বাবা ভাবেন “আচ্ছা, আমাদের বাবুটা তো আজ ব...
06/10/2025

কেন শিশুরা রাতে নাক ডাকে বা মুখ খুলে ঘুমায়?

রাতে শিশু যখন নাক ডেকে ঘুমায়, তখন মা বাবা ভাবেন “আচ্ছা, আমাদের বাবুটা তো আজ বেশ ভালোই ঘুম দিচ্ছে!”

কিন্তু আপনি কি জানেন, বাচ্চার এই কিউট নাক ডাকা অথবা মুখ খুলে ঘুমানো আসলে শিশুর শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদের সংকেত হতে পারে?

এটি শুধু ঘুমের অভ্যাসের জন্য নয়, বরং অ্যাডিনয়েড (Adenoid) সমস্যা বা টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো জটিল কারণেও হতে পারে।

শিশুর নাকের পেছনে একটি ছোট্ট টিস্যু থাকে, যাকে বলা হয় অ্যাডিনয়েড। এটি মূলত শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অংশ, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

কিন্তু বারবার ঠান্ডা, ইনফেকশন বা অ্যালার্জির কারণে অনেক সময় অ্যাডিনয়েড ফুলে যায়। তখনই শুরু হয় শিশুর নাক বন্ধ থাকা, মুখ খুলে শ্বাস নেওয়া, রাতে নাক ডেকে ঘুমানো, এমনকি ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপজ্জনক সমস্যা।

অনেক অভিভাবক বুঝতেও পারেন না, তাদের সন্তানের ঘুমের এই ছোট্ট সমস্যাই ধীরে ধীরে তার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট, মনোযোগ ক্ষমতা, এমনকি মুখের গঠনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

আমি এমন অনেক অভিভাবককে দেখেছি, যারা মাসের পর মাস শুধু সর্দি বা ঠান্ডার ওষুধ খাইয়েই গেছেন কিন্তু বুঝতেই পারেননি, মূল সমস্যা ছিল শিশুর অ্যাডিনয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি।

যখন অবশেষে তারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আশ্রয় নেন, তখন ধীরে ধীরে দেখা যায়, শিশুর নাক বন্ধ কমছে, রাতে নাক ডাকা বন্ধ হচ্ছে, ঘুম গভীর হচ্ছে, আর সবচেয়ে বড় কথা- শিশুটি আবার স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কীভাবে এর সমাধান হয়?

হোমিওপ্যাথি শিশুর শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী করে। এটি প্রদাহ কমায়, অ্যাডিনয়েডের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। আর সবই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

আপনার সন্তানের যদি রাতে নাক ডাকা, মুখ খুলে ঘুমানো, বারবার ঠান্ডা লাগা বা ইনফেকশনের সমস্যা থাকে, তাহলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, একটি ছোট সমস্যাকে অবহেলা মানেই শিশুর ভবিষ্যতের ওপর অনেক বড় ঝুঁকি হতে পারে।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

হঠাৎ যদি চোখে পড়ে শিশুর গায়ে লালচে রিং আকৃতির দাগ, তাহলে এখনই সতর্ক হোন।প্রথমে দেখে মনে হতে পারে “এটা হয়তো ত্বকের সাধারণ...
05/10/2025

হঠাৎ যদি চোখে পড়ে শিশুর গায়ে লালচে রিং আকৃতির দাগ, তাহলে এখনই সতর্ক হোন।

প্রথমে দেখে মনে হতে পারে “এটা হয়তো ত্বকের সাধারণ চুলকানির কারণে হয়েছে, আলাদা কোনো সমস্যা নয়।” কিন্তু এই ছোট্ট দাগকে হালকাভাবে নেওয়া একদমই ঠিক নয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের ত্বকে এমন লালচে রিং-আকৃতির দাগ সাধারণত ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণের প্রতীক। এগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, শুধু শিশুর জন্য নয়, পরিবারের অন্য সদস্যের ত্বকেও প্রভাব ফেলতে পারে।

এই ধরনের রিং-ওয়ার্ম বা ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে মাত্র চুলকানি বা ছোট দাগ হিসেবে দেখা দেয়। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করলে, এটি বড় হতে পারে, আর শিশুর ঘুম ও স্বাভাবিক দৈনন্দিন কার্যকলাপেও ব্যাঘাত আনতে পারে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। শিশুদের শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, সংক্রমণের মূল কারণ চিহ্নিত করে, এবং দাগ ও চুলকানি ধীরে ধীরে দূর করে। আর শিশুদের জন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া সবচেয়ে নিরাপদ চিকিৎসা।

আপনার করণীয় সহজ:
-শিশু ঘন ঘন চুলকাচ্ছে কিনা খেয়াল করুন।
-দাগগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে বা ছড়িয়ে পড়ছে কিনা লক্ষ্য করুন।
-নিজে নিজে ক্রিম বা ওষুধ প্রয়োগের আগে বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ত্বক কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, এটি স্বাস্থ্য ও আরামের প্রতিফলন। তাই এ ধরনের ছোট ছোট বিষয়গুলো হালকাভাবে নেওয়া মানে শিশুর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা।

সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিন, সময়মতো চিকিৎসা করান, এবং শিশুর ত্বককে সুস্থ রাখুন।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ বুক জ্বালা, অস্বস্তি বা খারাপ হজম এগুলো আমাদের দৈ...
03/10/2025

অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ বুক জ্বালা, অস্বস্তি বা খারাপ হজম এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। কিন্তু কিছু ছোট ছোট অভ্যাস বদলে আপনি এই সমস্যাগুলো অনেকাংশে এড়াতে পারেন।

প্রথমেই খাবারের সময় মনোযোগ দিন। দ্রুত খাওয়া বা খাবার গিলে গিলে খাওয়া গ্যাস্ট্রিক বাড়ানোর বড় কারণ। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং অ্যাসিড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রিত হয়।

দ্বিতীয়ত, খাবারের পর সোজা শুতে যাবেন না। অন্তত ৩০–৪৫ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি বা বসে থাকা হজমের জন্য জরুরি। শুয়ে পড়লে অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে বুক জ্বালা করতে পারে।

তৃতীয়ত, অতিরিক্ত মশলাদার, তেলযুক্ত বা ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। এগুলো অ্যাসিডিটি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়। তার বদলে, ফল, সবজি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আপনার হজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

চতুর্থত, মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। স্ট্রেস অ্যাসিডিটির বড় ট্রিগার। হালকা ব্যায়াম, মেডিটেশন বা শুধুই কিছু গভীর শ্বাস–প্রশ্বাসের ব্যায়াম অনেক সময় বুক জ্বালা ও অস্বস্তি কমায়।

পঞ্চম ও শেষ অভ্যাস টি হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি হজমকে সহজ করে এবং অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত পানি একসাথে না খাওয়া ভালো।

এই পাঁচটি সহজ অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। প্রতিদিনের ছোট পদক্ষেপই দীর্ঘমেয়াদে আপনার হজম ও স্বাস্থ্যের জন্য বড় প্রভাব ফেলে।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

বাত ব্যথা কেবল একটি সাধারণ অস্বস্তি নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। সন্ধি, পেশী বা ছোট জয়েন্টগুলোতে ব্য...
02/10/2025

বাত ব্যথা কেবল একটি সাধারণ অস্বস্তি নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। সন্ধি, পেশী বা ছোট জয়েন্টগুলোতে ব্যথা, স্ফীতি ও লালচে ভাব মানুষকে হাঁটাচলায় সীমিত করে দেয়।

বাতের মূল কারণগুলো হতে পারে রক্ত দূষণ, ইউরিক এসিড জমা, পুষ্টির অভাব, ঠান্ডা-আদ্র পরিবেশে বসবাস বা বংশগত প্রবণতা। ধীরে ধীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা, সন্ধিতে ব্যথা, হাত-পা ফুলে যাওয়া, এই সব লক্ষণ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়, কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না নিলে জটিলতা বাড়তে পারে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বাতের সমস্যায় একটি নিরাপদ এবং কার্যকর সমাধান। এটি শুধুমাত্র ব্যথা কমায় না, বরং শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করে সমস্যার মূল কারণ দূর করে। রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ নির্ধারণ করা হয়, যেমন Aconitum napellus হঠাৎ তীব্র ব্যথার জন্য, Arnica montana আঘাতজনিত ব্যথায়, Bryonia alba নড়াচড়ায় ব্যথা বেড়ে গেলে, Colchicum autumnale গেঁটে বাতের জন্য এবং Magnesia phosphorica স্নায়বিক ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথায়।

চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনধারায় পরিবর্তনও জরুরি। পূর্ণ বিশ্রাম, আক্রান্ত স্থান গরম কাপড়ে ঢাকা, ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করে।

সঠিক সময়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করলে বাতের ব্যথা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণযোগ্য হয়। আর দীর্ঘমেয়াদে এটি শরীরের স্বাভাবিক শক্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনে। তাই যাদের বাতের সমস্যা আছে, তাদের উচিত সময়মতো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

নবজাতক শিশুর কান্নার আসল কারণ বোঝা সবসময় সহজ হয় না। শিশু কান্না করলে বেশিরভাগ সময়ই মায়েরা ভাবেন, শিশু হয়তো ক্ষুধা লাগার ...
01/10/2025

নবজাতক শিশুর কান্নার আসল কারণ বোঝা সবসময় সহজ হয় না। শিশু কান্না করলে বেশিরভাগ সময়ই মায়েরা ভাবেন, শিশু হয়তো ক্ষুধা লাগার কারণে কান্না করছে এবং সাথে সাথেই তার খাবারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, হতে পারে এর ফলে শিশুকে আপনি নিজ হাতেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন?

নবজাতক শিশুরা সবসময় ক্ষুধার জন্য কান্না করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের প্রথম কয়েক মাসে শিশুদের ৩০-৪০% সম্ভাবনা আছে কোলিক বা হজম সমস্যায় ভোগার। এর ফলে গ্যাস জমে, পেটে ব্যথা হয়, আর শিশু অস্বস্তিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাঁদে। শুধু শিশুই নয়, তখন মায়ের অসহায়তা আরও বেড়ে যায়। রাত-দিনের শান্তিও হারিয়ে যায়। এ যেন পরিবারের সবার জন্যই এক অদৃশ্য কষ্ট।

কোলিক বা হজম সমস্যার মূল কারণ সাধারণত শিশুর পরিপাকতন্ত্রের দুর্বলতা।

এমন কঠিন অবস্থায় অবশ্যই আপনার উচিৎ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পথ বেছে নেওয়া। হোমিওপ্যাথি ব্যবস্থায় শিশুর প্রাকৃতিক হজমক্ষমতাকে শক্তিশালী করে গ্যাস ও ব্যথার প্রবণতা কমানো হয় এবং ধীরে ধীরে সমস্যাকে মূল থেকে সমাধানের পথে নিয়ে যায়।

হোমিও চিকিৎসা শিশুর দেহের গঠন ও উপসর্গ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। ফলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কোমলভাবে আরোগ্য আসে। যখন শিশুটি শান্তিতে ঘুমায়, তখন মায়ের মুখেও হাসি ফিরে আসে।

মায়েরা জানেন, শিশু যদি শান্তিতে ঘুমায়, তবে তার হাসি গোটা পরিবারে আলো ফিরিয়ে আনে। তাই বারবার কোলিক ও হজম সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ শিশুর কান্নার পেছনে একটি কারণ থাকে আর সেই কারণ বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

শরীরের যেকোনো অংশে হঠাৎ লালচে ফুসকুড়ি, জ্বালা বা প্রচণ্ড চুলকানি শুরু হলে সেটিকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। অনেক সময়...
30/09/2025

শরীরের যেকোনো অংশে হঠাৎ লালচে ফুসকুড়ি, জ্বালা বা প্রচণ্ড চুলকানি শুরু হলে সেটিকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

অনেক সময় এসব সমস্যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেরে যেতে পারে, কিন্তু একই সমস্যা বারবার হলে অবশ্যই এটি চিন্তার বিষয়। কারণ এই লক্ষণ গুলো বারবার দেখা দিলে সেটি হতে পারে ক্রনিক হাইভস।

এটি শারীরিকভাবে অনেক কষ্টদায়ক, মানসিক অস্বস্তিও বাড়িয়ে দেয় এবং দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তিকর অনুভূতি দেয়।

হাইভস হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। খাবার বা ওষুধে অ্যালার্জি, ধুলাবালি বা পরাগরেণু, এমনকি পোকামাকড়ের কামড়ও এর উদ্দীপক হতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বা হরমোনাল পরিবর্তনও এর ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।

আরেকটি বড় কারণ হলো, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, যা ত্বকে হঠাৎ দানা, ফুসকুড়ি ও চুলকানি তৈরি করে।

