Dietician Surahia Naznin Tuli

Dietician Surahia Naznin Tuli Dietician

উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure), যাকে চিকিৎসা ভাষায় হাইপারটেনশন (Hypertension) বলা হয়, এটা হলো এমন একটি অবস্থা যখন ...
26/10/2025

উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure), যাকে চিকিৎসা ভাষায় হাইপারটেনশন (Hypertension) বলা হয়, এটা হলো এমন একটি অবস্থা যখন শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি হয়ে যায়।

🩸 রক্তচাপ কীভাবে মাপা হয়:

রক্তচাপ মাপা হয় দুইটি সংখ্যায় —
👉 সিস্টোলিক চাপ (উচ্চ সংখ্যা): হৃদয় যখন রক্ত পাম্প করে।
👉 ডায়াস্টোলিক চাপ (নিম্ন সংখ্যা): হৃদয় যখন বিশ্রামে থাকে।

📍স্বাভাবিক রক্তচাপ: প্রায় 120/80 mmHg
📍উচ্চ রক্তচাপ: সাধারণত 140/90 mmHg বা তার বেশি হলে।

⚠️ উচ্চ রক্তচাপের কারণ:

1. জিনগত কারণ (পারিবারিক ইতিহাস):
পরিবারে কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।

2. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া:
বেশি লবণ রক্তে সোডিয়াম বাড়ায়, ফলে রক্তনালীতে চাপ সৃষ্টি করে।

3. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা:
শরীরে চর্বি বেশি হলে হৃদপিণ্ডকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়।

4. মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা:
নিয়মিত স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়াতে পারে।

5. শারীরিক অনিয়মিতা:
ব্যায়াম না করা, বসে থাকা অভ্যাস রক্তচাপ বাড়ায়।

6. ধূমপান ও অ্যালকোহল:
রক্তনালী সংকুচিত করে রক্তচাপ বাড়ায়।

7. বয়স বৃদ্ধি:
বয়সের সঙ্গে রক্তনালী শক্ত ও সংকীর্ণ হয়ে যায়।

8. অস্বাস্থ্যকর খাবার:
অতিরিক্ত তেল, ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, বেশি চিনি — এগুলোও কারণ হতে পারে।

⚕️ উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ:

অনেক সময় কোনও স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায় না, তাই একে “নীরব ঘাতক” বলা হয়।
তবে কখনও কখনও দেখা দিতে পারে —

মাথাব্যথা

মাথা ঘোরা বা ঝাপসা দেখা

বুক ধড়ফড় করা

ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট

নাক দিয়ে রক্ত পড়া (গুরুতর হলে)

যদি চিকিৎসা না করা হয়, ঝুঁকি বাড়ে:

হৃদরোগ (Heart attack)

স্ট্রোক

কিডনির সমস্যা

চোখের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

উচ্চরক্তচাপ হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রশনিষ্ট
সুরাইয়া নাজনীন তুলি
ইউনিটি এইড হাসপাতাল লিঃ
দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা

পিপলস হসপিটাল লিঃ
মালিবাগ চৌধুরীপাড়া ঢাকা।

থাইরয়েড (Thyroid) হলো আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি, যা গলার সামনে অবস্থিত। এটি থাইরক্সিন (T4) এবং ট্রাইআইডোথ...
26/10/2025

থাইরয়েড (Thyroid) হলো আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি, যা গলার সামনে অবস্থিত। এটি থাইরক্সিন (T4) এবং ট্রাইআইডোথাইরোনিন (T3) নামের হরমোন তৈরি করে, যা শরীরের মেটাবলিজম, শক্তি উৎপাদন, তাপমাত্রা, হৃদ্‌যন্ত্রের গতি, ওজন এবং মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড সমস্যার প্রধান দুই ধরন —

1. হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism): থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে।

2. হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism): থাইরয়েড হরমোন বেশি উৎপন্ন হলে।

যদি হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড কম কাজ করে) হয়, তবে যে সব খাবার বাদ দিতে হবে —

1. সয়াজাত খাবার: সয়া দুধ, সয়া সস, টোফু ইত্যাদি (এগুলো হরমোনের শোষণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে)।

2. গয়ট্রোজেনযুক্ত সবজি (Goitrogenic foods):

বাঁধাকপি

ফুলকপি

ব্রকলি

সরিষার শাক

গ্লুটেন যুক্ত খাবার

কুসিফেরাস ভেজিটেবল

3. চিনি ও মিষ্টিজাত খাবার — ওজন বাড়াতে পারে।

4. অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার।

5. অতিরিক্ত কফি বা চা — ওষুধের শোষণ কমাতে পারে।

⚡ যদি হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড বেশি কাজ করে) হয়, তবে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে —

1. আয়োডিনযুক্ত খাবার: যেমন — আয়োডিনযুক্ত লবণ, সামুদ্রিক মাছ, সী-উইড ইত্যাদি।

2. ক্যাফেইনযুক্ত খাবার: কফি, কোলা, চকলেট ইত্যাদি — এগুলো হৃদ্‌স্পন্দন বাড়াতে পারে।

3. ঝাল ও তেলযুক্ত খাবার।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রশনিষ্ট
সুরাইয়া নাজনীন তুলি

26/10/2025

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।
শুভ সকাল

With Tamanna Chowdhury – I just got recognised as one of their rising fans! 🎉
25/10/2025

With Tamanna Chowdhury – I just got recognised as one of their rising fans! 🎉

যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না তাদের জন্য.....ঘুম ভালোভাবে হওয়ার জন্য কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরকে শান্ত করে, মেলাটোনিন ও ...
25/10/2025

যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না তাদের জন্য.....

ঘুম ভালোভাবে হওয়ার জন্য কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরকে শান্ত করে, মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন নামক হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে — এগুলো ঘুম আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নিচে কিছু খাবার দেওয়া হলো যা ঘুম হওয়ার আগে খাওয়া যেতে পারে:

🥛 ১. দুধ

এতে ট্রিপটোফ্যান ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা ঘুম আনার হরমোন মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।

ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে আধা কাপ দুধ খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

🍌 ২. কলা

এতে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে, যা পেশি শিথিল করে এবং স্নায়ুকে শান্ত রাখে।

ছোট একটি কলা ঘুমানোর আগে খেলে ঘুম দ্রুত আসে।

🌰 ৩. বাদাম (আলমন্ড বা আখরোট)

এতে প্রাকৃতিক মেলাটোনিন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

এক মুঠো বাদাম বা আখরোট রাতে খেতে পারেন।

🍒 ৪. চেরি বা চেরি জুস

চেরি হলো প্রাকৃতিক মেলাটোনিনের উৎস।

রাতে এক কাপ টক চেরি জুস বা কিছু চেরি খেলে ঘুম ভালো হয়।

🥣 ৫. ওটস

ওটসে মেলাটোনিন ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা ধীরে শক্তি দেয় ও শরীরকে শান্ত রাখে।

সামান্য দুধ মিশিয়ে ওটস খেলে আরও ভালো কাজ করে।

🍵 ৬. হারবাল চা (যেমন: ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার চা)

এগুলো ক্যাফেইনমুক্ত এবং স্নায়ু শান্ত করে।

গরম চা হিসেবে ঘুমের আগে খেলে মন ও শরীর উভয়ই রিল্যাক্স করে।

🚫 যা ঘুমের আগে খাওয়া উচিত নয়

*কফি, চা বা চকোলেট (ক্যাফেইনযুক্ত)।

*ভারী বা মশলাদার খাবার।

*অতিরিক্ত তেল, লবণ বা চিনিযুক্ত খাবার।
*মোবাইল বা কম্পিউটার এবং টিভি ঘুমাতে যাওয়ার ১ঘন্টা আগে বন্ধ করুন।
*রাতের খাবার দেরী করে খাবেন না।
*দিনে ঘুমানো বন্ধ করুন।
*প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট টাইমে ঘরের বাতি বন্ধ করে ঘুমাতে যাবেন।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রশনিষ্ট
সুরাইয়া নাজনীন তুলি

25/10/2025
25/10/2025

চেম্বার ১.
ইউনিটি এইড হাসপাতাল লিঃ
লোকেশন -দক্ষিন বনশ্রী চারতলা অফিসের সামনে।
চেম্বার টাইম -বিকাল ৫টা থেকে ৭টা।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রশনিষ্ট
সুরাইয়া নাজনীন তুলি

শেয়ার করে দিন।

25/10/2025

শিশুকে কখনোই ব্লাইন্ডার করা খাবার দিবেন না।

৪০+ বয়সে নারীর শরীরে অনেক প্রাকৃতিক হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন (Estrogen) হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু কর...
25/10/2025

৪০+ বয়সে নারীর শরীরে অনেক প্রাকৃতিক হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন (Estrogen) হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। এর ফলেই নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করছি —

৪০+ নারীর সাধারণ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা

১️⃣ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা (Hormonal Imbalance)

*মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যাওয়া (মেনোপজের শুরু)

*গরম লাগা বা ঘাম (Hot flashes)

*রাত্রে ঘাম, ঘুমের সমস্যা

*মেজাজ পরিবর্তন, বিরক্তি বা মন খারাপ

২️⃣ হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া (Osteoporosis)

*ইস্ট্রোজেন কমে গেলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।

*সামান্য পড়ে গেলেও হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে।

*কোমর, হাঁটু বা পিঠে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৩️⃣ রক্তস্বল্পতা (Anemia)

*শরীরে আয়রনের অভাব হলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মনোযোগে ঘাটতি হয়।

৪️⃣ ওজন বৃদ্ধি ও মেটাবলিজম কমে যাওয়া

*এই বয়সে শরীরের মেটাবলিজম ধীরে কাজ করে।

*পেট ও কোমরের চারপাশে চর্বি জমে।

*ওজন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।

৫️⃣ হৃদরোগের ঝুঁকি

*ইস্ট্রোজেন কমে গেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বেড়ে যায়।

*এতে হৃদরোগ, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

৬️⃣ ত্বক ও চুলের পরিবর্তন

ত্বক শুষ্ক, নিস্তেজ ও ঝুলে যেতে পারে।

চুল পড়া বা রুক্ষ হয়ে যাওয়া দেখা দেয়।

---

৭️⃣ মানসিক ও আবেগজনিত সমস্যা

মন খারাপ, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া।

অনেক নারী বিষণ্নতা বা উদ্বেগে ভোগেন।

---

৮️⃣ দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস

*বয়সজনিত কারণে চোখের দৃষ্টি দুর্বল হয়।

*কখনও মনোযোগ ও স্মৃতি শক্তিও কিছুটা কমে যায়।

৯️⃣ হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা

*হরমোনের প্রভাব ও আঁশযুক্ত খাবারের অভাবে হজমে সমস্যা হতে পারে।

🔟 ইউরিনারি বা প্রজনন অঙ্গের সমস্যা

*মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে যায়।

*যোনি শুষ্কতা বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

এই সব সমস্যার অনেকটাই সঠিক পুষ্টি, ব্যায়াম ও লাইফ স্টাইল পরিবর্তন এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রশনিষ্ট
সুরাইয়া নাজনীন তুলি

🩸 অ্যানিমিয়া (Anemia) কী?অ্যানিমিয়া হলো এমন একটি অবস্থা, যখন শরীরে লাল রক্তকণিকা (Red Blood Cells) বা হিমোগ্লোবিন (Hem...
25/10/2025

🩸 অ্যানিমিয়া (Anemia) কী?

অ্যানিমিয়া হলো এমন একটি অবস্থা, যখন শরীরে লাল রক্তকণিকা (Red Blood Cells) বা হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়।

⚙️ হিমোগ্লোবিন কী করে?

হিমোগ্লোবিন রক্তের একটি প্রোটিন, যা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে শরীরের কোষে পৌঁছে দেয়।
যখন হিমোগ্লোবিন কমে যায়, তখন শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।

অ্যানিমিয়ার প্রধান কারণগুলো

1. আয়রনের অভাব (সবচেয়ে সাধারণ কারণ)

2. ফোলেট বা ভিটামিন B12 এর অভাব

3. অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ (যেমন মাসিক, দুর্ঘটনা, বা অস্ত্রোপচার)

4. দীর্ঘস্থায়ী রোগ (যেমন কিডনি রোগ, থাইরয়েড সমস্যা)

5. খারাপ খাদ্যাভ্যাস — যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া

⚠️ অ্যানিমিয়ার লক্ষণ

*সব সময় ক্লান্তি বা দুর্বল লাগা

*মাথা ঘোরা বা ঝিম ধরা

*মুখ, ঠোঁট বা চোখ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া

*শ্বাসকষ্ট

*হাত-পা ঠান্ডা লাগা

*মনোযোগে ঘাটতি

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে করণীয়

1. আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়া: কলিজা, গরু/মুরগির মাংস, ডাল, পালং শাক, কলা।

2. ভিটামিন C সমৃদ্ধ ফল খাওয়া: কমলা, লেবু, আমলকি — আয়রন শোষণে সাহায্য করে।

3. চা–কফি খাবার পরই না খাওয়া, কারণ এতে আয়রন শোষণ কমে যায়।

4. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রশনিষ্ট
সুরাইয়া নাজনীন তুলি

অটিজম (Autism) হলো একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল বা স্নায়ুবিক বিকাশজনিত সমস্যা, যা একজন শিশুর ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ, ভাষা ...
25/10/2025

অটিজম (Autism) হলো একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল বা স্নায়ুবিক বিকাশজনিত সমস্যা, যা একজন শিশুর ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ, ভাষা ও শেখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত ছোটবেলাতেই (২–৩ বছর বয়সে) বোঝা যায়।

অটিজম কীভাবে বোঝা যায়:

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায় —

*অন্যদের সাথে কথা বলা বা চোখে চোখ রেখে যোগাযোগ করতে কষ্ট হয়।

*একা থাকতে পছন্দ করে।

*একই কাজ বা শব্দ বারবার করে (repetitive behavior)।

*হঠাৎ রাগ, কান্না বা চিৎকারের প্রবণতা থাকতে পারে।

*নতুন পরিবেশ বা পরিবর্তন পছন্দ না করা।

*শব্দ, আলো বা স্পর্শে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা।

*অনেক দেরি তে কথা বলা বা হাঁটা।

অটিজম শিশুর পুষ্টি:

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জন্য সঠিক পুষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেক শিশু খাবারে খুঁতখুঁতে হয়, কিছু খাবার খেতে চায় না, বা হজমে সমস্যা থাকে।

নিচে কিছু পুষ্টিকর দিকনির্দেশনা দেওয়া হলো 👇

🥦 ১. সুষম খাদ্য

প্রতিদিন শাকসবজি, ফল, দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, ভাত বা রুটি রাখতে হবে।

একবারে বেশি না খাইয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ানো যেতে পারে।

🥚 ২. প্রোটিন

মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য প্রোটিন খুব দরকার।

ডিম, মাছ, দুধ, ডাল, মুরগি, সয়াবিন এগুলো ভালো উৎস।

🥕 ৩. ভিটামিন ও খনিজ

ভিটামিন B6, B12, D, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

ফল, শাকসবজি, বাদাম, দুধে এই উপাদানগুলো থাকে।

🚫 ৪. এড়িয়ে চলার খাবার-

*চিনি, অতিরিক্ত তেল, প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, কোলা, ফাস্টফুড) কমানো উচিত।

*কিছু শিশু গ্লুটেন (গমজাত খাবার) ও কেসিন (দুধজাত খাবার) খেলে হজমে সমস্যা পায় — তাই চিকিৎসকের পরামর্শে দেখা উচিত।

💧 ৫. পর্যাপ্ত পানি

শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়ানো দরকার।

অটিজম কোনো “অসুখ” নয়, বরং একটি বিশেষ ধরনের বিকাশগত ভিন্নতা।

ভালো পুষ্টি, নিয়মিত থেরাপি (speech therapy, occupational therapy), এবং পরিবারিক সাপোর্ট শিশুর উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখে।

সুরাইয়া নাজনীন তুলি
স্পেশাল চাইল্ড নিউট্রিশনিষ্ট

25/10/2025

শুভ সকাল
সবাই কেমন আছেন?

Address

People's Hospital Ltd. 5-B Malibag Chowdurey Para, , Unity Aid Hospital Ltd. , West Banasree. Dhaka
Dhaka
1219

Telephone

+8801711971503

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dietician Surahia Naznin Tuli posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dietician Surahia Naznin Tuli:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram