Dr. Abdullah All Mamun Kochi

Dr. Abdullah All Mamun Kochi Abdullah All Mamun Kochi is a Doctor. He is also an adventure freak.

He is interested in discussing and making videos about social issues, burning issues, health issues & all which will help other people to improve their thinking process.

28/10/2025

মানুষের মন হলো কবরস্থানের মতো, ভিতরে কি চলছে আসলে সে ছাড়া বুঝার ক্ষমতা কারও নেই।

06/10/2025

সবাই বন্ধু না, সবাই শত্রুও না — সবাই ব্যস্ত নিজের স্বার্থে।

তুমি যদি ঠকতে না চাও, যদি বারবার হৃদয় ভাঙতে না চাও, তাহলে আগে একটুখানি বুঝে নাও — এই পৃথিবীতে সবাইকে এক চোখে দেখা যায় না। কেউ সত্যিই পাশে থাকে, আবার কেউ পাশে থাকার ভান করে — যতক্ষণ না তার প্রয়োজন ফুরায়। কেউ তোমার কাঁধে মাথা রাখে, আবার সেই একই মানুষ তোমার দুর্বলতাকে একদিন অস্ত্র বানাতে পারে। তাই শেখো — মানুষকে বুঝে চলা, সম্পর্ককে যাচাই করে এগোনো।

তুমি হয়তো নিঃস্বার্থভাবে কাউকে সাহায্য করেছো, দিনের পর দিন, নিজেরটা না দেখে তারটা ভেবেছো। কিন্তু যখন তোমার একটু দরকার, তখন খেয়াল করো — অনেকেই হঠাৎ করেই ব্যস্ত হয়ে যায়, উদাসীন হয়ে যায়, অথবা একেবারেই হারিয়ে যায়। এটা তোমার দোষ না — এটাই বাস্তবতা। মানুষ নিজের দরকার ফুরালে সম্পর্কও ফেলে যায়। সেটা বন্ধুত্ব হোক, প্রেম হোক, বা সহকর্মিতার সম্পর্ক।

জীবনের একটা কঠিন সত্য হলো — সবাই মুখে মিষ্টি কথা বলবে, কিন্তু মনের ভিতর সবাই একরকম নয়। কারো হাসির পেছনে ঈর্ষা থাকে, কেউ আবার ভালোবাসার ছায়ায় স্বার্থ লুকিয়ে রাখে। তুমি যদি মানুষ চেনার চোখ তৈরি না করো, তাহলে মুখোশকে মুখ ভাববে, আর তাতেই ঠকবে বারবার। তাই কাউকে বিশ্বাস করার আগে ভাবো — সে তোমার পাশে আছে ভালোবাসা থেকে, নাকি প্রয়োজনে?

জানি, এই কথাগুলো একটু কঠিন, একটু তেতো — কিন্তু সত্য। এই সত্যটাই তোমাকে রক্ষা করবে। মানুষকে একশো ভাগ বিশ্বাস করার আগে বুঝে নাও, কে কেমন সময়ে কেমন থাকে। মানুষ চিনতে পারা একটা দক্ষতা, আর নিজেকে আগলে রাখা একটা দায়িত্ব। মনে রেখো, সবাই খারাপ না, আবার সবাই ভালোও না। সবাই নিজের মতো করে চলে — নিজের স্বার্থ, সুবিধা আর শান্তির পেছনে।

তাই আজ থেকে একটু বদলে যাও — কষ্ট পেয়ে নয়, বুদ্ধিমান হয়ে। কাউকে ভালোবাসো, পাশে দাঁড়াও, সম্মান দাও — কিন্তু নিজের অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে নয়। নিজেকে হারিয়ে নয়। কারণ দিন শেষে, যদি তুমি নিজেই নিজের পাশে না থাকো, তবে আর কেউই থাকবে না।

03/10/2025

একটা সিক্রেট শেয়ার করি : জীবনে থাকা সাপ গুলো কে একটু ও বিশ্বাস করবেন না। মানে বলছিলাম সবার জীবনে দুই চারটা সাপ থাকে।

সাপ কে যদি লাঠি দিয়ে পেটান, মনে রাখবেন পিটাইতে পিটাইতে মেরে ফেলবেন। বাঁচে না যেন। সাপ ভয়ঙ্কর কখন হয় জানেন? যখন মাঝে মধ্যে দুই চার বার আঘাত করবেন। কিন্তু মারবেন না। এই অবস্থায় আপনার আশে পাশে থাকতে দিবেন।

গিলে খাবে আপনাকে কখনো সুযোগ পেলে.

মনে রাখবেন,
"মানুষ চিনতে হয় একবার। কোনো মানুষ যদি আপনার জন্য ভালো হয়, সে আপনার সাথে দু একবার খারাপ করে ফেললে ও সে ভালো,

আর যে মানুষ আপনার জন্য খারাপ সে দুই চার বার ভালো করলে ও খারাপ।

সাপ কিন্তু সাপ ই। Mind it.
They just wait for the opportunities. Thats all.

01/10/2025

A jealous family member can be more dangerous than a hateful enemy.🙂

30/09/2025

জীবন তার মতো করেই দৌড়াচ্ছে-নিয়ম, প্রত্যাশা আর দায়িত্বের ভারে।আর আমি? আমি কেবল ছুটে চলেছি..না বুঝেই, কোথায় যাব, কেন যাচ্ছি-তা না জেনেই।

কখনো পরিবারের মুখে হাসি রাখতে, কখনো নিজের অপূর্ণতা ঢাকতে, আবার কখনো অতীতের ভুলগুলো কিংবা, নিজের ভিতরের শূন্যতা থেকে পালাতে পালাতে ছুটছি। সবাই বলে,সময় থাকতে সফল হতে হয়,কিন্তু কেউ ভাবে না, এই ছুটতে ছুটতে আমি ভিতরে কতটা হাঁপিয়ে উঠেছি।

দিন শেষে কেউ জিজ্ঞেস করে না-এই মানুষটার কেমন লাগে, কতটা ক্লান্ত সে, আদৌ শান্তিতে ঘুমোতে পারে কি না।
জীবনের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলছি।

এই দৌড় থামাতে পারি না, কারণ থামলেই চারপাশ থেকে প্রশ্নে ভরে যায়।তবুও মাঝেমধ্যে খুব ইচ্ছে করে-সব ছেড়ে, একটা বিকেল কেবল নিজের জন্য রাখি।কোনো গন্তব্য নয়, শুধু একটু নিঃশ্বাস নিতে চাই-এই অস্থির জীবনের মাঝেও, একটু স্বস্তির জন্য।

25/09/2025

হুট করেই যখন প্রিয় মানুষটি দূরে সরে যায়, তখন মনে হয় যেন জীবনের সবকিছু থেমে গেছে।

মাথার ভেতর ঘুরপাক খায় হাজারো প্রশ্ন, আমি কি কোনো ভুল করেছি? সে কি আর আমাকে ভালোবাসে না? নাকি আমি তার কাছে যথেষ্ট ছিলাম না?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই মন ভেঙে যায়, ভেতরে জমে ওঠে কষ্ট, অনিশ্চয়তা আর অশ্রু।

কোনো সম্পর্কই একদিনে ভেঙে যায় না। দূরত্ব হঠাৎ তৈরি হয় না, এর পেছনে থাকে ছোট ছোট না-বলা কষ্ট, না-মেটানো অভিমান আর অনেকদিনের জমে থাকা ভুল বোঝাবুঝি।

💔 কেন আপনার প্রিয়জন হঠাৎ দূরে চলে গেল?

যখন আমরা নিজের অনুভূতি লুকাই বা অন্যের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করি না, তখন সম্পর্কের ভেতরে ফাঁক তৈরি হয়।

ভালোবাসা দাঁড়িয়ে থাকে বিশ্বাসের ওপর, আর একবার যদি
সেই ভরসা অতিরিক্ত সন্দেহ ও অবিশ্বাসে নড়ে যায়, সম্পর্ক নাজুক হয়ে যায়।

যখন কেউ মনে করে সে সবসময়ই যথেষ্ট নয়, তখন সে ধীরে ধীরে সরে যেতে শুরু করে।

ডিপ্রেশন, উদ্বেগ বা অতীতের ট্রমা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়, যদিও সে কাউকে হারাতে চায় না।

ভালোবাসা শুধু মিষ্টি কথার নয়, বরং একে অপরকে বোঝার শিল্প। যখন সেটা বোঝাপড়ার অভাবে হারিয়ে যায়, সম্পর্কও ভেঙে পড়ে।

প্রিয়জন অনেক সময় নিজের ভেতরের লড়াই, অস্থিরতা বা না-বলা কষ্টের কারণে দূরে সরে যায়। সে হয়তো আপনাকে ভালোবাসে, তবুও কাছাকাছি থাকার শক্তি খুঁজে পায় না।

কত মানুষ আছে, যারা কষ্টের ভয়ে চুপ করে থাকে, চোখের পানি লুকায়, কিন্তু মনের ভেতর ঝড় বয়ে যায়। হয়তো আপনার প্রিয়জনও সেই ঝড়ের সঙ্গে লড়ছিল, আর আপনাকে আঘাত দেওয়া এড়াতে হুট করে দূরে চলে গেছে।

কষ্টে ভেঙে পড়বেন না, বরং চেষ্টা করুন বোঝার, কোথায় ভুল হয়েছে? কোথায় উন্নতি দরকার?

ভালোবাসা পাওয়ার আগে নিজেকে ভালোবাসা জরুরি।

হয়তো এই দূরত্বই আপনাকে আরও শক্তিশালী, পরিণত এবং বোঝাপড়ায় সমৃদ্ধ করে তুলবে।

প্রিয়জন দূরে সরে গেলে তা কষ্টদায়ক, কিন্তু কখনো কখনো সেই কষ্টই আমাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়। ভালোবাসা মানে শুধু পাওয়া নয়, বরং বোঝা, সম্মান করা এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, যখনই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

17/09/2025

আমি অপমান ভুলিনা
ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝিতে বিচ্ছিরি ব্যবহার ভুলি না 🥹
কষ্ট পাবো জেনেও যে কষ্ট আমাকে উপহার দেয়া হয়,
আমি তা সাজিয়ে রাখি অত্যন্ত যত্নে,
যেসব কথা আমার দুচোখ ভাসিয়েছে অথৈ জলে,,
সেইসব কথা আমি কোনদিনও ভুলতে পারিনা,,
আমি চোখ মুছি কিন্তু ঘায়ের দাগ মুছি না,,
ঘায়ের দাগ মুছে ফেললে মানুষ চিনতে বারবার ভুল হয়ে যায় ❤️🥹😭

18/08/2025

'ডিভোর্স' কথাটা শুনলেই সামাজিক প্রাণী হিসেবে আমরা অনেকেই চোখ কপালে তুলতে অভ্যস্ত! যারা ডিভোর্সি তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকানোতেই আমাদের অনেকের স্বাচ্ছন্দ্য!

অথচ....

দু'জন ভাল মানুষ ও কিছু সপ্তাহ/মাস/বছর একসাথে থাকতে যেয়ে বুঝে ফেলতে পারেন তারা একজন অন্যজনের জন্যে 'উপকারী' নন।

ভালোবেসে বিয়ে করা দুটো মানুষ ও বহু বছর বাদে বদলে গিয়ে বুঝতে পারেন - সুরটা কোথাও কেটে গেছে!

আবার কেউ বা বিয়ের পর ভয়ংকর অত্যাচারে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে বোঝেন আর না, এবার নিজের জন্যে বাঁচতে হবে!

তাই সবার ক্ষেত্রেই ডিভোর্স একটা ইম্পালসিভ 'ডিসিশন' বা ধৈর্যের অভাব বা মানায় নিতে না পারার ব্যর্থতা - আমাদের এমন বোকা বোকা ভাবনাগুলো সঠিক নয়।

বরং,হতে পারে বহু জীবনের জন্যে এটাই মুক্তির 'একমাত্র' পথ - যা বাইরে থেকে আমাদের বুঝতে পারার বা ধরতে পারার কোন কারন নেই।

তাই ডিভোর্স কে নয়, বরং আসলেই আমাদের কে যা ক্রিমিনালাইজড করতে হবে - বিস্তর আলোচনা দরকার সেগুলো নিয়ে।

⏩ডিভোর্সের পর নোংরা কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে ওঠা
⏩হাজার মিথ্যে দিয়ে প্রাক্তনের চরিত্র হননের চেষ্টা ⏩তাকে/তার পরিবারকে নাস্তানাবুদ করবার জন্যে টাকা/ক্ষমতা/জিঘাংসার নোংরা প্রদর্শন

- প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হওয়া উচিত এগুলো নিয়ে।

কারন, কোনভাবেই এগুলো সুস্থ মস্তিষ্কের দায়িত্বশীল মানুষের কাজ নয়।

তারচেয়ে বড় কথা, আমাদের ধর্মের শিক্ষা নয়।

আমাদের ইসলাম ধর্মে, ডিভোর্স একটা 'পরীক্ষা'।

যে পরীক্ষায় পাশ এবং ফেইল আছে।

ডিভোর্সের পুরো প্রসেসে একজন নিজের সবরে/শোকরে/তাওয়াক্কুলে নিজেকে জান্নাতের হকদার ও বানায় ফেলতে পারেন।আবার জুলুমে/মিথ্যাচারে/অহমিকার আস্ফালনে আল্লাহর ক্ষমার অযোগ্য ও হয়ে উঠতে পারেন।

আমরা বাহ্যিকভাবে মনে করি স্বামী ও স্ত্রী একটা বিয়ে নামক সামাজিক কন্ট্রাক্টে ছিল, ডিভোর্সের মাধ্যমে সেটা ভেংগে বের হল।

আমরা ভুলে যাই, স্বামী এবং স্ত্রীর এই কন্ট্রাক্টটার একটা স্পিরিচুয়াল সিগনিফিক্যান্স আছে।

যার ঠিক মাঝে যিনি শুরু থেকে শেষ অবধি থাকেন তিনি মহান আল্লাহ - যিনি ঘুমান না, যিনি সব দেখেন।সব শোনেন। সব জানেন।

তাই 'তালাক্ব' শব্দটার আশেপাশে বারবার 'জুলুম' এবং 'হক' শব্দটা আমাদের ইসলাম ধর্মে এতো গুরুত্ব পায়।

As if-
'Are you sure, you are not the abuser?'
'Are you sure, you did your job right?'

উপরের এই কটা কথা বোঝাটা সবার জন্যেই ভীষণ জরুরী।

অন্যদিকে, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে - আপনি বা আমি ছেলের পক্ষ নিব নাকি মেয়ের পক্ষ নিব এটা বড় কথা নয়!

পক্ষ টা মজলুমের পক্ষে না হলে, আমরা দুনিয়া এবং আখিরাত দু'জায়গাতেই যে ক্ষতিগ্রস্ত হব - এই ভয়ংকর সত্যটা জানাটাও যথেষ্ট।

তাতে বোকার মত জুলুমকারীকে সাহায্য না করে চুপচাপ বসে থাকলে ও মজলুমের উপকার।

এই লেখাটা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে যদি ডিভোর্সের ক্ষেত্রে 'সন্তান' এর বিষয়টি ও আলোচনাতে না আসে।

কারন, সত্যিকার অর্থে উপরের জুলুম গুলো কয়েক মাস বা ২-৫ বছরে হয়তো চাপা পড়ে যায়।

কিন্তু সন্তান নিয়ে ডিভোর্সের পর যে জুলুম গুলো হয় সেগুলোর ইম্প্যাক্ট হয়ে উঠতে পারে জীবনব্যাপী।

আইনি জটিলতা, অভিমান বা প্রতিশোধ কোনোভাবেই সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয় - ক'জন ডিভোর্সের পর এভাবে ভাবেন?

সন্তান কোনভাবেই দুজন মানুষ বা দুটো পক্ষের punching bag বা emotional vomiting এর জায়গা হতে পারেনা - ক'জন মানেন?

ক' জন মনে রাখেন - This is not why we bring them into this cruel world in the first place!

ডিভোর্স এর মাধ্যমে দুজন মানুষের নিজেদের সম্পর্কের সমাপ্তি হয় তো ঠিকই কিন্তু মা/বাবা হিসেবে সন্তানের সাথে বন্ধন তো কোনদিন ভাঙে না!

এই সাধারণ কথাটা আমরা কেন যেন মনে রাখতে পারিনা!

উল্টো সন্তানই হয়ে ওঠে একটা প্রতিহিংসা প্রকাশের বিষয়।

যাতে আদতে সবচেয়ে ক্ষতি হয় এই সন্তানের ই!

লেখার বাকি অংশে তাই এই ইস্যুটাকেই আনতে চাই।

যে নির্মমতাগুলো আমরা দেখি/শুনি আজকাল:

⏩কোথাও দেখা যায় সন্তানকে মায়ের কাছ থেকে বছরের পর বছর দূরে রাখা হয়
⏩আবার কোথাও বাবাকে সন্তানের বড় হওয়া, তার শৈশবের স্মৃতি সবকিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়
⏩সন্তানের সামনে একে অপরের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মা কত খারাপ/বাবা কত খারাপ।

এসব কেবল ভুল নয়, এগুলো প্রতিটি ই ভয়ংকর জুলুম।

একজন মায়ের কাছ থেকে যখন সন্তানের গায়ের গন্ধ নেয়ার ন্যূনতম অধিকারটুকু ও কেড়ে নেয়া হয়, একই শহরে থেকে বছরের পর বছর বুভুক্ষের মত মা প্রতীক্ষায় থাকে সন্তানের দেখা পাবার, সন্তানের পছন্দের একটা ভাল খাবার রাঁধলে যা আর গলা দিয়ে নামে না - সেই মা টার কথা একবার ভাবুন!

তেমনি, একজন বাবা যখন সন্তানের মুখে "আব্বু” ডাকটা শুনতে পাননা, বুকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না, পাশে থাকতে পারেন না - তার যে কষ্ট সেটা কেবল যিনি এর ভেতর দিয়ে যান তিনি ই জানেন!

সন্তানের কথাটাও ভাবুন!

নিজের বাবা/মা কে 'খারাপ মানুষ' হিসেবে চেনার মত মানসিক যন্ত্রণা আর কোন কিচ্ছুতে নেই! একটা ছোট্ট মানুষ তার মত করে তার বাবা কে বোঝে, মা কে চেনে - সেই জগতটা তৈরি হবার আগেই ভেংগে যাওয়া নিজের অস্তিত্বের শেকড় ধরে টান খাবার মত!

অন্যের লেন্স দিয়ে নিজের বাবা/মা কে চিনতে বাধ্য করা হয় হাজার শিশুকে! অন্যের সিদ্ধান্তে ঠিক হয় সে মা কে বা বাবা কে দেখতে পারবে কিনা, ছুঁতে পারবে কিনা!

যেই কাজটাকে আমরা 'অন্যায়' বলে মনেই করিনা!

আমরা যারা এসবে অংশ নেই আমাদের এই ভয় থাকা উচিত যে, আল্লাহ মাজলুম হিসেবে এদের চোখের পানির সাক্ষী! এবং তাদের এবং আল্লাহর মাঝের পর্দা টা উঠে গেছে।

বাবা/ মা ব্যক্তিজীবনে যত ভুলই করে থাকুক না কেন, সন্তানের উপর তাদের হক তাতে বদলে যায় না।

তাকে সেই হক থেকে বঞ্চিত করা নিশ্চিত অপরাধ।সন্তানের প্রাথমিক জিম্মাদারি যার কাছে আসুক না কেন, এই জুলুম করা থেকে বিরত থাকতেই হবে।

ডিভোর্স এর সাক্ষী হওয়া যেকোন সন্তানের জন্যে ভয়াবহ কষ্টের।কিন্তু নিজের বাবা মা কে রোজ বিষাক্ত সম্পর্কে জোর করে আটকে থাকতে দেখাটাও একই কষ্টের।

এর বিপরীতে অজস্র রিসার্চ সাক্ষী, বাবা মায়ের শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ এবং কো প্যারেন্টিং এ বাবা মা কে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখা, যত্নশীল দেখা - সন্তানদের মনস্তত্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এই ট্রমাটা কাটাতে যেটা ভীষণভাবে সাহায্য করে।

আমরা যত চেষ্টাই করি, সমাজে ডিভোর্স আটকাতে পারা সম্ভব নয় - ডিভোর্স বাড়ছে, সামনে আরো হয়তো বাড়বে।

ডিভোর্স পরবর্তি জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানো উচিত।সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়ানো উচিত।

একজন মা/বাবা/সন্তান মাসের পর মাস এসব জুলুম সহ্য করবে আমরা কেউ তার প্রতিবাদ করব না - এটাকে ভাল মানুষি বলে না! অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া বলে।

আমরা যখনই শুনব কোন পরিবার ডিভোর্সের ফেইজ পার করছে, আমরা আমাদের নিজেদের জাজমেন্ট,বায়াস আর প্রিজুডিস যেন সামলে নিতে শিখি।পারলে সাহায্য করি।না পারলে অবিরাম দোয়া করি, যেন আল্লাহ সহজ করেন।

কিন্তু কোনভাবেই যেন জুলুমের অংশ না হই।

16/08/2025

পুরো একটা জেনারেশন PCOS-এ ভুগছে..!
আজকাল মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায় আমার পিরিয়ড সময় মতো হয় না, ওজন কমছে না, বা ওজন বাড়ছে না, হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে ঘনঘন মুড সুইং হচ্ছে।

এগুলোই PCOS (Polycystic O***y Syndrome) এর লক্ষণ। আর অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, এটা এখন শুধু কোনো একজনের সমস্যা নয়, পুরো একটা প্রজন্ম এর শিকার।

কেন এমন হচ্ছে? এই সমস্যার কারণ মানুষ নিজেরাই। সারাদিন বসে থাকা, কম মুভমেন্ট করা, বেশি চিনিযুক্ত খাবার আর জাঙ্ক ফুড খাওয়া, রাত জাগা, অতিরিক্ত মোবাইল-লেপটপ ব্যাবহার করা, এগুলো শরীরের প্রাকৃতিক হরমোন সিস্টেমকে একদম এলোমেলো করে দিচ্ছে।

এগুলোর জন্য শরীরের ভেতরের ব্যালান্স নষ্ট হয়, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড ও হরমোন চক্রের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে।

এটা শুধু শরীরের সমস্যা নয় মানসিক দিক থেকেও এর প্রভাব ব্যাপক। হরমোনের ওঠানামায় মুড সুইং, ডিপ্রেশন, আত্মবিশ্বাস হারানো সব মিলিয়ে এক ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

মনে রাখবেন PCOS শুধু মেয়েদের রোগ নয়, এটা একটা সোশ্যাল হেলথ ক্রাইসিস হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, পরবর্তী প্রজন্ম আরও বড় সমস্যায় পড়বে। ❤️

10/07/2025

শুধু সন্তান নয়, সম্পর্ককেও সময় দিন।

অনেক বাবা-মা আছেন, যারা সন্তান বড় করার দায়িত্বকে এতটাই গুরুত্ব দেন যে, একসময় নিজেদের সম্পর্কটাই যেন কোথাও হারিয়ে যায়।

সন্তানের স্কুল, খাওয়া, ঘুম, ভবিষ্যৎ,সব ঠিক রাখতে গিয়ে দাম্পত্য জীবনের বন্ধনটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও আলগা হয়ে পড়ে।
অথচ একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কই তো সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে।

দাম্পত্য সম্পর্ক শুধু একটি বন্ধনমাত্র নয়, এটি একটি জীবন্ত অনুভব, যেখানে ভালোবাসা, সম্মান, বোঝাপড়া ও একসাথে বড় হওয়ার গল্প জড়িত। এই সম্পর্ক যতটা শক্ত হবে, সন্তানও ততটাই মানসিকভাবে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী হবে।

সন্তান আমাদের জীবনের বড় অংশ বটে, কিন্তু একে অপরের পাশে থাকা, সময় দেওয়া, একসাথে কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া, এই চর্চাগুলোই সম্পর্ককে আরো মজবুত করে, টিকিয়ে রাখে, সুন্দর করে তোলে।

তাই মন খুলে কথা বলুন, একসাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটান, একসাথে হাঁটুন, একসাথে নতুন কিছু করুন যেমন গার্ডেনিং, পেইন্টিং, রান্না, বা বই পড়া। ছোট ছোট আনন্দ ভাগ করে নিন।

আপনার ভালোবাসা শুধু সন্তানের জন্য নয়, একে অপরের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

ভালোবাসা যেন দায়িত্বের মাঝে কোথাও হারিয়ে না যায়, বরং আরো মজবুত আরো সুন্দর হয়ে উঠে।

06/07/2025

“সিঙ্গেল মাদার” এখনকার সমাজে নতুন ট্যাগ! 😒

আগে মেয়েরা স্বামী খারাপ হলেও মুখ বুজে সহ্য করত, কারণ “লোকে কি বলবে?” এখন মেয়েরা ভাবে, “সন্তানের সামনে একজন ভণ্ড স্বামী থাকলে, লোকের কথায় কী আসে যায়?” এভাবেই জন্ম নিচ্ছে নতুন এক পরিচয়, সিঙ্গেল মাদার।

সিঙ্গেল মাদার মানে কি?
- এমন একজন মা, যিনি সন্তানের জন্য বাবা-মা দু’জনের দায়িত্ব একাই কাঁধে নেন। কারও ওপর ভরসা না করে, সমাজের হাজার কথার মুখে দাঁড়িয়ে একা লড়াই করে যান।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সিঙ্গেল মাদার বাড়ছে, কারণ:

১। বিয়ে টিকে না, কারণ মানুষের সহ্যশক্তি কমেছে?
- না ভাই, সহ্যশক্তি কমেনি, বরং সম্মানের প্রয়োজন বেড়েছে। নারীরা এখন আর “সংসার টিকানোর নামে” অশ্রদ্ধা সহ্য করেন না।

২। নারী বেশি উচ্চাশা পোষণ করে?
- উচ্চাশা দোষ নয়। বরং পুরুষের কমপ্লেক্স যখন মেয়ের এগিয়ে যাওয়া মানতে পারে না, তখনই সম্পর্ক ডুবতে থাকে।

৩। পুরুষের চরিত্রের সমস্যা?
- “কী আর হবে, পুরুষ মানুষ!” এই মিথ্যে ছাড় দেওয়ার সংস্কৃতি মেয়েরা আর মানে না। ভালোবাসা মানে বন্ধুত্ব, বিশ্বাস। কারচুপি নয়।

৪। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন?
- প্রেম যতই গভীর হোক, এক মাস বিদ্যুৎ বিল না দিলে প্রেমে লোডশেডিং হবেই। অর্থের চাপ সম্পর্ককে দুর্বল করে, যদি সম্মান ও সহানুভূতি না থাকে।

সিঙ্গেল মাদার হওয়া ব্যর্থতা নয়, বরং নিজের সাথে আপসহীন থাকা। তারা কারও বোঝা নয়, সমাজের আয়না। সাহসী মেয়েরা সংসার ভাঙে না, কেবল ভাঙা সংসারে আর অভিনয় করে না।

তাই সমাজকে বলি, সিঙ্গেল মাদারদের কষ্টে হাসি খোঁজার চেষ্টা করবেন না। বরং তার সাহসে দেখে মাথা নত করুন।🙏

02/07/2025

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

✓ মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই, তাই পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

Address

Cumilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Abdullah All Mamun Kochi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram