01/06/2023
পুরুষের হৃদয় বিদ্ধ অমন যে অস্ত্র ক্লিওপেট্রার আধিকারে , সে সম্পর্কে তিনি অতিশয় সজাগ। তিনি কখনও থাকেন সকলের চোখের আড়ালে আবার কখনও সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দেন। এই পুড়িয়ে ছাড়খার করার মাঝে তিনি খুঁজে পান এক আনাবিল আনন্দ। কিন্তু যুবরাজ পোথিনাস তার এই খেলা বেশী দিন চলতে দিল না। তার বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর। বড় বোন ক্লিওপেট্রার প্রেমে পাগল হয়ে গেল। তখন রাণীর বয়স বিশ বছর।
যুবরাজ পোথিনাস ভিখারীর মত হাত পাতলেন ক্লিওপেট্রার কাছে। কিন্তু যুবরাজের প্রেম কঠোর ভাষায় প্রত্যাক্ষান করলেন রানী। পেথিনাস জেদ ধরেন। রাণী যুবরাজ়কে বলে দেন তুমি আমার ভাই, মায়ের পেটের ভাই, তোমার আমার মধ্যে এর বাইরে অন্য কোন পরিচয় নাই। পেথিনাস রানীকে মনে করিয়ে দেন যে, তাদের মা তার ছোট ভাইকে বিয়ে করেছেন। অতএব এই বিয়েতে কোন বাধা নাই। রানী তাকে জানিয়ে দেন অমন রীতির বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম। এই বিধানটি ছিল ফারাওদের-- মিসরীয় নয়।
পোনিথাস অপমানিত বোধ করলেন। পোনিথাসের কামনার আগুন থেকে বাঁচার জন্য ক্লিওপেট্রা আত্মগোপন করলেন। তিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখলেন কখনও পাহাড়ের গুহায় কখনও বা খেজুর পাতার ছাউনিতে আবার কখন ও না উটের পিঠে। পোনিথাস একা হলে তাকে তিনি জব্দ করতে পারতেন। কিন্তু পনিথাসের সাথে আছে সকল রাজপুরোহিতগন এবং যুবরাজের অনুগত সাভাসদ গন। মিসরীয় রীতিতে ভাইবোনের বিবাহের বিধান রয়েছে।
উচ্চাভিলাষিণী ক্লিয়পেট্রা বিশ্ববিজয়ী জুলিয়াস সিজারের চিন্তায় বিভোর। জুলিয়াস সিজারের তখন দারুন খ্যাতি চারিদিকে। রোমান সিনেটররা এই খ্যাতির নাম দিয়েছেন লাম্পট্য। ক্লিওপেট্রা সবই জানেন, তার খুব সখ এই বীরকে দেখে নেবার।