Dr.Muhammad Abdullahel Kafi

Dr.Muhammad Abdullahel Kafi Professor, Department of Gastroenterology

06/12/2025

Harpic খেলে পেটে কী ক্ষতি হতে পারে
• গলা, খাদ্যনালি ও পেটের পোড়া ক্ষত (burn injury) হতে পারে
• পেটে তীব্র ব্যথা
• বমি, কখনও রক্ত বমি
• শ্বাস নিতে কষ্ট
• অভ্যন্তরীণ টিস্যু ক্ষত হয়ে সংকোচন বা ছিদ্র হতে পারে
• জীবনহানিও হতে পারে যদি দ্রুত চিকিৎসা না হয়

এন্ডোস্কপি দিয়ে কি ঠিক করা যায়?

এন্ডোস্কপি (Endoscopy) রোগ নির্ণয়ের জন্য। এতে ডাক্তার ভেতরে পোড়া বা ক্ষত কতটা হয়েছে তা দেখতে পারেন।

কিন্তু →
এন্ডোস্কপি Harpic-এর ক্ষত পুরোপুরি ঠিক করতে পারে না, শুধু দেখে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

ক্ষতির ধরন অনুযায়ী:
• ওষুধ
• ইনজেকশন
• দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা
• কখনও অপারেশনও লাগতে পারে

❗ খুব জরুরি কথা

যদি কারো কখনও ভুলে বা দুর্ঘটনায় Harpic খেয়ে ফেলে:
• সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধুতে হবে
• দুধ, পানি অল্প অল্প করে দিতে পারে (যদি বমি না করে)
• কখনও বমি করানোর চেষ্টা করা যাবে না
• দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

04/12/2025

ERCP (Endoscopic Retrograde Cholangiopancreatography) হলো এক ধরনের বিশেষ এন্ডোস্কপি পদ্ধতি, যেটা দিয়ে পিত্তনালী বা অগ্ন্যাশয়ের নালীতে থাকা পাথর, ব্লক, ইনফেকশন বা সংকোচন ঠিক করা যায়।

🔍 কীভাবে ERCP দিয়ে পাথর বের করা হয়?

ধাপে ধাপে সহজ করে:
1. এন্ডোস্কোপ ঢোকানো:
মুখ → খাদ্যনালী → পাকস্থলী → ডিওডেনাম (ছোট অন্ত্রের প্রথম অংশ) পর্যন্ত একটি কোমল ক্যামেরা/এন্ডোস্কোপ ঢোকানো হয়।
2. পিত্তনালীর মুখ খুঁজে পাওয়া:
ডিওডেনামের ভেতরে একটি ছোট জায়গা আছে যাকে Ampulla of Vater বলে—এখান দিয়ে পিত্তনালী খোলে। ডাক্তার সেখানে একটি পাতলা টিউব (catheter) ঢোকান।
3. রং (ডাই) ব্যবহার:
পিত্তনালীতে বিশেষ রং পাঠানো হয় যাতে এক্স-রে তে দেখা যায় পাথর বা ব্লক কোথায় আছে।
4. পাথর বের করার প্রস্তুতি (Sphincterotomy):
অনেক সময় পাথর বের করতে পিত্তনালীর মুখটা একটু কাটতে হয়—একে স্ফিঙ্কটারোটমি বলে। এতে পথটা বড় হয়।
5. পাথর বের করা:
একটি ছোট ঝুড়ি (Basket) বা বেলুন (Balloon) দিয়ে পাথরটিকে টেনে বা ঠেলে বাইরে বের করে দেওয়া হয়।
6. স্টেন্ট বসানো (যদি দরকার হয়):
নালী আবার বন্ধ হয়ে গেলে যাতে সমস্যা না হয়, তাই অনেক সময় একটি স্টেন্ট বসানো হয়। এটি একটি ছোট পাইপ, যা নালী খোলা রাখে।

💡 কবে ERCP করা হয়?
• পিত্তনালীতে পাথর আটকে গেলে
• জণ্ডিস হলে
• পিত্তনালীর সংক্রমণ (cholangitis)
• প্যানক্রিয়াটাইটিসে পাথর জমলে
• পিত্তথলি অপারেশনের পর নালীতে পাথর রয়ে গেলে

⚠️ ERCP কি ব্যথা করে?

না — সাধারণত রোগীকে সেডেশন/অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয়, তাই ব্যথা অনুভূত হয় না।

🏥 ঝুঁকি আছে?

হ্যাঁ, অল্প কিছু ঝুঁকি থাকে—
• পেট ব্যথা
• প্যানক্রিয়াটাইটিস
• রক্তপাত (নালী কাটলে)
• সংক্রমণ

তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে করালে ঝুঁকি কম।

02/12/2025

⭐ এন্ডোস্কোপি দিয়ে কীভাবে পয়সা বের করা হয়?

১. প্রথমে শিশুর অবস্থা দেখা হয়
• শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কি না
• বমি, কাশি, ব্যথা হচ্ছে কি না
• কয়েন কোথায় আটকে আছে – এটি এক্স-রে করে নিশ্চিত করা হয়।



⭐ ২. এন্ডোস্কোপি করার প্রস্তুতি
• বেশিরভাগ সময় শিশুকে হালকা সেডেশন বা অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয়, যাতে সে নড়াচড়া না করে এবং ব্যথা না পায়।
• শিশুর মুখ দিয়ে একটি স্লিম, নরম ক্যামেরাযুক্ত টিউব (এন্ডোস্কোপ) প্রবেশ করানো হয়।



⭐ ৩. কয়েন খুঁজে বের করা

ক্যামেরার মাধ্যমে ডাক্তার খাবারনালীর ভেতর স্পষ্টভাবে দেখতে পারেন।
যেখানে পয়সা আটকে আছে তা দেখা মাত্রই নির্দিষ্ট যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।



⭐ ৪. পয়সা ধরার জন্য বিশেষ যন্ত্র

এন্ডোস্কোপের সাথে forceps, retrieval net, বা magnet tip (ধাতব হলে) ব্যবহার করা হয়।

ডাক্তার—
• পয়সাটি মজবুতভাবে ধরে
• খুব সতর্কভাবে একই পথে বের করে আনেন

পুরো প্রক্রিয়াটি সাধারণত ৫–১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।



⭐ ৫. প্রক্রিয়া শেষে
• কিছুক্ষণ শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
• গলায় সামান্য খচখচ অনুভূতি হতে পারে, তবে এটি স্বাভাবিক।



⭐ এন্ডোস্কোপি কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, অভিজ্ঞ ডাক্তারের হাতে এটি খুবই নিরাপদ পদ্ধতি।
শিশুদের ক্ষেত্রে এটি রুটিন প্রক্রিয়া হিসেবে বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হয়।



⭐ জরুরি পরিস্থিতিতে দেরি করবেন না

যদি শিশুর—
• শ্বাস নিতে কষ্ট
• মুখ নীল হয়ে যাওয়া
• অতিরিক্ত কাশি
• বমি
হয় → তা হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

30/11/2025

ERCP (Endoscopic Retrograde Cholangiopancreatography) হলো একটি বিশেষ মেডিকেল পদ্ধতি, যেখানে মুখ দিয়ে একটি পাতলা ক্যামেরাযুক্ত নলী (endoscope) ঢুকিয়ে পিত্তনালী (bile duct) বা অগ্ন্যাশয় নালী (pancreatic duct) এর সমস্যাগুলো ঠিক করা হয়।

ERCP দিয়ে পাথর বের করা মানে—

পিত্তথলি বা পিত্তনালীতে যদি পাথর আটকে যায়, তা নালীর পথ বন্ধ করে দেয়।
এই পদ্ধতিতে ডাক্তার—
1. স্কোপ দিয়ে নালীতে একটি ছোট ছিদ্র (cut) করে
2. বেলুন বা বাসকেট ব্যবহার করে পাথরটি ধরে টেনে বের করে
3. অনেক সময় নালীটি খোলা রাখতে স্টেন্ট বসায়

কী ধরনের পাথর বের করা হয়?
• পিত্ত নালীতে আটকে থাকা পাথর
• ছোট বা মাঝারি সাইজের পাথর
• অপারেশনের পরে বেঁচে থাকা বা নেমে যাওয়া পাথর

লাভ কী?
• কাটা-ছেঁড়া বড় অপারেশন লাগে না
• দ্রুত রিকভারি
• পাথর বের হলে ব্যথা, জ্বর, জন্ডিস কমে যায়

কখন ERCP করা হয়?
• পাথর নালীতে আটকে গেলে
• প্রচণ্ড ব্যথা, জন্ডিস, জ্বর (Cholangitis) হলে
• পিত্ত নালী ব্লক হলে
• MRCP বা USG রিপোর্টে পাথর দেখা গেলে

26/11/2025

ERCP

25/11/2025

Ercp

22/11/2025

🔍 ERCP কী?

ERCP (Endoscopic Retrograde Cholangiopancreatography) হলো একটি এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতি যেখানে মুখ দিয়ে একটি ক্যামেরাযুক্ত টিউব ঢুকিয়ে পিত্তনালী ও অগ্ন্যাশয়ের নালী পরীক্ষা করা হয়।



🟢 ERCP-তে পাথর বের করার ধাপগুলো

১. এন্ডোস্কোপ ঢোকানো
• ক্যামেরাযুক্ত টিউব (এন্ডোস্কোপ) মুখ → খাদ্যনালী → পাকস্থলী → ডুওডেনাম পর্যন্ত নেওয়া হয়।
• সেখানে পিত্তনালীর মুখ (Ampulla of Vater) দেখা যায়।

২. পিত্তনালীর মুখে কাটা দেওয়া (Sphincterotomy)
• ছোট একটি ইলেকট্রিক কাটার মতো যন্ত্র দিয়ে পিত্তনালীর মুখ একটু বড় করা হয়, যাতে পাথর বের করার পথ বড় হয়।

৩. বেলুন বা বাস্কেট ঢোকানো

এখন দুটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়:

✔ Dormia Basket
• পাথরটাকে জালের মতো ঝুড়িতে আটকে টেনে বাইরে বের করে।

✔ Balloon Catheter (বেলুন)
• পাথরের ওপরে বেলুন ফোলানো হয় → তারপর ধীরে ধীরে টেনে পুরো পাথর নিচে নামিয়ে আনা হয় → পিত্তনালীর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।

৪. বড় পাথর হলে ক্রাশ করে বের করা
• যদি পাথর বড় হয়, “Mechanical Lithotripsy” করে পাথরকে ভেঙে ছোট ছোট টুকরা করে তারপর বের করা হয়।

৫. শেষে নালী পরিষ্কার করা
• নিশ্চিত করা হয় যে নালীতে আর কোনো পাথর নেই।
• প্রয়োজন হলে স্টেন্ট বসানো হয় যাতে নালী ঠিকমতো খুলে থাকে এবং পিত্ত সহজে বের হয়।



🟡 কেন স্টেন্ট বসানো হয়?
• নালী ফুলে থাকলে
• পাথর পুরোপুরি বের না হলে
• ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকলে
স্টেন্ট কিছুদিন রেখে পরে খুলে ফেলা হয়।



🟣 সহজ ভাষায় সংক্ষেপে

ERCP-তে পিত্তনালীর মুখ একটু বড় করা হয় → বেলুন বা ঝুড়ির মতো যন্ত্র দিয়ে পাথরটি ধরে টেনে বের করে আনা হয় → নালী পরিষ্কার করা হয় → প্রয়োজনে স্টেন্ট বসানো হয়।

16/11/2025

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার (Gastric Cancer)
পেটের ভেতরের অংশের (স্টমাক) কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে যখন টিউমার তৈরি করে এবং তা ক্যান্সারে রূপ নেয়—তাকেই গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার বলা হয়। এটিকে অনেক সময় স্টমাক ক্যান্সারও বলা হয়।

🔍 কোথায় শুরু হয়?

সাধারণত পেটের ভেতরের আস্তরণে (gastric mucosa) ছোট ক্ষত, আলসার বা কোষের পরিবর্তন দিয়ে শুরু হয়।



⚠️ গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ

শুরুর দিকে অনেক সময় কোনো লক্ষণ থাকে না। পরের দিকে দেখা যায়—
• পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি
• খাবার খেলেই পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি
• বমি বমি ভাব / বমি
• ক্ষুধা নষ্ট হওয়া
• অকারণে ওজন কমে যাওয়া
• স্টুলে রক্ত আসা বা কালো রঙের স্টুল
• দুর্বলতা বা রক্তস্বল্পতা



🎯 কেন হয়? (কারণ)
• দীর্ঘদিনের H. pylori ইনফেকশন
• দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস্ট্রিক/আলসার
• ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল
• অতিরিক্ত লবণযুক্ত বা ধোঁয়া-যুক্ত খাবার
• পরিবারের কারো পেটের ক্যান্সারের ইতিহাস
• বয়স বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে



🧪 কিভাবে ধরা পড়ে?
• এন্ডোস্কপি (সর্বোত্তম পরীক্ষা)
• বায়োপসি
• সিটি স্ক্যান / আল্ট্রাসাউন্ড
• রক্ত পরীক্ষা



💉 চিকিৎসা

রোগের স্টেজ অনুযায়ী—
• অপারেশন
• কেমোথেরাপি
• রেডিয়েশন
• টার্গেট থেরাপি



📌 গুরুত্বপূর্ণ

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে, তত ভালোভাবে চিকিৎসা সম্ভব।

15/11/2025

গ্যাস্ট্রিক পলিপ (Gastric Polyp)
বাংলায় সহজভাবে: “পেটে বা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে তৈরি হওয়া ছোট মাংসপিণ্ড/গোঁড়া”।

🔍 গ্যাস্ট্রিক পলিপ কী?

পাকস্থলীর ভেতরের লাইনিং-এ ছোট ছোট গোঁড়া বা মাংসপিণ্ডের মতো টিস্যু তৈরি হওয়াকেই গ্যাস্ট্রিক পলিপ বলে। বেশিরভাগই ক্ষতিকর নয়।

🟢 লক্ষণ

অনেক সময় লক্ষণ থাকে না। কিন্তু কখনও-কখনও—
• পেট ব্যথা
• বমি বমি ভাব
• হালকা রক্তপাত (কম দেখা যায়)
• খাওয়ার পর ভার ভার লাগা

🧪 কারণ
• দীর্ঘদিনের গ্যাস্ট্রিক/গ্যাস্ট্রাইটিস
• H. pylori ইনফেকশন
• অতিরিক্ত এসিড
• কিছু ওষুধ (যেমন লম্বা সময় PPI খেলে)
• বয়স বৃদ্ধি

🩺 ধরন

সবচেয়ে সাধারণ—
1. Fundic gland polyp
2. Hyperplastic polyp
3. Adenoma polyp (এটা বেশি সিরিয়াস, ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে)

⚠️ কখন চিন্তার বিষয়?
• যদি পলিপ বড় হয় (১ সেমি+ )
• যদি এডেনোমা টাইপ হয়
• যদি ডাক্তার বায়োপসি করে সন্দেহ করেন

💊 চিকিৎসা
• ছোট, ক্ষতিকর নয় → সাধারণত শুধু ফলো-আপ
• বড়/সন্দেহজনক → এন্ডোস্কপি করে পলিপ কাটার (polypectomy)
• যদি H. pylori থাকে → ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা

11/11/2025

ERCP করে পিত্তনালীতে (Bile duct) কেন স্টেন্ট বসানো হয়?
স্টেন্ট বসানোর মূল উদ্দেশ্য হলো পিত্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখা।
অর্থাৎ লিভার থেকে তৈরি পিত্ত যেন সহজে নালী দিয়ে অন্ত্রে যেতে পারে—সেই পথ খোলা রাখতে স্টেন্ট ব্যবহৃত হয়।



✅ স্টেন্ট কেন বসানো হয় — প্রধান কারণ

✅ 1) নালী সংকুচিত (Stricture) হলে

পিত্তনালী সরু হয়ে গেলে পিত্ত ঠিকমতো নামতে পারে না →
জন্ডিস, পেটব্যথা, বমি ইত্যাদি হয়।
➡ স্টেন্ট বসালে নালী খোলা হয়ে যায় → পিত্ত সহজে প্রবাহিত হয়।



✅ 2) পাথর অপসারণের পর নালী ফুলে থাকা বা ক্ষত হলে

পাথর বের করার পর নালী সাময়িকভাবে ফুলে/সরু হয়ে যেতে পারে।
➡ স্টেন্ট দিলে পথ খোলা থাকে, সমস্যা কমে।



✅ 3) বাইলে লিক (Bile leak) হলে

গলব্লাডার অপারেশন বা ইনজুরিতে নালীতে ছিদ্র হয় →
পিত্ত পেটে ঢুকে ইনফেকশন হয়।
➡ স্টেন্ট দিলে পিত্ত স্বাভাবিক পথে অন্ত্রে যায় → লিক বন্ধ হয়।



✅ 4) ক্যান্সারজনিত নালী ব্লক হলে

CBD বা Pancreas ক্যান্সারে নালী ব্লক হয়ে যায়।
➡ স্টেন্ট বসালে অন্তত পিত্ত নামতে পারে → জন্ডিস কমে → রোগী স্বস্তি পায়।



✅ স্টেন্ট বসালে কী হয়?

✔ নালী খোলা হয়
✔ পিত্ত সহজে অন্ত্রে যায়
✔ জন্ডিস কমে
✔ সংক্রমণ/ব্যথা কমে
✔ অপারেশন এড়ানো যায় অনেক ক্ষেত্রে



✅ স্টেন্ট কতদিন থাকে?
• সাধারণত ৩–৬ মাস
• পরে খুলে দিতে হয় বা নতুন স্টেন্ট লাগাতে হয়
(কেস অনুযায়ী সময় ভিন্ন)



✅ সহজ উদাহরণ

যেমন ড্রেন পাইপ সরু বা লিক হলে ভেতর টিউব বসিয়ে পানি চলাচল ঠিক রাখা হয়—
ঠিক তেমনই পিত্তনালী সরু/লিক হলে স্টেন্ট বসালে পিত্ত ঠিকভাবে চলাচল করে।

10/11/2025

✅ পিত্তনালীতে সমস্যা হলে ERCP দিয়ে কীভাবে ঠিক করা হয়?

গলব্লাডার অপারেশন চলাকালীন বা পরে
👉 পিত্তনালী যদি
• কেটে যায় /
• ইনজুরি হয় /
• ব্লক হয় /
• নালীতে পাথর রয়ে যায়

তাহলে ERCP ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।



✅ ERCP কীভাবে সাহায্য করে?

১) নালীতে পাথর থাকলে → পাথর বের করে

বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর বাইল ডাক্ট থেকে বের করা হয়।



২) নালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সংকুচিত (Stricture) হলে → স্টেন্ট বসানো

🔹 পিত্তনালী সরু হয়ে গেলে (injury/stricture)
→ ERCP এর মাধ্যমে সেখানে স্টেন্ট (প্লাস্টিক বা মেটাল টিউব) বসিয়ে দেওয়া হয়।
➡ এতে পিত্ত ঠিকমতো লিভার থেকে অন্ত্রে যেতে পারে।
➡ রোগীর জন্ডিস/ব্যথা কমে।



৩) লিক (Bile leak) হলে → স্টেন্ট দিয়ে ঠিক করা

অপারেশনের সময় নালীতে ছিদ্র হলে পিত্ত পেটের ভিতর ছড়িয়ে যায়।
ERCP করে নালীতে স্টেন্ট বসালে
→ পিত্ত সহজে স্বাভাবিক পথে অন্ত্রে চলে যায়
→ লিক বন্ধ হয়ে যায়।



✅ তাই সংক্ষেপে —

🔸 পাথর → বের করে
🔸 নালী সরু → স্টেন্ট
🔸 লিক → স্টেন্ট
🔸 ব্লক → স্টেন্ট

মাঝে মাঝে বড় ক্ষতি হলে সার্জারি লাগে
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ERCP দিয়েই ঠিক হয়ে যায়।



✅ ERCP কেন ভালো?

✔ কাটাছেঁড়া ছাড়াই
✔ দ্রুত করা যায়
✔ উপসর্গ কমে
✔ জন্ডিস কমে
✔ বারবার সার্জারি লাগে না



⚠️ কখন সার্জারি লাগতে পারে?
• নালী পুরো কেটে গেলে
• বড় ইনজুরি
• ERCP তে স্টেন্ট সম্ভব না হলে



সহজ উদাহরণ

বাইরের পাইপ ছিদ্র হলে ভেতরে টিউব বসিয়ে পানি চলাচল ঠিক রাখা হয়।
ঠিক তেমনই পিত্তনালীর সমস্যায় ERCP এর মাধ্যমে টিউব (স্টেন্ট) বসিয়ে দেওয়া হয়।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Muhammad Abdullahel Kafi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category