Cupping therapy Hijama

02/10/2025

🩸হিজামা (Cupping Therapy) একটি প্রাকৃতিক ও সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দেহের নির্দিষ্ট পয়েন্টে সাকশন প্রয়োগ করে ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় রক্ত বের করে দেয়। এটি শুধু শরীরের ব্যথাই নয়, বরং স্নায়ুতন্ত্র এবং হরমোনাল সিস্টেমকেও পুনরুজ্জীবিত করে।

✅ হিজামা যেভাবে হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:

🔻 কর্টিসল (Cortisol) হ্রাস করে
অতিরিক্ত কর্টিসল আমাদের স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
হিজামা এই হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মনকে করে শান্ত এবং ভারসাম্যপূর্ণ।
গবেষণায় দেখা গেছে, হিজামার পরপরই শরীরে কর্টিসল লেভেল হ্রাস পায়।

🔺 সেরোটোনিন (Serotonin) বৃদ্ধি করে
এটি "শান্তির হরমোন", যা ঘুম, আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক স্থিরতা এনে দেয়
হিজামা করার পর সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ে, ফলে মন চনমনে ও রিফ্রেশ অনুভব হয়

🔺 এন্ডোরফিন (Endorphins) নিঃসরণ করে
হিজামা প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহায়তা করে
এটি ব্যথা কমায়, প্রশান্তি দেয় এবং মুড ভালো রাখে

🕌 সুন্নাহ অনুযায়ী হিজামার গুরুত্ব:
রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজেও হিজামা করাতেন এবং সাহাবীদের করাতে উৎসাহ দিতেন।
“হিজামার মধ্যে রয়েছে শিফা।”
— (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

তিনি মাথার পেছনের অংশে, ঘাড়ে, ও কাঁধে হিজামা করাতেন।
সেই জায়গাগুলো আজও আধুনিক গবেষণায় স্ট্রেস ও হরমোন রিলিজের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত।

📞 অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে চান?
📍 সার্ভিস লোকেশন: আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
🧕 মহিলা ও 👨 পুরুষ — আলাদা থেরাপিস্ট ও সেশন
📞 যোগাযোগ করুন: 01674889533 (Call / WhatsApp)

29/09/2025

আপনার কি কখনো এমন অনুভব হয়েছে— ঘুম আসে না, অকারণে রাগ লাগে, ছোট ঘটনায় ভেঙে পড়েন? মনে হচ্ছে সবকিছু ঠিক আছে, তবুও মন খারাপ?
হয়তো চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন, ওষুধ পেয়েছেন, কিন্তু শান্তি মেলেনি।
আসলে আমাদের শরীর আর মন আলাদা নয় —
মনের ভারসাম্য শরীরের এক্টিভিটির মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়।

আর এই ভারসাম্য রক্ষা করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। যখন এই হরমোনগুলো ব্যালেন্সে থাকে না, তখনই দেখা দেয় মানসিক চাপ, অবসাদ, ঘুমহীনতা, ক্লান্তি, এবং অকারণে রাগ বা বিষণ্নতা।

হিজামা থেরাপি কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করে?
হিজামা (Cupping Therapy) একটি প্রাকৃতিক ও সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দেহের নির্দিষ্ট পয়েন্টে সাকশন প্রয়োগ করে ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় রক্ত বের করে দেয়। এটি শুধু শরীরের ব্যথাই নয়, বরং স্নায়ুতন্ত্র এবং হরমোনাল সিস্টেমকেও পুনরুজ্জীবিত করে।

📞 অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে চান?
📍 সার্ভিস লোকেশন: আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
🧕 মহিলা ও 👨 পুরুষ — আলাদা থেরাপিস্ট ও সেশন
📞 যোগাযোগ করুন: 01674889533 (Call / WhatsApp)

26/09/2025

সকাল থেকে রাত — যেন ছুটে চলা এক অনন্ত ক্লান্তির পথে। জীবন যেন আরাম নয়, বরং একেকটা মেসেজ, একেকটা ডেডলাইন, একেকটা বোঝার নাম। অফিসে বসের রাগ, সংসারে টানাপোড়েন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পারফেক্ট’ জীবন দেখে নিজের জীবনকে হীন মনে হওয়া, কিংবা দিন শেষে ঘুম না আসা, মাথাব্যথা, অকারণে রাগ হওয়া —

এসব কিছুই যেন আমাদের অজান্তেই মনের ভিতর একটা অশান্তি ও ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে। এই চাপ যখন প্রতিদিন জমে, তখন শরীরেও এর প্রতিফলন দেখা দেয় — যার মূলেই আছে হরমোনাল ইমব্যালান্স।

প্রশ্নঃ এই হরমোনগুলো কী, এবং তারা কীভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে?

উত্তরঃ
1. কর্টিসল (Cortisol) — স্ট্রেস হরমোন

শরীর যখন কোনো চাপ বা ভয়ের মধ্যে পড়ে, তখন কর্টিসল তৈরি হয়।
অতিরিক্ত কর্টিসল:

ঘুম নষ্ট করে,
মাথা গরম করে তোলে,
চিন্তাভাবনায় বিশৃঙ্খলা আনে
দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপ, স্মৃতিভ্রষ্টতা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে

2. সেরোটোনিন (Serotonin) — মুড কন্ট্রোলার হরমোন (হ্যাপি হরমোন)

আমাদের আত্মবিশ্বাস, রিল্যাক্সেশন, ঘুম ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই হরমোন কমে যায়:

তখন বিষণ্নতা, একাকীত্ব, বিরক্তিভাব বেড়ে যায়
সব কিছুতেই খারাপ লাগা তৈরি হয়

3. এন্ডোরফিন (Endorphins) — স্বস্তি ও প্রশান্তির হরমোন।
প্রাকৃতিক পেইনকিলার হিসেবে কাজ করে

যখন শরীর বা মন ক্লান্ত থাকে, তখন এটি প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি।
ব্যায়াম, হাসি, দোয়া, — এসবের মাধ্যমে এটি বাড়ে হরমোনটি কমে গেলে মানুষ সহজে হতাশ, কষ্টক্লিষ্ট বা রেগে যায়।

এই তিনটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে আমরা হয়তো বলি, “আজ মন খারাপ”, “ঘুম আসে না”, “সবকিছুতে রাগ লাগে”, “কিছু ভালো লাগে না” — কিন্তু আসলে সেটি হয় শারীরিক ও মানসিক একটি অদৃশ্য ভারসাম্যহীনতার প্রতিফলন।

এই অবস্থায় শুধু ওষুধ নয়, দরকার প্রাকৃতিক ও হালাল একটি সমাধান, যা শরীর ও মনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে ভিতর থেকে।

👉 আর এখানেই হিজামার গুরুত্ব অপরিসীম।

16/05/2023

আসেন একটু বুঝি
কেন হিজামা নিবেন, সেই কারণটাই খুঁজি 🧐🧐🧐

দেহের ক্ষুদ্রতম হচ্ছে কোষ, অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষের মাধ্যমে আমাদের দেহ গঠিত হয়।

প্রতিটি কোষ সুস্থ মানে আপনি সুস্থ

কোষের সুস্থতার জন্য পুষ্টি (ভিটামিন ও মিনারেলস) দরকার।
বিশুদ্ধ রক্তের মাধ্যমে এই পুষ্টি কোষে সরবরাহিত হয়।
কোষের রক্ত প্রবাহের জন্য অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তনালী থাকে।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস, চলাফেরা, টেনশন, আঘাত লাগা, ভাইরাসের আক্রমণ, অসুস্থতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে কোষ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তনালী গুলোর মধ্যে রক্ত ব্লক হয়ে যায়, যেগুলো স্থবির (stagnant blood) ব্লাড বলে।

যার ফলে ওই সমস্ত রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে ভাল রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, এবং কোষে পুষ্টি প্রবাহিত বাধাগ্রস্ত হয়,
ফলে ধীরে ধীরে কোষ সমূহ মারা যেতে থাকে, এইভাবে যখন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কোষ মারা যায় তখন আমরা অনুভব করি যে আমাদের দেহে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে।

তখন আমরা যাই ডাক্তারের কাছে, এবং বিভিন্ন ঔষধ সেবন করি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সমস্ত ঔষধের নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আরো অনেক ধরনের রোগ তৈরি হয়।

পক্ষান্তরে আমরা যদি নিয়মিত হিজামা গ্রহণের মাধ্যমে ঐ সমস্ত দূষিত রক্ত বের করে ফেলতে পারি তাহলে, কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অনায়াসেই আমাদের কোষসমূহ সুস্থ থাকবে ফলে আমরাও সুস্থ থাকবো, ইনশাআল্লাহ ♥️♥️

এবং এজন্যই হিজামা সকল রোগের জন্যই শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা, যদি সঠিক লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করে নিয়মিত হিজামা নেওয়া হয়।

এখানে খুব সহজেই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যাতে সকল ধরনের মানুষ বুঝতে পারেন।

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করেন আমীন 🤲🤲

22/03/2023