মিলনতত্ত্ব

মিলনতত্ত্ব This platform empowers people with accurate knowledge about intimacy & wellbeing.

Official page of the Bangladeshi community group “মিলনতত্ত্ব (Sex Education & Solution Centre)” dedicated to promoting sex education, awareness & healthy relationships.

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে...
04/11/2025

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত।কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। কত আজগুবি কথা যে আপনাকে শুনতে হবে তার কোনো লাইসেন্স নাই।সেই আজগুবি কথার দিকে না গিয়ে একটা অদ্ভুত কিন্তু মজার ঘটনা শেয়ার করি–

দুই বান্ধবী আসছে আমার চেম্বারে।দুজনেরই বয়স ২০ বা ২১ বছরের মধ্যে।ধরা যাক, একজনের নাম "X"
আরেক জনের নাম "Y"!
X হচ্ছে আমার রোগী। Y তাকে নিয়ে এসেছে। দুজনেই আানম্যারিড।

কমপ্লেইন হল–তলপেটে ব্যথা..জ্বর জ্বর লাগে..রুচি নাই..শরীর দুর্বল..! মাথাও চক্কর দেয় মাঝে মাঝে।

পিরিয়ডের হিস্ট্রি নিলাম। সে ঠিকমত বলতেই পারলো না।

যেহেতু অবিবাহিতা সেহেতু সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করাও অশোভন।একটা আল্ট্রাসাউন্ড আর একটা প্রসাব পরীক্ষা দিলাম।
আল্ট্রাসাউন্ডে দেখি ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট। অবাক হইনি।কারণ এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু না। সব সনোলজিষ্টই এমন ঘটনা অহরহ ফেস করেন।
মেয়েটি যতটুকু নাটক করা দরকার সব করল । কিভাবে কি হলো সে জানেই না ।

এতেও অবাক হইনি । অনেকের বাতাসেই পেটে বাচ্চা আসে এ ঘটনাও আমরা জানি । এসব ক্ষেত্রে আমি একদম নিশ্চুপ থাকি।আমার ডায়াগনোসিস বলে আমি চুপ । যত বড় পূর্ণদৈর্ঘ‍্য বাংলা ছায়াছবিই হোক আমি চুপ তো চুপ ।

যাহোক, একটা আানম্যারিড মেয়ে প্রেগন্যান্ট এটা কিন্তু মূল বিষয় না ।

মূল বিষয়ে আসি এবার -
বাচ্চা যেভাবেই আসুক(বাতাসে,স্বপ্নে,আগুনে, অথবা পানিতে ভেসে ভেসে) যেহেতু মেয়েটি আনম্যারিড সেহেতু সে বাচ্চা রাখবে না ।
আমি যেহেতু টারমিনেশন করি না এবং এ রিলেটেড অ্যাডভাইসও দেই না সেজন্য আমি পেশেন্টকে ছেড়ে দিছি ।
কিন্তু পেশেন্ট এম আর (বাচ্চা নষ্ট করার পদ্ধতি )এখানেই করবে । রীতিমত হাতে পায়ে ধরাধরি । কান্নাকাটি । ম্যাডাম কি হবে আমার ? আমাকে বাচাঁন ।

পরে পেশেন্টকে বুঝিয়ে কাউন্টারে পাঠাইছি ।
কাউন্টার আর আমার চেম্বার পাশাপাশি। উপরে খোলা। মাঝখানে থাইগ্লাস দিয়ে পার্টিশন করা। কথা বার্তা সব শোনা যায়।
যেহেতু কৃমিনাল অ্যাবরশন,হসপিটাল কর্তৃপক্ষও মুখিয়ে থাকে। টাকার পরিমাণ নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছিলো।
টাকার পরিমাণ শুনে রোগীর বান্ধবী উত্তেজিত হয়ে উচ্চস্বরে বলে উঠল–"এখানে এত বেশি চান কেন ? আমি গতমাসে করাইছি ৩০০০ টাকা দিয়ে !

কি বুঝলেন ? না বুঝলে জাতীয় ওষুধ নাপা খান!

-ডা.ফাহমিদা মাহবুবা

আব্বারা, একটু চোখ বন্ধ করে আম্মাদের জড়িয়ে ধরে অন্তর দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করবেন, আপনার প্রাণপ্রিয় বাচ্চারা সেখান থেকেই ...
02/11/2025

আব্বারা, একটু চোখ বন্ধ করে আম্মাদের জড়িয়ে ধরে অন্তর দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করবেন, আপনার প্রাণপ্রিয় বাচ্চারা সেখান থেকেই দুনিয়ার বুকে এসেছে। আম্মা কিন্তু অনেক অনেক বেশি ভালবাসার দাবীদার আব্বা। ভালবাসায় পরিপূর্ণ করে দিন সংসার। কল্যাণ হোক আমাদের প্রাণপ্রিয় বাচ্চাদের।

সংসারগুলো হয়েছে এখন অশান্তির জাহান্নাম। বাচ্চা মানুষ হবে কিভাবে!! প্রায় প্রতিটি বাচ্চা বড় হচ্ছে মানসিক ট্রমা নিয়ে।

আবার বলছি এই দেশ কেয়ামত পর্যন্ত বসবাসযোগ্য হবে না। আপনি ২০/২২ কোটি মানুষকে কখনোই পথে আনতে পারবেন না। এই সীমিত ভূমির মাঝে এই সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। অমানু**ষ ছাড়া মানুষ আর খুঁজে পাবেন না। দুষিত রাজনীতি, দুষিত আমলাতন্ত্র, দুষিত সরকারিতন্ত্র এদেশ থেকে কখনোই দূর হবে না।

কাজেই নিজের ঘরের দিকে মনোযোগ দিন। বাচ্চাদের সুসন্তান বানান। ভাল মানুষ বানান। তাদের সত্যবাদী বানান। এতে লাভ হবে আপনার। এরপর দেশ ও দশের।

তার আগে নিজের সংসারে শান্তি আনুন। আব্বাদের প্রতি অনুরোধ শুধু চামড়াকে গন্ডারের চামড়া বানাবেন। ওপারে যতোই চিৎকার, চেঁচামেচি, রাগ আর ভাঙ্গাভাঙ্গি হোক, হয় শুধু হাসবেন, নাহয় বাচ্চাদের সাথে খেলবেন। নাহয় আমার মত ঠেসে জড়িয়ে ধরবেন। খেল খতম।

আম্মাদের প্রতি অনুরোধ আব্বাদের প্রতি যথাযথ মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা করবেন। প্লিজ অবজ্ঞা করবেন না।

স্ত্রীর প্রতি হিরোইজম এবং চে**ঙ্গি*স খান আর হা**লা.কু খান হয়ে সংসারে শান্তি কখনোই আনতে পারবেন না। কোনো ধর্ম আর কর্মেই সেটা অনুমোদিত নয়।

(পরকীয়া আর অমানুষ বাদে)

© Mahbub Kabir Milon

প/র্ন এবং এসকর্ট  বিজনেস নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদেরকে কয়েকটা  তথ্য দিই । প্রাচীন গ্রিসে এই বিজনেসের সাথে যেসব নারীরা যুক্...
01/11/2025

প/র্ন এবং এসকর্ট বিজনেস নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদেরকে কয়েকটা তথ্য দিই । প্রাচীন গ্রিসে এই বিজনেসের সাথে যেসব নারীরা যুক্ত ছিলেন তাদেরকে ৩ টা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হতো । সেগুলো হচ্ছে ডিক্টারাইডস , এলুট্রাইডস এবং হেটাইরি ।

প্রথম গ্রুপটা ছিল ব্রোথেলের বাসিন্দা । অল্প দাম । খদ্দের আসবে , কাজ করবে চলে যাবে । এদের শিক্ষা দীক্ষা ছিল না । তবে ব্রোথেলে আসার পর সেক্স টেকনিক গুলো শেখানো হতো ভালোভাবে । ঠিক আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের ব্রোথেলগুলোর মতো ।

২য় গ্রুপটা মানে এলুট্রাইডস ছিল সমাজের কালচারে অংশ নেয়া মেয়েরা । অর্থাৎ নাচ , গান , কবিতা , নাটক , যাত্রা এসবের সাথে যুক্ত ছিল । এদেরকে কাছে পেতেও গ্রীসের মানুষজন অর্থ খরচ করতো । এক রাতের জন্য পেতে গেলে ৫০ স্বর্ণ মুদ্রা খরচ করতে হতো সেই সময়ে । কোথাও কি মিল খুজে পাচ্ছেন ? জ্বি আপনি চোখের সামনে বর্তমানে যারা ভেসে উঠেছে তারাই এই গ্রুপটা ।

আর সবচেয়ে ভালো আর উন্নতমানের ছিল হেটাইরি গ্রুপটা । এরা ছিল উচ্চ শিক্ষিত , মার্জিত , রুচিশিল , স্বাধীন । গ্রীসের ধনীরা এদের সংগ পেতে প্রচুর অর্থ খরচ করতেন । এমনকি নিজের বৈধ স্ত্রীকে সাথে নিয়েও তাদেরকে ভোগ করতেন । বলুন তো দেখি এই গ্রুপটা এখন কাদের সাথে মিলে যাচ্ছে ? যে কোন নিয়োগের সময় যে পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট , সেক্রেটারি চাওয়া তাদের একটা বড় অংশ কিন্তু এমন কাজ করে থাকে যেটা কম বেশি সবাই জানে ।

বলা ভালো সেই সময়েই তারা প্রচুর অর্থ ইনকাম করতেন এবং সরকারী কোষাগারে রাজস্ব জমা দিতেন । সরকার নিজ উদ্যগে তাদের রেভিনিউ পাওয়ার আশায় , ব্যবসাটাকে সহজ করে দিতেন । যদিও সেই সময়ে গ্রীসের অনেক ব্রোথেলই প্রাইভেটাইজেশন হয়ে গেছিল ।

তো প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই বিজনেসটার বর্তমান বাজার মূল্য কতো জানেন ?
প্রায় ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার , যার মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার আসে শুধু আমেরিকা থেকেই । আর আমেরিকার সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ছে জাপান , কানাডা সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ।

আমেরিকাতে ১৩-১৭ বছর বয়সি ৭৩ ভাগ ছেলে মেয়ে প/র্ণ দেখে থাকে । এদের মধ্যে ২৮ ভাগ ছেলে মেয়ে এক্সিডেন্টালি প/র্ণে এক্সপোজড হয় । ১৯ ভাগ ছেলে মেয়ে ইনটেনশনালি এই জিনিসটা নিয়ে সার্চ করে ।

বৃটিশদের মধ্যে ১১-১৬ বছর বয়সী প্রায় ৪৪ ভাগ ছেলে মেয়ে পর্ণ দেখে থাকে । এবং অনেকে এটাও মনে করে তাদের সেক্স এডচুকেশইনে পর্ণের ভূমিকা আছে ।

এই যখন বিজনেসের অবস্থা , তখইন আপনি চাইলেই এক ধ্যাক্কায় সেটা বন্ধ করতে পারবেন না । দিন কয়েক আগে একটা বাংলাদেশি কাপল এক্সপোজ হয়েছে । আপনার কি ধারনা বাংলাদেশ এতোটুকুতেই আটকে আছে ?

ভুল ধারণা ।
ব্রোথেলে যাওয়ার যুগ বহু আগেই শেষ হয়েছে । এখন দরকার টাকা । হাতে নটের তাড়া নিয়ে দাড়ান । যা চান , যেমন চান ,যেভাবে চান সব পাবেন ।

এখন থেকে বছর ছয়েক আগেই মিডিয়াতে দেখেছিলাম পার্কে ক্যামেরা সামনে ধরা খাওয়া স্কুল কলেজের মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় প্রেম করতে যায় । এরা কোন অশিক্ষিত কম জানা বুঝা মেয়ে নয় । শিক্ষিত , স্মার্ট এবং কথিত ভালো পরিবারের ।

বাইসেক্সসুয়াল ম্যান ।
মাল্টিন্যাশানালে জব করে । নিজের স্ত্রীকে দিয়ে বিজনেস করায় । স্ত্রীও খুশি মনে কাজ করছে ।
প্রচুর টাকা কামায় । পুলিশের হাতে ধরা খাওয়ার পর আবার সেই টাকার খেলা দেখিয়ে বেরিয়েও আসে ।

এই বিজনেস আসলে হিজাব , ধার্মিক ,আস্তিক ,নাস্তিক দেখে হয় না । আর দশটা বিজনেসের মতো এটাও জাস্ট একটা বিজনেস । খাটি বাংলায় কথাটা ভালো শোনায় না । স্মার্ট ইংলিশে বলে এসকর্ট ।

আমি তাই সব সময় বলি , হাতে যতক্ষন টাকা আছে , পাশে থাকার মানুষের ( খেয়াল করে ) অভাব নাই :-)

Arafat Abdullah

ফোরপ্লে / সহবাস করার সময় পুরুষ লিঙ্গে অথবা  স্ত্রীলিঙ্গে মুখ দেওয়া যাবে কি না?উত্তর➤এক. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে...
29/10/2025

ফোরপ্লে / সহবাস করার সময় পুরুষ লিঙ্গে অথবা স্ত্রীলিঙ্গে মুখ দেওয়া যাবে কি না?

উত্তর➤

এক. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে সব উপায়ে সুখ নেয়ার অনুমতি ইসলামে আছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ

তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর। (সূরা বাকারা, ২২৩)

তবে এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা বাঞ্ছনীয়। যথাক্রমে-

১- যে উপায়ে সুখ নেয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, তা পরিহার করতে হবে। যেমন, মলদ্বারে সহবাস এবং ঋতুবতী ও প্রসব পরবর্তী সময়ে নির্গত রক্তস্রাব অবস্থায় সহবাস।

২- স্বামী-স্ত্রী পরস্পর থেকে সুখ ভোগ করার সময় ইসলামী শিষ্টাচার ও নীতি-নৈতিকতার প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।

দুই. এবার আসা যাক, স্ত্রীর যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া প্রসঙ্গে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোরআন হাদিসে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না বিধায় বিষয়টিকে অকাট্য হারাম বলার সুযোগ নেই। তবে এর মাঝে ইসলামী শিষ্টাচার-বহির্ভূত কিছু দিক রয়েছে। যেমন,

১. লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না।

২. মানুষের শরীরের সবচেয়ে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।

৩. মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান চুমো দেয়া বা Suck করা বড় গর্হিত কাজ।

৪. মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এসব কারণে ফকিহগণ এটাকে মাকরুহ বলেছেন। তবে সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে কিছু ফকিহ লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার (লেহন নয়) অবকাশ দিলেও এটাকে পরিহার করাকে উত্তম বলেছেন। যেমন, প্রসিদ্ধ হানাফি ফকিহ বুরহানুদ্দীন মাহমুদ ইবন তাজুদ্দীন রহিমাহুল্লাহ বলেন,

إذا أدخل الرجل ذكره في فم امرأته يكره لأنه موضع قراءۃ القرآن فلا یلیق به إدخال الذکر به

যদি পুরুষ নিজের লজ্জাস্থান স্ত্রীর মুখে প্রবেশ করায় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কেননা, মুখ কোরআন তেলাওয়াতের স্থান। সুতরাং এখানে লজ্জাস্থান প্রবেশ করানো অনুচিত। (আল্মুহীতুল বুরহানী ৮/১৩৪)

দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা উত্তরে লিখেছেন,

تقبیل أحد الزوجین ف*ج الآخر میں ان آداب کی رعایت ناممکن ہے، پھر زبان جس سے اللہ کا ذکر کیا جاتا ہے اس سے شرمگاہ کو بوسہ لینا وغیرہ کسی بھی طرح مناسب معلوم نہیں ہوتا، نیز یہ جانوروں کا طریقہ ہے؛ اس لیے بہرصورت ایک مسلمان کو اس سے پرہیز کرنا چاہیے، باقی اگر کسی نے غلبہ شہوت میں ایسی حرکت کرلی اور شرمگاہ پر نجاست نہیں لگی ہوئی تھی تو ناجائز یا حرام نہیں کہا جائے گا۔

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের লজ্জাস্থানে চুমো দেয়ার মাঝে এসব (ইসলামী) শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখা অসম্ভব। তাছাড়া যবান যা দ্বারা আল্লাহর জিকির করা হয় তা দ্বারা লজ্জাস্থানে চুমো ইত্যাদি দেয়া কোনোভাবেই সঙ্গত মনে হয় না। এটা পশুদের স্বভাবও বটে। তাই একজন মুসলমানের উচিত সর্বাবস্থায় এ থেকে বিরত থাকা। তবে কেউ যদি অত্যাধিক উত্তেজনার কারণে এ কাজ করে ফেলে এবং লজ্জাস্থানে নাপাকি না থাকে তাহলে নাজায়েয কিংবা হারাম বলা যাবে না।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

এটা দুর্ঘটনা নয়! এটা দায়িত্বে অবহেলাজনিত হত্যা!এই দেশটা বহু আগেই মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে, কারো সময়ের কোন দাম নাই৷ কা...
26/10/2025

এটা দুর্ঘটনা নয়! এটা দায়িত্বে অবহেলাজনিত হত্যা!

এই দেশটা বহু আগেই মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে, কারো সময়ের কোন দাম নাই৷ কারো কাছে কৈফিয়ত দেওয়ার কেউ নাই!!

এই দেশে আপনি বাসা থেকে বের হবার সময় অবশ্যই পরিবারের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হবেন, কারণ আপনি বেচেঁ ফিরবেন নাকি লাশ হয়ে ফিরবেন, তার কোনো গ্যারান্টি এইখানে নাই! কোনোদিন ছিলোও না!

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী।

26/10/2025

প্রশ্ন : শ্বশুর মারা যাবার পর স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করাতে কোন বিধিনিষেধ আছে কি? কিছু লোক আমার স্ত্রীকে বলেছে যে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত এ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমার নির্ভরযোগ্য তথ্য জানা দরকার।

উত্তর :
সর্বোচ্চ তিনদিন পর্যন্ত বিরত থাকতে পারে। শোক পালন হিসেবে। কিন্তু এটাও জরুরী নয়। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দিন স্বামী ছাড়া অন্য কোন আত্মীয়ের জন্য শোক পালন করার অনুমতি নেই।

তাই পিতা মারা গেলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত স্ত্রী সহবাস করা যাবে না মর্মে যে কথাটি শুনেছেন তা সম্পূর্ণই গলদ ও ভুল। শরীয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।

عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَتْ: لَمَّا أَتَى أُمَّ حَبِيبَةَ نَعِيُّ أَبِي سُفْيَانَ، دَعَتْ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ بِصُفْرَةٍ، فَمَسَحَتْ بِهِ ذِرَاعَيْهَا، وَعَارِضَيْهَا، وَقَالَتْ: كُنْتُ عَنْ هَذَا غَنِيَّةً، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ تُحِدَّ فَوْقَ ثَلَاثٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا»

যায়নাব (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন, যখন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী উম্মু হাবীবা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর পিতা আবূ সুফিয়ান ইন্তেকাল করেন তখন আমি তাঁর কাছে গেলাম। আমি দেখতে পেলাম যে, উম্মু হাবীবা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হলদে বর্ণের মিশ্রিত সুগন্ধি আনালেন অথবা অন্য কোন প্রসাধনী চেয়ে পাঠালেন। এরপর তা থেকে একটি বালিকাকে নিজ হাতে লাগিয়ে দিলেন। এরপর তিনি তার দুই কপালে হাত মুছে নিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিলনা। তবে আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে, সে মহিলার জন্য তার কোন আত্নীয়ের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশী শোক পালন করা হালাল নয়। তবে বিধবা স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪৮৬]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا المَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ»

আবূ হুরাইরাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন লোক যদি নিজ স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকে আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর দুঃখ নিয়ে রাত্রি যাপন করে, তাহলে ফেরেশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত লা‘নত দিতে থাকে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৩৭]

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী হাফিজাহুল্লাহ
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার, ঢাকা

সহবাসের সময় বা ফোরপ্লে করলে, যখন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই খুব উত্তেজিত থাকে, তখন স্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শব্দ বের হয়, যেগুলো ক...
25/10/2025

সহবাসের সময় বা ফোরপ্লে করলে, যখন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই খুব উত্তেজিত থাকে, তখন স্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শব্দ বের হয়, যেগুলো কে বলা হয়, মোন, মোয়ান, মৌন বা Moan. পুরুষের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। এই শব্দগুলো সহবাসের পরিবেশ কে আরো মোহনীয় করে ফেলে। সংক্ষেপে হানিমুনের ফিল নেওয়া।

কিন্তু যদি কেউ এমন জায়গায় মিলন করে, যেখানে শব্দ বাইরে চলে যাওয়ার ভয় থাকে, যেমন টিনের ঘর বা ছোট রুমে, তাহলে লজ্জা বা ভয়ে অনেকে মুখ চেপে রাখে, শব্দ হতে দেয় না। এতে সহবাসের আনন্দটা পুরোপুরি পাওয়া যায় না। তাই চেষ্টা করা উচিত এমন জায়গায় মিলন করা, যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্বাভাবিকভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, ভয় বা সংকোচ ছাড়া।

যারা শুধু নাকের পানি ফেলার তালে থাকে, এদেরকে পানিপরা দিয়ে হলেও এসব বিষয় বুঝানো উচিত।

©মিলনতত্ত্ব

মৃতদেহের ওপর বিকৃত যৌনাচার বাড়ছে, বাংলাদেশে এর শাস্তির বিধান কী?মৃতদেহ ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌনাচারের প্রবণতাকে বলা হয় নেক্...
25/10/2025

মৃতদেহের ওপর বিকৃত যৌনাচার বাড়ছে, বাংলাদেশে এর শাস্তির বিধান কী?

মৃতদেহ ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌনাচারের প্রবণতাকে বলা হয় নেক্রোফিলিয়া।

সম্প্রতি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা এক তরুণীর মৃতদেহে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মরদেহ আনা-নেওয়ার দায়িত্বে থাকা লাশবাহক।

তবে এমন ঘটনা বাংলাদেশে এবারই প্রথম নয়। এর আগে, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে এমনই আরেকটি ঘটনায় গ্রেফতার হন মর্গের পাহারাদার মো. সেলিম। ২০২০ সালে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঁচটি মরদেহে একই পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি পেয়ে তদন্তে নামে সিআইডি। গ্রেফতার হন মর্গের ডোমের সহযোগী মুন্না ভক্ত। গত সাত বছরে সামনে আসা তিনটি ঘটনাতেই ভুক্তভোগী ছিল নারীর মরদেহ।

মৃত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি, মৃতদেহ ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌনাচারের প্রবণতাকে বলা হয় নেক্রোফিলিয়া। এ ধরনের আচরণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাস্তির বিধান থাকলেও, বাংলাদেশে এমন কোনো আইন নেই। ফলে মরদেহের নিরাপত্তা কেউ নষ্ট করলে তাকে সরাসরি অভিযুক্ত করার সুযোগ নেই।

আইনজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের সব বৈশিষ্ট্য এ ধরনের ঘটনায় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেবল আইনের মারপ্যাঁচের কারণে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা কঠিন হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, আইন সংশোধন বা সংযোজন করা যেতে পারে বলেই মত তাদের।

নেক্রোফিলিয়া কী?

নেক্রোফিলিয়া এক ধরনের মানসিক অবস্থা যেখানে ব্যক্তি কোনো মৃতদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বা যৌন অনুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করে। ব্রিটানিকায় এই শব্দের অর্থ বোঝাতে বলা হয়েছে, মৃতদেহকেন্দ্রিক যৌন অনুভূতি বা কর্মকাণ্ড। এ বিষয়টিকে এক ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ বা মানসিক অসুস্থতা হিসেবে দেখা হয়।

অ্যামেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) বলছে, মৃতদেহের প্রতি যৌন আগ্রহ বা যৌন সংস্পর্শের এই প্রবণতা প্রধানত পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে, তারা নিজেরাই শিকারকে হত্যা করে। তবে প্রায়শই তারা মর্গ বা কবরের মাধ্যমে মৃতদেহের কাছে প্রবেশাধিকার পায়।

নেক্রোফিলিয়া যাদের রয়েছে তাদের ‘নেক্রোফিলিস’ বলা হয়। তারা মরদেহকে আবেগীয় ও যৌনভাবে ঝুঁকিহীন মনে করেন। সাধারণত সম্ভাব্য জীবিত সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ভয় থেকে তাদের মধ্যে মরদেহের সাথে যৌন সম্পর্কের ইচ্ছা তৈরি হয়। বাধার শিকার কিংবা প্রত্যাখ্যাত হবার সম্ভাবনা থাকবে না, এমন যৌন সঙ্গী পাওয়ার বাসনা থেকেও তারা মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে।

গবেষণা বলছে, এই ধরনের আচরণ যাদের মধ্যে রয়েছে, তারা মর্গ বা মরদেহ সামলাতে হয়, এমন কোনো কর্মসংস্থান খুঁজে নেয় যেন তারা সহজেই মরদেহের কাছে যেতে পারে এবং এর সুযোগ নিতে পারে।

যেসব পুরুষরা এই বিকৃত যৌনাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে (৯২ শতাংশ) তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।

প্রাচীনকালের সমাজেও এই ধরনের অস্বাভাবিক আচরণের উপস্থিতি ছিল। ইতিহাসবিদ হেরাডোটাস তার দ্য হিস্টোরিস বইতে লিখেছেন, মরদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মতো ঘটনা এড়াতে প্রাচীন মিশরে অভিজাত ও সুন্দরী নারীদের মরদেহ তিন থেকে চারদিন ফেলে রাখা হতো। ক্ষেত্রবিশেষে মৃতদেহ পাহারা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হতো।

মৃতদেহের নিরাপত্তায় বাংলাদেশে কী ব্যবস্থা আছে?
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার। আত্মহত্যা করা এক তরুণীর লাশ মর্গে রাখার পর তার ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত পান এবং পুলিশকে জানান। তদন্তের পর লাশবাহক আবু সাঈদকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন সাঈদ।

তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৯৭, ৩৭৭ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা করার কথা গণমাধ্যমকে নিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শিবিরুল ইসলাম।

অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে ‘মৃতদেহের অসম্মানের ফলে ধর্মীয় অবমাননা, প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক এবং ধর্ষণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম দুই ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল ২০১৯ সালে আটককৃত মুন্না ভক্তের বিরুদ্ধেও। কিন্তু দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা, অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়মবিরুদ্ধ যৌন সম্পর্কের সংজ্ঞায় জীবিত নারীপুরুষকে বোঝানোর যুক্তি উত্থাপন করেন তার আইনজীবী। ফলে এই ধরনের যেকোনো ঘটনায় আইনের এমন মারপ্যাঁচ দেখিয়ে অপরাধীর পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

এছাড়া বাংলাদেশে যেকোনো মরদেহের ময়নাতদন্ত হয় সরকারি হাসপাতালে। আর বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটা তিনটি ঘটনাই ঘটেছে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে, যার দায়িত্বে থাকেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক।

এর আগে, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যালের ঘটনার পর যোগাযোগ করা হলে তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ হোসেন জানিয়েছিলেন যে, সেসময় মর্গে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নিরাপত্তা বাড়াতে হাসপাতালগুলোতে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার দুই বছর আগে ঢাকাতেও একই ঘটনা ঘটলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

মৃতদেহের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নতুন করে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না সে বিষয়ে জানতে বর্তমান পরিচালক ডা. মো. আবু জাফরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ধর্ষণের মামলা কেন নয়?

বাংলাদেশে নেক্রোফিলিয়ার যে তিনটি ঘটনার কথা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর সবকটিতেই বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ২৯৭ এবং ৩৭৭ ধারার প্রয়োগ করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনো পুরুষ, নারী বা পশুর সাথে প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন মিলন করে, তবে তাকে আজীবন কারাদণ্ড, অথবা সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে।

আর দণ্ডবিধির ২৯৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো উপাসনালয় বা সমাধিস্থলে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশ করে মৃতদেহের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করে, শোকপ্রকাশকারীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে বা এমন কাজ করে যা কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে তাহলে সে অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মঞ্জিল মোরশেদ জানান, ‘কাস্টম ছাড়া মৃতদেহের নিরাপত্তার জন্য কোনো আইন নেই এখনো। কিন্তু দুইটা ঘটনা ঘটার পর এই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা উচিত।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানার মতে, এই আইনে মর্গ বা হাসপাতালের মতো জায়গাগুলো অন্তর্ভুক্ত নেই। ফলে এই জায়গাগুলোয় হওয়া অপরাধ থেকে বেঁচে যাওয়ার সুযোগ আছে। একইসাথে ‘সম্মতি ছাড়া যেকোনো সেক্সুয়াল কাজই ধর্ষণের কাতারেই পড়ার কথা’ বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ জীবিত থাকা অবস্থায় সম্মতি দিতে পারে, তার ওপরে জোর বল প্রয়োগ করা হতে পারে। কিন্তু যখন একটা মৃতদেহের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, সেখানেতো তার সম্মতির কোনো ইস্যু নেই। ধর্ষণের প্রতিটি বিষয় পূরণ করা হলেও এটা কেন রেপ হবে না?’

অন্তত তিনটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে এই বিষয়ে চিন্তা করা ও ‘মৃতদেহের কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে’ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।

বিয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছেলেরা যে কাজগুলো শুরু করতে পারেনঃযাদের ওজন কমঃ১)ভালো প্রোবায়োটিক খাওয়া। এক্টেরিয়া-প্রোল্যাক...
23/10/2025

বিয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছেলেরা যে কাজগুলো শুরু করতে পারেনঃ

যাদের ওজন কমঃ
১)ভালো প্রোবায়োটিক খাওয়া। এক্টেরিয়া-প্রোল্যাক্টো-গুডগাট-প্রোবায়ো দেশি ব্র‍্যান্ডের ভেতর ভাল।
সতর্কতাঃ আইবিএসের মধ্যে শুধুমাত্র যাদের আইবিএস SIBO থেকে হয় সাধারনত তাদের জন্য হাই ডোজ প্রোবায়োটিক সাইড ইফেক্ট তৈরি করে, বাকিদের জন্য এটা সেইফ এবং কার্যকর। এক্ষেত্রে আইবিএস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

২)নিয়মিত দিনে অন্তত ৩-৪টা ডিম এবং ১৫০-২০০ গ্রাম মাছ বা গোশত খাওয়া এবং অন্তত ২০০ গ্রাম হেলদি কার্বস নেয়া(যব, বাদামী চাল, ছোলা, খেজুর, রোল্ড ওটস)

৩)রাতে যথাসময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা, সম্ভাব্য সময় রাত ১১টা

৪)নিয়মিত ভিটামিন ডি-২০০০ আইইউ সকালে খাবার পর ও জিংক-২০ মিলিগ্রাম সকালে ও দুপুরে খাবার পর নেয়া

৫)অল্প করে হলেও পুশ আপ, মাউন্টেইন ক্লাইম্বার, বাইসাইকেল ক্রাঞ্চের মত ব্যায়াম শুরু করা

৬)সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ওয়েট তোলার অভ্যাস করা

বিয়ের আগে বাড়তি ওজনের পুরুষরা যে কাজগুলো শুরু করতে পারেনঃ

১)সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন দৌড়ানো শুরু করা

২)সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ১৮ ঘন্টা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা

৩)ঘুম রাত ১১টার মধ্যে নিয়ে আসা

৪)দিনে ৮ ঘন্টার বেশি ফোন,পিসি ও টিভি না দেখা

৫)খাবারে কার্বোহাইড্রেট ৩০% এর নিচে নামিয়ে আনা এবং যথেষ্ট হেলদি ফ্যাট খাওয়া

৬)ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট নেয়া যেন হাইপারটেনশান/হাইপারইনসুলিনেমিয়া থাকলে তা থেকে হওয়া ইরেক্টাইল ডিজফাংশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বিয়ের পর পুরুষত্বহীনতার লজ্জায় পড়ার চেয়ে আগে থেকে সাবধান হয়ে যাওয়াই ভাল, তাই না??

©Muhammad Sajal

লাশকে ধ'র্ষ*ণ:হালুয়াঘাটে ২০ বছরের অনার্স পড়ুয়া এক মেয়ে আত্মহ'ত্যা করেছে গত ১৯ তারিখে। সে সু'ই*সা*'ইড নোট লিখেছিল দুই পাত...
23/10/2025

লাশকে ধ'র্ষ*ণ:

হালুয়াঘাটে ২০ বছরের অনার্স পড়ুয়া এক মেয়ে আত্মহ'ত্যা করেছে গত ১৯ তারিখে। সে সু'ই*সা*'ইড নোট লিখেছিল দুই পাতার, তাতে লেখা ছিল-

'আমার মৃ'ত্যু*র জন্য দায়ী আমার দুর্ভাগ্য। আমার মৃ'ত্যু*র কোনো কারণ নেই। এই দুনিয়া থেকে আমার মন উঠে গেছে তাই আমি চলে গেছি'।
মেয়েটির মৃ'*ত্যুতে হালুয়াঘাট থানায় অপমৃ**'ত্যুর মামলা হয়। লাশটা পুলিশ থানা হেফাজতে নেয়।

আবু সাঈদ নামে এক লোক প্রায় তিন বছর ধরে হালুয়াঘাট থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে লাশ আনা–নেওয়ার কাজ করত।

সে প্রথমে আসার পর মর্গের চাবি নিয়ে মর্গে মরদেহ রেখে আবার চাবি দিয়ে চলে যায়। পরে আধাঘণ্টা পর আবারও আবু সাইদ সুরতহাল রিপোর্ট নেওয়ার কথা বলে মর্গে ঢুকে মৃতদেহ ধ'র্ষ'ণ করে পরে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে।

পরে মর্গের কর্তব্যরত ডোম এসে মর্গ অন্ধকার দেখতে পেয়ে লাইট জালায়। এসময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন।

মরদেহ দেখে কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে ডাক্তারকে খবর দেয়। ডাক্তার এসে ময়নাতদন্ত করে ধ'র্ষ'ণের আলামত পায়।

এখানে দুটো ঘটনা ঘটেছে, প্রথমত একটা লাশ, সে লাশ হেফাজতে থাকা অবস্থাতে ধ'র্ষি'ত হয়েছে। এটা একটা সিগনিফিকেন্ট ঘটনা।

এটা রাষ্ট্রের সিস্টেমিক অবস্থা।
লাশের নিরাপত্তা দেয়ার সক্ষমতাও আমাদের নাই।

সেই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলা ও মৃতদেহ অবমাননার মামলা দেওয়া হয়েছে।

দূর্ভাগ্য আর দুনিয়ার প্রতি বিতৃষ্ণার কথা বলে যে মেয়েটি আত্মহত্যা করলো, দুনিয়া ছাড়ার পর তার লাশটা ধ'র্ষি'ত হলো! আর কতবার বাংলাদেশ রিফর্ম হলে মানুষ কিছুটা হলেও সভ্য হবে!

এখানে একটা লাশও নিস্তার পাচ্ছে না। জাস্ট ইমাজিন!

লেখা~ আরজু আহমেদ,,

অনেক বিবাহিত পুরুষই জানে না, নারীরা কথা বলতে চায় মানসিক চাপ কমানোর জন্য। পুরুষরা ভাবে, নারী কথা বেশি বলে। এতে অনেকে বিরক...
21/10/2025

অনেক বিবাহিত পুরুষই জানে না, নারীরা কথা বলতে চায় মানসিক চাপ কমানোর জন্য। পুরুষরা ভাবে, নারী কথা বেশি বলে। এতে অনেকে বিরক্ত হয়ে যায় এবং তখন জীবনসঙ্গিনীর কথা মন দিয়ে শুনে না।
আবার কেউ কেউ মনে করে, নারী কোনো অভিযোগ দিচ্ছে মানেই সে সমস্যার সমাধান দিতে হবে। তবেই সেটা সহানুভূতি প্রকাশের সেরা উপায়। কিন্তু অনেক সময় নারীরা কোনো সমাধান চায় না, শুধু অনুভূতি ভাগাভাগি করতে চায়। বরং সমাধান দিতে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
এইভাবেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। পুরুষ ভাবে, নারী অযথা অভিযোগ করছে। আর নারী ভাবে, পুরুষ তার অনুভূতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তাহলে সমাধান কী?
পুরুষকে বোঝা দরকার: সব কথা শুধু সমাধানের জন্য নয়—অনুভূতি বোঝার জন্যও শোনা দরকার। শুধু বলুন, "হ্যাঁ, বুঝতে পারছি, এটা আসলেই কঠিন!"—অনেক সময় এটুকুই যথেষ্ট।
নারীদের বোঝা দরকার: পুরুষের স্বভাবই হলো সমাধান দেওয়া। তাই কথা বলার সময় একটু দিকনির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে—"আমি আসলে শুধু তোমার সাথে শেয়ার করছি, এর বেশি কিছু না।"
একজন শুনতে শিখলে এবং আরেকজন বুঝতে শিখলে সংসারের ভুল বোঝাবুঝিগুলো সহজেই কেটে যাবে। কারণ সম্পর্ক টিকে থাকে বোঝাপড়ার ওপর, বিতর্কের ওপর নয়।

-দারুল হাদীস মাদ্রাসা, বারৈয়ারহাট

কয়েক মাসে আগে ও ক্যান্সার হাসপাতালে মানুষ রেডিও থেরাপি দিতে পারে নাই বলছে মেশিন নষ্ট। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগামী ...
17/10/2025

কয়েক মাসে আগে ও ক্যান্সার হাসপাতালে মানুষ রেডিও থেরাপি দিতে পারে নাই বলছে মেশিন নষ্ট। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগামী ১০০ বছরেও আগাবে না৷ সাধারণত একটা সরকারি হাসপাতালে আল্ট্রাসাউন্ড করায় ৩০ জন রোগী। কেনো ৩০ জন রুগী করাবে, মিনিমাম তো ২০০ জন করাতে পারে। ৪ টা মিশনে, এক মিশিনে ৫০ জন করে করলে। বাংলাদেশে শ্বাস নালীতে রিং বসাতে থোরাসিক সার্জারী বিভাগে কত দিন আগে সিরিয়াল দিতে হয়? ৫ থেকে ৬ মাস এর মধ্যে রুগী মরে ভুত হয়ে যায়। সরকারী হাসপাতালে দুনীতি থামবে?

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ ব্যাগ এফেরেসিস প্লেটলেট প্রয়োজন হয়, যা প্রতিটি কালেকশন করতে, ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পযন্ত লাগছে, আর যখন সরকার ভর্তুকি ফ্রী কিট ছিলো, প্রতি ব্যাগ এফেরেসিস প্লেটলেট কালেকশন করতে খরচ হতো, ২৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ হাজার টাকা পযন্ত, এখন সরকার ভর্তুকি ফ্রী কিট না থাকার জন্য অসহায় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা বাহিরের কিট দিয়ে প্রতি ব্যাগ এফেরেসিস প্লেটলেট কালেকশন করতে ২০ হাজার টাকা পযন্ত খরচ হচ্ছে, এই ব্যয়বহুল খরচ বহন করতে না পেরে, অনেক ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এসব মেশিন তো ২ দিন পর পর কেনা হয় ঠিকই বাট জনগন সেবা পায় না, যেমন মহাখালী জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ৮০% রোগী শাসকষ্ট বা এজ্যমা জনিত সমস্যায় যায় কিন্তু সেখানে এক্সরে করানো হয় না, অথচ এসব রুগীদের ৯০% বাহিরে এক্সরে করতে হয়।। প্রাইভেট ক্লিনিকে ৫০০-৬০০ যেখানে সরকারি ১৫০-২০০ টাকা।

যাই হোক অনেক বেশি বলে ফেললাম মনে হচ্ছে। কল্পনায় ভাবতে থাকি সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব যারা আছেন, উনারা যদি মানুষ হতো ‼️

Address

Dhaka
1000

Website

https://www.facebook.com/DesireShop.MilonTotto/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মিলনতত্ত্ব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category