04/12/2025
প্রিয় সেবাগ্রহীতা, প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন।
আজকে ছোট্ট করে ইসলামের আলোকে প্রচলিত চিকিৎসা গ্রহনের বিষয়ে একটু লিখতে চাই। হাদিস শরিফে এসেছে, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তখনকার প্রসিদ্ধ ডাক্তার হারেস ইবনে কালদাহর কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৭৫)। মুসনাদে আহমাদের অপর একটি বর্ণনায়ও এসেছে যে জনৈক রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে রাসুল (সা.) গোত্রের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। (হাদিস : ২৩১৫৬)। এই হাদিসগুলোর আলোকে আমরা দেখতে পাই, আমাদের প্রিয় নবী প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরও আস্থা রেখেছেন। তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে চিকিৎসা নিতে শুধু উৎসাহই দেন নি, নির্দেশও দিয়েছেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে আমাদের কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলো সেলফ লিমিটিং অর্থাৎ নিজে নিজে হয়, আবার নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। যেমন, চিকেন পক্স, ডেংগু ইত্যাদি ভাইরাল ডিসিস। আবার কিছু কিছু রোগ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বুঝা যায়নি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষার এই রোগগুলোকে মেডিক্যালী আন-এক্সপ্লেইনড সিনড্রোম বলে। এগুলো নিয়ে গবেষণা কিন্তু চলমান আছে। আধুনিক ওষুধপত্র ব্যবহার করে এই সিনড্রোমগুলো ভালোই নিয়ন্ত্রন করা যায়। যেমন, আইবিএস, মাইগ্রেইন ইত্যাদি।
তাই, ফেসবুকে ইসলামী লেবাসের চটকটার বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রচলিত বিজ্ঞান ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরই আস্থা রাখুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ, এমবিবিএস, এমপিএইচ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জেনারেল প্র্যাকটিশনার
#স্বাস্থ্যবার্তা
#ইসলাম