17/11/2025
পাইলস
=======
পাইলস, যাকে অর্শ্বরোগও বলা হয়। বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে, যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয় যা আমরা পাইলস নামে জেনে থাকি। যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ বা প্রদাহ হয় এবং চাপ পড়ে তখন পাইলস বা হেমোরয়েডসে প্রদাহ হয়। যাকে সাধারণ ভাষায় অর্শরোগ বলা হয়।
এটি মলদ্বারের এক ধরনের জটিল রোগ। পাইলস এর ফলে রক্তনালিগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোন বয়সের মানুষ এ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পাইলস হলে সাধারণত চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। মলদ্বারের নিচের অংশে গোল আকারে ফুলে উঠে, ফলে যে কোন সময় সেই জায়গা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। এটি খুবই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রনাদায়ক।
দীর্ঘকালীন কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এছাড়া যাদের মলত্যাগের অকারণে বেগ প্রদানের বদভ্যাস রয়েছে, তারাও এই রোগ বাধিয়ে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই পাইলস কী, পাইলসের লক্ষণ ও চিকিৎসা সহ কিছু তথ্য।
সাধারণত পাইলস দুই প্রকার হয়ে থাকে -
অভ্যন্তরীণ পাইলস
বাহ্যিক পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলস এবং বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারে তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। এগুলি সাধারণ এবং মলদ্বারের ভিতরে মলদ্বারের খোলার উপরে ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার (সেমি) এর মধ্যে ঘটে।
অভ্যন্তরীণ পাইলস:
অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগ চারটি শ্রেণী বা পর্যায়ের হয় যা প্রোল্যাপের উপর ভিত্তি করে।
প্রথম পর্যায় - পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না।
দ্বিতীয় পর্যায় - মলমূত্র ত্যাগের পর পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে এবং তারপর আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়।
তৃতীয় পর্যায় - পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে এবং নিজে নিজে ঠিক করতে হয়।
চতুর্থ পযার্য় - পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে বা প্রলেপস হয় এবং তা আর নিজে ঠিক হয় না বা করা যায় না।
বাহ্যিক পাইলস:
বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারের বাইরের প্রান্তে ছোট ছোট গলদ গঠন করে। এগুলো প্রায়শই চুলকানিদায়ক এবং বেদনাদায়ক হয়ে থাকে।
★★পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে:★★
দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা
বার্ধক্যজনিত কারণে ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া
পুরনো ডায়রিয়া
মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা
পারিবারিক ইতিহাস
আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া
ভারি মালপত্র বহন করা
স্থুলতা,
কায়িক শ্রম কম করা
গর্ভকালীন সময়ে
পায়ুপথে যৌনক্রিয়া
যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস
সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপের ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।
★★★পাইলস রোগে লক্ষণ★★★
পাইলস রোগে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচ্ছে- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের পাইলস রোগে সাধারণত তেমন কোনো ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না। অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সঙ্গে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করার টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।
পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলি এখানে:
পায়ূ অঞ্চলে ব্যথা এবং চুলকানি।
মল বা মলত্যাগের পর রক্ত।
মলদ্বারের চারপাশে একটি শক্ত গলদা।
অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগের লক্ষণ:
মল অতিক্রম করার সময় অতিরিক্ত চাপ বা জ্বালা হতে পারে।
মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত।
যদি পাইলস প্রল্যাপস, ব্যথা এবং জ্বালা হয়।
বহিরাগত অর্শ্বরোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি।
মলদ্বারের কাছে বেদনাদায়ক মাংসল গলদ।
বসার সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
মলদ্বারে রক্তক্ষরণ।
হোমিওপ্যাথিক কনসালটেন্ট
ডাঃ এম এইচ মোহন
প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান- ক্রনিক ডিজিজ ও ফিজিওলজী বিভাগ- চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
🏨 মায়া হোমিও হল 🏨
মেহের কালিবাড়ী,(দঃ)বাজার
থানা রোডের মোড়,নূরপ্লাজা,
শাহরাস্তি,চাঁদপুর।
ডাক্তারের সাথে অনলাইনে পরামর্শ করার জন্য ,মোবাইলঃ WhatsApp 01720-38264 (ডাক্তার)।
সিরিয়ালের জন্যঃWhatsApp 01720-224996
★★★হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন প্রতিদিন ★★★