এখানেই আসে হোমিওপ্যাথির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। হোমিও চিকিৎসা শুধু উপসর্গ সামলানোয় সীমাবদ্ধ নয়, বরং শরীরের ভেতরের অ্যালার্জির মূল কারণকে লক্ষ্য করে কাজ করে।

রোগীর শারীরিক গঠন, মানসিক অবস্থা ও ব্যক্তিগত অবস্থার ওপর নির্ভর করে ওষুধ নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে দীর্ঘদিনের হাইভস সমস্যা ধীরে ধীরে মূল থেকে নিয়ন্ত্রণে আসে, অ্যালার্জির প্রবণতা কমে যায় এবং ঘনঘন র‍্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

তবে মনে রাখবেন, নিজে নিজে কোনো ওষুধ সেবন বিপজ্জনক হতে পারে। হাইভসের ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল পেতে একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বারবার হাইভসের সমস্যায় ভুগে থাকলে দেরি না করে এখনই সচেতন হোন। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে এই অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে অবশ্যই স্থায়ী মুক্তি সম্ভব।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

অ্যালার্জিক কাশি এমন এক সমস্যা, যা একবার শুরু হলে রোগীর জীবনযাত্রাকে ভীষণভাবে ব্যাহত করে দেয়। বারবার কাশি, গলায় খুসখুস ভ...
29/09/2025

অ্যালার্জিক কাশি এমন এক সমস্যা, যা একবার শুরু হলে রোগীর জীবনযাত্রাকে ভীষণভাবে ব্যাহত করে দেয়। বারবার কাশি, গলায় খুসখুস ভাব, রাতে ঘুমের ব্যাঘাত, এসব কারণে রোগীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

আমার অনেক রোগী এই সমস্যার ভুক্তভোগী ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে তারা অ্যালার্জিক কাশিতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। ঋতু পরিবর্তন হলেই কাশি শুরু হয়ে যেত, সাধারণ ওষুধে সাময়িক আরাম মিললেও স্থায়ী কোনো সমাধান পাচ্ছিলেন না।

অবশেষে তারা আমার পরামর্শে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পথ বেছে নেন। আমি তাদের প্রত্যেকের শারীরিক গঠন, অভ্যাস, ও ব্যক্তিগত উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা ও ওষুধ নির্ধারণ করে দিই।

বেশিরভাগেরই কয়েক সপ্তাহের ভেতরেই কাশি অনেকাংশে কমে আসে, এবং নিয়মিত ফলো-আপ চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সমস্যার মূল জায়গায় কাজ হয়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ‘অ্যালার্জিক কাশির’ ক্ষেত্রে যেভাবে সহায়তা করেঃ
১/ শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী করে।
২/ সমস্যার মূল কারণকে শনাক্ত করে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
৩/ লম্বা সময় ধরে বারবার কাশি হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

সচেতনতার ক্ষেত্রে আপনার করণীয়ঃ
- কাশিকে হালকাভাবে নেবেন না, বিশেষ করে যদি দীর্ঘদিন ধরে প্রবলেম ফেস করেন।
- নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার বদলে বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ধুলোবালি, ধূমপান ও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এড়িয়ে চলুন।

সময়মতো সচেতন পদক্ষেপ ও হোমিওপ্যাথির সঠিক চিকিৎসা হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ।তাই সিরিয়ালের জন্য এখনই নিচে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

আপনার অথবা আপনার প্রিয়জনের শরীরে টিউমারের উপস্থিতি ভয়, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!গবেষণায় দেখা গেছে, স...
28/09/2025

আপনার অথবা আপনার প্রিয়জনের শরীরে টিউমারের উপস্থিতি ভয়, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!

গবেষণায় দেখা গেছে, সময়মতো সচেতন পদক্ষেপ এবং সঠিক যত্ন টিউমারের প্রভাব অনেকাংশে কমাতে পারে।

প্রথম দিকে টিউমারের লক্ষণ অনেক সময় খুব সাধারণ হয়। যেমন- অকারণে শরীরে গিঁট, অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ব্যথা বা অস্বস্তি। এগুলোকে অবহেলা করলে তা ধীরে ধীরে বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।

টিউমারের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে স্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এবং দেহের স্বাভাবিক ডিটক্স ও সেল রিজেনারেশন প্রক্রিয়াকে প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

আপনার করণীয়-

১. শরীরে অকারণে গিঁট বা অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

২. স্ব-চিকিৎসা বা অজানা ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।

৩. জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমানোর দিকে নজর দিন।

সচেতনতা এবং সময়মতো পদক্ষেপই টিউমার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। হোমিওপ্যাথির কোমল ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক যত্ন হতে পারে এই যাত্রায় আপনার শরীর ও মনের জন্য এক নিরাপদ সহায়ক হাত।

তাই শারীরিক কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব করলে তা অবহেলা করবেন না। যত দ্রুত সচেতন হবেন, তত সহজে এবং নিরাপদে স্বাস্থ্য পুনঃস্থাপন সম্ভব।

হোমিওপ্যাথি টিউমারের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এবং প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। তাই সিরিয়ালের জন্য এখনই নিচে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

নবজাতক শিশুর জন্মের পর যদি ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হালকা হলুদ হয়ে যায়, তবে সেটিই হতে পারে জন্ডিসের প্রথম ইঙ্গিত!শিশুর জন্ম...
27/09/2025

নবজাতক শিশুর জন্মের পর যদি ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হালকা হলুদ হয়ে যায়, তবে সেটিই হতে পারে জন্ডিসের প্রথম ইঙ্গিত!

শিশুর জন্মের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে ত্বক বা চোখের সাদা অংশে হালকা হলদেটে আভা দেখা দিলে বেশিরভাগ সময়ই সেটি জন্ডিসের স্বাভাবিক লক্ষণ। জন্মের পর শিশুর লিভার পুরোপুরি পরিপক্ব না হওয়ায় এই অবস্থা দেখা দিতে পারে। সাধারণত কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি স্বাভাবিকভাবে কমে যায়।

কিন্তু যদি শিশুর জ্বর আসে, খাওয়ার পরিমাণ হঠাৎ কমে যায় বা হলদেটে ভাব বাড়তে থাকে, তবে দেরি না করে ডাক্তার বা রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অনেক সময় বাবা–মা ভাবেন এটি নিজে থেকেই সেরে যাবে, কিন্তু এই ছোট-খাটো বিষয়ে যদি অবহেলা করেন তাহলে শিশুর লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রে জটিল কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

প্রথম কয়েক দিনে শিশুর ত্বক বা চোখের রঙে পরিবর্তন, ঘন ঘন ঘুমিয়ে থাকা, দুধ খেতে অনীহা, এসবই সতর্ক হওয়ার প্রথম সংকেত। তাই এই লক্ষণগুলো সনাক্ত করতে অবশ্যই শিশুকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

শিশুর জন্ডিসে ঘরোয়া যত্নের ক্ষেত্রে কিছু ধাপ জানা অবশ্যই জরুরি।

১/ শিশুকে পর্যাপ্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো – মায়ের দুধ শিশুর শরীরে বিলিরুবিন বের করতে সাহায্য করে।

২/ রুমে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা – দিনের বেলা হালকা রোদে (প্রত্যক্ষ নয়) শিশুকে কয়েক মিনিট রাখলে ভিটামিন ডি ও আলো শরীরে বিলিরুবিন ভাঙতে সহায়তা করে।

৩/ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ - ডাক্তার নির্দেশিত সঠিক ওজন ও তাপমাত্রা, ত্বকের রঙ, খাওয়ার অভ্যাস ও মলের রঙ লক্ষ্য করুন।

আজকের সচেতন সিদ্ধান্তই আপনার শিশুকে ভবিষ্যতের বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারে। হোমিওপ্যাথির নিরাপদ ও পরীক্ষিত যত্ন আপনার নবজাতক শিশুর জন্ডিস মোকাবিলায় হতে পারে একটি কার্যকর ও বিশ্বস্ত সমাধান।

ডাঃ রওশন জাহান
বি.এ, ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা)
সহকারী অধ্যাপক
জালালাবাদ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সিলেট।

সিরিয়ালের জন্য কল করুন: +8801316445687
চেম্বার: নাবা হোমিও ফার্মেসি, ১৭৭/২, এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ি, সিলেট।

Address

177/2 Etim School Road

3100

Opening Hours

Monday 16:00 - 20:00
Tuesday 16:00 - 20:00
Wednesday 16:00 - 20:00
Thursday 16:00 - 20:00
Saturday 16:00 - 20:00
Sunday 16:00 - 20:00

Telephone

+8801316445687

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নাবা হোমিও ফার্মেসি Naba Homeo Pharmacy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram