Dr.Mazharul Islam Rubel, Medicine Specialist

Dr.Mazharul Islam Rubel, Medicine Specialist সুস্থ্য থাকুন,নিরাপদ থাকুন।

Family / fatherhood & medicine- two roles I cherish! Just taking a short break.Dear patients,Please be informed that my ...
02/02/2025

Family / fatherhood & medicine- two roles I cherish!

Just taking a short break.

Dear patients,

Please be informed that my weekly chamber of this Friday (07/02/2025), both “Fatema Lab and Consultation” , Shahrasti and “Bismillah Hospital” , Hajigonj, Chandpur, will remain closed.

Sincerely apologize for any inconvenience.

Friday vibes!Starting with care, compassion and commitment.Always here for my patient.The art of the Medicine lies in li...
10/01/2025

Friday vibes!
Starting with care, compassion and commitment.

Always here for my patient.

The art of the Medicine lies in listening the patients, understanding their needs, understanding the story behind every symptoms and crafting a path toward healing.

08/07/2024

ডেঙ্গু হলে বেশী পরিমাণ তরল খাবার যেমন পানি, সরবত, খাওয়ার স্যালাইন ইত্যাদি খেতে হয়। এক্ষেত্রে ডাবের পানি অত্যাবশ্যক কিছু নয়।
অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে ও জনস্বার্থে এটি প্রচার করা জরুরী।

ভয়ঙ্কর বিষাক্ত প্রাণঘাতী পটকা মাছ——————————————————-মুখের মধ্যে ফু দিলে ফুটবলের মত ফোলে ওঠে-পটকা মাছ নিয়ে ছোটবেলায় এমন স...
20/06/2024

ভয়ঙ্কর বিষাক্ত প্রাণঘাতী পটকা মাছ
——————————————————-

মুখের মধ্যে ফু দিলে ফুটবলের মত ফোলে ওঠে-পটকা মাছ নিয়ে ছোটবেলায় এমন স্মৃতি নেই, গ্রামে বড় হওয়া এরকম মানুষ কমই পাওয়া যাবে।

Puffer Fish বা পটকা মাছ আমাদের সবার অতি পরিচিত একটি মাছ হলেও এর বিষক্রিয়ার বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই অজ্ঞ। আর এ অজ্ঞতা থেকেই ঘটে বিপত্তি।

বর্ষাকালে খাল বিলের পানিতে ভেসে থাকা এ মাছটি প্রায়শঃই ধরা পড়ে জেলেদের জালে।

প্রতিকূল পরিবেশে পানি বা বাতাস খেয়ে এরা নিজেদের পেট ফুলিয়ে রাখতে সক্ষম।

পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় একশ এর বেশী Puffer Fish বা পটকা মাছ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে প্রায় বিশ প্রজাতির পটকা মাছ পাওয়া যায়। তার মধ্যে দুইটি প্রজাতি পাওয়া যায় মিঠা পানিতে। আর বাকীগুলো সামুদ্রিক।

জাপানে এ Puffer Fish ফুগো নামে পরিচিত।

সকল প্রজাতির পটকা মাছই টেট্রাডোটক্সিন (TTX) বিষ বহন করে। মাছের যতৃত ও ডিম্বাশয়ে এ বিষের আধিক্য থাকে এবং মাংসাশী অংশে তুলনামূলক কম থাকে।

এ বিষের কোনো প্রতিষেধক নেই।

TTX বা টেট্রাডোটক্সিন এক ধরনের নিউরোটক্সিন অর্থাৎ এটি স্নায়ু সিস্টেম কে আক্রান্ত ও বিকল করে।

সাধারণত পটকা মাছ খাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই এর বিষক্রিয় শুরু হয়। তবে কখনো কখনো বিষের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে ক্ষেত্র বিশেষ ৪ ঘন্টা পর্যন্ত দেরী হতে পারে, যেমন কেউ যদি মাছের যকৃত এবং ডিম্বাশয় না খেয়ে শুধু মাংসাশী অংশ খায়।

বিষক্রিয়ার প্রথমদিকে মুখের চারদিক এবং জিহবায় অসাড়তা শুরু হয় এবং পরবর্তিতে-

• বমি, বমিভাব
• ⁠মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরানো
• ⁠পেট ব্যাথা
• ⁠ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।

পরের পর্যায়ে,

• চরম দূর্বলতা অনুভব করা
• ⁠হাঁটতে না পারা
• ⁠বসে থাকতে কস্ট হওয়া
• ⁠ধীরে ধীরে সারা শরীর প্যারালাইজড হয়ে পড়া ইত্যাদি হয়।

এবং সবশেষে

• শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া (Respiratory Paralysis)
• ⁠মৃত্যু, যা বিষের আধিক্যের ক্ষেত্রে সাধারণত ৪-৬ ঘন্টার মধ্যে হওয়া সম্ভব।

আক্রান্তদের ক্ষেত্রে চিকীৎসার সফলতা সন্তোশজনক নয়। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক বা Antidote নাই।

অতএব সাবধান, ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এ পটকা মাছ হতে দূরে থাকুন।কৌতুহল বসতও এ মাছ খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।

ডাঃ এ.এন.এম. মাজহারুল ইসলাম (রুবেল)
এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন)
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

17/06/2024

আত্মবিসর্জনের মহিমায় উজ্জ্বল হউক সবার জীবন।
ঈদ মুবারক

দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার ভয়াবহতা—————————————————————---------এসিডিটি সমস্যার সাথে প্রতিটি মানুষই কম বেশি প...
14/06/2024

দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার ভয়াবহতা
—————————————————————---------

এসিডিটি সমস্যার সাথে প্রতিটি মানুষই কম বেশি
পরিচিত। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ জীবনে কোনোদিন সেবন
করেন নি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ।

এসিডিটি প্রশমনের জন্য চিকিৎসকগন বিভিন্ন ধরনের
Proton Pump Inhibitor ( PPI ) জাতীয় ঔষধ যেমন
ওমিপ্রাজল, পেন্টোপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল ইত্যাদি সেবনের
পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

অনেকেই চিকীৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকেই দু’বেলা
খাবারের পূর্বে এ জাতীয় ঔষধ সেবন দীর্ঘ দিনের অভ্যাসে পরিণত করেছেন।

কিন্তু আপনি জানেন কি, দীর্ঘ দিন এ ধরনের ঔষধ
সেবনে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে!

আসুন জেনে নেয়া যাক, দীর্ঘ মেয়াদে Proton Pump Inhibitor (PPI) / গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবনে কি কি
জটিলতা হতে পারে।

জটিলতাসমূহঃ

১। Anaemia বা রক্ত স্বল্পতাঃ

i) Iron Deficiency Anaemia বা আয়রণের অভাব
জনিত রক্ত স্বল্পতা।

ii) Vitamin B12 Deficiency Anaemia বা ভিটামিন
বি ১২ এর অভাব জনিত রক্ত স্বল্পতা।

গ্যাস্ট্রিক এসিড আয়রণ ও ভিটামিন বি ১২ এর ভারসাম্য রক্ষায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে-

• আমরা যে খাদ্য খাই সে খাদ্য হতে আয়রণ ও ভিটামিন বি ১২ কে মুক্ত করে আনা।

• আয়রণকে অন্ত্রে ফেরিক ( Fe3+) ফর্মের পরিবর্তে
শোষনের ( Absorption ) উপযুক্ত ফেরাস ( Fe2+ )
ফর্মে রাখতে সাহায্য করা ।

দীর্ঘ মেয়াদে PPI জাতীয় ঔষধ সেবনের কারনে এ দুটি
গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যহত হয় এবং আয়রণ ও ভিটামিন বি

১২ এর অভাব জনিত রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। এতে
রোগীর -

দূর্বলতা,

সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়া,

হার্ট ফেইলিউর এর কারনে শ্বাঁসকস্ট হওয়া

ইত্যাদি সমস্যা অনুভূত হতে পারে।

এছাড়াও ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে রোগীর
Dementia বা স্মৃতিভ্রংশ এবং স্নায়ুবিক বিকলতা দেখা
দিতে পারে।

২। Hypomagnesemia বা রক্তে ম্যাগনিশয়ামের
ঘাটতি এবং এর ফলে-

• মাংশপেশীতে ব্যাথা

• ⁠মাংশপেশীতে ঝাঁকুনি অনুভব হওয়া

• ⁠স্নায়ুবিক সমস্যা ও খিঁচুনী

• ⁠হাই ব্লাড প্রেসার

• ⁠হটাৎ হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়া ( Sudden Cardiac Arrest ) ইত্যাদি।

৩। Osteoporosis বা হাড় ক্ষয় হওয়া এবং এর প্রেক্ষিতে সামান্য আঘাতে হাড় ভেঙ্গে যাওয়া।

৪। অন্ত্রে বিভিন্ন ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে, যেমন-

• Salmonella

• ⁠Campylobacter jejuni

• ⁠Clostridium difficile ইত্যাদি।

যার ফলে সাধারণ ডায়রিয়া হতে শুরু করে অন্ত্রের
জীবনঘাতি Damage অর্থাৎ Bloody Diarrhoea হতে
পারে।

৫। Small bowel bacterial overgrowth বা ক্ষুদ্রান্ত্রে
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া যেমন-

• E. Coli

• Aeromonas

• Klebsiella ইত্যাদি

সংক্রমন ও বংশবৃদ্ধি বেড়ে যাওয়া। এর ফলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো অনুভূত হতে পারে-

• রুচিহীন ও ক্ষধামন্দা

• ⁠বমিভাব

• ⁠পেটে ব্যাথা

• ⁠পেট ফাঁপা ( Bloating ) হয়ে থাকা

• ⁠রুচিহীন অবস্থায় সামান্য পরিমান খেলেও পেট ফুলে
থাকার মত অস্বস্তিকর অনুভূতি ( Uncomfortable
feeling of fullness after eating )

• ⁠ওজন কমে যাওয়া

৬। ঔষধটির কারণে পাকস্থলির অম্লিয় পরিবেশ বদলে
যায় এবং ক্ষতিকর H.Pylori ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরি হয়।

৭। ক্যান্সারঃ গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবনকারীদের Gastric Cancer
হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৮। Interstitial Nephritis অর্থাৎ কিডনি বিকল হতে পারে।

অতএব উপরোল্লিখিত জটিলতাসমূহ হতে মুক্ত থাকতে
মুড়ির মত নিজের ইচ্ছা মাফিক দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবন হতে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শমত ঔষধ সেবন করুন।

ডাঃ এ.এন.এম. মাজহারুল ইসলাম ( রুবেল )
এমবিবিএস, এফসিপিএস ( মেডিসিন )
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

Latest update of Chamber Schedule ———————————————————-ডাঃ এ.এন.এম. মাজহারুল ইসলাম ( রুবেল)এমবিবিএস ,বিসিএস (স্বাস্থ্য )এ...
03/05/2024

Latest update of Chamber Schedule
———————————————————-

ডাঃ এ.এন.এম. মাজহারুল ইসলাম ( রুবেল)
এমবিবিএস ,বিসিএস (স্বাস্থ্য )
এফসিপিএস ( কার্ডিওলজী-থিসিস পার্ট )
এফসিপিএস ( মেডিসিন )
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কার্ডিওলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ,ঢাকা।

পরিবর্তিত সূচী অনুশারে প্রতি শুক্রবার শাহরাস্তি,হাজীগঞ্জে নিয়মিত রোগী দেখেন-

শাহরাস্তি,চাঁদপুর চেম্বার
——————————
ফাতেমা ল্যাব এন্ড কনসালটেশন
কালিবাড়ী,শাহরাস্তি,চাঁদপুর।
প্রতি শুক্রবার - সকাল ৮ঃ৩০ হতে বেলা ১১ঃ৩০ পর্যন্ত।

হাজীগঞ্জ,চাঁদপুর চেম্বার
——————————
বিসমিল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল
বড়পুলের পশ্চিম পাড়,হাজীগঞ্জ,চাঁদপুর।
প্রতি শুক্রবার- দুপুর ১২ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত।

গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন,সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
23/04/2024

গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন,সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন
-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

তীব্র গরমে অসুস্থতা ও করণীয়
—————————————

অস্বভাবিক গরম স্বাভাবিক জীবনে ফেলছে বিরুপ প্রভাব ।অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনজীবন।অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।ডায়রিয়ার প্রকোপ,জীবানু সংক্রমন,এলার্জি সমস্যা ইত্যাদিসহ অত্যধিক তাপজনিত অসুস্থতায় হাঁপিয়ে ওঠছে জনজীবন।

অত্যধিক গরমজনিত অসুস্থতা মূলত দুই ভাগে বিভক্ত -

১। Non-Exertional Heat Illness:

যখন পরিবেশের তাপমাত্রা বেশী থাকে।এক্ষেত্রে বৃদ্ধ,শিশু,জীবনঘাতি রোগাক্রান্ত ব্যাক্তি,অ্যালকোহলে পান,হার্ট ফেইলর বা অন্য কোন কারণে ডাইরেটিক জাতীয় ঔষধ সেবনকারী রা বেশী ঝুঁকিপূর্ণ।

২।Exertional Heat Illness-

যখন শরীরের তাপ উৎপাদন লসের তুলনায় বেশী হয়।যেমন এথলেটদের ক্ষেত্রে।

Heat Cramps ও Heat Syncope বলতে কি বুঝি?

Heat Cramps :

• প্রচন্ড গরমে শরীর বা মাংসপেশীতে তীব্র ব্যাথা হয়।একে Heat Cramps বলে।

• অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায়/পরিবেশে অত্যধিক ব্যায়াম এবং ফলশ্রুতিতে প্রচুর ঘামালে Heat Cramps এর সমস্যা তীব্র হয়। এক্ষেত্রে লবন ছাড়া শুধু পানি পান করলে অসুস্থতা আরো বেড়ে যেতে পারে।

• নরমাল পানির পরিবর্তে খাওয়ার স্যালাইনযুক্ত পানি পান করা বা চিকীৎসকের পরামর্শে শিরায় স্যালাইন দিলে এ জাতীয় সমস্যা প্রশমিত হয়।

Heat Syncope :

অত্যধিক গরমে পেরিফেরাল রক্তনালীসমূহের প্রসারণের কারনে ব্রেইনের রক্ত সঞ্চালণ সাময়িকভাবে কমে যায় এবং রোগী মূর্ছাপ্রবণ হয়ে পড়ে ।একে Heat Syncope বলে।

Heat Exhaustion কি?

•এক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা ৩৭-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৯৮.৬-১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত আসতে পারে।

•বেশী সময় ধরে অতিরিক্ত গরম পরিবেশে অবস্থান

•প্রচুর ঘামানো

•অপর্যাপ্ত লবনযুক্ত পানি পান করা

ইত্যাদি কারনে Heat Exhaustion হয়ে থাকে।

• ব্লাড এনালাইসিস করলে হিমাটোক্রিট,ইউরিয়া,সোডিয়াম ইত্যাদি বাড়বে এবং প্লাজমা ভলিউম কমবে।

• দ্রুত চিকীৎসা না নিলে Heat Stroke এ টার্ণ করতে পারে।

Heat Stroke এর উপসর্গসমূহ কি কি?

•Heat Stroke একটি জীবনঘাতি পরিস্থিতি ।এক্ষেত্রে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ৪০ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশী হয়।

• উপসর্গসমূহ-

মাথাব্যাথা

বমিভাব বা বমি

মাংসপেশীর কম্পন

কনফিউশান

আক্রমনাত্মক হওয়া

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

শরীর শুকনো বা ঘামহীন হয়ে পড়া

জটিলতা,যেমন -হাইপোভলেমিক শক,কিডনী ফেইলর,লিভার ফেইলর,ডিআইসি,ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস,রেবডোমায়োলাইসিস,ফুসফুস ও ব্রেইনে পানি জমা (Oedema)।

করণীয়ঃ

১। অতিরিক্ত গরমে জরুরী প্রয়োজন ব্যাতীত বাইরে বের না হওয়া।একান্তই বের হলে ছাতা,সানগ্লাস ব্যাবহার করা।

২।প্রচুর পানি,বিশেষ করে লবনযুক্ত পানি যেমন খাওয়ার স্যালাইন, ডাবের পানি,লেবুর সরবত ইত্যাদি পান করা।

৩।অত্যধিক কায়িক পরিশ্রম পরিহার করা।

৪।প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত ব্যায়াম না করা।

৫। ব্যায়ামের সময় অবশ্যই লবনযুক্ত পানি বেশী পান করা।

৬।ধুমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা।

৭।অতিরিক্ত চা,কফি পান করা থেকে বিরত থাকা।

৮।পাতলা ও আরামদায়ক সুতি কাপড় পরিধান করা।

৯।Heat Exhaustion এবং Heat Stroke সন্দেহ হলে দ্রুত সমগ্র শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দেয়া,আইস প্যাক ব্যাবহার করা এবং সম্ভব হলে শিরায় স্যালাইন দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে প্রেরণ করা।

১০।শিশু,বৃদ্ধ ও গর্ভবতীদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া।

১১।দৈনিক কয়েকবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করা।

ডাঃ এ. এন. এম. মাজহারুল ইসলাম রুবেল
এমবিবিএস,এফসিপিএস(মেডিসিন)
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কার্ডিওলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,ঢাকা।

মাইগ্রেন ও টেনশন মাথা ব্যাথা- উপসর্গ ও করণীয়—————————————————————জীবনে কোনোদিন মাথাব্যাথা হয়নি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দ...
17/04/2024

মাইগ্রেন ও টেনশন মাথা ব্যাথা- উপসর্গ ও করণীয়
—————————————————————

জীবনে কোনোদিন মাথাব্যাথা হয়নি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মাথাব্যাথা একটি কমন স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এর বেশিরভাগই জটিলতাহীন বা অত্যধিক ক্ষতিকর নয় এমন। এগুলোকে Primary Headache বলা হয়।

Secondary Headache সমূহ সাধারণত মাথা ও ঘাড়ের সমস্যা যেমন টিউমার, আঘাত, ইনফেকশন, প্রদাহ, স্ট্রোক, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদির কারনে হয়। এ জাতীয় মাথাব্যাথাসমূহ জটিলতাপূর্ণ এবং জীবনঘাতি হয়ে থাকে।

Migraine (মাইগ্রেন) ও Tension type Headache ( টেনশন হেডেক) Primary Headache এর অন্তর্ভূক্ত।

১) Tension type Headache :
——————————————

• সবচেয়ে কমন মাথাব্যাথা হচ্ছে এটি।

• মাথার ওপরি অংশে চাপ, কখনো মাথার চারপাশে ব্যান্ড / বন্ধনী দিয়ে টাইট করে বেঁধে রাখার মত অনুভূতি হয়।

• ⁠ব্যাথা এক নাগাড়ে চলতে থাকে এবং সমগ্র মাথা জুড়ে হয়।

• ⁠কখনো কখনো এ জাতীয় মাথা ব্যাথা কোনো বিরতি ছাড়া কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে, যদিও বিভিন্ন সময়ে এর তীব্রতার তারতম্য হতে পারে।

• ⁠মাইগ্রেন মাথা ব্যাথার মত বমি / বমিভাব, Photophobia বা আলোর সংস্পর্শে অস্বস্তি/ ব্যাথা অনুভব ইত্যাদি হয় না।

• ⁠দৈনন্দিন কর্মে নিয়োজিত অবস্থায় থাকলে ব্যাথা কম অনুভূত হয়।

• ⁠সকালে ব্যাথা কম থাকে এবং দিন যত গড়ায় ব্যাথা তত বাড়তে থাকে।

কারণঃ
———

প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও নিম্নবর্ণিত কিছু উত্তেজক এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়-

• ⁠অতি আবেগ

• ⁠দুশ্চিন্তা

• ⁠অবসাদগ্রস্ততা/ বিষন্নতা

• ⁠অপর্যাপ্ত ঘুম

করণীয়ঃ
———-

• আবেগ, দুশ্চিন্তা পরিহার করা।

• ⁠পর্যাপ্ত ঘুমানো।

• ⁠সাধারণ ব্যাথানাশক ঔষধ সেবন।

• ⁠চিকীৎসকের পরামর্শ অনুশারে প্রয়োজনে অবসাদ দূরীকরণের ঔষধ সেবন।

• ⁠Physiotherapy.

• ⁠Reassurance / আশ্বস্তকরণ।

২) Migraine Headache / মাইগ্রেন মাথাব্যাথাঃ
—————————————————————

• দ্বিতীয় কমন Headache হচ্ছে মাইগ্রেন হেডেক।

• ⁠পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশী আক্রান্ত হয়। ২০% মহিলা এবং ৬% পুরুষ জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে মাইগ্রেন মাথা ব্যাথায় ভোগে।

• ⁠রোগীদের মধ্য বয়সের পূর্বেই এ জাতীয় মাথা ব্যাথার আবির্ভাব ঘটে।

• ⁠টেনশন হেডেকের তুলনায় ব্যাথার তীব্রতা বেশী থাকে।

• ⁠সাধারণত মাথার এক পাশে অথবা কানের ওপরে দুই পাশে মৃদু কম্পন সহ ব্যাথা বা টনটন করে ব্যাথা হয়।

• ⁠ব্যাথা সাধারণত ৪ ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

• ⁠ব্যাথার সাথে বমি / বমিভাব, Photophobia ( আলোক অসহিষ্ণুতা ), Phonophobia ( শব্দ অসহিষ্ণুতা ) ইত্যাদি থাকতে পারে।

• ⁠নড়াচড়া করলে এ ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায়।

• ⁠মাইগ্রেন রোগীরা আলো ও শব্দহীন অন্ধকার কক্ষে একাকী থাকতে পছন্দ করে। পক্ষান্তরে টেনশন হেডেকের রোগীরা কোলাহল পূর্ণ পরিবেশ কিংবা কাজে নিয়োজিত থাকলে ব্যাথা কম অনুভব করে বিধায় সেভাবেই থাকতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

• ⁠২০% রোগীর ক্ষেত্রে চোখের সামনে তারা জ্বলজ্বল করে, পর্দার মত পড়ে এবং দৃষ্টি এলাকার ( Visual field ) ঐ অংশে কোন কিছু না দেখা ( Visual Aura ) , যা ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

• ⁠আবার কোনো কোনো রোগীর শরীরের কোনো অংশে অসাড়তা / অবসতা ( Tingling and numbness ) পরিলক্ষিত হতে পারে যা ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরের এক অংশ হতে অন্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে ( Sensory Aura )।

• ⁠কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর স্ট্রেস সময় পার হওয়ার পর যেমন- সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস সন্ধ্যায় অথবা ছুটির দিনের শুরুতে মাথা ব্যাথা শুরু হয়।

সতর্কীকরণ পূর্বলক্ষণ (Prodromal Symptoms ):——————————————————————

কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মাইগ্রেন মাথা ব্যাথা শুরুর পূর্বলক্ষণ হিসেবে নিম্নলিখিত আচরণগত পরিবর্তন বা সমস্যা দেখা দিতে পারে-

• অযথা ক্ষেপে যাওয়া এবং দূর্ব্যবহার করা।

• ⁠মেজাজ পূর্বের তুলনায় বেশী খিটখিটে হওয়া।

• ⁠স্বাচ্ছন্দহীনতা।

• ⁠অস্থিরতা ইত্যাদি ।

পূর্বলক্ষণসমূহ সাধারণত কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়।

কারো কারো ক্ষেত্রে এসব পূর্বলক্ষণ না ও থাকতে পারে, অর্থাৎ মাইগ্রেনের এসব রোগীর সতর্কীকরণ পূর্বলক্ষণ ছাড়াই মাথা ব্যাথা শুরু হতে পারে।

কারণঃ
———

প্রকৃত কারন অজানা । তবে নিম্নলিখিত কিছু ফ্যাক্টর এর সাথে সম্পর্কিত-

• বংশগত / জেনেটিক

• ⁠হরমোনের প্রভাব-

- নারীদের পিরিয়ড চলাকালীন নির্দিষ্ট সময়ে মাইগ্রেন ব্যাথা শুরু হতে পারে।

- মাইগ্রেনে আক্রান্তদের মধ্যে যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেয়ে থাকেন তাদের মাইগ্রেন ব্যাথার প্রকোপ বেশী থাকে এবং এদের মধ্যে যাঁদের Aura উপসর্গ দেখা দেয় তাদের স্ট্রোক এর ঝুঁকি খানিকটা বেড়ে যায়।

• খাদ্যাভ্যাস - চকোলেট, পনির, মদ্যপান ইত্যাদি মাইগ্রেনের উত্তেজক।

• ব্রেইনের অস্বাভাবিক কার্যক্রম

• ⁠পরিবেশগত- হটাৎ গরম থেকে ঠান্ডা অথবা ঠান্ডা থেকে গরম পরিবেশে গেলে মাইগ্রেন ব্যাথা শুরু হতে পারে।

• ⁠কিছু শারীরিক কারণ

• ⁠অভ্যাসগত- মাইগ্রেন রোগীদের মধ্যে যাঁদের অধিক সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকা কিংবা কথা বলার অভ্যাস রয়েছে তাদের মাথা ব্যাথার ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা বেশী হয়।

করণীয়ঃ
———-

i) Avoidance বা পরিহারঃ

• চকোলেট, পনির, মদ্যপান ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।

• ⁠জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন হতে বিরত থাকা।

• ⁠মোবাইল ফোনে বেশী সময় ব্যস্ত না থাকা বা বেশী সময় ধরে কথা না বলা।

• ⁠অতিরিক্ত বেশী বা কম আলো পরিহার করে চলা।

• ⁠অতিরিক্ত কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ / স্থান ত্যাগ করা।

• ⁠তীব্র ঠান্ডা বা অতিরিক্ত রোদে না যাওয়া ।

• রাত জাগা পরিহার করা ।

ii) Alertness বা সতর্কতাঃ

সতর্কীকরণ পূর্বলক্ষণ দেখা দিলে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং সাধারণ ব্যাথানাশক ঔষধ প্রস্তুত রাখা।

iii) Acute Attack হলে সাধারণ ব্যাথানাশক ঔষধ এবং বমি কমানোর ঔষধ সেবন করা।

iv) Severe Attack বা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকীৎসক ট্রিপটেন জাতীয় ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এখানে মনে রাখতে হবে, ব্যাথানাশক ঔষধ ও ট্রিপটেন জাতীয় ঔষধ মাত্রাতিরিক্ত সেবনের ফলে মাথা ব্যাথা কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। একে Medication Overuse Headache বলে।

v) Preventive Treatment বা প্রতিরোধমূলক চিকীৎসাঃ

যাঁদের মাসে ৩-৪ বারের বেশী মাইগ্রেন এটাক হয় তাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকীৎসক নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে এটাক বা আক্রান্তের হার কমে আসে।

ডাঃ এ. এন. এম. মাজহারুল ইসলাম রুবেল
এমবিবিএস , এফসিপিএস ( মেডিসিন )
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কার্ডিওলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল , ঢাকা ।

Updated Chamber Schedule ———————————————ডাঃ এ.এন.এম. মাজহারুল ইসলাম ( রুবেল)এমবিবিএস ,বিসিএস (স্বাস্থ্য )এফসিপিএস ( কার্...
07/09/2023

Updated Chamber Schedule
———————————————

ডাঃ এ.এন.এম. মাজহারুল ইসলাম ( রুবেল)
এমবিবিএস ,বিসিএস (স্বাস্থ্য )
এফসিপিএস ( কার্ডিওলজী-থিসিস পার্ট )
এফসিপিএস ( মেডিসিন )
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কার্ডিওলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ,ঢাকা।

পরিবর্তিত সূচী (প্রতি সোম,বৃহস্পতি ও শুক্রবার শাহরাস্তি,হাজীগঞ্জে ) অনুশারে নিয়মিত রোগী দেখেন-

শাহরাস্তি,চাঁদপুর চেম্বার
——————————
ফাতেমা ল্যাব এন্ড কনসালটেশন
কালিবাড়ী,শাহরাস্তি,চাঁদপুর।
প্রতি বৃহঃবার - বিকাল ৪.৩০ হতে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত।

হাজীগঞ্জ,চাঁদপুর চেম্বার
——————————
বিসমিল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল
বড়পুলের পশ্চিম পাড়,হাজীগঞ্জ,চাঁদপুর।
প্রতি শুক্রবার- সকাল ৯ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা এবং
সোমবার বিকাল হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত।

13/06/2023

Address

Chandpur
Chittagong

Telephone

+8801712734275

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Mazharul Islam Rubel, Medicine Specialist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Mazharul Islam Rubel, Medicine Specialist:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram