রাসেল মাহমুদ

রাসেল মাহমুদ ❣️

আমার রাজ্যে আমি জমিদার

❣️

"হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সংবিধান ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ গ্রন্থ আয়ত্তের কৌশল"- ডা. এ কে এম রুহুল আমিন“অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্...
05/04/2025

"হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সংবিধান ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ গ্রন্থ আয়ত্তের কৌশল"
- ডা. এ কে এম রুহুল আমিন

“অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্তের কৌশল” এই বিষয়ে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করছি। আলোচনার সুবিধার জন্য বিষয়টিকে কয়েকটি শিরোনামে বিভক্ত করে উপস্থাপন করছি, শিরোনামগুলো হচ্ছে –

১। ভূমিকা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের ব্যবহারিক গুরুত্ব
২। অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্তের ব্যবহারিক কৌশল
৩। অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের মূল বিষয়াবলী

১। ভূমিকা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের ব্যবহারিক গুরুত্ব
অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক মহাত্মা স্যামুয়েল হ্যানিম্যান রচিত এক অসাধারণ গ্রন্থ। যে গ্রন্থকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান গ্রন্থ বলা হয়। এই গ্রন্থে বর্ণিত যাবতীয় নিয়ম নীতি অনুসরণ করেই হোমিওপ্যাথিক ধারার চিকিৎসা কর্ম পরিচালিত হয়। নাবিকের জাহাজের হাল যেমন- তেমনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার হাল হচ্ছে অর্গানন।

এই অসাধারণ গ্রন্থটির মোট ৬টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। সবগুলোর সংস্করণ হ্যানিম্যান নিজেই করেছেন, তবে ৬ষ্ঠ সংস্করণের পান্ডুলিপি হ্যানিম্যান কর্তৃক রচিত হলেও গ্রন্থটির ৬ষ্ঠ সংস্করণ হ্যানিম্যানের মৃত্যুর ৮৮ বৎসর পর ১৯২১ সালে ডা. রিচার্ড হেলের তত্ত্বাবধানে জার্মান ভাষায় প্রকাশিত হয়। ১৯২২ সালে আমিরিকার ডাঃ উইলিয়াম বরিক ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। (যার অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২৯১)

১ম প্রকাশ ১৮১০ (অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২৫৯)
২য় সংস্করণ ১৮১৯ (অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩১৮)
৩য় সংস্করণ ১৮২৪ (অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩১৮)
৪র্থ সংস্করণ ১৮২৯ (অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২৯২)
৫ম সংস্করণ ১৮৩৩ (অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২৯৪)
৬ষ্ঠ সংস্করণ ১৯২২ (অনুচ্ছেদ সংখ্যা ২৯১)

২। অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্তের ব্যবহারিক কৌশল
অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্বের ব্যবহারিক কৌশলকে যদি আমি ধাপে ধাপে উল্লেখ করতে চাই, তাহলে-
ক) অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থকে আয়ত্ত করতে হলে আমাদেরকে প্রথমে হোমিওপ্যাথির সংজ্ঞাকে বুঝতে হবে।
খ) তারপর, হোমিওপ্যাথির মৌলিক চিকিৎসা নীতিগুলোকে বুঝতে হবে, যা অর্গানন গ্রন্থের মধ্যেই বর্ণিত আছে।
গ) এরপর, অর্গাননে বর্ণিত বিষয়াবলীকে ভাগ ভাগ করে বিস্তারিতভাবে বুঝতে হবে।
ঘ) অর্গানন গ্রন্থের প্রতিটি অনুচ্ছেদ বা এফোরিজম পাদটীকা ও ভাষ্য মূল গ্রন্থ থেকে পড়তে হবে।
ঙ) অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা বিভিন্ন লেখক/মনীষীদের গ্রন্থ থেকে পড়তে হবে।
চ) প্রতিদিন অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের এক বা একাধিক অনুচ্ছেদ নিয়মিতভাবে মূলকথা, পাদটীকা, ভাষ্য, ব্যাখ্যা, বিভিন্ন মনীষীদের মতামত ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে পাঠ করতে হবে।
ছ) অর্গানন বিষয়ে কোথায়ও সেমিনার, সিম্পজিয়াম, আলোচনা অনুষ্ঠান হলে সেখানে অংশ গ্রহণ করে জ্ঞানার্জন করতে হবে।
জ) অর্গানন পড়ার সময় নিজে নোট করে পড়তে হবে, কোন বিষয় অনুধাবন দূরুহ হলে তা সিনিয়র শিক্ষক বা সিনিয়র চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
ঝ) ইন্টারনেটেও অর্গাননের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যামূলক অনেক ভাষ্য পাওয়া যায়, সেগুলো পাঠ করে অর্গাননকে আয়ত্ত করা যায়।
কাজেই এবার আসুন, ধারাবাহিকতার প্রথম কাজটি, অর্থাৎ অর্গাননের আলোকে আমরা হোমিওপ্যাথির সংজ্ঞাটিকে বুঝার চেষ্টা করি-

হোমিওপ্যাথির সংজ্ঞা (Definition of Homoeopathy)
মানুষকে অসুস্থ অবস্থা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তিদানের উদ্দেশ্যে তথা আদর্শ আরোগ্য প্রদানের জন্য আরোগ্যের বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিক নীতির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. ফেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (১৭৫৫-১৮৪৩) কর্তৃক উদ্ভাবিত, বিকাশিত ও তাঁর রচিত অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থে বর্ণিত যাবতীয় নিয়ম-নীতি ও নির্দেশকে যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে দর্শন, বিজ্ঞান ও কলার সমন্বয়ে যে সদৃশ বিধান ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালিত হয়, তাকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিদ্যা বলা হয়।

সংক্ষেপে এই প্যাথির মূলসুর হচ্ছে –
• বাংলায় – সদৃশ দ্বারা সদৃশ আরোগ্য হয়,
• ইংরেজিতে – like cures like,
• ল্যাটিন ভাষায় – Similia Similibus Curentur
এই চিকিৎসা পদ্ধতির মূলনীতি হচ্ছে – আদর্শ আরোগ্যের জন্য ওষুধকে
(১) সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষিত
(২) একক ও অবিমিশ্র
(৩) সদৃশ
(৪) শক্তিকৃত ও
(৫) সূক্ষ্ণমাত্রায়
হতে হবে এবং এই পদ্ধতির চিকিৎসককে-
• বেসিক মেডিক্যাল বিষয়,
• হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিষয় সহ
• রোগ সম্পর্কে হোমিওপ্যাথিক ধারণা, রোগের মৌলিক কারণ (মায়াজম) ও উত্তেজক কারণ, স্বাস্থ্য, জীবনীশক্তি, রোগশক্তি, ওষুধশক্তি, ওষুধের মাত্রা ও প্রয়োগ বিধান, পথ্যাপথ্য, রোগ আরোগ্যের পথে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী উপাদান সমূহ, চিকিৎসকের জ্ঞাতব্য ও কর্তব্য, রোগীলিপি প্রস্তুতের কৌশল সহ বিবিধ অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ে জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
হোমিওপ্যাথির সংজ্ঞার পর এবার আমরা হোমিওপ্যাথির মৌলিক বা Basic চিকিৎসা নীতিগুলোকে বুঝার চেষ্টা করব, যা অর্গানন গ্রন্থের মধ্যেই বর্ণিত আছে।
Principles of Homoeopathy
(Cardinal Principles)
• Every science has certain fundamental principles which guide the whole system. Homeopathy as a science of medical treatment has a philosophy of its own and its therapeutics is based on certain fun-damental principles. These are:
1. Law of Similia – ‘Similia Similibus Curantur’
2. Law of Simplex – The Single Remedy
3. Law of Minimum.
4. Doctrine of Drug Proving.
5. Theory of Chronic Disease.
6. Theory of Vital Force.
7. Doctrine of Drug-Dynamisation.

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূল বা মৌলিক নীতিগুলোকে বুঝার জন্য বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যেমন –
• The Principles and Art of cure by Homoeopathy – Herbert A. Roberts. MD
• The Basic Principles of Homeopathy by GEORGE VITHOULKAS
• The Science of Homeopathy by GEORGE VITHOULKAS
• হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি – ডা. এম. এম. আবুল মনসুর এবং ডা. গুরুদাস সরকার
• হোমিও সাথী – ডা. এস. পি. দে
• হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্য কলা – ডাঃ পরেশ চন্দ্র সরকার
• অর্গানন অব মেডিসিন – অনুবাদঃ ডা. ত্রিগুনানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
• অর্গানন অব মেডিসিন – অনুবাদঃ ডা. হরিমোহন চৌধুরী
• অর্গানন অব মেডিসিন – অনুবাদঃ ডা. জি দীর্ঘাঙ্গী
• অর্গানন অব মেডিসিন – অনুবাদঃ ডা. আবু হোসেন সরকার
• হোমিওপ্যাথি মেডিসিন ফর দ্যা নিউ মিলেনিয়াম – ডা. প্রফেসর জর্জ ভিথোলকাস ( বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায় )
হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি গ্রন্থটিকে ভাল করে আয়ত্ব করেন, অর্গানন আপনার আয়ত্তে চলে আসবে। হোমিওপ্যাথির মূল বা মৌলিক নীতিগুলো আপনি জানতে ও বুঝতে পারবেন। তারপর ধীরে ধীরে ২/১ টি করে অনুচ্ছেদ ক্রমান্বয়ে বুঝে বুঝে পাঠ করুন, অর্গানন আপনার সাথে কথা বলতে শুরু করবে, আপনি অর্গাননকে ভালবাসবেন, হোমিওপ্যাথি আপনাকে ভালবাসবে। রোগী চিকিৎসায় অধিক সাফল্য আপনার জন্য অবধারিত।
ডিএইচএমএস কোর্সের হোমিওপ্যাথি নিয়মনীতির সিলেবাসটি নিম্নরূপ, যা আমাদেরকে অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থকে অনুধাবন করতে সহায়তা করে।
1. Definition of Homoeopathy and conception of Disease from the Homoeopathic point of view.
2. Code of Homoeopathic Ethics.
3. (a) History of Medicine with reference to Hippocrates, Galen, Paracelsus and Abu Sina etc.
(b) Life & Works of Hahnemann.
4. Source and origin of Principles of Homoeopathy.
5. Definition of Principle and opinion, their differences.
6. Basic principles of Homoeopathy:
a) The universal law of cure SIMILIA SIMILIBUS CURENTUR.
b) Homoeopathic law of Nature.
c) Definition of Homoeopathic Drug and Remedy.
d) Proving of drugs.
e) Dynamization or Potentization of drugs.
f) Individualization of patients and drugs.
g) Infinitesimal and minimum dose.
h) Single remedy.
i) Treat the patient but not the disease, Treat the patient wholly, but not partly.
j) Symptoms and its importance in Homoeopathy.
K) Subjective and Objective symptoms.
l) Totality of symptoms.
m) Homoeopathic Psology.
n) Examination of patients.

৩। অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের মূল বিষয়াবলী
(This outline was prepared by Julian Winston for the students of the Wellington College of Homeopa-thy. It was printed in the USA in Homeopathy Today. )
1. Basic postulates about disease and healing (রোগ ও আরোগ্য সম্পর্কে বেসিক/মৌলিক স্বীকার্য) অনুচ্ছেদ ১ হতে ৯
2. The concept of vital force and its relation to disease (জীবনী শক্তি সম্পর্কে ধারনা এবং রোগাবস্থার সাথে এর সর্ম্পক) অনুচ্ছেদ ৯ হতে ১৮
3. The need for proving (determine the nature of medicine) (ওষুধ পরীক্ষণ এর প্রয়োজনীয়তা, ওষুধের চরিত্র নির্ধারণ) অনুচ্ছেদ ১৯ হতে ২১
4. The principle of similars (সদৃশ নীতি) অনুচ্ছেদ ২২ হতে ২৭
5. How it works (হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ওষুধ কিভাবে কাজ করে) অনুচ্ছেদ ৮ হতে ২৯
6. Philosophy of the system of homoeopathy (হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাধারার দর্শন) অনুচ্ছেদ ৩০ হতে ৬৯
7. Summary of all that has been said so far (ইতোপূর্বে বলা কথার সারর্মম) অনুচ্ছেদ ৭০ ও ৭১
8. Acute and chronic diseases (তরুণ রোগ ও চিররোগ) অনুচ্ছেদ ৭২ হতে ৮১
9. Case-taking (রোগীলিপি প্রস্তুতকরণ) অনুচ্ছেদ ৮২ হতে ১০৪
10. Epidemic disease (মহামারী রোগ) অনুচ্ছেদ ১০০ হতে ১০২
11. Chronic disease (চিররোগ) অনুচ্ছেদ ১০৩ হতে ১০৪
12. Effects of the remedies (ওষুধের প্রভাব) অনুচ্ছেদ ১০৫ হতে ১২০
13. Conducting provings (ওষুধ পরীক্ষণ এর আবহ) অনুচ্ছেদ ১২১ হতে ১৪২
14. Formation of the materia medica (মেটেরিয়া মেডিকা গঠন) অনুচ্ছেদ ১৪৩ হতে ১৪৫
15. Application of medicine to the disease (রোগাবস্থায় ওষুধ প্রয়োগ ) অনুচ্ছেদ ১৪৬ হতে ১৭১
16. The one-sided case (একদৈশিক ব্যাধি) অনুচ্ছেদ ১৭২ হতে ১৮৪
17. Local diseases (স্থানীয় ব্যাধি) অনুচ্ছেদ ১৮৫ হতে ২০৩
18. Introduction to the treatment of chronic disease (চিররোগের চিকিৎসার ভূমিকা) অনুচ্ছেদ ২০৪ হতে ২০৯
19. Mental Diseases (মানসিক রোগ) অনুচ্ছেদ ২১০ হতে ২৩০
20. Intermittent diseases (সবিরাম রোগ) অনুচ্ছেদ ২৩১ হতে ২৪৪
21. How to use the remedies (ওষুধের ব্যবহার বিধি) অনুচ্ছেদ ২৪৫ হতে ২৬৩
22. The medicines (ওষুধ) অনুচ্ছেদ ২৬৪ হতে ২৭১
23. Administering the remedies (ওষুধ প্রয়োগ নীতি) অনুচ্ছেদ ২৭২ হতে ২৭৯
24. More on dosages and allied practices (মাত্রা ও অন্য সহায়ক প্রথার ব্যবহার) অনুচ্ছেদ ২৮০ হতে ২৯১

19/09/2023
20/03/2022

।।তুরস্কের একটি ফোক কবিতা।।
"তুমি বলো, তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো,
কিন্তু তার তলে তুমি ছাতা নিয়ে হাঁটো।
তুমি বলো, তুমি সূর্য ভালোবাসো,
কিন্তু রোদের দিনে তুমি ছায়া খোঁজো।
তুমি বলো, তুমি বাতাস ভালোবাসো,
কিন্তু যখন সে আসে তুমি জানালা বন্ধ করে দাও।
তাই আমি ভয় পাই
যখন তুমি বলো, তুমি আমাকে ভালোবাসো।"

কেউ যদি এখন হাতভর্তি গোলাপ এনেবলে ভালবাসি, ভালবাসি খুব!তুমি চাইলে এনে দিতে পারিআকাশের ওই মেঘমালা,রোদ্দুরপাড়ি দিতে পারি প...
07/03/2022

কেউ যদি এখন হাতভর্তি গোলাপ এনে
বলে ভালবাসি, ভালবাসি খুব!
তুমি চাইলে এনে দিতে পারি
আকাশের ওই মেঘমালা,রোদ্দুর
পাড়ি দিতে পারি প্রেমের সমুদ্দুর।
তুমি চাইলেই নদী হয়ে বয়ে যাব
পাড়ি দেব দূর্গম সব পর্বতমালা
তুমি কি আমার হবে সারাবেলা? [1]
কৈশোরে যদি এমন আকুতি আর আবেগমাখা ভালোবাসা নিয়ে কোনো কিশোরীর দুয়ারে কোনো কিশোরের আগামন ঘটে সেই মুহুর্তে তাকে ফিরিয়ে দেয়া অনেক কিশোরীর পক্ষেই আর সম্ভব হয় না। কৈশোরের কৌতুহল, নতুন হরমোনের স্রোতধারা, আর বাধ ভাঙ্গা আবেগের বাতাস তখন চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে। তখনই কিশোর কিশোরী এক অন্ধকার জগতে পা বাড়ায়। এর শেষ পরিনতি কি হবে তা তাদের জানা নাই..!
ব্যাপারটা শুধু যারা দ্বীন বুঝে না এমন পরিবারের সন্তানদের ক্ষেত্রে ঘটে না। এটা দ্বীন বুঝে এমন ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঘটে। অনেকে জানে প্রেম করা হারাম। তারা যা করছে সেটা ভুল, সেটা পাপ সেটা তারা বুঝে। কিন্তু নিজের মনের কাছে নিজের আবেগের কাছে হার মানে..!
শারিরিক চাহিদা মানবজীবনে খাবারের মতোই নিত্যপ্রয়োজনীয় একটা বিষয়। যদি বৈধ ভাবে ব্যবস্থা না করা হয় তখন অবৈধ পথে এসব করে বেড়াবে।- শুধু নীতি কথা বলে কিশোর কিশোরীর প্রেম বন্ধ করা যাবে এই উসুলে আমি বিশ্বাসী না। কারন ইসলাম বাস্তব সমস্যার সমাধান না দিয়ে শুধু নীতি বাক্য শুনিয়ে কোনো সমাধান দেয় নি। আপনি যদি লক্ষ করেন - ইসলামের বিয়ের গুরুত্ব অনেক। বিশেষ করে অভিভাবকদের এ ব্যাপারে খুবই গুরুত্বের সাথে নির্দেশ দেয়া হয়েছে..
“তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও "।(সুরা নুর -৩২)

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর কিশোরীদের মনে নতুন আবেগ জাগ্রত হবে। একজন সঙ্গীর জন্য মন আনচান করবে - এটা স্বাভাবিক । আদম আ: জান্নাতের সকল নেয়ামত পেয়েও কিছু একটা নাই ফিল করছিলেন, তার নিজেকে অপুর্ন মনে হচ্ছিলো।তার বাম পাজরের হাড় দিয়ে তার জন্য সঙ্গী তৈরি করে দেওয়া হলো।
একটু ভাবুন জান্নাতের সব নেয়ামত থাকার পরও যদি আদম আ: এর সঙ্গীর প্রয়োজন হয় তবে অভাবের এই পৃথিবীতে আমাদের এর প্রয়োজন অনেক বেশি। সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক শুধু শারিরিক ব্যাপারটা মোটেও এমন না।মানষিক প্রশান্তি দূর করার জন্যও সঙ্গী দরকার।
আল্লাহ মানুষের জন্য সঙ্গী বানিয়েছেন যাতে তারা পেতে পারে প্রশান্তি একে অপর থেকে পেতে পারে ভালোবাসা আর দয়ামায়া।
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা রুম : আয়াত ২১)
কৈশোর কালেই এ বিষয় গুলো খুব বেশি প্রয়োজন। কারন যৌবনেই সবচেয়ে বেশি শারিরিক চাহিদা থাকে, সবচেয়ে ভালোবাসতে ইচ্ছা হয়,ভালোবাসা পেতে ইচ্ছা হয়।
এই যৌবন কতক্ষন?? ১৫ বছর থেকে ৩০ বছর অর্থাৎ মাত্র ১৫ বছর থাকে যৌবনকাল। এই মুহুর্তে যদি আপনি নীতি কথা বলে তাদের পবিত্র থাকতে বলেন এটা কারো কারো পক্ষে মানা সম্ভব হলেও সবার জন্য মানা সম্ভব হবে না। মানুষ তখন লুকিয়ে লুকিয়েই অপরাধ করে যাবে।

আমাদের সমাজ এখন ছেলে মেয়ে ফ্রি মিক্সিং এর সমাজ।স্কুল কলেজ কোচিং সেটার গুলোতে ছেলে মেয়ে এক সাথেই পড়ে। এমনিতেই এই বয়সে বিপরিত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন তৈরি হয় তারপর যদি দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা ছেলে মেয়েদের এক রুমে রেখে আপনি তাদের প্রেম করতে নিষেধ করেন আপনার এই নিষেধ মানার জন্য কেউ থাকবে না।
প্রেম হলো এক প্রকার রোগ। অন্তরের রোগ। যখন মানুষ প্রেমে পড়ে তখন তার হৃদয় অন্ধ আর বধির হয়ে যায়। প্রেমের আরেকটা দিক হলো এটা মাদকের মতো কাজ করে।মানুষের মন মগজ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। তখন সে যদি জানেও সে ভুল করছে, তারপরও তার সেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ থাকেনা।এ কারণেই, অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে।
প্রেমের একমাত্র ঔষধ হলো বিয়ে। বিয়ে ছাড়া প্রেমাসক্ত থেকে মানুষকে মুক্ত করা সম্ভব না। তাই কিশোর কিশোরীর যখন প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের উচিত বাবা মায়ের বিয়ে দেওয়া। এটা অভিভাবকের দায়িত্ব। যদি তারা বিয়ে দিতে না চায় - তারপরও গুনাহ করার সুযোগ নেই। সন্তানের উচিত নিজ দায়িত্বে বিয়ে করে নেয়া। অন্যথায় নিজের গুনাহ তো হবেই পাশাপাশি বাবা-মাকেও গুনাহগার বানানো হবে।
ভাই আমার আপনি জানেন প্রেম করা হারাম, তারপর আপনি কেন প্রেম করছেন??
আমি জানি আপনি তাকে ভালোবাসেন।
কিন্তু আপনি কি চান আপনার এই ভালোবাসার মানুষটা জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক??আপনি কি চান? আপনার এই সস্তা আবেগের কারণে আপনার ভালবাসার মানুষটার বাবা মা যিনাকারী হিসেবে সাব্যস্ত হোক?
আপনি কি চান তাকে ভালোবাসার ফলে আপনাকে ভালোবাসে আপনার বাবা-মা ব্যভিচারকারী হিসেবে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হোক?
আপনি কি চান.. দুনিয়ায় এই দুই চার পাঁচ বছরের সুখ শান্তির জন্য আপনার চিরস্থায়ী জান্নাতের সুখ নষ্ট হোক??
ভাই আমার আপনি কি চান না, আপনার এই ভালোবাসার মানুষটাকে নিয়ে চিরস্থায়ী জান্নাতে যেতে? আপনি কি চান না আপনার এই ভালোবাসার মানুষটিই জান্নাতে সব হুরদের থেকে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় হোক?? আপনি কি চান না, আপনার এই ভালোবাসার মানুষটিকে জান্নাতে প্রথমবার দেখতে? যেখানে প্রথমবার দেখার পর পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকিয়ে 40 বছর কেটে যাবে?
তাহলে আপনি কেন হারাম জেনেও এই হারাম সম্পর্ককে টিকিয়ে রেখেছেন? আপনার সামনে দুইটা অপশন আছে?
১) আপনি তার পরিবারের সাথে কথা বলুন। তাদেরকে রাজি করুন। আপনার বাবা মায়ের সাথে কথা বলুন। এরপর পারিবারিক ভাবে বিয়ে করুন। যদি তারা রাজি না হয় তবে আপনারা নিজেরা গোপনে বিয়ে করে ফেলুন।
যদি এটাও সম্ভব না হয়
২)তাহলে ভালোবাসাকে চিরস্থায়ীভাবে বিদায় দিন। কখনোই এই কথা বলবেন না যে আমি জানি প্রেম করা হারাম কিন্তু... আমি তাকে ভালোবাসি।
আপনার এই ভালোবাসা মিথ্যা। বিয়ে ছাড়া আপনার এই ভালোবাসা ধোঁকা, প্রতারণা। আপনি ভালোবাসার জন্য যোগ্য কোন ব্যক্তি নয় । তাই মিথ্যা বলে নিজেকে এবং অন্যকে ধোঁকা দিবেন না। একটা কথা মনে রাখুন আপনার পাপের কারণে শুধু আপনি একা নন, আপনার বাবা-মা, আপনার প্রেমিকা, তার বাবা-মা, সবাই গুনাগার হবে। আপনি দুইটা পরিবারকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করছেন..! আপনি কিভাবে ভালবাসার দাবি করেন?
চোখ বন্ধ করে একটু ভাবুন তো আপনার সামনেই আপনার বাবা-মা আগুনে পুড়ে জ্বলছে? আপনার গুনার কারণে আপনি যাকে ভালবাসার দাবি করেন সেও আগুনে পুড়ছে, তার বাবা-মা ও আগুনে পুড়ছে? আপনি কি তা সহ্য করতে পারবেন?
এখন সিদ্ধান্ত নিন, এ হারাম সম্পর্কে কি হারাম রাখবেন? নাকি বিয়ে করে বৈধ করবেন?
[1] (প্রেম প্রস্তাব- নিগার সুলতানা রুমি)

লেখা: মো: হাসিবুর রহমান

✔ ইনশা-আল্লাহ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

26/02/2022

ভালোবাসলে কেন কাঁদতে হয়?

উহু! ভালোবাসলেই কাঁদতে হয় কে বলেছে?
চারদিকে ভালোবাসার ছড়াছড়ি! কই চারদিকে সবাই কি কাঁদে?
নাহ! সবাই কাঁদে না! শুধু তারাই কাঁদে যারা সত্যিকারের ভালোবেসেছে!

তাই বলি কি, "কাউকে ভালোবাসার পূর্বে সারাজীবন কাঁদতে পারার মতো মানসিক শক্তি না থাকলে ভালোবাসতে যাবেনা না!

নাহয় এভাবেই কাঁদতে হবে!🙂

বিধ্বংসী ন্যাড়ীবাদ!||  এক ডিভোর্সি বোনের খোলাচিঠি   || জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভু...
20/02/2022

বিধ্বংসী ন্যাড়ীবাদ!

|| এক ডিভোর্সি বোনের খোলাচিঠি ||

জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।

আমি তেত্রিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের সম্মতিতে। সংসারও টিকে ছিল অনেকগুলো বছর। আমাদের একটা মেয়েও আছে, ওর বয়স ৮ বছর।

আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু বদমেজাজি। অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ রাগের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।

সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার মেজো বোন তো রীতিমত অপমান করত!

আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”

নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।

ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।

একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!

এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।

আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।

আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।

ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।

ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?

আমার ভাইবোন আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।

কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।

এর পরের কয়েক বছর ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!

আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।

এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো। ভাই মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।

প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তুলে নিতে বলা আমার পক্ষে অসম্ভব! ওর কাছে ছোট হওয়া আমি মানতেই পারি নি।

কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ও আমার আকাশছোঁয়া সমস্ত দাবি মেনে নিলো। আমাদের মেয়েকে আমি পেয়ে গেলাম। ভরণপোষণ, মাসিক খরচ, ওর সম্পত্তি সব! বিনিময়ে ও পেলো শুধু ডিভোর্স।

আমাদের ডিভোর্স হয়েছে আজ সাড়ে তিন বছর।

ও আবারও বিয়ে করেছে। দুই ছেলের বাবা হয়েছে। সুখেই আছে বোঝা যায়। আসলে ওর মতো নির্ঝঞ্ঝাট স্বামীকে নিয়ে মেয়েরা হয়তো সুখেই থাকবে।

এখন আমার নিজের কথা ভেবে আফসোস হয়। মানুষের মুখের কথা কখনো কখনো ছুরির চেয়েও ধারালো হতে পারে। ও আমাকে একবার থাপ্পড় মেরেছিল ঠিকই, কিন্তু আমি কথার তীরে ওকে ছিন্নবিছিন্ন করে ফেলতাম। শারীরিক নির্যাতন করি নি সত্যি, কিন্তু মানসিকভাবে কষ্ট দিতাম। এসব কথা আমার ভাইবোনকে কখনোই বলা হয় নি। নিজের দোষের কথা মানুষ কতটাই বা বলে!

মাঝে মাঝে ভাবি, ইশ, আমার পরিবার যদি একটু নিজে থেকে বুঝে আমাকে সংসার করার উপদেশ দিতো। যখন আমি ওর কাছে ফিরে যেতে চাইতাম, তখন ওর খারাপটা না বলে যদি একটু ভালো দিকগুলোর কথা মনে করাতো! আমি যদি নিজের জিদ নিয়ে পড়ে না থেকে, একটু ওর কাছে নত হতাম! তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতো না।

আজ আমার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব সবার নিজেদের সংসার আছে। কিন্তু তেত্রিশ বছর ডিভোর্সিকে সন্তান সহ মেনে নেয়ার মতো কোনো ভালোমানুষ নেই।

নিজের হাতে আমি নিজের সংসারটা ধ্বংস করেছি।

তাই আজ বলতে চাই, মেয়েরা, তোমরা আমার মতো ভুল কোরো না। কার থেকে উপদেশ নিচ্ছো একটু ভেবে নিও। সংসারের সব কথা সবাইকে বলতে নেই, আর মানুষের সব কথা শুনতে নেই। কেউ জানেনা চার দেয়ালের ভেতর আসলেই কী হয়েছিল। মানুষের নজরে নিজের স্বামীকে ছোট করতে গিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরো না। জিদ করতে গিয়ে নিজের ভুলের উপর পড়ে থেকো না। পস্তাবে তুমিই, আর কেউ না।

Collected post

ছেড়ে যাওয়ার যুগে সবার একটাথেকে যাওয়ার মানুষ হোক!এ যুগে ছেড়ে যাওয়া খুবই সহজ! ভালোবাসার মানুষটাকে জরিয়ে ধরে সারাজীবন একসাথ...
17/02/2022

ছেড়ে যাওয়ার যুগে সবার একটা
থেকে যাওয়ার মানুষ হোক!

এ যুগে ছেড়ে যাওয়া খুবই সহজ! ভালোবাসার মানুষটাকে জরিয়ে ধরে সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করা মানুষ টা ও ছেড়ে যায়!
আবার কখনো কখনো দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী'র পরম ভালোবাসার এক পবিত্র নিদর্শন একজনের জন্ম দেয়া আরেকজনের গর্ভে ধারণ করা শিশুকে ফেলেও অন্যের হাত ধরে চলে যায়, আর ছেড়ে যায় স্বামী সন্তানকে!

এ সমাজে ছেড়ে যাওয়ার গল্পগুলো কেমন যেনো স্বাভাবিক হয়ে উঠছে!
থেকে গেলে কি এমন হয়? 🙂

✒️ রাসেল মাহমুদ

16/02/2022

তোমার সাদাসিদে ভাবে বদলে যাওয়াটাকে আমি স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলাম। তুমি বদলে গেলে তোমার জিদের বশে, আর আমি বদলালাম বাধ্য হয়ে।

তুমি বেশ সহজ ভাবেই সব বলে ফেললে। সহজ ভাবে কোনো কথা বলে ফেলা যতটা সহজ, গ্রহন করাটা তার চেয়ে দ্বিগুন পরিমানের কঠিন। অতএব, ব্যস্তনুপাতিক সম্পর্ক। পৃথিবীর বেশ কিছু জটিল সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি একটি।

তোমার মতে আমি মানুষ না, নিকোটিনের ধোঁয়া। তাই মানুষ হতে পেরেছি কি না জানিনা। যদি না হই, তবে না-মানুষ। মানুষ এবং না-মানুষের সঙ্গায়ন আমার জানা নেই। ঠিক কোন সময়ে মানুষ 'মানুষ' হয়ে ওঠে, জানাটা জরুরি। ততদিন না হয় সব অন্তরালে থাক।।

কথাঃ-তানভীর আহমেদ আছিফ

© Last Chapter - শেষ অধ্যায়
14/02/2022

© Last Chapter - শেষ অধ্যায়

Address

Chandpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রাসেল মাহমুদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category