Dr.Enamul Kabir Tanvir

Dr.Enamul Kabir Tanvir Dr. Enamul Kabir Tanvir
MBBS(CU)
Diploma(Emergency Medicine,UK)
MSc (Clinical & Counseling Psychology,©)

In Charge (ER) & Jr.

Consultant
Parkview Hospital, Chittagong
মেডিসিন,ডায়াবেটিস,যৌন সমস্যা,বাত-ব্যাথা,মনরোগ-
কাউন্সেলিং ও নিউরো–সাইকোলজিকাল ডিজঅর্ডার Medicine,Diabetes,Pain,Skin,Gastroenterology

28/10/2025

কানের ভিতর ময়লা জমা:

👇🦻 ইমপ্যাকটেড ইয়ার ওয়াক্স (Impacted Ear Wax) — কান বন্ধ হওয়ার সাধারণ কারণ
👉 ইমপ্যাকটেড ইয়ার ওয়াক্স কী:
কানের ভেতরে স্বাভাবিকভাবে উৎপন্ন মোমজাতীয় পদার্থকে ইয়ার ওয়াক্স (Ear Wax / Cerumen) বলা হয়। এটি কানকে ধুলা, ব্যাকটেরিয়া ও পানি থেকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু কখনও কখনও এই ওয়াক্স বেশি পরিমাণে জমে শক্ত হয়ে যায় এবং কানের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় — একে ইমপ্যাকটেড ইয়ার ওয়াক্স বলা হয়।

⚠️ ক্লিনিক্যাল ফিচারস (উপসর্গ):
👂 কানে ভারি বা বন্ধ লাগা অনুভূতি
🔊 শ্রবণশক্তি হ্রাস (hearing loss)
📢 নিজের কণ্ঠস্বর বেশি জোরে শোনা (autophony)
🔄 মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো
🔔 কানে শু শু করা/বাজা (tinnitus)
😣 কানের ব্যথা বা অস্বস্তি

💧 কখনও কখনও কানের ভিতর থেকে সামান্য পানি পড়ে

🚨 সম্ভাব্য জটিলতা (Complications):
➡️কানের পর্দা (eardrum) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
➡️কানে ইনফেকশন (otitis externa/media)
➡️দীর্ঘমেয়াদি শ্রবণশক্তি হ্রাস
➡️কানে প্রদাহ ও ব্যথা বৃদ্ধি
➡️মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য সমস্যা

💡 যা করবেন না:
🚫 কলম, চুলের পিন, তুলার কাঠি (ear bud) বা অন্য কোনো জিনিস দিয়ে কান খোঁচাবেন না — এতে ওয়াক্স আরও গভীরে চলে যেতে পারে বা কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।

✅ চিকিৎসা:
👩‍⚕️ ডাক্তারের পরামর্শে ear drops, syringing, বা microsuction এর মাধ্যমে নিরাপদভাবে ওয়াক্স অপসারণ করা যায়।

🩺 ডায়াবেটিস ও যৌন সমস্যা: যা জানা জরুরি!ডায়াবেটিস শুধু রক্তে শর্করার সমস্যা নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদে আমাদের যৌন স্বাস্থ্য...
21/10/2025

🩺 ডায়াবেটিস ও যৌন সমস্যা: যা জানা জরুরি!

ডায়াবেটিস শুধু রক্তে শর্করার সমস্যা নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদে আমাদের যৌন স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। অনেকেই এই সমস্যা গোপন রাখেন, ফলে সমস্যার সমাধান হয় না।

⚠️ ডায়াবেটিসের কারণে যেসব যৌন সমস্যা হতে পারে:
🔹 পুরুষদের ক্ষেত্রে:
➡️Erectile Dysfunction
➡️যৌন ইচ্ছার অভাব
➡️দ্রুত বীর্যপাত বা
➡️ বিলম্বিত বীর্যপাত

🔹 নারীদের ক্ষেত্রে:
➡️যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া
➡️যোনিতে শুষ্কতা
➡️যৌনমিলনে অস্বস্তি বা ব্যথা

✅ করণীয়:
✔ ব্লাড সুগার নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখুন
✔ স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন
✔ মানসিক চাপ কমান
✔ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন
✔ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

❌ যা করবেন না:
🚫 সমস্যা গোপন রাখবেন না
🚫 নিজে থেকে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাবেন না
🚫 ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
🚫 ভুল ধারণায় নিজেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করবেন না

👉 যৌন সমস্যা লজ্জার নয়, চিকিৎসাযোগ্য!
সঠিক জীবনযাপন ও চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি আবার ফিরে পেতে পারেন স্বাভাবিক জীবন।

#ডায়াবেটিস #যৌনস্বাস্থ্য #স্বাস্থ্যবার্তা

হাটু ব্যাথা:🦵 হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Knee Osteoarthritis) ⚕️ লক্ষণ (Symptoms):🔹 হাঁটলে বা সিঁড়ি উঠলে ব্যাথা বাড়ে🔹 সকা...
18/10/2025

হাটু ব্যাথা:
🦵 হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Knee Osteoarthritis)

⚕️ লক্ষণ (Symptoms):
🔹 হাঁটলে বা সিঁড়ি উঠলে ব্যাথা বাড়ে
🔹 সকালে বা দীর্ঘসময় বসে থাকার পর হাঁটু শক্ত লাগে
🔹 হাঁটুর ভেতরে ঘষা বা কট কট শব্দ
🔹 ফুলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়া হাঁটু

🚫 কি করা উচিত নয়:
❌ ভারী জিনিস তোলা
❌ বেশি সিঁড়ি ওঠা-নামা
❌ নিচু চেয়ার বা মেঝেতে বসা
❌ নিজের মতো করে পেইনকিলার/ব্যাথার ঔষধ খাওয়া
❌ ব্যায়াম বন্ধ রাখা

✅ করণীয়:
✔️ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
✔️ হালকা হাঁটা বা সাঁতার করুন
✔️ গরম সেঁক নিন
✔️ নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন

💚 সুস্থ হাঁটু মানেই সুখী জীবন!
নিজে সচেতন থাকুন, অন্যকে সচেতন করুন 🙏

রক্তের গ্রুপ জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ 🩸রক্তের গ্রুপ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের জীবন রক্ষা করতে পারে জরুরি অবস্থ...
17/10/2025

রক্তের গ্রুপ জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ 🩸

রক্তের গ্রুপ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের জীবন রক্ষা করতে পারে জরুরি অবস্থায়।

🩸গর্ভাবস্থায় গুরুত্ব 🤰
– মায়ের ও শিশুর রক্তের গ্রুপ (বিশেষ করে Rh ফ্যাক্টর) আলাদা হলে Rh incompatibility হতে পারে, যা নবজাতকের জন্য বিপজ্জনক (Hemolytic disease of newborn)।
– আগে থেকে জানা থাকলে চিকিৎসকরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।

🩸জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া 🚑
– দুর্ঘটনা, রক্তক্ষরণ বা অস্ত্রোপচারের আগে নিজের রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়।

🩸ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচয়ের অংশ হিসেবে 🧾
– জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা মেডিকেল রেকর্ডে রক্তের গ্রুপ লেখা থাকলে যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাহায্য করা যায়।

🩸🩸রক্তদাতা হওয়ার সুবিধা 🙌
– নিজের গ্রুপ জানলে প্রয়োজনে অন্যকে রক্ত দিতে পারেন এবং নিজের সমাজে জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারেন।

🩸🧠রক্তের গ্রুপ জানা মানে নিজের ও অন্যের জীবন রক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্য জ্ঞানের একটি অংশ হওয়া উচিত।❤️

জানা-অজানা:রঙ এবং আমরা -🔴 লাল: শক্তি, উত্তেজনা উদ্যম বাড়ায়🟠 কমলা: আনন্দ, উৎসাহ বন্ধুত্ব বাড়ায়🟡 হলুদ: সুখ, আশাবাদ মনোযোগ ...
15/10/2025

জানা-অজানা:
রঙ এবং আমরা -
🔴 লাল: শক্তি, উত্তেজনা উদ্যম বাড়ায়
🟠 কমলা: আনন্দ, উৎসাহ বন্ধুত্ব বাড়ায়
🟡 হলুদ: সুখ, আশাবাদ মনোযোগ বাড়ায়
🟢 সবুজ: শান্তি, ভারসাম্য প্রশান্তি আনে
🔵 নীল: স্থিরতা, বিশ্বাস মন শান্ত করে
🟣 বেগুনি: সৃজনশীলতা কল্পনাশক্তি বাড়ায়
⚫ কালো: রহস্য, ক্ষমতা আত্মবিশ্বাস বা বিষণ্ণতা
⚪ সাদা: পবিত্রতা স্বচ্ছতা আনে বিভিন্ন রঙের

মানসিক প্রভাব:
🔴 লাল (Red):
প্রতীক: শক্তি, ভালোবাসা, আবেগ, রাগ
প্রভাব: রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বাড়ায়, উদ্যম জাগায়
ব্যবহার: উদ্দীপনা বা রোমান্টিক পরিবেশে উপযোগী
সতর্কতা: অতিরিক্ত লাল রঙ উত্তেজনা বা উদ্বেগ সৃষ্টি করে

🟠 কমলা (Orange):
প্রতীক: আনন্দ, সামাজিকতা, উষ্ণতা
প্রভাব: বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বাড়ায়, সৃজনশীলতা জাগায়
ব্যবহার: অফিস, ক্লাসরুম বা টিমওয়ার্কে উপযুক্ত

🟡 হলুদ (Yellow):
প্রতীক: সুখ, আশাবাদ, সূর্যের শক্তি
প্রভাব: মনোযোগ ও চিন্তাশক্তি বাড়ায়
সতর্কতা: অতিরিক্ত হলে উদ্বেগ বা মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে

🟢 সবুজ (Green):
প্রতীক: প্রকৃতি, ভারসাম্য, শান্তি
প্রভাব: প্রশান্তি আনে, ক্লান্তি দূর করে
ব্যবহার: হাসপাতাল, বিশ্রামকক্ষ, ঘরের দেয়াল

🔵 নীল (Blue):
প্রতীক: বিশ্বাস, শান্তি, বুদ্ধিমত্তা
প্রভাব: মন শান্ত করে, রক্তচাপ কমায়
ব্যবহার: অফিস, হাসপাতাল, শোবার ঘরে উপযোগী

🟣 বেগুনি (Purple):
প্রতীক: রাজকীয়তা, সৃজনশীলতা, আধ্যাত্মিকতা
প্রভাব: কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তি বাড়ায়
ব্যবহার: সৃজনশীল কাজের পরিবেশে উপযোগী

⚫ কালো (Black):
প্রতীক: শক্তি, রহস্য, শোক
প্রভাব: আত্মবিশ্বাস ও কর্তৃত্ব বাড়ায়, তবে বিষণ্ণতা আনতে পারে

⚪ সাদা (White):
প্রতীক: পবিত্রতা, সরলতা, স্বচ্ছতা
প্রভাব: শান্তি ও ভারসাম্য আনে
ব্যবহার: হাসপাতাল, ধ্যান বা থেরাপি রুমে উপযোগী

🩶 ধূসর (Grey):
প্রতীক: নিরপেক্ষতা, ভারসাম্য
প্রভাব: স্থিরতা আনে, তবে বেশি হলে একঘেয়েমি তৈরি করে

ফুসফুসের যক্ষা (Pulmonary TB) :🫁🫁🫁কয়েকদিন আগে আমাদের হাস্পাতালের একজন মাসি উনার husband কে নিয়ে এসেছিলেন।উনার প্রায় দেড় ...
14/10/2025

ফুসফুসের যক্ষা (Pulmonary TB) :🫁🫁🫁

কয়েকদিন আগে আমাদের হাস্পাতালের একজন মাসি উনার husband কে নিয়ে এসেছিলেন।উনার প্রায় দেড় মাস ধরে হালকা জ্বর আসে বিশেষ করে সন্ধ্যার সময়,সাথে ১ মাস ধরে কাশি হচ্ছে।প্রথম দিকে শুকনো কাশি ছিল,পরে কফ আসা শুরু করল,শরীরে দুর্বলতা অনুভব করতে লাগলেন,মাঝে মাঝে মাথা ঘোরায়।রোগীর ইতিহাস, কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখলাম,এক্সরে অনুযায়ী ফুসফুসে পানি জমেছে,নিউমোনিয়া দেখা যাচ্ছে,সাথে রক্তশুন্যতা আছে,কফ পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম ।আজকে কফ পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসল,সেখানে TB (ফুসফুসে টিবি) ধরা পড়ল।আজকে সেই বিষয়ক অল্প ধারনা দিব।

🦠ফুসফুসের যক্ষ্মা (Pulmonary Tuberculosis - TB):

⚕️ রোগের প্রধান ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্য (Clinical Features) :

🫁প্রাথমিক বা সাধারণ লক্ষণগুলোঃ

🚫দীর্ঘস্থায়ী কাশি – সাধারণত ৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি থাকে, প্রথমে শুকনো, পরে কফসহ।
🚫রক্তমিশ্রিত কফ (Haemoptysis) – মাঝে মাঝে কফে রক্ত দেখা যায়।
🚫জ্বর – সাধারণত বিকালের দিকে বা রাতে হালকা জ্বর হয়।
🚫রাতের ঘাম (Night sweats) – রাতে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
🚫ওজন হ্রাস (Weight loss) – ধীরে ধীরে ওজন কমে যায়।
🚫দুর্বলতা ও ক্লান্তি (Fatigue)
🚫ক্ষুধামন্দা (Loss of appetite)

👁️অন্যান্য সম্ভাব্য লক্ষণঃ
➡️বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
➡️শ্বাসকষ্ট (বিশেষ করে অগ্রসর পর্যায়ে)

⚠️ জটিলতা (Complications)
⛔যক্ষ্মা চিকিৎসা না করলে বা অসম্পূর্ণ চিকিৎসায় নিচের জটিলতাগুলো হতে পারে –
➡️অতিরিক্ত রক্ত কাশি দিয়ে বের হওয়া।
➡️ ফুসফুসের শ্বাসনালীগুলো স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
➡️Fibrosis এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস
➡️ ফুসফুসের চারপাশে পানি জমা।
➡️রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়া।
➡️মস্তিষ্কের আবরণে সংক্রমণ ছড়ানো।

Respiratory🔄 failure – দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস ক্ষতিতে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যর্থতা।

🔮 রোগের পরিণতি বা Fate:
🫁সম্পূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ করলে:
✡️রোগ সম্পূর্ণ সেরে যায়, এবং রোগী সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।

⛔চিকিৎসা বন্ধ করলে বা অনিয়মিতভাবে নিলে:
➤ রোগ ফিরে আসতে পারে (Relapse)
➤ ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (Drug-resistant TB - MDR/XDR TB) হতে পারে
➤ স্থায়ী ফুসফুস ক্ষতি ও জটিলতা দেখা দিতে পারে

✅ কি করবেন -
✡️BCG টিকা জন্মের পর নেওয়া জরুরি।
☸️যক্ষ্মার উপসর্গ থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন

✡️ডাক্তার নির্দেশিত পূর্ণ ওষুধের কোর্স শেষ করুন (৬ মাস বা তার বেশি)
✡️সঠিক খাবার, বিশ্রাম, ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

🧠পরিবারের অন্যান্য সদস্যের স্ক্রিনিং করুন।
🚫⛔কফ ঢেকে কাশি দিন এবং রুমে বায়ুচলাচল রাখুন।

❌ ⛔🚫কি করবেন না-
❌ ওষুধ বন্ধ করবেন না বা মাঝপথে বাদ দেবেন না।
❌ নিজে থেকে ওষুধ পরিবর্তন বা কমাবেন না।
❌ ধূমপান বা অ্যালকোহল গ্রহণ করবেন না – ফুসফুস ক্ষতি বাড়ায়।
❌ কফ বা থুতু খোলা জায়গায় ফেলবেন না।
❌ চিকিৎসা গোপন করবেন না বা লোকলজ্জার কারণে দেরি করবেন না।
❌ পরিবারের ঝুঁকিপূর্ন সদস্যদের (শিশু, বৃদ্ধ, ডায়াবেটিক) সুরক্ষা উপেক্ষা করবেন না।

13/10/2025
গেঁটে বাত ( বাত-ব্যাথা):বর্তমানে ব্যাথার অনেক রোগী আছেন,এদের মধ্যে গেঁটে বাত পাচ্ছি অনেক।আজকে গেঁটে বাত নিয়ে অল্প ধারনা ...
13/10/2025

গেঁটে বাত ( বাত-ব্যাথা):

বর্তমানে ব্যাথার অনেক রোগী আছেন,এদের মধ্যে গেঁটে বাত পাচ্ছি অনেক।আজকে গেঁটে বাত নিয়ে অল্প ধারনা দিব।

হাইপারইউরিসেমিয়া (Hyperuricaemia) :
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়।

🔹 ক্লিনিক্যাল ফিচার (Clinical Features):
১. উপসর্গহীন:
অনেক সময় কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, শুধু রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে।
২. গাউট (Gout) এর উপসর্গ:
➡️হঠাৎ করে এক বা একাধিক জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, ব্যথা ও লালচে হওয়া
➡️সাধারণত প্রথম আক্রমণ হয় বড়/বুড়ো আঙুলের গোড়ায় (big toe)
➡️ব্যথা রাত্রে বেশি হয়
➡️আক্রান্ত স্থানে তাপ(গরম), ফোলাভাব ও জ্বালা থাকে
➡️পুনঃপুন আক্রমণ হলে ক্রনিক গাউট হতে পারে

৩. টোফাস গঠন :
➡️ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল জয়েন্ট, কানের চারপাশ, আঙুলে জমে গিয়ে শক্ত ছোট গুটি তৈরি করে

৪. কিডনি জটিলতা:
➡️ইউরিক অ্যাসিড স্টোন (কিডনিতে পাথর)
➡️কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া

🔹 কি করা উচিত :
✅ প্রচুর পানি পান করা (দিনে ২.৫–৩ লিটার)
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
✅ নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম
✅ ইউরিক অ্যাসিডের লেভেল নিয়মিত পরীক্ষা করা
✅ ডাক্তারি পরামর্শে ওষুধ

🔹 যা করা উচিত নয় :
❌ অতিরিক্ত মাংস, লাল মাংস (beef, mutton), লিভার, কিডনি ইত্যাদি খাওয়া
❌ অতিরিক্ত ডাল, মটরশুটি, চানা, সয়াবিন, ইস্ট সমৃদ্ধ খাবার
❌ অ্যালকোহল (বিশেষ করে বিয়ার ও হুইস্কি)
❌ মিষ্টি পানীয়, চিনি বা ফ্রুক্টোজযুক্ত পানীয়
❌ ডিহাইড্রেশন বা পানি কম পান করা

🔹 খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (Food Restriction & Advice):
👉 সীমিত করতে হবে:
🚫রেড মিট (গরু, খাসি)
🚫মাছের ডিম
🚫ডাল, ছোলা, মসুর, সয়াবিন
🚫ফুলকপি, পালং শাক, মাশরুম
♓বিয়ার, ওয়াইন

👉 🔹 সংক্ষেপে মনে রাখুন:
“পানি বেশি, প্রোটিন সীমিত, ওজন কম — ইউরিক অ্যাসিড কম।”

⛔শ্বাসনালীতে স্প্রিং(Foreign Body) আজকে একজন রোগী এসেছিলেন,উনার ১ মাস ধরে কাশি,মাঝে মাঝে বুক ব্যাথা করে,১৫ দিন ধরে কাশির...
11/10/2025

⛔শ্বাসনালীতে স্প্রিং(Foreign Body)

আজকে একজন রোগী এসেছিলেন,উনার ১ মাস ধরে কাশি,মাঝে মাঝে বুক ব্যাথা করে,১৫ দিন ধরে কাশির সাথে রক্ত যাচ্ছে।ফার্মেসি থেকে কাশির ঔষধ কিনে খেলেও খুব একটা সুস্থ অনুভব করছিলেন না।বুকের এক্সরে করালাম,সেখানে দেখা গেল" শ্বাসনালিতে স্প্রিং" এর মত একটা মেটাল/বস্তু।

Left Bronchus এ Foreign Body

🩺
⚕️ লক্ষণসমূহ:
🧒
১.হঠাৎ কাশি শুরু হয় — বিশেষ করে খাবার বা খেলার সময়।
২.শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো শব্দ (wheezing) হতে পারে।
২রোগী শ্বাস নিতে কষ্ট পায়, মুখ লাল বা নীলচে (cyanosis) হতে পারে।
৪.মাঝে মাঝে গলার ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হয়।
৫.হঠাৎ কাশি থেমে গিয়ে নিস্তব্ধ শ্বাস দেখা যেতে পারে (danger sign)।
৬.কাশির সাথে/কফের সাথে রক্ত যেতে পারে
৭.মাঝে মাঝে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, secondary infection (pneumonia) হতে পারে।

⚠️ জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিন

🚫 কি করা উচিত নয় :
❌ বাড়িতে কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না (যেমন আঙুল, কলম, চামচ ইত্যাদি দিয়ে বের করতে যাওয়া)। এতে বস্তু আরও নিচে চলে যেতে পারে।

❌ পিঠে অতিরিক্ত চাপ বা জোরে থাপ্পড় মারা বিপজ্জনক হতে পারে যদি রোগী সচেতন থাকে।

❌ কাশি বন্ধ করার ওষুধ দেবেন না — এতে Foreign body নিচে নামতে পারে।

❌ রোগীকে শোয়ানো অবস্থায় রাখবেন না, বসিয়ে রাখুন যেন শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।

🧠 জটিলতা :
Atelectasis
Pneumonia (ফুসফুসে সংক্রমণ)
Bronchiectasis (স্থায়ী ক্ষতি)
Respiratory failure বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে

পূরুষের বন্ধ্যাত্ব ও Teratozoos***mia:-টেরাটোস্পার্মিয়া (Teratozoos***mia) –🧬টেরাটোস্পার্মিয়া বা টেরাটোযোস্পার্মিয়া হ...
09/10/2025

পূরুষের বন্ধ্যাত্ব ও Teratozoos***mia:-

টেরাটোস্পার্মিয়া (Teratozoos***mia) –
🧬টেরাটোস্পার্মিয়া বা টেরাটোযোস্পার্মিয়া হলো এক ধরনের পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যা, যেখানে শুক্রাণুর (s***m) গঠন বা আকৃতি অস্বাভাবিক হয়।
👉 স্বাভাবিকভাবে অন্তত ৪% বা তার বেশি স্বাভাবিক আকারের শুক্রাণু থাকা উচিত। এর কম হলে তাকে টেরাটোস্পার্মিয়া বলা হয়।

⚕️ কারণসমূহ (Causes):
1.অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি
2.Varicocele (শুক্রথলিতে শিরার ফুলে যাওয়া)
3.ইনফেকশন: যেমন prostatitis বা epididymitis
4.ধূমপান, মদ্যপান, বা ড্রাগ ব্যবহার
5?অতিরিক্ত তাপমাত্রা: যেমন দীর্ঘ সময় গরম পরিবেশে কাজ করা বা টাইট আন্ডারওয়্যার

✡️পুষ্টিহীনতা – Zinc, Selenium, Vitamin C, E, B12 ঘাটতি
➡️হরমোনজনিত কারণ
➡️জেনেটিক বা ক্রোমোজোমাল ত্রুটি

🧩 ক্লিনিক্যাল ফিচার (Clinical features):
⛔দীর্ঘদিন ধরে সন্তান না হওয়া (infertility)
⛔যৌন সক্ষমতা স্বাভাবিক থাকলেও conception হয় না
⛔Varicocele বা হরমোনজনিত সমস্যার লক্ষণ যেমন—
১.শুক্রথলিতে ফুলে থাকা
২.যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া, ক্লান্তি ইত্যাদি

🔬🔮 ফলাফল বা পরিণতি :
♓সন্তান ধারণে সমস্যা (Infertility or subfertility)
♓Miscarriage risk বৃদ্ধি পায় (অস্বাভাবিক শুক্রাণুর কারণে abnormal embryo হতে পারে)

👁️কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা ও lifestyle পরিবর্তনে s***m morphology উন্নতি হতে পারে

❌ কি করা উচিত নয় :
🚫ধূমপান বা অ্যালকোহল সেবন চালিয়ে যাবেন না
🚫নিজে নিজে ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট খাবেন না
🚫অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড, তেল-মশলাযুক্ত ও উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশ এড়িয়ে চলুন

Enteric Fever / টাইফয়েড জ্বর-রোগী এসেছিলেন বেশ কয়েকদিনের জ্বর,পেট  ব্যাথা ও খাবারের অরুচি নিয়ে।পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখ...
09/10/2025

Enteric Fever / টাইফয়েড জ্বর-

রোগী এসেছিলেন বেশ কয়েকদিনের জ্বর,পেট ব্যাথা ও খাবারের অরুচি নিয়ে।পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখা গেল রোগীর টাইফয়েডের ইনফেকশন।আজকে এই বিষয়ক ছোট একটা ধারনা দিব।

🦠 এটি মূলত দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়।

✡️লক্ষন:-

১.জ্বর: ধীরে ধীরে বাড়ে, সাধারণত প্রথম দিকে মৃদু, পরে ১০৪°F বা আরো বেশি উঠতে পারে।
২.মাথাব্যথা ও দুর্বলতা: মাথা ভার লাগা, শরীরে শক্তি না থাকা।
৩.ক্ষুধামান্দ্য: খাবার খেতে ইচ্ছা না করা।
৪.পেটব্যথা ও ডায়রিয়া/কোষ্ঠকাঠিন্য:
👁️কিছু রোগীর পাতলা পায়খানা হয়।
👁️কিছু রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।

৫.ডান দিকের নিচের পেট সামান্য ফুলে যায়।
⛔লিভার ও স্প্লিন বড় হতে পারে (hepatosplenomegaly)।
☸️রোজ স্পট (Rose spots): কিছু রোগীর শরীরে হালকা গোলাপি দাগ দেখা যায় (বিশেষত বুক বা পেটের চামড়ায়)।
➡️মানসিক পরিবর্তন: বিভ্রান্তি, অলসতা, অস্পষ্ট কথা বলা (“typhoid state”)।
🔄দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা: জ্বরের পরও দীর্ঘদিন ক্লান্তি থাকতে পারে।

🩺 কি করা উচিত:
✅ ১. ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
✅ ২. সম্পূর্ণ কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।
✅ ৩. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
শরীর দুর্বল থাকে, তাই সম্পূর্ণ বিশ্রাম দরকার।

✅ ৪. পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ করুন।
স্যালাইন, পানি, স্যুপ, ফলের রস—শরীরের পানি-লবণ ঠিক রাখতে।

✅ ৫. সহজপাচ্য খাবার খান।(খিচুড়ি, স্যুপ, সেদ্ধ সবজি, সেদ্ধ ডিম)।
✅ ৬. সঠিক হাইজিন মানুন।
✡️☸️♓খাবার বা পানি সবসময় ফুটানো বা বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার।
👁️টয়লেটের পর ও খাবারের আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।

🚫 কি করা উচিত নয় :
❌ ১. ইচ্ছামত ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।
⛔অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স মাঝপথে বন্ধ করলে রোগ পুনরায় ফিরে আসতে পারে বা রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে।
❌ ২. ভারী ও তেল-ঝাল খাবার খাবেন না।
পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।
❌ ৩. নিজের মতো করে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।
ভুল ওষুধে রোগ জটিল হতে পারে।
❌ ৫. দূষিত পানি বা রাস্তার খাবার খাবেন না।
পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

💉 প্রতিরোধ (Prevention):
🧠টিকা (Typhoid vaccine) নেওয়া
🧠বিশুদ্ধ পানি পান
🧠পরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়া
🧠হাত পরিষ্কার রাখা

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Enamul Kabir Tanvir posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Enamul Kabir Tanvir:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram