07/02/2025
বিবাহবিচ্ছেদের (ডিভোর্স) পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত নিচের কারণগুলো বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে দেখা যায়—
১. পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব
দম্পতিদের মধ্যে মতের অমিল, ভুল বোঝাবুঝি, অথবা পর্যাপ্ত যোগাযোগের অভাব থাকলে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
২. বিশ্বাসঘাতকতা বা পরকীয়া
একজন সঙ্গী যদি অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাসের সংকট দেখা দেয়, যা ডিভোর্সের অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে।
৩. পারিবারিক ও সামাজিক চাপ
অনেক সময় শ্বশুরবাড়ির বা নিজের পরিবারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ, মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন, বা পারিবারিক কুৎসা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে ঠেলে দেয়।
৪. আর্থিক সমস্যা
দাম্পত্য জীবনে আর্থিক অনিশ্চয়তা, একজনের ওপর পুরো অর্থনৈতিক দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া, বা অতিরিক্ত খরচ করার প্রবণতা ডিভোর্সের কারণ হতে পারে।
৫. ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব ও মূল্যবোধের পার্থক্য
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জীবনদর্শন, মূল্যবোধ, বা লক্ষ্যগত পার্থক্য থাকে, তাহলে সম্পর্ক ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
৬. মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন
গৃহনির্যাতন, মানসিক নির্যাতন, অসম্মানজনক ব্যবহার, বা দাম্পত্য জীবনে অবহেলা অনেক সম্পর্কের ইতি টেনে দেয়।
৭. আসক্তি (মাদক, জুয়া, প্রযুক্তি)
মাদকাসক্তি, জুয়ার প্রতি আসক্তি, বা অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতা (যেমন: সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি) দাম্পত্য সম্পর্ককে দুর্বল করে দিতে পারে।
৮. সন্তান বা সন্তান না হওয়া
অনেক দম্পতির মধ্যে সন্তান জন্ম নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে মতবিরোধ হয়, যা সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে।
৯. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বা আলাদা থাকা
কর্মসংস্থান, পারিবারিক বা অন্য কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন দূরে থাকলে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা কমে যায়, যা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
১০. আগ্রহ কমে যাওয়া ও ভালোবাসার অভাব
অনেক সময় বিয়ের পর একে অপরের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, ভালোবাসা অনুভব না হলে সম্পর্ক টিকে থাকে না।
বিবাহবিচ্ছেদ একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়। তাই সম্পর্ককে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়া ও ভালোবাসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।