28/04/2025
👉বর্তমান সময়ের ভাইরাল সংক্রমণ
✅1. চিকেনপক্স (Varicella-Zoster Virus)
সারা শরীরে পানিভর্তি ছোট ছোট গুটি ওঠে।
সঙ্গে জ্বর, দুর্বলতা থাকে।
গুটিগুলো কয়েকদিন পরে শুকিয়ে ঝরে যায়।
✅2. হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজ (Coxsackievirus)
মুখ, হাতের তালু, পায়ের পাতায় ছোট গুটি বা ফোসকা ওঠে।
সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
✅3. মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)
গুটি বড় এবং ব্যথাযুক্ত হয়।
শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ির মতো ছড়ায়।
সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণের থেকে একটু বেশি গুরুতর।
✅4. ডেঙ্গু র্যাশ
ডেঙ্গুতে কখনো কখনো ত্বকে ছোট ছোট র্যাশ বা গুটি দেখা দিতে পারে, তবে পানিভর্তি ফোসকার মতো হয় না।
✅5. ভাইরাল এক্সান্থেম (Viral Exanthem)
বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণে শরীরে সামগ্রিক ফুসকুড়ি বা র্যাশ উঠতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।
👉হোমিওপ্যাথিতে কিছু সাধারণভাবে ব্যবহৃত ওষুধ আছে, তবে রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী নির্বাচন করতে হয়। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের নাম:
✅১. Rhus Toxicodendron
ফুসকুড়ি বা গুটি চুলকানিসহ থাকলে।
চুলকানি ঘর্ষণে কমে, বিশ্রামে বেড়ে যায়।
ফুসকুড়িতে জ্বালা বা ব্যথা থাকলে উপকারী।
✅২. Antimonium Tart
গুটি বা ফোসকায় পানিভর্তি হলে।
রোগী দুর্বল এবং অলস বোধ করলে।
কখনো কখনো কাশি বা শ্বাসকষ্টও থাকতে পারে।
✅৩. Apis Mellifica
ফোলা, লালচে, চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি থাকলে।
ঠান্ডা জলে বা ঠান্ডা প্রয়োগে আরাম পেলে।
✅৪. Belladonna
হঠাৎ করে তীব্র জ্বর, শরীরে লালচে ফুসকুড়ি।
গায়ে জ্বালা অনুভূতি এবং গরম ভাব থাকলে।
✅৫. Sulphur
দীর্ঘস্থায়ী চুলকানিযুক্ত র্যাশ বা গুটি থাকলে।
তাপ বা গোসলের পরে চুলকানি বেড়ে গেলে।
শরীরের দুর্গন্ধ বা সাধারণ অস্বস্তি থাকলে।
বিশেষ নির্দেশনা👇
রোগীর সামগ্রিক উপসর্গ (চুলকানি, ব্যথা, জ্বর, দুর্বলতা ইত্যাদি) বুঝে ওষুধ নির্বাচন করা উচিত।
নিজে ওষুধ খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।