Mithila Khandaker

Mithila Khandaker | Psychologist | Content Creator |

27/10/2025

সুস্থ সম্পর্কের ৩ টা “A”

যে দায়িত্ব আপনার Stress এর কারণ!আমরা সবাই ই জীবনে নানা দায়িত্বের সাথে জড়িত! নানা কাজে ব্যস্ত! কখনো কর্মক্ষেত্রে কখনও ...
26/10/2025

যে দায়িত্ব আপনার Stress এর কারণ!

আমরা সবাই ই জীবনে নানা দায়িত্বের সাথে জড়িত! নানা কাজে ব্যস্ত! কখনো কর্মক্ষেত্রে কখনও বা পারিবারিক জীবনে, একের পর এক দায়িত্বের ভীড়েই আমরা বাস করি! এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই!

তবে কোন কোন সময় আমরা, অন‍্য সবার কাজ , অন‍্য কাজের দায়িত্ব নিতে নিতে ঠিক কোথায় যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলি! সবার জন‍্যে সবকিছু ঠিক ঠাক সেট করা কিন্তু আমার জন্যই কেন যেন নেই!
আমি Hyper-Responsibility নামক একটা সাইকোলজিক‍্যাল প‍্যাটার্ন এ পড়ে গেছি! চক্রাকার loop এ আটকে গেছি! এখন প্রশ্ন হলো কি এটা?

হাইপার-রেসপনসিবিলিটি মানে হলো নিজের দায়িত্ববোধের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া, দায়িত্ববোধ আমাদের সবার মধ্যে থাকবে কিন্তু সেই Sense of Responsibility যখন স্বাভাবিকতা হারায় —
অর্থাৎ, এমন এক psychological pattern, যেখানে একজন মানুষ মনে করে,
“সব কিছু আমার ঠিক করতে হবে, না হলে কিছু খারাপ হবে” “আমিই দায়ী কাজটা খারাপ হওয়ার জন্য” বা “আমাকেই সব ফিক্স করতে হবে, এবং সেটা এখনই করতে হবে! যত কষ্টই হোক কাজটা আমাকে পারতেই হবে!”
বা

“কেউ যদি কষ্ট পায়, সেটা আমার দোষ।””নিশ্চয়ই আমি তাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেছি”, নয়তো “ও আমার সাথে কথা বলছে না যে! আমি কি খারাপ ব‍্যবহার করেছিলাম? আচ্ছা স‍্যরি বলে আসি” ….. এরকম আরও হাজারো কথা মাথায় ঘুরতে থাকবে!

এই অতিরিক্ত দায়িত্ববোধ সাধারণত ছোটবেলায় emotional environment-এর মধ্যে গড়ে ওঠে—
যেখানে শিশুকে বারবার অন্যের মেজাজ, রাগ বা কষ্ট সামলাতে হয় বা অন‍্যের (বিশেষ করে মা-বাবার) নিজেদের রাগ , দুঃখ, হতাশা, অভিমান এসবের প্রভাব টা পড়ে সন্তানের উপর! তাই না চাইতেও তার এতসব নেগেটিভ ইমোশন কে প্রসেস করবার জন্যে, Coping mechanism ব‍্যবহার করতে হয়!

ফলে, বড় হয়ে সেই ব্যক্তি শিখে ফেলে—
“আমার শান্তি অন্যের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে।” মানে হলো, অন‍্যে যদি ভালো বলে তবেই আমি ভালো , আর অন‍্যে যদি খারাপ বলে… তবে আমি শেষ! My validation depends on others approval!

আর এভাবেই কখন যেন আমরা আমাদের ভাল থাকার চাবিকাঠি টা অন্যের হতে সযত্নে তুলে দিই! যেটার মাশুল দিতে হয় অনেক ভাবেই!

কীভাবে হাইপার-রেসপনসিবিলিটি ব‍্যক্তি জীবনে প্রভাব ফেলেঃ
1. Constant Stress:
সব কিছু নিজের কাঁধে নেওয়ার কারণে মানুষ সবসময় tense বা on alert থাকে।
যেন কিছু মিস হলে ভয়ানক কিছু ঘটবে।যেমন টা মেসেজ চেক করা নিয়ে মিথীলার হয়েছিল! মনে আছে? O my God! If I don’t respond now, she /he ( already in depression) will think I am ignoring her/him that might cause her depression to get worse!

2. Emotional Burnout:
সবকিছুর দায় নিতে নিতে মানসিকভাবে এক সময় ক্লান্তি আসে।
নিজের প্রয়োজন বা বিশ্রামের জায়গা আর থাকে না।তাই না? কয়টা কাজ আর একা হাতে সামলানো যায় বলেন?

3. Low Self-worth:
যেহেতু একটা pressure থাকে সব perfectly করার, তাই সব ঠিক করতে না পারলে ভেতরে ভেতরে guilt বা self-blame তৈরি হয়—
যেন “আমি যথেষ্ট ভালো না” বা “ I am incapable”.

4. Unbalanced Relationships:
এমন মানুষ সবসময় giver mode-এ থাকে।
ফলে সম্পর্ক একতরফা হয়ে যায়, তাদের selfless dedication এর কারনে! কারণ তারা boundaries সেট করতে পারে না যে কোথায় থামতে হবে!

কীভাবে এটা Anxiety তৈরি করে

হাইপার-রেসপনসিবিলিটি মানে হচ্ছে constant overthinking-
“সে কি কষ্ট পেলো কি না?”
“আমি ঠিকভাবে behave করলাম তো?”
“আমি কিছু ভুল করিনি তো?”

এই ভাবনাগুলো মনটা -কে একদম বিশ্রাম দেয় না।
ফলে ব্যক্তি সবসময় anticipatory anxiety-তে ভোগে,
যা ঘটেনি, সেটাও যেন ঘটবে এমন ভয় তাড়িয়ে বেড়ায়!

এক সময় এই hyper-vigilance থেকে তৈরি হয়:
• Chronic anxiety
• Insomnia (ঘুমের সমস্যা)
• Panic attacks
• Perfectionism

কীভাবে এটা People-Pleasing tendency তৈরি করে

যেহেতু ব্যক্তি সবসময় অন্যকে খুশি রাখতে চায়,
তাই তারা সহজে “না” বলতে পারে না। They Never Say “NO”.
অন্যের আবেগ, মতামত, প্রয়োজন—সবকিছুকে নিজের চেয়ে আগে রাখে।এবং অন্যের অনুরোধে প্রায়শই ঢেকি গেলে! 😛
এই মানসিকতা আসে এই বিশ্বাস থেকে—
“যদি আমি ওদের খুশি রাখতে পারি, তাহলে ওরা আমাকে ভালোবাসবে বা গ্রহণ করবে।”

ফলে তৈরি হয় people-pleasing cycle:
• Approval খোঁজা
• নিজের feelings দমন করা ( express না করা)
• Inner resentment ( ভিতরে ভেতরে রাগ/ক্ষোভ)
• Anxiety বৃদ্ধি পাওয়া!

হাইপার-রেসপনসিবিলিটি (Hyper-responsibility)-এর মানসিক প্রভাব অনেক গভীর। সব কিছুর দায় নিজের ওপর নেওয়ার প্রবণতা chronic anxiety, guilt, এবং fear of failure তৈরি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি emotional burnout, low self-esteem, এবং boundary issues-এর দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে।

শেষে বলবো,
সব কিছু ঠিক করার দায়িত্ব আপনার একার নয়। আর Letting go মানেও হাল ছেড়ে দেওয়া নয়, বরং মানসিক শান্তি ও ভারসাম্যের পথে এক ধাপ এগোনো।
পরের পর্বে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে লিখব!

পাশে আছি 🙏

একটা মজার বিষয় শেয়ার করি! আমার মধ্যে না একটা tendency আছে, সেটা হলো, আমি Notifications নিতে পারি না! মানে হলো, যখনই আম...
24/10/2025

একটা মজার বিষয় শেয়ার করি! আমার মধ্যে না একটা tendency আছে, সেটা হলো, আমি Notifications নিতে পারি না! মানে হলো, যখনই আমার ফোনে কোন টেক্সট মেসেজ আসবে, আমার একদম সাথে সাথেই তার রিপ্লাই করতে হবে! নয়তো অশান্তি শুরু হয়ে যায় 🫢😛ভিতর ভিতর।

এই যেমন, আমি গতকাল সন্ধ্যায় ভাবলাম গান শুনতে শুনতে একটু হাঁটি! মনটাও ভালো লাগবে, হাঁটাও হবে! তো যেই কথা সেই কাজ, কানে হেডফোন দিয়ে শুরু করলাম হাঁটা! গান প্লে করতে যাব ঠিক সেই সময়ে Notice করলাম হোয়াটসঅ‍্যাপ এর মোটামুটি ৬৫ টার মত Notifications!

শুরু করলাম একটার পর একটা রিপ্লাই দেওয়া! কাউকে টেক্সট কাউকে ভয়েজ দিয়ে, রীতিমতো দরদর করে ঘামছি! পরে গিয়ে খেয়াল হলো, মেসেজ রিপ্লাই করতে করতে গান প্লে করার কথা মাথায় আসে নি, ওদিকে ৩০ মিনিট ধরে হেঁটেও ফেললাম! 🫢

এখন বলেন তো এটা কে কি বলে?
এটা হলো Hyper-responsive mindset! সব করতে হবে!
আমাকে একাই করতে হবে! এই এখনই করতে হবে, এমন মনোভাব! যেটা মানুষের ভিতর এক ধরণের Anxiety তৈরি করে! Perfectionism এর stress বাড়ায়!

আরেক দিক থেকে বললে এটা এক ধরণের People Pleasing Tendency ও হতে পারে! এই ধরনের Anxiety manage করার কিছু ওয়েজ আছে! হয়তো আমার নেক্সট রাইটআপ এটাই! একদম জীবন থেকে নেওয়া হা হা হা !

আর কারও হয় এমন? Let’s share !

23/10/2025

জীবনের জন্য সম্পর্ক, সম্পর্কের জন্য জীবন নয়!

Healing এর পথে, সেইফ জার্নি, স্টেপ বাই স্টেপ! পার্ট -২ ( শেষ অংশ)🩵 Step 1: Accept the pain — “হ্যাঁ, এটা হয়েছে”নিজেকে ম...
21/10/2025

Healing এর পথে, সেইফ জার্নি, স্টেপ বাই স্টেপ!

পার্ট -২ ( শেষ অংশ)

🩵 Step 1: Accept the pain — “হ্যাঁ, এটা হয়েছে”

নিজেকে মিথ্যে সান্ত্বনা দেবেন না।এখানেই আমরা ভুল টা করি! মানতে চাই না ! এটা কে বলে Denial এ থাকা। Denial এ থাকলে healing এর প্রথম স্টেপ টাই পাড় হতে পারবেন না, তাই যা ঘটেছে তা একসেপ্ট করুন ! নিজেকে বলুন,
“হ্যাঁ, আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি! আমি কষ্ট পেয়েছি।”
Deny করলে ব্যথাটা আরও বাড়ে।
যেমন মুনিয়া প্রথমবার যখন নিজের feelings লিখেছিল, তখনই তার ভিতরের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা টা একটু হালকা হয়েছিল!

💙 Step 2: Feel before you fix

ছোট্ট বেলা থেকেই আমরা কান্না কে দুর্বলতা ভেবে , নিজের আবেগকে চাপা দিতে শিখেছি! ছেলেদের বেলায় তো এই স্ট্রাগল আরও কঠিন! আপনি কাঁদছেন মানেই আপনি নাজুক, দুর্বল! কিন্তু জানেন কি? এই যে কষ্ট পাচ্ছেন, কিন্তু সেই কষ্ট বলতে পারছেন না, মানে অনুভব করছেন ঠিকই কিন্তু অনুভূতির প্রকাশ করতে পারছেন না, এইটা হলো দুর্বলতা!
তাই, কাঁদুন, লিখুন, কথা বলুন—emotions গুলো process করুন।
এরকম সময় আপনার প্রত‍্যেকটা Feeling , প্রত‍্যেকটা অনুভূতি ভ‍্যালিড!
আপনার কষ্ট valid। সেটাকে ছোট করে দেখবেন না।

💚 Step 3: Distance = healing space

যে মানুষটা betray করেছে, তার কাছ থেকে কিছুদিন দূরে থাকুন।একই পরিবেশে যেখানে কষ্টের পর কষ্ট পেয়ে এসেছেন, সেখানে সেই একই মানুষের সান্নিধ্যে Healing পিছিয়ে যায়। ( যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এর ব্যতিক্রম আছে)।

পারলে একদম No-contact বা limited contact সেট করুন।এই সময়টা আপনার “detox period”—যেখানে আপনি নিজের emotion re-set করবেন।

💛 Step 4: Professional help নিন

দেখুন আমরা সমাজে বাস করি। আমাদের সুস্থ সুন্দর জীবনের জন‍্য বন্ধুবান্ধব দরকার, আত্মীয় স্বজনেরও প্রয়োজন! কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি কথা হলো, এরকম Mental disaster এর সময় কারও কাছে কষ্টের কথা বলে হালকা হতে গেলে উল্টো জাজমেন্ট এর শিকার হন অনেকেই! সাথে Blame shifting তো আছেই! অনেকে আবার নিজেদের মত করে ( হয়তো আপনার ভালো চেয়েই) উপদেশ দেন, যেটা সেই মুহূর্তে আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়!

দেখুন, Therapy নেওয়া মানে দুর্বল হওয়া নয়, এটা সাহসের পরিচয়।
Therapist আপনাকে শেখাবে—কীভাবে guilt, anger, এবং grief process করতে হয়।
মুনিয়া প্রথমে ভেবেছিল সে একা পারবে, কিন্তু therapy-ই তাকে ফিরিয়ে এনেছিল।

🧡 Step 5: Build daily routine of self-care

অনেক তো অন‍্যের জন‍্য করেছেন! নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে ভালো রাখতে চেয়েছেন! এবার একটু নিজের দিকে তাকান। Emotion Regulation অবশ্যই আপনার Healing এর অনেক বড় একটা অংশ, কিন্তু শুধু মাত্র আবেগের প্রকাশেই Healing হয় না !
এটা Consistent Action চায়—যেমন,
Healthy Sleep Cycle বা ঘুম ঠিক করা, balanced diet, sunlight exposure, প্রতিদিন নিয়মকরে ২০ মিনিট হাঁটা, নিজের পছন্দের খাবার খাওয়া, পছন্দের গান শোনা , কোন শখ থাকলে সেটার পরিচর্যা করা, এক কথায় নিজের জন্য relaxation time রাখা!
এই ছোট ছোট কাজগুলোই আপনাকে stable করবে! প্রথমত আপনার ফোকাস শিফট করবে সেই সাথে ভিতর থেকে আপনি ভালো থাকা শুরু করবেন ।

❤️ Step 6: Rewrite the story

নিজের জীবনের গল্পটা আবার লিখুন—
“আমি betrayed হয়েছি” থেকে “আমি শিখেছি কাকে বিশ্বাস করতে হয়।” কিংবা “আমি কারো বিশ্বাস ভঙ্গ করি না”।
এই reframe করাটাই empowerment।
আপনি কোন অপরাধ করেননি, তাই নিজেকে শাস্তি দিবেন কেন?

💜 Step 7: Forgive or let go (when you’re ready)

Forgiveness মানে তার ভুল কে জাস্টিফাই করা না, মেনে নেওয়াও না! Forgiveness হলো—নিজেকে মুক্ত করা।
কখনো কখনো না-ক্ষমা করাও healthy, যদি তা আপনার emotional boundary protect করে।

🤍 Step 8: Reconnect with life

নতুন কিছু শিখুন, social interaction বাড়ান ( যারা আপনার জন‍্য positive vibes show করে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখুন) নতুন অভিজ্ঞতা নিন।আস্তে আস্তে দেখবেন আপনি আর আগের কথা গুলো মনে করে খুব একটা কষ্ট পাচ্ছেন না! খারাপ লাগে, কিন্তু আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারছেন! একটু একটু করে নিজেকে আবার ভালোবাসতে পারছেন!
এর মানে হলো, Healing এর পথে আপনি হাঁটতে শুরু করেছেন!

শেষমেশ, betrayal-এর পর healing মানে শুধু অন্যের ভুলকে ক্ষমা করা নয় — বরং নিজের ভাঙা অংশগুলোকে ধীরে ধীরে জোড়া লাগানো। যখন কেউ আমাদের বিশ্বাস ভেঙে দেয়, তখন আসলে আমাদের আত্মসম্মান, ভালোবাসার ক্ষমতা, আর নিজের উপর আস্থা সবই কেঁপে ওঠে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা বুঝতে শিখি — যে ক্ষতও একদিন গল্প হয়ে যায়, যদি আমরা তাকে ভালোবাসা আর সচেতনতার আলোয় দেখতে শিখি।

Healing মানে ব্যথা ভুলে যাওয়া নয়, বরং সেই ব্যথার মাঝেও নিজের প্রতি মায়া রাখা।আর এই Healing এর পথে, সবসময়ই ,

পাশে আছি 🙏

বিশ্বাস ভেঙে যাওয়ার পর Healing এর পথে সেইফ জার্নি!পার্ট-১মুনিয়া ছিল ৩৩ বছরের এক নারী—একজন working woman, নিজের কাজে বেশ...
20/10/2025

বিশ্বাস ভেঙে যাওয়ার পর Healing এর পথে সেইফ জার্নি!

পার্ট-১

মুনিয়া ছিল ৩৩ বছরের এক নারী—একজন working woman, নিজের কাজে বেশ self-dependent, কিন্তু emotionally খুব attached ছিল তার husband -এর সঙ্গে, মোটামুটি ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক পারিবারিক ভাবেই পরিণয়ে গড়ায়।

বেশ ভালোই চলছিল সব! স্বচ্ছ পরিষ্কার! দিনশেষে ওর সব কথা যেন husband কে শেয়ার না করলে চলবেই না! যেকোন ডিসিশন, যেকোনো প্ল্যান, সবকিছুতেই মুনিয়া তাকে বিশ্বাস করতো! ও ভাবত, “এই মানুষটার উপর আমি চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারি।ও তো আমার ই আরেকটা স্বত্ত্বা”!

কিন্তু বিপত্তি বাধে এক সন্ধ্যায়! ওর partner ঘরে বসে ফোন scroll করছিল আর মুচকি হাসছিল, কেমন যেন একটা বিদ্যুৎ খেলে যায় মুনিয়ার শরীরে! ওকে দেখতে এমন দেখাচ্ছে কেন? আমার সাথে তো একেবারেই ভাবলেশহীন! অথচ….

কোন এক সুযোগে কৌতূহলবশত Munia ফোনটা হাতে নেয়! হঠাৎ Notification আসে!
আর সেখানেই যেন সব শেষ হয়ে গেল।
চ্যাটবক্সে দেখা গেল অন্য এক মহিলার সাথে intimate কথা—love emoji, voice note, এমনকি কিছু future plan!

Munia’র মনে হলো তার বুকের ভেতর কেউ ছুরি বসিয়ে দিয়েছে।
সে প্রথমে চুপ হয়ে গেল। husband কেও বললো না কিছু! কয়েকদিন শুধু কান্না আর নির্ঘুম রাত! খাবারের প্রতি অনীহা, মাথাব্যথা, panic attacks—সব মিলিয়ে সে emotionally collapse করল।

ও নিজেকে দোষ দিতে লাগল—যেটা betrayed হবার পর খুব স্বাভাবিক ভাবে আসে!
“হয়তো আমি যথেষ্ট সুন্দর নই!”
“হয়তো আমি boring হয়ে গেছি!”
“হয়তো আমি deserve করি না ভালোবাসা।”

পরে যেয়ে তার partner ক্ষমা চাইলেও, মুনিয়া বুঝে গেল—বিশ্বাস টা একবার ভাঙলে আর আগের মতো হয় না।পরবর্তীতে রিপিটেডলি( বারবার) একই রকম ঘটনার পর আসলে সম্পর্কটাকে টেকানো যায় নি!

তবুও ও চেষ্টা করল নিজেকে সামলাতে। প্রথমে denial, তারপর anger, তারপর deep sadness—এবং একসময় numbness।
Munia বলত,
“আমি এখন এমন এক phase-এ আছি, যেখানে আমি আর কিছু অনুভব করতে পারি না। আমি শুধু বেঁচে আছি, শুধু বেঁচেই আছি! কিন্তু ভিতরটা একদম ফাঁকা।”

একদিন অফিসের এক সহকর্মী ওকে বলল—“তুমি therapy consider করো। এই অবস্থায় একা পারবে না।”
Munia প্রথমে একটু দ্বিধা করেছিল, কিন্তু শেষে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট টা নিল।

থেরাপির প্রথম সেশনে সে শুধু কেঁদেছিল। মন খুলে বলেছিল সব কিছু।
Therapist ওকে বলেছিল, “মুনিয়া, healing মানে তাকে ভুলে যাওয়া না। এটা হলো নিজের ক্ষত সারানো। তুমি যে কষ্টে আছো, সেটাকে acknowledge করো।”

ধীরে ধীরে মুনিয়া journaling শুরু করল—রাতের বেলায় ডায়েরিতে লিখত, “আজও মনে পড়ছে, কিন্তু আজ আর চোখে জল আসেনি।”
ও হাঁটতে শুরু করল সন্ধ্যায়, নিজের পছন্দের গান শুনত, social media থেকে break নিল, আর ধীরে ধীরে নিজের inner peace ফিরে পেল।

একদিন, মাস কয়েক পর, ও আয়নায় তাকিয়ে বলল—
“আমি আজও একা, কিন্তু আমি ভাঙা নই। আমি এখন নিজের পাশে আছি। যেটা এই মুহূর্তে আমার সব থেকে বেশি দরকার “!
এটাই ছিল Munia’র healing-এর শুরু।

Healing কী?

Healing মানে ভুলে যাওয়া নয়! আমরা তো রোবট নই, যে বাটন প্রেস করলেই রিসেট করা সম্ভব! বরং নিজের ভেঙে যাওয়া অংশগুলোকে ধীরে ধীরে জোড়া লাগানো, একটু সময় নিয়ে, নিজের কষ্ট গুলো কে সাথে নিয়েই অল্প অল্প করে এগিয়ে যাওয়া!
মোটকথা এটা একটা inner recovery process—যেখানে আমরা কষ্টকে দূরে না ঠেলে, অস্বীকার না করে, কষ্ট টাকে বুঝি, process করি, এবং ধীরে ধীরে শান্তি ও সুস্থতার দিকে যাই।

কেন Healing দরকার?

1. কারণ unhealed pain থেকে জন্ম নেয় anxiety, depression, distrust।যেটা ধীরে ধীরে আপনাকে পরিণত করবে এমন এক মানুষে, যা আপনি নন! আপনার কথায়, আপনার কাজে, প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ে আপনি ভুগতে থাকবেন। একটা কথা কি জানেন? “Hurt people, Hurt people “ মানে যারা কষ্টে থাকে, তারা কষ্ট দেয়!

2. Healing দরকার কারণ self-worth হারিয়ে গেলে আমরা আর চলতে পারিনা, জীবন থেমে যায়।

3. কারণ future relationships-এ নিরাপত্তা ফেরাতে হলে আগে আমাদের ভিতরের ক্ষত সারাতে হবে! যাতে আমার আগের সম্পর্ক থেকে পাওয়া Toxicity আমি পরবর্তী মানুষটার উপর প্রয়োগ না করি! সে তো আর এটা ডিসার্ভ করে না তাই না!

4. কারণ forgiveness বা closure ছাড়া মনকে আমরা বোঝাতে পারি না! “আমার সাথেই কেন হলো” এই ভাবনা থেকে “এখন আমার করণীয় কি” এতে শিফট করতে পারি না!

তাই, Healing মানে আবার বাঁচতে শেখা — নিজের terms-এ, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে।

নিজেকে তাই প্রশ্ন করুন! Healing এর এই জার্নি তে আপনি তৈরি তো?
কালকেই পোস্ট করছি তাহলে বাকি টা!
আশা করবো, আজকের পর্বের লিখাটা শুধু পড়বেন না, রিলেট করার চেষ্টা করবেন নিজের সাথে! এটা আপনাকে তৈরি করবে! আর এই প্রস্তুতি টা আপনার জন্য খুব দরকার!

পাশে আছি 🙏

কখনও কি এমন কাউকে বিশ্বাস করেছিলেন, যে সব জেনেও, সব বুঝেও আপনার পাহাড় সমান বিশ্বাস কে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল? আপনি কতটা তাক...
18/10/2025

কখনও কি এমন কাউকে বিশ্বাস করেছিলেন,
যে সব জেনেও, সব বুঝেও আপনার পাহাড় সমান বিশ্বাস কে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল?

আপনি কতটা তাকে ভালোবাসেন , আপনার বিশ্বাস কতটা গভীর, আপনি তার প্রতি কতটা আবেগপ্রবণ জেনেও ঠিক সেখানেই আঘাত করেছিল…?

তারপর এমন ভাবে রিঅ‍্যাক্ট করেছিল যেন , কিছুই হয়নি! উল্টে, আপনি তাকে প্রশ্ন করেছেন, এটাই অন‍্যায়!

কীভাবে মানুষ betrayal-এর পরও আবার নতুন ভাবে ভালোবাসতে শেখে?
আর আসলে “healing” মানে কী?
এই সপ্তাহে… আমি লিখবো এই বিষয়টা নিয়ে!


16/10/2025

বাচ্চা কি মোবাইল বা টিভি ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারছে না? 👀

আজকের দিনে আপনার সন্তানের জন্য এটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ! ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনে চোখ থাকার কারণে একদিকে যেমন তাদের চোখের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই কমে যাচ্ছে সৃজনশীলতা ও মনঃসংযোগ।

কিন্তু চিন্তা করবেন না! বেশিরভাগ বাবা-মা যে ভুলগুলো করেন, তা এড়িয়ে চলার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি সবচেয়ে কার্যকরী ৪টি বাস্তবসম্মত টিপস! এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমানো অনেক সহজ হয়ে যাবে।

#স্ক্রিনটাইমঅ্যাডিকশন #প্যারেন্টিংটিপসবাংলা #শিশুদেরমোবাইলআসক্তি

স‍্যরি বলে নিচ্ছি আগেই, এবার পার্ট-২ লিখতে দেরী করে ফেললাম! Overthinking Beat করার ৭টি বাস্তব ও মনোবৈজ্ঞানিক উপায়Part-2...
14/10/2025

স‍্যরি বলে নিচ্ছি আগেই, এবার পার্ট-২ লিখতে দেরী করে ফেললাম!

Overthinking Beat করার ৭টি বাস্তব ও মনোবৈজ্ঞানিক উপায়

Part-2

1. Awareness – নিজের চিন্তাকে ধরতে বা Identify করতে শিখুনঃ

অনেকসময় দেখা যায়, একটা simple চিন্তা দিয়ে শুরু টা হয়, তারপর সেটা কে আর থামানোই যায় না! আমরা এটা ভেবে প্যানিক করি, “আমি তো চিন্তা বন্ধই করতে পারছি না!”
কিন্তু থেরাপিতে আমরা প্রথমেই শেখাই – চিন্তাকে ধরো, মানে identify করো।

যেমন ধরুন,
আপনি রাতে ঘুমোতে যাচ্ছেন, হঠাৎ মাথায় আসলো—

“যদি কাল প্রেজেন্টেশনে ভুল বলি?”
তারপর সেই চিন্তা থেকে শুরু হয়, “সবাই হাসবে”, “আমি ব্যর্থ হবো”…
ঠিক এই মুহূর্তে নিজেকে থামান! বলেন—
“আমি এখন overthinking করছি। বাস্তবে এখনো কিছুই হয়নি।”

এই awareness-টাই মনটা কে current moment-এ ফিরিয়ে আনে।So? Acknowledge the fact that, you are Overthinking!

2. Thought Labeling Technique – চিন্তাকে নাম দিন! এটা শুধুই একটা চিন্তা, আপনার নিজের পরিচয় নয় !

এই যেমন, হঠাৎ মাথায় এল — “আমার বন্ধু হয়তো আমাকে আর পছন্দ করে না।”
এবং আপনি শুরু করে দিলেন! “ আমার কি ভুল ছিল”? “আমি তখন কল রিসিভ না করায় কি ও ইগনোরড ফিল করলো?” আচ্ছা আমার এফোর্ট ই বোধহয় কম ছিল “ ….. এবং আরও কত কি!
ঠিক এই সময় টায় নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করুন,

“This is my anxious thought, not reality.”( এটা আমার উদ্বেগ জনিত চিন্তা, বাস্তব নয়”! )

এই যেমন, একজন মেয়ে থেরাপিতে বললেন,

“যখন বন্ধু আমার মেসেজের রিপ্লাই দেয় না, মনে হয় ও রাগ করেছে।” এটা কিন্তু তাকে খুব একটা ভালো থাকতে দেয়নি!

কিন্তু যখন সে চিন্তাটাকে “insecurity thought” নামে label করল, তখন সে বুঝতে পারল — এটা সত্য না, ওর brain-এর fear।
এভাবেই চিন্তাগুলোকে বাস্তবতা থেকে আলাদা করে দেখা যায়, তাতে emotional pain কমে।

3. Control the Controllables – যেটা আপনার হাতে নেই, সেটা ছেড়ে দিনঃ

Overthinkers সবসময় “if” আর “what if” নিয়ে ভাবে।
কিন্তু psychology বলে — আমরা কোন কিছুর outcome বা ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, শুধু নিজের effort নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

ধরুন,
একজন ছাত্রী ভাবে, “আমি পরীক্ষায় fail করব।”
আমি ওকে বলেছিলাম — “তুমি result না, preparation control করো।”
ও ঠিক করল প্রতিদিন দুই ঘণ্টা পড়বে, তারপর হাঁটবে বা গান শুনবে।
দেখা গেল anxiety অর্ধেক কমে গেল, কারণ ও এখন নিজের control-এ থাকা অংশে ফোকাস করছে।মানে সে তার নিয়ন্ত্রণ এর জায়গায় কাজ করছে!

4. Worry Time Technique – চিন্তার জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুনঃ

একটা ছোট্ট রুল বলি! আমাদের Mind একটা habit বা অভ্যাস এর অধীনে চলে! — যদি আপনি সারাদিন চিন্তা করেন, মন ও সারাদিন চিন্তা করেই যাবে!
তাই একটা boundary দরকার। তাই না?

যেমন ধরুন,
একজন কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিন রাতে ২০ মিনিট “Worry Time” রাখে।
সেই সময়ে সে লেখে কী নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।এবং নিজেকে চিন্তা করতে allow করে।
বাকি সময়ে যদি চিন্তা আসে, বলে —

“না, এখন না, worry time-এ ভাবব।”
মজার ব্যাপার হলো — বেশিরভাগ চিন্তাই পরে আর প্রাসঙ্গিক মনে হয় না।

এটা brain-কে discipline শেখায়।

5. Cognitive Restructuring – নিজের চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করবেন! এইভাবেঃ

Overthinking মানে distorted thought pattern।
CBT শেখায় — “Every thought isn’t fact.”

ভেঙে বলি একটু,
একজন ক্লায়েন্ট বলতেন,

“আমি সম্পর্কটায় পুরোপুরি ব্যর্থ, হয়তো আমিই ভালোবাসার যোগ্য নই।”
আমরা তার সাথে কাজ করে ভাবনাটা পাল্টালাম ,
“আমি toxic একটা সম্পর্ক পেয়েছি, যেখানে অন‍্য কারও Validation আমার worth ঠিক করে না।”
এইভাবে চিন্তাগুলো reframe করলে emotional healing শুরু হয়।

6. Mindfulness and Grounding- মনকে বর্তমান এ ফিরিয়ে আনুনঃ

Overthinking এ সবসময় খেয়াল করে দেখবেন, যেকোনো past regret বা future fear নিয়ে সিরিজ টাইপের চিন্তা চলে! কিন্তু
Mindfulness আপনাকে শেখাবে — “Now is safe.”
যেমন,
যখন মনে হচ্ছে “যদি আবার ওই ভুল করি”,
একটু pause নিন, গভীর শ্বাস নিন, চারপাশে দেখুন—

“আমি এখন এখানে, এই ঘরে, আমার শরীর সম্পূর্ণ নিরাপদ।”
আপনি চোখ বন্ধ করে 5–4–3–2–1 technique করতে পারেন,

• 5 জিনিস দেখুন
• 4 জিনিস টাচ করুন
• 3 শব্দ শুনুন
• 2 গন্ধ অনুভব করুন
• 1 স্বাদ নিন!

এইটা brain কে present moment-এ anchor করে, চিন্তা থেমে যায়।Instantly!

7. Self-Compassion – নিজের সাথে একটু নরম হোনঃ

অনেকে ভাবে, “আমি এত চিন্তা করি, আমি কি মানসিক ভাবে দুর্বল?”
কিন্তু psychology বলে — self-blame anxiety বাড়ায়।

যেমন,
একজন মা বলছিলেন,

“আমি সবকিছু overthink করি, আমি terrible mother।”
আমি বলেছিলাম — “তুমি চিন্তা করো কারণ তুমি care করো।”
সে যখন নিজেকে ক্ষমা করতে শিখল, তার anxiety কমে গেল।

তাই বলবো, নিজের সাথে একটু kind হোন,! নিজেকে বলুন,

“আমি imperfect, কিন্তু আমি চেষ্টা করছি।”
এই acceptance-টাই brain কে safe feel করায়।

শেষে বলবো,

Overthinking কোনো দুর্বলতা নয় — এটা brain-এর overprotective একটা nature।

Brain ভাবে, বেশি চিন্তা করলে সমস্যা কমবে।
আপনি যত শান্তভাবে brain কে দেখাতে শেখাবেন যে “আমি safe”, brain তত শান্ত হবে।

মনে রাখবেন, আপনি আপনার চিন্তা নন ! আপনি সেই observer – যে চিন্তাগুলোকে দেখতে জানে ও ছেড়ে দিতে জানে! So?
You Have The Control!

পাশে আছি! 🙏

Thank you so much BIMSSCON for this token of love !💕 Best wishes for our future doctors! Take care of your mental health...
11/10/2025

Thank you so much BIMSSCON for this token of love !💕

Best wishes for our future doctors! Take care of your mental health and serve the community! Kudos! 🙏

10/10/2025

Grounded থাকতে 5-4-3-2-1

Address

Level 6, House 26 And 28, Road-6/C, Quantum Tower (Opposite Sector 12 Masjid Graveyard), Sector 12, Uttara
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mithila Khandaker posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category