05/11/2025
কুরআন সুন্নাহর আলোকে নবীজি (সা.) সুষম, স্বাস্থ্যকর ও হালাল খাদ্য গ্রহণ করতেন এবং তা ভালো করে চিবিয়ে খেতেন। খাওয়ার আগে ও পরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন, বিসমিল্লাহ বলে ডান হাতে খেতেন এবং অপচয় না করে পরিমিত পরিমাণে পানাহার করতেন। তার প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল খেজুর, মধু, দুধ, ডালিম ও ভেড়ার মাংস।
খাবারের প্রকৃতি ও পরিমাণ
সুষম ও স্বাস্থ্যকর:
নবীজি (সা.) বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, শস্য ও চর্বিহীন মাংসের সমন্বয়ে সুষম খাদ্য গ্রহণকে উৎসাহিত করেছেন।
পরিমিত আহার:
তিনি ভরপেট না খেয়ে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং অপর এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, যা হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে।
হালাল ও তাইয়্যিব:
কুরআনে মৃত মাংস, রক্ত, শুয়োরের মাংস এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা খাবারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাইয়্যিব (যা অনুমোদিত ও স্বাস্থ্যকর) খাবারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
খাবার গ্রহণ ও আদব
বিসমিল্লাহ বলা:
খাবার গ্রহণের শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে 'বিসমিল্লাহ' বলা সুন্নাহ।
ডান হাতে খাওয়া:
রাসুল (সা.) সবসময় ডান হাত দিয়ে খাবার খেতেন এবং অন্যদেরও তা করতে বলেছেন।
ভালোভাবে চিবানো:
খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেতে বলেছেন, যা হজমে সহায়তা করে।
আদায় করা:
খাওয়ার পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন এবং খাওয়ার শুরুতে বা শেষে কোনো ভুল হয়ে গেলে আয়েশা (রা.)-এর বর্ণিত দোয়া পড়তেন।
পরিবেশ:
তাড়াহুড়ো না করে শান্তিপূর্ণ ও পরিছন্ন পরিবেশে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
নবীজির প্রিয় খাবার
নবী (সা.)-এর পছন্দের কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে খেজুর, ভেড়ার মাংস, মধু, দুধ, ডালিম ও ডুমুর।
জীবনযাপন :
নবীজি (সা.) শুধুমাত্র মজা বা তৃপ্তির জন্য পানাহার করতেন না, বরং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য পানাহার করতেন, যাতে তিনি আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন।
প্রয়োজন না হলে খেতেন না, এবং পান করার আগে পিপাসা অনুভব করতেন।