Dr. Md Raizul Amin

Dr. Md Raizul Amin MBBS, CMU, CCD, PGT(Medicine)
Lecturer, Dept of Pharmacology,
Popular Medical college. Medical Officer, Popular Diagnostic Center.

General Practitioner, Experienced in Medicine, Gynae, Child and Skin Diseases.

মানুষের মস্তিষ্ক!রবের এক অবিশ্বাস্য কুদরত!আপনি যে ছবিটি দেখছেন, এটি মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগের রক্তনালীর অতিসূক্ষ্ম দৃ...
10/12/2025

মানুষের মস্তিষ্ক!
রবের এক অবিশ্বাস্য কুদরত!

আপনি যে ছবিটি দেখছেন, এটি মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগের রক্তনালীর অতিসূক্ষ্ম দৃশ্য
এই রক্তনালীগুলোই আপনার চেতনাকে প্রতি সেকেন্ডে জীবিত রাখছে।

এই ছোট লাল রেখাগুলো বয়ে নিচ্ছে
অক্সিজেন, গ্লুকোজ, ইলেকট্রোলাইট, আর জীবন।

আর ভয়ের বিষয় হলো
মস্তিষ্ক শরীরের মাত্র ২%, কিন্তু ব্যবহার করে মোট অক্সিজেনের ২০%।
এবং রক্তপ্রবাহ এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হলে
সহ্য করার ক্ষমতা প্রায় শূন্য!

রক্তপ্রবাহ বন্ধ হলে:
• ১০ সেকেন্ডে জ্ঞান হারানো
• ৩–৪ মিনিটে মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষতি
• ৫–৬ মিনিটে মৃত্যু বা অপূরণীয় ক্ষতি

এই কোমল রক্তনালীর জালই ধরে রাখে আপনার
আপনার স্মৃতি, ব্যক্তিত্ব, কথা বলা, চলাফেরা, পুরো পরিচয়।

কোরআন বলে:

"অতঃপর আমি তাকে গড়ে তুললাম, এবং তার মধ্যে নিজ রূহ থেকে ফুঁক দিলাম।"
(সূরা সাদ 38:72)

আল্লাহ নিজ হাতে মানুষের মস্তিষ্ক, তার চেতনা, তার সত্তাকে তৈরি করেছেন
এ কারণেই এই অঙ্গটি এত মূল্যবান, এত নাজুক।

স্ট্রোক এত মারাত্মক কেন?

• একটি ছোট জমাট রক্ত একটিমাত্র ধমনী বন্ধ করলেই, সেই অংশের মস্তিষ্ক মারা যেতে শুরু করে।
• ধমনী ফেটে গেলে, রক্তচাপ আশপাশের স্নায়ুকে চাপা দেয়।
• ফুলে গেলে,আরও রক্তনালী বন্ধ হয়,
আরও মস্তিষ্ক নষ্ট হয়।

এ যেন জীবন্ত ডোমিনো
একটি পড়ে গেলে সারি ধরে ধ্বংস।

এ কারণেই ইসলাম আমাদের সতর্ক করেছে:

"নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।"
(সূরা বাকারা 2:195)

তাই নিজের প্রতি দায়িত্ব:
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
-কোলেস্টেরল ঠিক রাখা
-ধূমপান পরিহার
- পর্যাপ্ত ঘুম
-মানসিক চাপ কমানো।

এই মস্তিষ্ক
এটি এক কোমল, অক্সিজেন-ক্ষুধার্ত নেটওয়ার্ক…
রবের দেওয়া নিখুঁত নকশা।

**এবং এর কোন অংশ একবার নষ্ট হলে
পুনর্জন্ম হয় না।**

তাই প্রতিটি শ্বাস, প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্মৃতি
রবের অনুগ্রহ ছাড়া আর কিছুই নয়।

"তোমরা আমার নেয়ামত স্মরণ করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।" (সূরা বাকারাহ 2:152)

চলুন শুকরিয়া জানাই রবের, শেয়ার করে প্রিয় মানুষকে সতর্ক করি।

29/11/2025

মানুষের মস্তিষ্ক ২০ বছর ধরে মনে রাখে অপমান,
প্রশংসা মনে রাখে ৩০ দিন!

28/11/2025

কোনো একদিন এমন এক জুমআ'র দিনেই এক প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে সবকিছু ধ্বংস হয়ে কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।

27/11/2025

হযরত লোকমান (আঃ) নিজের ছেলেকে দেওয়া ৭৬ টি উপদেশ!
♻️১। বৎস! কর্জ হইতে নিজেকে হেফাজাত রাখিও। কেননা ইহা দিনের বেলায় অপমান এবং রাত্রিতে দুশ্চিন্তা।

♻️২। বৎস ! তুমি মোরগের চাইতে বেশী অক্ষম হইও না। সে তো শেষ রাত্রিতে জাগিয়া চিৎকার শুরু করিয়া দেয়, আর তুমি নিজের বিছানায় পড়িয়া ঘুমাইতে থাকো।

♻️৩। বৎস! গুরুত্ব সহকারে জানাযায় শরীক হইও এবং অহেতুক অনুষ্ঠানাদি শরীক হওয়া হইতে বাঁচিয়া থাকিও।

♻️৪। বৎস আল্লাহর সান্নিদ্ধ অবলম্বন করবে।

♻️৫। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে আমল করার চেষ্টা কর।

♻️৬। নিজের মান মর্যাদা বজায় রেখে কথা বলবে।

♻️৭। ভাল মানুষ রূপে বিবেচিত হওয়ার চেষ্টা করবে।

♻️৮। স্বীয় অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে।

♻️৯। গোপন তথ্য কারো নিকট প্রকাশ করবে না।

♻️১০। বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা নিবে।

♻️১১। বন্ধুদের ভাল মন্দ উভয়টাই পরীক্ষা করবে।

♻️১২। বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করবে।

♻️১৩। ভাল কাজে পুণঃপুণঃ অংশগ্রহণ করবে ।

♻️১৪। নিজের কথা প্রমাণ করে দিবে।

♻️১৫। বন্ধুদের সাধ্যমত ভালবাসবে।

♻️১৬। শত্রু মিত্র সকলের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করবে।

♻️১৭। মাতা পিতাকে সর্বাধিক সম্মান করবে।

♻️১৮। শিষ্যকে সর্বাধিক মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে।

♻️১৯। আয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যয় করবে।

♻️২০। কথা বলার সময় মুখ আয়ত্বের মধ্যে রাখবে।

♻️২১। বীরত্ব কে নীতি হিসাবে গ্রহণ করবে।

♻️২২। শরীর এবং পোষাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে।

♻️২৩। ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে।

♻️২৪। প্রচলিত অস্ত্র সস্ত্র ও যানবাহন পরিচালনা শিখে নিবে।

♻️২৫। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রদান করবে।

♻️২৬। রাতের বেলায় যদি কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে আস্তে এবং নরম স্বরে কথা বলবে।

♻️২৭। দিনের বেলায় কথা বলার সময় চতুর্দিকে লক্ষ্য করে কথা বলবে।

♻️২৮। কম কথা বলা কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করবে।

♻️২৯। নিজের জন্য যা পচন্দ করো না তা অন্যের জন্য পচন্দ করবে না।

♻️৩০। বিচক্ষণতা ও কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে।

♻️৩১। উপযুক্ত শিক্ষিত না হয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না।

♻️৩২। অন্যের ধন সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করবে না।

♻️৩৩। নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবে না।

♻️৩৪। কোনো কাজেই চিন্তামুক্ত হইও না।

♻️৩৫। যে কাজ তুমি করনি এরূপ কাজ করেছ বলে মনে করো না।

♻️৩৬। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখবে না।
♻️৩৭। বড়দের সাথে হাসি ঠাট্টা করতে যেও না।

♻️৩৮। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করিও না।

♻️৩৯। তোমার প্রতি যারা আশা রাখে তাদের নিরাশ করো না।

♻️৪০। বড়দের সামনে কথা দীর্ঘায়িত করবে না।

♻️৪১। অতীতের তিক্ততা মনে রেখো না ।

♻️৪২। নিজের ধন সম্পদের কথা অন্যের নিকট প্রকাশ করবে না।

♻️৪৩। সৎ লোকদের নিন্দা করবে না ।

♻️৪৪। আপনজনদের কাছ থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইও না।

♻️৪৫। অহংকার করবে না।

♻️৪৬। মানুষের সামনে দাঁত খেলাল করবে না।

♻️৪৭। মানুষের সামনে মুখে বা নাকে অঙ্গুল প্রবেশ করবে না।

♻️৪৮। শব্দ করে থুতু ফেলবে না।

♻️৪৯। হাই তোলার সময় মুখে হাত রাখবে।

♻️৫০। কাউকে জনসম্মুখে লজ্জা দিবে না।

♻️৫১। চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করবে না।

♻️৫২। এক কথা বারবার বলবে না।

♻️৫৩। তামাশা মূলক অবাস্তব কথা বলবে না।

♻️৫৪। ঠাট্টা বিদ্রুপ থেকে বিরত থাকবে।

♻️৫৫। অন্যের সামনে নিজের প্রশংসা করবে না।

♻️৫৬। মেয়েদের ন্যায় সাজসজ্জা করবে না।

♻️৫৭। কথা বলার সময় হাত নাড়াচাড়া করবে না।

♻️৫৮। আপনজনদের শত্রুর সাথে উঠাবসা করবে না।

♻️৫৯। কারো মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না।

♻️৬০। যথাসম্ভব ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকবে।

♻️৬১। সৎলোকের প্রতি সুধারণা রাখবে।

♻️৬২। নিজের খানা অন্যের দস্তারখানায় নিয়ে যাবে না।

♻️৬৩। কোনো কাজেই তাড়াহুড়ো করবে না ।

♻️৬৪। পার্থিব স্বার্থের মোহে নিজেকে দুঃখ কষ্টে ফেল না।

♻️৬৫। রাগান্বিত অবস্থায়ও ধীর শান্ত ভাবে কথা বলবে।

♻️৬৬।জামার আস্তিন দ্বারা নাক পরিস্কার করবে না।

♻️৬৭। সূর্য উদয়ের পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করবে।

♻️৬৮। পথ চলার সময় বড়দের আগে চলবে না।

♻️৬৯। এদিক সেদিক উকি মেরে দেখবে না ।

♻️৭০। অন্যের কথার মধ্যে বাধা দিয়ে কথা বলবে না।

♻️৭১। মেহমানের সামনে কারো প্রতি রাগান্বিত হইও না।

♻️৭২। সন্দেহ প্রবণতা ত্যাগ করতে না পারলে দুনিয়ায় তুমি কোনো বন্ধু খুঁজে পাবে না।

♻️৭৩। বেটা ! তুমি এত মিষ্ট হইও না যে, মানুষ তোমাকে গিলিয়া ফেলে। আরএত তিক্ত হইও না যে মানুষ তোমাকে থুথুর মতো ফেলিয়া দেয়।

♻️৭৪। বেটা! নিজের খানা আল্লাহভীরু লোকদের ব্যতীত কাহাকেও খাওয়াইও না। আর নিজের কাজে আলেমগনের নিকট হইতে পরামর্শ লইতে থাকিও।

♻️৭৫। বেটা! মূর্খের সহিত বন্ধুত্ব করিও না। এমন না হয় তাহার মূর্খতা সুলভ কথাবার্তা তোমার ভালো লাগিত আরম্ভ করে। আর জ্ঞানী লোকের সহিত শত্রুতা করিও না। এমন না হয় যে, সে তোমার দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া রাখে।

♻️৭৬। বেটা ! তুমি যেদিন হইতে দুনিয়াতে আসিয়াছ, প্রতিদিন আখেরাতের নিকটবর্তী হইতেছে।

❄️ কুয়াশার চাদরে উঁকি দেয় মনের গোপন কথা, বিষন্নতা!শীতকালে আকাশ ঢাকে কুয়াশার ধোঁয়াশায়, আর দিনের আলো হয় কৃপণ— তখন শুধু প্...
27/11/2025

❄️ কুয়াশার চাদরে উঁকি দেয় মনের গোপন কথা, বিষন্নতা!

শীতকালে আকাশ ঢাকে কুয়াশার ধোঁয়াশায়, আর দিনের আলো হয় কৃপণ— তখন শুধু প্রকৃতিই নয়, আমাদের মনও যেন এক নিভৃত কোণে গুটিয়ে যায়। শীতকাল, উৎসব আর উষ্ণতার ঋতু হলেও, অনেকের জন্য এটি নিয়ে আসে এক অজানা বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন। এক বলে Seasonal Affective Disorder - SAD.

​⚠️ কেন হয়?
​কম সূর্যালোক: কম আলোতে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন(মন ভালো রাখার হরমোন) কমে যায় এবং ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন বেড়ে যায়।
​ভিটামিন ডি-এর অভাব: কম রোদ লাগার কারণে শরীরেডিপ্রেশন-বিরোধী ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দেয়, যা মেজাজকে প্রভাবিত করে।

🥶 লক্ষণ:
-সারাক্ষণ মন খারাপ বা শূন্যতা বোধ।
-মনোযোগের অভাব।
-ক্লান্তি এবং অলসতা (যেন ঘুম কাটতেই চায় না)।
-সামাজিক মেলামেশা এড়িয়ে চলা।
-খাবারের প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ (বিশেষত কার্বোহাইড্রেট)।

✨ প্রতিকারের উষ্ণ আলো 🌞
এই নিস্তেজতা কাটিয়ে উঠতে আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:
✅আলোর ব্যবহার: যতটা সম্ভব রোদ পোহান। সকালে বারান্দায় বা ছাদে কিছুক্ষণ হাঁটুন। অফিস বা কাজের ফাঁকে একটু রোদ পোহিয়ে আসুন।
✅নিয়মিত শরীরচর্চা: হালকা ইয়োগা বা হাঁটাহাঁটি মনকে সতেজ রাখবে।
✅স্বাস্থ্যকর খাবার: পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার (মাছ, ডিম, দুধ) খান।
✅সামাজিক হোন: প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান, নতুন শখ পূরণ করুন। বিষণ্ণতা বা একাকীত্ব নিয়ে কথা বলুন।

মনে রাখবেন: এই শীতকালীন বিষণ্ণতা অত্যন্ত সাধারণ। যদি লক্ষণগুলি তীব্র হয় বা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 🩺

কুয়াশার পর যেমন সূর্য ওঠে, তেমনই আপনার মনের আলোও একদিন ফিরে আসবে।
মন থাকুক সতেজ, শীত কাটুক আনন্দে! ❤️

#শীতকালীনবিষণ্ণতা #মানসিকস্বাস্থ্য

27/11/2025

শীতকাল মানেই কি বিষণ্নতা! ​
মন খারাপ করা গুমরা মুখ!
☃️ 🤔

26/11/2025

"অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার
ক্ষতির কারণ,
বিনা প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক
কিনতে বারণ।"

25/11/2025

সাধারণ সর্দি-কাশি,
ভাইরাল ফিভার, ডায়রিয়া
তে এন্টিবায়োটিক অকার্যকর, প্রয়োজন নেই।

১৯২৭ সালে লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে কর্মরত অণুজীব বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং সর্বপ্রথম এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেণ।...
25/11/2025

১৯২৭ সালে লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে কর্মরত অণুজীব বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং সর্বপ্রথম এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেণ। মানব জাতি রক্ষায় এই আবিষ্কার অসামান্য অবদান রাখায় উনাকে ১৯৪৫ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

কালের বিবর্তনে যত্র তত্র, নিয়ম না মেনে এই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে দিনে দিনে এই অসামান্য ঔষুধ গুলো আজ তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে প্রায় ৪১ শতাংশ জীবাণু এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠেছে। মানব জাতির জন্য এটা বিরাট এক অশনি সংকেত।

এখনি আমরা সচেতন না হলে খুব নিকটবর্তী সময়ে দেখা যাবে সাধারণ রোগ জীবাণু, ইনফেকশনও মরণঘাতী হয়ে উঠবে।

তাই, আজ থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো এন্টিবায়োটিক নয়।


24/11/2025

"Prevention is better than cure"

- এই শীতে ঠান্ডা কাশি থেকে মুক্ত থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

23/11/2025

প্রতিদিন রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে যদি আপনি ভাবেন আপনি unstoppable—তাহলে anxiety-ই আপনাকে সত্যিকারের award টা দেবে।

আজকে বলছি খুব Important yet ignored একটা বিষয় নিয়ে! সেটা হলো,
How Sleep Disturbance Destroys You ( কিভাবে অনিয়মিত ঘুম আপনাকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেয়)!

পার্ট -১

যথারীতি কেইস এর গল্প দিয়েই শুরু করি, রিলেট করতে পারবেন!

রিমি—একজন কর্মজীবী মা। সকাল থেকেই তার মোটামুটি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়! দিনভর অফিস, বাচ্চাদের দেখাশোনা, বাড়ির কাজ—সব কিছু শেষ হতে হতে চোখের পলকে রাত ১০ টা বেজে যায় কখন, টেরই পান না! প্রথমে ভাবতেন,
“এই তো ঘুমাতে যাব! হাতের এই কাজগুলো আগে শেষ করি, জাস্ট কিছুক্ষনের ব্যাপার!”

এরকম ভাবতে ভাবতে, পরদিনের বাচ্চাদের স্কুলের ব‍্যাগ, ইউনিফর্ম গোছানো চলে, টিফিনে কি নিবে সেটা হাফ রেডি করে রাখা হয়, Husband এর কাপড় গুলো রেডি করে রাখতে রাখতে, দৌড়ে গিয়ে শাশুড়ির ঔষধ টা খাইয়ে আসা হয়! সব ঠিকঠাক গুছিয়ে যখন শুতে যান, ঘড়িতে তখন রাত ২ঃ৩০ মিনিট!

রিমি নিজেকে আশ্বস্ত করেন, আরে এ আর এমনকি! আমার তো অভ‍্যাস ই এমন! আমার ৩-৪ ঘন্টা ঘুমালেই চলে! ঠিক সামলে নিতে পারব!

অতঃপর আর কি! চক্রাকারে চলতে থাকে….
সকালে আবার ৬টায় উঠে স্কুল-অফিস রুটিন।
ধীরে ধীরে তার ঘুম আরও কম আর বিশৃঙ্খল হতে শুরু করল—
রাত জেগে থাকা, হঠাৎ ভোরে উঠে যাওয়া, মাঝরাতে চিন্তার দোলাচল।যা ও বা আগে টানা ঘুমাতে পারতেন, সেটাও হয়না!

রিমি ভাবলেন—শুধু মাত্র স্ট্রেসই হয়তো কারণ।ঠিক হয়ে যাবে! কিন্তু নিজের চেষ্টা ছাড়া কি আর কিছু ঠিক হয়ে যায় বলেন? রিমি তো ভিতর ভেতর মহা এক গন্ডগোল পাকিয়ে বসে আছেন! So, যা হবার তাই হলো, ক’সপ্তাহ পর সব বদলে গেল।

একদিন অফিসের প্রেজেন্টেশনে দাঁড়িয়েই তিনি হঠাৎ করে কথা বলতে পারছেন না! হাত কাঁপছে। বুকে ধড়ফড়।দরদর করে ঘামছেন! এমনতো হয়নি কখনও! মনে হচ্ছে সবাই তাকিয়ে আছে।আর জাজ করছে!
সেই রাতে রিমির আর ঘুমই এল না।

এরপর শুরু হলো—
• সারাদিন Irritability
• কোন কাজেই মন না বসা
• মাথা ভার ভার লাগা
• ছোট ছোট কাজে ভুল করে ফেলা যা কখনোই আগে হতো না!
• constant anxiety, মানুষ কি ভাবছে, আমি কি পারছি না, সামনে কি হবে এরকম হাজারটা চিন্তা!

• unexplained crying spells! রিমির চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে হঠাৎ হঠাৎ! কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে? আমি কি দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি? সব তো ঠিকই ছিল! কিছুদিন আগেও ডক্টর দেখালাম, কোন রিপোর্ট তো খারাপ আসেনি!

একদিন ভোরে তিনি তীব্র Panic Attack-এর শিকার হন।শ্বাস আটকে যাচ্ছিল, বুক ভারী হয়ে উঠছিল।
ডাক্তার দেখিয়ে যা জানা গেল, তা ছিল রিমির কল্পনারও বাইরে—

Major Depressive Disorder with Anxiety symptoms — triggered by Chronic Sleep Disturbance.

রিমির গল্প আলাদা কিছু নয়।
এরকম হাজার রিমি আমাদের চারপাশেই আছে—
যারা জানেই না, sleep disturbance আসলে mental disorder-এর সবচেয়ে নীরব ও ভয়ানক ট্রিগার।

কিভাবে আপনাকে এটা ভেতর থেকে শেষ করে দেয়?

1. Emotional Dysregulation

ঘুম কম হলে ব্রেইনের amygdala অতিরিক্ত reactive হয়ে যায়।
ফলে:
• অতিরিক্ত রাগ
• mood swings
• emotional sensitivity দেখা দেয়
• ছোট ছোট ঘটনায় disproportionate প্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে থাকে!

2. Brain Fog & Cognitive Decline

Sleep disturbance সরাসরি prefrontal cortex-কে দুর্বল করে।
ফলেঃ
• মনোযোগ কমে যায়
• ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে
• decision-making দুর্বল হয়ে যায়
• productivity কমে যায়, Significantly!

3. Anxiety Increases

Extreme and chronic Sleep loss “HPA axis” এর উপর প্রভাব ফেলে।
(HPA axis মানে Hypothalamic–Pituitary–Adrenal axis।এটি শরীরের stress response system, যা আমাদের শরীর কীভাবে স্ট্রেসে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা নিয়ন্ত্রণ করে।)

ফলে:
• constant worry
• chest tightness অনুভূত হয়
• restlessness কাজ করে
• intrusive thoughts আসতে থাকে!

4. Depression Triggers

Chronic sleep disturbance , Depression কে ও ট্রিগার করতে পারে! এর ফলে:

• loss of interest in daily life activities ( দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্মে আগ্রহ কমে যাওয়া)
• fatigue
• hopelessness
• Constant low mood
• crying spells ( কান্নার প্রবনতা) দেখা যায়!

5. Hormonal Imbalance

ঘুম কম হলে serotonin, cortisol, melatonin—সবই imbalanced হয়।
ফলে mood, appetite, energy—সব নষ্ট হয়ে যায়।

6. Physical Damage
• high blood pressure
• headaches
• weakened immunity
• chronic fatigue

এসব মানসিক রোগকে ভয়ানকভাবে ত্বরান্বিত করে।

7. Panic Attack Risk

Sleep disturbance nervous system-কে hyper-aroused করে।
ফলে panic attack-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Last but not the least হলো, ঘুমের এই বদ অভ‍্যেস অনেক মানসিক রোগের দরজা খুলে দেয়!

৩–৬ মাস chronic sleep disturbance কে ধরতে না পারলে বা গুরুত্ব না দিলে এটি রূপ নিতে পারে—
• Major Depressive Disorder
• Generalized Anxiety Disorder
• Panic Disorder
• Somatic Symptom Disorder
• Burnout Syndrome এর মতো কোন Psychological Disorder-এ !

তাই,

Sleep disturbance বা ঘুমের ব্যাঘাত কোনো ছোট সমস্যা নয়।
এটি নীরবে মানুষকে ভেঙে দেয়—মন, মস্তিষ্ক, আচরণ, সম্পর্ক—সবকিছু।চেক করে দেখুন তো আপনার Sleep routine ঠিক আছে কিনা?

চলুন ছোট ছোট সমস্যা গুলো কে বড় হতে না দেই! সুন্দর Lifestyle, অনেক দিক থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে!

22/11/2025

ভূমিকম্প? দৌড়াবেন না—বাঁচার চেষ্টা করুন!
ঢাকার অধিকাংশ আবাসনই ৫–৭ তলার অ্যাপার্টমেন্ট। এ ধরনের ভবনে ভূমিকম্পে বাঁচা বা মারা যাওয়ার সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করে—আপনার প্রথম ১০–২০ সেকেন্ডে নেওয়া সিদ্ধান্ত।
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে দৌড়ে সিঁড়ির দিকে যাওয়াই সবচেয়ে সাধারণ ভুল—এবং এটিই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ।

❌ কম্পন শুরু হলে যে ভুলগুলো প্রাণঘাতী হতে পারে
১. সিঁড়ির দিকে দৌড়ানো
বিশ্বের বিভিন্ন স্ট্রাকচারাল রিসার্চ অনুযায়ী—
নিচের তলা ধসে পড়লে ওপরের তলা সরাসরি সিঁড়ির উপর ভেঙে পড়ে।

ধাক্কাধাক্কি, ভিড়, আলো নিভে যাওয়া—
৯০% মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সিঁড়িতেই ঘটে।

২. বারান্দায় যাওয়া
বারান্দার রেলিং ভূমিকম্পে একাধিক দিক থেকে চাপ পায়, যা সহজেই ভেঙে নিচে পড়ে যেতে পারে।
৩. লিফট ব্যবহার
কম্পনে লিফট জ্যাম, দড়ি ছিঁড়ে যাওয়া, মাঝপথে আটকে পড়া—সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে।

✔️ বাঁচার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়: Drop – Cover – Hold On
১. বেডরুমে থাকলে
খাটের নিচে ঢুকে মাথা–ঘাড় ঢেকে রাখুন। খাট ভেঙে পড়লেও ভেতরে “লাইফ ট্রায়াঙ্গেল” তৈরি হয়, যা নিরাপদ।
২. ড্রয়িং/ডাইনিং
মজবুত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
কাঁচ, জানালা, বড় ফ্রেম, শোকেস থেকে দূরে থাকুন।
৩. কিছুই না পেলে
দেয়ালের কোণে বসে মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখুন।
একে বলা হয় “সেফ কর্নার পজিশন”—ভবন ধসে পড়লেও সাধারণত কোণার অংশ সম্পূর্ণ চাপে ভাঙে না।
৪. বাথরুম
অনেক সময় সবচেয়ে শক্ত অংশ। বালতি/হেলমেট মাথায় দিলে আঘাত কমে।
৫. মাথা রক্ষার ব্যবস্থা
হেলমেট, বালতি, ঝুড়ি, ব্যাগ—যা পাবেন তাই মাথার ওপর চেপে ধরুন।
ভূমিকম্পে যেকোনো ভাঙা বস্তু মাথা লক্ষ্য করে পড়ে।

🏠 ১ম বা ২য় তলায় থাকলে আপনি সবচেয়ে ভাগ্যবান
এই দুই তলায় থাকা মানুষদেরই নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
✔️ কম্পন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দরজা খুলে রাখুন, জ্যাম হয়ে গেলে বের হতে পারবেন না।
✔️ প্রথম ১৫–২০ সেকেন্ডে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামুন।
✔️ বাইরে এসে ভবন থেকে অন্তত ১০০ ফুট দূরে দাঁড়ান।
✔️ বিদ্যুতের খুঁটি, তার, গাছের নিচে দাঁড়ানো ❌
✔️ সম্ভব হলে খোলা মাঠে অবস্থান নিন।

🆘 ধ্বংসস্তূপে আটকে গেলে কী করবেন? (ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ প্রোটোকল)
✔️ চিৎকার করবেন না → ধুলো ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসনালী বন্ধ করে দিতে পারে
✔️ হুইসেল থাকলে বাজান → দূর থেকে সহজে শোনা যায়
✔️ না থাকলে, দেয়াল বা পাইপে ৩ বার করে টোকা দিন → এটি আন্তর্জাতিক “SOS Rescue Signal”
✔️ মোবাইলের টর্চ অন রাখুন, কিন্তু কথা বলবেন না → ব্যাটারি বাঁচাতে হবে
✔️ মুখে কাপড় চেপে রাখুন → ধুলো কম ঢুকবে, শ্বাস নেওয়া সহজ হবে

আজ থেকেই ন্যূনতম কিছু প্রস্তুতি নিন
🔸 বিছানার পাশে জুতা, হেলমেট, হুইসেল রাখুন
🔸 ভারী আলমারি, ফ্রিজ, টিভি—দেয়ালে স্ক্রু দিয়ে ফিক্স করে রাখুন
🔸 গ্যাস সিলিন্ডার চেইন বা স্ট্যান্ড দিয়ে বেঁধে রাখুন
🔸 ঘরের দরজা যেন অটো-লক না হয়
🔸 চাবি সবসময় হাতের কাছে রাখুন
🔸 জরুরি নম্বর পরিবারে সবার ফোনে সেভ করুন

একটি লাইন মনে রাখুন:
🔸 ৪র্থ তলা বা তার উপরে থাকলে — দৌড়ানো মানে মৃত্যুর ঝুঁকি। আশ্রয় নিন।
🔸 ১ম–২য় তলায় থাকলে — প্রথম ২০ সেকেন্ডই আপনার জীবন। দ্রুত বের হন।

#ভূমিকম্প

Address

Dhanmondi
Dhaka
1205

Telephone

+8801675013696

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md Raizul Amin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md Raizul Amin:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram