Dr. Bulbul Islam 'Esa

Dr. Bulbul Islam 'Esa Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Bulbul Islam 'Esa, Doctor, Bagerhat.

আমি একজন সার্টিফাইড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। দেশে এবং বিদেশে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন, ওসিডি, প্যানিক অ্যাটাকের মতো মানসিক সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক রোগে বিজ্ঞানভিত্তিক পার্সোনালাইজড ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকি।

রোগী অবিবাহিত পুরুষ, বয়স ২৬তার OCD, Panic disorder সহ বেশ কিছু মানসিক এবং শারিরীক সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে যেসব সিম্পটম গু...
26/11/2025

রোগী অবিবাহিত পুরুষ, বয়স ২৬
তার OCD, Panic disorder সহ বেশ কিছু মানসিক এবং শারিরীক সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে যেসব সিম্পটম গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে-

১. নিজের বাড়ি বা বাড়ির আশপাশ থেকে একটু দূরে গেলে সবকিছু কেমন অপরিচিত মনে হয়।

২. তখন তার নিজের উপর থেকে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলার ভয় হয়।

৩. মনে হয় সে হয়তো পাগলামি টাইপের এমন কোন কিছু করে বসবে যা নিয়ে পরবর্তীতে লোকে হাসাহাসি করবে এবং তাকে হেয় করবে। এক কথায় তাকে বাজেভাবে ট্রিট করবে। এমন ঘটনা তার আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথেও হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সেই চাচাতো ভাই আত্মহত্যা করেছিল। এই সময় তার এই কথা মনে পড়ে বারবার।

৪. সে আরো মনে করে এতে লোকজন তার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে, সে একা হয়ে যাবে।

৫. পাশাপাশি তার রয়েছে মৃত্যু ভয়।

যে যে রুব্রিক নিলাম-

1. Mind; delusions, imaginations; strange; everything is

2. Mind; fear; self-control, losing

3. Mind; fear; insanity, of losing one's reason

4. Mind; delusions, imaginations; laughed at, to being:

5. Mind; horrible things, sad stories affect profoundly, agg.

6. Mind; fear; humiliated, of being

7. Mind; social; position, concerned about

8. Mind; fear; rejection, of

9. Mind; fear; panic attacks, overpowering

10. Mind; fear; death, of

11. Mind; obsessive, compulsive disorders

বিঃদ্রঃ এই পোস্টটি যে সমস্ত জুনিয়র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে ফলো করেন তাদের শেখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এখানে বলা কোন ওষুধ কোন রোগী নিজে নিজে কিনে খাবেন না। মনে রাখবেন, হোমিওপ্যাথিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থক্যের কারণে এক এক রোগীর ঔষধ এক এক রকম হয়।

নারীদের হরমোন ভারসাম্যহীনতা: কারণ, লক্ষণ, ক্ষতিকর দিক ও হোমিওপ্যাথিতে সমাধাননারীদের জীবনে হরমোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা...
25/11/2025

নারীদের হরমোন ভারসাম্যহীনতা: কারণ, লক্ষণ, ক্ষতিকর দিক ও হোমিওপ্যাথিতে সমাধান

নারীদের জীবনে হরমোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হরমোন ভারসাম্যহীনতা হলে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটি যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে সাধারণত কিশোরী বয়স, সন্তান জন্মের পর, মেনোপজ এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের সময় বেশি দেখা যায়।

কারণ:

নারীদের হরমোন ভারসাম্যহীনতার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

অতিরিক্ত মানসিক চাপ

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ঘুম

স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রভাব

থাইরয়েডের সমস্যা

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS)

লক্ষণ:

এই সমস্যার কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো—

অনিয়মিত মাসিক চক্র

হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া

অতিরিক্ত চুল পড়া বা মুখে অস্বাভাবিক লোম গজানো

ঘন ঘন মুড পরিবর্তন বা হতাশা

অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুম

ত্বকে ব্রণের প্রকোপ

যৌন আগ্রহে হ্রাস

ক্ষতিকর দিক:

হরমোন ভারসাম্যহীনতা দীর্ঘমেয়াদে নারীদের প্রজননক্ষমতায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া এটি ইনসুলিন রেজিস্টেন্স, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও এর প্রভাব পড়ে, যা বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

হোমিওপ্যাথিতে সমাধান:

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মূলত রোগীর শরীর, মনের অবস্থা ও জীবনধারার উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা দেয়। হরমোন ভারসাম্যহীনতার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদে শরীরের নিজস্ব হরমোন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রোগীকে উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সবশেষে, হরমোনজনিত সমস্যা অবহেলা না করে সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। হোমিওপ্যাথি এর জন্য একটি স্বাভাবিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন উপায়।

...ইদানীং সময় সুযোগ কম থাকার কারণে আমি আমার ফেইসবুক পেইজে খুব একটা এক্টিভ থাকতে পারছি না। খুব একটা নতুন পোস্টও লিখতে পার...
24/11/2025

...ইদানীং সময় সুযোগ কম থাকার কারণে আমি আমার ফেইসবুক পেইজে খুব একটা এক্টিভ থাকতে পারছি না। খুব একটা নতুন পোস্টও লিখতে পারছি না। তবে অনেকেই যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তাদের মেসেজ বা কমেন্টের প্রাথমিক রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আমার এসিস্টেন্টকে পেইজের এডমিন হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি।

সে তার রেগুলার কাজের পাশাপাশি পেইজটা সচল রাখার লক্ষ্যে আমারই কিছু পুরাতন পোস্ট নতুন করে পোস্ট করা শুরু করেছে। ব্যাপারটা আমার অনেক পুরাতন ফলোয়ারদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

তবে ঘটনাটা আমার নজরে এলে আমি ভেবে দেখলাম পোস্টগুলো কেবল পেইজটাকে সচল রাখতে সাহায্য করবে তা না বরং তা আমার নতুন অনেক ফলোয়ারদের, বিশেষত যারা হোমিওপ্যাথিতে নতুন, তাদের জন্য শিক্ষনীয়ও হবে। তাই আমি তাকে নিষেধ না করে পোষ্টের নিচে "রিপোস্ট/repost" লিখে দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।

আশা করছি এরপর থেকে আর কেউ বিভ্রান্ত হবেন না!

এলার্জিজনিত তীব্র চুলকানি মাত্র ১০ মিনিটে উপশম হল!..দুপুরে বাসায় যেতে পারিনি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, বাগেরহাট, সব মিল...
24/11/2025

এলার্জিজনিত তীব্র চুলকানি মাত্র ১০ মিনিটে উপশম হল!..দুপুরে বাসায় যেতে পারিনি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, বাগেরহাট, সব মিলিয়ে প্রায় দশ বারোটা ঔষধের পার্সেল রেডি করতে করতে বিকেল গড়িয়ে গেল। তখনই এলো মেয়েটা।

২৪ বছর বয়স্কা মেয়েটা ১৫ দিনের মতো হচ্ছে তার পিরিয়ডের সমস্যার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করছে আমার কাছ থেকে।

কিন্তু আজ এসেছে তার শরীরের এলার্জির সমস্যার জন্য। সোজাসাপ্টা ভাবে এলার্জি বললেও এটা মূলত আমবাত বা Urticaria.

ঘাড়, গলা, বাহু, পিঠ, সর্বত্রই চাকা চাকা উঠে গেছে। মেয়েটা স্থির হয়ে বসে থাকতে পারছে না। একবার এখানে একবার ওখানে চুলকাতেই আছে।

সমস্যাটা তার গতকাল থেকেই দেখা দিয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আজ পর্যন্ত সে চেষ্টা করেছে। কিন্তু উন্নতি না পেয়ে আমার কাছে এসেছে।

যে যে লক্ষণ পেলাম -

১. সমস্যাটা আজ বেড়ে গিয়েছে।

২. তাই সে আমার কাছে এসেছে চিকিৎসা নিতে।

৩.চুলকানিটা প্রচুর।

৪. এটা হওয়ার পর থেকে সে তার মাকে দেখিয়ে দেখিয়ে জানতে চাচ্ছে যে এটা আসলে কি হয়েছে।

৫. তার মা যখন সকালে এক রকম এবং বিকেলে আরেকরকম মন্তব্য করেছে তখন সে তার মায়ের উপর রেগে গিয়ে তাকে ভর্ৎসনা করেছে।

৬. মায়ের কাছ থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় পাশের বাড়ির কাকিমাকে ডেকে এনে তাকে উত্তর পেতে হয়েছে।

৭. এমন একটা বিব্রত কর পরিস্থিতির মধ্যেও মেয়েটা সারাক্ষণ মুখে মুচকি হাসি নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছে।

রুব্রিক নিলাম-

Mind- Delusions- enlarged

Mind- Carried- desire for

Mind- Extravagance

Mind- Light- desire; for

Mind- Reproaching others

Mind- Smiling

এক ড্রাম ডিস্টিল্ড ওয়াটারের ভিতরে এক ফোটা Belladonna 30 মিশিয়ে মেয়েটার হাতে দিয়ে বললাম ৩ ভাগ করে ১০ মিনিট পর পর তিনবার খেয়ে শেষ করতে থাকো। আমি অন্যান্য ওষুধ তৈরি করে আনছি। বলে মূলত তাকে কিছু Placebo দেওয়ার জন্য চেম্বার এর ফ্রন্ট সাইডে গেলাম।

এরমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে আরেকটা রোগীর কল আসলো। তার এবং তার মেয়ের ব্যাপারে কথা বলতে বলতে ১০ মিনিট পার হয়ে গেল।

গিয়ে দেখি মেয়েটা ঔষধের দ্বিতীয় ডোজ খাচ্ছে।

জানতে চাইলাম, কেমন লাগছে এখন?

মেয়েটা বললো, কম লাগছে।

মেয়েটার মা উপস্থিত ছিল, সেও বলল, কম দেখা যাচ্ছে।

আমিও দেখলাম মেয়েটা স্থির হয়ে বসে আছে এখন। এখন আর চুলকাচ্ছে না এখানে ওখানে।
..মাঝে মাঝে ওষুধের ক্রিয়া দেখে নিজেও আশ্চর্যিত হতে হয়!

বিঃদ্রঃ মেয়েটার গলা, ঘাড় এবং বুকেই বেশি সমস্যা হওয়ায় ছবি তুলতে পারিনি। এখানে বুঝানোর স্বার্থে অন্য ছবি ব্যাবহার করা হয়েছে।

[Repost]

আজকের রুব্রিক ক্লাস: যখন মন তার নিজস্ব ভাষা হারিয়ে ফেলে (The Broken Gramophone)আজকের ক্লাসে আমরা যে রুব্রিকটি নিয়ে আলোচন...
21/11/2025

আজকের রুব্রিক ক্লাস: যখন মন তার নিজস্ব ভাষা হারিয়ে ফেলে (The Broken Gramophone)

আজকের ক্লাসে আমরা যে রুব্রিকটি নিয়ে আলোচনা করব, তা মনের গভীরে ঘটে যাওয়া এক বিশাল ভাঙনের চিত্র তুলে ধরে। এটি এমন এক অবস্থা যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বা যুক্তি লোপ পায় এবং সে একটি 'যান্ত্রিক প্রতিধ্বনি'তে পরিণত হয়।

আজকের রুব্রিক: Mind; answer, answering, answers; repeats question; over and over, in a singing tone until interrupted by another, which he repeats like the first

আসুন, ধাপে ধাপে এর ব্যবচ্ছেদ করি।

১. রুব্রিকের গঠন (Structure)
রেপার্টরিতে রুব্রিকটি এভাবে সাজানো আছে: Mind; answer, answering, answers; repeats question; over and over, in a singing tone until interrupted by another, which he repeats like the first

২. ইংরেজি বাক্য গঠন (English Sentence Construction)
ব্যাকরণ মেনে সহজ ইংরেজিতে বাক্যটি সাজালে দাঁড়ায়:

"When answering, the patient repeats the question over and over in a singing tone until he is interrupted by another question, which he then repeats exactly like the first one."

বাংলা অর্থ: উত্তর দেওয়ার সময় রোগী প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটিই বারবার একটি সুর করে বা গাইতে গাইতে আউড়াতে থাকে, যতক্ষণ না তাকে অন্য কোনো প্রশ্ন করে থামানো হয়; তখন সে আবার ওই নতুন প্রশ্নটিকেও আগেরটির মতোই বারবার সুর করে আউড়াতে থাকে।

৩. শব্দগুলোর ব্যবচ্ছেদ (Word-by-Word Analysis)
আসুন, শব্দগুলোর গভীরে যাই:

Mind (মন): এটি মানসিক লক্ষণ।

Answer... (উত্তর দেওয়া): এখানে সমস্যাটি রোগীর কথোপকথন বা যোগাযোগের (Communication) প্রক্রিয়ায়।

Repeats question (প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি): ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় Echolalia (একোলালিয়া)। অর্থাৎ, রোগী উত্তর প্রসেস করতে পারছে না, সে কেবল আপনার কথাটিকেই তোতা পাখির মতো বা আয়নার মতো ফেরত দিচ্ছে।

Over and over (বারবার): এটি Perseveration বা 'আটকে যাওয়া'র লক্ষণ। মস্তিষ্কের যে অংশটি কাজ পরিবর্তন (switch task) করে, তা কাজ করছে না।

In a singing tone (গাইতে গাইতে/সুরেলা কণ্ঠে): এটি খুবই অদ্ভুত। রোগী স্বাভাবিকভাবে কথা বলছে না। সে একটি নির্দিষ্ট লয় বা সুরে (Chanting/Droning) কথাটি বলছে। এটি নির্দেশ করে যে সে বাস্তব জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন (Disconnected from reality)।

Until interrupted by another... (যতক্ষণ না অন্য প্রশ্ন করা হয়): রোগীর নিজের কোনো থামার ক্ষমতা নেই। আপনি নতুন ইনপুট দিলে তবেই সে আগেরটি থামায় এবং নতুনটি ধরে।

৪. রূপক বা মেটাফোরিক্যাল ব্যাখ্যা (The Core Concept)
আপনারা নষ্ট হয়ে যাওয়া গ্রামোফোন বা সিডি প্লেয়ার দেখেছেন? যেখানে পিনটা এক জায়গায় আটকে যায় এবং একই লাইন বারবার বাজতে থাকে?

এই রুব্রিকটি হলো "মস্তিষ্কের আটকে যাওয়া পিন" (The Stuck Needle of the Mind)।

ফাঁকা প্রতিধ্বনি (The Empty Echo): মনে করুন আপনি একটি বিশাল খালি গুহায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করলেন "তোমার নাম কী?" গুহা উত্তর দেবে না, সে শুধু ফেরত পাঠাবে "তোমার নাম কী... তোমার নাম কী..."। রোগীর অবস্থাও তাই। তার মনের ভেতরে যে 'প্রসেসর' বা বুদ্ধিমত্তা (Intellect) ছিল যা প্রশ্নটি বুঝে উত্তর তৈরি করবে, তা সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে গেছে। তার মন এখন শুধু একটি ফাঁকা দেওয়াল, যা শব্দকে বাউন্স করে ফেরত দিচ্ছে।

সুরেলা সুরের অর্থ (The Singing Tone): এই 'Singing tone' আনন্দের গান নয়। এটি হলো বিকারগ্রস্ত অবস্থার (Delirium) সুর। যখন মানুষ যুক্তির জগত থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন তার কথার স্বাভাবিক ওঠানামা (Modulation) থাকে না, তা একটি একঘেয়ে সুরে বা ছড়ায় পরিণত হয়। এটি গভীর মস্তিষ্কের বিকার (Brain Lesion বা Severe Typhoid state) নির্দেশ করতে পারে।

৫. রোগীর ভাষ্য ও পর্যবেক্ষণ: আমরা বাস্তবে কী দেখব?
এই রুব্রিকটি আপনারা সাধারণত রোগীর নিজের মুখে অভিযোগ হিসেবে শুনবেন না। এটি আপনাদের Bedside Observation (রোগশয্যার পর্যবেক্ষণ)। সাধারণত টাইফয়েড, মেনিনজাইটিস, বা গভীর সিজোফ্রেনিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়।

দৃশ্যকল্প ১: গভীর জ্বরের রোগী (যেমন: টাইফয়েড বা ব্রেন ফিভার)

ডাক্তার: (রোগীর বিছানার পাশে গিয়ে) "কেমন আছেন আপনি?" রোগী: (চোখ আধবোঁজা করে, একটি নির্দিষ্ট সুরে বিড়বিড় করে) "কেমন আছেন আপনি... কেমন আছেন আপনি... কেমন আছেন আপনি..." (চলতেই থাকে)। ডাক্তার: (জোরে ধমক দিয়ে বা হাত ধরে) "ভাত খেয়েছেন?" রোগী: (আগেরটা থামিয়ে, সেই একই সুরে) "ভাত খেয়েছেন... ভাত খেয়েছেন... ভাত খেয়েছেন..."

দৃশ্যকল্প ২: মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী (Psychosis)

আপনি রোগীকে যা-ই জিজ্ঞেস করছেন, সে উত্তরের ধার ধারছে না। সে আপনার কথাটিকেই লুফে নিচ্ছে এবং একটি ছড়ার মতো করে সুর করে সেটাকেই বারবার বলছে। তার নিজের কোনো চিন্তাশক্তি বা বিচারবুদ্ধি কাজ করছে না। সে শুধু বাইরের শব্দগুলোকে যান্ত্রিকভাবে পুনরাবৃত্তি করছে।

শেষ কথা
একজন হোমিওপ্যাথ হিসেবে যখনই আপনারা দেখবেন রোগী প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটিকেই বারবার, একটানা, সুর করে আউড়ে যাচ্ছে—তখন বুঝবেন প্যাথলজি অনেক গভীর। এখানে Zincum Met, এর মতো গভীর ক্রিয়াশীল ওষুধের কথা মনে আসতে পারে। এটি নিছক পাগলামি নয়, এটি মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারানোর চরম পর্যায়।

আশা করি, এই অদ্ভুত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিকটি আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়েছে।

আমি গতকাল (২৭/১২/২০২৩) রাতেই কইসটি রেকর্ড করি। নামঃ Mrs X,বয়সঃ ৩১ বছর।বিবাহিতা।বাসস্থান- ঢাকা।কেইস স্টাডি করে যা পেলাম-১...
18/11/2025

আমি গতকাল (২৭/১২/২০২৩) রাতেই কইসটি রেকর্ড করি।

নামঃ Mrs X,
বয়সঃ ৩১ বছর।
বিবাহিতা।
বাসস্থান- ঢাকা।

কেইস স্টাডি করে যা পেলাম-

১। ২০০৯ সাল থেকে তার মাথাব্যথা।

২। প্রতি শীতেই তার এই মাথাব্যাথা হয়।

৩। ২০০৯ সালে ইফতারিতে বরফ শীতল পানি খাওয়ার পর থেকেই তার এই সমস্যাটা শুরু।

৪। ঠান্ডায়, ঠান্ডা বাতাসে এবং শুয়ে পড়লে মাথা ব্যথা বেশি হয়,

৫। প্রতি সন্ধ্যায় বৃদ্ধি ।.

৬। মাথা ব্যাথার তীব্রতা প্রচন্ড যা গত দুদিন হল বেড়ে গিয়েছে।

৭। ব্যাথা ধীরে ধীরে বাড়ে ধীরে ধীরে কমে।

৮। ব্যথার সময় খুব বিরক্তি অনুভব করে।

৯। আলো সহ্য করতে পারেনা।

১০। শব্দ সহ্য করতে পারেনা।

১১। একা থাকতে চায়।

১২। আগে এলোপ্যাথিক ওষুধ খেত কিন্তু এলোপ্যাথিক ওষুধের রোগ নির্মূল না হয়ে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে সে এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

১৩।এই রোগটা যদি তার থেকে একেবারে চলে যায় তাহলে সে খুব খুশি হবে।

আমি মানসিক লক্ষণ গুলোর উপরেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে মেডিসিন সিলেক্ট করলাম Belladonna.

কুরিয়ার সার্ভিসে ওষুধও পাঠালাম আজ। তবে ঔষধটা পৌঁছাতে দু-একদিন সময় লাগবে বলে আমি ওখানের কোন ফার্মেসি থেকে Belladonna 30 কিনে নিতে বললাম।

মাত্র ১ ফোঁটা ঔষধ ২ ড্রাম ডিস্টিল্ড ওয়াটারে মিশিয়ে ৩ এর ১ অংশ করে ১০ মিনিট পরপর তাকে ৩ বার খেতে বললাম।

সে ঔষধটা আজ (২৮/১২/২০২৩) ৫ টা বেজে ১০ মিনিটে এক ভাগ, ৫ টা বেজে ২০ মিনিটে এক ভাগ এবং ৫ টা বেজে ৩০ মিনিটে এক ভাগ খেয়ে শেষ করে।

৬ টা বেজে ৫১ মিনিটে তার সাথে আমার ফোনে কথা হল- সে বলল আজ সে ৮০% সুস্থ বোধ করছে। মাথাব্যাথা তেমন নেই। তবে সেস্থলে তার পা ব্যাথা করছে।

…আমি বুঝালাম, জীবনীশক্তি রোগকে শরীরের অধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থেকে প্রথমে কম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে তাড়িত করে, তারপর সেখান থেকে আরো কম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে, তারপর আরো কম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে, এভাবেই আস্তে আস্তে রোগ পুরোপুরি দূর হয়।(হেরিং’স-ল)

—-----------------------------
ডা. বুলবুল ইসলাম 'ঈসা
কনসালটেন্ট হোমিওপ্যাথ
ডি. এইচ. এম. এস. (বি. এইচ. বি)
মোবাইলঃ ০১৯১৩১০৭০৮২, ০১৭১৪৪৭৫৭৩৫
WhatsApp: 01714475735
Gmail: bulbul70007@gmail.com
page: https://www.facebook.com/dr.bulbul.esa

রিপোস্ট

সোরিয়াসিস কী? (What is Psoriasis)সোরিয়াসিস একটি দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক), প্রদাহজনিত চর্মরোগ যা ত্বকের কোষগুলোর দ্রুত বৃদ...
18/11/2025

সোরিয়াসিস কী? (What is Psoriasis)

সোরিয়াসিস একটি দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক), প্রদাহজনিত চর্মরোগ যা ত্বকের কোষগুলোর দ্রুত বৃদ্ধি ও জমে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়। এতে ত্বকে পুরু, লালচে এবং সাদা খোসাযুক্ত প্যাচ বা দাগ দেখা যায়। সাধারণত মাথার তালু, কনুই, হাঁটু ও পিঠে বেশি দেখা যায়। এটি সংক্রামক নয়, তবে মানসিক কষ্ট ও সামাজিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

আপনার এই কমেন্টকারী ভাইটিকে আমি মোটামুটি ব্যক্তিগতভাবেই চিনি। তিনি কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নন। তবে তাকে হোমিও-প্রেমী বল...
17/11/2025

আপনার এই কমেন্টকারী ভাইটিকে আমি মোটামুটি ব্যক্তিগতভাবেই চিনি। তিনি কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নন। তবে তাকে হোমিও-প্রেমী বলে আখ্যা দেয়া যেতে পারে। কারণ তিনি নিজের এবং নিজের পরিবারের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকেই প্রিফার করেন।

যাইহোক, তার বানান ভুল হতে পারে তবে বক্তব্য কিন্তু ভুল নয়।

কিন্তু তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আপনি তার বানান ভুল নিয়ে যখন কথা বলতে গিয়েছেন তখন সেটা যুক্তির টেবিল পেরিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটা কোন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের জন্য শোভাদায়ক নয়।

বানান ভুল কে না করে? এই যে আপনি পোস্টটা লিখেছেন তার ভেতর কতগুলো বানান এবং ব্যাকরণগত ভুল, আপনি কি খেয়াল করেছেন? আসুন ধরিয়ে দিই -

১. “ঘরে ঘরে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার” — এখানে "হোমিওপ্যাথি ডাক্তার" বাক্যাংশটা "হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার "হওয়া উচিত।

২. "সিলেক্টেড রিমেডির সাথে", - এখানে "সিলেক্টেড রেমিডির সাথে" হবে, কারণ ইংরেজি Remedy এর সঠিক বাংলা উচ্চারণ "রিমেডি" নয়, "রেমেডি"।

৩. “নীচে” বানানটার আধুনিক রূপ "নিচে"।

৪. “কমেন্ট কারি ভাইজান” — "কমেন্টকারী ভাইজান" লিখতে হবে। অর্থাৎ এখানে দুটো ভুল, "কারি" এর স্থানে "কারী" হবে, আর কমেন্ট এবং কারী আলাদা না হয়ে একত্রে হবে কারণ কারী একটা প্রত্যয় যা প্রকৃতির সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে।

৫. “প্যালিয়েশন ( কিছুটা আমার দেওয়াই চ্যালেঞ্জ)” — এখানে "আমার" নয়, " আরাম" হবে।

৬. “Chronic বানান টা দেখেন” — এখানে "বানান টা" নয়, একত্রে "বানানটা" লিখতে হবে। কারণ এখানে "টা" একটা প্রত্যয়।

৭. “আমি প্রতিদিন বেশ কয়েকটা ক্যান্সার রোগি দেখি” — এখানে "রোগি "নয়, "রোগী" হবে।

৮. “আরোগ্য ত” — এটি "আরোগ্য তো "হবে।
..খুঁজলে হয়তো আরো দুটো একটা ভুল পাওয়া যাবে।
আবার এই যে আমি আপনার ভুল খুঁজে দিলাম, খুঁজলে আমার লেখার ভেতরেও যে ভুল পাওয়া যাবে না তা হয়ত নয়।

কাজেই এসব ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে যুক্তির জবাব যুক্তি দিয়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

আপনার এই পোস্টটা একটা গ্রুপে পেয়ে আমি আগ্রহ নিয়ে আপনার প্রোফাইলটা একটি স্ক্রল করে দেখলাম। এবং তাতে বুঝলাম যে শুধু ক্যান্সার রোগীর পেলিয়েশনের জন্য নয় আপনি অন্যান্য আরো অনেক ক্ষেত্রে মাদার টিংচার ব্যবহারের পক্ষপাতি। আর এটা যদি আপনার নীতি হয় তাহলে আমি বলব আপনার নীতি প্রকৃত হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি থেকে বহু ক্রোশ দূরে অবস্থান করছে।

05/11/2025

রুব্রিক: Mind, Fear, mischief, he might do, night on waking

১. প্রতিটি শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ
Mind (মন): এটি প্রধান অধ্যায় (Chapter)। এর অর্থ হলো এই লক্ষণটি রোগীর মানসিক স্তরের, শারীরিক নয়।

Fear (ভয়): এটি মূল রুব্রিক (Rubric)। এর অর্থ হলো রোগীর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবল ভীতি, শঙ্কা বা আতঙ্ক কাজ করে।

Mischief (মিসচিফ): এর আক্ষরিক অর্থ হলো 'দুষ্টুমি', 'অনিষ্ট', 'ক্ষতিকর আচরণ' বা 'ভুল কাজ'। এখানে 'দুষ্টুমি' শব্দটি শিশুসুলভ নয়, বরং এমন কোনো কাজ যা নৈতিক, সামাজিক বা আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য বা ক্ষতিকর।

He might do (হি মাইট ডু): এই অংশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অর্থ হলো "সে (নিজে) করে ফেলতে পারে"। অর্থাৎ, ভয়টা বাইরের কোনো কিছু থেকে নয়, বরং রোগী নিজে কোনো ক্ষতিকর কাজ করে ফেলবে—এই ভয়ে সে আতঙ্কিত। এটি নিজের অনিয়ন্ত্রিত আবেগের (impulse) প্রতি ভয়।

Night on waking (নাইট অন ওয়েকিনং): এটি হলো পরিস্থিতির মডিফায়ার (Modifier)। "রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠলে" বা "গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর"। এই ভয়টি দিনের অন্য সময়ের চেয়ে নির্দিষ্ট এই সময়েই বেশি প্রবল হয়।

২. শব্দগুলো সাজিয়ে অর্থবোধক বাক্য
এই রুব্রিকটির পূর্ণাঙ্গ অর্থ দাঁড়ায়:

"রোগীর মনে এই তীব্র ভয় কাজ করে যে সে (নিজে) হয়তো কোনো অনিষ্টকর, অসামাজিক বা নৈতিকভাবে ভুল কাজ করে ফেলবে, এবং এই ভয়টি বিশেষভাবে গভীর রাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর তার মনে উদয় হয় বা তীব্র আকার ধারণ করে।"

৩. মেটাফোরিক্যাল ব্যাখ্যা (রূপক বিশ্লেষণ)
এই রুব্রিকটি আক্ষরিক ভয়ের (যেমন: রাতে জেগে উঠে ভাবা "আমি কি এখন উঠে কিছু ভেঙে ফেলবো?") চেয়েও অনেক গভীর একটি মানসিক দ্বন্দ্বকে বোঝায়।

'Mischief' (অনিষ্ট) এখানে কিসের প্রতীক? এটি রোগীর ভেতরের দমন করা 'অন্ধকার দিক' বা 'ছায়া সত্তার' (Shadow Self) প্রতীক। এটি হতে পারে তার অবদমিত তীব্র ক্রোধ, নিষিদ্ধ যৌন আকাঙ্ক্ষা, অনৈতিক কোনো লোভ, হিংসা বা ধ্বংসাত্মক প্রবৃত্তি। দিনের বেলা তার সচেতন মন (Conscious Mind) ও সামাজিক বিবেক (Super-Ego) এই প্রবৃত্তিগুলোকে কঠোরভাবে দমন করে রাখে।

'He might do' (সে করে ফেলতে পারে) কিসের প্রতীক? এটি 'নিয়ন্ত্রণ হারানোর' (Loss of Control) ভয়ের প্রতীক। রোগী তার নিজের ভেতরের এই অবদমিত প্রবৃত্তিগুলোর শক্তি সম্পর্কে সচেতন। সে ভয় পায় যে সে তার যুক্তিবোধ বা নৈতিকতার বাঁধ ভেঙে ফেলবে। এটি তার 'ইগো' (Ego) বা 'সচেতন সত্তার' দুর্বল হয়ে পড়ার আতঙ্ক।

'Night on waking' (রাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠা) কিসের প্রতীক? রাত হলো অবচেতন মনের (Subconscious Mind) প্রতীক। ঘুম হলো সেই অবস্থা যখন সচেতন মনের পাহারা ঢিলে হয়ে যায়। যখন রোগী রাতে হঠাৎ জেগে ওঠে (on waking), তখন সে ঘুম এবং জাগ্রত অবস্থার এক মধ্যবর্তী (Twilight Zone) দশায় থাকে। এই দুর্বল মুহূর্তে তার সচেতন মনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Defense Mechanism) সবচেয়ে কম শক্তিশালী থাকে।

ঠিক এই সময়ই অবচেতন মনে চেপে রাখা 'অনিষ্টকর' প্রবৃত্তিগুলো (Mischief) সচেতন মনে প্রবেশের চেষ্টা করে। রোগীর মনে হয়, তার ভেতরের 'অশুভ সত্তা' বা 'দানবটি' বুঝি জেগে উঠেছে এবং সে হয়তো এখনই সেটির দ্বারা চালিত হয়ে কোনো 'ভুল' কাজ করে ফেলবে।

সারসংক্ষেপ: এই রুব্রিকটি হলো নিজের ভেতরের অনিয়ন্ত্রিত, অনৈতিক বা ধ্বংসাত্মক প্রবৃত্তির কাছে নিজের নিয়ন্ত্রণের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার এক তীব্র আতঙ্ক, যা বিশেষত রাতে ঘুম ভাঙার পর দুর্বল মানসিক মুহূর্তে প্রবল আকার ধারণ করে।

৪. রোগীর ভাষ্য (যা থেকে রুব্রিকটি বিবেচনা করা যায়)
রোগীরা সরাসরি "আমার মিসচিফ করার ভয় হয়" বলবে না। তারা তাদের এই গভীর আতঙ্ককে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করতে পারে।

আক্ষরিক বা সরাসরি উদাহরণ:

"ডাক্তার, আমার কী হয়েছে জানি না। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আমার খুব ভয় লাগে। মনে হয় আমি এখনই উঠে আমার বাচ্চাকে একটা আঘাত করে বসবো। আমি তো ওকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু এই চিন্তাটা মাথায় এলেই আমি ভয়ে জমে যাই।"

"রাতে ঘুম ভেঙে গেলে মনে হয়, আমি কি ঘর থেকে সব টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাবো? বা এমন কিছু একটা করে ফেলবো যা করা একদম উচিত নয়?"

"আমার ভয় হয় ঘুম থেকে জেগে আমি হয়তো নিজেকেই আঘাত করে ফেলবো বা এমন কিছু করে ফেলবো যা খুব লজ্জার।"

মেটাফোরিক্যাল বা রূপক উদাহরণ:

"ডাক্তার, আমার নিজের ওপর কোনো কন্ট্রোল নেই। বিশেষ করে রাতে ঘুম ভাঙলে। মনে হয় আমার ভেতরের পশুটা জেগে উঠেছে। আমার ভয় হয় আমি এমন কিছু করে ফেলবো যা আমার মান-সম্মান, আমার সংসার—সবকিছু নষ্ট করে দেবে।"

"আমার ভেতরে এত রাগ জমা আছে... রাতে ঘুম ভেঙে গেলে মনে হয়, আমি হয়তো কাল অফিসে গিয়ে এমন কাণ্ড করবো যে আমার চাকরিটাই চলে যাবে। আমি আমার এই দিকটাকে খুব ভয় পাই।"

(একজন ধার্মিক ব্যক্তি): "রাতে ঘুম ভাঙলে আমার মাথায় সব শয়তানি চিন্তা আসে। এমন সব চিন্তা যা মুখে আনা পাপ। আমার ভয় হয়, আমি কি আমার ঈমান হারিয়ে ফেলছি? আমি কি কোনো বড় পাপ করে ফেলবো?"

"আমার কিছু গোপন ইচ্ছা আছে যা খুবই অসামাজিক (যেমন: নিষিদ্ধ সম্পর্ক, চরম প্রতিশোধ)। রাতে জেগে উঠলে মনে হয়, আমি সেই ইচ্ছার কাছে হেরে যাচ্ছি। আমি ভয় পাই যে আমি সেই 'ভুল' কাজটা করেই ফেলবো।"

মহিলাদের ডিম্বস্ফোটন সময়ে (Follicular phase) শরীরে কিছু স্বাভাবিক শারীরিক লক্ষণ ও পরিবর্তন দেখা যায়, যা হরমোন পরিবর্তন...
02/11/2025

মহিলাদের ডিম্বস্ফোটন সময়ে (Follicular phase) শরীরে কিছু স্বাভাবিক শারীরিক লক্ষণ ও পরিবর্তন দেখা যায়, যা হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে। নিচে প্রধান লক্ষণগুলো দেওয়া হলো

1. যোনি স্রাব পরিবর্তন:
স্রাব ধীরে ধীরে পাতলা, স্বচ্ছ ও টানটান হতে থাকে (ডিমের সাদা অংশের মতো)। এটি ডিম্বাণু পরিপক্ব হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

2. শক্তি বৃদ্ধি:
শরীরে ইস্ট্রোজেন বাড়ার ফলে অনেক নারী এই সময় অধিক উদ্যমী, সতেজ ও কর্মক্ষম অনুভব করেন।

3. ত্বক ও চুলের উন্নতি:
ইস্ট্রোজেন ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও নরম লাগে।

4. মনোভাব পরিবর্তন:
অনেকেই এই সময়ে মুড ভালো থাকে, মানসিক প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।

5. শরীরের তাপমাত্রা:
ফলিকুলার পর্যায়ে শরীরের বেসাল তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে, যা ওভুলেশনের আগে পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

6. হালকা পেটব্যথা বা টান টান ভাব:
কিছু নারী পেটে বা তলপেটে হালকা টান অনুভব করতে পারেন — এটি ডিম্বাণু বড় হওয়ার কারণে হয়।

7. ক্ষুধা ও যৌন আকর্ষণ:
অনেক সময় ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধির কারণে ক্ষুধা কিছুটা কমে কিন্তু যৌন আকর্ষণ কিছুটা বাড়ে।

সারসংক্ষেপ:
ফলিকুলার সময়ে নারীর শরীর নতুন ডিম্বাণু তৈরি করে এবং শরীর ধীরে ধীরে উর্বর বা প্রজনন-প্রস্তুত অবস্থায় প্রবেশ করে।

Address

Bagerhat
9371

Telephone

+8801999995662

Website

http://drbulbulesa.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Bulbul Islam 'Esa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Bulbul Islam 'Esa:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram