https://www.facebook.com/472391582626120/

Dr. Gulshana, Lalmatia, Dhaka (2025)

06/03/2025

‼️রাগের মাথায় বাচ্চার গায়ে হাত তুলছেন? জানেন কি বাচ্চার গায়ে হাত তুললে কি হয়?‼️

🛑বাচ্চা আপনার মারের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। আপনি এর পরে মেরেও তাকে কথা শোনাতে পারবেন না।

🛑আপনার বাচ্চা একসময় নিজে রেগে গেলেও মারতে উদ্ধত হবে। এমন কি আপনার সাথেও এরকম হতে পারে।

🛑আপনার সাথে বাচ্চার কানেকশন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। সে আপনার সাথে কখনোই কিছু শেয়ার করতে চাইবে না।

🛑আপনার বাচ্চা মিথ্যা বলা শুরু করবে।

🛑ভবিষ্যতে তার দাম্পত্য জীবনেও এটা প্রয়োগ করবে। ফলে তার রিলেশনশিপে নানান সমস্যার সম্মুক্ষিন হবে।

জেন্টাল পেরেন্টিং সম্পর্কে জানুন। শিশুর সাথে কানেকশন তৈরী করুন। আপনি নিজেকে তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু বানান। দেখবেন সবকিছু অনেক সহজ হয়ে গেছে

05/03/2025

ঘুমের অন্তত ১ ঘন্টা আগে থেকে বাচ্চাকে কোন ধরনের স্ক্রিনটাইম দিবেন না। টিভি মোবাইল কিছুই না। গবেষনায় বলে ঘুমের আগের ১ ঘন্টার স্ক্রিনটাইম মেলাটনিন হরমোন নিঃসরণ ৫০% কমিয়ে দেয় যা বাচ্চার ঘুম বিলম্বিত করে এবং নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ

24/02/2025

🕋গত বছর রোজায় ১৮ মাসের বাচ্চাকে নিয়ে উমরা 🕋

রোজার প্রথম সপ্তাহে আমরা সৌদি আরবে গিয়েছিলাম উমরার উদ্দেশ্যে। আর্দার বয়স তখন ১৮ মাস। তাওয়াফ, সা'ঈ এবং নামাজের সময় ওকে তরমুজ আর আঙ্গুর দিয়ে ব্যস্ত রেখেছিলাম। দিনের বেলায় গরম থাকে তাই বাচ্চাকে পাতলা জামা পরাতাম। ফজরের সময় আবার ঠান্ডা পড়তো, তখন আর্দার একটা কাথা সাথে নিতাম। আর্দা একদমি বিরক্ত করেনি আল্লাহর রহমতে। সে সবাইকে দেখাদেখি নিজেও সিজদাহ দিতো মাশাআল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব সহজ করে দিয়েছেন।

এয়ারপোর্ট সহ সব জায়গায় আমাদের কোন লাইনে দাড়াতে হয়নি ।আর্দার জন্য আমরা এই সুবিধা গুলো পেয়েছি। ওখানে সবাই বাচ্চাদের প্রতি আন্তরিক। আমার বাচ্চাকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজ্বীগণও অনেক স্নেহ করেছেন। মদিনাতে একদিন তাহাজ্জত নামাজের সময় আর্দা কান্না শুরু করেছিল, আমি তখন নামাজে ছিলাম। একজন তুর্কি মহিলা আর্দাকে আদর করে কান্না থানানোর চেষ্টা করেছিলেন।

এই পোস্টটি তাদের জন্য যারা উমরা করতে চাচ্ছেন কিন্তু ছোট বাচ্চা নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বিশ্বাস করেন, বাচ্চারা বড়দের থেকেও তাড়াতাড়ি সবকিছুর সাথে খাপখাওয়ানোর ক্ষমতা রাখে। বিভিন্ন পরিবেশে নিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে তাদের বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা বাড়ায়, সামাজিক দক্ষতা বাড়ায়, আত্নবিশ্বাস বাড়ায়, ভাষা এবং যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়ায়।

(আল্লাহুম্মাহ বারীক)

22/02/2025

🛑 বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে আমাদের সমাজে মায়েদের অনেক খাবারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয়। সেরকম প্রচলিত কিছু ভুল ধারনা এবং সঠিক তথ্য 🛑

❌বাচ্চাক পাতলা পায়খানা হলে মায়ের সমস্ত খাবার বন্ধ করে শুধু জাউ ভাত আর কাঁচা কলা খাওয়ানো হয়।
✅ মায়ের পরিপাকতন্ত্র আর বাচ্চার পরিপাকতন্ত্রের সাথে সংযুক্ত নয়। বুকের দুধ তৈরী হয় মায়ের রক্ত থেকে। বাচ্চার পাতলা পায়খানায় মায়ের কোন খাবার বন্ধ করতে হবে না। বাচ্চার বয়স ৬মাসের বেশী হলে বাচ্চাকে জাউ ভাত আর কাঁচা কলা দিতে পারবেন।

❌বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের চা/কফি খাওয়া যাবে না।
✅ বাচ্চা বুকের দুধ খেলে প্রতিদিন ১-২ কাপ চা/কফি ইচ্ছা হলে খেতে পারবে। সেক্ষেত্রে বাচ্চার কোন অসুবিধা হবে না।

❌সিম, ফুলকপি, বাধাকপি এসব খাবার খেলে বাচ্চার গ্যাসের সমস্যা হয়।
✅ বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে, মায়ের এসকল খাবারে শিশুর কোন সমস্যা হয় না।

❌বাচ্চা বুকের দুধ খেলে মাকে গরুর দুধ বা গরুর দুধ দিয়ে বানানো খাবার খাওয়ালে বাচ্চার গ্যাস হয়।
✅ গরুর দুধে মায়ের যদি অ্যালার্জি না থাকে, মায়ের গরুর দুধ খাওয়ায় কোন অসুবিধা নেই। বরং যেকোন তরল জাতীয় খাবার মাকে খাওয়ালে মিল্ক ফ্লো বাড়ে।

❌মায়ের spicy / ঝাল জাতীয় খাবারে বাচ্চার পেটে সমস্যা হয়
✅ মায়ের Spicy খাবারের সাথে বাচ্চার পেটের সমস্যার সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি।

এসব ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আসুন এবং ব্রেস্টফিডিং মায়েদের প্রতি সদয় আচরন করুন 😊

#পারেন্টিং_টিপস #শিশু_স্বাস্থ্য #পেডিয়াট্রিক্স

20/02/2025

🌟শিশুদের Pretend play বা মিছেমিছি খেলার গুরুত্ব🌟

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স অনুযায়ী, কল্পনা খেলা শিশুদের মানসিক, সামাজিক এবং আবেগীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

🌟Pretend play বা মিছেনিছি খেলা হলো শিশুরা কল্পনা করে বিভিন্ন পরিস্থিতি, চরিত্র বা ভূমিকা পালন করে। যেমন, মিছেমিছি রান্না করা, ডাক্তার-রোগী খেলা, মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে খেলা যেমন, পুতুলকে খাইয়ে দেয়া, পুতুলকে ঘুম পাড়ানো ইত্যাদি।

🌟এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

মানসিক উন্নতি: স্মৃতি, সমস্যা সমাধান এবং চিন্তা শক্তি বাড়ায়।

সামাজিক দক্ষতা: একে অপরকে বুঝতে শেখে, সহানুভূতি তৈরি হয়।

আবেগীয় উন্নতি: নিজস্ব অনুভূতি বুঝতে ও অন্যদের অনুভূতি উপলব্ধি করতে সহায়ক।

🧸 কীভাবে উৎসাহিত করবেন?

খেলনা, সাজসজ্জা বা দৈনন্দিন ব্যবহারিক জিনিসপত্র দিয়ে খেলতে দিন।

আপনি নিজে খেলায় অংশ নিন এবং তাদের কল্পনাকে সমর্থন করুন।

কল্পনা খেলা শুধু মজা নয়, এটি শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান! 🌱

(ছবিতে আমার মেয়ে আর্দা মারীয়াম খান)

#পেডিয়াট্রিক্স #শিশু_উন্নয়ন #পারেন্টিং_টিপস #বাংলাদেশ #শিশু_স্বাস্থ্য

18/02/2025

🛑শিশুর কলিক: কি, কেন, এবং কীভাবে মোকাবেলা করবেন?🛑

📣৩ মাস বয়সের কম বাচ্চাদের বাবা মায়েরা প্রায়ই কমপ্লেইন করেন বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে। অতিরিক্ত কান্নাকাটির অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে শিশুর কলিক। এটি স্বাধারনত জন্মের পর ২-৩ সপ্তাহের ভিতর শুরু হয়, বাচ্চার বয়স যখন ৬ সপ্তাহ তখন মাত্রা সবচেয়ে বেশী হয় তারপর আস্তে আস্তে ৩-৪ মাসের ভিতর পুরোপুরি কমে যায় । কলিক সাধারণত রাতে বৃদ্ধি পায় এবং শিশুর পেটের অস্বস্তির কারণে হয়।

📣কলিকের লক্ষণ:

- প্রতিদিন ৩ ঘণ্টার বেশি এবং সপ্তাহে ৩ দিনের বেশি কান্না করা
- স্বাধারনত খাওয়ার পর বেশী হয় এবং পেট ফেপে থাকে
(তবে কলিক বেবীরা একটিভ থাকে, দুধ ঠিকমত খায় এবং তাদের ওজন ও স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়)

📣 কলিকের কারণ: এটির সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে কিছু কারণ থাকতে পারে:

- শিশুর অপরিপক্ক পরিপাকতন্ত্র
- শিশুরা দুধ খাওয়ার সময় বাতাস ও পেটে চলে যায়, ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। যেহেতু এই বয়সের শিশুরা নিজে নিজে উপুড় হতে পারে না তাই গ্যাস বের ও করতে পারেনা।

📣 কীভাবে সাহায্য করতে পারেন?

✅বার্পিং করাঃ বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানের মাঝে এবং অবশ্যই পরে উচু করে কোলে নিয়ে বার্পিং করাবেন এবং ঢেকুর তোলাবেন।

✅ টামি টাইমঃ বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে উপুড় করে কিছুক্ষন শুয়িয়ে রাখবেন।

✅ পেটে মালিশ করাঃ লোশন / নারিকেল তেল/ বেবী ওয়েল দিয়ে পেটে উপর থেকে নিচে এবং বাম থেকে ডানে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করবেন। বাচ্চার হাটু ভাজ করে পেটের সাথে লাগাবেন।

✅ বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দোলান বা হাটাহাটি করবেন।

✅ শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন: অতিরিক্ত শব্দ বা আলো থেকে শিশুকে দূরে রাখুন, এবং তাকে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দিন।

✅ ধৈর্য ধারণ করুন: কলিক সাধারণত নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। তবে যদি আপনি মনে করেন যে শিশুর কান্না অস্বাভাবিক বা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, অথবা যদি তার অন্য কোনো সমস্যা মনে হয় তবে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

❌❌❌ কলিক বেবীদের কান্না মায়ের জন্য মানসিক চাপ সৃস্টি করে। বাচ্চার কান্না শুনে অনেকেই অনেক ধরনের উপদেশ দিতে আসে যেমন, দুধ আসছে না, কৌটার দুধ খাওয়াও, মায়ের অমুক খাওয়া বন্ধ করো, তমুক খাওয়া বন্ধ করো ইত্যাদি। এসব করে মায়ের মানসিক চাপ আর বাড়াতে যাবেন না। এসব ভুল ধারনা। বাচ্চা দুধ খেলে মায়ের কিছু বেছে খেতে হবে না। সব খেতে পারবে তবে বাইরে রাস্তার পাশের খোলা আনহাইজেনিক খাবার বাদে।

#শিশু_স্বাস্থ্য #কলিক #ডাক্তার #শিশুর_কলিক #পেডিয়াট্রিক_সহায়তা

17/02/2025

🛑 বাচ্চার খাবারের সাথে বাচ্চার আচরনের কি কোন সম্পৃক্ততা আছে? 🛑

অবশ্যই আছে। কিছু খাবার শিশুর আচরনের উপর মারাত্তক প্রভাব ফেলে। যদি আপনার বাচ্চা অতিরিক্ত ট্যানট্রাম, অতিরিক্ত জিদ, হাইপার একটিভিটি, ধংসাত্তক আচরন দেখায় তাহলে বাচ্চার খাবারের দিকে ও নজর দিন। যে খাবার গুলো শিশুর এ ধরনের আচরন গুলোকে প্রভাবিত করেঃ

❌ অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবারঃ শিশুর হাইপার একটিভিটি, পড়াশোনায় অমনোযোগ এবং ট্যানট্রাম বাড়ায়। প্রসেসড খাবার গুলোতে চিনির পরিমান অনেক বেশী থাকে। জুস, চকলেট, ক্যান্ডি, আইসক্রিম, কোক (কার্বনেটেড বেভারেজ), সস, বিসকিটস ইত্যাদি।

❌ আর্টিফিসিয়াল কালারযুক্ত খাবারঃ বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে শিশুদের যে খাবার গুলোতে নানার রকম রং ব্যবহার করা হয় তা সরাসরি হাইপার অ্যাকটিভিটি এবং অন্যান্য আচরন গত সমস্যার সাথে সম্পৃক্ত। যেমন, ক্যান্ডি, ললিপপ, হাওয়াই মিঠাই ইত্যাদি।

❌সোডিয়াম বেনজয়েডঃ এটা একটি প্রিজারভেটিভ। যা কোক, চিপস, ফ্রুটজুস ইত্যাদিতে থাকে। এগুলোও আচরনগত সমস্যা তৈরী করে।

❌ ক্যাফেইনঃ ক্যাফেইন খুব অল্প পরিমানে খেলেও তা শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এবং ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। যেমন, চা, কফি, চকলেট, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি।

❌হাইলি প্রসেসড খাবারঃ সসেজ, হট ডগ, ফ্রোজেন পিৎজা, ক্রকার্স, চিপস, প্যাকেটজাত কেক, কুকিজ ইত্যাদি।

এই খাবার গুলো যে শুধু শিশুর আচরনগত সমস্যাই করে তাই না। শিশুর স্বাভাবিক খাবারের চাহিদাও নস্ট করে দেয় ফলে শিশুদের পুস্টির ঘাটতিও দেখা দেয়।

13/02/2025

🛑 নবজাতকের জন্ডিস কি সবসময় সূর্যের আলোতেই ভালো হয়? 🛑

আমার পোস্টিং তখন উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে। আউটডোরে একজন মা আসলেন ৩৫ দিনের এক শিশুকে নিয়ে। শিশুটির জন্মের কয়েকদিনের ভিতর জন্ডিস হয়েছে কিন্তু বয়স ৩৫ দিন হয়ে গেলো তাও জন্ডিস ভালো হচ্ছেনা। কিছু পরীক্ষা করতে দিলাম। রিপোর্ট হাতে পায়ে দেখি বাচ্চার হাইপো থাইরয়ডিজম (জন্মগত ভাবে থাইরয়েড হরমোন অস্বাভাবিক রকম কম)।Tab. Thyroxine দিয়ে ফলোআপে আসতে বললাম ২ সপ্তাহ পর। শিশুর জন্ডিস কমে গেছে।

নবজাতকের জন্ডিস হলেই সবাই মনে করে বাচ্চাকে রোদে রাখলেই জন্ডিস ভালো হবে। অনেকে ঝাড়ফুঁক ও দেয়ায়।
নবজাতকের জন্ডিসের অনেক কারন আছে, স্বাধারন (physiological) জন্ডিস ছাড়াও থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, শিশুর রক্ত কণিকা ভেংগে যাওয়া, ইনফেকশন, জন্মগতভাবে পিত্তনালি ঠিকমত তৈরী না হওয়া, যকৃতে জন্মগত সমস্যা, জন্মগত বিভিন্ন এনজাইমের ঘাটতি ইত্যাদির করনে জন্ডিস হতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা প্রয়োজন।

জন্ডিস দেখা দিলে শিশু বিশেষজ্ঞ / নবজাতক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া এবং জন্ডিসের মাত্রা নির্ণয় করা জরুরী। মাত্রা বেশী হলে শিশুকে ফটোথেরাপী (আলোর ভিতরে রাখা) এবং আরও কিছু চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। মনে রাখবেন সব জন্ডিস সূর্যের আলোয় ভালো হয় না এবং জন্ডিসের মাত্রা বেশী থাকা সত্তেও চিকিৎসা না নিলে বিলিরুবিন ব্রেইনে জমা হয়ে শিশুর পরবর্তিতে প্রতিবন্ধি হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

30/01/2025

🛑 নবজাতক পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?🛑

১) দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৬-৮ বার প্রসাব করলে

২) বাচ্চার ঠিকমত ওজন বাড়লে (প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ গ্রাম/ সপ্তাহে ২০০ গ্রাম ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক)

এই দুইটা পয়েন্ট ঠিক থাকলে বুঝবেন বাচ্চা পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে।

অনেক মায়েদের কমপ্লেইন থাকে বাচ্চা ঠিকমত দুধ পায় না।
যখন জিজ্ঞাসা করি, “প্রসাব কেমন করে?”
উত্তর দেয় “অনেকবার”
“তাহলে কেন মনে হলো দুধ পায় না?”
“কান্নাকাটি করে, তাই কৌটার দুধ দিসি”

কন্নাকাটি করলেই কৌটার দুধ দিতে হবে না। নবজাতক শুধু মাত্র খাওয়ার জন্যই কান্নাকাটি করেনা। কান্নাকাটির কারন নিয়ে আরেকদিন লিখবো ইনশাল্লাহ।

29/01/2025

🛑৬ মাসের পর শিশুর সঠিক সলিড খাবার নির্বাচন🛑

আমাদের দেশে শিশুরা ৬ মাসে সলিড শুরু করলে তাদের প্রধান খাবার সুজি! অনেকে বাচ্চা বুকের দুধ পায়না অজুহাতে ৪-৫ মাসেই সুজি খাওয়ানো শুরু করে।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে সুজিতে শর্করা ছাড়া আর কোন পুস্টি উপাদান নেই! সুজিতে ফাইটেটস থাকে যা আয়রনের হজম ব্যাহত করে। গবেষনায় বলে আপনি যদি দিনে ৩ বেলা বা তার অধিক বার সুজি দেন, শিশুর আয়রনের ঘাটতি এবং অপুস্টি হয়।

আয়রনের ঘাটতি হলে বাচ্চাদের খাওয়ার রুচি চলে যায়। ফলে বাচ্চার মায়েদের কমপ্লেইন বাচ্চা কিছুই খায়না। অন্যদিকে প্রোটিনের ঘাটতি হওয়ায় শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শিশুর বিভিন্ন রকম ইনফেকশন যেমন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। শিশুর ঠিমমত ওজন বাড়েনা।

শিশুকে ৬ মাস বয়স থেকে যে বাড়তি খাবার দিবেন তা সুষম খাবার যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মানে সেখানে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেলস থাকতে হবে।
শর্করার উৎস : ভাত, রুটি, আলু
প্রোটিনের উৎস : ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ ইত্যাদি
ফ্যাটের উৎস: ডিমের কুসুম, ঘি, তেল, বাটার, পনির ইত্যাদি
ভিটামিনের উৎস: শাক সবজি ও ফলমূল
মিনারেলস এর উৎস: দুধ ও দুধের তৈরী খাবার, বাদাম, শাক শবজি, ফলমূল ইত্যাদি

আপনার শিশু যদি ভাত খেতে না চায় রুটি / আলু দিতে পারেন। ডিম না খেলে অন্য প্রেটিন দিতে পারেন। কিন্তু তার খাবারে সব ধরনের উপকরন থাকা জরুরী স্বাভাবিক বিকাশের জন্য।

29/01/2025

🛑 Pica কি? Pica এর সাথে আয়রনের ঘাটতির সম্পর্ক

📣Pica (পিকা) কি?
২ বছর পর্যন্ত শিশুদের খাবার ছাড়াও বিভিন্ন জিনিস মুখে দেয়ার প্রবনতা স্বাভাবিক ডেভেলপমেন্ট এর অংশ। তবে শিশুর যদি খাবারে অনিহা কিন্তু খাবার ছাড়া অন্য জিনিস যেমন, মাটি, রং, দেয়ালের প্লাস্টার, চুন, চক, সাবান, ডিটারজেন্ট, ক্লে, ময়লা, কাগজ, চুল, পাথর অথবা খাবার নয় এরকম যেকোন কিছু খাওয়ার প্রবনতা থাকে এ সমস্যাকে পিকা বলে।

📣Pica (পিকা) শুধুমাত্র শিশুদেরই হয় না, বড়দেরও হতে পারে। অনেক গর্ভবতি মায়েদের লক্ষ্য করলে দেখা যায় তাদের মাটি খাওয়ার প্রবনতা থাকে।

📣শিশুদের পিকার কারণ কী?
পিকার মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরে আয়রনের অভাব। শরীরে জিংকে অভাব হলেও পিকা হতে পারে

📣পিকার ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব
• পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা: মাটি বা প্লাস্টিকজাতীয় জিনিস খেলে হজমজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
• সংক্রমণ: মাটি বা ময়লাযুক্ত জিনিস খাওয়ার ফলে পেটে কৃমি বা অন্যান্য ইনফেকসন হতে পারে।
• শারীরিক বিকাশে বাধা: পিকার কারণে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়।

পিকার চিকিৎসা ও করণীয়
১. আয়রনসমৃদ্ধ খাবার দিন:
শিশুর খাবারের তালিকায় পালং শাক, লাল শাক, কলা, ডিমের কুসুম, লাল মাংস, কলিজা, ডাল, এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল (লেবু, কমলা) যোগ করুন।
২. ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
Pica এর লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব আয়রনের ঘাটতি আছে কিনা। শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
শিশুকে মাটি বা অখাদ্য জিনিস খেতে না দেওয়ার জন্য পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।

22/01/2025

🚫শিশুর ডায়রিয়া হলেই অ্যান্টিবায়োটিক নয়!!🚫

📣বাচ্চার ডায়রিয়া হলে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে বাবা মায়েরা বাচ্চা নিয়ে আসেন। যখন জিজ্ঞাসা করি বাচ্চার পাতলা পায়খানার জন্য কি স্যালাইন বা কোন ঔষধ খাইয়েছেন? তখন বেশীরভাগ বাবা-মায়েরাই একটা ব্যাগ বের করেন যেখানে নানান ধরনের ঔষুধ থাকে যার মধ্যে ২-৩ প্রকার থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। মানে হাসপাতালে আসার আগে ডায়রিয়ার জন্য অলরেডি ২-৩ প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো শুরু করেছেন কিন্তু ডায়রিয়া কমছে না। এসকল অ্যান্টিবায়োটিক সাধারনত বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে কোন রকম প্রেসক্রিপসন ছাড়াই নিয়ে থাকেন।

📣আসলে শিশুদের ডায়রিয়া বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাল। যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের কোন ভূমিকা নেই। বরং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক একদিকে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, অন্যদিকে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকে রেজিস্টেন্ট তৈরী করে।

📣তাই ডায়েরিয়াতে পানিশূন্যতা রোধে শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০-১২ চামচ খাবার স্যালাইন খাওয়ান। ৬ মাসের কম শিশুদের বার বার বুকের দুধ খাওয়ান এবং ৬ মাসের বেশী বয়সী শিশুদের বুকের দুধের পাশাপাশি পাকা কলা, কাচা কলা, জাউ ভাত, মুরগীর মাংস / মাছ /ডিমের সাদা অংশ এসব খাওয়ান। কোন ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Dr. Gulshana

06/03/2025

05/03/2025

24/02/2025

22/02/2025

20/02/2025

18/02/2025

17/02/2025

13/02/2025

30/01/2025

29/01/2025

29/01/2025

22/01/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category