Dr Bashar Vascular Surgeon

Dr Bashar Vascular Surgeon রক্তনালির রোগ অর্থাৎ 'ভাস্কুলার ডিজি?

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভাসকুলার সার্জারি সেমিনারগত মাসের ১৫ তারিখে আমন্ত্রিত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম চিকিৎস...
22/01/2025

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভাসকুলার সার্জারি সেমিনার

গত মাসের ১৫ তারিখে আমন্ত্রিত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম চিকিৎসকদের সঙ্গে রক্তনালির রোগ অর্থাৎ ভাসকুলার ডিজিজ সম্পর্কে মতবিনিময় করতে। রক্তনালির একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং রক্তনালি বিশেষজ্ঞদের সংগঠন বাংলাদেশ ভাস্কুলার সোসাইটির সভাপতি হিসেবে রক্তনালির রোগ সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা আমার অন্যতম দায়িত্ব। সঙ্গতকারণেই আমাদের এই অবহিতকরণ প্রচেষ্টার অন্যতম লক্ষ্য চিকিৎসকসমাজ। রক্তনালির রোগীরা একজন ভাসকুলার সার্জন খুঁজে পাবার অনেক আগে খুঁজে পান একজন সাধারণ চিকিৎসককে। আগেও কয়েকটি মেডিকেল কলেজে এ ধরনের আয়োজনে অংশ নিয়েছি। অধ্যাপক ডা আবুল কালাম আজাদের আমন্ত্রণে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের আয়োজনটির কথা আজও মনে পড়ে।

এবার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের আয়োজনটিও ছিলো অসাধারণ। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা মো সাদেক আলী ও সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা আব্দুস সালাম সাহেবের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চমৎকার একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় যেখানে দুই শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। আমি ‘Vascular Surgery in Bangladesh Today: What to Expect’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। প্রায় ৩৫ মিনিট দীর্ঘ এই বক্তৃতা সবাই অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন, বক্তৃতা শেষে প্রশ্ন করেছেন, আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। সেমিনারে আরো বক্তৃতা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ভাস্কুলার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা সাকলায়েন রাসেল, কোষাধ্যক্ষ ডা শামীম রেজাসহ আরো অনেকে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা এই সেমিনার থেকে কাউকে উঠে যেতে দেখিনি, সৌজন্য ও শৃঙ্খলার ব্যত্যয়ও কিছু ঘটেনি।

কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে বিদায় নেয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে চমৎকার আতিথেয়তার নিদর্শন রেখেছেন অধ্যক্ষ সাদেক ভাইসহ সকল শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ। আমার ঢাকা মেডিকেল কলেজের বন্ধু অধ্যাপক ডা সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ) দীর্ঘ ১১ বছর দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চাকরি করেছে। জাকি অধ্যক্ষ সাদেক সাহেবকে আমার কথা বলে রেখেছিলো। সাদেক ভাইও আমাদের সমসাময়িক। মানুষ হিসেবে এমন অমায়িক যে আমি বুঝলাম জাকির সুপারিশের প্রয়োজনই ছিলো না। কলেজের সামনে চমৎকার একটি বাগান। সবাই মিলে সেই বাগানের সাথে ছবি তুলে বিদায় নেবার পর থেকে চমৎকার অতিথিবৎসল এই মানুষগুলোর জন্য মনের জমিনে অন্যরকম একটা আর্দ্রতা বোধ করছি। উত্তর বঙ্গের মানুষদের ব্যাপারে আগে থেকেই উচ্চ ধারণা পোষণ করি। এরা অত্যন্ত সহজ সরল ও অতিথিপরায়ণ হয়ে থাকেন। দিনাজপুর আমার সেই ধারণাকে আরো অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে।

ধন্যবাদ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ!
দিনাজপুর
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪

সঠিক সময়ে রক্ত সরবরাহ ঠিক করার সঠিক ব্যবস্থা নেয়া গেলে এই অঙ্গহানি প্রতিরোধ করা যেতো।
08/10/2024

সঠিক সময়ে রক্ত সরবরাহ ঠিক করার সঠিক ব্যবস্থা নেয়া গেলে এই অঙ্গহানি প্রতিরোধ করা যেতো।

অক্টোবর ০১, ২০২৪ থেকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। পূর্বসূরি অ...
05/10/2024

অক্টোবর ০১, ২০২৪ থেকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। পূর্বসূরি অধ্যাপক ডা মো. ফিদাহ হোসেনের অবসরের পর আমার দায়িত্ব গ্রহনের ব্যাপারটি ছিলো স্বাভাবিক এক প্রক্রিয়া। খুব উচ্ছ্বসিত বোধ করছি এমন নয়, উচ্ছ্বসিত হবার মত কিছু ঘটেছে বলে মনেও করি না বরং মৃদু বিষন্নতার একটা অনুভূতি যেন টের পাচ্ছি। মনে হচ্ছে কেউ যেন বেলাশেষের গান গাইছে আমার কানে কানে।
কবি বলেন-
'বিন্দু বিন্দু করে জীবনের মোম গলে যায় পৃথিবীর গহবরে (Life melts drip by drip in the hollows of earth)'. মোম গলছে, মোমবাতিটি ছোট হয়ে আসছে, একসময় ফুরিয়ে যাবে। আলো বিতরণ করাই মোমবাতির কাজ। ফুরিয়ে যাবার আগে এই কাজ সে কতটুকু করে যেতে পারলো- আসল কথা সেটাই।

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগটি এখন অনেক বড়। রোগীদের জন্য শতাধিক শয্যা এবং ১২ শয্যার নিজস্ব আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত এই বিভাগটি দেশের মধ্যে সবচাইতে বড় তো বটেই এশিয়ার মধ্যেও অন্যতম বৃহৎ। এরপরও যখন প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগীর ভীড় ও ভর্তির জন্য অপেক্ষমান রোগীর লম্বা সারি দেখি, তখন বুঝি চাহিদার তুলনায় এ আয়োজনও অপ্রতুল। আরো বুঝি- দেশে রক্তনালির রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে। সারা দেশ থেকে রক্তনালির রোগীদেরকে এখানে পাঠানো হয়। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রজনতার চিকিৎসায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগ। নজিরবিহীন এক আয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে শতাধিক আহত ছাত্রজনতার চিকিৎসাসেবা প্রদান করে তাদের জীবন রক্ষা ও অঙ্গহানি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের রক্তনালির রোগ চিকিৎসার ইতিহাসে এ এক উজ্জ্বল মাইলফলক। কেউ হাততালি দেয়নি, হাততালির অপেক্ষায় রয়েছি এমনও নয়, স্রেফ মানবিকতা ও পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সবাই মিলে সংকটের মোকাবিলা করেছি।

আমি বাংলাদেশ স্পেশ্যালাইজড হাসপাতালেও কাজ করি, তবে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালই আমার মূল কর্মক্ষেত্র। যতদিন সরকারি চাকুরিতে আছি ততদিন ব্যাপারটা এরকমই থাকবে। ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় আমরা বিশ্বের সাম্প্রতিকতম প্রযুক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমাদের সম্পদ সীমিত কিন্তু স্বপ্ন সীমাহীন। জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ ভাস্কুলার সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দেশের রক্তনালি রোগীদের চিকিৎসাসেবার আধুনিকায়নে নেতৃত্ব দিতে চাই। সবার সহযোগিতা ও দোয়াপ্রার্থী।

ঢাকা
অক্টোবর ০৫, ২০২৪

My recent online talk at the 23rd annual congress of the Asian Society for Vascular Surgery.
07/11/2022

My recent online talk at the 23rd annual congress of the Asian Society for Vascular Surgery.

প্রসঙ্গ কেমোপোর্ট (Chemoport)ক্যান্সারের রোগীদেরকে শিরার মাধ্যমে কেমোথেরাপি দেয়ার প্রয়োজন হয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রদা...
01/05/2022

প্রসঙ্গ কেমোপোর্ট (Chemoport)
ক্যান্সারের রোগীদেরকে শিরার মাধ্যমে কেমোথেরাপি দেয়ার প্রয়োজন হয়। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রদাহের কারণে হাতের শিরাগুলো শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায় যা পরবর্তীতে অনেক ধরনের অসুবিধার কারণ হয়। কেমোথেরাপির জন্য হাতের শিরার অধিকতর সুবিধাজনক বিকল্প হিসেবে বুকের উপরের দিকে চামড়ার নিচে একটি 'পোর্ট' স্থাপন করা হয়। এই পোর্টের সাথে সংযুক্ত একটি নল চামড়ার নিচ দিয়ে ঘাড়ের মোটা শিরার (Jugular vein) মাধ্যমে হার্টে প্রবেশ করে। পোর্টের পর্দার ভেতরে স্যালাইনের (infusion) মাধ্যমে দেয়া ওষুধ এর সাথে সংযুক্ত নলের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে। উল্লেখ্য পোর্টটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। উন্নত বিশ্বে কেমোথেরাপির জন্য হাতের বা পায়ের শিরা নয়, কেমোপোর্ট ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশেও ভাস্কুলার সার্জনরা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনে কেমোপোর্ট স্থাপনের কাজ করে থাকেন।

রাইসার বয়স ৮। নেফ্রোটিক সিনড্রোম (Nephrotic Syndrome) নামের জটিল এক কিডনির রোগে ভুগছে সে। ৪/৫ দিন আগে তার ডান পা'টি হঠাৎ...
03/02/2022

রাইসার বয়স ৮। নেফ্রোটিক সিনড্রোম (Nephrotic Syndrome) নামের জটিল এক কিডনির রোগে ভুগছে সে। ৪/৫ দিন আগে তার ডান পা'টি হঠাৎ ঠান্ডা হয়ে ব্যথা করতে শুরু করে। সমস্যাটি যে জমাট রক্ত (blood clot) দিয়ে হঠাৎ তৈরি হওয়া পায়ের ধমনীর ব্লক- সেটি উদঘাটন হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলাফল ভয়াবহ। রাইসার ডান পা'টি হাটুর নিচ থেকে কেটে বাদ দিতে হয়েছে। রোগের নাম Acute Limb Ischemia.

Address

Bangladesh Specialized Hospital, 21, Mirpur Road, Shaymoli
Dhaka

Opening Hours

Monday 16:00 - 21:00
Tuesday 16:00 - 21:00
Wednesday 16:00 - 21:00
Saturday 16:00 - 21:00
Sunday 16:15 - 21:00

Telephone

+8809666700100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Bashar Vascular Surgeon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Bashar Vascular Surgeon:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category