Dr.Murshida Yeasmin Lima

Dr.Murshida Yeasmin Lima Welcome to the official page for Dr.Murshida Yeasmin Lima

15/10/2024

"সেই দিন মানুষ আতংকে দৌড়ে পালাবে নিজের ভাইয়ের কাছ থেকে, নিজের মা, বাবা, জীবন-সঙ্গিনী, সন্তানদের কাছ থেকে।"
(আবাসা ৮০: ৩৪-৩৬)

আমরা যেমন পাগলা কুকুর দেখে যেরকম আতংকে দৌড়ে পালাই, কিয়ামতের দিন আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে দেখে আমরা ঠিক সেরকম ভাবে পালাবো। তাদেরকে দেখে আমরা যেভাবে পালাবো, আমাদের প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের দেখে সেভাবে পালাবো না। এর কারণ: আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের অধিকার হরন করি তারা হচ্ছে আমাদের আপন ভাই-বোন, বাবা-মা, স্ত্রী এবং সন্তান। কিয়ামতের দিন যখন দেখবো আমার মা আমার দিকে এগিয়ে আসছেন, তখন সাথে সাথে মনে পড়ে যাবে সারাজীবন তার সাথে কত অন্যায় করেছি। সেদিন নিজের ভাইকে দেখবো আমার দিকে এগিয়ে আসছে, সাথে সাথে মনে পড়ে যাবে আমি নিজের পরিবার নিয়ে ভালো থাকার জন্য কত চেষ্টা করেছি, অথচ নিজের ভাইয়ের জন্য কিছুই করিনি। মহান আল্লাহ বলেন-

"হে লোকজন যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো যার জ্বালানী হবে মানুষ এবং পাথর। সেখানে রুঢ় স্বভাব ও কঠোর হৃদয় ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকবে যারা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না এবং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাই তারা পালন করে।" (সুরা তাহরিম: ৬)

হে আল্লাহ! আমাদেরকে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার তৌফিক দান করুন।
© from Iqbal Hyder

11/10/2024

🔴🔴 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সারা দেশ থেকে ঢাকায় ঢোকার রাস্তা মাত্র ৩টা। এর মধ্যে,গাবতলী দিয়ে ঢাকায় আসে ১৮ জেলার মানুষ।
উত্তরা দিয়ে ৫ জেলার মানুষ।
যাত্রাবাড়ি দিয়ে ৪০ জেলার মানুষ।
এই তিন পয়েন্টের বাইরে যে রাস্তাগুলো আছে সেগুলোর ডিজাইন ভালো না। তাই প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহারের অযোগ্য। যেমন ধরেন বাবুবাজার সেতু পারতপক্ষে কেউ ব্যবহার করবে না কারণ পুরান ঢাকার যানজট পাড়ি দিতে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা লাগবে। ৩০০ ফিটের রাস্তা কেউ ব্যবহার করবে না কারণ রাস্তা সরু আর প্রায় ১৫ কিমি বেশি ঘুরতে হয়। ইত্যাদি।
এখন ফিরে আসি ওই তিন প্রবেশপথের প্রসঙ্গে। এই তিন প্রবেশপথের মধ্যে যেটা সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো উত্তরার রাস্তা। এটা দিয়ে ৫ জেলার মানুষ ঢাকায় ঢুকে। এই রাস্তায় আছে ৪ লেন মহাসড়ক, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট, দুইটা এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর আশুলিয়া-ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে)।
উত্তরার রাস্তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গাবতলী। এটা দিয়ে ১৮ জেলার মানুষ ঢাকায় আসে। এতে ৪ লেন মহাসড়ক আছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ে নেই। রাতে এই রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকে।
এরপর আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ি। এটা দিয়ে ৪০ জেলার (চট্টগ্রাম, সিলেট, দক্ষিণবঙ্গ) মানুষ ঢাকায় আসে। এই প্রবেশপথটা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে মজাদার প্রবেশপথ। সিলেট মহাসড়কের ৪ লেন, চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৬ লেন, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেন = মোট ১৪ লেন সড়ককে একত্র করে ১ লেন বানানো হয়।
বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। প্রথমে সিলেট মহাসড়ক এনে চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সিলেটের ৪ লেন আর চট্টগ্রামের ৬ লেন মিলে জোর করে ৬ লেন করা হয়েছে, যেখানে প্রয়োজন ছিল ১০ লেন। এই ৬ লেন এসে ঢুকেছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে।
এদিকে বাম দিকে থেকে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেনও মেয়র হানিফে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ১৪ লেন মহাসড়কের চাপ নিয়েছে।
এখন হানিফ ফ্লাইওভার যে ঢাকায় ঢুকলো সেটার দিকে তাকাই। হানিফের এক্সিট পয়েন্ট দুইটা। একটা গুলিস্তান (২ লেন)। এই ২ লেন একেবারেই অব্যবহারযোগ্য। হকারদের জন্য গুলিস্তান দিয়ে কোন গাড়ি, বাস ঢোকার উপায় নেই। তাই গুলিস্তানের এক্সিট পয়েন্ট বাতিল।
বাকি থাকলো চানখারপুল এক্সিট। শুধু এটাই কাজ করে। এটা মাত্র ১ লেন। দুটো গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়ানোরও উপায় নেই। ১৪ লেন মহাসড়ক এনে জোর করে ১ লেন করা হয়েছে।
প্রশ্ন আসবে, তাহলে এই ট্রাফিক সিস্টেম কাজ করে কীভাবে?
উত্তর হলো, করে না।
প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার, মাওয়া মহাসড়কে ২ কিলোমিটার আর সিলেট মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে। প্রতিদিন যাত্রাবাড়ি থেকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে আসতে এত ৪০ জেলার মানুষ ৫ কিলোমিটার রাস্তায় ন্যূনতম ৩ ঘন্টা বসে থাকে।
এতো বড় ভোগান্তির কথা আপনি আমি জানি না কেন?
জানি না কারণ আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত। যাত্রাবাড়ির যানজট পাড়ি দিয়ে কোন ব্যক্তির পক্ষে সকাল ১০টায় উত্তর ঢাকায় গিয়ে অফিস ধরা রীতিমত সুপারহিউম্যানের কাজ। ফলে মিডিয়া ও সাংবাদিক এবং অন্য যারা আমাদের মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ করেন তারা সবাই বাস করেন নিকেতন, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাও, বনানী বা ফার্মগেটের দিকে। ফলে ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ এবং ঢাকার সর্বাধিক জনসংখ্যাপূর্ণ ৪টি থানা কখনোই কোন মিডিয়াতে গুরুত্ব পায় না। যে কারণে এলাকা বিচারে এই গণঅভ্যুত্থানে সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ছাত্র ও পুলিশ যাত্রাবাড়িতে মারা গেলেও আমরা জানিনা।
এটা শুধু একটা উদাহরণ দিলাম। জাস্ট এলিট শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রতিটা উন্নয়ন প্রকল্পে সর্বনাশ হয়ে চলেছে।

from Mokhlesur Rahman

https://youtu.be/-Ia3me9xVCM?si=k7uEnLAm7PXfTptY_*দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই চারটি আমল করুন, অলৌকিকভাবে উদ্ধার পাবেন ইন'শাআ...
01/10/2024

https://youtu.be/-Ia3me9xVCM?si=k7uEnLAm7PXfTptY

_*দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই চারটি আমল করুন, অলৌকিকভাবে উদ্ধার পাবেন ইন'শাআল্লাহ*_

১) ইস্তেগগফার করতে থাকুন
২) দরূদ পড়তে থাকুন
৩) দোয়া ইউনুস পড়তে থাকুন
৪) নফল সালাতে র মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সাহায্য চাইতে থাকুন..... ইন'শাআল্লাহ সমাধান হবে

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই চারটি আমল করুন, অলৌকিকভাবে উদ্ধার পাবেনপ্রতি শুক্রবার রাত ৮ টায় শায়খ আহমাদুল্লাহ এই চ্যা.....

26/09/2024

রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া করতেন। বৃষ্টি যেমন আল্লাহর রহমত, তেমনই আবার কখনো গজবও হয়ে উঠতে পারে। রাসুল (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআহ।’ ‘হে আল্লাহ! তুমি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান ও উপকারী করে দাও। (বুখারি, হাদিস: ১,০৩২)

19/09/2024

_'আল্লাহ্‌ উনাদের ভালো রাখুন, আমীন'_

যমুনা শপিং মলের একটা শো-রুমে শার্ট দেখছি। একটা শার্ট দেখতে বেশ ভালো লাগছে! এত দামি শার্ট কেনা যাবে না। আমি এখানে মাঝেমধ্যে আসি ঘুরে ঘুরে দেখি কখনো কেনা হয় না।

এ সময় হুট করে একজন মহিলা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন! আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। মহিলা আমাকে জড়িয়ে ধরিয়ে কাঁদতে শুরু করলেন!

আমার কেমন আনইজি লাগছে! মহিলা আমার মায়ের চেয়েও বয়সে বড় হবে।

মহিলা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলছেন, এতদিন কোথায় ছিলি বাপ? আমার সোনাটা বলেই আমাকে চুমু দিতে শুরু করলেন!

আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম। মহিলা আর কঠিন করে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন!

আমার কেমন খারাপ লাগছে! এ সময়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি এক আপা হাত জোর করে ক্ষমা চাচ্ছে!

আমি কিছুই বুঝতে পারছি না কী করবো?

মহিলা বললেন, "এই শার্ট তোর পছন্দ হয়েছে বাবা?"

আমি কিছুই বললাম না। উনি একইরকম কয়েকটা শার্ট নিয়ে কাউন্টারের দিকে গেলেন।

এ সময় আপুটা দ্রুত আমার কাছে এসে বলল, "কিছু মনে করো না ভাই। উনি আমার মা। আমার ছোটো ভাইটা ছাত্র আন্দোলনে মারা গেছে! ভাইটা দেখতে তোমার মত ছিলো!"

মহিলা আমাকে ইশারায় ডাকছে এদিকে আয় বাবা! আমার এখন কেমন কান্না পাচ্ছে! মহিলার জন্য মায়া হচ্ছে!

আমি ধীরে ধীরে মহিলার কাছে গেলাম। উনি বললেন," আর কিছু কিনবি না বাবা? কতদিন তোকে নিয়ে শপিংয়ে বের হই না!"

আমি বললাম, "আজ আর কিছু কিনব না। আরেকদিন।"

মহিলা বললেন, "চল বিরিয়ানি খাই। তোর পছন্দের বিরিয়ানি! "

একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছি। মহিলা আমাকে বিরিয়ানি খাইয়ে দিচ্ছেন! আমার একটু লজ্জা লাগছে! কিছু বলছি না ওনার জন্য কেমন মায়া হচ্ছে।

আমি বললাম, " আপনি খান।"

মহিলা বললেন," তুই আমাকে আপনি বলছিস কেন বাবা? আপুর দিকে তাকিয়ে বলল, এই লুনা দেখ বাবু আমাকে আপনি বলছে!"

আপুর চোখে পানি। উনি ভাঙা গলায় বলল, " মা বাবু এখন বড় হয়েছে না!"

মহিলা বললেন, "এই আইসক্রিম দাও এখানে।"

রেস্টুরেন্টের একজন বলল, "ম্যাডাম এখানে আইসক্রিম নেই।"

মহিলা ক্ষেপে গেলেন," কী আমার বাবুর প্রিয় আইসক্রিম নেই?"

আপুটা দ্রুত উঠে গিয়ে ম্যানেজার কে কিছু বললেন, ম্যানেজার সাথে সাথে জড়ান কন্ঠে বললেন, "এক্ষুনি দিচ্ছি ম্যাডাম।" বলে চোখ চোখ মুছতে মুছতে দ্রুত বেরিয়ে গেলেন।

খাওয়া শেষ করে বের হয়েছি। মহিলা আমার হাত ধরে রেখেছেন। এ সময় গাড়ি থেকে একজন লোক নেমে আসল। আমার সামনে এসে কিছুটা সময় তাকিয়ে রইলেন! লোকটা মনে হয় লুনা আপার বাবা।

লোকটা বলল, "বাবুকে ছাড় সায়লা। ওকে হলে দিয়ে আসতে হবে।"

উনি লোকটার দিকে তাকিয়ে বলল, "বাবুকে হলে দিলা কবে? আমার বাবু হলে থাকবে কেন! ঢাকায় আমার এত বড় বাড়ি। আমি বাবুকে বাড়িতে রাখব।"

"তুমিও বলেছিলে বাবু ওর নিজের মত থাকবে ভুলে গেছ?"

আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে আছি। ওনার চোখের কোনায় জ্বল জমেছে!

লোকটা বলল, "বাবু তো তোমার সাথে দেখা করতে আসবেই! "

"সত্যি আসবি বাবা? এতদিন আসলি না কেন!"

অনেক কষ্টে আমার হাত ছাড়ান হলো। আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। মহিলা কেমন মায়া মায়া চোখে আমার দিকে আছেন। আমার খুব খারাপ লাগছে!

অনেক সময় পরে লোকটা বললেন, "তোমার নাম কী বাবা?"

"আসিফ।"

"তুমি দেখতে অনেকটা বাবুর মত! লুনা যখন তোমার ছবি পাঠাল। আমি প্রথম দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তুমি কিছু মনে করো না বাবা।"

আমি কী বলব বুঝতে পারছি না! এদের কষ্টটা বুঝতে পারছি।

উনি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, "বাবু মারা গেছে আজ চল্লিশ দিন হলো! সায়লা কে সহজে কিছুই খাওয়ান যাচ্ছে না। এতদিন পরে আজ ওর মুখে হাসি দেখলাম। লুনা বলল, আজ নাকি তোমার সাথে খেয়েছে!"

আমি নীরব হয়ে বসে আছি! আমার খুব খারাপ লাগছে!

"তোমার বাসা কোথায় বাবা?"

"যাত্রাবাড়ী। আপনি আমাকে এখানে নামিয়ে দেন আমি চলে যেতে পারবো।"

উনি কিছুতেই আমাকে নামতে দিলেন না। গাড়ি চলছে।

অনেকটা সময় পরে উনি বললেন," তুমি মাঝে মাঝে সায়লাকে একটু সময় দিতে পারবা? তুমি যখন ফ্রি থাকবা আমাকে ফোন করো আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিবো। আমি ভাবতেই পারছিলাম না সায়লাকে কী করে বাঁচিয়ে রাখবো! আল্লাহ তোমাকে পাঠিয়েছেন! "

বাসার সামনে এসে গাড়ি থামল। আমি নীরবে গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। অনেকটা সময় গাড়িটা থেমে থাকল!
😭😭(সংগৃহীত)

18/09/2024

শুধু ধোলাইপার মোড় পার হয়ে হানিফ ফ্লাইওভার এ উঠার মুখে ট্রাফিকে আটকে রাখলো ১:১৫ ঘন্টা 😡
বাংলাদেশ সিভিল ডিফেন্স যদি কাজ করতেই না চায়, ওদের abolish করে দেওয়া দরকার ।সিভিল ডিফেন্স এর কাজ যদি প্রতিরক্ষা বাহিনীকেই করতে হয়, ওদের বসায় বসায় বেতন দেওয়ার দরকার আছে আসলেই?
পুলিশ বাহিনীর সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশ Police Forces Reform Movement BD
জাতীয় নাগরিক কমিটি

17/09/2024
05/09/2024

আজ থেকে ঠিক একমাস আগে, এই সময় সবাই বিদায় নিচ্ছিল প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে। সকালে ছিল লংমার্চ টু ঢাকা। ঠিক একমাস আগের এই রাতে উৎসব হচ্ছিলো গুলশানের কিছু ক্লাবে, কাল তারা লাশের উপর দাঁড়িয়ে স্বৈরাচার আপার শ্লোগান টানবে। আজ থেকে ঠিক একমাস আগে স্ত্রী বিদায় দিচ্ছিলো স্বামীকে । মায়ের পা ছুয়ে রাত তিনটায় কেউ কেউ বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো রাস্তায়। আজ থেকে ঠিক একমাস আগে সারা বাংলাদেশ কতিপয় কুলাঙ্গার ব্যতীত, শপথ নিচ্ছিলো মৃত্যু না হয় মুক্তি। আজ থেকে ঠিক একমাস আগে ফজরের আজান ছিলো খুব বিমর্ষ। আজ থেকে ঠিক একমাস আগের রাত ছিলো ৩৬শে জুলাইয়ের রাত। এ রাত ভুলে গেলে আপনি লাশের সাথে বেঈমানী করে ফেলবেন।

কৃতজ্ঞতা: সোলাইমান খান

04/09/2024

© Md Sharif Abu Hayat

১/
১০ বছর আগে হাজ্জিদের বলা হয়েছিলো হজ্জে গিয়ে জালেমের পতনের জন্য দোয়া করো।
সবাই কাবা শরীফ ধরে করেছে। পতন হয় নি।
প্রো-আওয়ামি ইসলামিষ্টরা হেসে আওয়াজ তুললো "শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।"
এর পর একে একে কত জুলুম। কত দোয়া। নড়ে না।
শেষে এই আন্দোলন।
তাও ১ সপ্তাহ পরে মনে হচ্ছে এটাও ফেইলড।
মানুষের ঈমান টাল-মাতাল।
উক্তি,
"আল্লাহ কি দেখেন না?"
"আল্লাহ কি আছেন নাকি?"

২/
মু'মিনদের উপর আল্লাহ তায়ালা বিপদ দিতে থাকেন দিতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত কেবল বিপদ আর কষ্ট।
যে যত মজবুত ঈমানদার তার উপর তত বিপদ।
তবে বিপদের মাঝে থাকতে থাকতে যখন তার ঈমান টলমল করতে থাকে তখন বিজয় দেন যেহেতু সে আর পারছে না।
কিছুক্ষনের জন্য আনন্দ, কিছুক্ষনের জন্য স্বস্তি।
এই বিজয় এখন নাও দিতে পারতেন।
আরো দেরি করতে পারতেন।
আমাদের ঈমানের অবস্থা কি হতো?
এখন এই ১৮ বছর পরে যে স্বস্তি দিলেন এটা রহম। আমাদের পাওনা না।
আসন্ন বিপদগুলোতে এত দ্রুত সাহায্য নাও আসতে পারে।

৩/
সবকিছুর জন্য আল্লাহ তায়ালার উপর সন্তুষ্ট থাকি।
জয় হোক, বারবার পরাজয় হোক।
আনন্দ আসুক, কষ্ট আসুক।
যুদ্ধে প্রতিটা ছোট ছোট কাজ সমাধান করতে হবে।
প্রতিটা ফাক ফোকর বন্ধ করবে।
প্রতিটা পসিবিলিটি ভাববে, সমাধান করবে।
কোনো কাজ "এটা আল্লাহ দেখবেন" বলে উনার উপর ছেড়ে রাখবে না।
এর পর জয় হলে আল্লাহ তা'আলার কাছে এসে মাথা নিচু করে বলবো "আপনি এই বিজয় দিয়েছে। আমাদের কোনো শক্তি ছিলো না।"
পরাজয় হলে মাথা নিচু করে বলবো "আমরা সন্তুষ্ট, আপনি যে ফায়সালাই করেন।"
কারণ সবকিছু উনি করেছেন। উনার ইচ্ছায় হয়েছে।

- এক ভাই থেকে সংগৃহীত এবং ঈষৎ সম্পাদিত।

৪/
বিজয়ের পরে আসে নিজেদের মধ্যে মারামারি।
যারা রাস্তায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ঢিল মেরেছে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া শুরু করেছে।
বন্ধ করেন।
আপনার একটা শব্দও যেন মুসলিম দাবীকারীদের বিরুদ্ধে না যায়।
ভারত আমাদের বড় শত্রু।
দেশের মধ্যে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ব্র্যাক, বাম নামের শয়তানগুলো।
অনুগ্রহ করে আপনাদের এনার্জি শত্রুদের পেছনে দেন, মুসলিম ভাইদের পেছনে না।
আল্লাহ আপনাদের ভালো করুন।

03/09/2024

দুনিয়াতে যে কতো রকম গাধা আছে! এরমধ্যে সবচেয়ে 'হতভাগা গাধা'গুলা হচ্ছে যারা আপনজনদের ভালোবাসাটা বা ভালো চাওয়াটা না বুঝে হুদাই লাফায়ে লাফায়ে উলটা দূরে চলে যায়। 🙄
© মোঃ রফিকুর রহমান

02/09/2024

বান
লেখায়: @শিশির সেন
কেমন একটা ভেজা আর সোঁদা গন্ধ পেয়ে আকবর আলীর ঘুম ভেঙে গেল। গন্ধটা ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ঘুম ভাঙতেই আকবর আলী তড়িঘড়ি করে খাড়া বিছানা থেকে নামতে গেলেন। মাটিতে পা ফেলতেই তাঁর পা গোড়ালি পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেল। ছলাৎ করে উঠলো ঠান্ডা জলের শব্দ৷ আকবর আলী বুঝতে পারলেন পানি বাড়তে বাড়তে এক রাতেই ঘরের মেঝে সমান পানি উঠে গেছে।
চাটির বেড়ার ফাঁক দিয়ে আকবর আলী দেখতে পেলেন ভোরের আলো স্পষ্ট হচ্ছে। ফজরের নামাজের সময় পার হয়ে গেছে হয়তো। মসজিদে পানি উঠায় মুয়াজ্জিন নিশ্চয়ই আজান দিতে পারেনি।
প্রায় সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে বেড়ার ফাঁক দিয়ে সামান্য আলো এসে এক জায়গায় জড়ো হচ্ছে। সেই জমায়েত আলো গিয়ে পড়ছে দেয়ালে টাঙানো আকবর আলীর স্ত্রীর ছবির কাঁচের ফ্রেমটায়। আট বছর আগে এমন এক শ্রাবণের দিনে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।
আকবর আলী আবছা অন্ধকারে বালিশের পাশে বিড়ির প্যাকেটটা খোঁজার জন্য হাতড়াতে লাগলেন। অল্প সময়ের মধ্যে লাইটার আর বিড়ির প্যাকেটটা পেয়েও গেলেন৷ অন্ধকারে হাত দিয়ে অনুমান করলেন মাত্র তিনটা বিড়ি আছে৷ একটা বিড়ি ধরিয়ে লম্বা একটা টান দিয়ে একগাল ধোঁয়া ছাড়লেন।

"আব্বা, আব্বা।" হোসাইন এর চওড়া গলা। "আব্বা ঘরের মইধ্যে পানি ঢুকছে৷"
আকবর আলী তাঁর বড় ছেলের গলার আওয়াজ শুনতে পেলেন। কিন্তু উত্তরে কিছুই বললেন না। বিড়ি টানতে টানতে নীরবে তাঁর স্ত্রীর ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
আব্বার কোন সাড়া না পেয়ে হোসাইন আরো উচ্চ স্বরে ছোট ভাইকে ডাকতে লাগল, "হালিম। তাত্তাড়ি উইঠা আয়। ঘরের মধ্যে পানি ঢুইকা পড়ছে। ওই হালিমের বাচ্চা৷"
হোসাইন এর বিরামহীন উচ্চস্বর, "আব্বা উঠেন। পানি বাইরতে আছে।"

বড় ভাইয়ের ডাক শুনে হালিম চমকে উঠেছে৷ গোরুর ঘরে তার বিছানা। সোলার এর বাতি জ্বালিয়ে দেখতে পেল ঘরের মেঝেতে পানি। গোরুগুলো ডাকতেই আছে অবিরাম৷ সাথে ছাগলছানাগুলোর ছোটাছুটি। হালিম দ্রুত বিছানা থেকে নামে বাইরে আসল।

অন্ধকার দুরি ভূত হয়ে ভোরের আলোর তীব্রতা বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। বাড়ির আঙিনায় কোমর সমান পানি। আকবর আলীর কোন সাড়া না পেয়ে হোসাইন তার বাবার ঘরের দিকে গেল পানি ঠেলে। আলগা দরজা সামান্য ধাক্কা দিতেই খুলে গেল।
আকবর আলী তখন হাতের বিড়িটা প্রায় শেষ করেছেন। হোসাইন কে আসতে দেখে লম্বা একটা টান দিয়ে বিড়ির বাকি অংশ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললেন, "হোছাইন, পানি বাইড়তে থাকবো। কঠিন বান আসতাছে৷ যেহারে পানি বাড়তাছে, অবস্থা খুব খারাপ হইবো।"
"হ আব্বা৷ এক রাইতেই পানি বাইড়া ঘরে ঢুইকা পড়ছে।" হোসাইন এর ভয়ার্ত গলা।
ঘরের মধ্যেও অন্ধকার কেটে গেছে অনেকটা। ফর্সা হতে শুরু করছে ঘরের ভিতরটা৷ আকবর আলী সময় নিয়ে আরেকটা বিড়ি ধরালেন। তারপর একগাল ধোঁয়া ছেড়ে হোসাইন কে উদ্দেশ্য করে বললেন, "হোছাইন, তুই তাত্তাড়ি ঘাটে যা৷ নৌকা টা নিয়া আয়৷" কিছুক্ষণ থেমে বিড়ির আরেকটা লম্বা টান দিয়ে বললেন, "আর হালিম উঠেনাই? ওরে ক গোরুগুলারে ছাইড়া দিতে৷ ছাগলগুলারে নৌকায় নেওয়া যাইবো।"
"হ আব্বা।" হোসাইন ঘর থেকে বের হতে যাবে এমন সময়ে আকবর আলী আবার থামিয়ে দিয়ে বললেন, "বৌমারে কইস সবসময় আইরিনরে চোক্ষে চোক্ষে রাইখতে৷ যা পানি বাড়তাছে!" এমন সময় মনে মনে কি একটা দৃশ্য ভেবে আকবর আলীর শরীর কাঁপুনি দিয়ে উঠল।

হোসাইন আর না থেমে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে গেল। বের হতেই দেখে বারান্দায় হালিম আঙিনার দিকে তাকিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
"হালিম, গোরুগুলারে ছাইড়া দে যা। আমি ঘাটে যাইয়া নৌকাটা নিয়া আহি। ছাগলগুলারে নৌকায় তুলতে হইবো। আর দরকারি কি আছে সব পলিথিনে বাঁইধা রাইখা দে। তোর বইখাতাগুলা ভালো কইরা বাঁন্ধিস।"
হালিম নিরস কণ্ঠে বলল, "আচ্ছা ভাইজান।"
হোসাইন এক মুহূর্ত থেমে আবার বলল, "আর তোর ভাবি আর আইরিনরে দেইখা রাখিস।"
কথা শেষ করে হোসাইন বেরিয়ে পড়লো বাড়ি থেকে৷ তাদের বাড়ি থেকে নদী হেঁটে হেঁটে প্রায় দশ মিনিটের রাস্তা। কিন্তু যে পরিমাণে পানি বেড়েছে, হোসাইন বুঝতে পারল সাঁতরে ছাড়া যাওয়ার উপায় নেই। পড়নের লুঙ্গিটা তাই সে ভালো করে বেঁধে সাঁতরে নদীর রাস্তা ধরলো।

রোকেয়া তখন থেকে শুকনা খাবারগুলো পলিথিনে বেঁধে রাখছে৷ দুটো পলিথিনে কেজি পাঁচেক মুড়ি আর একটা পলিথিনে দুই কেজি চিড়া বেঁধে রেখেছে। হঠাৎ তার মনে পড়ল, পরিস্কার পানি নিতে সে একদম ভুলে গেছে। টিউবওয়েল টাও ডুবে গেছে। মনে মনে কিছুটা ভয় জমাট বাঁধলো তার মনে। সে জানে, বন্যার সময় পরিস্কার পানির অভাব কতটা! আর আইরিনের বাবা জানলে যে গালাগালি করবে এও সে বুঝতে পারছে।
তাদের ঘরটা সামান্য নিচু৷ তাই হাঁটু সমান পানি উঠে গেছে ইতোমধ্যে। আর এক ফুট পানি উঠলে বিছানা ডুবে যাবে। বিছানায় চার বছরের আইরিন চুপ করে দেখে আছে পানির ক্ষীণ স্রোতের দিকে। তার চোখেমুখে একরাশ বিস্ময় আর সাথে বেশখানিকটা ভয় ফুটে উঠেছে। সে একবার পানির দিকে আরেকবার তার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। রোকেয়া কাজের ফাঁকে প্রতি মুহূর্তে মেয়ে আইরিনের দিকে তাকিয়ে অভয়ের ইশারা দিচ্ছে।

হালিম দ্রুতগতিতে গোয়ালঘরে গিয়ে একে একে তিনটা গোরুর দড়িগুলো খুলে দিল। একটা লাঠি নিয়ে ঘরথেকে বের করে দিল গোরু তিনটিকে। তারপর ছাগলগুলো নিজের বিছানার উপর তুলে রাখল এক এক করে। হালিম এতো কঠিন সময়ের মুখোমুখি আগে হয়নি। তার মনে আছে, এর আগের বার যখন বন্যা হলো তখন সে স্কুলে ভর্তি হয়েছে কেবল। এখন সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আট বছর আগে সে বন্যায় তাদের নদীর ধারের ঘরটা ভেঙে নদীতে ভেসে গিয়েছিল। সে সময়কার তার অসুস্থ মায়ের ঘোলাটে একটা অবয়ব হালিমের মাথায় ঘুরে সবসময়। সে সময়েই সে অনুভব করেছিল, বন্যা জিনিসটা বড্ড কঠিন।

আকবর আলী বিড়িটা লম্বা সময় ধরে শেষ করে ঘর থেকে বের হলেন। ঘরে ততোক্ষণে হাঁটু সমান পানি উঠে গেছে। আঙিনায় কোমর সমান হবে। এখন বৃষ্টি হচ্ছেনা। তবে মেঘে ছেয়ে আছে পুরো আকাশ। আকবর আলী অনুমান করতে পারলেন, কি হতে চলেছে।
আকবর আলী কোমরে লুঙ্গিটা ভালো করে বেঁধে নিলেন। বিড়ির প্যাকেটটা আর লাইটার কোমরে গুঁজে নিলেন শক্ত করে। গোরুগুলো গেটের উঁচু জায়গাটায় ফ্যাকাসে হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আকবর আলী একটা লাঠি নিয়ে গোরু তিনটিকে স্কুল ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পানি ঠেলে বের হয়ে গেলেন।

হোসাইন নৌকা নিয়ে এলো প্রায় ঘন্টাখানেক পর৷ ততোক্ষণে পানি বেড়েছে আরো কয়েক ফুট। বৃষ্টিও পড়ছে মুষলধারে। প্রথমে সে নৌকাটা বারান্দার একটা বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে নিজের ঘরে ঢুকলো।
রোকেয়া আইরিনকে কোলে নিয়ে তখন বিছানার উপর দাঁড়িয়ে কাপড়চোপড় গুলো গুছিয়ে একটা ব্যাগে ঢুকাচ্ছে। এর মধ্যে হালিম বেশ কয়েকবার এসে তাদের খবর নিয়ে গেছে।
"আব্বা, আব্বা।" আইরিনের তীক্ষ্ণ গলার স্বর শুনে রোকেয়া তাকাল তার স্বামীর দিকে।
হোসাইন ভিজে শরীর নিয়ে এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ভারী কণ্ঠে বলল, "রোকেয়া, নৌকা নিয়া আইছি। তুই আইরিনরে নিয়া নৌকায় উঠ। আমি বস্তাগুলারে তুইলা দিচ্ছি নৌকায়৷"
"আমি নিয়া যাচ্ছি বস্তাগুলারে৷ আপনে হালিমরে সাহায্য করেন। ছেলেটা একা একা তখন থেইকা যে কি করতাছে।"
হোসাইন এবার কিছুটা রাগী স্বরে বলে উঠল, "তুই আইরিনরে নিয়া নৌকায় উঠ কইছি নাহ৷ আমি দেখতাছি এইদিক।"
রোকেয়া আর কথা বাড়াল না৷ আইরিনকে কোলে নিয়ে নৌকায় গিয়ে বসল।

হালিম বইয়ের বস্তাটা নৌকার একদিকে এনে রেখেছে। তারপর এক এক করে ছাগল ছানা গুলো নৌকার আরেকদিকে তুলছে। ছেলেটা ভীষণ ব্যস্ত।
হোসাইন ওদিকের সব কাজ শেষ করে হালিমকে সাহায্য করলো সব ঠিকমতো করতে। বৃষ্টি যেন ক্রমেই বাড়ছে। সাথে তাল মিলিয়ে পানিও বাড়ছে ইঞ্চি হারে৷

মাঝারি আকারের নৌকাটা ভর্তি হয়ে গেছে দরকারি সব জিনিসপত্র দিয়ে। বাড়ি থেকে স্কুলঘরটার দূরত্ব এক কিমির বেশি হবে। বৃষ্টি এখন থেমেছে। মেঘের আড়াল থেকে সূর্যটা একমুহূর্তের জন্য পূব আকাশে দেখা মিলে। পরক্ষণেই আবার হারিয়ে যায় কালো দৈত্যের মতো মেঘের ওপাশে।
আকবর আলী ফিরেছেন কিছুক্ষণ আগে। বৈঠা হাতে নিয়ে নৌকার একপাশে বসেছেন তিনি। মাঝখানে রোকেয়া আইরিনকে কোলে নিয়ে বসে আছে, আর হালিম ছাগলছানাগুলো দেখে রাখছে। হোসাইন নৌকাটা বের করতে তখন ব্যস্ত। নৌকায় উঠেনি সে তখনো।
এমন সময়ে আকবর আলী হঠাৎ বলে উঠলেম, "হোছাইন দাঁড়া। একখান জিনিস নিবার ভুইলা গেছি। নিয়া আহি।" কথা শেষ করেই আকবর আলী পানিতে নেমে পড়লেন।

আঙিনায় এতোক্ষণে মাথা সমান পানি উঠে গেছে। সাঁতরে ছাড়া ঘরের দিকে যাওয়া যায়না। আকবর আলী সাঁতারে ভীষণ পটু৷ খুব তাড়াতাড়িই বারান্দায় পৌঁছে গেলেন সাঁতরে।
নিজের ঘরে ঢুকে সরাসরি তাঁর স্ত্রীর ছবিটার দিকে তাকালেন। এখনো তাতে পানি স্পর্শ করেনি। আকবর আলীর আট বছর আগে সে দিনটার কথা খুব মনে পড়ছে। সেবারও হঠাৎ করে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো। পানি বাড়তে বাড়তে কয়েক ঘন্টায় বাড়িঘর সব ডুবে যেতে শুরু করলো। ঘরের মধ্যে অসুস্থ স্ত্রী। আকবর আলীর নিজের কোন নৌকা নেই তখন। চারদিকে নৌকার অনেক খোঁজ করলেন। কিন্তু পেলেন না কোন নৌকা। আর দুই একটা নৌকা পেলেও যে পরিমাণ দাম হাঁকাল, তা দেবার সামর্থ নেই আকবর আলীর। হোসাইন তখন শহরে থাকে। শেষে সন্ধ্যার সময় যখন ঘরে গেলেন, আকবর আলী দেখে ঘরের মধ্যে প্রায় বিছানা সমান পানি। বিছানায় তাঁর অসুস্থ স্ত্রী আর ছয় বছরের হালিম। অসুস্থ শরীরে তাঁর স্ত্রীর হাঁটতে খুবই কষ্ট হয়। পানির মধ্যে তা অসম্ভবই প্রায়৷ আকবর আলী প্রথমে ছেলে আর স্ত্রীকে একসাথে আশ্রয়কেন্দ্রের ওই স্কুলঘরটায় নিয়ে যেতে চাইলেও পারলেন না। পরে স্ত্রীর অনুরোধে প্রথমে ছেলেকে রাখতে গেলেন। তারপর মিনিট বিশেক পর যখন ছেলেকে পৌঁছে দিয়ে স্ত্রীকে নিতে গেলেন, তখন বুঝতে পারলেন পানি খুব বেশি পরিমাণে বাড়ছে। কোথা থেকে এক খবর ভেসে আসলো যে কোন বাঁধ নাকি ভেঙে গেছে। পানি কয়েক মিনিটে কয়েক ফুট বেড়ে গেল। পানির স্রোত যেন রাক্ষসীর চুলের ভয়ার্ত রূপে বইতে লাগল। সেই স্রোত ঠেলে তিনি যখন বাড়ির কাছে গেলেন প্রায় আধা ঘন্টা পর, কুঠেঘরটা তখন নেই। পানির তীব্র স্রোতে নড়বড়ে ঘরটা ভেসে গেছে। কত খোঁজাখুঁজি করলেন তিনি তাঁর স্ত্রীকে, কিন্তু পেলেন না। আকবর আলী হারিয়ে ফেললেন চিরতরে স্ত্রীকে।

আকবর আলী তাঁর স্ত্রীর ছবিটা নিয়ে নৌকায় ফিরে এলেন আবার। নৌকায় উঠে একদিকে ছবিটা ঠিকমতো রেখে কোমর থেকে লুঙ্গির ভাজ খুলে বিড়ির প্যাকেটটা বের করলেন। পলিথিনে মোড়া ছিল বলে তা ভিজেনি। বিড়িটা ধরিয়ে একগাল ধোঁয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে ছাড়লেন তিনি। তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীর ছবিটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন। এক বন্যায় তিনি স্ত্রীকে পানির অতলে হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি আরেকবার হারাতে চান না।

বৃষ্টি শুরু হয়েছে আবার। বিড়িটা নিভে যায়নি এখনো। আকবর আলী বৃষ্টির মধ্যে ধোঁয়া উড়িয়ে নৌকার বৈঠা বইতে লাগলেন।

-- বান
লেখায়: শিশির সেন

31/08/2024

চিকিৎসকবৃন্দ দের অনুরোধ করছি, চিকিৎসকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রচন্ড মারধর করছে।
আপনারা ঢাকায় যে যেখানে আছেন ডিএমসিএইচ এ আসেন।

দ্রুত।

Post টা শেয়ার করুন।
সকল চিকিৎসক ডিএমসিএইচ এ যান।

©নিরুপম দাশ

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Murshida Yeasmin Lima posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category