Dr. Ummey Habiba

Dr. Ummey Habiba আমরা বলিনি ভগবান মোরা মিছে এই মহাসুর,

03/06/2023

❍ তীব্র গরমে আমাদের করণীয়

হিমশীতল বা লু-হাওয়া, যে তাপমাত্রাই হোক না কেন, মানব শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া তার নিজের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে নির্দিষ্ট রাখতে চায়।

অতিরিক্ত গরমের ফলে ত্বকের নিচের ধমনীগুলো খুলে যেতে থাকে, রক্তচাপ কমে যায় এবং হৃদপিণ্ডের কাজ বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সবখানে রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদপিণ্ডকে তখন দ্রুত পাম্প করতে হয়। এর ফলে শরীরে হালকা র‍্যাশ বা দানা দেখা দিতে পারে।

• সাথে দেখা দিতে পারে আরো কিছু উপসর্গ :
মাথাঘোরা, অজ্ঞান হয়ে পড়া, বমি ভাব, মাংসপেশিতে খিঁচ ধরা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ এবং মনে দ্বিধার ভাব হওয়া। তীব্র গরমের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে, হিটস্ট্রোক।

● হিটস্ট্রোক কী?
বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন, আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে, তাকে হিটস্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

● হিটস্ট্রোক এর লক্ষণ :

১. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া

২. গরমে অচেতন হয়ে যাওয়

৩. মাথা ঘোরা

৪. তীব্র মাথা ব্যথা

৫. ঘাম কমে যাওয়া

৬. ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া

৭. শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা

৮. বমি হওয়া

৯. হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

১০. শ্বাস কষ্ট

১১. মানসিক বিভ্রম

১২. খিঁচুনি

● হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা :

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করতে হবে, তা হলো:

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।

২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে দিতে হবে।

৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

● গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন :

১। পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২। বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩। শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করুন

৪। স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫। গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬। মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭। প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ

৮। সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০। চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়

❒ শেষ কথা :
অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি আর গরমের তীব্রতায় অস্থির না হয়ে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এহেন মসিবত থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির কর্তব্য।

কারণ,
রসূল ﷺ বলেছেন, গরমের প্রচণ্ডতা হচ্ছে, জাহান্নামের নিঃশ্বাস। (সহিহ বুখারী, হাদিস: ৫৩৩)।

Dr. Ummey Habiba

23/10/2022

❒ কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা কী?

কনজাঙ্কটিভাইটিস হল কনজাঙ্কটিভার প্রদাহ বা ব্যথা, এটি হল আমাদের চোখের পাতার নিচে ঝিল্লির মতো পাতলা পর্দা যা চোখের সাদা অংশকে ও চক্ষুপল্লবের ভিতর ভাগকে ঢেকে রাখে । কনজাঙ্কটিভাইটিস মূলত ছোটো বাচ্চাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় আর তাদের থেকে এই রোগ অন্যদের চোখে ছড়ায়।

• কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের প্রধান লক্ষণ :

• সংক্রমিত চোখের সাদা অংশটি গোলাপি বা লালচে হয়ে ওঠা।
• চোখ দিয়ে জল পড়া।
• চোখে জ্বালা এবং চুলকানির ভাব।
• চোখে অতিরিক্ত পিঁচুটি আসা।
• চোখের পাতা ফুলে ওঠা ও কনজাঙ্কটিভা ফুলে ওঠা।
• চোখে অস্বস্তিবোধ হওয়া।
• চোখের ভিতরে যেন কিছু একটা রয়েছে বলে মনে হওয়া।
• চোখে দেখতে অসুবিধা হওয়া।
• আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা।
• সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় চোখের পাতায় চটচটে পদার্থ লেগে থাকা।

❍ কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রধান কারণসমূহ :

কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠার মূল কারণই হলো সংক্রমণ, অ্যালার্জি ও পরিবেশের যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী পদার্থগুলি।

সাধারণত স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ক্ল্যামাইডিয়া ও গোনোকক্কাসের মতো ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে সংক্রমণ হয়। সংক্রমণ পোকার মাধ্যমে, সংক্রমিত ব্যক্তির চোখ থেকে, আবার সংক্রমিত কসমেটিক বা প্রসাধনী দ্রব্য থেকেও ছড়ায়।
ফুলের রেণু, ধুলোর কণা, পশুপাখির লোম/পালক, দীর্ঘক্ষণ ধরে শক্ত বা নরম কন্ট্যাক্ট লেন্স একনাগাড়ে ব্যবহার করলে চোখের অ্যালার্জি হয়।
সাধারণত পরিবেশের যন্ত্রণা উৎপাদক কারণ হল দূষণ (ধোঁয়া, বাষ্প, প্রভৃতি), সুইমিং পুলের জলে থাকা ক্লোরিন ও বিষাক্ত রাসায়নিক।

❍ কনজাঙ্কটিভাইটিস নির্ণয় ও চিকিৎসা :

রোগীর চোখের রোগের পূর্বেকার ইতিহাস, লক্ষণ, উপসর্গ, চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে, চিকিৎসক (চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ) সিদ্ধান্তে আসেন যে, রোগীর কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে কি না। সংক্রমণের কারণে দেখার অসুবিধা হচ্ছে কি না, ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখেন এবং চোখের কনজাঙ্কটিভার অবস্থা, চোখের বাহ্যিক টিস্যু বা কলা ও চোখের ভিতরকার গঠনও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন চিকিৎসক।

সাধারণত, চোখ ওঠা রোগের সমস্যা সাধারণত প্রায় চার সপ্তাহ মতো থাকে। সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা চিকিৎসায় ঠিকমতো সাড়া না মেলে, তাহলে সোয়াব (চোখের পিঁচুটির নমুনা/ চোখের নির্গত বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ) সংগ্রহ করে পরীক্ষা অর্থাৎ টেস্ট করা হয়।

কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সংক্রমণের কারণ অনুযায়ী করা হয়। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দেন চিকিৎসক, ভাইরাস-ঘটিত সংক্রমণ সারতে তার নিজস্ব সময় লাগে। ঠান্ডা সেঁক ও আর্টিফিশিয়াল টিয়ার্স বা কৃত্রিম চোখের জল উপসর্গ অনুযায়ী উপশম দিতে সাহায্য করে। অ্যালার্জি ঘটিত কনজাঙ্কটিভাইটিসের জন্য অ্যান্টিহিস্টামিনস ও আই ড্রপ দেওয়া হয়। কনজাঙ্কটিভাইটিসের সময়ে কন্ট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহার পুরোপরি বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

❍ আপনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সংক্রমিত হওয়া থেকে নিম্নোক্ত উপায়গুলি দ্বারা বাঁচাতে পারেন:

• সংক্রমিত চোখ/চোখদুটি বেশি না ছোঁয়া।
• হাত ভালো করে ধোওয়া দরকার।
• নিজের তোয়ালে ও প্রসাধনী দ্রব্য অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়া।

❒ শেষকথা :
যেকোনো রোগই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। অতএব অসুস্থ হলে ভয় না পেয়ে আল্লাহর উপরে পূর্ণ তাওয়াক্কুল করুন। সবর করুন। তাঁর কাছে সুস্থতার জন্যে দুআ করুন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শিফা দানকারী। ঔষধ আর চিকিৎসকগন তো হচ্ছে কেবলমাত্র উসিলা ।

Dr. Ummey Habiba

10/10/2020

❍ রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়

হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা শরীরের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে দেয়া। এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়।

সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন। কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়। খাবারগুলো হলো :

১। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার:
শরীরে iron ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ। হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনে iron গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রনসমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, কচু, খেজুর, ইত্যাদি।

২। ভিটামিন সি:
ভিটামিন সি-এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকলি, আঙ্গুর, আমলকী, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

৩। ফলিক অ্যাসিড:
ফলিক অ্যাসিড এক প্রকার ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। লাল রক্তকণিকা তৈরিতে এটি প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, ব্রোকলিতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

৪। বিট:
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম।

৫। আপেল:
দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরো নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।

৬। ডালিম:
আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশসমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের জুস খান।

🔚 সবসময় ঔষধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান হতে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করবেন। অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

Dr. Ummey Habiba

17/05/2020

পরকে বাঁচাতে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছে যারা ভাই,
ডাক্তার তারা আর কেহো নয়; নচিকেতা বুঝেনাই!

Dr. Ummey Habiba

16/11/2019

❒ ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ

❍ ভূমিকা :
সন্তান হলো পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। তবুও মানুষ নামক নিমকহারামরা এই নিয়ামতকে গলা টিপে হত্যা করতে নূন্যতম দ্বিধাবোধ করেনা। যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করেনা তারাই সন্তান হত্যার মত জঘন্য পাপে লিপ্ত হয়। আসুন, আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বা পরিবার পরিকল্পনার নামে সন্তান হত্যার বিধান সম্পর্কে জানি।

● মৌলিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের তিনটি পদ্ধতি রয়েছে:

১। Permanent method (স্থায়ী পদ্ধতি):
যেমনঃ (ক) Tubectomy (খ) Vasectomy.
যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ অবৈধ বা হারাম।
দলিল: (উমদাতুল ক্বারীঃ ১৪/১৪ পৃঃ)

২। Temporary method (অস্থায়ী পদ্ধতি):
যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজনন ক্ষমতাহীন হয়ে যায় না। যা কেবল সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হয়। যেমনঃ

(ক)
দুই বাচ্চার জন্মের মাঝে কিছু সময় বিরতি দেওয়া, যাতে প্রথম সন্তানের লালন-পালন, পরিচর্যা ঠিকমত হয়।

(খ)
কোন কারণে মহিলার বাচ্চা লালন-পালনের সামর্থ না থাকলে।

(গ)
মহিলা অসুস্থ ও দূর্বল হওয়ার কারণে গর্ভধারণ বিপদজনক হলে।

উপরোক্ত তিন অবস্থায়
Coitus interrupts/withdraw methods (Fall of semen outside the vegina) (আযল করা), Condom, Jelly, Cream, Foam, Do**he, Pill, Cu-T, Injectable contraception পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েজ।

দলিল:
عن جابر قال كنا نعزل على عهد النبي صلى الله عليه و سلم.

হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে আযল (যা জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটা পুরনো ও অস্থায়ী পদ্ধতি) করতাম।
(বুখারী ২/৭৮৪)

৩। Abortion (গর্ভপাত ঘটানো)

এই পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারণ,

● আল্লাহ তাআলা সন্তান হত্যা করতে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন,

ولا تقتلوا أولادكم خشية إملاق، نحن نرزقهم وإيّاكم إنّ قتلهم كان خطأ كبيراً.
দারিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কর না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ।
(সূরা ইসরা, আয়াত-৩১)

● বিচার দিবসে জবাবদিহিতা করতে হবে :

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ – بِأَيِّ ذَنْبٍ قُتِلَتْ
যখন (কেয়ামতের দিন) জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে? (তাকবীর ৮-৯)

● অধিক সন্তানের প্রতি শরিয়তের উৎসাহ প্রদান :

সাধারণ অবস্থায় ইসলাম মানুষকে অধিক সন্তানলাভের প্রতি উৎসাহ দিয়েছে এবং যে সব নারীরা অধিক সন্তানের প্রসবনী হয়ে থাকে, তাদের বিবাহ করতে নির্দেশ দিয়েছে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
تزوجوا الودود الولود ، فإني مكاثر بكم الأمم يوم القيامة.

তোমরা অধিক সন্তানের প্রসবনী ও স্বামীদের অধিক ভালোবাসে এ ধরনের মেয়েদের বিবাহ কর। কারণ, কিয়ামতের দিন আমি আমার উম্মত বেশি হওয়ার কারণে আল্লাহর দরবারে গর্ব করব।
দলিল: (হায়াতুল মুসলিমিন, পিষ্ঠা-১৮৯)

সুতরাং খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদির অভাবের কারণে সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে, দৈহিক সৌন্দর্য বা ফিগার ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে , কন্যাসন্তান জন্ম নেয়ার ভয়ে (যাতে পরবর্তীতে এদের বিয়ে শাদীর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়), অধিক সন্তান নেয়াকে লজ্জার বিষয় মনে করে পরিবার পরিকল্পনার কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষত অভাবের কারণে সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা রিজিকের মালিক আল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,
الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ .
শয়তান তোমাদের অভাবের ওয়াদা দেয়।
(সূরা আল-বাক্বারা, আয়াত-২৬৮)

● রূহুদানের পর Abortion হারাম :
যদি মহিলা অত্যাধিক দুর্বল হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার জন্য আশঙ্কাজনক হয় এবং গর্ভধারণের মেয়াদ চার মাসের কম হয়। তাহলে গর্ভপাত বৈধ হবে। কারণ, চারমাসের মধ্যেই শরীরে আল্লাহ তাআলা রূহ দান করেন। চারমাসের পরে গর্ভপাত করা সর্বসম্মতিক্রমে সম্পূর্ণরূপে হারাম।

তবে চার মাস পর ও যদি সন্তানের কারণে মায়ের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে Abortion করানোর ব্যাপারে অনেক ফকিহগন মতামত দিয়ে থাকেন।

● উপসংহার :
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকাল যদিও সন্তান হত্যার পরিবর্তে নানাবিধ উপায়ে তাদের জন্মের পথ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, তবুও সন্তান জন্মানোর ফলে আর্থিক আশংকাজনিত ভুল ধারণা জন্মনিরোধের অন্যতম কারণ। সুতরাং এ বিষয়ে প্রত্যেক মুসলমানকে ভেবে চিন্তে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, দুনিয়ার সামান্য ভোগবিলাস, কষ্ট বা লজ্জার ভয়ে আমরা যেন আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ ঈমান ও আখেরাতকে বরবাদ না করে দিই। আল্লাহ সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।

Dr. Ummey Habiba

11/11/2019

◾ First Aid Box and its materials :

দুর্ঘটনায় আহত কিংবা হঠাৎ অসুস্থতায় নিপতিত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত যে নির্দিষ্ট বাক্সে রাখা হয়, তাকে ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ বলে।

যেকোনো দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তির জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসায় দুর্ঘটনায় ক্ষতির মাত্রা যেমন কমানো যায় তেমনি আক্রান্ত ব্যক্তি সেরেও উঠেন দ্রুত।

তবে ভুল প্রাথমিক চিকিৎসায় বা ভুল সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে ক্ষতির মাত্রা সামান্য থেকে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

তাই স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জরুরি মুহূর্তে কাজে লাগবে এরকম জিনিসগুলোর একটা তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

▪ প্রয়োজনীয় উপকরণ :

▪ জীবাণুমুক্ত গজ কাপড় :

ক্ষত হতে রক্ত পড়া বন্ধ করে এবং বাহ্যিক জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটা ক্ষত হতে তরল পদার্থ চুষে নেয় ও ক্ষত স্থান নিরাপদ রাখে। এটি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান রাখা প্রয়োজন।

▪ রোলার ব্যান্ডেজ :

সাধারণত ড্রেসিংকে জায়গা মতো আটকে রাখতে ও ব্যান্ডেজে চাপ দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করতে হলে রোলার ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়।

▪ কাঁচি ও চিমটা :

ব্যান্ডেজ কাটতে এবং ক্ষতস্থানে চুল বা লোম কাটতে কাঁচির প্রয়োজন হয়। ক্ষতে কাঁচের টুকরা, ময়লা কিংবা কাঁটা উঠাতে চিমটা ব্যবহার হয়।

▪ হাতমোজা :

হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং ক্ষতস্থানে হাতের প্রয়োগ করতে হাতমোজার প্রয়োজন হয়।

▪ লিউকোপ্লাস্ট :

ব্যান্ডেজকে ক্ষতের উপর আটকাতে লিউকোপ্লাস্টের দরকার হয়।

▪ পচনরোধক মলম :

ক্ষতস্থান পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক ও পচনরোধক মলম (অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম) ব্যবহার করা হয়। যেমন- স্যাভলন, ডেটল, হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড, পভিসেভ ইত্যাদি।

▪ ক্রেপ পট্টি :

হাড় ভেঙে গেলে বা মচকে গেলে ক্রেপ পট্টি (এক ধরনের ভাঁজযুক্ত পট্টি) ব্যবহার করা হয়। এতে উক্ত স্থান নড়াচড়া কম হয় যাতে হাড় সরে যাওয়া ও ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

▪ দগ্ধ মলম :

পোড়া জায়গার ব্যথা কমাতে এবং ঘা শুকাতে দগ্ধ মলম (বার্ন ক্রিম) ব্যবহার করা হয়। যথা- সিলভারজিন ক্রিম। অ্যালোভেরা জেলও পোড়া, চুলকানি ও চামড়ায় র‌্যাশ হলে ব্যবহার করা হয়। ক্যালেন্ডুলা ও আরটিকা ইউরেন্স বার্ন ক্রিম দ্রুত ব্যথা কমায়।

▪ ব্যথার ঔষধ :

প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে ব্যথানাশক ঔষধ থাকা খুব প্রয়োজন। যেমন- প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন, ডাইক্লোফেনাক ইত্যাদি। ব্যথার ওষুধের সাথে কিছু গ্যাস্ট্রিক (পাকস্থলীর) ঔষধ রাখা ভালো।

▪ অ্যান্টিহিস্টামিন :

হিস্টাসিন, ফেক্সােফেনাডিন ইত্যাদি ঔষধ প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে থাকা জরুরি। অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া, সর্দি, হাঁচি, কাশি, চুলকানি ও পোকামাকড়ের কামড়ের চিকিৎসায় কাজে লাগে।

▪ নিরাপদ পিন :

ব্যান্ডেজ আটকাতে এবং ক্ষতের কাটা বা ময়লা উঠাতে প্রয়োজন হয়।

▪ তাপমাত্রার যন্ত্র (থার্মোমিটার) :

রোগীর দেহের তাপমাত্রা মাপতে ও জ্বরের পরিমাপ করতে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়।

▪ ব্লাড প্রেশার মেশিন :

রোগীর রক্তচাপ মাপতে ব্যবহার করা হয়। সম্ভব হলে রক্তচাপ পরিমাণ যন্ত্র সর্বদা প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে রাখা উচিত।

▪ লেখার খাতা :

জরুরী ফোন নম্বর ও মন্তব্য লেখার জন্যে এবং বিশেষ করে ডাক্তর ও অ্যাম্বুলেন্স নম্বর রাখার জন্যে সবসময়ই বাক্সে একটি খাতা রাখা উচিৎ।

▪ মনে রাখবেন :

শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স থাকলেই চলবে না, তা এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনের সময় যে কেউ সেটা ব্যবহার করতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে বাক্সের কোনো ঔষধের মেয়াদ পার হয়েছে কি না, হলে তা পাল্টে নতুন ঔষধ রাখতে হবে। পরিবারের সবাইকে এই সরঞ্জামের ব্যবহার শেখাতে হবে।

➡ আমার পোস্ট দ্বারা আপনি নূন্যতম উপকৃত হলেও মন্তব্য করে জানিয়ে উৎসাহিত করবেন।

অসচেতনতাই আমাদেরকে হাসপাতালে নেয় বারবার।

Dr. Ummey Habiba

10/11/2019

◾ প্রাথমিক চিকিৎসা কি?

প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে, হঠাৎ কোনো পীড়া বা দৈব দুর্ঘটনায় হাতের কাছের জিনিসের দ্বারা রোগীকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করা, যাতে ডাক্তার আসার আগে রোগীর অবস্থার অবনতি না ঘটে বা জটিলতা সৃষ্টি না হয়। অর্থাৎ যেকোনো আকস্মিক দুর্ঘটনায় প্রথম শুশ্রূষার জন্যে যে সংক্ষিপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাকেই প্রতিবিধান বা প্রাথমিক চিকিৎসা বলা হয়।

ইনশাআল্লাহ, পরবর্তী পোস্টগুলো ফলো করলে অবলীলায় আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে উঠবেন।

সচেতনতাই হচ্ছে সকল রোগের প্রতিরোধক।

Dr. Ummey Habiba

08/11/2019

সান্তনা দিন, আশ্বাসে বাঁচে
বিশ্বাসে ভরা মন,
ডাক্তার হোক রোগীদের কাছে বন্ধু বা প্রিয়জন।

Dr. Ummey Habiba

02/11/2019

রোগী মরে গেলে রীতিমতো যদি
ডাক্তারে দোষ দাও,
তবে আল্লাতে তুমি বিশ্বাসী নহে এই কথা মেনে নাও।

Dr. Ummey Habiba

31/10/2019

❍ ৫ টি নিয়ম মানলেই শিশুর রাতের ঘুম সুনিশ্চিৎ

১। প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে দিন :

ভিন্ন ভিন্ন সময়ে জোরপূর্বকভাবে আপনার শিশুকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা না করে প্রতিদিন একই সময়ে তাকে ঘুমোতে দিন। কিছুদিন কষ্ট করে তাকে একটা রুটিনে বন্দী করে ফেলুন। দেখবেন, পরবর্তীতে তার ঘুম নিয়ে আপনাকে উত্তেজিত হতে হবেনা।

২। প্রতিদিন রুমের আলো একইরকম রাখুন :

কখনো পুরো আলো আবার কখনো হালকা আলো জ্বালিয়ে বাচ্চাকে বিরক্ত করবেন না। দৈনন্দিন রুমের আলো একইরকম রাখুন। দেখবেন, বাচ্চা ঠিকই সুন্দরভাবে ঘুমিয়ে যাবে, আপনাকে খামোখাই বিরক্ত হতে হবেনা।

৩। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে একবার গা মুছে দিন :

সারাদিনের ছুটোছুটি আর খেলাধুলার কারণে বাচ্চার গায়ে লেগে থাকা ধুলোবালি আর বিভিন্ন ধরণের অদৃশ্য ময়লা থেকে তাকে পরিষ্কার করতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে গোসল না হোক, অন্তত প্রতিদিন একবার গা মুছে দিন। দেখবেন, শান্তিতে আপনার শিশু ঘুমোচ্ছে, আপনাকে অহেতুক রাত জেগে থাকতে হবেনা।

৪। নরম ও সুতি কাপড় পরিয়ে নিন :

আমরা অনেকসময় না ঘুমানোর কারণে বাচ্চার গায়ে হাত তুলি। এটা ভীষণ নির্দয়তা। অথচ একবারো তার পরিচ্ছেদের দিকে দৃষ্টিপাত করিনা। ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই তাকে সুতি নরম কাপড় পরিয়ে দিন। দেখবেন, আপনার শিশু নিঃশব্দে ঘুমোচ্ছে, আপনাকে বেহুদা মারার সিদ্ধান্ত নিতে হবেনা।

৫। ঘুমানোর পূর্বে পেট ভরে খাইয়ে নিন :

আমরা অনেকসময় বাচ্চারা অসময়ে ঘুমিয়ে গেলে আর জাগাতে চাইনা। মাঝেমধ্যে তারা না খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। ফলে গভীর রাতে বারবার জেগে উঠে, চিল্লাহাল্লা করে। অবশ্যই রাতে ঘুমানোর পূর্বে তাকে পেট ভরে খাইয়ে নেবেন। দেখবেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাচ্চা বারবার জাগবেনা, দিব্যি ঘুমাবে। আপনাকে অনর্থক ভৌতিক বাজে চিন্তা করতে হবেনা।

🔚
আমি আগের পোস্টে আপনাদেরকে বাচ্চাদের রাতে জেগে উঠার সাধারণ কারণগুলো বলেছিলাম। আশা করি আপনারা সেই পোস্ট হতে আশ্বস্ত হয়েছেন। এই পোস্টে শিশুদের সুন্দরভাবে ঘুম পাড়ানোর পাঁচটি নিয়ম বা কৌশল বর্ণনা করলাম। এগুলো অনুসরণ করলে আশা করি আপনার শিশুর না ঘুমানোর কারণ নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা।
শিশুদের আচরণে যারা রাগান্বিত হয়, তারা প্রকৃত পিতামাতা নয়।

Dr. Ummey Habiba

Address

Dhaka

Telephone

+8801300773468

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Ummey Habiba posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Ummey Habiba:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category