Raqi Kamrul Haider

Raqi Kamrul Haider "কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত আর অবিশ্বাসীদের জন্য শুধুই ধ্বংস।"

■ সুরা বনি-ইসরাইল, আয়াত-৮২।

তিন দরজা দিয়ে শয়তান বান্দার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে।১) অলসতা,২) প্রবৃত্তির অনুসরণ,৩) ক্রোধ।¤ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহি...
25/10/2025

তিন দরজা দিয়ে শয়তান বান্দার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে।

১) অলসতা,
২) প্রবৃত্তির অনুসরণ,
৩) ক্রোধ।

¤ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ, আল‌ ওয়াবিলুস‌ সাইয়্যিবঃ ৩৭।

Raqi Kamrul Haider
➖➖➖➖➖➖➖

সরাসরি রুকইয়াহ ও সেল্ফ রুকইয়াহ কি❔ কখন কোনটা প্রযোজ্য❔সরাসরি রুকইয়াহ বলতে বুঝায় পেশাদার কোন রাক্বীর থেকে রুকইয়াহ গ্রহণ ক...
25/10/2025

সরাসরি রুকইয়াহ ও সেল্ফ রুকইয়াহ কি❔ কখন কোনটা প্রযোজ্য❔

সরাসরি রুকইয়াহ বলতে বুঝায় পেশাদার কোন রাক্বীর থেকে রুকইয়াহ গ্রহণ করা। আর সেল্ফ রুকইয়াহ বলতে বুঝায় রোগী নিজেই নিজের অথবা পরিবারে রুকইয়াহ করা।

রুকইয়াহ কি এবং রুকইয়াহ কিভাবে করে জানতে নিচের লিঙ্কটি পড়ে নিবেনঃ

https://www.facebook.com/share/p/19mpYznNP6/

এখানে আমরা বদনজর, হাসাদ, ওয়াশ-ওয়াসা, জ্বিন, যাদুর কারনে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় কোন অবস্থায় কোন ধরনের রুকইয়াহ বেশি উপযোগী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্।

✔ সরাসরি রুকইয়াহ যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে,

১. রোগীকে যদি পেশাদার যাদুকরের মাধ্যমে যাদু করা হয়ে থাকে।

২. রোগী যদি জ্বিন বা জ্বিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

৩. যাদু যদি বিশেষ কোনো রিচুয়ালের মাধ্যমে (যেমনঃ মানুষ/পশু/প্রাণি বলিদান, পুতুল বানিয়ে কবরে পুঁতে রাখা ইত্যাদি) সম্পাদিত হয়ে থাকে।

৪. যাদু একবারই করা হয়েছে, অথবা অনেক দিন পর পর করা হয়, এমন যাদুর ক্ষেত্রে।

৫. একজন মানুষকে একাধিক যাদু করা হয়ে থাকলে।

৬. পরিবারের একাধিক সদস্য অথবা পুরো পরিবার যাদু বা জ্বিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে থাকলে।

৭. যাদু অতীতে করা হয়েছিল, কিন্তু যাদুর প্রভাব রয়ে গেছে এমন ক্ষেত্রে।

৮. যদি এমন হয় যে, একটা বিশেষ উপকরণ দিয়ে যাদু করা হয়েছে এবং যাদুর জিনিস খুঁজে বের করতে পারলেই স্থায়ী সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৯. অতিরিক্ত হাসাদের সমস্যা দেখা দিলে।

১০. রোগী যদি কোনোভাবেই সেল্ফ রুকইয়াহ করতে না পারে সেক্ষেত্রে।

১১. রোগীর অবস্থা যদি গুরুতর (Serious/Emergency/Acute) হয়ে থাকে, ইত্যাদি।

✔ সেল্ফ রুকইয়াহ প্রযোজ্য হবে যেসব ক্ষেত্রেঃ

১. যদি শুধুমাত্র নজর ও হাসাদ পর্যায়ের সমস্যা হয়ে থাকে।

২. যাদু যদি দৃষ্টি, চিন্তা ও ধ্যানের মাধ্যমে করা হয়, এমন হয়ে থাকলে।

৩. ভিকটিম যদি যাদুকরদের সাথে একত্রে এমনভাবে বসবাস করে থাকে, যেখানে প্রতিনিয়ত দৃষ্টি ও স্পর্শের দ্বারা, মন্ত্র:পুত খাবার খাওয়ানোর দ্বারা এবং চলার পথে ছিটানোর দ্বারা যাদু করা হতে থাকে।

৪. যাদু প্রতিদিন বা দিনে কয়েকবার করা হয় এমন ক্ষেত্রে।

৫. রোগীর অবস্থা অতটা গুরুতর নয় এমন ক্ষেত্রে।

৬. সরাসরি রুকইয়াহ পরবর্তী সেল্ফ রুকইয়াহর সাজেশন ফলো করার ক্ষেত্রে, ইত্যাদি।

আল্লাহর ইচ্ছায় সরাসরি রুকইয়াহ দ্বারা রোগীর শরীরের জ্বিনকে দমন করা যায়, শরীরে থাকা যাদু ধ্বংস করা যায় এবং অনেক সময় জ্বিনের স্বীকারোক্তি যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে বাইরে যাদুর কোনো অবস্থান জানা গেলে সেখান থেকে যাদুর জিনিস উদ্ধার করে ধ্বংস করা যায়। কিন্তু দূরে অবস্থানকারী জ্বিনকে এবং যাদুকরকে শাস্তি দেয়া যায় না। সেক্ষেত্রে অভিশাপের রুকইয়াহ (কার্সের রুকইয়াহ) বেশী কার্যকরী। অবশ্য যাদু ব্যর্থ হবার দ্বারা যেটুকু শাস্তি হবার কথা সেটুকু হয়। অপরদিকে রোগীর নিজের সেল্ফ রুকইয়াহ ও দোয়ার দ্বারা যাদুকর পর্যন্ত ধ্বংস হওয়া সম্ভব। অবশ্য অনেক সময় রাক্বীও যদি আন্তরিক ও নি:স্বার্থভাবে রোগীর যাদুকরকে ধ্বংসের জন্য দোয়া করে থাকেন, তাহলে এর দ্বারাও যাদুকর ধ্বংস হতে পারে। কিন্তু জালেমের ধ্বংসের জন্য মজলুমের নিজের দোয়াই অধিক ফলপ্রসূ।

Raqi Kamrul Haider
Raqi & Ruqyah Consultant.

01677440419
➖➖➖➖➖

সেল্ফ রুকইয়াহ'তে চারটি ভুল ধারণা।১) অনেকেই মনে করেন ওয়াশরুমে রুকইয়াহ'র গোসল করা যাবেনা। কোরআনের অপমান হবে বা গোনাহ হবে...
24/10/2025

সেল্ফ রুকইয়াহ'তে চারটি ভুল ধারণা।

১) অনেকেই মনে করেন ওয়াশরুমে রুকইয়াহ'র গোসল করা যাবেনা। কোরআনের অপমান হবে বা গোনাহ হবে। এটি একটি ভুল ধারণা। ওয়াশরুমে রুকইয়াহ'র গোসল করা যাবে এতে কোনো সমস্যা নেই এবং গুনাহ'ও হবে না। তবে ওয়াশরুমের ভিতরে গোসলের পানি পড়া তৈরি করা যাবে না। ওয়াশরুমের বাহিরে পানি পড়া তৈরি করে নিতে হবে।

২) কেউ কেউ মনে করেন ওয়াশরুমে পড়া পানি ছিটানো যাবে না। এটাও ভুল ধারণা। ওয়াশরুমে পড়া পানি ছিটানো যাবে। বরং ওয়াশরুমেই বেশি বেশি পড়া পানি ছিটানো উচিত। জ্বিনের প্রধান আশ্রয়স্থল হচ্ছে ওয়াশরুম/টয়লেট এবং ঘরের ময়লা ও নোংরা স্থান সমূহ।

৩) অনেকের ধারণা পিরিয়ডের সময় নিরাপত্তার আমল করা যাবে না। পিরিয়ড চলাকালীন নিরাপত্তা বা হেফাজতের আমল করা যাবে। বরং অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে হেফাজতের মাসনুন আমলগুলো করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য মাসনুন আমলের সাথে যিকির-আযকার, দুরুদ, ইস্তেগফারও গুরুত্বের সাথে বেশি বেশি করা উচিত। এমনকি কিছু কিছু সূরা ও আয়াত'ও পাঠ করা যাবে চিকিৎসা ও দোয়ার নিয়াতে।

৪) অনেকের ধারণা হচ্ছে কোমরের নিচে, পায়ে পড়া তেল ব্যবহার করা যাবে না। এটিও সঠিক নয় বরং পা, কোমর, গোপনাঙ্গ সহ শরীরের যেকোনো জায়গায় পড়া তেল ও রুকইয়াহর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো উপাদান ব্যবহার করা যাবে।

উল্লিখিত ভুল ধারণার গুলোর জন্য রোগীদের সুস্থতা বিলম্বিত হয়। কখনো তো এই ধরনের ভুল ধারণা সুস্থতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এগুলোকে হাল্কাভাবে না নিয়ে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত। নিজে নিজে ভুল চিন্তা না করে, ভুল ধারণা পোষণ না করে বরং একজন রাক্বীর সাথে রুকইয়াহ সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ করে রুকইয়াহ করা উচিত।

Raqi Kamrul Haider
Raqi & Ruqyah Consultant

01677440419
➖➖➖➖➖

23/10/2025

মানুষ কি মনে করে যে,‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?

¤ সূরা আনকাবূত, আয়াতঃ ২।

23/10/2025

রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতিকে অবহেলা করেছেন তো নিজের বিপদ নিজে'ই ডেকে আনবেন।

এই ধরনের সমস্যা আমাদের রাক্বীদের'কে প্রায়ই সম্মুখীন হতে হচ্ছে, একজন পেশেন্টকে যখন আমরা রুকইয়াহ সাজেষ্ট করি তার আগে আমাদেরকে অনেকটা সময় পেশেন্টকে শুনতে হয়, বুঝতে হয় এবং অনেক স্টাডি করার পরেই আমারা রুকইয়াহ সাজেষ্ট করি। কতটা সময়, কতটা কষ্ট করে আমাদেরক পেশেন্টদের রোগ নির্ণয় করতে হয় তা শুধু আমরা রাক্বীরা'ই জানি। শুধু তাই নয় রুকইয়াহ চলাকালীন সময় রোগীর সার্বিক পরিস্থিতি কি তাও আমাদের নিয়মিত পর্যবক্ষেণ করতে হয়। পেশেন্টদের দৈনিক/সাপ্তাহিক নিয়মিত আপডেট জানতে হয়।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি কোন সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এটা মহান আল্লাহ্ সুবহানাহ ওয়া তা'য়ালার এক বিশেষ নেয়ামত সমৃদ্ধ চিকিৎসা পদ্ধতি। পবিত্র কোরআন এর সুরা, আয়াত ও নবী কারিম (সাঃ) এর হাদিসে বর্ণিত দোয়া দ্বারা এই চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালিত হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ্ সুবহানাহ ওয়া তা'য়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে বলেছেন,

"আমি কোরআনে এমন বিষয় নাজিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত আর অবিশ্বাসিদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।"

¤ সূরা বনি ইসারাইল, আয়াতঃ ৮২।

চিকিৎসক যখন বলবে আপনি সুস্থ তখন আপনি আস্থা রেখে আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন যে, আপনি সুস্থ। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত যদি আপনি নিজেই নেন তাহলে ভুল হবার সম্ভবনা'ই বেশি। কারণ চিকিৎসাশাস্ত্রে আপনি বিশেষজ্ঞ নন।

রুকইয়াহ'র ক্ষেত্রেও একই কথা। আপনি সুস্থ হয়েছেন কি হননি এটা নির্ণয় করার ভার রুকইয়াহ স্পেশালিষ্টকে'ই (রাক্বী) দিন। ডাক্তারের কাছে গেলে তো ফি লাগবে, আমাদের এখানে রুকইয়াহ সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য সেটাও লাগবে না। কাজেই কয়েকদিন রুকইয়াহ করে হাওয়া হয়ে যাবেন না। খুবই সম্ভবনা আছে কয়েকদিন পরেই আবার ফিরে আসবেন আর বিভিন্ন অজুহাত দেখাবেন আর যদি নাও আসেন সেটাও মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। এই যে অনুগ্রহ পেয়েছেন এটা জানালেও আপনার থেকে আমরা ফি নিব না বরং অনেক খুশি হবো যে আমাদের এই যৎসামান্য মেহনত কাজে এসেছে কারও।

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাই কে সঠিক বুঝ দান করুন, আমীন।

Raqi Kamrul Haider

01677440419
➖➖➖➖➖

21/10/2025

আল্লাহ তা'য়ালা যখন কাউকে ধ্বংস করতে চান তখন তাকে তিনটি পরীক্ষার সম্মুখীন করেন।

১) তাকে ইলম দান করেন। কিন্তু ইলম অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করেন না।

২) তাকে নেককারদের সাহচর্যে থাকার তৌফিক দান করেন। কিন্তু তাঁদের মর্যাদা ও সম্মানের উপলব্ধি থেকে বঞ্চিত করেন।

৩) তাকে বহু নেক কাজ করার তৌফিক দান করেন। কিন্তু খাঁটি নিয়ত থেকে বঞ্চিত করেন।

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

Raqi Kamrul Haider
➖➖➖➖➖➖➖

রুকইয়াহ করে দ্রুত উপকার পেতে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।১) মেয়েরা পর্দার ভিতরে থাকুন। বাড়ির ভিতরে নন মাহরাম পুর...
21/10/2025

রুকইয়াহ করে দ্রুত উপকার পেতে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

১) মেয়েরা পর্দার ভিতরে থাকুন। বাড়ির ভিতরে নন মাহরাম পুরুষদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। বাহিরে বের হলে যাতে শরীরের অবয়ব বুঝা না যায় সেই অনুযায়ী ঢিলাঢালা বোরকা পরিধান করুন।

২) দিনে অথবা রাতে একটা নির্দিষ্ট সময় সুস্থতার নিয়তে কুরআন তেলোয়াত করুন।

৩) মাগরিব সালাতের আগে "বিসমিল্লাহ্" বলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিন এবং ছোট বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে রাখুন। বাহিরে বের হতে দিবেন না। কারন তখন জ্বিন শয়তান ছড়িয়ে পড়ে।

৪) খাবার ও পানির পাত্রের মুখ খোলা রাখবেন না। "বিসমিল্লাহ্" বলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৫) খাবার শুরুর পূর্বে "বিসমিল্লাহ" বলে অথবা দোয়া পড়ে খানা শুরু করুন এবং খানা শেষ হলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। খবারের প্লেট চেঁটে পরিষ্কার করে খান যাতে অপচয় না হয় এতে বরকত পাওয়া যায়।

৬) পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পূর্বে এবং ঘুমানোর পূর্বে মেসওয়াস করুন।

৭) ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসি ও ঘর থেকে বের হবার দোয়া পড়ে বের হন এবং বাড়িতে "বিসমিল্লাহ্" বলে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন।

৮) যে কোন ধরনের গান বাজনা, অহেতুক কৌতুক-কবিতা শুনা থেকে বিরত থাকুন।

৯) ঘরে কোন পুতুল, মানুষ ও যে কোন প্রাণীর ছবি থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন এবং ঘরে কোন প্রকার বাধ্যযন্ত্র রাখবেন না, গান বাজাবেন না।

১০) জামা কাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং কাপড় পরিধান করার সময় এবং খোলার সময় "বিসমিল্লাহ্" বলুন।

১১) অযু করার পর কালিমায়ে শাহাদাহ পাঠ করুন।

১২) পানি পান করার নিয়ম মেনে পান করুন।

১৩) হাঁচি দেওয়ার পর "আলহামদুলিল্লাহ" বলুন এবং হাঁচির জবাবে "ইয়ারহামুকাল্লাহ" বলুন।

১৪) ঘরে সূরা বাকারাহ তেলোয়াত করুন মিনিমাম প্রতি সপ্তাহে ১ বার হলেও। অথবা উচ্চস্বরে অডিও বাজাতে পারেন।

১৫) যে কোন কাজ শুরুর পূর্বে দোয়া না জানলেও "বিসমিল্লাহ্" বলুন।

১৬) প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও দুরূদ পাঠ করুন।

১৭) টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে প্রবেশের দোয়া এবং বের হওয়ার পর দোয়া পড়ুন। টয়লেটে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা থেকে বিরত থাকুন। বাসার রুমের সাথে টয়লেট নির্মাণ থেকে বিরত থাকুন।

১৮) মেয়েরা সর্বদায় মাথায় কাপড় রাখুন এবং সর্বদা অযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।

১৯) গোসলের সময় যথাসম্ভব নিজেকে ঢেকে গোসল করুন। শুরুর পূর্বে দোয়া পড়ুন, দোয়া না জানলে "বিসমিল্লাহ্" বলুন এবং ডান কাঁধ থেকে পানি ঢালা শুরু করুন।

২০) সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো নিয়মিত করুন। মেয়েরা পিড়িয়ড অবস্থাতেও সকাল সন্ধ্যার দোয়াগুলো পড়তে পারবেন। সূর্য উদয়ের আগে পর্যন্ত ও সূর্যাআস্তের আগ পর্যন্ত সালাতের বিছানায় বসে দোয়া দুরুদ পড়তে থাকুন।

২১) আয়না দেখার সময় দোয়া পড়ুন।

২২) কড়া ঘ্রাণযুক্ত আতর ব্যবহার করুন সালাতের সময় এবং ঘুমানোর আগে। রুকইয়াহ শুনার সময়ও ব্যবহার করুন এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

২৩) সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত সব সময় যখনই পানি পান করবেন তা যেন পড়া পানি হয়। এতে পেটের যাদু নষ্টের জন্য কাজ করে। বৃষ্টির পানি জমিয়ে সেই পানি পান করুন।

২৪) মেয়েরা হাতের নখ বড় করা থেকে বিরত থাকুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। চুল, নখ, পিরিয়ড এর কাপড় "আউযুবিল্লাহ মিনাশ শায়ত্বনির রজীম" বলে মাটিতে পুঁতে ফেলুন।

২৫) ছেলে মেয়ে উভয়ই কোন অবৈধ্য/বিয়ের আগে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড থাকলে দ্রুত তাওবা করে তা ছেড়ে দিন।

২৬) রাতে ঘুমানোর পূর্বে বিছানা "বিসমিল্লাহ্" বলে ঝেড়ে নিন, অযু ও মেসওয়াক করে ঘুমান, ঘুমানোর পূর্বে দোয়াসমূহ পড়ুন এবং ডান পার্শ্ব হয়ে ঘুমান।

২৭) রাতে ঘুমানোর সময় দোয়া পড়ার পরও মোবাইল চালানো বন্ধ করুন। মোবাইলের ডাটা অফ করে ডান পার্শ্ব হয়ে দোয়া পড়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।

২৮) যত ধরনের গেইম আছে এগুলো ফোন থেকে ডিলেট করে দিন। গেইম খেলা থেকে থেকে বিরত থাকুন।

২৯) মাঝে মাঝে ঘরে এবং বিছানায় পড়া পানি ছিটিয়ে দিন।

৩০) যেকোন স্বপ্ন দেখলেই ফেসবুকে পোষ্ট করা অথবা অযথা সবার সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। স্বপ্ন দেখলে রাসূল (সাঃ) কি করতে বলেছেন সেই নিয়ম অনুসরন করুন।

৩১) সুস্থতার নিয়তে প্রতিদিন টানা প্রায় ৪০ দিন ইশার সালাতের পর ১০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করুন এবং ৫০০ বার 'লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ পাঠ করুন।'

৩২) বেশী বেশী দোয়া ইউনুস পড়ে নিজের সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

৩৩) কোন কবিরাজ, গণকের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাবিজ অথবা সন্দেহ জিনিস পেলেই তা পড়া পানিতে (তাবিজ নষ্টের পানিতে) ডুবিয়ে নষ্ট করে ফেলুন।

৩৪) একজন রাক্বীর পরামর্শে রুকইয়া করুন। রাক্বীকে আপনার সমস্যাগুলোর আপডেট জানান।

Raqi Kamrul Haider
➖➖➖➖➖➖➖

জ্বিন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।জ্বিন নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে হাজারো কৌতূহল। কেউ কেউ অতি আবেগে এ ব্যাপারে বিভিন্...
20/10/2025

জ্বিন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

জ্বিন নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে হাজারো কৌতূহল। কেউ কেউ অতি আবেগে এ ব্যাপারে বিভিন্ন অবাস্তব ঘটনার অবতারণা'ও ঘটায়। আবার কেউ পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে অনেক সত্যকে'ও অস্বীকার করে বসে। তবে ইনশাআল্লাহ এই লেখা থেকে জ্বিনদের সম্পর্কে এমন ১০টি তথ্য আপনারা জানতে পাবেন যা পবিত্র কোরআন ও সহিহ্ হাদিসের আলোকে নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত।

১) সত্যিই কি জ্বিন বলতে কিছু আছে❓

জ্বিন বলতে কিছু নেই এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বরং এই ধারণা মনে পোষণ করাও কুফরি অর্থাৎ কবিরা গুনাহ। জ্বিনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার মানে হচ্ছে মহান আল্লাহ্ সুবহানাহ ওয়া তা'য়ালার কথাকে অস্বীকার করা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন,

"আমি প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা থেকে জ্বিন সৃষ্টি করেছি।"

¤ সুরা হিজর, আয়াতঃ ২৭।

এ ছাড়া পবিত্র কোরআনে ‘সুরা জ্বিন’ নামের একটি স্বতন্ত্র সুরার'ও নামকরণ করা হয়েছে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫৭টি আয়াতে এ সম্পর্কিত বহু বিস্ময়কর তথ্য রয়েছে, যা নিশ্চিতরূপে জ্বিনের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে।

২) অভিশপ্ত শাইত্বন কি জ্বিনের বংশোদ্ভূত❓

পবিত্র কোরআনের ভাষ্য মতে, ইবলিশ শয়তান হযরত আদম (আঃ) এর সামনে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। তাই তাকে বিতাড়িত করা হয়েছিলো। পবিত্র কোরআন'এ মহান আল্লাহ্ সুবহানাহ ওয়া তা'য়ালা বলেন,

"সে ছিল জ্বিনদের বংশোদ্ভূত।"

¤ সুরা কাহাফ, আয়াতঃ ৫০।

এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় 'শায়াত্বিন' শব্দ দ্বারা জ্বিনদের কথা বোঝানো হয়েছে।

৩) জ্বিনদের আকৃতি কেমন❓

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জ্বিনের আকৃতি বিষয়ক যেসব বর্ণনা এসেছে তা মৌলিকভাবে তিন প্রকার,

১) দৃশ্যমানঃ অর্থাৎ জ্বিনের প্রকৃত আকৃতি মানব চোখে অবলোকন যোগ্য।

¤ তাবরানিঃ ৫৭৩।

২) অদৃশ্যমানঃ অর্থাৎ জ্বিনেরা আকৃতিবিহীন তাদের শুধু শারীরিক উপস্থিতি অনুভূত হয়।

¤ সুরা আরাফ, আয়াতঃ ২৩।

৩) বিকৃত আকৃতিঃ মানুষ, পশু-পাখি কিংবা বৃক্ষলতার আকৃতি ধারণ করা।

¤ তাবরানিঃ ৪০১২।

৪) জ্বিনেরা কী খায়❓

মানুষসহ অন্য প্রাণীরা যেমন খাওয়া-দাওয়া করে তদ্রূপ জ্বিনরাও খাওয়া-দাওয়াসহ অন্য প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করে থাকে। আল্লাহর নামে জবাইকৃত পশুর হাড়-হাড্ডি হলো জ্বিনদের খাবার। একদা জ্বিনদের একটি দল নবী কারিম (সাঃ) কে তাদের এলাকায় নিয়ে গেল। সেখানে নবীজি (সাঃ) তাদেরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনালেন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, আমাদের হালাল খাবার কী? নবীজি (সাঃ) বলেন,

"প্রত্যেক ওই পশুর হাড়, যা আল্লাহর নামে জবাই করা হয়।"

¤ তিরমিজি, হাদিসঃ ৩২৫৮।

৫) জ্বিনদের বিয়ে-শাদী, সন্তান ও প্রজননঃ

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহ ওয়া তা'য়ালা নিজ প্রজ্ঞাগুণে প্রতিটি বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তাই জ্বিন জাতির মধ্যেও রয়েছে নর-নারীর জোড়া। মানুষের মতো তাদেরও রয়েছে বিয়ে-শাদী ও বাচ্চা প্রজননের নির্ধারিত প্রক্রিয়া। পবিত্র কোরআনে জান্নাতি রমণীদের কুমারীত্বের বর্ণনায় এসেছে যে,

"তাদের কোনো মানুষ বা জ্বিন কখনো স্পর্শও করেনি।"

¤ সুরা আর রহমান, আয়াতঃ ৫৬।

অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,

"তোমরা কি আল্লাহ'কে ছেড়ে শয়তান ও তার বংশধরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছ?"

¤ সুরা কাহাফ, আয়াতঃ ৫০।

এই দুই আয়াত থেকে জ্বিনদের যৌনাকাঙ্ক্ষা ও বংশ প্রজননের বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

৬) জ্বিনদের ধর্ম কী❓

জ্বিন জাতি আল্লাহর সৃষ্টি মাখলুকের মধ্য থেকে একটি মাখলুক। মহান আল্লাহ্ তাদের রব। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,

'‘হে মানুষ ও জ্বিন, তোমরা তোমাদের রবের কোনো অবদানকে অস্বীকার করতে পারবে?’'

¤ সুরা আর-রাহমান।

আর প্রত্যেক নবী নির্দিষ্ট অঞ্চলের তৎকালীন মানুষ এবং জ্বিনদের হেদায়েতের বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন,

"হে মানুষ ও জ্বিন, আমি কি যুগে যুগে তোমাদের কাছে নবী প্রেরণ করিনি?"

¤ সুরা আনআম, আয়াতঃ ৩০।

যেহেতু মহানবী (সাঃ) কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বজগতের জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন, তাই বর্তমান জ্বিনদের জন্য শরিয়তে মোহাম্মদী তাদের ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

৭) জ্বিনদের ধর্মীয় বিধি বিধানঃ

মানুষের মতো জ্বিনদের ক্ষেত্রেও ধর্মীয় অনুশাসনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাদের ইহকালীন কৃতকর্মের জন্য হাশরের ময়দানে নিজ নিজ কর্মের হিসাব দিতে হবে। পবিত্র কোরআন'এ মহান আল্লাহ্ বলেন,

"সৎকর্মশীলদের জন্য জান্নাত এবং মন্দ কর্মের জন্য অপরাধীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।"

¤ সুরা আরাফ, আয়াতঃ ৩৪।

৮) মানবদেহে জ্বিনের অনুপ্রবেশঃ

আশ্চর্য হলেও সত্য যে জ্বিনরা মানবদেহের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করতে পারে। এমনকি মানুষের জ্ঞানবুদ্ধির ওপরও প্রভাব ফেলে তাকে বিকারগ্রস্তও করে ফেলতে পারে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,

‘'যারা সুদ খায় তারা কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় দণ্ডায়মান হবে, যেমন শয়তানের আছর (কুপ্রভাব) কাউকে বিকারগ্রস্ত করে ফেলে।"

¤ সুরা বাকারা, আয়াতঃ ২৭৫।

তদ্রূপ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সাঃ) বলেন,

"শয়তান তোমাদের দেহে অনুরূপ বিচরণ করে, যেমন রক্ত দেহের সর্বত্র প্রবাহিত হয়।"

¤ বুখারি, হাদিসঃ ৩৪৮২।

৯) জ্বিনেরা কি অদৃশ্য বা গায়েবী বিষয়ে জানে❓

আসমান ও জমিনের কোনো অদৃশ্যের সংবাদ আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানে না। তবে অনেক দৃশ্যমান বিষয় জ্বিনরা অদৃশ্য থেকে অবলোকন করে তা বর্ণনা করে, যা অনেকে অদৃশ্যের খবর বলে মনে করে থাকে। এটা নিছক ভুল ধারণা।

১০) সৎকর্মশীলদের ওপর জ্বিনের কুপ্রভাব পড়ে নাঃ

জ্বিন মানবদেহে প্রভাব বিস্তার করতে পারলেও নেককার মুসলমানদের ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা নিষ্ফল হয়। পবিত্র কালামে পাকে জ্বিন ও শয়তানের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন,

'‘যারা আমার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদের প্রতি তোমার কোনো প্রভাব কার্যকর হবে না।"

¤ সুরা হিজর, আয়াতঃ ৪৩।

তাই দেখা যায়, ধর্মীয় ব্যাপারে উদাসীন লোকেরাই জ্বিন ও শয়তানের কুপ্রভাব ও কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পাঠ না করলে দুষ্ট জ্বিনেরা তার গোপনাঙ্গ নিয়ে খেলা করে। অনুরূপ খাদ্য গ্রহণের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ না পড়লে খারাপ জ্বিন তার খাদ্যে অংশগ্রহণ করে।

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহ ওয়া তা'য়ালার সৃষ্ট সকল দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য অশুভ অনিষ্টকারী প্রাণীর অনিষ্ট থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।

Raqi Kamrul Haider
Raqi & Ruqyah Consultant,
RuqyahTreatment.

01677440419
➖➖➖➖➖

যদি আপনাদের প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে সবথেকে কঠিন কাজ কি❓হয়তো আপনারা অনেকে বিভিন্ন উত্তর দিবেন। তবে আমি বলবো পৃথিবীর সবচেয়ে...
19/10/2025

যদি আপনাদের প্রশ্ন করা হয়
পৃথিবীতে সবথেকে কঠিন কাজ কি❓

হয়তো আপনারা অনেকে বিভিন্ন উত্তর দিবেন। তবে আমি বলবো পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে মানুষ চেনা। হয়তো আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন। তবে হ্যাঁ মানুষ চেনাই হচ্ছে পৃথিবীতে সবথেকে কঠিন কাজ এটাই সত্য।

আপনি আমাকে কতটুকু চেনেন❓আমি আপনাকে যতটুকু চিনতে বা বুঝতে দিয়েছি ঠিক ততোটুকুই এর বেশি না। কিন্তু আমার মনের মধ্যে কি সেটা আপনি কখনো বুঝতে পারবেন না।

আমাদের জীবনে কিছু ভুল মানুষের সাথে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক হতেই পারে এটা অসম্ভব কিছু না। আমাদের উচিত সকল কিছুর সাথে মিলিয়ে নেওয়া। জানি এটা কষ্টের তবুও জীবনে ভালো থাকতে এই পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পথ নাই। বিশ্বাস করেন বিকল্প কোন পথ নাই।

ভালো থাকুক পৃথিবীর মুখোশ পরে থাকা সকল স্বার্থপর মানুষগুলো।

Raqi Kamrul Haider
➖➖➖➖➖➖➖

18/10/2025

অহংকারের সব চাইতে খারাপ দিকটা কি জানেন❓
এটা আপনাকে কখনোই অনুভব করতে দিবেনা যে আপনি ভুল❗

যাদু ও জ্বিনের কারণে যারা সব সময় কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল।ইনশাআল্লাহ এক থেকে দেড় মাস নিয়মিত আমলগুল...
16/10/2025

যাদু ও জ্বিনের কারণে যারা সব সময় কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল।

ইনশাআল্লাহ এক থেকে দেড় মাস নিয়মিত আমলগুলো করুন, আল্লাহ্ চাহেন তো সুস্থ হয়ে যাবেন।

নিচের নিয়মে পানি তৈরি করবেন এবং এই পানি পান করবেন ও গোসল করবেন। এই পানি দিয়ে গোসল করার সময় গায়ে ও চুলে সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এই পানি দিয়ে গোসল করার পর সাধারণ পানি দিয়ে শ্যাম্পু ও সাবান ব্যবহার করে গোসল করতে পারবেন।

প্রথমে এক বালতি পানি বা আরো বেশি পরিমাণ পানি নিন, যাতে করে একবার পানি পড়া তৈরি করে বেশিদিন ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে হালকা গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে পারেন। পানিটা খাবারের উপযোগী হয় এই পরিমান গোপাল জল মিশাবেন। প্রথমে কয়েকবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে নিন তারপর,

১. দুরুদে ইব্রাহিম ১১ বার,
২. সুরা ফাতিহা ৪১ বার,
৩. সুরা বাকারা ১ থেকে ৫ নং আয়াত ৩ বার,
৪. সুরা বাকারাহ ১০১ ও ১০২ নং আয়াত ৩ বার,
৫. সুরা বাকারাহ ১৬০ থেকে ১৬৫ নং আয়াত ৩ বার,
৬. সুরা বাকারাহ ২৫৫ নং আয়াত অর্থাৎ আয়াতুল কুরছি ১১ বার এবং ২৫৬ ও ২৫৭ নং আয়াত ৩ বার,
৭. সুরা বাকারাহ ২৮৪ থেকে ২৮৬ নং আয়াত ৩ বার,
৮. সুরা আলে ইমরান ১৮ ও ১৯ নং আয়াত ৩ বার,
৯. সুরা আ'রাফ ৫৪ থেকে ৫৬ নং আয়াত ৩ বার,
১০. সুরা আ'রাফ ১১২ থেকে ১২২ নং আয়াত ৩ বার,
১১. সুরা ইউনুস ৮০ থেকে ৮২ নং আয়াত ৩ বার,
১২. সুরা ত্বহা ৬৮ থেকে ৭০ নং আয়াত ৩ বার,
১৩. সুরা মু'মিনুন ১১৫ থেকে ১১৮ নং আয়াত ৩ বার,
১৪. সুরা সফফাত ১ থেকে ১০ নং আয়াত ৩ বার,
১৫. সুরা আহকাফ ২৯ থেকে ৩২ নং আয়াত ৩ বার,
১৬. সুরা আর-রাহমান ৩৩ থেকে ৩৬ নং আয়াত ৩ বার,
১৭. সুরা হাশর ২১ থেকে ২৪ নং আয়াত ৩ বার,
১৮. সুরা জিন ১ থেকে ৯ নং আয়াত ৩ বার,
১৯. সূরা ফিল ৩ বার,
২০. সুরা কাউসার ৩ বার,
২১. সূরা কাফিরুন ৩ বার,
২২. সূরা লাহাব ৩ বার,
২৩. সুরা ইখলাস ৩ বার,
২৪. সুরা ফালাক ৩ বার
২৫. সুরা নাস ৩ বার,
২৬. শেষে পুনরায় দুরুদে ইব্রাহিম ১১ বার।

উপরে উল্লিখিত প্রতিটা আয়াত, সুরা পড়া শেষ হলে পানিতে ফু দিন। সেখান থেকে ২/৩ লিটার পানি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ও রাতে ঘুমানোর আগে হাফ গ্লাস করে খাবারের জন্যে রেখে দিন এবং ১ লিটার এর মতো পানি দৈনিক সকাল সন্ধ্যা ও রাতে ঘুমানোর আগে পুরো বাড়িতে ছিটানোর জন্য রেখে বাকি পানি থেকে প্রতিদিন ১/২ লিটার পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করবেন। সম্ভব হলে গোসলের পানির সাথে দৈনিক ৭/১৪/২১ টা করে বরই পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।

(যদি যাদু ও জ্বিনের সমস্যা বেশী থাকে তাহলে অবশ্যই একজন রাক্বীর সাথে পরামর্শ করে তারপর আমল শুরু করুন।)

✔ জ্বিন, যাদু এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে দৈনিক স্থায়ীভাবে যে আমলগুলো করতে হবেঃ

১. সকাল-সন্ধা একশত বার অথবা দশবার,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।

২. সকাল-সন্ধা সাতবার,

حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

উচ্চারণঃ হাসবিইয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল আরশিল আযীম।

৩. সকাল-সন্ধা তিনবার,

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমা তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খলাক।

৪. সকাল-সন্ধা তিনবার করে পাঠ করা,

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণঃ বিস্‌মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম।

৫. সকাল-সন্ধা তিনবার করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করবেন এবং রাতে ঘুমানোর আগে তিন বার করে পড়ে দুই হাতের তালুতে ফু দিয়ে সমস্ত শরীর ভালো করে মাসেহ্ করে নিবেন, এভাবে তিনবার করবেন।

৬. দৈনিক সকাল ও সন্ধ্যায় ১ বার করে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করবেন।

اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت ، خلقتني ، وأنا عبدك ، وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت ، أعوذبك من شرما صنعت ، أبوء لك بنعمتك علي ، وأبوء بذنبي ، فاغفزي فإنه لا يغفر التثوب إلا أنت

উচ্চারণঃ "আল্লা-হুম্মা আন্তা রব্বী লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা খালাক্বতানী, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বাতু, আঊযুবিকা মিন শার্রি-মা ছানায়া'তু। আবূউ লাকা বিনি'ই মাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্ যুনুবা ইল্লা আন্তা।"

৭. সারাদিনে ৭০ বারের বেশি ইস্তেগফার পড়তে চেষ্টা করবেন এবং সকাল-বিকাল অন্তত ১০ বার করে দুরূদ পাঠ করবেন।

৮) বেশী বেশী দোয়া ইউনুস পড়ে নিজের সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন এবং সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন, আমীন।

Raqi Kamrul Haider
Raqi & Ruqyah Consultant.
RuqyahTreatment.

📞 01677440419.
➖➖➖➖➖➖➖

সেল্ফ রুকইয়াহ'র নিয়ত কিভাবে করবেন❓যারা সেল্ফ রুকইয়াহ করেন বা করতে চাচ্ছেন তারা সেল্ফ রুকইয়াহ'র নিয়তের জন্য নিচের লেখাগুল...
15/10/2025

সেল্ফ রুকইয়াহ'র নিয়ত কিভাবে করবেন❓

যারা সেল্ফ রুকইয়াহ করেন বা করতে চাচ্ছেন তারা সেল্ফ রুকইয়াহ'র নিয়তের জন্য নিচের লেখাগুলো ফলো করতে পারেন।

১. ইয়া আল্লাহ্, আমার শরীরে যত আইন (বদনজর) হাসাদ (হিংসা) আছে সব নষ্ট করে দিন।

২. ইয়া আল্লাহ্, আমার শরীরে জ্বিন ও মানুষের যত প্রকার সিহর/সেহের (যাদু) এর প্রভাব আছে সেগুলো সবকিছু আপনি নষ্ট/ধ্বংস করে দিন।

৩. ইয়া আল্লাহ্, আমার শরীরের ভিতরে থাকা ও শরীরের বাহিরে থাকা জ্বিন শয়তান ও যাদুর যত অশুভ শক্তি আছে সেগুলো সব আপনি ধ্বংস করে দিন।

৪. ইয়া আল্লাহ্, আমাকে যে জ্বিন বা জ্বিন শয়তানগুলো কষ্ট দিচ্ছে তাকে তাড়িয়ে দিন অথবা ধ্বংস করে দিন।

৫. ইয়া আল্লাহ্, আমার যত প্রকার শারীরিক ও মানসিক রোগ আছে যা আমি জানি আর যা আমি জানিনা, আপনার তো সব জানা আছে। আপনি আমাকে সমস্ত প্রকার রোগ থেকে দ্রুততম সময়ে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন।

Raqi Kamrul Haider
➖➖➖➖➖➖➖

Address

Dhaka
1229

Telephone

+8801677440419

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Kamrul Haider posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Raqi Kamrul Haider:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram