29/09/2025
১৩ বছরের মেয়ে মাসনা হতেও রাজি আছে... মাশাআল্লাহ
#একজন মাজলুম আলেম বাবা তার ২য় স্ত্রী ও কন্যা সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে আছেন। বিশেষ কারণে ঋণ গ্রস্ত হয়েছেন। সংসার চালাতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে। এক সময় হাদিসের দরস দিতেন। তিনি তা গু তের জুলুমের শিকার হয়েছেন । তার বুক ফাটা কান্না আর চোখের পানি আমি দেখেছি। এই তা গু তী সমাজ তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমার কাছে পরামর্শের জন্য এসেছেন।
তার পুরো বিষয়টা শুনলাম। শরীয়তের আলোকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। পরামর্শ পেয়ে উনি বললেন হযরত এক বছর পরে মনে হল, ভিতরের যন্ত্রণাটা কমে গেলো।
তার এক মেয়ের বয়স ১৩ বছর। এক পারার হেফজ করেছে, পড়ালেখা করছে। আমি বললাম: আপনার জন্য উত্তম পন্থা হলো, যেহেতু আপনার মেয়ে বালেগা হয়ে গেছে তাকে ভালো একজন দায়িত্বশীল ছেলের সাথে বিবাহ দিয়ে দিন। তাহলে তার দায়িত্বটা এখন থেকে জামাই বহন করবে। এটাই ইয়াতিম মেয়ে ও বিপদগ্রস্ত বাবাদের জন্য ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশনা।
আপনি যদি আপনার মেয়েকে মাসনা হিসেবে বিবাহ দিতে রাজি থাকেন, অনেক ভালো মনের, আন্তরিক জামাই পাবেন। যে আপনার বিপদের সময়ও পাশে দাঁড়াতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু রাসূল সা:এর জামাই হয়ে যেমন রাসূল সা:কে অনেক আর্থিক সহযোগিতা করতেন। আপনি যেহেতু একজন বিপদগ্রস্ত মাজলুম আলেম, আমার সুযোগ হলে তো আমি আপনার পাশে দাঁড়াতাম, যেহেতু আমার আপাতত কোন সুযোগ নেই। তাই আমি দোয়া করবো, চেষ্টা করবো, যেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এমন একজন জামাই মিলিয়ে দেন, যিনি আপনার বিপদে পাশে থাকবে। শুধু জামাই হবে না আপনার বন্ধু হয়ে আপনার ঢাল হয়ে পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। আরো কিছু বিশেষ বিশেষ পরামর্শ দিলাম।
উনি আমার কথাগুলো শুনে অঝোরে কাঁদতে থাকলেন। আর বললেন হুজুর এটা কি আপনি কাল্পনিক গল্প বলতেছেন না আসলেও এটা বাস্তবে সম্ভব। আমি বললাম এই গল্প এক সময় কাল্পনিক মনে হতো, কিন্তু বাংলার জমিনে এখন এটা বাস্তবতার রূপ নিয়েছে। তিনি খুশিতে কেঁদে ফেললেন। আর বললেন হযরত আজ দুইটা বছর এই যন্ত্রণাটা বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। আজ মনে হল আমি পুরো হালকা হয়ে গেলাম। আরো যদি এক বছর আগে আপনাকে পেতাম তাহলে হয়তোবা এতদিনে এই কষ্টগুলো আরো অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।
আলোচনার শেষে, ওই কান্না ভরা চোখে আমি হাসির ঝলক দেখতে পেয়েছি। হতাশগ্ৰস্থ একজন আলেমকে নতুন করে উজ্জ্বল হতে দেখেছি। তার প্রত্যেকটা মুহূর্তের অনুভূতি আর অবস্থা দেখে, আমি আমাদের অফিসের লোকজনকে বলছিলাম: পৃথিবীতে যে যতই গালাগালি করুক, যে যতই বদনাম করুক, এমন একজন অসহায় পিতার চোখের পানি মুছে দিতে পেরে এবং শত শত বিধবা ও ডিভোর্সী বোনদের চোখের পানি মুছে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। পুরা দুনিয়ার তা গু তের গালি এক জায়গায় করলেও এমন একজন মানুষের চোখের পানির দাম হবে না।
আলহামদুলিল্লাহ, পরিবারের সবাই রাজি হয়েছে। মেয়ে ওয়াহেদা হতেও রাজি , মাসনা হতেও রাজি, মেয়ের মাও স্বাচ্ছন্দে রাজি হয়েছে। আরেকটু শিওর হওয়ার জন্য তার সাথে ফোনে কথা বললাম। আমি বললাম, আপনি তো তার সৎ মা। আপনি জামাই আদর করবেন তো। সে বলল হুজুর আমি আলেমের স্ত্রী এবং উনার ২য় স্ত্রী: আমি উনার এই মেয়েগুলোকে নিজের আপন মেয়ের মতোই ভালোবাসি। মাসনাতেও আমার কোন আপত্তি নেই । যিনি আমার মেয়ের জামাই হবে, সর্বোচ্চ ভালবাসা এবং সম্মান দেবো, ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ, আজ IMB-র ফরম পূরণ করেছে। এই পরিবারের জন্য মুনাসিব যোগ্য ছেলে পেলে খুব দ্রুত বিবাহ দিয়ে দিব, ইনশাআল্লাহ। IMB-র সদস্যদের মধ্যে এই মজলুম পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যোগ্য যোগ্য অনেক ভাইয়েরা আছেন।
আমি উনাকে বলেছি: জাস্ট আর একটা সপ্তাহ অপেক্ষা করুন, আপনার চোখের পানি হাসিতে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তা'আলা যেন এই মাজলুম পরিবারের পাশে একজন ভালো মানুষকে কবুল করেন।
#মুহতারাম! এমন অসহায় পরিবারের ঘটনা শুধু এক দুইটা নয়। হাজারো লাখো পরিবার আছে, যারা খুব কষ্টে আছে, হাজারো বাবা আছে যারা মেয়েদেরকে পড়ালেখা করানোর জন্য ভিক্ষা করে, ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়। লাখো নারী আছে যারা বিধবা ডিভোর্সি অথবা অসুন্দরী হওয়ার কারণে বাবার উপর বোঝা হয়ে আছে। অথবা নিজেই কষ্টের জীবন কাটাচ্ছে। এমন অনেক বিধবা নারী আছে, যারা তার মেয়েগুলোকে নিয়ে অনেক কষ্টে থাকে। ছেলেগুলোকেও পড়ালেখা করাইতে পারে না।
অথচ এই নারীগুলোকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করার মানুষ খুবই কম। শশুর বিপদগ্রস্ত শুনলে কেউ তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে না। শশুর ভ্যান চালায়, শ্বশুর গরিব মানুষ, শশুর বাবুর্চি, শশুর অসুস্থ ইত্যাদি কথা শুনলে, ভালো কোন ছেলে ওই শ্বশুরের মেয়ে নিতে রাজি হয় না। কোনো নারী যদি কালো হয়, অসুন্দরী হয়, কেউ বিধবা ২/৩ সন্তানের মা, এগুলো শুনলেই কোন ভালো ছেলে তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় না।
এদের একমাত্র সুন্দর সমাধান কোন যোগ্য ভাইয়ের ২য় বা ৩য় স্ত্রী হবে। কারণ প্রথম বিয়েতে মানুষের অনেক ডিমান্ড থাকে, তুলনামূলক দ্বিতীয় বিবাহতে ডিমান্ড কম থাকে।
যোগ্য ভাইয়েরাও তাদেরকে বড় স্ত্রীর মতই সম্মান দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে। আর এর জন্য দরকার অনেক আদর্শ, এবং আদর্শের চর্চা। আমরা সেই আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আদর্শবান পুরুষ তৈরি করা ও আদর্শিক সমাজ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা আই এম বির মেহনতকে কবুল করেন। চাইলে আপনিও এই কাফেলায় শরিক হতে পারেন।
☎️যোগাযোগ ও IMB ফরমের লিংক কমেন্টসে ⤵️
Ideal Marriage Bureau-IMB