Yubaraj Medical Hall - যুবরাজ মেডিকেল হল

Yubaraj Medical Hall - যুবরাজ মেডিকেল হল An aid to ensure better health services

23/08/2021
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়  দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন অনুচিত:--গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকেরই আছে। সাধারণত বুকজ্বলা, অতিরিক্ত ঢেকুর ও...
12/07/2021

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন অনুচিত:--

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকেরই আছে। সাধারণত বুকজ্বলা, অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠা, পেটব্যথা, পেটজ্বলা, পেটফাঁপা, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি উপসর্গকে গ্যাস্ট্রিক বলে। সময়মতো না খাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত তেল–মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান, মদপান, কম ঘুমানোর মতো অভ্যাসের কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।

এন্ডোস্কপি করলে পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্ত্রের অগ্রভাগে ক্ষত পাওয়া গেলে তাকে পেপটিক আলসার বলা হয়। এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা আছে। আবার কোনো ক্ষত বা আলসার না থেকে কেবল গ্যাস্ট্রাইটিস (প্রদাহ) থাকতে পারে। অনেক সময় হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের সংক্রমণ থেকে প্রদাহ বা ক্ষত হয়। এরও চিকিৎসা আছে। এর বাইরে একটি বড়সংখ্যক রোগীর কোনো ক্ষত বা প্রদাহ নেই। তাঁদের যা হয়, তা হলো নন–আলসার ডিসপেপসিয়া। মানে হজমের রস ওপরে উঠে এসে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
গ্যাস্ট্রিকের সঠিক চিকিৎসা না করে অনেকে মাসের পর মাস এন্টাসিড সিরাপ, ওমিপ্রাজল গোত্রের ওষুধ, ডমপেরিডোন গোত্রের ওষুধ সেবন করেন। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানে এসব ওষুধের বেশির ভাগেরই কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনের নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকতে পারবেন। যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের উচিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেওযা।

দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। এতে টাইফয়েডের মতো কিছু সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া রক্তশূন্যতা ও হাড়ক্ষয় রোগ হতে পারে। কিডনি রোগীদের অ্যান্টাসিড–জাতীয় ওষুধে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এসব ওষুধ খেলে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়, এমনকি পাকস্থলীর ক্যানসারও হতে পারে।

করণীয় কাজ:---

রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসক এক মাস বা দুই মাসের জন্য লিখে দিলে তা সারা বছর খাওয়া যাবে না।

পেটের সমস্যা যদি দীর্ঘ হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। খাবার ও জীবনযাপনের সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া, বাইরের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা, অতিরিক্ত তেল–মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা, বাসি খাবার না খাওয়া, পরিমিত পরিমাণে খাওয়া, ধূমপান ও মদপান না করা এবং অধিক রাত না জাগা।

12/09/2020

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আমাদের করনীয়:-

- হাঁচি, কাশি, নিশ্বাস-প্রশ্বাস এবং স্পর্শের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। তাই, এক্ষেত্রে জরুরি কোনো দরকার না থাকলে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

- আপনার হাত দুটি কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং প্রবাহিত (গরম বা ঠান্ডা) পানিতে দিয়ে পরিষ্কার করুন। যদি সম্ভব না হয় তবে হাত জীবাণুমুক্ত করতে অ্যালকোহলযুক্ত (৬০ শতাংশ) হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

- বাড়িতে ফেরার পরে, আপনার পরিধানে থাকা কাপড় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধুয়ে ফেলুন বা সূর্যের নীচে শুকানোর জন্য রেখে দিন।

- বাড়ির বাহিরে গেলে অন্য ব্যক্তিদের থেকে সর্বনিম্ন ৬ ফুট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।

- হাত ধোঁয়ার আগে আপনার মুখ বা চোখের কোনো অংশ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

- হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন এবং টিস্যুটি সঠিকস্থানে ফেলুন।

- এবং অবশ্যই বাড়ির বাহিরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

আর আপনি যদি এ নিয়মগুলো মেনে চলেন তবে আপনি সাধারণ সর্দি এবং ভাইরাসজনিত ফ্লু থেকে সহজেই বাঁচতে পারবেন।

30/07/2020

খোস পাচড়া থেকে বাচার উপায়:-

খোস পাঁচড়া ত্বকের একটি ছোঁয়াচে রোগ। যে কেউ যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বর্ষাকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার এমনকি ঘনবসতিপূর্ণ ঘরে একত্রে বসবাস করে যেমন স্কুল, হোস্টেল, বস্তি এলাকায় তাদের মধ্যে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চুলকানি হলো প্রধান উপসর্গ। আর রাতে সেই চুলকানি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ঘা হতে পারে। অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে একসঙ্গে বিছানায় শুলে কিংবা ব্যবহারকৃত কাপড় অন্য কেউ ব্যবহার করলে খুব সহজেই এ রোগ ছড়াতে পারে। কারণ জীবাণুটি ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্য দুই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শিশু-কিশোরেরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু সাধারণ নিয়মকানুন যেমন: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত গোসল ইত্যাদি মেনে চললে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
এ সময়ে যে সব সচেতনতা অবলম্বন করা উচিৎ : এ সময় ভারী জামা-কাপড় না পরে হালকা রঙের সুতি পাতলা জামা পরুন। ঘামে ভিজে গেলে দ্রুত পাল্টে নিন। ভেজা কাপড় পরে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ঘামে বা বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকিয়ে নিন। সারা দিন জুতা-মোজা না পরে বরং খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। তবে খালি পায়ে হাঁটবেন না। রাস্তায় এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
মহিলারা ভেজা চুল ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে তবে বাঁধবেন, নইলে মাথার ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
বাড়িতে কারও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে শিশুদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।
বর্ষার ফল খেতে হবে। বেল, কলা, পেয়ারা, শসা, টমেটো, গাজর, পাতিলেবু ও জাম্বুরা পেয়ারা, যা ত্বককে করে তোলে লাবন্যময়।

07/07/2020

অসময়ে চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? যেনে নিন ঘরোয়া সমাধান:-

নারী বা পুরুষ, প্রত্যেকের সৌন্দর্যই তার চুলের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। অনেকে মনে করেন, ঘন কালো চুল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে। তবে অগোছালো জীবনযাপন ও দূষণের কারণে চুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়, শুরু হয় চুল পড়া। চুল পড়ার কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা পাতলা হওয়া এখন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন, দেখে নিই—

দই

দই প্রত্যেকের ঘরেই থাকে। চুলে দই লাগালে চুল বাড়ে। চুলে দই ও মধু মিশিয়ে লাগান, কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের দৈর্ঘ্য বাড়বে।

মেথি

মেথির বীজে নিকোটিনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে। মেথির বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, প্রোটিন চুলের জন্য খুবই উপকারী। মেথির বীজ পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি কমে। এ ছাড়া মেথি চুল পড়া কমায়। মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন, তারপরে মেথি পিষে পেস্ট বানিয়ে নিন। তাতে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এবার মিশ্রণটি চুলে লাগান। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার এটি করলে চুল ঘন ও উজ্জ্বল হবে।

পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজ চুলের বৃদ্ধির জন্য খুব কার্যকর। পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পাওয়া যায়, যা চুল থেকে খুশকি কমায়।

মেহেদি

মেহেদি চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মেহেদি লাগালে চুল ঘন হয়, পাশাপাশি মেহেদি চুলকে সুন্দর রং দেয়।

ওজন কমাতে যা করবেন: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি দেহে বাসা বাঁধতে পারে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে। ওজন নিয়ন্ত্রণ...
05/07/2020

ওজন কমাতে যা করবেন:

ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি দেহে বাসা বাঁধতে পারে কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সার্বিকভাবে করণীয় কী?

যখন আমরা দেখি, বডি মাস ইনডেক্স ৩০-এর উপরে থাকে, তখন আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা বলি। হাঁটার কথা বলি, খাবার নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়।

যাঁদের ওজন বেশি থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁরা কম হাঁটেন। রুটি, ভাত বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খান। এ ধরনের খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরপর সোডা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোমল পানীয়তে কতটুকু চিনি রয়েছে দেখা নেওয়া জরুরি। এসব পানীয়ে অনেক সোডিয়ামও থাকে। তাই এসব পানীয় খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।

02/07/2020

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিংক সম্বলিত খাবারের ভূমিকা:-

অন্য যেকোনো পুষ্টির মতোই জিঙ্কও সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের দেহের ৩০০টিরও বেশি এনজাইমের ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার মধ্যে রয়েছে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা, দেহের ক্ষত নিরাময়, কোষ বৃদ্ধি, কোষ বিভাজন ইত্যাদি।

আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের বেশি বয়সী ছেলেদের ১১ মিলিগ্রাম এবং মেয়েদের ৮ মিলিগ্রাম জিঙ্কের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে একজন গর্ভবতী নারীর দরকার ১১ মিলিগ্রাম এবং স্তন্যপান করানো মায়েদের দরকার ১২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক।

চলুন জেনে নিই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন কোন জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন—

দুগ্ধজাত দ্রব্য

জিঙ্কের উৎস হিসেবে দুধ ও দই সবচেয়ে উপকারী খাদ্য। জিঙ্কের পাশাপাশি এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা দাঁত, হাড় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেটে থাকা জিঙ্ক ও ফ্ল্যাভনয়েড, ইমিউনিটি পাওয়ারকে বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকর। তাই রোজ এক টুকরো বা ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেট গ্রহণ করুন। ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটে জিঙ্কের পরিমাণ থাকে ৩.৩ মিলিগ্রাম।

মাংস

জিঙ্কের একটি প্রধান উৎস হলো যেকোনো ধরনের মাংস। ১০০ গ্রাম খাসির মাংসে জিঙ্ক থাকে ৮.৫ মিলিগ্রাম এবং ৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে জিঙ্ক থাকে ২.৪ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি-১২। তাই সপ্তাহে একদিন মাংস খেতে পারেন। তবে বেশি খাবেন না, কারণ মাংসে কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই যাঁদের কোলেস্টেরল, সুগার, হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা রেড মিটের পরিবর্তে মুরগির মাংস খেতে পারেন।

বীজ জাতীয় শস্য

ছোলা, মটরশুঁটি, বিভিন্ন ডাল, বিন, গম ইত্যাদি জিঙ্কের ভালো উৎস। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এগুলো রোজ খান।

ওটস

অনেকেই ব্রেকফাস্টের খাবার হিসেবে ওটস খান। এটি জিঙ্কের একটি অত্যন্ত ভালো উৎস। ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে তাই এবার ডায়েটে যুক্ত করুন ওটস। পাশাপাশি এটি ফাইবার, বিটা-গ্লুকান, ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

কাজু বাদাম

২৮ গ্রাম কাজু বাদামে জিঙ্কের পরিমাণ থাকে ১.৬ মিলিগ্রাম। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে রোজ খান বাদাম। শুধু কাজু নয়, খেতে পারেন আমন্ড ও অন্যান্য বাদাম। এগুলোতে থাকা ভিটামিন কে, ভিটামিন এ ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

মাশরুম

লো ক্যালোরি যুক্ত মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক। রোজকার ডায়েটে এই খাবারটি থাকলে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হতে পারে। ২১০ গ্রাম মাশরুমে ১.২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক পাওয়া যায়। এ ছাড়া রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই।

02/07/2020

গরম পানি পানের উপকারিতা:-

স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকদের মতে, সারাদিনে ১-২ গ্লাস গরম পানি পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা বয়ে আনতে পারে। উষ্ণ পানি হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে, ওজন হ্রাস করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

আসুন, জেনে নিই গরম পানি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে, পাশাপাশি জেনে নিন কখন ও কীভাবে খাবেন—

ডিটক্স

গরম পানি শরীর থেকে সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিনকে বের করে শরীরকে ডিটক্স করে। গরম পানি ঘাম ও মূত্রের মধ্য দিয়ে শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।

হজমশক্তি বৃদ্ধি

গরম পানি হজমশক্তি বাড়ায়। পাকস্থলী ও অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় হজম অঙ্গগুলোকে আরো ভালোভাবে হাইড্রেটেড করে, যার ফলে বর্জ্যবস্তু শরীর থেকে নিষ্কাশন হয় এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম পানি পান করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কোষ্ঠকাঠিন্য বহু মানুষের সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস করে গরম পানি পান করুন। এটি অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্ত্রকে সংকুচিত করে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।

শরীরের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে

গরম পানি পান করলে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয় বলে এটি শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকে সচল রাখতে সাহায্য করে, যা শরীরের বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাথা যন্ত্রণা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, নারীর ঋতুচক্রের খিঁচুনিতে আরামদায়ক গরম পানি।

রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে

গরম পানি শরীরের ব্লাড ভ্যাসেলসকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিটি নার্ভ সচল থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

অনিয়মিত পিরিয়ড ও ব্যথা থেকে মুক্তি

নারীদের গরম পানি পান করার একটি বড় সুবিধা হলো, এটি অনিয়মিত ঋতুস্রাব ঠিক করতে এবং ঋতুস্রাবের ব্যথা থেকে উপশম দিতে সহায়তা করে। অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে তা বেরোতে না পারলে ব্যথা হতে থাকে। এ সময় গরম পানি পান করলে জমাট রক্ত ভেঙে ব্লাড ফ্লো সঠিকভাবে হয়, যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

গরম পানি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং খিদে কমায়। ফলে ক্যালোরি ইনটেক কম হয়, যা দ্রুত ওজন ঝরাতে সহায়ক। তাই প্রতিদিন সকালে খালিপেটে লেবু বা মধু এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

এ ছাড়া

১. স্ট্রেস কমাতে হালকা গরম পানি পান করুন।

২. জমে যাওয়া সর্দি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে গরম পানি পান করুন।

৩. গরম পানি ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

৪. ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং বার্ধক্যের ছাপ পড়তে না দিতে রোজ গরম পানি পান করুন।

৬. গরম পানি স্কাল্পকে হাইড্রেটেড রেখে খুশকি থেকে দূরে রাখে।

30/06/2020

ধূমপানের নানা ক্ষতি ও ছেড়ে দেয়ায় অবিশ্বাস্য পরিবর্তন

ধূমপানের নানা ক্ষতি ও ছেড়ে দেয়ায় অবিশ্বাস্য পরিবর্তন
পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটা জিনিস/দ্রব্যের উপরেই লেখা থাকে, এই দ্রব্যটি খারাপ, এটা আপনার শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাও মানুষ সেই দ্রব্যটি দেদারসে কিনে খায়। ব্র্যান্ডিংয়ের জগতে কোনকিছুতে যদি ‘দ্রব্যটি খারাপ’ লিখে বেচা যায়, তবে সেটা একটা জিনিসই, তা হলো সিগারেট।

আপনি বাজার করতে গেলে নিশ্চয়ই ভুয়া দুই নাম্বার পন্য কিংবা পঁচা মাছ মাংস কিনে বাসায় আসেন না! কিন্তু প্যাকেটে ‘স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা দেখেও মনের আনন্দে ‘ধুর! কিছুই হবে না’ বলে মনকে বিশাল শান্তনা দিয়ে একটা সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বাড়িতে চলে যান।

আসুন বায়োলজির ভাষায় দেখে আসি আমাদের শরীরে কী কী প্রভাব ফেলে এই সিগারেট:

১. সিগারেটের প্রতিটা টানে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো ক্যামিকাল ম্যাটেরিয়াল আপনার শরীরে প্রবেশ করে থাকে, যেটা পরবর্তীতে আপনার শরীরের কোষের সংস্পর্শে চলে যায়। যেমন ‘টার’ নামক ম্যাটেরিয়াল আপনার দাঁত ও মাড়িকে কালো বানিয়ে দেয়, তারপর দাঁতকে ভঙ্গুর করে দাঁতের এনামেলকে নষ্ট করে ফেলে।

২. সিগারেটের ধোঁয়া নাকে ও মুখে গিয়ে নাক-মুখের নার্ভগুলোর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে নার্ভগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ব্যক্তি কোন কিছুরই ঘ্রাণ পায় না।

৩. সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয় ফুসফুসে। যেহেতু সেখানে সরাসরি ক্ষতিকর ম্যাটেরিয়ালস গুলো চলে যায়, তাই রেস্পিরেটরি ডিজিজ যেমন- ব্রংকাইটিস, ইম্ফাইসিমা দেখা দেয়, ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হয়। এগুলো ঘটে শ্বাসনালীর সিলিয়াগুলোকে ধ্বংস করার মাধ্যমে। সিলিয়ার কাজ হলো আমাদের শ্বাস যন্ত্রকে পরিষ্কার রাখা, যাতে ধুলোবালি আমাদের ফুসফুসে চলে আসতে না পারে। কিন্তু সিলিয়াগুলো নষ্ট হবার কারণে বাহিরের ধুলোবালি সরাসরি ফুসফুসে চলে যেতে পারে সহজেই।

তারপরের ক্ষতিটা হয় ফুসফুসের ভেতরে থাকা লাখ লাখ এলভিওলিতে। এলভিওলি’র কাজ হলো আমরা যেই অক্সিজেনটা বাতাস থেকে নেই সেটা রক্তে দেয়া আর কার্বন-ডাইঅক্সাইডকে রক্ত থেকে নিয়ে বাহিরে বের করে দেয়া। কার্বন-মনোক্সাইড নামক বিষাক্ত গ্যাস সিগারেটের মাধ্যমে ফুসফুসে গিয়ে অক্সিজেনকে ফুসফুস থেকে রক্তে যেতে দেয় না এবং সে নিজে রক্তে চলে যায় হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে। তাই ধূমপায়ী ব্যাক্তিদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যেটা পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট ঘটায়।

৪. ধূমপানের দশ সেকেন্ডের মাঝে রক্তের মাধ্যমে নিকোটিন চলে যায় ব্রেইনে, যেটা ব্রেইন থেকে ডোপামিন এবং অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটারকে মুক্ত করতে সাহায্য করে; যেমন এনডরফিন। যেগুলো আমাদের শরীরে ভালোলাগার প্রকাশ ঘটায়, এতে মানবদেহ ধীরে ধীরে সিগারেটের প্রতি অতিরিক্ত নেশায় পতিত হয়।

৫. নিকটিন শরীরের রক্তনালীগুলোকে চিকন করে দেয় এবং রক্তনালীর কোষগুলোকে নষ্ট করতে থাকে। যার কারণে শরীরের রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে। রক্তনালীগুলোর মাঝে প্লাটিলেট জমতে থাকে, ফলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৬. সিগারেটের মাঝে থাকা অনেকগুলো কেমিক্যালই মারাত্নক মিউটেশন ঘটাতে পারে জিনের মধ্যে। বিশেষ করে আর্সেনিক এবং নিকেল বেশিরভাগ মিউটেশন ঘটায়। তারা ডিএনএকে রিপেয়ার হতে দেয় না, এতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তিনভাগের একভাগ ক্যান্সার রোগীই প্রতিবছর মারা যাচ্ছে ধূমপানের কারণে। ধূমপান শুধুমাত্র ফুসফুসের ক্যান্সেরই কারণ না; মানুষ ধূমপানের কারণে আক্রান্ত হচ্ছে-মুখ, নাক, কান, অন্ননালী, ব্লাডার, কিডনী, অগ্ন্যাশয়, ইউরেথ্রাল, ওভারিয়ান, লিভার ক্যান্সারে।

৭. ধূমপান চোখের দৃষ্টিশক্তিকে নষ্ট করে।

৮. ধূমপান হাড্ডিকে ভঙ্গুর করে তোলো।

৯. ধূমপায়ী মহিলাদের মা হবার সম্ভাবনা কমে যায় এবং সন্তানের ঝুঁকি দেখা দেয়।

১০. ধূমপান পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ঘটায়।

যখন আপনি ধীরে ধীরে ধূমপান ছেড়ে দেবেন, যে অবিশ্বাস্য পরিবর্তনগুলো আপনার শরীরে আসা শুরু হবে:

১. ধূমপান ছেড়ে দেবার বিশ মিনিটের মাঝে আপনার হার্টরেট এবং ব্লাড প্রেশার নরমালে নেমে আসবে।

২. ১২ ঘন্টা পর কার্বন-মনোক্সাইডের লেভেল অনেকটা কমে আসবে এবং দেহে অক্সিজেনের লেভেল বাড়তে থাকবে।

৩. একদিন পর হার্ট অ্যাটিাকের সম্ভাবনা কমে আসবে, যেভাবে ব্লাড প্রেশার নরমাল হয়ে গিয়েছিলো।

৪. দুই দিন পর মুখ ও নাকের নার্ভগুলো সতেজ হওয়া শুরু করবে এবং ব্যক্তি আবার ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাবেন।

৫. ফুসফুস এক মাস পর সেরে ওঠা শুরু করবে, কাশি থাকলে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে।

৬. নয় মাসের মধ্যে সিলিয়াগুলো আবার জেগে উঠবে, আপনার ফুসফুসকে ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচাবে।

৭. এক বছর পর রক্তনালীগুলো আবার খুলে যাবে এবং রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিকের দিকে মোড় নেবে।

৮. পাঁচ বছর পর আপনার স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

৯. দশ বছর পর ফুসফুসের ক্যান্সারে এবং অন্যান্য ক্যান্সারে ভোগার সম্ভাবনা কমে যাবে। কারণ ডিএনএ রিপেয়ার হওয়া শুরু করবে তখন।

এইভাবে পয়েন্ট আকারে বলে যাওয়া যতোটা সহজ, ধূমপান ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা হয়তো ধূমপায়ী ব্যাক্তিদের জন্য ততোটা সহজ নয়। প্রাথমিকভাবে ধূমপান ছেড়ে দিলে ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা কাজ করতে পারে, তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্যই। এইসব ঘটে নিকোটিন উইতড্রোয়াল এর জন্য। কাউন্সেলিং এবং কগনিটিভ বিহেভিয়ারেল থেরাপি এবং কিছু এক্সেরসাইজ ধূমপানে পুনরায়ে জড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

21/06/2020

Address

Comilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yubaraj Medical Hall - যুবরাজ মেডিকেল হল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Yubaraj Medical Hall - যুবরাজ মেডিকেল হল:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram