11/10/2025
ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে লিভারের কোষে অতিরিক্ত চর্বি (fat) জমে যায়। এই অবস্থা দুইভাবে হতে পারে—
1. অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Alcoholic Fatty Liver) – মদ্যপানের কারণে হয়।
2. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD - Non-Alcoholic Fatty Liver Disease) – মদ না খেলেও শরীরে চর্বি জমার কারণে হয়।
⸻
🩸 ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণসমূহ
1. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা (Obesity)
2. ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (Diabetes/Insulin resistance)
3. রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরল বেশি থাকা
4. অতিরিক্ত চিনি, ফাস্টফুড, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া
5. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব (Sedentary lifestyle)
6. কিছু ওষুধ যেমন স্টেরয়েড, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি দীর্ঘদিন সেবন
7. হঠাৎ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস
⸻
💊 চিকিৎসা
ফ্যাটি লিভারের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই, তবে কিছু পদক্ষেপে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় —
1. ওজন কমানো:
প্রতি মাসে ধীরে ধীরে ২–৩ কেজি ওজন কমানো লিভারের ফ্যাট কমায়।
2. ডায়েট পরিবর্তন:
• ভাজা-পোড়া, ফাস্টফুড, সফট ড্রিংকস পরিহার করুন।
• প্রচুর শাকসবজি, ফল, মাছ, ওটস, ডাল খান।
• চিনি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট (সাদা ভাত, রুটি, মিষ্টি) কমান।
3. নিয়মিত ব্যায়াম:
প্রতিদিন অন্তত ৩০–৪০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন।
4. ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
5. অ্যালকোহল সম্পূর্ণভাবে বর্জন করুন।
6. ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করুন, যেমন ভিটামিন E, ইনসুলিন সেনসিটিভ ওষুধ ইত্যাদি (যদি প্রয়োজন হয়)।
⸻
🛡️ প্রতিরোধের উপায়
✅ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
✅ নিয়মিত ব্যায়াম
✅ পর্যাপ্ত পানি পান
✅ পর্যাপ্ত ঘুম
✅ স্ট্রেস কমানো
✅ নিয়মিত লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT) করা
⸻
চিকিৎসকের পরামর্শে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি (USG Whole Abdomen) করে লিভারের অবস্থা জানা যায়। ফ্যাটি লিভার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সম্পূর্ণ ভালো হওয়া সম্ভব।