Ayat Pharma

Ayat Pharma Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ayat Pharma, Pharmacy / Drugstore, Dokkhin Khan, Dhaka-1230.

কাঁচা গাজরে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড যেমন বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা ভিটামিন A তৈরিতে সাহায্য করে। কিন্তু এগুলো থাকে গাজরের শক্...
07/10/2025

কাঁচা গাজরে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড যেমন বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা ভিটামিন A তৈরিতে সাহায্য করে। কিন্তু এগুলো থাকে গাজরের শক্ত কোষপ্রাচীর (cell wall) এর ভেতরে, যা সহজে ভাঙে না।

যখন গাজর রান্না করা হয় তখন তাপ কোষপ্রাচীরকে নরম ও ভেঙে দেয় ফলে বিটা-ক্যারোটিন শরীরে সহজে শোষিত হয়, এমনকি কাঁচা গাজরের তুলনায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি পরিমাণে শোষিত হতে পারে।

তবে যদি গাজর অতিরিক্ত সিদ্ধ বা ভাজা হয়, তাহলে কিছু তাপ-সংবেদনশীল ভিটামিন যেমন ভিটামিন C নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেরা উপায় হলো গাজর হালকা ভাপে বা সিদ্ধ করে খান, আর সাথে সামান্য অলিভ অয়েল বা ঘি দিন, কারণ বিটা-ক্যারোটিন ফ্যাট দ্রবণীয় অর্থাৎ চর্বির সাথে খেলে শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডিসপোজেবল কাগজের কাপে গরম পানি রাখলে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রায় ২৫,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পানিত...
07/10/2025

গবেষণায় দেখা গেছে, ডিসপোজেবল কাগজের কাপে গরম পানি রাখলে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রায় ২৫,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পানিতে মিশে যায়। এর মূল কারণ কাগজ নয়, বরং ভেতরের প্লাস্টিক কোটিং যা তাপের সংস্পর্শে ভেঙে পড়ে। এ প্রক্রিয়ায় শুধু মাইক্রোপ্লাস্টিকই নয়, লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু, ফথালেটসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং ফ্লোরাইড, ক্লোরাইড, নাইট্রাইটের মতো আয়নও পানীয়তে মিশে যায়।

স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক থেকে বিষয়টি উদ্বেগজনক, কারণ মানুষের রক্ত, মস্তিষ্ক ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ইতিমধ্যেই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। যদিও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনও গবেষণাধীন, তবে ঝুঁকি এড়াতে সচেতন হওয়া জরুরি।

সমাধান খুবই সহজ—প্লাস্টিকের আস্তরণবিহীন বিকল্প ব্যবহার করুন। স্টেইনলেস স্টিল, কাচ বা সিরামিক মগ সবচেয়ে নিরাপদ। আর যদি ডিসপোজেবল কাপ ছাড়া উপায় না থাকে, তবে গরম পানীয় কিছুটা ঠান্ডা করে তাতে ঢালুন বা কফি শপে সিরামিক মগ চাইতে পারেন।

07/03/2023

ব্যাক/ পিছনের পকেটে মানিব্যাগ ইউজ করছেন তো??

ভবিষ্যতে মাংসপেশি, জয়েন্ট ও নার্ভের সমস্যায় ভুগতে চান??

আসল কথায় আসা যাক, আপনি যখন পকেটে মানিব্যাগ বা ওয়ালেট ব্যাবহার করেন, হাঁটার সময় হয়তো তেমন কিছু টের পান না। কিন্তু বসলে যে পকেটে ব্যাবহার করেন সে পকেটের নিতম্ব আর অন্য পাশের নিতম্বের পজিশন কেমন থাকে তা কখনো ভেবে দেখেছেন??

আপনার মানিব্যাগ এলাকায় একটি কমন মাসল যা পাইরিফরমিস মাসল নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন এই টাকার ব্যাগ ব্যাবহারের ফলে, অনেকসময় দেখা যায় কোমর ব্যথা, নিতম্বে ব্যথা, এছাড়াও ব্যথা অনেক সময় পায়ের দিকে নামতে দেখা যায়।

এ ধরনের কন্ডিশনে ভুগতে না চাইলে, এখনি সাবধান হোন, সুস্হ ও সচল থাকুন।

-
Dr. Murad

05/10/2022

মানুষ কষ্ট করতে চায় না, ধৈর্য ধরতে চায় না। মানুষ চায় ম্যাজিকাল কিউর। আমি যেমন ছিলাম তেমন থাকব কোনো একটা অলৌকিক কিছু দিয়ে আমার রোগ ভাল হয়ে যাবে। মানুষ এমনটাই চায়। কিন্তু আসলে তা তো হয়না।

আমরা রোগের জন্য মেডিসিন নেই। যেকোনো মেডিসিনের সাইড ইফেক্ট থাকে। মেডিসিন মানেই ক্যামিকেল। এগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমকে প্রক্রিয়াজাত করে কাজ করে। বেশিরভাগ মেডিসিন শরীরের হয় কোনো কিছু একটা বাড়িয়ে দেয় বা কমিয়ে দেয়। তাই পারতপক্ষে যেকোনো মেডিসিন এভয়েড করা উচিত। সেটা এমনকি প্যারাসিটামল হলেও। আমরা ডাক্তারগণ মেডিসিন দেই প্রযোজন অনুসারে। আমরা লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কথাও বলি। কিন্তু বেশিরভাগ রোগীর কাছে মেডিসিন যেভাবে প্রিয় সেভাবে উপদেশ কিন্তু প্রিয় না!

ডায়াবেটিস, হাই প্রেশারের রোগীগণ মনে করেন ওষুধ খেয়ে কন্ট্রোল থাকলে এরপর খাওয়া দাওয়া উল্টাপাল্টা হলেও সমস্যা নেই। তাদের দিন দিন ওষুধের পরিমাণ ও ডোজ বাড়তে থাকে কিন্তু তাদের লাইফস্টাইলে তেমন কোনো পরিবর্তন তারা করে না। তারা হাই ডেজের ওষুধ খেয়ে কন্ট্রোল থাকাকে ভাল থাকা মনে করে অথচ তারা জানেনা এভাবে দিন দিন হাই ডোজের ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের শরীরটাকে নষ্ট করে ফেলা হয়। এছাড়া ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ইত্যাদি রোগের কম্প্লিকেশন হিসেবে হার্ট, কিডনি, চোখ, ব্রেইন ইত্যাদি অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি করা তো আছেই।

তাই আমাদের উচিত লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে এসব রোগ থেকে মুক্তির চেষ্টা করা। নিয়মিত ব্যায়াম করা, রোজা রাখা, খাবার থেকে চিনি, মিষ্টি জাতীয় জিনিস বাদ দেয়া, কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ফেলা। ভালো আঁশযুক্ত খাবার, শাক-সবজি, বাদাম, অলিভ অয়েল ইত্যাদি খাওয়া। মেটাবোলিক সিন্ড্রোমগুলো যেমনঃ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদি লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সুস্থ থাকা যায়।

মানুষ জিজ্ঞেস করে ভালো থাকার জন্য কী খাব? ভালো থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার সেটা হলো না খাওয়া!

Dr Shafayat Hossen Limon

 #জেনে_রাখা_দরকারদুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সংরক্ষন করে কিভাবে হাসপাতালে আনবেন?কোরবানির ঈদে অনেক অপেশাদার সাধারন মানুষ পশু...
31/05/2022

#জেনে_রাখা_দরকার
দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সংরক্ষন করে কিভাবে হাসপাতালে আনবেন?
কোরবানির ঈদে অনেক অপেশাদার সাধারন মানুষ পশুর মাংস প্রস্তুতে নিযুক্ত হন।কাটাকাটির অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন।বিশেষ করে ভারি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সজোড়ে হাড় কাটার সময় কারো পুরো আঙ্গুল হয়ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।কোরবানির ঈদে এই ঘটনা বিরল নয়।প্রতি বছর ই বড় ঈদে দেশের প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে এমন অনেক কেস আসে।কিন্তু সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় এবং সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে না আনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাংখিত ফলাফল দেয়া সম্ভব হয় না।

শুধু কোরবানির কাটাকাটি ছাড়া ও মারামারি বা রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্টে ও কারো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বিচ্ছিন্ন অঙ্গ কেউ পুণঃসংযোজন করতে চাইলে আসতে হবে মাইক্রোসার্জারিতে পারদর্শী একজন প্লাস্টিক সার্জনের কাছে।আমরা সাধারন মানুষ বিচ্ছিন্ন অঙ্গের সংরক্ষন পদ্ধতি জানিনা এবং কত সময়ের মধ্যে আসতে হবে তাও জানিনা।

বিচ্ছিন অঙ্গটি (আঙ্গুল,হাত বা পা) প্রথমেই নরমাল স্যালাইন দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।নরমাল স্যালাইন পাওয়া না গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব দ্রুত পরিষ্কার করে নিলেও চলবে।তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।শুকনো অঙ্গটি একটি পরিষ্কার পলিথিনে ভরে পলিথিনের মুখ ভালভাবে আটকে নিতে হবে।অতপর একটি আইস বক্সে বরফ দিয়ে সেখানে পলিথিনে ভরা অঙ্গটি সংরক্ষন করতে হবে।যদি আইস বক্স না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে অন্য একটি পলিথিনে বরফ নিয়ে তার ভিতর পলিথিনে মোড়ানো অঙ্গটি সংরক্ষন করা যাবে।

বরফ দেয়ার উদ্দেশ্য হল দীর্ঘ সময় যেন সতেজ থাকে অঙ্গটি।তাই পরিবহনের সময় প্রয়োজনে মাঝপথে বরফ সংযোজন করা যাবে।
অঙ্গহানির ৬ ঘন্টার মধ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে।এই ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাই সবচে ভাল হয় যদি রওয়ানা দেয়ার পুর্বেই মাইক্রোসার্জারিতে অভিজ্ঞ একজন প্লাস্টিক সার্জনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে রওয়ানা দেয়া যায়,যাতে সেই সময়ের মধ্যে সার্জন তার টিম ও অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করে ফেলতে পারে।

পোস্ট ক্রেডিট : Dr Tanvir Alom

30/05/2022

প্রশ্ন : চুল পড়া সমস্যার সমাধান কি?

উত্তর :

ছেলেদের চুল পড়ার কমন কারণ ২ টা-

এক. খুশকি
দুই. হরমোন জনিত

এখন, কারণ নির্ণয় করতে হবে প্রথমে। এরপর সেই অনুযায়ী চিকিৎসা।

30/05/2022

প্রশ্ন : ভুড়ি কমানোর উপায় কি?

উত্তর :

১. প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট প্ল্যাংক দিন।
২. ভারী খাবার যেমন বিরিয়ানি / তেল চর্বি জাতীয় খাবার / পিজ্জা-বার্গার/ পাস্তা এসব বাদ দিন।
৩. ভাত খাবেন, তবে পরিমিত।

30/05/2022

প্রশ্ন : ডায়বেটিস কন্ট্রোলে না থাকলে কিরকম জটিলতা দেখা দিতে পারে?

উত্তর : বছরের পর বছর ডায়াবেটিস যদি কন্ট্রোলে না থাকে, তবে যেসকল সমস্যা পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে-

১. চোখে কম দেখা→ অন্ধ হয়ে যাওয়া
২. কিডনি আংশিক ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া (CKD)
৩. স্ট্রোক
৪. হার্ট এট্যাক
৫. নার্ভ আস্তে আস্তে ড্যামেজ হয়ে যায়, এজন্য পায়ে ব্যাথা অনুভূত না হওয়া।
৬. রক্তনালী বন্ধ হয়ে গিয়ে পা এর আঙ্গুল/পুরো পা গ্যাংগ্রিন এর শিকার হয়ে যাওয়া, পরবর্তীতে তা পুরোটা কেটে ফেলা লাগতে পারে

তাই ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকা খুব বেশি জরুরী।

~ ডা. মুর্তজা শাহরিয়ার
এম বি বি এস

30/05/2022

প্রশ্ন : আসসালামুয়াইকুম - হজরত পাইলস থেকে স্থায়ী মুক্তি পেতে কি কি চিকিৎসা নিবো?

উত্তর : ওয়া আলাইকুমুস সালাম

পাইলস বা হিমোরয়েড এর চিকিৎসা দুই রকম

একঃ সার্জারি

দুইঃ মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট।

যাদের মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট দিয়ে ভালো হয় না, তাদের জন্য সার্জারি জরুরী।

পাইলস হলে আমরা বলি বেশি বেশি পানি খেতে, শাক সবজি বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে, যাত্ব কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়। একই সাথে কিছু ঔষধ ও দেওয়া হয় রোগের তীব্রতা অনুযায়ী

যেহেতু রোগের তীব্রতা নির্ণয়ের জন্য ক্লিনিকাল এক্সামিনেশন জরুরী, এজন্য একজন সার্জনের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, যিনি ক্লিনিকাল এসেসমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা দিবেন।

-ডা. মুর্তজা শাহরিয়ার
এম বি বি এস

অনেকে নিউমোনিয়াকে খুব হাল্কা ভাবে দেখেন। অথচ এই নিউমোনিয়াতে শিশু মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। শিশুদের সাথে সাথে বয়স্করাও প্রায়...
30/05/2022

অনেকে নিউমোনিয়াকে খুব হাল্কা ভাবে দেখেন। অথচ এই নিউমোনিয়াতে শিশু মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। শিশুদের সাথে সাথে বয়স্করাও প্রায়ই নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

নিউমোনিয়ার লক্ষণ গুলো কি কি?

১. জ্বর। (সাধারণত ১০২° এর বেশি)

২. কাশি। (প্রথমে শুকনো, পরে কাশির সাথে কফ যায়, কফ অনেকটা মরিচা রঙ এর, কারো বেলায় রক্ত ও যেতে পারে)

৩. বুকে ব্যাথা। (থাকতে পারে)

৪. শ্বাসকষ্ট/ঘনঘন শ্বাস নেওয়া। (মিনিটে ৩০ বারের অধিক, যেখানে স্বাভাবিক হলো মিনিটে ১৪-১৬ বার; এটা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য)

৫. মাথা ব্যাথা। (থাকতে পারে)

৬. খুব সিভিয়ার হলে রোগীর বিহেভিয়ারেল চেঞ্জ ও আসতে পারে।

তাই উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যান। পরীক্ষা করান। চিকিৎসা নিন।

30/05/2022

হটাৎ করে প্রচুর একিউট গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস এর কেস পাচ্ছি। আগে সাধারণত শুধু ডায়রিয়া প্রমিনেন্ট কেস পেলেও এবার প্রায় সবার সিম্পটম টা ভমিটিং প্রমিনেন্ট+ ডায়রিয়া+ ফিভার

এবং সারপ্রাইজিংলি কেউই বাইরের খাবার/ পানির হিস্ট্রি দেয় নাই। দ্যাট ইন্ডিকেটস
সাপ্লাই পানি খুব সম্ভবত কন্টামিনেটেড।

যাই হোক
পরিচিত কারো এমন হলে চেষ্টা করুন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার। যতবার ডায়রিয়া ততবার ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। অবস্থা খারাপ হলে হস্পিটালে নেওয়াই ভালো।

কখন বুঝবেন হস্পিটালে নিতে হবে?

১.যদি দেখেন যে রোগী পানি খেতেই পারছে না একদম অথচ সে একদম ডিহাইড্রেটেড, শরীর থেকে সব পানি যেন বের হয়ে গেছে,
২.জিহবা একদম শুকিয়ে গেছে
৩.চোখ টা শুকিয়ে ডেবে গেলে (sunken eyes)
৪.যদি রোগী আনকনশিয়াস বা কনফিউজড স্টেটে থাকে
৫. গা হাত পা সব ঠান্ডা হয়ে গেছে
৬. অনেক বেশি দুর্বলতা

আপাতত সেফ থাকার জন্য বাইরের পানি না খাওয়াই ভালো। স্ট্রিট ফুড থেকে দূরে থাকুন। বাসায় কিছু ওরস্যালাইন রেখে দিন।

অউ হ্যা, ওরস্যালাইন কিন্তু হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট, এভাবে মেশাতে হয় l
কম বেশি করতে যাবেন না। ওতে রোগীর আরও বিপদ বাড়বে।

ডাঃ মোর্তজা শাহরিয়ার।
এমবিবিএস, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

28/05/2022

#ডায়রিয়া

ডায়রিয়ার সাথে মানবসভ্যতার অতীত এবং বর্তমান, কোনোকালেই সম্পর্কচ্ছেদ ঘটেনি। যুগের যতই পরিবর্তন হোক না কেন, ডায়রিয়ার হাত থেকে মানবসভ্যতা আজও রেহায় পায়নি। পানিবাহিত জীবাণুর কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ হস্পিটালে ভর্তি হচ্ছে। কেউ বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছে, কেউ হাসপাতালের বেডে শিরায় স্যালাইন নিচ্ছে। আর আজকের আলোচনা এই ডায়রিয়া নিয়েই।

বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস মূলত ডায়রিয়া এর জন্য দায়ী৷ কিছু প্যারাসাইট ও কোনো কোনো রোগীতে পাওয়া যায়। তবে দেশের প্রেক্ষাপটে ডায়রিয়ার মূল কারণ আসলে ব্যাকটেরিয়া।

আমরা যেই পানি পান করি, সেই পানি নানাভাবে সংক্রামিত হয়ে থাকে। সেখান থেকে জীবানু আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং তার নেট ইফেক্ট হিসেবে ডায়রিয়া দেখা যায়৷ ডায়রিয়া হলে রোগীর দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়, আর সেই সাথে প্রয়োজনীয় কিছু লবণও। ফলশ্রুতিতে ব্যক্তি ডিহাইড্রেশন থেকে শুরু করে হাইপোভলেমিক শকে পর্যন্ত যেতে পারে। বলে রাখি হাইপোভলেমিক শক অর্থ হলো রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়ায় দেহের কোষগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। যেহেতু রক্তের মধ্যে পানির পরিমাণ অনেক বেশি, দেহ থেকে পানি কমে গেলে আল্টিমেটলি আমাদের রক্তের পরিমাণও আসলে কমে যায়। এছাড়াও লবণের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দুর্বলতা, মাংশপেশির শৈথিল্য কিংবা কিছুটা সাইকোটিক আচরণও রোগীর মাঝে দেখা যায়। বেশি খারাপ অবস্থায় হার্টে সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

তবে এর চেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো একিউট-কিডনি-ইনজুরি বা AKI, যেহেতু রক্তের মোট ভলিউম কমে যাচ্ছে সেহেতু রোগীর কিডনিতেও রক্ত প্রবাহ কমে যাবে৷ কিডনি এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। AKI -এর ফলে প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায় আবার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রাও অনেক বেড়ে যায়।

সবচেয়ে খারাপ সিচুয়েশনে রোগী মারাও যেতে পারে।

এসকল কারণে ডায়রিয়া কে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ডায়রিয়া হলে ট্রিটমেন্ট হলো যেই পরিমাণ পানি ও লবণ দেহ থেকে বের হয়ে গেছে, সেটাকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া আর তার সহজ উপায় হলো প্রয়োজন অনুযায়ী স্যালাইন খাওয়ানো। যদি রোগী দুর্বলতার কারণে মুখে খেতে না পারে বা খুব বেশি খারাপ অবস্থা হয় বা শকে চলে যায়, তখন শিরায় স্যালাইন দেওয়া জরুরী হয়ে যায়।

মনে রাখতে হবে, অনেকে ডায়রিয়া হলে ইমোটিল জাতীয় ঔষধ ফার্মেসি থেকে কিনে আনে, যা রোগীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইমোটিল এর কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ডায়রিয়া কমে গেলেও দেহের মধ্যে জীবাণুরা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তারা বের হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রোগীর উন্নতি হওয়ার বদলে ক্ষতি বেশি হয়।

অন্যদিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরী। রোগীর চিকিৎসায় দেরী হলে AKI হয়ে যেতে পারে, যার কারণে রোগী দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ থাকে, এমনকি মারাও যেতে পারে।

ডাঃ মুর্তজা শাহরিয়ার
এমবিবিএস, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

Address

Dokkhin Khan
Dhaka-1230

Opening Hours

09:00 - 12:00
16:00 - 23:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayat Pharma posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ayat Pharma:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram