Dr. SM Fuad's Homeopathy

Dr. SM Fuad's Homeopathy Dr. SM Fuad, D.H.M.S (1st Class), Chief consultant of Bangladesh Homeopathy Clinic (BHC)

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট???"এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না"শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা...
30/11/2025

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট???
"এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না"

শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি
জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে।

চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি।
সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে।

সোডিয়াম সাইট্রেট দেখতেও ঘন চিনির মত দেখতে। সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘন চিনি। বণিক বার্তার সাংবাদিক ভাই খবর দিলেন মিটফোর্ডে দুই রকম
ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা হলে ভেজাল ঘন চিনি ১৪০ টাকা কেজি। মাথাটা ঘুরে গেল!! বিষের সাথে বিষ! সেখানে সংবাদ নিলাম কম দাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘন চিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে দেয়ার জন্য।
ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘন চিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব কম এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা?? দুই দিন ঘুমাতে পারিনি। সমানে পারমুটেশন কম্বিনেশন করতে লাগলাম। কি সেই আইটেম? কেউ বলে না। গুগলে ঘন চিনির ছবি
বের করে তার সাথে মিল রেখে খুঁজতে লাগলাম আইটেম।
হটাত মাথার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, কি করে সম্ভব!! আমার এক ভাই সার (ফার্টিলাইজার) বিক্রি করে। তাকে বললাম, “চিনির মত দানাদার সার কি আছে
রে?” ইউরিয়া? না ইউরিয়া গোলাকার এবং খুব খারাপ স্বাদ। আর কি আছে? আচ্ছা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার? ভাই আমার
লাফ দিয়ে উঠল!! হ্যাঁ ভাই, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে চিনির মত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন।
এবার আমি লাফ দিয়ে উঠে গুগলে ছবি দেখলাম। ঘন চিনি এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। বিশ্বাস হচ্ছিল
না, যে আমাদের সার খাওয়াচ্ছে আর একটি বিষের সাথে। সেই সাংবাদিক ভাইয়ের দ্বারা মিটফোর্ড থেকে ভেজাল এক কেজি সার কিনে আমি সরকারীভাবে চিঠি দিয়ে ১০০ গ্রাম নমুনা
পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। ঘুম হারাম হয়ে গেল আমার টেনশনে। রিপোর্ট পেলাম সেই ঘন চিনির নমুনায়
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে।
যা সন্দেহ করেছি তাই। সেই সার মিশ্রিত ঘন চিনির প্যাকেট বা নমুনা না দেখেই এত হাজার লাখ আইটেমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার কিভাবে নির্বাচিত করলাম, তা সত্যিই হবাক হবার বিষয়!!

কয়েকজন বিজ্ঞানী রসায়নবীদকে জিজ্ঞাস করলাম, সার খেলে কি হয়? তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। কেন সার খাবেন কেন? আমি
বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, "ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম
শেষ হবে বাচ্চারা"।
নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে?? পৃথিবীর কোথাও আছে মানুষকে সার খাওয়ানোর উদাহরণ??
কোথায় আছি আমরা? কোথায় আমাদের গন্তব্য?

Ref Dr Ashim Datta

[ সবার জন্য লেখাটা পড়া ফরজ। ইয়ং ছেলে মেয়েরা টুপটাপ মরে যাচ্ছে - তার কারণ ] চর্বি  ভাল না খারাপ.....আমরা যারা চল্লিশ  বা ...
21/11/2025

[ সবার জন্য লেখাটা পড়া ফরজ। ইয়ং ছেলে মেয়েরা টুপটাপ মরে যাচ্ছে - তার কারণ ]

চর্বি ভাল না খারাপ.....আমরা যারা চল্লিশ বা চল্লিশ ছুই..ছুই....

ছবিটা TG র মলিকিউলার বন্ডিং

ডায়েট সিরিজ: Transfat/ট্রান্সফ্যাট
গোরুর মাংস/চর্বি? সয়াবিন তেল? কতটুকু খারাপ ? নাকি ভালো? নাকিদুটোই ভালো?
=================
চর্বির কারণে বুকে কি ব্লক হয়? নাকি হয় না? কতটুকু পর্যন্ত এলাউড? আসুন ডিটেইলস এ যাই।
=================
চর্বির অনেক প্রকারভেদ আছে। চর্বি মানেই খারাপ না। চর্বি বা তেল একটা ন্যাচারাল খাদ্য। মানুষ হাজার বছর ধরে খেয়ে আসছে, এটা সাদা চিনির মত না। তখন কিন্তু কারো বুকে ব্লক হয়নি কিন্তু গত ১০০ বছর ধরে হচ্ছে। কারণ কী?
=============

১. প্রথমে আসি কোলেস্টেরল প্রসঙ্গে। কোলেস্টেরল হলো চর্বি/তেলের সেই অংশ, যা বুকের আর্টারিতে জমে ব্লক হয় কিন্তু কোলেস্টেরলের প্রকারভেদ আছে। শুধুমাত্র এলডিএল কোলেস্টেরলটা খারাপ যেটা যেটা বুকে জমে কিন্তু অন্য কোলেস্টেরল (যেমন: এইচডিএল) কিন্তু খারাপ না, ওগুলো বুকে জমে না। এইচডিএল কোলেস্টেরল তো ভালো কোলেস্টেরল, যেটা খারাপটাকে ধ্বংস করে।

তাহলে, আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যে আপনি যেন খারাপ কোলেস্টেরলটা (এলডিএল) লিমিট করতে পারেন, মানে কম খান। আর কিছু না।

২. তেল বা চর্বির দুই নাম্বার কনসার্নড জিনিস হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট। মানে ফ্যাট পরমানুটার কার্বন লিংকে হাইড্রোজেন বসে এটা স্যাচুরেটেড হয়ে গেছে, কোনো জায়গা খালি নাই তার। এই স্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটা ছোট অংশ 'খারাপ কোলেস্টেরল' এ পরিণত হয়, হজমের পর। তাই এটা কম খেতে হবে। লিমিটটা পরে বলছি।

৩. এবার আসে সবচেয়ে বিষাক্ত ফ্যাট এ। যেটা ন্যাচারাল না। যেটা সমগ্র পৃথিবীতে বুকে ব্লকের অন্যতম প্রধান কারণ। সেটা হলো ট্রান্সফ্যাট।
দুটো স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনু যুক্ত হয়ে এই ট্রান্সফ্যাট হয়। মানে এটা ডাবল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটা ন্যাচারালি কোনো তেলেই সেভাবে থাকে না। ট্রেস এমাউন্ট থাকে, যেটুকু মানুষের ক্ষতি করে না।

কিন্তু এই ফ্যাট ডাইরেক্ট বুকের ভিতরে গিয়ে জমে ব্লক হয়। সামান্য একটু খেলেই ব্লক। এটা একই সাথে 'খারাপ কোলেস্টেরল'কে বৃদ্ধি করে, আবার ভালো কোলেস্টেরলকে কমিয়ে দেয়। একই সাথে এই ট্রান্সফ্যাট ইনফ্ল্যামেটরি। মানে যেখানে জমে , সেই জায়গাটা ফুলে যায়।

মানে সামান্য একটু ট্রান্সফ্যাট মনে করেন বুকের আর্টারিতে গিয়ে জমলো। মনে করেন ১০% ব্লক হবার কথা কিন্তু এটা ফুলে গিয়ে (ভলিউম এক্সপ্যানশন) ৩০% হয়ে যাবে আরকি।

তার মানে নরমালি ৬০% কে সে ফুলিয়ে ১০০% ব্লক করে আপনাকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে দিবে।

তার মানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাট , হলো ট্রান্সফ্যাট। অন্যগুলো কম ঝুঁকিপূর্ণ। ওকে?

আগে সাদা চিনিকে বিষ বলছিলাম। হ্যাঁ, তা বিষ, কিন্তু যখন বেশি হয়, ২ - ৩ চামচ ওকে, WHO বলছে ৬ চামচ পর্যন্ত ওকে। সাদা চিনি হলো স্বল্প মাত্রার বিষ: বিষ এ ধুতুরা।

সেই তুলনায় ট্রান্স ফ্যাট হলো: বিষ এ সায়ানাইড। জাগাত খাইবেন, জাগাত বুকে ব্লক।
=============

তো, USDA/FDA এর লিমিট অনুযায়ী ট্রান্সফ্যাট এর দৈনিক লিমিট হলো মাত্র ২.০ গ্রাম। মানে এর বেশি খেলেই বুকে ব্লক হবার সম্ভাবনা তৈরী হবে।

=============
কিন্তু আমরা কতটুকু খাচ্ছি? আর কতটুকু গোরু থেকে খাচ্ছি? কতটুকু সয়াবিন থেকে খাচ্ছি? আর এই ট্রান্সফ্যাট কেন আমাদের ফুড সাইকেল এ আসলো? এটা তো সায়ানাইড। উচ্চ মাত্রার বিষ। এমনটা তো হবার কথা না, তাই না?
=============
ঘটনা হলো এই: গত শতাব্দীতে সয়াবিনসহ সকল ভোজ্য তেল ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড প্রডাকশনে যায়। তো ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু তেল তৈরী করে মেশিনে, ঘানি ভাঙ্গা তেলের মত না ওইটা।

ইন্ডাস্ট্রি তেলকে সুন্দর, ঘন এবং বহুদিন স্বাদ গন্ধ অপরিবর্তীত রাখার জন্য এর সাথে হাইড্রোজেন গ্যাস মিশায়।

'যেকোনো তেল + ক্যাটালিস্ট + বায়বীয় হাইড্রোজেন' = ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড ভোজ্য সয়াবিন/ক্যানোলা/ সানফ্লাওয়ার তেল, যেটা আমরা খাই এখন।

তা সয়াবিন হোক বা ক্যানোলাই হোক বা সানফ্লাওয়ারই হোক। তারা কিন্তু হাইড্রোজেন মিশিয়ে এটাকে বিষাক্ত করে। কারণ প্রসেসটায় গেলে ব্যাপক লাভ হয়, মাস প্রডাকশনে যাওয়া যায়, মানুষ কিনেও। ঘানিভাঙ্গা তেল মাত্রাতিরিক্ত তরল (সান্দ্রতা কম) হয়, বেশি দিন থাকে না, তাই ইন্ডাস্ট্রি সেটা পছন্দ করে না। ইন্ডাস্ট্রি বাহির থেকে এক্সট্রা হাইড্রোজেন মিশায়। মনে করেন, ওই হাইড্রোজেন হলো বায়বীয় ফরমেটের ফরমালিন আরকি।

ইন্ডাস্ট্রির উদ্দেশ্য, হয়তো খারাপ না, একটু বেশি টাকা কামানো। কিন্তু .....

কিন্তু যখন নরমাল আনস্যাচুরেটেড তেলের সাথে আপনি হাইড্রোজেন মিশাবেন, তখন ওই তেলের একটা বড় অংশ ট্রান্সফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়ে যায়। ওই হাইড্রোজেন পরমানু, কার্বন লিংকের ফাঁকা জায়গায় বসে গিয়ে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট একটু খারাপ কিন্তু ট্রান্সফ্যাট তো পুরা সায়ানাইড, রাইট?

প্রতি দশ গ্রাম তেলে ৪ - ৫ - ৬ গ্রামই ট্রান্সফ্যাট হয়ে যেতে পারে, ডিপেন্ড করে, আপনি কী পরিমাণ হাইড্রোজেন গ্যাস মিশালেন, তার উপর।

ট্রান্সফ্যাট আরও এক ভাবে হয়, সেটা হলো বাহিরে দোকানে যখন একই তেলে দিনের পর দিন সিঙ্গারা -সামুচাসহ সব কিছু ভাজা হয়। যেটাকে আমরা পোড়া তেল বলি। তেল বেশি পুড়লে, বাতাসের হাইড্রোজেন এর সাথে বিক্রিয়া করে তা ট্রান্সফ্যাট হয়ে যায়। কাজেই বাহিরের ভাজা - পোড়া খাবার যাবে না। না পারলে, বাসায় বানিয়ে খান।

============

২০০৬ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ লোক বিনা কারণে হার্ট এটাক হয়ে মারা যাবার মূল কারণ হিসেবে ভোজ্য তেলে এই ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতিকে দায়ী করা হয়। বিজ্ঞানীরা এটাকে বের করেন এবং আমেরিকান সরকারকে ব্যাপক চাপ দেন।

পরে আমেরিকান সরকার চাপে পড়ে ২০০৬ সালে নতুন আইন করে, সেটা হলো, ভোজ্য তেলকে হাইড্রেজেনেটেড করতে গেলে খুব কম করতে হবে, বা করা যাবে না। প্রতি তেলের ডিব্বায় ট্রান্সফ্যাটের এমাউন্ট উল্লেখ করে দিতে হবে। না হলে একশন। তেল ব্যবসা লাটে উঠেনো হবে, এফডিএ একশনে যাবে।

সরকারি চাপে পড়ে তেল কোম্পানিগুলো ডিল করে, যে তারা প্রতি সার্ভিং তেলে ০.৫ গ্রামের কম ট্রান্সফ্যাট দিবে এবং ০.৫ গ্রামকে রাউন্ডিং করে তারা লিখবে ০.০ গ্রাম। হোয়াট আ ফান? প্রতি সার্ভিং তেল মানে মাত্র ১৫ গ্রাম তেল। মানে আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত তেলগুলোতে প্রতি ১৫ গ্রামে ০.৫ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট থাকে। মানে ১০০ গ্রামে ৩.৫ গ্রাম । চিন্তা করেন, শতকরা ৩.৫ % ট্রান্সফ্যাট আছে, তেলে কিন্তু লেখে ০ গ্রাম। কত বড় বাটপারি? হায় আমেরিকান লবি।

আমেরিকা তাও ভালো , আগে হয়তো ২০-৩০% ট্রান্সফ্যাট ছিল, ওইটা কমিয়ে ৩.৫% করছে।

কিন্তু বাংলাদেশ কী করছে? বাংলাদেশে তো কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই সরকারের, কোনো আইন বা তার প্রয়োগও নাই।

তার মানে বাংলাদেশে যখন আমরা বাহিরের খোলা তেল খাচ্ছি, সামান্য একটু তেল থেকেই দিনে হয় ৮ - ১০ - ১২ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট খাচ্ছি, যেখানে দৈনিক লিমিট হলো ২ গ্রাম। তার মানে কোনো গোরু না খেয়েই , জাস্ট তেলতেলা সবজি - তেল - পরোটা - সিঙ্গারা - সামুচা খেয়েই আমাদের অল্পবয়সে বুকে ব্লক হচ্ছে, সয়াবিন তেলে থাকা এই ট্রান্সফ্যাট এর জন্য। বাই দ্যা ওয়ে, আমেরিকানদের ডেটা অনুযায়ী একজন এভারেজ আমেরিকান, ১৯৯৬ - ২০০৬ সালে দিনে ৬ গ্রাম ট্রান্সফ্যাট খেয়েছেন এবং লাখে লাখে লোক হার্ট এটাক হয়ে মারা গেছেন। এখন অবশ্য সবাই ব্যাপারটা জানে, সরকারও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন।

কিন্তু বাংলাদেশে আমরা কিন্তু সব দোষ ওই নিরীহ গোরু - খাসিকেই দিচ্ছে। নিরীহ অবলা এই প্রাণীটির একটু চর্বি আছে, তাতে কিছুটা কোলেস্টেরল, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ট্রান্সফ্যাটও আছে কিন্তু এত বেশি না কিন্তু, একটু কম।

আর মানুষ কিন্তু গোরু - খাসি প্রতিদিন খায় না কিন্তু ভোজ্য তেল কিন্তু প্রতিদিন খায়। USDA এর রেকমেন্ডেশন হলো সপ্তাহে ৩৫০ গ্রাম গোরু/খাসও খেলে কোনো সমস্যা নাই। শর্ত হলো, এই গরুতে অতিরিক্ত ফ্যাট (যেটা সিনার মাংস, ৩০% ফ্যাট) হতে পারবে না। নরমাল লিন মাংস (যেমন রানের মাংস, ১০% ফ্যাট) হতে হবে।

মানে গোরু যদি সপ্তাহে একদিন, ২ বেলা মিলে ৩৫০ গ্রাম খান, চর্বির দলাগুলো না খান, তাহলে তাতে হার্টে ব্লক হবার সম্ভাবনা নেই। মানে প্রায় ১০ টুকরা, মাঝারি পিছ, প্রতি বেলা ৫ পিছ। এর বেশি খেলে ব্লক হবার ঝুঁকিতে পড়বেন। এভাবে আজীবন খেলেও কোনো ব্লক হবার কথা নয় (ইউ এস হার্ট এসোসিয়েশন)। যদি চর্বি বেশি ওয়ালা মাংস খান, তাহলে পরিমাণ ১৫০ গ্রাম খাবেন, সপ্তাহে একবার।(৪ - ৫ পিছ)

আমি দেখি না, এভারেজে সবাই এত গোরু/খাসি খায়। খেয়াল করলে দেখবেন, বুকে ব্লক এখন লোকজনের খুব বেশি হচ্ছে। সেসব মানুষেরও হচ্ছে, যাঁরা তেমন গোরু কিন্তু খায় না কিন্তু ওই ভোজ্য তেল, ওই ভাজা পোড়া, ওই সিঙ্গারা - সামুচা, তেল সমৃদ্ধ তরকারী তারা খায়। খুব সম্ভবত: তেলে থাকা ট্রান্সফ্যাট থেকেই, যারা গোরু খায় না, তাদেরও বুকে ব্লক হচ্ছে।

এনিওয়ে, ব্রান্ডের কোম্পানির সয়াবিন তেলে ট্রান্সফ্যাট কতটুকু থাকে, বাংলাদেশে? আমি জানি না। একটু কম হওয়ার কথা। যদি লেখা থাকে, প্রতি সার্ভিং এ ট্রান্সফ্যাট ০ গ্রাম, তাহলে সর্বনিম্ন পরিমাণ আছে, মানে ০.৫ গ্রাম আছে। কিছুটা সেইফ কিন্তু তাও বেশি খেতে পারবেন না। দিনে ৪০ গ্রামের বেশি ওই তেল পেটে গেলে প্রবলেম। তবে বাহিরের ভাজা পোড়া থেকে অনেক ভালো হবে আশা করি।

=======

এবার ডাইরেক্ট ভ্যালু দিচ্ছি। USDA/Canada রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী, দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেলে তা সেইফ, মানে সপ্তাহে ২১০০ মিলিগ্রাম। দিনে ১২ গ্রাম (সপ্তাহে ৮০ গ্রাম) স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে তা সেইফ। আর ট্রান্সফ্যাট? দিনে মাত্র ২ গ্রাম (মানে সপ্তাহে ১৪ গ্রাম) এর বেশি খেলেই বুকে ব্লক। যদি দীর্ঘকাল খেতে থাকেন। তবে কোনো কোনো এজেন্সি বলেছে, ট্রান্সফ্যাট সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিতে কিন্তু এটা সম্ভব না। কারণ বাণিজ্যিক ভোজ্য তেলে একটু থাকেই, ট্রেস এমাউন্ট।

=========

এখন গোরু - খাসি যদি সপ্তাহে ৩৫০ গ্রাম খান, তাহলে এই লিমিট ক্রস করবে না। আপনি ইন শা আল্লাহ সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবেন কিন্তু সপ্তাহে এর বেশি খান, তাহলে ঝুঁকিতে পড়বেন। এখন আপনি একদিনেই ৩৫০ গ্রাম খাবেন, নাকি ২ - ৩ দিন মিলে ৩৫০ গ্রাম খাবেন , তা আপনার ব্যাপার, ওকে?

গোরু-খাসির মাংস আসলে রেড মিট, খুব পুষ্টিকর খাদ্য। এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ, জিংক, ফসফরাস, লিপয়িক থাকে। শরীর খুব সুস্থ থাকবে, ব্রেনে - মাসলে শক্তি পাবেন, যদি এই লিমিটে খেতে পারেন। সুন্নাহ তো। খালি বেশি খেলে প্রবলেম হবে। বেশি খাবেন না কিন্তু বাদ দিবেন না, দুর্বল হয়ে যাবেন কিন্তু।

গরুর দুধ: যদিও এটাতে যথেষ্ট ফ্যাট থাকে কিন্তু ট্রান্সফ্যাট নেই, স্যাচুরেটেড ফ্যাটও কম। দিনে এক কাপ পর্যন্ত অসুবিধা নেই। দুধে আছে ক্যালসিয়াম, অনেক পুষ্টি এবং ভিটামিন ডি। মাঝে মধ্যে হলে নো প্রবলেম। দুধ থেকে আসা চিজ খেতে চান? দিনে একটা স্লাইস (৩০ গ্রাম) হলে, নো প্রবলেম।

ঘি: খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ইন্ডাস্ট্রি থেকে আসলে ট্রান্সফ্যাট থাকবে। তেল যত ঘন বা সলিড হবে, তত খারাপ হবার সম্ভাবনা।

=========
তার মানে বাংলাদেশের হার্ট এটাকের অন্যতম প্রধান কারণ হলো আসলে ভোজ্য তেল, সয়াবিন/অন্যান্য তেল এ থাকা মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেটা সামান্য খাবার কারণেই দৈনিক লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে এবং মানুষ হার্ট এটাকের শিকার হচ্ছে মাত্র ৩০ - ৪০ - ৫০ বছর বয়সেই।

আর দোষ হচ্ছে, সব ওই নিরীহ অবলা গোরুর উপর। যদিও গোরু কিছুটা দায়ী। কারণ অনেকে বেশি গোরু খায়, আর খালি চর্বি খায়, ঝোল খায়। গোরুর সাথে যে ঝোল থাকে সেটা কিন্তু আবার সয়াবিন তেলে ভরা, গোরুর চর্বি থেকে ওইটা বেশি খারাপ।

কাচ্চি কেমন খারাপ? কাচ্চিতে তো মাংস কম থাকে কিন্তু যেই তেলটা পোলাউয়ের সাথে থাকে ওইটা খারাপ। ওইটার মধ্যে খালি ট্রান্সফ্যাট আর ট্রান্সফ্যাট, যদি বাহিরে হয়। একবার বাহিরে কাচ্চি খাইছেন মানে আগামী ১ মাস: নো মাংস।
=========

তাহলে এখন কীভাবে চলতে হবে?

এক. গোরু - খাসি'র রানের মাংস বা অন্য অঞ্চলের চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়া যাবে কিন্তু লিমিট হলো সপ্তাহে ৩৫০ গ্রাম পার পার্সন। একটু আধটু চর্বি আসলে সমস্যা নাই। খালি চর্বির দলাগুলো বা মাংস - চর্বির ৫০ - ৫০ মিক্স পিসগুলো ফেলে দিবেন।

দুই. আমরা প্রচুর ঝোল খাই। সমস্যা হলো ঝোলে তো ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ তেল থাকে। ওই তেলের ট্রান্সফ্যাট হল বিশাল প্রবলেম। কাজেই ঝোল খাবার হবে খুব কম, জাস্ট কোনোরকম ভাতকে ভিজানো। পানি বেশি দিয়ে ঝোল বেশি করতে পারেন কিন্তু তেলের পরিমাণ হবে, প্রতি লিটারে ৫০ - ৬০ মিলি লিটার। তেল কমিয়ে, মসলা একটু বেশি দিয়ে হলেও তরকারী রাঁধতে হবে।

তিন. যিনি রাঁধবেন, তাকে বলে দিবেন যেন গোরু - খাসি'র মাংসে খুব কম তেল দেয়। প্রতি কেজিতে মাত্র ৫০ - ৬০ এম এল এনাফ। এরপর যখন রান্না হয়ে যাবে, তখন তেলটা উপরে ভেসে উঠে কিন্তু, ভেসে উঠলে ফেলে দিবেন। ডালে, তরকারীতেও তেল কম দিতে হবে, প্রতি লিটারে ৫০ - ৬০ এম এল

চার. বাহিরের ভাজা পোড়া খাবেন না। সিঙ্গারা - সমুচা - পরোটা এসব যদি খেতেই হয়, প্রয়োজনে বাসায় করে খাবেন, মাসে ১ - ২ বার কিন্তু বাহিরে না। বাহিরে খোলা তেল দেয়, ওতে ট্রান্সফ্যাট মাত্রাতিরিক্ত বেশি। আর তেলকে পোড়ালে সেটা বাতাসের সাথে বিক্রিয়া করে নিজে নিজে ট্রান্সফ্যাট হয়ে যায়। কাজেই যখন বাহিরে পোড়া তেল খাচ্ছেন, ডাইরেক্ট সায়ানাইড খাচ্ছেন।

পাঁচ. ফাস্ট ফুডে কিন্তু খারাপ ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ তেল দিয়েই ভাজে সব কিছু। কাজেই ফাস্ট ফুড থেকে চিকেন ও খাবেন না, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও খাবেন না। বাসায় করে খান, দরকার পড়লে। কারণ, বাসায় তো আপনি ব্র্যান্ডের তেল খাচ্ছেন, যেটাতে ট্রান্সফ্যাট লিমিটেড।

ছয়. বাহিরে যদি খেতেই হয়, তাহলে রুটি - ভাত - রান্না করা মাছ মাংস এইসব খাবেন কিন্তু ভুলেও তেলে ভাজা কিছু খাবেন না। সাধারণভাবে ঘরে খাবেন। কাচ্চি - পোলাউ - গোরু - মুরগি খেতে ইচ্ছে করছে? বাসায় নিজে রান্না করে খান।

সাত. চিংড়ি মাছে, গোরু - খাসি'র ডাবল কোলেস্টেরল থাকে। কাজেই চিংড়ি মাছ খেতে পারবেন 200 গ্রাম, প্রতি সপ্তাহে। এর বেশি নয়। তেলাপিয়া মাছে মার্কারি - লেড - ক্রোমিয়াম জমে, বিষাক্ত, বাদ। সামুদ্রিক মাছ খেলে খুব ভালো। সামুদ্রিক মাছের তেল ব্লক খুলে দিবে, তাই বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ খান, চিটাগাং এ থাকার সুবিধা। নদী - পুকুরের মাছও ভালো। মাছের তেল হলো ভালো তেল, এইচডিএল থাকে।

=========

যদি এমন কোনো উৎস থেকে সয়াবিন তেল সংগ্রহ করতে পারেন, যিনি হাইড্রোজেনেটেড করেন না, জাস্ট নরমাল ঘানিভাঙ্গা, তাহলে সেই তেল বেশি একটু খেলেও প্রবলেম নেই, বড়জোর ভুঁড়ি হবে কিন্তু বুকে ব্লক হবে না। ওতে ট্রান্সফ্যাট থাকে না। তবে ওই তেল একটু পাতলা, সংরক্ষণ অসুবিধা। মানুষ কিনতে চায় না।

সরিষা? সরিষা যদি হাইড্রোজেনেটেড না করে, নরমাল ঘান ভাঙ্গা না হয়, কিছুটা সেইফ। প্রমাণ: বাপ - দাদারা সব সরিষাই খেতো। তবে সমস্যা হলো, সরিষায় আবার মাটিতে থাকা মার্কারি - লেড এইসব শোষণ করে। বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ায় এখন যেখানে সেখানে অনেক ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে, যেখান থেকে মার্কারি - লেড মাটিতে চলে যাচ্ছে। যদি সরিষা এমন মাটিতে হয়, তাহলে সেটা সেইফ না; এটা বের করা সম্ভব না, যে সরিষা কোন মাটিতে হচ্ছে। । কাজেই আমি রিকমেন্ড করি না। আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরিষা আসলে ওইটাও হাইড্রোজেনেটেড হবে।

হাইড্রোজেনেটেড না হলে, সরিষা বা সয়াবিন, দুইটাই এক।
আমেরিকান তেল, যেখানে ৩.৫% ট্রান্সফ্যাট থাকে, সেখানে দিনে মাত্র ৩০ গ্রাম সয়াবিন বা ভোজ্য তেল সেইফ । বাংলাদেশে এর থেকে কম হবে, কারণ ট্রান্সফ্যাট বেশি, কত বেশি জানি না, তাই লিমিট দিতে পারছি না। কাজেই জাস্ট তরকারীর তেল বেশ কম খেতে হবে।

=======

প্রসঙ্গত, মেজবানী খাবার: চট্টগ্রামের ভাইরা:

মেজবানীতে অনেক জায়গায় (হোটেলের) গোরুর কোনো কিছু ফেলা হয় না, পুরো গোরু সব চর্বি সহ পাক করে ফেলে, খেতে চরম স্বাদ হয়। তার উপর আছে, গোরুর কলিজা, যেটাতে লেড - মার্কারিসহ সব বিষ জমা হয়। এতে আরও আছে, বাজারের ট্রান্সফ্যাট সমৃদ্ধ সয়াবিন তেল, কাজেই একটা ব্যাপক বিষাক্ত। কাজেই হোটেলের মেজবানী কিন্তু পিউর সায়ানাইড, বাদ দিবেন। খাবেন না, খাওয়াবেন না।

গ্রামীণ মেজবানী, তেল পরিমিত হলে, ঝুঁকি কম।

=========
শেষকথা: যদি ভাজাপোড়া বেশি খান, বেশ তেল সমৃদ্ধ খাবার খান, তাহলে কিন্তু সিক্সপ্যাক নিয়েও আপনার ব্লক হতে পারে। ট্রান্সফ্যাটের কারণে, স্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে। কারণ আপনি ক্যালরি মেইন্টেইন করেই খাচ্ছেন কিন্তু ট্রান্সফ্যাট গিয়ে সব জমছে হার্টের আর্টারির মধ্যে।

তার মানে বাংলাদেশের জন্য কিটো ডায়েট কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ, চিকন হবেন, বাট বুকে ব্লক হবে। যদিও বাংলাদেশে ট্রান্সফ্যাট মেন্টেন করে না সরকার। শুধু দুধ দিয়ে করলে ঝুঁকি কম।

=========
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুকে ব্লক হওয়া থেকে বাঁচাক। আমিন।

জাযাকাল্লাহু খায়রান

[ সংগৃহীত ]

25/10/2025

Very important health information:

আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়।

হুট্ করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও।

ডাক্তাররা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাবার আগে সবাইকে 'দেড় মিনিট' সময় নেয়ার একটি ফর্মুলা দিয়েছেন।

এই দেড় মিনিট সময় নেয়াটা জরুরি কারন এটা কমিয়ে আনবে আপনার আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা।

হঠাৎ এই উঠে পড়ার সময়ে এই দেড় মিনিটের ফর্মুলা বাঁচিয়ে দিতে পারে আমাদের জীবন।

১। যখন ঘুম থেকে উঠবেন, হুট করে না উঠে মিনিমাম তিরিশ সেকেন্ড বিছানায় শুয়ে থাকুন।

২। এরপর উঠে বিছানায় বসে থাকুন তিরিশ সেকেন্ড।

৩। শেষ তিরিশ সেকেন্ড বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসুন।

এই দেড় মিনিটের কাজ শেষ হবার পর আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন পৌছাবে যা আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি একদম কমিয়ে আনবে।

খুবই গুরুত্তপুর্ন এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যটি‌ ছড়িয়ে দিন আপনার পরিবার, বন্ধু এবং পরিচিত লোকজনের মাঝে। নিজে এই ফর্মুলাটি মেনে চলুন এবং অন্যদেরকেও মানতে বলুন।

মনে রাখবেন যেকোন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সুতরাং সবাই নিয়মটি মানতে চেষ্টা করবেন প্লিজ। 💕

02/09/2025

ব্রেন টিউমার জনিত জটিলতা ও তার প্রতিকার

পুরো একটা জেনারেশন PCOS-এ ভুগছে..!আজকাল মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায় পিরিয়ড সময় মতো হয় না, ওজন কমছে না, বা ওজন বাড়ছে না...
16/08/2025

পুরো একটা জেনারেশন PCOS-এ ভুগছে..!

আজকাল মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায় পিরিয়ড সময় মতো হয় না, ওজন কমছে না, বা ওজন বাড়ছে না, হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে ঘনঘন মুড সুইং হচ্ছে। এগুলোই PCOS (Polycystic O***y Syndrome) এর লক্ষণ। আর অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, এটা এখন শুধু কোনো একজনের সমস্যা নয়, পুরো একটা প্রজন্ম এর শিকার।

কেন এমন হচ্ছে?
এই সমস্যার কারণ মানুষ নিজেরাই।সারাদিন বসে থাকা, কম মুভমেন্ট করা, বেশি চিনিযুক্ত খাবার আর জাঙ্ক ফুড খাওয়া, রাত জাগা, অতিরিক্ত মোবাইল-লেপটপ ব্যবহার করা, এগুলো শরীরের প্রাকৃতিক হরমোন সিস্টেমকে একদম এলোমেলো করে দিচ্ছে।

এগুলোর জন্য শরীরের ভেতরের ব্যালান্স নষ্ট হয়, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড ও হরমোন চক্রের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। মানসিক দিক থেকেও এর প্রভাব ব্যাপক। হরমোনের ওঠানামায় মুড সুইং, ডিপ্রেশন, আত্মবিশ্বাস হারানো সব মিলিয়ে এক ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

PCOS একটা সোশ্যাল হেলথ ক্রাইসিস হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আরও বড় সমস্যায় পড়বে। ❤️

25/07/2025

গ্যাস্ট্রিকের স্থায়ী সমাধান, নিজে জানুন, আপনজনদেরকে জানিয়ে দিন

***আমি যতই গভীরভাবে হেলথকেয়ার সেক্টরে প্রবেশ করছি, ততই উপলব্ধি করছি—বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটি টিকসই নয়।একটা শরীর...
20/07/2025

***আমি যতই গভীরভাবে হেলথকেয়ার সেক্টরে প্রবেশ করছি, ততই উপলব্ধি করছি—বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটি টিকসই নয়।

একটা শরীর, কিন্তু ৫০টা অঙ্গের জন্য ৫০ জন বিশেষজ্ঞ—এটা কোনো অর্জন না, এটা আমাদের সিস্টেমের একটা ত্রুটি। এই বিচ্ছিন্ন ও খণ্ডিত স্বাস্থ্যব্যবস্থাই দিনকে দিন খরচ বাড়াচ্ছে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিপর্যয় ডেকে আনছে (PMID 36622952)।

একটা সাধারণ উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে—

ধরা যাক আপনি একজন কার্ডিওলজিস্টের কাছে গেলেন। কিছু আর্টেরিয়াল প্লাক ধরা পড়ল, ক্যালসিয়াম স্কোর বেশি—উনি আপনাকে রক্ত পাতলা করার ওষুধ, স্ট্যাটিন, এবং হয়তো বিটা ব্লকার দিলেন।

সমস্যা সমাধান হলো মনে হচ্ছে।

কিন্তু কিছু মাস পর আপনার রক্তচাপ বেড়ে গেল, কিডনির কার্যকারিতা (eGFR) কমে গেল।

এবার আপনি গেলেন একজন নেফ্রোলজিস্টের কাছে। উনি কেবল কিডনির দিকটাই দেখলেন, হৃদপিণ্ড নয়। আরও কিছু ওষুধ যোগ হলো—ধরা যাক ACE ইনহিবিটার আর ডাইউরেটিক।

রক্তচাপ ঠিক হলো—সব ঠিকঠাক মনে হচ্ছে।

কিন্তু কিছুদিন পর আবার মস্তিষ্কে ঝিমঝিম ভাব, ঘুমের সমস্যা, অবসাদ শুরু হলো।

এবার আপনি গেলেন নিউরোলজিস্টের কাছে। আরও নতুন ওষুধের প্যাকেট হাতে পেলেন—মুড ঠিক রাখতে, ঘুম বাড়াতে, অবসাদ দূর করতে।

এইভাবেই চলতে থাকে…

আজকাল একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না যে মাত্র একটা ওষুধ খাচ্ছে।

পলিফার্মাসি এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। ভারতে প্রতিদিন ~৫-৭% রোগী শুধুমাত্র ওষুধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন (প্রায় ৪৫–৬০ লাখ রোগী প্রতি বছর) এবং প্রতি বছর আনুমানিক ~১–৪ লাখ মানুষ এই কারণেই মারা যাচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে এই সংখ্যাটা মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

একটা অঙ্গের সমস্যা কীভাবে বহু অঙ্গের সমস্যা হয়ে দাঁড়াল? ভেবে দেখুন একবার।

আমার সবচেয়ে বেশি বিস্ময় লাগে—আমরা এত বড় সমস্যাটাকে (polypharmacy) নিয়েই তেমন কোনো আলোচনা করি না। অথচ এটাই আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসংকটের একটি রূপ নিচ্ছে।

আমাদের এখনই silo-based system থেকে বেরিয়ে পুরো দেহকে একটা সমন্বিত ইউনিট হিসেবে দেখা দরকার।

আগে একজন চিকিৎসকের পক্ষে সবকিছুর উপর দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব ছিল না, কিন্তু এখন আর সেই সীমাবদ্ধতা নেই। আমাদের উচিত এখনই শক্তিশালী, বহুমাত্রিক এআই সিস্টেমে বিনিয়োগ করা, যা এই বিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যব্যবস্থার জায়গায় একটি সমন্বিত, মানব-কেন্দ্রিক সমাধান দিতে পারে।

মানবদেহ একটি সংগঠিত, পরস্পর-সম্পর্কিত ইউনিট। আমাদের চিকিৎসাও তেমনই হওয়া উচিত—সম্পূর্ণ দেহ ও মনের সমন্বিত দেখভাল, খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি নয়।

-জয়পুরহাটের কৃতি সন্তান ডা.গওছুল আজম
সহকারী অধ্যাপক,নিউরোসার্জারি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

বিঃদ্রঃ ২৫০ বছর আগে হোমিওপ্যাথির জনক ডা. হানেমান এই উপলব্ধি করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করেন। যেখানে রোগের চিকিৎসা না করে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। রোগীর অনেক সমস্যা হতে পারে কিন্তু একই সময়ে একটি মাত্র ঔষধ দেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথি দিন দিন রোগীদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে।

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর  গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্...
19/07/2025

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জ্বর নিয়ে এবং এর সাথে তখনই/পরবর্তীতে Diarrhoea দেখা দেয়।

ঐ সময় জ্বরের কারণ হিসেবে underlying Infection চিন্তা করে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেলাইয়ের জায়গার একটা অংশ কিছুটা আদ্র থাকায় সেখানে ইনফেকশন চিন্তা করা হয়। প্রথমে এম্পেরিয়াল এন্টিবায়োটিক শুরু করা হয় কিন্তু রোগীর তেমন উন্নতি নেই। বরং শরীরের গলার নিচে-বুকে-পিঠে বিভিন্ন জায়গায় Rash দেখা। গাইনোকলজিস্ট Antibiotic এর Drug Reaction চিন্তা করে Antibiotic বন্ধ করেন।

পরবর্তীতে আদ্র জায়গা থেকে Swab নিয়ে কালচারের জন্য পাঠানো হয় কিন্তু কালচারে কোন গ্রোথ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েক দফায় এন্টাবায়োটিক পরিবর্তন করা হয়। এর পাশাপাশি ব্লাড কালচার করা হয় সেখানেও কোনো গ্রোথ পাওয়া যায় নি। এছাড়া জ্বরের কারণ খোঁজার জন্য টিবি সহ সম্ভাব্য অন্যান্য পরীক্ষাও করা হয় কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

যেহেতু ডেঙ্গু সিজন চলছে ডেঙ্গু টেস্টও করা হয়েছিল ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ, Platelet count নরমাল।

এর মধ্যে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে কল দেয়া হয় মেডিসিনের সিনিয়র ডাক্তার এসেও কোনো ক্লোজ খুঁজে পাচ্ছেন না।
এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করা হল কিন্তু উন্নতি নেই।

এর মধ্যে রোগীর CBC পরীক্ষায় দেখা যায় যে wbc কাউন্ট দিন দিন কমে যাচ্ছে। জন্ডিস দেখা দিয়েছে, বিলিরুবিন বেশি। এলবুমিন ও কমে যাচ্ছে।

Procalcitonin level, HBsAg, Anti HCV সহ অনেক টেস্ট করা হয়েছিল সব নরমাল। এদিকে Albumin দিয়েও Albumin লেভেল নরমালে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ট্রাই করেও রোগীর কোন উন্নতি হচ্ছে না
কিন্তু কেন এমন হলো তার কোন ব্যাখ্যা ও দিতে পারছেন না ডাক্তাররা।

সবশেষে উনারা বলেন যে, Septicemia থেকে Multiorgan failure এর দিকে যাচ্ছে পেশেন্ট।

ঐ মুহূর্তে ডা. খাইরুল ভাইয়ার ডাক পড়ে। ভাইয়া ওয়ার্ডে গিয়ে পেশেন্ট কে দেখেন। একেবারে শুরু থেকে হিস্ট্রি নেন এবং প্রশ্ন করে পাওয়া একটা ক্লু থেকে ডায়াগনোসিস করেন। সেই মুহূর্তে ভাইয়া মোবাইলে থাকা পেশেন্টের Rash এর ছবি টা আমাকে দেখান।

পেশেন্টের হিস্ট্রি + Rash এর ছবি টা দেখে আমার মনে পড়ে যায় ১/২ বছর আগে বিশিষ্ট হেমাটোলজিস্ট Prof. Dr. Akhil Ranjon Biswas স্যারের শেয়ার করা দুটি কেইস হিস্ট্রি পড়েছিলাম Haematology Society of Bangladesh এর ওয়েবসাইটে। এবং এই পেশেন্টের Rash ও স্যারের শেয়ার করা পেশেন্টের Rash এর ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে।

তখন ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম, উনার ডায়াগনোসিস কি Blood Transfusion Associated GVHD(Graft Versus Host Disease)?

তখন ভাই জানালেন যে পেশেন্টের সিজারের সময় ব্লাড ডোনেট করে তার আপন ভাই। কেউ আসলে সেই হিস্ট্রি টা নেন নি। সবাই আসলে সিজার পরবর্তী জ্বরের কারণ হিসেবে Infective cause চিন্তা করছিলেন। তাই কোনো কনক্লুসনে আসতে পারছিলেন না কেইস টি নিয়ে। যেহেতু অনেক টেস্ট অলরেডি করা হয়ে গেছে এবং ভাইয়াও অতীতে এমন কেইস দেখেছেন তাই উনি আগ বাড়িয়ে ব্লাড ট্রান্সফিউসন হিস্ট্রি নিয়েছেন এবং ডায়াগনোসিস করতে পেরেছিলেন। আর বাইরে থেকে এলবুমিন দেয়া সত্ত্বেও পেশেন্টের এলবুমিন লেভেল কমে যাচ্ছিল তার কারণ হিসেবে ভাইয়া বললেন এক্ষেত্রে Protein loosing Enteropathy হয়।

কিন্তু GVHD এর মর্টালিটি রেইট যেহেতু অনেক বেশি, এই পেশেন্ট আসলে সার্ভাইভ করার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। (আমি পূর্বে যে দুটো কেইস পড়েছিলাম সেই দুজনই মারা যান। একজনের ক্ষেত্রে ব্লাড ডোনার ছিলেন আপন ভাই, আরেকজনের ক্ষেত্রে আপন ছেলে।)

এই মহিলার শেষ CBC তে WBC count ছিল মাত্র ২৩০/মাইক্রো লিটার (!!!)। Neutrophil 08%, Lymphocyte 90%. ESR= 45.

পরবর্তীতে তাকে হেমোটলজি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়। ভাইয়া আমাকে নিয়ে যান হেমোটলজি ওয়ার্ডে ভর্তি এই পেশেন্ট দেখানোর জন্য এবং ঐ সময় অধ্যাপক ডা. আখিল রন্জন বিশ্বাস স্যারও ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই পেশেন্টের বেডে গিয়ে পেশেন্ট কে পাওয়া যায় নি। কারণ উনিও GVHD এর মত একটি Grievous condition এর নিকট হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

আল্লাহ মেহেরবানী করে রোগী কে বেশেহত নসীব করুন।
ডা. খাইরুল ভাইয়া কে অসংখ্য ধন্যবাদ কেইস টি শেয়ার করার জন্য। এর আগে TA-GVHD এর সেইম আরেকটি কেইস ভাইয়া ডায়াগনোসিস করেন যেখানে Open Heart Surgery এর পর পেশেন্টের জ্বর এবং Rash দেখা দেয়। সার্জারীর সময় নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেন ঐ পেশেন্ট এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মরণঘাতী এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন।

Take_Home_Message:
নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিকটাত্মীয়ের রক্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাধারনত Blood Transfusion এর ২ দিন থেকে ৩০ দিন পর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। Immunocompromised গ্রহীতার ক্ষেত্রে রিস্ক সবচেয়ে বেশি থাকে, তবে দৃশ্যত সুস্থ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও Rarely এমনটা ঘটে থাকে।

এর বিস্তারিত ব্যাখা দিতে গিলে অনেক বড় হয়ে যাবে লেখা। সংক্ষেপে বললে, নিকটাত্মীয়ের সাথে আপনার HLA matching থাকায় আপনার রক্তে থাকা T cell(প্রতিরক্ষা কোষ) ডোনারের রক্তে থাকা T cell কে নিজের/Self হিসেবে মনে করবে, তাই তাকে কিছু করবে না। কিন্তু ডোনারের T cell আপনার শরীরে প্রবেশের পর আপনার দেহ কোষগুলো কে Non self/Foreign হিসেবে মনে করবে এবং বিভিন্ন অঙ্গের কোষ গুলো ধ্বংস করতে শুরু করবে। যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা উন্নত বিশ্বেই ৯০% এর বেশি। তবে মাত্র ১% এরও কম কেইসে এটা ঘটে থাকে, অর্থাৎ খুব রেয়ার। কিন্তু হলে যেহেতু রক্ষা নেই, তাই নিকটাত্মীয়ের রক্ত এভয়েড করাই যুক্তিযুক্ত।

বোঝার সুবিধার্থে সাধারন ভাষায় বললে,
বাইরের রাষ্ট্রের কেউ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গেলে বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ধরুন বাংলাদেশ বিজিবির পোশাক পরে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সৈনিকরা এদেশে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশ বিজিবি ঐ সকল সৈনিক কে নিজেদের লোক মনে করে কিছুই করল না। এই সুযোগে ঐ সৈনিকরা এদেশে বংশবৃদ্ধি করলো এবং বাংলাদেশের সাধারন মানুষ দের মারতে থাকলো। ঠিক এটাই ঘটে TA-GVHD তে।
*বিজিবি= গ্রহীতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)
*সৈনিক= দাতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)

♦বিশেষ করে আপন ভাই/বোন, বাবা /মা, ছেলে/ মেয়ে, ভাতিজা/ভাতিজি, ভাগিনা/ভাগিনী থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপন ভাতিজা থেকে রক্ত নিয়ে TA-GVHD হয়ে মারা গেছেন এমন কেইসও আছে।

এফসিপিএস মেডিসিনে গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক Dr. Khairul Islam (MBBS,MCPS,FCPS) ভাই। ভাই শুধু ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞই নন, ক্লিনিসিয়ান হিসেবেও খুবই ভালো। একাডেমিক ও মানবিক একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ভাইয়ের সাথে দেখা হলে সবসময় বিভিন্ন কেইস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেইস নিয়ে কৌতুহল থাকায় শুনতে/জানতে ভালো লাগে এবং থিংকিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর চেষ্টা করি। সেদিন ভাইয়া একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

বি: দ্র: ইংরেজিতে একটা কথা আছে,, Knowledge increases by Sharing, not by Saving! এই সিরিজের সবগুলো লিখাই একাডেমিক আলোচনার জন্য। প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য/অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইলে করতে পারেন।
Dr. Fahim Uddin
Khulna Medical College
Session: 2012-2013

♣যদি ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে কোনো ডোনার খুঁজে না পাওয়া যায় তখন নিকটাত্মীয় থেকেও বাধ্য হয়ে ব্লাড নিতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে ডোনারের ব্লাড Irradiation করে গ্রহীতার শরীরে দেওয়া হয়।

পড়াশেষে Done লিখুন এবং জনস্বার্থে শেয়ার করুন।
পেজে ফলো দিয়ে পাশে থাকুন। ধন্যবাদ

09/07/2025

তিনটি বিষাক্ত খাদ্য উপাদান, নিজে সচেতন হন, অন্যকও সচেতন হতে বলুন

15/06/2025

★পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কী?
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস নারীদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা জনিত রোগ। বিশ্বজুড়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ নারী এই সমস্যায় ভোগেন। এই রোগে ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো সিস্ট হয় বলেই এর এমন নামকরণ।

নারীদের ডিম্বাণু তৈরি হয় এক ধরনের তরলপূর্ণ থলির ভেতর, যাকে বলে ফলিকল। যখন ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় তখন এই থলি ফেটে ডিম্বাণু বেড়িয়ে আসে। এই অবস্থাকে ওভ্যুলেশন বলে। পিসিওএস এই প্রক্রিয়াতে বাধা সৃষ্টি করে। যাদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম আছে, সেই নারীদের ডিম্বাশয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পুরুষ হরমোন (এন্ড্রোজেন) নিঃসরণ করে। যার ফলে ডিম্বাণু পরিপক্ক হওয়ার পরও ফলিকল ফেটে যায় না এবং ডিম্বাণু বের হতে পারে না। এর ফলে মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হয় বা মাসিক একেবারেই হয় না।

★পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কেন হয়?
চিকিৎসকরা ধারণা করেন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং বংশগত কারণ এ ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে নারীদের মা ও বোনের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম আছে তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
নারীদের শরীরে এন্ড্রোজেন হরমোন বেশি মাত্রায় থাকলেও পিসিওএস হতে পারে। বাড়তি এন্ড্রোজেন ডিম্বাশয় থেকে ডিম বের হওয়া এবং এর বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণেও শরীরে এন্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে যেতে পারে।

★পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের উপসর্গ

পিসিওএসের উপসর্গ শুরু হয় সাধারণত নারীদের মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকেই। তবে উপসর্গের ধরন এবং তীব্রতা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। সাধারণ যে উপসর্গ সবার মধ্যে দেখা যায় তা হলো অনিয়মিত মাসিক। অন্যান্য লক্ষণগুলো হলো -

● মুখে, বুকে, পেটে, পেছনে বা পায়ের আঙুলে চুল গজানো

● ব্রন, তৈলাক্ত ত্বক বা খুশকি, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া বা পুরুষদের মতো টেকো ভাব বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া

● ঘাড়, হাত, স্তন বা উরুতে চামড়ায় গাঢ় বাদামি বা কালো দাগ। এটা বগলে বা পায়ের ভাঁজেও হতে পারে।

● স্তনের আকার ছোট হয়ে যাওয়া, অনিয়মিত মাসিক, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।

● বন্ধ্যাত্ব, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।

● ডায়াবেটিস।

তবে এসব উপসর্গের অনেকগুলোই অনেকের নাও থাকতে পারে।

★পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ও বন্ধ্যাত্ব

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমস্যাটি তখনই শনাক্ত হয় যখন তিনি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করে অসফল হন। সারা বিশ্বে বন্ধ্যাত্বের জন্য এটাকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়।

তবে কারও পিসিওএস থাকা মানে এই নয় যে তিনি কখনোই মা হতে পারবেন না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তারাও মা হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা গ্রহণ ও জীবনযাপনে পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।

এ বিষয়টি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, পিসিওএস হলেই যে গর্ভধারণ করা যাবে না এ কথা ঠিক নয়। এ সমস্যাটি ধরা পড়লে আশাহত হওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

★পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের প্রতিকার

ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হরমোনের ভারসাম্য রাখার মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ওজন কমিয়ে বিএমআই ২৫ এর নিচে রাখলে, ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যা অনেকটা কাটতে পারে।

★চিকিৎসা:
ডায়েট, ওজন কন্ট্রোল, ব্যায়াম ও নিয়মিত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে রোগ নিরাময় সম্ভব, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যেমন: Sepia, Conium, Thuja, Lycopodium, Calcaria Flour etc. রোগীর শারীরিক লক্ষণ অনুসারে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারলে এ রোগ থেকে পূর্ণাঙ্গ আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

এ বিষয় আরও কিছু জানার থাকলে অবশ্যই জানাবেন।

Address

Ahmednagar, Moddho Paikpara, Paikpara Science Lab, Kakoli Road, Mirpur 1
Dhaka
1216

Opening Hours

09:00 - 12:00

Telephone

+8801519221155

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. SM Fuad's Homeopathy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram