Sunnah Medicare

Sunnah Medicare INTEGRATIVE MEDICAL & HEALTH SERVICES BY B N T E X G L O B A L

শুরু হল আমাদের হোম ট্রিটমেন্ট এপয়েন্টমেন্টে ৫০% পর্যন্ত ছাড়।  (إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ)_____________________________________...
04/09/2025

শুরু হল আমাদের হোম ট্রিটমেন্ট এপয়েন্টমেন্টে ৫০% পর্যন্ত ছাড়। (إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ)
________________________________________________________________
***কি কি থাকছে অফারে?***

**হোম ট্রিটমেন্ট সার্ভিসের মোট প্যাকেজের উপরে ৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট**
**রেগুলার হেলথ চেক-আপ**
**সুদক্ষ থেরাপিস্টের মাধ্যমে রোগীর নিজের বাসায় হিজামা নেয়ার সুবিধা**
_________________________________________________________________
*(শুধুমাত্র হিজামা থেরাপির জন্য)*

=>হিজামা কি?

-হিজামা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক সুন্নতি চিকিৎসা পদ্ধতি যা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (স) নিজে নিয়েছেন এবং উম্মাতের প্রতি নসীহত করে গিয়েছেন।

=> কারা নিতে পারেন হিজামা?

(দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন/যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন)

-যাদের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা, ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা আছে।

-যাদের দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস, প্রেসার এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে।

-যাদের শারীরিক যন্ত্রনায় ঘুম কম হয়।

-দূর্বল লোকদের জন্য; যারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যান।

-স্ত্রী সহবাসে অপূর্ণতা-দূর্বলতা অনুভব করেন।

-যারা প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করেন এবং যারা ধুলাবালিতে কঠোর পরিশ্রম করেন।

-যারা শরীরের ভিতরের জমে থাকা দীর্ঘদিনের বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে চান।

-নানাবিধ অজানা কারণজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।

-সন্তান জন্মদানের শারীরিক অক্ষমতা।

-শ্বসনতন্ত্রের দীর্ঘদিনের জটিলতা।

-অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা।

-অতিরিক্ত মেদ, ওজন সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা।

-স্মরণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যায়।

-বিভিন্ন ধরণের চর্মরোগে।

______________________________

***হিজামা একটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি***

অনেক অমুসলিম সেলিব্রিটিও আছেন যারা হিজামার শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ উপকারিতা বুঝতে পেরে নিজেরাও হিজামা করছেন বা করিয়েছেন এখানে তাদের কিছু নাম তুলে ধরা হল-
• Gwyneth Paltrow (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Jennifer Aniston (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Victoria Beckham (বিশ্ববিখ্যাত ডিজাইনার)
• Michael Phelps (অলিম্পিক সাঁতার তারকা)
• Justin Bieber (বিশ্ববিখ্যাত গায়ক)
• Kim Kardashian West (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Lady Gaga (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
• Dwayne “The Rock” Johnson (বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
____________________________________________________________________

***হিজামা তে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই***

প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন কোন ঔষধ পাবেন না যার কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আর এ কারণেই খেয়াল করে দখবেন COVID সময়কালীন একমাত্র PARACETAMOL গ্রুপের ঔষধ ব্যতীত সকল ঔষধ পারতপক্ষে না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে এই PARACETAMOL যা সবচেয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধ বলে বিবেচিত তাও কিন্তু একটা CHEMICAL SUBSTANCE যা দিনে ৪ গ্রামের উপরে সেবন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাহলে একটু ভালো করে ভেবে দেখুন- নিজের জন্য কিংবা পরিবারের জন্য ভবিষ্যতের রোগের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিবেন নাকি প্রাকৃতিক সুন্নতি চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হবেন যার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই-সিদ্ধান্ত আপনার।

**সর্বোপরি যারা শরীরের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিষাক্ত টক্সিন দূর করে নিজেকে সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে চান এসবের যেকোন ক্ষেত্রেই আপনারা প্রিয় নবীজি (স) এর সুন্নাতি চিকিৎসা হিজামা নিতে পারেন আপনার রোগমুক্তির নিয়তে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমতে প্রথম সেশন থেকেই আশানুরুপ ফল পেতে শুরু করবেন ইন শা আল্লাহ।**
______________________________________________________________________

***হিজামায় রোগমুক্তি সংক্রান্ত কিছু হাদিসের রেফারেন্স***

৩৮৫৯।
بَابٌ فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ الْأَنْمَارِيِّ، - قَالَ: كَثِيرٌ إِنَّهُ حَدَّثَهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَحْتَجِمُ عَلَى هَامَتِهِ، وَبَيْنَ كَتِفَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: مَنْ أَهْرَاقَ مِنْ هَذِهِ الدِّمَاءِ، فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ لَا يَتَدَاوَى بِشَيْءٍ لِشَيْءٍ
صحيح
حدثنا عبد الرحمن بن ابراهيم الدمشقي، وكثير بن عبيد، قالا: حدثنا الوليد، عن ابن ثوبان، عن ابيه، عن ابي كبشة الانماري، - قال: كثير انه حدثه: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يحتجم على هامته، وبين كتفيه وهو يقول: من اهراق من هذه الدماء، فلا يضره ان لا يتداوى بشيء لشيء صحيح
আবূ কাবশাহ আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সিঁথিতে এবং দু’ কাঁধের মধ্যখানে রক্তমোক্ষণ করাতেন। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি এই অঙ্গ থেকে রক্তমোক্ষণ করাবে, সে কোনো রোগের কোনো ঔষধ ব্যবহার না করলেও তার অসুবিধা নেই।
হাদিসের মানঃ সহীহ। ইবনে মাজাহ।

৩৮৬০।
بَابٌ فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ ثَلَاثًا فِي الْأَخْدَعَيْنِ، وَالْكَاهِلِ قَالَ مُعَمَّرٌ: احْتَجَمْتُ فَذَهَبَ عَقْلِي حَتَّى كُنْتُ أُلَقَّنُ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ فِي صَلَاتِي، وَكَانَ احْتَجَمَ عَلَى هَامَتِهِ (قول معمر بن راشد) صحيح
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার ঘাড়ের দু’টি রগে এবং কাঁধে রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। মা’মার (রহঃ) বলেন, একদা আমি রক্তমোক্ষণ করালে আমার স্মৃতি লোপ পেলো, এমন কি সালাতে সূরা ফাতিহা অন্যের সাহয্যে নিয়ে পাঠ করলাম। তিনি তার মাথার মাঝখানে রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করিয়েছিলেন।
হাদীসের মানঃ সহীহ। ইবনু মাজাহ, আহমাদ।

৫২৯৫।
باب الْحِجَامَةِ عَلَى الرَّأْسِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ ابْنَ بُحَيْنَةَ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِلَحْىِ جَمَلٍ مِنْ طَرِيقِ مَكَّةَ، وَهْوَ مُحْرِمٌ، فِي وَسَطِ رَأْسِهِ‏.‏ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي رَأْسِهِ‏.‏
حدثنا اسماعيل، قال حدثني سليمان، عن علقمة، انه سمع عبد الرحمن الاعرج، انه سمع عبد الله ابن بحينة، يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم بلحى جمل من طريق مكة، وهو محرم، في وسط راسه‏.‏ وقال الانصاري اخبرنا هشام بن حسان، حدثنا عكرمة، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم في راسه‏.‏
ঈসমাইল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়না (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাধা অবস্থায় মক্কার “লাহয়ী জামাল” নামক স্থানে তার মাথার মধ্যখানে শিঙ্গা লাগান। আনসারী (রহঃ) হিশাম ইবনু হাসসান (রহঃ) ইকরামার সুত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় শিঙ্গা (হিজামা) লাগান। হাদিসের মানঃ সহিহ , সহীহ বুখারী

৩১/৩৪৭৬:
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنْ كَانَ فِي شَىْءٍ مِمَّا تَدَاوَوْنَ بِهِ خَيْرٌ فَالْحِجَامَةُ ‏"‏
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা যে সকল জিনিস দ্বারা চিকিৎসা করো তার কোনটির মধ্যে উপকার থাকলে তা রক্তমোক্ষণের (হিজামা) মধ্যে আছে। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৩১/৩৪৭৭:
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ كُلُّهُمْ يَقُولُ لِي عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ بِالْحِجَامَةِ ‏"‏
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মিরাজের রাতে আমি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেছিলাম, তাদের সকলে আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি অবশ্যই রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করবেন।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
‏.‏
বর্ণনাকারীঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃহাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৩১/৩৪৭৯:
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ إِلاَّ قَالُوا يَا مُحَمَّدُ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ ‏"‏ ‏.‏
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মিরাজের রাতে আমি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেছি, তারা আমাকে বলেছেন, হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মাতকে রক্তমোক্ষণ (হিজামা) করানোর নির্দেশ দিন।
তাহকীক- সহীহ হাদিস।

**************************************************
কাউন্সেলিং কিংবা অন-কল আপয়েন্টমেন্টের জন্য-
যোগাযোগ করুন: +8801676060877 (এই নম্বরে)
**************************************************
সিরিয়ালের জন্য ফোন করুন-শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার
(সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকা থেকে দুপুর ১২ঃ০০ ঘটিকা)
**************************************************

বি।দ্র। OFFER LIMIT শেষ হওয়ার আগেই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে (FIRST BOOK, FIRST SERVE BASIS)
.............................................................

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা অবশ্যই সকল বিচারকদেরও বিচারক, একমাত্র ন্যায় বিচারক ও সকল জুলুম-অপরাধের কঠিন থেকে কঠিনতম...
03/09/2025

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা অবশ্যই সকল বিচারকদেরও বিচারক, একমাত্র ন্যায় বিচারক ও সকল জুলুম-অপরাধের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তিদাতা (আল কাহহার)।

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ — صلى الله عليه وسلم -: « وَمِنْ قُتِلَ عَمْدًا فَهُوَ قَوَدٌ، وَمَنْ حَالَ دُونَهُ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ»
রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে কিসাস (প্রতিশোধের বিধান) কায়িম করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে (সুপারিশ বা অন্য উপায় দ্বারা) তার উপরে আল্লাহর লানত (অভিশাপ) বর্ষিত হবে।
(আবূ দাউদ ৪৫৪০, ৪৫৯১ নাসায়ী ৪৭৮৯, ৪৭৯০, বুলুগুল মারাম ১১৭১, মান: সহিহ)

اَلشَّهۡرُ الۡحَرَامُ بِالشَّهۡرِ الۡحَرَامِ وَ الۡحُرُمٰتُ قِصَاصٌ ؕ فَمَنِ اعۡتَدٰی عَلَیۡكُمۡ فَاعۡتَدُوۡا عَلَیۡهِ بِمِثۡلِ مَا اعۡتَدٰی عَلَیۡكُمۡ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۹۴﴾
সম্মানিত মাস হচ্ছে সম্মানিত মাসের বিনিময়ে এবং পবিত্র বিষয়সমূহ কিসাসের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে, তোমরা তার উপর আক্রমণ কর, যেরূপ সে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে (তোমরাও তাদের প্রতি কঠোর আচরণ কর যেমনি কঠোরতা সে তোমাদের প্রতি করেছে )। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন।
(সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৯৪)

وَ كَتَبۡنَا عَلَیۡهِمۡ فِیۡهَاۤ اَنَّ النَّفۡسَ بِالنَّفۡسِ ۙ وَ الۡعَیۡنَ بِالۡعَیۡنِ وَ الۡاَنۡفَ بِالۡاَنۡفِ وَ الۡاُذُنَ بِالۡاُذُنِ وَ السِّنَّ بِالسِّنِّ ۙ وَ الۡجُرُوۡحَ قِصَاصٌ ؕ فَمَنۡ تَصَدَّقَ بِهٖ فَهُوَ كَفَّارَۃٌ لَّهٗ ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَحۡكُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۴۵﴾
আর আমি এতে তাদের উপর অবধারিত করেছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান ও দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং জখমের বিনিময়ে সমপরিমাণ জখম। অতঃপর যে তা ক্ষমা করে দেবে, তার জন্য তা কাফ্ফারা হবে। আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করবে না, তারাই যালিম। (সূরা আল মায়িদাহঃ আয়াত ৪৫)

এ আয়াত ইঙ্গিত করে যে, যে গোত্র আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বিপরীত ফায়সালা করেছিল তারা যুলুম ও স্বেচ্চাচারিতায় লিপ্ত হয়েছিল। আসলে মানুষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করে, সেই মোতাবেক বিচার-ফায়সালা করে এবং নিজেদের জীবনের সকল কর্মকান্ডে ঐ বিধান থেকে পথনির্দেশ গ্রহণ করে। আর যদি তারা তা না করে, তাহলে আল্লাহর দরবারে তারা যালেম (অত্যাচারী ও সীমালঙ্ঘনকারী), ফাসেক (পাপী) ও কাফের বিবেচিত হবে। আর এই ধরনের লোকেদের জন্য আল্লাহ তিন রকম শব্দ ব্যবহার করে নিজের ক্রোধ ও অসন্তুষ্টির কথা পূর্ণরূপে ব্যক্ত করে দিয়েছেন। এর পরেও যদি মানুষ নিজেদের জীবনে নিজসব মনগড়া বিধান এবং নিজেদের ইচ্ছা ও খেয়ালখুশীকে অগ্রাধিকার দেয়, তাহলে এর থেকে বেশী দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে ?

وَ اِنۡ عَاقَبۡتُمۡ فَعَاقِبُوۡا بِمِثۡلِ مَا عُوۡقِبۡتُمۡ بِهٖ ؕ وَ لَئِنۡ صَبَرۡتُمۡ لَهُوَ خَیۡرٌ لِّلصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۲۶﴾
যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর তাহলে ঠিক ততখানি করবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে; তবে তোমরা ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্য ওটাই উত্তম। (সূরা আন নাহল-আয়াত ১২৬)
তাফসীরঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের আইনগত অধিকার দিয়েছেন যে, যারা নির্যাতন চালায়, তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা মাজলুমের জন্য বৈধ, কিন্তু এই শর্তে যে, প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্যাতনের সীমা অতিক্রম করা যাবে না। যতটুকু যুলুম প্রতিপক্ষের তরফ থেকে করা হয়, প্রতিশোধ ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে; বেশী হতে পারবে না। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ইয়াহুদী এক মেয়েকে দুই পাথরের মাঝে রেখে হত্যা করে, মৃত্যুর পূর্বে তাকে বিভিন্ন জনের জিজ্ঞাসা করা হলে সে এক ইয়াহুদীর প্রতি ইঙ্গিত করে। সে ইয়াহুদীকে নিয়ে আসা হলে সে তা স্বীকার করে। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে ইয়াহুদীকে দুই পাথরের মাঝখানে বেঁধে হত্যা করার আদেশ করেন। [বুখারীঃ ৬৮৮৪, মুসলিমঃ ১৬৭২]

মহান আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন শেষ বিচারের কথা এভাবে বলেন-
فَالۡیَوۡمَ لَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا وَّ لَا تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا كُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۵۴﴾
আজ কারও প্রতি কোন যুলম করা হবেনা এবং তোমরা যা করতে শুধু তারই প্রতিফল দেয়া হবে।
(সূরা ইয়াসীনঃ আয়াত ৫৪)

আবূ হুরাইরা (রা) বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
أَتَدْرُونَ مَا (مَنِ) الْمُفْلِسُ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لا دِرْهَمَ لَهُ وَلا مَتَاعَ فَقَالَ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ
‘‘তোমরা কি জান কপর্দকহীন দরিদ্র কে? সাহাবীগণ বলেন: আমাদের মধ্যে দরিদ্র তো সেই যার কোনো অর্থ-সম্পদ নেই। তিনি বলেন: আমার উম্মাতের অসহায় দরিদ্র সে ব্যক্তি যে কিয়ামাতের দিন সালাত, সিয়াম, যাকাত ইত্যাদি নিয়ে আগমন করবে। কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়েছিল, কাউকে অপবাদ দিয়েছিল, কারো সম্পদ ভক্ষণ করেছিল, কারো রক্তপাত করেছিল, কাউকে প্রহার করেছিল। তখন একে একে এ সকল মাযলূমকে তার পুণ্য থেকে প্রদান করা হবে। তার যিম্মায় বিদ্যমান অপরাধ শেষ হওয়ার আগেই যদি তার পুণ্য শেষ হয়ে যায় তবে মাযলূমদের পাপ নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে, অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’
রেফারেন্সঃ মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৯৯৭ (কিতাবুল বির্রি ওয়াস সিলাহ, বাবু তাহরীমিয যুলম)
আল্লাহ تعالى আমাদেরকে এমন এক আইন দিয়েছেন, যার বাস্তবায়ন হলে, কেউ যুলুম করার আগে হাজার বার ভেবে দেখবে এবং মাজলুম ও তার পরিবার সুষ্ঠ বিচার পাবে ইন শা আল্লাহ।

فَلَا تَخۡشَوُا النَّاسَ وَ اخۡشَوۡنِ وَ لَا تَشۡتَرُوۡا بِاٰیٰتِیۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَحۡكُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الۡكٰفِرُوۡنَ
সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য ক্রয় করো না। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির।
(সূরা মায়িদাঃ আয়াত ৪৪)

« الْقُضَاةُ ثَلاَثَةٌ وَاحِدٌ فِى الْجَنَّةِ وَاثْنَانِ فِى النَّارِ فَأَمَّا الَّذِى فِى الْجَنَّةِ فَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَقَضَى بِهِ وَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَجَارَ فِى الْحُكْمِ فَهُوَ فِى النَّارِ وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ فَهُوَ فِى النَّارِ ».

‘বিচারক তিন প্রকার। এক প্রকার জান্নাতে যাবে এবং দুই প্রকার যাবে জাহান্নামে। যে জান্নাতে যাবে সে হলো, যে বিচারক সত্য উদঘাটন করে এবং তদনুযায়ী ন্যায়বিচার করে। আর যে ব্যক্তি সত্য জেনেও অন্যায় বিচার করে সে জাহান্নামী। আরেকজন মানুষের বিচার করে না জেনেই, সেও আগুনে (জাহান্নামে) যাবে।’
রেফারেন্সঃ সহীহ [আবু দাউদ: ৩৫৭৩; তিরমিযী: ১৩২২; ইবন মাজাহ: ২৩১৫]
----------------------------------------------------------------------
দূরের ফিলিস্তিন নয়, নিরবে মহান রবের কাছে জুলুমের বিচার চাওয়া চোখের সামনের সেই অপরিচিত অসহায় নির্যাতিত লোকটিই হতে পারে রোজ হাশরে আপনার জান্নাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা... সুতরাং, সাবধান !

অন্যায়ের প্রতিবাদ এমন একটি ফরজ-
যা প্রত্যেক নবী-রসূল ও তাদের উম্মাহর উপরে ছিল, এখনও আছে এবং কিয়ামাত পর্যন্ত থাকবে !

ইন শা আল্লাহ

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে এ পৃথিবীতে কোন কিছু চাওয়ার পরেও না পাওয়ার অর্থ তিন রকম হতে পারে-১) মহান রবের কাছে...
01/09/2025

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে এ পৃথিবীতে কোন কিছু চাওয়ার পরেও না পাওয়ার অর্থ তিন রকম হতে পারে-

১) মহান রবের কাছে চাওয়ার মত চাইতে না পারা। এই “চাওয়ার মত চাওয়া” আরেকটি বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত-আর তা হল নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রাণপন চেষ্টা করা যেটা মূলত চাওয়ারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। (সূরা আন নজম, আয়াত ৩৯)

২) পরীক্ষাঃ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লা বান্দাকে দিয়ে, না দিয়ে কিংবা কেড়ে নিয়েও দুনিয়ার জীবনে পরীক্ষা করে থাকেন। এই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হন, তারাই মূলত সফলকাম। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৫)

৩) চাহিত বস্তু বা ব্যক্তি কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিসমূহের প্রতারণা, হক নষ্ট করার কারণে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সাধারণত এসমস্ত বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না সেটা এ কারণে যে, রোজ হাশরে এসব সংশ্লিষ্ট অপরাধীদেরকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে ইন শা আল্লাহ। সবাই ভালো হলে তো আর শেষ বিচারের কোন দরকার পড়ে না, তাই না ! (সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৫৯)

***তাহলে অনেকেই সঠিক সময় না হওয়া, অকল্যাণ কিংবা অনুপযুক্ততার কারণ দেখান-এই কারণগুলো দেখানো হয় কেন?***

এই কারণগুলো কি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়? কিংবা কিছু ক্ষমতা তাঁর কাছ রেখে বাকি ক্ষমতাগুলো নানাবিধ শর্তের আওতায় পড়ে যায়? (নাউযুবিল্লাহ ! তা কখনোই হতে পারে না।)

***সত্যিকার অর্থেঃ চাওয়ার মত চাইতে পারলে এগুলো কোন কিছুই কোন ব্যাপার না ইন শা আল্লাহ।***

প্রশ্নঃ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী সমস্তকিছুর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নন?
উত্তরঃ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা অবশ্যই সমস্তকিছুর উপরে ক্ষমতাবান।

প্রশ্নঃ তাঁর জন্য কী কোন কিছু অসম্ভব?
উত্তরঃ অবশ্যই তাঁর কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয়।

প্রশ্নঃ তিনি কী কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে অন্য কারও কারও দ্বারস্থ হতে হয়?
উত্তরঃ অবশ্যই তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন।

তাহলে- একথা অবশ্যই সঠিক আপনি যা চাইছেন বা যাকে চাইছেন তা যদি আপনার জন্য অকল্যাণকর হয়েও থাকে, তারপরও তা আপনার জন্য কল্যাণকর করে দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছেই আছে (চাওয়ার মত চাইতে হবে)। অর্থাৎ আপনি যেটা চাইছেন (অন্তর থেকে) তা যদি আপনার জন্য অকল্যাণের সমুদ্রও হয়ে থাকে, সেটাকে কল্যাণের মহাসমুদ্রে পরিণত করতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এক মূহুর্তও সময় লাগবে না।

[রেফারেন্সঃ কুন ফাইয়া কুন অধ্যায়; বই-দ্য কেয়ারটেকার]

আসুন তাহলে- আমরা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার প্রকৃত ক্ষমতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি, একমাত্র তাকেই সব কিছুর চাইতে বেশী ভালবাসি এবং নিজেদেরকে সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার যাবতীয় বিধানের কাছে আত্নসমর্পণ করি। তাঁর কাছেই আমাদের সকল নেক চাওয়াগুলো আন্তরিকভাবে ও যথাযথ চেষ্টার সাথে পেশ করি, আমাদের কোন চাওয়াই অপূর্ণ থাকবে না ইন শা আল্লাহ (আমীন)

وَ اَنۡ لَّیۡسَ لِلۡاِنۡسَانِ اِلَّا مَا سَعٰی
আর এই যে, মানুষ তাই পায় যা সে চেষ্টা করে। (সূরা আন নজম আয়াত ৩৯)

الله أعلم

হয়ত মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা হেদায়েত দিবেন কিংবা শাস্তি দিবেন জন্যই আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন...
28/08/2025

হয়ত মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা হেদায়েত দিবেন কিংবা শাস্তি দিবেন জন্যই আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কেননা, কোন সতর্ককারী প্রেরণ না করে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সাধারণত শাস্তি দেন না।

ফ্যাক্টঃ বাংলাদেশে সরকারী, আধা-সরকারী বা সমগোত্রীয় চাকরীগুলোতে পেনশনের যে টাকা দেয়া হয় তাতে সুদের টাকা মিশ্রিত থাকে। আর সুদ অবশ্যই হারাম।

কিভাবে জানবোঃ এটা মূলত প্রত্যেক পদের বিস্তারিত বিবরণে কিংবা সংশ্লিষ্ট চাকুরীর কাগজপত্রে কিংবা টাকা গ্রহণের সময় স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্রে শতকরা হিসেবসহ স্পষ্ট উল্লেখ থাকে। (সুতরাং অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই)

সমাধানঃ হারাম থেকে বাঁচতে হলে এই সুদের টাকা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে, কিংবা সওয়াবের আশা ছাড়াই দান করে দিতে হবে।

বি।দ্র। আমাদের পছন্দ অনুযায়ী ইসলাম চলবে না, বরং ইসলামের বিধান অনুযায়ী আমাদের পছন্দ ও কাজ-কর্মকে শুদ্ধ করতে হবে। এগুলোই দুনিয়ার পরীক্ষা আর যার ফলাফল জান্নাত কিংবা জাহান্নাম।

“নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত”। (সূরা আত-তওবা, আয়াত ১১১)

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ মহান আল্লাহ যদি কারও শাস্তি আর অবাধ্যতা অবধারিত করেন, তবে তাকে বুঝানোর ক্ষমতা আমাদের কেন-স্বয়ং রসূল (স) এরও ছিল না।

فَاِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ
তারপর যদি তারা তোমার অবাধ্য হয়, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’। (আল কুর’আন-২৬, ২১৬)

রেফারেন্সসমূহঃ

«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَذَرُوْا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِيْنَ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوْا فَأْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَرَسُوْلِهِ»

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মু’মিন হওয়ার দাবি করে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও’’। (সূরা বাক্বারাহ্ : ২৭৮-২৭৯)

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার (প্রকারের) ব্যক্তিসমূহকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের লেনদেনের সাক্ষী যারা থাকে ! (সহীহ মুসলিম-৩৯৮৫)

لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ.

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার (প্রকারের) ব্যক্তিসমূহকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন: তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী’’।
(মুসলিম ১৫৯৮; তিরমিযী ১২০৬; আবূ দাউদ ৩৩৩৩; ইবন মাজাহ্ ২৩০৭; ইবন হিববান ৫০২৫; আহমাদ ৬৩৫, ৬৬০, ৮৪৪, ১১২০, ১২৮৮, ১৩৬৪, ৩৭২৫, ৩৭৩৭, ৩৮০৯, ৪৩২৭, ১৪৩০২)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

الرِّبَا ثَلَاثَةٌ وَّسَبْعُوْنَ بَابًا، وَفِيْ رِوَايَةٍ: حُوْبًا، أَيْسَرُهَا مِثْلُ أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ، وَإِنَّ أَرْبَى الرِّبَا عِرْضُ الرَّجُلِ الْـمُسْلِمِ.

‘‘সুদের তিয়াত্তরটি গুনাহ্ রয়েছে। তার মধ্যে সর্বনিম্ন গুনাহ্ হচ্ছে, কোন ব্যক্তির নিজ মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করার সমতুল্য গুনাহ্। (ইবন মাজাহ্ ২৩০৪, ২৩০৫; হা’কিম : ২/৩৭ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৫৩৩)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَّثَلَاثِيْنَ زَنْيَةً.

‘‘সুদের একটি টাকা জেনেশুনে খাওয়া ছত্রিশবার ব্যভিচার চাইতেও মারাত্মক’’। (আহমাদ : ৫/২২৫ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৩৭৫)

***সুদের সম্পদ যত বেশিই হোক না কেন তাতে কোন বরকত নেই***

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«يَمْحَقُ اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِيْ الصَّدَقَاتِ، وَاللهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيْمٍ»

’’আল্লাহ্ তা‘আলা সুদে কোন বরকত দেন না। তবে তিনি দানকে অবশ্যই বাড়িয়ে দেন। বস্ত্তত: আল্লাহ্ তা‘আলা প্রত্যেক কৃতঘ্ন পাপীকে ভালোবাসেন না’’। (বাক্বারাহ্ : ২৭৬)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

الرِّبَا وَإِنْ كَثُرَ فَإِنَّ عَاقِبَتَهُ تَصِيْرُ إِلَى قُلٍّ.

‘‘সুদ যদিও দেখতে বেশি দেখা যায় তার পরিণতি কিন্তু ঘাটতির দিকেই’’। (হা’কিম : ২/৩৭ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৫৪২; ইবন মাজাহ্ ২৩০৯)

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«الَّذِيْنَ يَأْكُلُوْنَ الرِّبَا لَا يَقُوْمُـوْنَ إِلاَّ كَمَا يَقُوْمُ الَّذِيْ يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْـمَسِّ، ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوْا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا، وَأَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا»

‘‘সুদখোররা (কিয়ামতের দিন) শয়তানে ধরা ব্যক্তির ন্যায় মোহাবিষ্ট হয়ে দাঁড়াবে। আর তা এ কারণেই যে, তারা বলে: ব্যবসা তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম’’। (সূরা বাক্বারাহ্ : ২৭৫)

আল্লাহ্ তা‘আলা অন্য আয়াতে বলেন:

«وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُؤُوْسُ أَمْوَالِكُمْ، لَا تَظْلِمُوْنَ وَلَا تُظْلَمُوْنَ، وَإِنْ كَانَ ذُوْ عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلَى مَيْسَرَةