Dr Abu sayed

Dr Abu sayed মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করে স্রষ্টার সন্তুষ্টি হাসিল করি
(2)

25/07/2025

আসসালামু আলাইকুম শুভ সকাল।

25/07/2025

একসাথে অনেকজন পথ চললে সহজ একা চলা কঠিন তাই আসুন সকলেই একসাথে ফেসবুকের পথ চলি। ইনশাআল্লাহ

25/07/2025

পুরুষের প্রস্টেট বড় হলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
একজন পুরুষ মানুষের প্রস্টেট বড় হলে:- ঘনঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের শুরুতে দেরি, প্রস্রাবের গতি দূর্বল হবে প্রস্রাব আটকে যাওয়া, প্রস্রাব করতে চাপ দেওয়া।❤️ এমনকি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! MD Labu Hossein, পুরাতন হুনদা, Md Mughdho, Foyjul Mondoll...
22/07/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! MD Labu Hossein, পুরাতন হুনদা, Md Mughdho, Foyjul Mondoll R

22/07/2025

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ শুভ সকাল

22/07/2025

আগুনে পোড়া রোগীদের ঘা তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য লেবু, কমলা লেবু, মাল্টা, মাছ, মাংস ,দুধ কাঁচা কলা আমলকি এগুলো খেতে হবে।

22/07/2025

শিশুদের থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা, কারণ থাইরয়েড হরমোন শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। নিচে কারণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা বিস্তারিত দেওয়া হলো:

---

✅ থাইরয়েড গ্রন্থির রোগের কারণ

1. আয়োডিনের অভাব

শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হলে থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হয়।

2. অটোইমিউন রোগ (Hashimoto’s Thyroiditis)

শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে।

3. জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা (Congenital Hypothyroidism)

শিশুর জন্মের সময় থেকেই থাইরয়েড গ্রন্থি অনুপস্থিত বা সঠিকভাবে কাজ না করা।

4. সংক্রমণ বা প্রদাহ

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।

5. ওষুধ বা চিকিৎসাজনিত প্রভাব

কিছু ওষুধ (যেমন Lithium) থাইরয়েডের কাজ কমিয়ে দেয়।

6. বংশগত কারণ

পরিবারে পূর্বে থাইরয়েড রোগের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেশি।

7. অতিরিক্ত বা কম আয়োডিন গ্রহণ

উভয়ই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

---

✅ লক্ষণ

মানসিক বিকাশে বিলম্ব

শরীরের বৃদ্ধি কমে যাওয়া

অলসতা, ক্লান্তি

ওজন বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া

ঠান্ডা সহ্য না হওয়া

কণ্ঠস্বর ভারী হওয়া

গলার নিচে ফুলে যাওয়া (গয়টার)

---

✅ প্রতিকার (প্রতিরোধের উপায়)

1. আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার

শিশুর খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত আয়োডিন নিশ্চিত করুন।

2. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

জন্মের পর স্ক্রিনিং টেস্ট করা (Congenital Hypothyroidism শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ)।

3. সুষম খাদ্য গ্রহণ

মাছ, ডিম, দুধ, দই, সমুদ্রজাত খাবার, বাদাম ইত্যাদি।

4. ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া থাইরয়েড প্রভাবিত ওষুধ ব্যবহার না করা।

5. গর্ভকালীন যত্ন

মায়ের গর্ভাবস্থায় আয়োডিন ঘাটতি রোধ করা, কারণ শিশুর থাইরয়েড বিকাশ তখনই শুরু হয়।

---

✅ চিকিৎসা পদ্ধতি

1. হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোন কম থাকলে)

Levothyroxine ট্যাবলেট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

2. হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোন বেশি থাকলে)

Anti-thyroid ওষুধ, Beta-blockers, প্রয়োজনে Radioactive Iodine থেরাপি (শিশুদের ক্ষেত্রে খুব কম ব্যবহৃত)।

3. গয়টার হলে

আয়োডিন সাপ্লিমেন্ট বা সার্জারি (জটিল ক্ষেত্রে)।

4. জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা

জন্মের পরপর চিকিৎসা শুরু করলে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।

📌 গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

থাইরয়েড সমস্যার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী এবং নিয়মিত পরীক্ষা জরুরি।

শিশুদের ক্ষেত্রে নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ করা বিপজ্জনক।

22/07/2025

নাস্তিক প্রফেসর ক্লাসে ঢুকেই তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন,
"পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কি সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন?"
একজন ছাত্র বেশ আত্নবিশ্বাসের সাথেই উত্তর দিলো, জ্বী স্যার। সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন।
"তাই নাকি! ছাত্র টির উত্তর শুনে মুচকি হাসেন প্রফেসর। সৃষ্টিকর্তা সত্যিই সবকিছু তৈরি করেছেন? তুমি ভেবে বলছো?"
ছাত্র টি আগের মত আত্নবিশ্বাসের সাথে হ্যা বোধক উত্তর দিতেই প্রফেসর আবারও প্রশ্ন করেন, "সৃষ্টিকর্তাই যদি সবকিছু তৈরি করে থাকেন তাহলে উনি তো খারাপ কেও সৃষ্টি করেছেন। তোমার উত্তর অনুযায়ী যেহেতু খারাপের অস্তিত্ব আছে এবং আমরা কি সেটা আমাদের কাজের উপর নির্ভর করেই নির্ধারণ হয়, সেই যুক্তি অনুযায়ী তাহলে সৃষ্টিকর্তা নিজেই খারাপ। কারন আমাদের ভাল-মন্দ সব গুণ উনি তৈরি করেছেন।"
প্রফেসরের এমন কথা শুনে সব ছাত্র চুপ হয়ে গেলো। কেউ কিছু বলছেনা।
ছাত্রদের চুপ হয়ে যাওয়া দেখে প্রফেসর নিজের উপর বেশ সন্তুষ্ট হলেন।
কিছুক্ষণ পর আরেকজন ছাত্র উঠে দাড়ালো। প্রফেসর আমুদে ভঙ্গীতে জিজ্ঞাসা করেন, কিছু বলতে চাও? ছাত্র টি হাসি মুখে প্রফেসরের কাছে জানতে চায়, "আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি স্যার?"
অবশ্যই করতে পারো। প্রফেসর অনুমতি দিতেই ছাত্র টি জিজ্ঞাসা করে- "স্যার, ঠান্ডা বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব আছে কি?"???

প্রশ্ন শুনে প্রফেসরের চেহারায় বিরক্তি ফুটে ওঠে। "কি গাধার মত প্রশ্ন করো! ঠান্ডার অস্তিত্ব থাকবেনা কেন? অবশ্যই ঠান্ডার অস্তিত্ব আছে। তোমার কি কখনো ঠান্ডা লাগেনি?"
এবার ছাত্র টি মুচকি হেসে উত্তর দেয়, সত্যি বলতে কি স্যার, ঠান্ডার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমরা যেটাকে ঠান্ডা বলি, পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় সেটা আসলে তাপের অনুপস্থিতি। আমরা এই "ঠান্ডা' শব্দ টিকে জাস্ট কম তাপ কিংবা তাপের অনুপস্থিতি কে ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহার করি।
কিছুক্ষণ পর ছাত্র টি আবারো প্রশ্ন করে, "স্যার অন্ধকার বলে কিছু কি পৃথিবীতে আছে?"
প্রফেসর উত্তর দেন, কেন থাকবেনা! অবশ্যই অন্ধকারের অস্তিত্ব আছে।
ছাত্র টি সহাস্যে উত্তর দেয়, আপনার ধারণা ভুল স্যার। অন্ধকার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। আমরা আলো কে নিয়ে রিসার্চ করতে পারি, আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ মাপতে পারি, আলোর গতি বের করতে পারি। কিন্তু অন্ধকারের অস্তিত্ব নেই বলেই আমরা অন্ধকার নিয়ে কোনো কিছুই করতে পারিনা। সামান্য একটা আলোক রশ্নি অন্ধকার দূর করতে যথেষ্ঠ, কিন্তু অন্ধকার কখনো আলো কে গ্রাস করতে পারেনা। কারন অন্ধকার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই, অন্ধকার হচ্ছে আলোর অনুপস্থিতি।
ছাত্র টি আবারও প্রশ্ন করে বসে। "স্যার, এবার বলেন খারাপের কি অস্তিত্ব আছে?"
প্রফেসর বেশ ক্রুদ্ধস্বরে উত্তর দেন, অবশ্যই আছে। প্রতিদিন কত মানুষ খুন হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে, এগুলো খারাপ না?"
ছাত্র টি বেশ জোরের সাথে উত্তর দেয়, "না স্যার। খারাপের কোনো অস্তিত্ব নেই, এটা হচ্ছে ভালোর অনুপস্থিতি। এটা সেই ঠান্ডা এবং অন্ধকারের মতই, মানুষের অন্তরে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালবাসার অনুপস্থিতিই এই খারাপ বা মন্দের অবস্থা তৈরি করে।
এই ছাত্রটি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত, যিনি আজ সারা বিশ্বে স্বামী বিবেকানন্দ হিসাবে পরিচিত!!
( সংগৃহীত)

21/07/2025

*🌹السلام عليـــــــــــــــــکم ورحمةالله وبرکاتــــــه*🌹 আসসালামু আলাইকুম শুভ সকাল

21/07/2025

#যে_নারী_গলার_বেড়ি
কোন কোন নারী পুরুষের জন্য বেড়িসরূপ। নারী তাকে এক জায়গায় বন্দি ক'রে রাখে, নড়তে-চড়তে দেয় না। নিজের ভুবন-ভোলানো রূপে অভিভূত ক'রে বাড়ির বাইরে যেতে বাধা দেয়। আয়-উপার্জন করতে বাধা দেয়, সময়মতো আল্লাহর ইবাদতে বাধা দেয়, আল্লাহর পথে অর্থ ও সময় ব্যয় করতে বাধা দেয়। পিতামাতার সেবা করতে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে, ভাইদের সাহায্য-সহযোগিতা করার পথে অন্তরাল সৃষ্টি করে। ভালো কাজে অগ্রসর হতে গেলে সে যেন তার পায়ে বা ঘাড়ে ধরে আটকে রাখে, যাতে সে কোন প্রকার উপায়ন্তর না পায়।
এমন নারী স্বামীর উন্নয়নের পথে বাধা হয়, হক আদায়ের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ফরয আদায়ের সম্মুখে পাহাড় খাড়া করে, কর্তব্য পালনের মুখে দেওয়াল তৈরি করে।
এমন নারী নিজ যাদুময়ী প্রেম-ডোরে স্বামীকে বেঁধে রেখে সকল উন্নতি ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করে। স্বামী পড়াশোনা করলে, সে পথে সে বেড়িসরূপ তার গলায় বা পায়ে জড়িয়ে বাধা সৃষ্টি করে।
হিন্দ বিন্তে উতবা থেকে বর্ণিত, তিনি পুরুষদেরকে সতর্ক ক'রে বলেছেন,
إنّما النساءُ أغلال؛ فليختر الرجل أخفّهنّ عليه।
অর্থাৎ, নারীরা হলো বেড়ি। সুতরাং পুরুষের উচিত, তার জন্য সবচেয়ে হাল্কা বেড়ি নির্বাচন করা।
হ্যাঁ, বিবাহ হলো একটি দায়িত্ব, একটি বোঝা। একটি অতিরিক্ত ভারী কর্তব্য। এই জন্য বিবাহের ব্যাপারে বলা হয়, তা হলো (উট বা ঘোড়ার মতো) নাকে শিকল বা লাগাম বাঁধা, কাঁধে (গরুর মতো গাড়ি বা হালের) জোঁয়াল নেওয়া। বিবাহে যে আংটি বা হার পরানো হয়, সেটা আসলে সংসারের শিকলে বাঁধা পড়া।
বলা হয়, 'বিবাহ একটি অনুষ্ঠানের নাম, যাতে কনের আঙ্গুলে আংটি এবং বরের নাকে লাগাম পরানো হয়। স্ত্রীর গলায় হার এবং স্বামীর গলায় বেড়ি পরানো হয়।'
'পুরুষ মানুষ বিয়ের আগেও বাঘ, বিয়ের পরেও বাঘ। তবে বিয়ের পরে তার উপরে দুর্গা বসে যায়!'
জিজ্ঞাসাঃ 'আচ্ছা বলুন তো? একজন বিবাহিত পুরুষ এবং জেলখানার বন্দির মধ্যে পার্থক্যটা কী?' উত্তরঃ 'জেলবন্দি মানুষের সাজা তো কিছু দিনে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বিবাহিত পুরুষের সাজা শেষ হতে সাড়া জীবন লেগে যায়।'
এক স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, 'দেখো আমাদের বিয়ে হওয়া ১৬ বছর পার হয়ে গেল, অথচ কিছু বোঝাই গেল না।' স্বামী বলল, 'সাজার কথা কারাবন্দি অনুভব করে, কারাধ্যক্ষ নয়।'
কোন কোন ছলনাময়ী নিজ ছলনাবলে কলে-কৌশলে স্বামীকে বেঁধে তার নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করে। ইচ্ছামতো স্বামীর সংসারে স্বেচ্ছাচারিতা চালায়।
এই জন্য সাহাবিয়া পুরুষকে যথাসাধ্য হাল্কা বোঝ বা বেড়ি বেছে নিতে উপদেশ দিয়েছেন।
এ মর্মে দ্বিতীয় খলীফা উমার বিন খাত্ত্বাব (রায্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর একটি উক্তি পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, 'নারী হলো তিন প্রকার।
(এক) সরলমতি, সহজ-সাদা, সতী, মুসলিমা, প্রেমময়ী সন্তানবতী।
সে নিজ পরিবারকে কঠিন পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পরিস্থিতিকে সাহায্য করে না। অর্থাৎ, কোন বিপদকেই তাদের জন্য বড় ক'রে তোলে না। আর এমন নারী বিরল।
(দুই) মুসলিমা সতী নারী। সে কেবল সন্তানের আধার।
(তিন) উকুন-ওয়ালা বেড়ি। মহান আল্লাহ যার গলায় ইচ্ছা পরিয়ে দেন এবং তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেই বেড়িমুক্ত করতে পারে না। (ইবনে আবী শাইবা ১৭১৪৭, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৮৩৫১নং, তারীখে দিমাশক, ইবনে আসাকির ৪৪/৩৬২)
সে যুগে লোমবিশিষ্ট চামড়ার বেড়ি হতো। গলায় পরানোর পর সেই বেড়ির লোমে আবার উকুন জন্ম নিতো। ফলে বেড়ির বন্ধন-কষ্টের উপরে উকুনের জ্বালাতন সহ্য করতে হতো। তার মানে যেমন বলা হয়, 'গোদের উপর বিষফোঁড়া'!
এমন নারী, সে হলো গলার বেড়ি, আবার তার উপর উকুনজ্বলুনি! এমন নারী থেকে পরিত্রাণ পাওয়া বিশাল কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমন স্ত্রী মাছের কাঁটার মতো গলায় আটকে যায়; না পারে গিলতে, আর না পারে ফেলতে। বহু প্রকার চেষ্টা করা সত্ত্বেও এমন সঙ্গিনী থেকে মুক্তির বৈধ পথ পাওয়া যায় না। মহান আল্লাহর কাছে দুআর মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছা ছাড়া এমন বউ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হয় না। ফাল্লাহুল মুস্তাআন।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক নারী নিজ পুরুষের কাছে বন্দিনী। আর এ কথা হাদীসে এসেছে, মহানবী ﷺ বিদায়ী হজ্জের ভাষণে বলেছেন,
((أَلَا وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٍ عِنْدَكُمْ))।
“শোনো! তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করো। কেননা, তারা তোমাদের নিকট কয়েদী।” (তিরমিযী ১১৬৩, নাসাঈর কুবরা ৯১৬৯নং)
যেহেতু নারীকে স্বামীগৃহে গিয়ে তারই সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। তারই স্বামীত্বে থেকে তার কথামতো চলতে হয়, তার অনুমতি নিয়ে কাজ করতে হয়, তার সেবাযত্ন করতে হয়, তার আদেশ নিজ পিতামাতার আদেশ অপেক্ষা অধিক পালনীয় হয় ইত্যাদি।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ বিষয়ে কোন কোন স্বামী বা তার পরিবারের লোক ভীষণভাবে বাড়াবাড়ি করে। যার সুবাদে তারা বাড়ির বউকে সেবাদাসী অথবা ক্রীতদাসী ধারণা করে। গাধীর মতো খাটিয়ে পরিশ্রান্ত করে। অকারণে মারধর করে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা বা যৌতুক আনতে বাধ্য করে। সে বউ সময়ে খেতে পায় না, ভালো খাবার তার পাতে পড়ে না, ভালো পরন তার দেহে শোভনীয় হতে পারে না। ভালোবাসার কথা তার কর্ণকুহরে ধ্বনিত হয় না। বন্দিদশাই তার ভাগ্য হয়। গালিমন্দ, বকাঝকা ও কড়া কথাই তার নিত্য শ্রাব্য হয়।
এই জন্য কোন কোন সালাফ বলেছেন,
النّكَاحُ رِقّ فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ عِنْدَ مَنْ يُرِقّ كَرِيمَتَهُ।
অর্থাৎ, বিবাহ হচ্ছে এক প্রকার দাসত্ব। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকের দেখা উচিত, সে তার আদরের কন্যাকে কার দাসী বানাচ্ছে।
বলাবাহুল্য, অভিভাবকের উচিত, দেখেশুনে মেয়ের বিয়ে দেওয়া। কোন রকমে কন্যাদায় থেকে মুক্তি পাওয়াই যেন তার নিয়ত না থাকে। নচেৎ তার ভুলের জন্য কোন কারাগারের বন্দিদশাই কন্যার নিয়তি হতে পারে। জামাই দ্বীনদার কি না, সালাফী কি না, বাড়ির পরিবেশ কেমন, উপযুক্ত পাত্র কি না ইত্যাদি যাচাই করেই মেয়ের বিয়ে দেওয়া উচিত। নচেৎ তার আমানতে খিয়ানত হবে এবং তার জন্য তাকে কিয়ামতে জবাবদিহি করতে হবে।
✍️(সংগ্রহেঃ প্রিয় শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী হাফিজাহুল্লাহ

18/07/2025

রাসূল ﷺ বলেন: গোপন শিরক হচ্ছে, একজন মানুষ দাঁড়িয়ে শুধু এজন্যই তার সালাত( নামাজ) কে সুন্দরভাবে আদায় করে যে,কোনো মানুষ তার নামাজ কে দেখছে। 📚ইবনে মাজাহ:৪২০৪

18/07/2025

একটি আয়াত যা কুরআনে চারটি স্থানে পুনরাবৃত্ত হয়েছে
➖ সেই আয়াতটি হলো আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
‎“رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ”
“আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট, এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট।”
এই আয়াতটি চারটি সূরায় এসেছে:
• সূরা মায়িদাহ: আয়াত ১১৯
• সূরা তাওবা: আয়াত ১০০
• সূরা মুজাদালা: আয়াত ২২
• সূরা বাইয়্যিনাহ: আয়াত ৮

এই আয়াতটি দুটি অংশে বিভক্তঃ
🔸 প্রথম অংশ:
“আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট”
– এটি এমন একটি অবস্থা, যা আমরা সবাই অর্জন করতে চাই।
এবং আমি মনে করি, এই অংশটি সকলের কাছেই বোধগম্য।
🔸 দ্বিতীয় অংশ:
“এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট।”
– এটি অনুধাবন করা এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা অধিক কঠিন।
📍এখানে একটি প্রশ্ন আসে:
আপনি কি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট?
এটি একটি কঠিন প্রশ্ন, তাই না?
চলুন প্রশ্নটি একটু অন্যভাবে করি:
আপনি কি জানেন, আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া মানে কী?

💠 আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া মানে:
১. আপনার জীবনে যা কিছু আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন – ভালো হোক বা খারাপ – তার সবকিছুকে স্বীয় অন্তর দিয়ে মেনে নেওয়া ও সন্তুষ্ট থাকা।
২. যখন আল্লাহ আপনার জীবনে কোনো বিপদ দেন, তখন আপনার হৃদয়ে এই বিশ্বাস থাকা যে, আল্লাহ আপনার জন্য সেই বিপদেও কল্যাণ চেয়েছেন।
৩. মানুষের নিকট অভিযোগ না করে, বরং সমস্ত দুঃখ-কষ্টের কথা শুধুই আল্লাহর কাছে বলা এবং তাঁর ওপর সবকিছু সোপর্দ করে দেওয়া।
৪. আল্লাহ যখন দেন কিংবা কেড়ে নেন, সুস্থ করেন বা অসুস্থ করেন, অভাব দেন বা সম্পদ দেন — প্রতিটি অবস্থায় আপনি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন:
আপনি কি নিজের চেহারা, জীবনসঙ্গী, পরিবার, সম্পদ, ভাগ্য এবং আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর প্রতি সন্তুষ্ট?
এসব কিছু তো আল্লাহই আপনার জন্য নির্ধারণ করেছেন।
তাহলে আপনি কি আল্লাহর এই নির্ধারণে সন্তুষ্ট?

📌 এই আয়াতের গভীর ভাবনা থেকে আমরা পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বুঝতে পারিঃ
১. আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা মানে এই নয় যে, আপনি কখনো কষ্ট পাবেন না।
আমরা মানুষ, এবং দুনিয়া পরীক্ষার স্থান। এমনকি রাসূলুল্লাহ ﷺ-ও তাঁর ছেলের মৃত্যুতে কেঁদেছেন।
২. সবর ও রিদ্বা (সন্তুষ্ট থাকা) – এ দুটির মাঝে পার্থক্য রয়েছে।
সবর মানে হলো ধৈর্য ধরে সহ্য করা। হয়তো আপনি অন্তরে অন্য কিছু চাচ্ছেন, কিন্তু বাধ্য হয়ে সহ্য করছেন।
কিন্তু রিদ্বা (সন্তুষ্টি) মানে হলো, আপনি যেটা পেয়েছেন তাতেই খুশি, আপনি এর পরিবর্তে কিছুই চান না।
আর যদি আপনি এমন এক স্তরে পৌঁছে যান যে, বিপদের জন্যও আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় করেন, তখন আপনি শোকরকারীর স্তরে চলে যান।
৩. আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা – এটি একটি উচ্চ মর্যাদার স্তর, যেখানে কেবল তারাই পৌঁছায় যাদের অন্তর আল্লাহর ভালোবাসায় পূর্ণ।
তারা কষ্টের মধ্যেও বলে:
“আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট, ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট, মুহাম্মাদ ﷺ এর প্রতি সন্তুষ্ট।”
– কী চমৎকার বিশ্বাস ও কী চমৎকার ভরসা!
৪. আপনি দৃঢ় ঈমান রাখুন, আল্লাহ আপনাকে কেবল আপনার কল্যাণের জন্যই পরীক্ষা করেন।
হয়তো কোনো ক্ষতি থেকে আপনাকে বাঁচাতে,
হয়তো আপনার গুনাহ মাফের জন্য,
হয়তো জান্নাতে আপনার মর্যাদা বাড়ানোর জন্য।
তাই আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন।
৫. যদি কেউ আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে সে দুনিয়ার সবকিছু পেয়েও সন্তুষ্ট হতে পারবে না।
রাসূল ﷺ বলেন:
“যে সন্তুষ্ট হবে, তার জন্য সন্তুষ্টি আছে; আর যে অসন্তুষ্ট থাকবে, তার জন্য রয়েছে অসন্তুষ্টি।”
সে জীবনের প্রতি পদে অসন্তুষ্ট থাকবে এবং সারাজীবন কষ্টে ও অশান্তিতে কাটবে।

✅ তাহলে এই আয়াতের প্রতিফলন আমাদের জীবনে কিভাবে ঘটাতে পারি?
🔹 নিজের জীবনের দিকে তাকান।
যা আপনি হারিয়েছেন বা যা আপনি পাননি – তা নিয়ে ভাবুন,
আপনি কি তাতেও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট?
আবার বারবার বলুন:
“হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রতি সন্তুষ্ট, তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হও।”
🔹 যা কিছু আপনাকে আল্লাহর দিকে টেনে নেয়, তা দ্বারা তাঁর নিকটে পৌঁছান।
কারণ আপনি যখন আল্লাহকে ভালোবাসবেন, তখন তাঁর নির্ধারণ (তাকদীর) ও ফায়সালাতেও ভালোবাসা অনুভব করবেন।

🔚 শেষ কথা:
আপনার যা কিছু হয়েছে, তা কখনোই আপনাকে এড়াতে পারত না।
আর যা আপনাকে এড়িয়েছে, তা কখনোই আপনার জন্য ছিল না।
🌹 আল্লাহ আমাদের এমন অন্তর দান করুন যা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট, তাঁর ফায়সালায় প্রীত, এবং তাঁর রেযামন্দির যোগ্য হয়ে উঠতে চায়। আমীন।
✍️ প্রিয় শাইখ ড.আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফিযাহুল্লাহ

Address

Mojidpur. Savar.
Dhaka
1340

Telephone

+8801737000985

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Abu sayed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Abu sayed:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram