15/09/2015
শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা কি করে বুঝবেন?
শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে আমরা কয়েকভাগে
ভাগ করতে পারি, যেমন- শারিরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ,
সামাজিক বিকাশ। শারিরিক বিকাশ দৃশ্যমান এবং সহজেই
বোধগম্য, শিশুর ওজন ও উচ্চতা দিয়ে আমরা শারিরিক
বিকাশ বুঝতে পারি, জন্মের পর শিশুর বয়সের সাথে
সাথে নির্দিষ্ট হারে ওজন বাড়তে থাকে এবং
উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়।
জন্মের পর পর প্রথম সপ্তাহে বাচ্চা ওজন হারায় এবং
২-৩ এ ওজন স্থির থাকে তার পর ধীরে ধীরে
ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন গড়ে
২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। তারপর পরবর্তী
মাসগুলোতে আর একটু কম হারে ওজন বাড়তে
থাকে, ৩-১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ৪০
গ্রাম ওজন বাড়ে। ৫-৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্ম
ওজনের দ্বিগুন হয় ১ বৎসরে ৩ গুন, ২ বছরে
চারগুন, ৩ বছরে পাঁচগুন, ৫ বছরে ছয়গুন এবং ১০
বছর বয়সে ১০ গুন হয়। তবে জন্ম ওজনের
পার্থক্যের কারনে একই বয়সী দুটি শিশুর ওজনের
কিছু তারতম্য ঘটতে পারে। তবে এ তারতম্য শিশুর
সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টি পেলে স্বাভাবিক ওজনে
পৌছে যায়, কারন প্রতি শিশুর স্বাভাবিক ওজনে পৌছার
সুপ্ত ক্ষমতা থাকে।
তিন বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসেই শিশুর ওজন নেয়া
উচিত। পর পর দুইমাস শিশুর ওজন যদি না বাড়ে, তবে
খেয়াল করতে হবে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কিনা।
পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার পরও যদি অবস্থার পরিবর্তন
না হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সুষম
খাদ্য সঠিক পুষ্টি পেলে শিশু ওজনে ও উচ্চতায়
সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে। জন্মের সময় শিশুর
দৈর্ঘ্য থাকে সাধারণত ৫০ সেঃ মিঃ, ৩ মাসে এ দৈর্ঘ্য
গিয়ে দাড়ায় ৬০ সেঃ মিটার, ৯ মাসে হয় ৭০ সেঃ মিঃ, ১
বছরে ৭৫ সেঃ মিঃ, ২ বছরে ৮৫ সেঃমিঃ, ৩ বছরে ৯৫
সেঃ মিঃ এবং ৪ বছরে ১০০ সেঃ মিঃ তার পর প্রতিবছর ৫
সেঃ মিঃ করে বাড়তে থাকে বয়ঃ সন্ধিকাল পর্যন্ত।
সাধারণত একজন মেয়ে শিশু ২ বছর বয়সে বয়স্ক
মানুষের উচ্চতার অর্ধেক উচ্চতা অর্জন করে এবং
ছেলে শিশু এ উচ্চতা অর্জন করে ২ ১/২ বছর
বয়সে। ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর ওজন ও
উচ্চতায় কিছুটা তারতম্য থাকে। এ ক্ষেত্রে
ছেলে শিশুরা মেয়ে শিশুর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে
থাকে। শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা বুঝতে
হলে নিয়মিত ওজন, উচ্চতা নিয়ে তাকে গ্রোথ
চার্টের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে।