SHAH JALAL HOMEO HALL

  • Home
  • SHAH JALAL HOMEO HALL

SHAH JALAL HOMEO HALL কান,নাক,গলা রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র। যোগাযোগ করুণ ঢাকা :-০১৭১৬৩১৩৭৪৩ চট্টগ্রাম :-০১৯৩৭২৭২৩৮০

15/11/2025
🧐 গলগণ্ড রোগ কী?​গলগণ্ড বা ঘ্যাগ হলো থাইরয়েড গ্রন্থির একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ফোলাভাব। থাইরয়েড গ্রন্থি হলো প্রজাপতি ...
01/11/2025

🧐 গলগণ্ড রোগ কী?
​গলগণ্ড বা ঘ্যাগ হলো থাইরয়েড গ্রন্থির একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ফোলাভাব। থাইরয়েড গ্রন্থি হলো প্রজাপতি আকৃতির একটি গ্রন্থি, যা গলার সামনের দিকের নিচের অংশে, অ্যাডামের আপেলের ঠিক নিচে অবস্থিত। এই গ্রন্থিটি সাধারণত দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু যখন এটি ফুলে যায়, তখন গলায় ফোলাভাব দেখা যায়, যাকে গলগণ্ড বলে।
​সাধারণত গলগণ্ড ব্যথাহীন হলেও, এর আকার অতিরিক্ত বড় হলে এটি শ্বাস নিতে বা গিলতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি অবিরাম কাশির কারণও হতে পারে।
​🩺 গলগণ্ড রোগের প্রধান কারণসমূহ
​গলগণ্ড হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হলো:
​আয়োডিনের অভাব: বিশ্বব্যাপী, গলগণ্ড রোগের সবচেয়ে প্রধান কারণ হলো খাবারে আয়োডিনের অপর্যাপ্ত গ্রহণ। থাইরয়েড গ্রন্থিকে থাইরয়েড হরমোন (T3 এবং T4) তৈরির জন্য আয়োডিন অপরিহার্য। আয়োডিনের ঘাটতি হলে, হরমোনের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে থাইরয়েড গ্রন্থিটি অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে বড় হয়ে যায়। আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করে এই ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে।
​গ্রেভস রোগ (Graves’ Disease): এটি এক প্রকার অটোইমিউন রোগ, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে, যা হাইপারথাইরয়েডিজম নামে পরিচিত।
​থাইরয়েডাইটিস (Thyroiditis): থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ, যা প্রায়শই সংক্রমণ বা অন্য কোনো অটোইমিউন অবস্থার (যেমন হাশিমোটো'স থাইরয়েডাইটিস) ফলে হতে পারে।
​থাইরয়েড নোডুলস: থাইরয়েড গ্রন্থিতে এক বা একাধিক পিণ্ড বা গুটি (যা সাধারণত ক্যান্সার নয়) তৈরি হলে গ্রন্থিটি ফুলে যেতে পারে।
​কিছু খাদ্যদ্রব্য: বাঁধাকপি, ফুলকপির মতো কিছু সবজি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
​বংশগত কারণ।
​✨ গলগণ্ড রোগের লক্ষণ
​গলগণ্ড রোগ ছোট হলে কোনো লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে। তবে যখন গ্রন্থিটি বড় হতে থাকে, তখন নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে:
​গলায় ফোলাভাব: ঘাড়ের সামনে একটি পিণ্ড বা ফোলা অংশ তৈরি হওয়া, যা সময়ের সাথে সাথে বড় হতে পারে।
​শ্বাস নিতে অসুবিধা: বড় গলগণ্ড শ্বাসতন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দিতে পারে।
​গিলতে অসুবিধা: খাবার বা পানীয় গিলতে কষ্ট হওয়া (Dysphagia)।
​স্বর পরিবর্তন: কণ্ঠস্বর কর্কশ হওয়া।
​অবিরাম কাশি: কোনো অসুস্থতা ছাড়াই ঘন ঘন কাশি হওয়া।
​এছাড়াও, গলগণ্ড যদি হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজম-এর সাথে যুক্ত থাকে, তাহলে সেই সংশ্লিষ্ট হরমোনজনিত রোগের লক্ষণগুলিও দেখা দিতে পারে।
​💊 গলগণ্ড রোগের চিকিৎসা ও প্রতিকার

​আয়োডিন সাপ্লিমেন্ট: যদি রোগের প্রধান কারণ আয়োডিনের অভাব হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়োডিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা বা খাবারে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
​ওষুধ:হাইপার এবং হাইপো থাইরয়োডিজম উভয় প্রকারের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে লক্ষন মিলিয়ে একজন হোমিও চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

​গুরুত্বপূর্ণ নোট: গলগণ্ড রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজে থেকে কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়
।হোমিওপ্যাথিতে বিনা অপারেশনে গলগণ্ড বা থাইরয়েড রোগ সেরে যায়।

🗣️ তোতলামি বা Stammering কী?​তোতলামি হলো কথা বলার স্বাভাবিক ছন্দের ছন্দপতন। এটি একধরনের বাক-যন্ত্রের সমস্যা যেখানে ব্যক্...
30/10/2025

🗣️ তোতলামি বা Stammering কী?
​তোতলামি হলো কথা বলার স্বাভাবিক ছন্দের ছন্দপতন। এটি একধরনের বাক-যন্ত্রের সমস্যা যেখানে ব্যক্তি কথা বলার সময় কোনো শব্দ বা শব্দের ধ্বনি বারবার উচ্চারণ করেন (যেমন: গ-গ-গ-গুরুচরণ), কথা আটকে যায় বা কথা বলার মাঝে অস্বাভাবিক বিরতি নেন। কথা বলার সময় কারো কারো মুখ বা দেহের ভঙ্গিও অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। এটি একটি স্নায়বিক (Neurological) সমস্যা যা সামাজিক এবং মানসিকভাবে ব্যক্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
​🔬 তোতলামির কারণ
​তোতলামির সুনির্দিষ্ট কোনো একক কারণ নেই। এর পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে, যেমন:
​বংশগত বা জেনেটিক কারণ: গবেষণায় দেখা যায়, তোতলামির সমস্যা অনেকাংশে বংশগত হতে পারে। পরিবারের কোনো সদস্যের এই সমস্যা থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
​স্নায়ুবিজ্ঞানগত কারণ (Neurological): কথা বলার জন্য মস্তিষ্কের যে অংশগুলি কাজ করে, তোতলামি আক্রান্ত ব্যক্তির সেই অংশগুলিতে ভাষা প্রক্রিয়াকরণে ত্রুটি বা বিলম্ব দেখা যেতে পারে। মস্তিষ্কের আঘাত বা স্নায়বিক অবস্থার ফলেও তোতলামি হতে পারে।
​উন্নয়নমূলক কারণ (Developmental): সাধারণত ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, যখন তারা নতুন ভাষা বা শব্দ শিখতে শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই তোতলামি সময়ের সাথে সাথে আপনা আপনি ঠিক হয়ে যায়।
​মনস্তাত্ত্বিক কারণ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ভীতি (যেমন: সবার সামনে কথা বলার ভয় বা সেলিসমোফোবিয়া) বা আত্মবিশ্বাসের অভাব তোতলামির সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
​পরিবেশগত কারণ: ছোটবেলায় কথা বলার জন্য বেশি চাপ দেওয়া হলে বা কঠোর পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তোতলামির প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
​✅ প্রতিকার ও চিকিৎসা
​সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চললে তোতলামি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, তোতলামিকে কখনই ব্যঙ্গ করা উচিত নয়, বরং আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহস ও সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন।
​তোতলামির জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক রোগীর লক্ষনের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিলে রোগটি স্হায়ী ভাবে আরোগ্য লাভ করে।



​কথা বলার অভ্যাসে পরিবর্তন:
​ধীরে কথা বলা: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস তৈরি করা।
​শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ: ডিপ ব্রিদিং বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে কথা বলার সময় শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা।
​ব্যায়াম: স্বরবর্ণ স্পষ্ট উচ্চারণে বারবার অনুশীলন করা এবং চোয়ালের কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।
​পরিবার ও সমাজের ভূমিকা:
​তোতলা ব্যক্তিকে কখনোই ব্যঙ্গ করা বা কথা বলতে বাধা দেওয়া উচিত নয়।
​শিশুকে অন্যদের সাথে মিশতে দেওয়া এবং তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দেওয়া খুব জরুরি।

জিহ্বায় ঘা বা আলসার একটি সাধারণ সমস্যা যা সাধারণত অ্যাপথাস আলসার নামে পরিচিত। এটি খুবই বেদনাদায়ক হতে পারে এবং খেতে, কথা...
29/10/2025

জিহ্বায় ঘা বা আলসার একটি সাধারণ সমস্যা যা সাধারণত অ্যাপথাস আলসার নামে পরিচিত। এটি খুবই বেদনাদায়ক হতে পারে এবং খেতে, কথা বলতে বা পান করতে অসুবিধা সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি কয়েকদিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।
​এখানে জিহ্বায় ঘা হওয়ার কারণ ও কিছু ঘরোয়া প্রতিকার দেওয়া হলো:
​🩺 জিহ্বায় ঘা (অ্যাপথাস আলসার) হওয়ার কিছু সম্ভাব্য কারণ:
​যদিও এই ঘা হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে:
​ভিটামিনের ঘাটতি: বিশেষ করে ভিটামিন B12 এবং C-এর অভাব।
​পেটের সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট খারাপের কারণেও মুখে বা জিহ্বায় ঘা হতে পারে।
​আঘাত: শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজার সময় খোঁচা লাগা, ভুলবশত জিহ্বায় কামড় লাগা, অথবা অতিরিক্ত গরম খাবার বা পানীয়তে পুড়ে যাওয়া।
​দাঁতের সমস্যা: দাঁত বা দাঁতের কোনো ধারালো অংশ থেকে আঘাত লাগা।
​দুশ্চিন্তা/মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
​হরমোনের পরিবর্তন: মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও এটি হতে পারে।
​🌿 জিহ্বার ঘায়ের কিছু ঘরোয়া প্রতিকার:
​জিহ্বার ঘায়ের যন্ত্রণা কমাতে এবং দ্রুত সারিয়ে তুলতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন:
​লবণ জল দিয়ে কুলকুচি: হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার কুলকুচি করলে ঘা পরিষ্কার থাকে এবং ব্যথা উপশম হতে পারে।
​মধু ও এলাচ: এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ঘা-এর জায়গায় লাগান। মধু প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
​হলুদ: দুই চা চামচ হলুদের গুঁড়া এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করুন। সেই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। হলুদ ব্যাকটেরিয়ানাশক হিসেবে কাজ করে।
​ঘি: রাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থানে সামান্য খাঁটি ঘি লাগালে ঘা দ্রুত সারতে পারে।
​অ্যালোভেরা: তাজা অ্যালোভেরার রস বা জেল সরাসরি ঘা-এর উপর লাগালে প্রদাহ কমে আসে।
​স্বাস্থ্যকর খাবার: ভিটামিন B12 এবং C সমৃদ্ধ খাবার (যেমন শাকসবজি, ফল, দুধ, দই) বেশি করে খান।
​পর্যাপ্ত জল পান: শরীরকে আর্দ্র রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
​🚨 কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
​সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মুখের ঘা আপনা আপনি সেরে যায়। তবে যদি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
​ঘা যদি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
​ঘা খুব বড় আকার ধারণ করে বা বারবার হয়।
​তীব্র ব্যথা বা জ্বর থাকে।
​ঘা থেকে রক্তপাত হয়।
​দীর্ঘদিন ধরে জিহ্বার ঘা বা আলসার থাকলে তা অন্য কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে, তাই অবহেলা না করে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত। আপনার এ ধরনের সমস্যা হলে যোগাযোগ করুণ শাহজালাল হোমিও হল ঢাকা ০১৭১৬৩১৩৭৪৩ চট্টগ্রাম ০১৯৩৭২৭২৩৮০

🤒 ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis)​ফ্যারিঞ্জাইটিস হলো গলার পেছনের অংশ, ফ্যারিংসের (Pharynx) প্রদাহ বা সংক্রমণ। সাধারণভাবে এক...
28/10/2025

🤒 ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis)
​ফ্যারিঞ্জাইটিস হলো গলার পেছনের অংশ, ফ্যারিংসের (Pharynx) প্রদাহ বা সংক্রমণ। সাধারণভাবে একে গলা ব্যথা বা গলার সংক্রমণও বলা হয়। এটি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা, যা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়, তবে কখনও কখনও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
​১. কারণসমূহ
​ফ্যারিঞ্জাইটিসের প্রধান কারণগুলি হলো:
​ভাইরাল সংক্রমণ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই (৪০-৮০%) সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা)-এর ভাইরাসজনিত কারণে এটি হয়।
​ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ: কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত স্ট্রেপ থ্রোট (Streptococcus bacteria দ্বারা সৃষ্ট), ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ ঘটে।
​অন্যান্য কারণ:
​অ্যালার্জি (ধুলা, পরাগ ইত্যাদি)
​ধূমপান বা সেকেন্ডহ্যান্ড ধোঁয়ার সংস্পর্শ
​শুষ্ক বাতাস
​গলায় অতিরিক্ত চাপ (যেমন খুব জোরে কথা বলা বা চিৎকার করা)
​২. প্রধান লক্ষণসমূহ
​ফ্যারিঞ্জাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলি হলো:
​গলায় ব্যথা বা অস্বস্তি: ক্রমাগত ব্যথা বা খসখসে অনুভূতি।
​গিলতে অসুবিধা (Dysphagia) বা ব্যথা (Odynophagia): খাবার বা তরল গিলতে কষ্ট হওয়া।
​কর্কশ কণ্ঠস্বর (Hoarseness): গলার স্বরের পরিবর্তন।
​গলা শুষ্ক হওয়া বা চুলকানি।
​জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা (বিশেষত ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষেত্রে)।
​গলায় বা ঘাড়ে ফুলে যাওয়া গ্রন্থি (লিম্ফ নোড)।
​টনসিলের উপর সাদা ছোপ বা পুঁজ (স্ট্রেপ থ্রোটের ক্ষেত্রে)।
​মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি।
​৩. কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
​বেশিরভাগ ভাইরাল ফ্যারিঞ্জাইটিস ঘরোয়া চিকিৎসাতেই সেরে যায়। তবে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
​গলা ব্যথা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে বা সময়ের সাথে আরও খারাপ হলে।
​শ্বাস নিতে বা গিলতে তীব্র অসুবিধা হলে।
​প্রচণ্ড জ্বর বা ঠান্ডা লাগা।
​লালা বা শ্লেষ্মায় রক্ত দেখা গেলে।
​গলায় বা টনসিলে বড় বা সাদা ছোপ দেখা গেলে।
​৪. চিকিৎসা এবং প্রতিকার
​ফ্যারিঞ্জাইটিসের চিকিৎসা এর কারণের উপর নির্ভর করে:
​ভাইরাল ফ্যারিঞ্জাইটিস: এর জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে জল পান।
​ব্যাকটেরিয়াজনিত ফ্যারিঞ্জাইটিস (স্ট্রেপ থ্রোট): এই ক্ষেত্র চিকিৎসার প্রয়োজন,হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অল্পদিনে রোগটি সেরে যায়।
​সহায়ক ঘরোয়া প্রতিকার:
​গরম নোনা জল দিয়ে গার্গল: এটি গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
​প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা: জল, উষ্ণ চা (আদা, মধু সহ), বা স্যুপ পান করা।
​পর্যাপ্ত বিশ্রাম: দ্রুত আরোগ্যের জন্য শরীরকে বিশ্রাম দিন।
​গলার লজেন্স বা ক্যান্ডি চোষা: এটি গলা ভেজা রাখতে সাহায্য করে।
​ধূমপান এবং ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।

গলার স্বরভঙ্গ বা গলা বসে যাওয়া একটি খুব পরিচিত সমস্যা। এটি নানা কারণে হতে পারে এবং এর জন্য সঠিক প্রতিকার জানা খুব জরুরি।...
27/10/2025

গলার স্বরভঙ্গ বা গলা বসে যাওয়া একটি খুব পরিচিত সমস্যা। এটি নানা কারণে হতে পারে এবং এর জন্য সঠিক প্রতিকার জানা খুব জরুরি।
​স্বরভঙ্গকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় 'হোরসনেস' (Hoarseness) বলা হয়, এবং এর মানে হলো গলার স্বরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন—যা ফ্যাসফেসে, কর্কশ, দুর্বল বা নিচু হতে পারে।
​🎤 স্বরভঙ্গের প্রধান কারণসমূহ
​স্বরভঙ্গ সাধারণত স্বরযন্ত্র (Larynx) এবং স্বররজ্জু বা ভোকাল কর্ডের (Vocal Cords) স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার কারণে ঘটে। প্রধান কারণগুলো নিচে দেওয়া হলো:
​১. ল্যারিনজাইটিস বা স্বরযন্ত্রের প্রদাহ:
​এটি স্বল্পমেয়াদী (Acute) হতে পারে, যা সাধারণত ঠান্ডা লাগা, ফ্লু বা শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে হয়। স্বররজ্জু ফুলে যায় এবং স্বর বসে যায়।
​এটি দীর্ঘমেয়াদী (Chronic) হতে পারে, যা ধূমপান, এসিড রিফ্লাক্স (GERD), অ্যালার্জি বা অতিরিক্ত কথা বলার কারণে হতে পারে।
​২. স্বরযন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার: শিক্ষক, গায়ক, বক্তা, বা কনডাক্টরের মতো পেশার লোকেরা, যারা জোরে বা দীর্ঘ সময় কথা বলেন বা চিৎকার করেন, তাদের গলা বসে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
​৩. ভোকাল কর্ডে সিস্ট, নডিউল বা পলিপ: স্বররজ্জুতে ছোট ছোট মাংসপিণ্ড বা বৃদ্ধি তৈরি হতে পারে (যা ক্যান্সার নয়), যা স্বরের কম্পনকে ব্যাহত করে।
​৪. আঘাত বা ট্রমা: গলায় আঘাত লাগা বা হঠাৎ খুব জোরে আওয়াজ করার কারণে স্বরযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
​৫. বয়ঃসন্ধিকাল (Puberty): ছেলেদের ক্ষেত্রে এই সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্বরযন্ত্র দ্রুত বাড়ে, যার ফলে স্বর পরিবর্তন হয় এবং সাময়িকভাবে গলা ভেঙে যায়।
​৬. অন্যান্য রোগ: থাইরয়েড সমস্যা, নিউরোলজিক্যাল রোগ (যেমন পারকিনসন রোগ), বা গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর কারণেও স্বরভঙ্গ হতে পারে।
​৭. স্বরনালির ক্যান্সার: দীর্ঘস্থায়ী স্বরভঙ্গের অন্যতম মারাত্মক কারণ হলো স্বরনালি বা ভোকাল কর্ডের ক্যান্সার।
​🤒 স্বরভঙ্গ হলে করণীয় ও ঘরোয়া প্রতিকার
​বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বরভঙ্গ ঘরোয়া উপায়ে এবং বিশ্রামের মাধ্যমে সেরে যায়।
​১. কথা বলা কমিয়ে দিন: স্বরযন্ত্রকে বিশ্রাম দিন। সম্ভব হলে কথা বলা বন্ধ রাখুন বা ফিসফিস না করে খুব নিচু স্বরে কথা বলুন।
​২. গরম বাষ্প টানা (স্টিম ইনহেলেশন): গরম পানির বাষ্প মুখ ও নাক দিয়ে টানা গলার জন্য খুবই উপকারী। দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট এটি করতে পারেন।
​৩. গার্গল: হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলার উপকার হয়। লবঙ্গযুক্ত গরম জল দিয়েও গার্গল করতে পারেন।
​৪. তরল পান: প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং গলাকে ভেজা রাখুন।
​৫. আদা, মধু ও তুলসী: আদা, মধু ও তুলসী পাতার রস মিশ্রণ করে চায়ের সাথে বা গরম পানির সাথে পান করতে পারেন। এটি গলার আরাম দিতে সাহায্য করে।
​৬. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার: এগুলো স্বরযন্ত্রের প্রদাহ আরও বাড়াতে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।
​৭. ক্যাফিন ও ঝাল খাবার: এগুলো পরিহার করা উচিত, বিশেষত যদি এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকে।
​🚨 কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
​যদি আপনার স্বরভঙ্গ তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় বা এর সাথে নিচের উপসর্গগুলো থাকে, তবে দ্রুত একজন নাক,কান,গলা রোগে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
​শ্বাস নিতে বা গিলতে কষ্ট হওয়া।
​গলায় ব্যথা বা তীব্র জ্বর।
​গলায় কোনো পিণ্ড বা ফোলা অনুভব করা।
​কারণ, দীর্ঘস্থায়ী স্বরভঙ্গ কখনও কখনও ভোকাল কর্ড নডিউল বা পলিপ কিংবা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
​গলার স্বরের যত্নে মনোযোগ দেওয়া এবং এর স্বাভাবিক পরিবর্তনগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া প্রয়োজন।
​আপনি যদি এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তা হলে যোগাযোগ করতে পারেন -শাহজালাল হোমিও হল ঢাকা ০১৭১৬৩১৩৭৪৩ চট্টগ্রাম ০১৯৩৭২৭২৩৮০

🤧 এডিনয়েড (Adenoids) কী?​এডিনয়েড হল এক ধরণের লসিকা গ্রন্থি (lymphoid tissue) যা আমাদের নাকের একদম পেছনে এবং গলার সংযোগস্...
26/10/2025

🤧 এডিনয়েড (Adenoids) কী?
​এডিনয়েড হল এক ধরণের লসিকা গ্রন্থি (lymphoid tissue) যা আমাদের নাকের একদম পেছনে এবং গলার সংযোগস্থলে নরম তালুর ওপরে অবস্থিত। এটি দেখতে অনেকটা টনসিলের মতো।
​রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: এডিনয়েড আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বা মুখ দিয়ে গ্রহণ করা জীবাণু (antigens)-এর সংস্পর্শে এসে এরা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে।
​দৃশ্যমান নয়: এটি বাইরে থেকে দেখা যায় না। এক্স-রে বা বিশেষ ধরনের অ্যান্ড্রোস্কোপ (Nasoendoscope) ব্যবহার করে এটি পরীক্ষা করা যেতে পারে।
​সক্রিয়তা: সাধারণত ৪ থেকে ১০ বছর বয়সের মধ্যে এডিনয়েড সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে এবং বয়ঃসন্ধির পর ধীরে ধীরে আকারে ছোট হয়ে যায়।
​🤒 এডিনয়েড বড় হওয়ার (Adenoid Hypertrophy) কারণ
​এডিনয়েড বড় হয়ে যাওয়াকে 'এডিনয়েড হাইপারট্রফি' বলা হয়। এটি মূলত নিম্নলিখিত কারণে হতে পারে:
​সংক্রমণ: বারবার বা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ, যেমন—ঠান্ডা লাগা, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, এডিনয়েডকে প্রদাহযুক্ত ও স্ফীত করে তুলতে পারে।
​অ্যালার্জি: অ্যালার্জির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে প্রতিক্রিয়া দেখায়, যা এডিনয়েডকে ফোলাতে পারে।
​জেনেটিক কারণ: কিছু ক্ষেত্রে এটি জেনেটিক প্রবণতার কারণেও ঘটতে পারে।
​🛑 এডিনয়েড সমস্যার প্রধান লক্ষণগুলো
​এডিনয়েড বড় হয়ে গেলে প্রধানত শিশুদের মধ্যে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা যায়:
​নাক বন্ধ থাকা ও মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া: নাকের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশু মুখ হা করে ঘুমায় বা সব সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়।
​নাক ডাকা: রাতে ঘুমের মধ্যে জোরে শব্দ হওয়া বা নাক ডাকা (snoring)।
​ঘুমের সমস্যা: অতিরিক্ত মাত্রায় সমস্যা হলে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসা বা কিছু সময়ের জন্য শ্বাস বন্ধ থাকা (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া)।
​ঘন ঘন সর্দি-কাশি: বারবার সর্দি-কাশিতে ভোগা যা সহজে সারতে চায় না।
​কানের সমস্যা: এডিনয়েড কানের সঙ্গে উচ্চ শ্বাসপথের সংযোগকারী ইউস্টেশিয়ান টিউব-এর পথ বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে ঘন ঘন কানে ব্যথা, কানে সংক্রমণ, কানের ভেতরে শ্লেষ্মা বা পানি জমা (Glue Ear) এবং শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস হতে পারে।
​গলার সমস্যা: মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার কারণে ঘন ঘন গলার ইনফেকশন, খুসখুসে কাশি বা গলার স্বর বসে যাওয়া।
​দৈনন্দিন সমস্যা: মস্তিষ্কে অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য ঘুম ঘুম ভাব, পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়া এবং বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়া। রাতে বিছানায় প্রস্রাব করাও একটি লক্ষণ হতে পারে।
​এডিনয়েড ফেসিস: দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে শিশুর চেহারায় পরিবর্তন আসে, যেমন—উপরের পাটির সামনের দাঁত উঁচু হয়ে যাওয়া, মাড়ি নরম হওয়া, নাক চেপে যাওয়া এবং সামগ্রিকভাবে চেহারায় একটা হাবাগোবা ভাব আসা। এটিকে 'এডিনয়েড ফেসিস' বলা হয়।
​🧑‍⚕️ এডিনয়েডের চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি যেহেতু লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা, রুগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষনের উপর নির্ভর করে ঔষধ সেবন করলে বিনা অপারেশনে রোগটি সহজেই সেরে যায়।

নেজাল হাইপারট্রফি (Nasal Hypertrophy), যা সাধারণত নেজাল টারবিনেট হাইপারট্রফি (Nasal Turbinate Hypertrophy) বা বাংলায় 'ন...
25/10/2025

নেজাল হাইপারট্রফি (Nasal Hypertrophy), যা সাধারণত নেজাল টারবিনেট হাইপারট্রফি (Nasal Turbinate Hypertrophy) বা বাংলায় 'নাকের মাংস বৃদ্ধি' নামে পরিচিত, এটি নাকের একটি সাধারণ সমস্যা।
​👃 নেজাল হাইপারট্রফি কী?
​নাকের অভ্যন্তরে তিনটি শেল্ফের মতো কাঠামো থাকে, যাদেরকে টারবিনেট বা নাসাল কঙ্কি বলা হয় (ইনফেরিওর, মিডল এবং সুপিরিয়র টারবিনেট)। এই টারবিনেটগুলির প্রধান কাজ হলো নাক দিয়ে প্রবেশ করা বাতাসকে গরম ও আর্দ্র করা।
​যখন কোনো কারণে এই টারবিনেটের টিস্যুগুলি (বিশেষত নিচের বা ইনফেরিওর টারবিনেট) অস্বাভাবিকভাবে বড় বা ফুলে যায়, তখন সেই অবস্থাকেই নেজাল টারবিনেট হাইপারট্রফি বলে। এর ফলে নাকের ভেতরের পথ সংকুচিত হয়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হয়।
​🩺 কারণসমূহ
​টারবিনেটগুলি ফুলে যাওয়ার বা হাইপারট্রফি হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে:
​অ্যালার্জি (Allergies): অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (নাকের অ্যালার্জি) সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি। পরাগ, ধুলো, পোষা প্রাণীর পশম, বা ছত্রাকের মতো অ্যালার্জেনগুলির সংস্পর্শে এলে টারবিনেট টিস্যু ফুলে যেতে পারে।
​সংক্রমণ (Infections): ঘন ঘন সর্দি, ফ্লু বা দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসের (Sinusitis) মতো ঊর্ধ্ব শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।
​প্রদাহ (Inflammation): নাকের ভেতরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ।
​নির্দিষ্ট ওষুধের ব্যবহার: কিছু নাকের ডিকনজেস্ট্যান্ট স্প্রে অতিরিক্ত বা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে 'রিবাউন্ড কনজেশন' (Rebound Congestion) হতে পারে, যা টারবিনেটের ফোলাভাবকে বাড়িয়ে তোলে।
​শারীরবৃত্তীয় কারণ: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও টারবিনেট ফুলে যেতে পারে।
​অজানা কারণ: কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
​টারবিনেট হাইপারট্রফিকে অনেকে ভুল করে নাকের পলিপ বলে মনে করেন, কিন্তু নাকের পলিপ একটি ভিন্ন রোগ।
​📝 লক্ষণসমূহ
​নেজাল হাইপারট্রফির প্রধান লক্ষণগুলি হলো:
​দীর্ঘস্থায়ী নাক বন্ধ (Nasal Congestion): নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
​নাক ডাকা (Snoring): নাক বন্ধ থাকার কারণে রাতে নাক ডাকা।
​মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া (Mouth Breathing): বিশেষত ঘুমের সময় নাক বন্ধ থাকায় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে বাধ্য হওয়া।
​গন্ধের অনুভূতি কমে যাওয়া (Reduced Sense of Smell): টারবিনেট বেশি ফুলে গেলে গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা প্রভাবিত হতে পারে।
​নাক দিয়ে রক্ত পড়া (Epistaxis): নাকের আস্তরণ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বা ঘন ঘন নাক ঝাড়লে রক্ত পড়তে পারে।
​মাথা বা মুখের হালকা ব্যথা/চাপ (Facial Pressure): বিশেষত কপালে বা মুখে চাপ অনুভব করা।
​সর্দি লাগা/নাক দিয়ে পানি পড়া (Runny Nose): অ্যালার্জির কারণে সর্দি সারা বছর ধরে লেগে থাকা।
​🔬 রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
​একজন নাক-কান-গলা (ENT) বিশেষজ্ঞ সাধারণত নাকের সাধারণ পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে নাকের এন্ডোস্কোপির (Endoscopy) মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করেন।
​চিকিৎসা পদ্ধতি হাইপারট্রফির কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে,হোমিওপ্যাথি যেহেতু লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা সে হিসেবে রুগীর লক্ষনের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।


​স্যালাইন ওয়াশ (Saline Rinses): নাকের পথ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
​অ্যালার্জি থেরাপি: যদি অ্যালার্জিই প্রধান কারণ হয়, তবে অ্যালার্জি পরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়।

​গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: আপনার যদি এই ধরনের কোনো লক্ষণ থাকে, তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কেবল একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারই দিতে পারেন। আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজই যোগাযোগ করুণ। শাহজালাল হোমিও হল ঢাকা :-০১৭১৬৩১৩৭৪৩ চট্টগ্রাম :-০১৯৩৭২৭২৩৮০

✨ টনসিল: পরিচিতি, কাজ ও সমস্যা​টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি গলার পেছনের দিকে ...
25/10/2025

✨ টনসিল: পরিচিতি, কাজ ও সমস্যা
​টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি গলার পেছনের দিকে অবস্থিত একজোড়া টিস্যু (লিম্ফ নোড বা লসিকা গ্রন্থি)।
​টনসিলের কাজ
​জীবাণু ফিল্টার: এটি একটি ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। মুখ বা নাক দিয়ে যে সব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীব শরীরে প্রবেশ করতে চায়, সেগুলোকে এটি আটকে দেয়।
​অ্যান্টিবডি তৈরি: টনসিল শ্বেত রক্তকণিকা এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের ভেতরে প্রবেশ করা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
​প্রাথমিক প্রতিরক্ষা: এটিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধের প্রথম লাইন বা প্রথম পাহারাদার বলা যেতে পারে।
​টনসিলাইটিস (Tonsillitis)
​যখন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে টনসিল গ্রন্থিগুলোতে প্রদাহ বা সংক্রমণ হয় এবং তা ফুলে যায়, তখন সেই অবস্থাকে টনসিলাইটিস বলে। এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
​টনসিলাইটিসের কারণ
​ভাইরাল সংক্রমণ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাস, যেমন সর্দি-কাশির ভাইরাস, এই রোগের জন্য দায়ী।
​ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: ১৫-৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে 'স্ট্রেপটোকক্কাস পাইজেনস' (Streptococcus pyogenes) নামক ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দায়ী থাকে।
​ঠান্ডা লাগা: ঠান্ডা লাগলে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সংক্রমণ বাড়তে পারে।
​সাধারণ লক্ষণ
​গলা ব্যথা, ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া।
​টনসিল ফুলে যাওয়া এবং লালচে হয়ে যাওয়া।
​টনসিলের ওপর সাদা বা হলুদ ছোপ দেখা যাওয়া (পুঁজ)।
​জ্বর।
​মাথা ব্যথা।
​কানে ব্যথা (কখনও কখনও)।
​বিরক্তি বা অসুস্থ বোধ করা।
​টনসিলাইটিসের চিকিৎসা ও প্রতিকার
​টনসিলাইটিসের চিকিৎসা লক্ষন কারণ এবং তীব্রতার ওপর নির্ভর করে।
​১. ঘরোয়া প্রতিকার
​হালকা বা ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে এগুলো আরাম দিতে পারে:
​বিশ্রাম: পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন।
​গার্গল: হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার গার্গল করুন। এটি ফোলাভাব ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
​তরল পান: প্রচুর পরিমাণে কুসুম গরম জল, চা, স্যুপ বা অন্যান্য তরল পান করুন।
​ঠান্ডা বর্জন: ঠান্ডা পানি, ঠান্ডা পানীয় এবং ঠান্ডা দুধ এড়িয়ে চলুন।
​ব্যাথা কমানো :-প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হোন।
​হলুদ ও দুধ: গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করলে ব্যথা কিছুটা উপশম হতে পারে।
​২. চিকিৎসা
​হোমিওপ্যাথিতে বিনা অপারেশনে ঔষধের মাধ্যমে টনসিল সেরে যায়। আমাদের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শাহজালাল হোমিও হল ঢাকা :-০১৭১৬৩১৩৭৪৩ চট্টগ্রাম :-০১৯৩৭২৭২৩৮০

নাকের হাড় বাঁকা হওয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা ডাক্তারি পরিভাষায় ডেভিয়েটেড ন্যাজাল সেপটাম (Deviated Nasal Sep...
24/10/2025

নাকের হাড় বাঁকা হওয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা ডাক্তারি পরিভাষায় ডেভিয়েটেড ন্যাজাল সেপটাম (Deviated Nasal Septum - DNS) নামে পরিচিত। নাকের মাঝখানে যে পাতলা হাড় এবং তরুণাস্থি (কার্টিলেজ) থাকে, যা দুটি নাসারন্ধ্রকে আলাদা করে, তাকে ন্যাজাল সেপটাম বলে। যখন এই সেপটাম একদিকে বা অন্য দিকে সরে যায় বা বেঁকে যায়, তখনই নাকের হাড় বাঁকা হয়েছে বলা হয়।
​প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের নাকের হাড়ে সামান্য বাঁকা থাকে, তবে এর উপসর্গ না থাকলে সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে বাঁকা বেশি হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
​নাকের হাড় বাঁকার কারণ:
​১. জন্মগত কারণ: শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে নাকের হাড় ও তরুণাস্থির বৃদ্ধির সামঞ্জস্য না থাকলে এটি বেঁকে যেতে পারে। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত এই বৃদ্ধি চলে।
২. আঘাত: ছোটবেলায় বা পরবর্তী জীবনে নাকে আঘাত পেলে (যেমন খেলার সময়, দুর্ঘটনার ফলে) হাড় সরে যেতে পারে বা বেঁকে যেতে পারে।
​উপসর্গ বা সমস্যা:
​বাঁকা হাড়ের কারণে নিচের সমস্যাগুলো হতে পারে:
​নাক বন্ধ থাকা: বাঁকা অংশে বাতাস চলাচলের পথ সরু হয়ে যায়, ফলে নাক বন্ধ মনে হতে পারে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। এটি সাধারণত একদিকে বেশি হয়, তবে সর্দি বা অ্যালার্জির সময় উভয় দিকেও হতে পারে।
​মাথাব্যথা বা মুখে চাপ চাপ অনুভূতি: অনেক সময় বাঁকা সেপটাম সংবেদনশীল টিস্যুতে চাপ দিলে মাথাব্যথা বা মুখের হাড়ে চাপ অনুভব হতে পারে।
​নাক দিয়ে রক্তপাত: বাঁকা হাড়ের পৃষ্ঠ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
​ঘন ঘন সাইনাস সংক্রমণ (Sinusitis): নাকের স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় সাইনাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
​ঘুমের সমস্যা: রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া (Snoring) বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
​সবসময় সর্দি বা গলায় অস্বস্তি।
​কানে তালা লাগার মতো অনুভূতি।
​চিকিৎসা:
​নাকের হাড় সামান্য বাঁকা থাকলে এবং কোনো সমস্যা না হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। যদি উপসর্গগুলি জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়, তবে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

​যদি আপনি এই ধরনের কোনো সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মাথা ব্যথা (Headache) একটি অত্যন্ত সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা প্রায় সবার জীবনেই কখনও না কখনও দেখা যায়। এটি মৃদু অস্বস্ত...
23/10/2025

মাথা ব্যথা (Headache) একটি অত্যন্ত সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা প্রায় সবার জীবনেই কখনও না কখনও দেখা যায়। এটি মৃদু অস্বস্তি থেকে শুরু করে তীব্র যন্ত্রণাদায়কও হতে পারে।
​মাথা ব্যথার কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:
​স্ট্রেস বা মানসিক চাপ: কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সমস্যা বা আর্থিক দুশ্চিন্তা টেনশন টাইপ মাথা ব্যথার প্রধান কারণ।
​মাইগ্রেন: এটি তীব্র, স্পন্দনশীল ব্যথা, যা সাধারণত মাথার একপাশে শুরু হয় এবং বমি বমি ভাব, আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা এর লক্ষণ।
​পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: ঘুমের অভাব বা অনিয়মিত ঘুম প্রায়শই মাথা ব্যথার কারণ হয়।
​ডিহাইড্রেশন (জলশূন্যতা): পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
​চোখের স্ট্রেন: দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা বা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা মাথা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
​খাদ্যতালিকাগত কারণ: খাবার এড়িয়ে যাওয়া, বা নির্দিষ্ট উদ্দীপক খাবার (যেমন - চকোলেট, ক্যাফেইন, প্রক্রিয়াজাত মাংস) খাওয়া।
​চিকিৎসা অবস্থা: সাইনাস সংক্রমণ, উচ্চ রক্তচাপ, বা অন্যান্য জটিল শারীরিক রোগের কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
​অত্যধিক ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার: অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের ফলেও এক ধরণের মাথা ব্যথা হতে পারে, যাকে 'মেডিসিন ওভার ইউজ হেডেক' বলে।
​মাথা ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় ও প্রতিকার:
​বিশ্রাম এবং শীতল/উষ্ণ সেঁক: একটি অন্ধকার ও শান্ত ঘরে বিশ্রাম নিন। মাথা বা ঘাড়ে ঠান্ডা বা উষ্ণ কম্প্রেস ব্যবহার করা আরাম দিতে পারে। টেনশনজনিত ব্যথার জন্য হালকা গরম পানিতে গোসলও উপকারী।
​পর্যাপ্ত জল পান: পানিশূন্যতা একটি সাধারণ কারণ, তাই মাথা ব্যথা শুরু হলে এক বা দুই গ্লাস জল পান করুন।
​আদা চা: আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ সমৃদ্ধ। আদা চা পান করলে ব্যথা উপশমে সহায়তা করতে পারে।
​আরামদায়ক ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমের লক্ষ্য রাখুন এবং নিয়মিত ঘুমের রুটিন বজায় রাখুন।
​স্ট্রেস কমানো: ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
​অ্যারোমাথেরাপি: ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট বা ইউক্যালিপটাসের মতো প্রয়োজনীয় তেলের সুগন্ধ স্নায়ুর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
​সঠিক ভঙ্গি: দীর্ঘ সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন এবং পেশী শিথিল করতে নিয়মিত বিরতি নিন।
​যদি মাথা ব্যথা তীব্র হয়, ঘন ঘন হয়, বা এর সাথে জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি পরিবর্তন বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অন্য কোনো গুরুতর লক্ষণ থাকে, তবে দেরি না করে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নাকের পলিপাস (Nasal Polyps) হলো নাকের ভেতরের সাইনাস বা নাকের প্যাসেজে (nasal passage) থাকা নরম, নিরীহ (non-cancerous) টি...
22/10/2025

নাকের পলিপাস (Nasal Polyps) হলো নাকের ভেতরের সাইনাস বা নাকের প্যাসেজে (nasal passage) থাকা নরম, নিরীহ (non-cancerous) টিস্যুর অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট ছোট ছোট মাংসপিণ্ড। এগুলো সাধারণত ফোলা এবং জেলির মতো নরম হয় এবং দেখতে অনেকটা আঙুর ফলের মতো হতে পারে। এগুলি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা অ্যালার্জির ফলস্বরূপ তৈরি হয়।
​নাকের পলিপাসের কিছু প্রধান কারণ ও ঝুঁকি:
​দীর্ঘস্থায়ী সাইনাস সংক্রমণ (Chronic Sinusitis): নাকের সাইনাসগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিত বা প্রদাহযুক্ত থাকলে পলিপাস তৈরি হতে পারে।
​অ্যালার্জি: দীর্ঘমেয়াদী অ্যালার্জি, যেমন - অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, ধুলাবালি বা ধোঁয়ার প্রতিক্রিয়া।
​অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ।
​নাকের ছত্রাক সংক্রমণ (Fungal infection)।
​সিস্টিক ফাইব্রোসিস: এটি একটি জেনেটিক রোগ যা পলিপাসের ঝুঁকি বাড়ায়।
​এসপিরিন সংবেদনশীলতা (Aspirin Sensitivity)।
​নাকের পলিপাসের প্রধান লক্ষণসমূহ:
​নাক বন্ধ থাকা বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
​নাক দিয়ে পানি পড়া।
​ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া বা সম্পূর্ণ হারানো।
​মাথা ব্যথা, বিশেষ করে সাইনাসের আশেপাশে।
​নাক ডাকার সমস্যা।
​মুখ হাঁ করে ঘুমানো।
​চিকিৎসা:
​হোমিওপ্যাথি যেহেতু লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা, সেহেতু রুগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষনের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
​প্রতিরোধে করণীয়:
​যেসব উপাদানে অ্যালার্জি হয়, তা এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন: ধুলাবালি, ধোঁয়া।
​ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।
​নাক পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ঠান্ডা লাগলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
​গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: নাকের পলিপাস বা এ ধরনের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘরে বসে চিকিৎসা করার চেষ্টা না করে ডাক্তারের পরামর্শ মতো সঠিক চিকিৎসা নিন।হোমিওপ্যাথিতে খুব সহজেই পলিপাস সেরে যায়।

Address


1219

Telephone

01716313743

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SHAH JALAL HOMEO HALL posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to SHAH JALAL HOMEO HALL:

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram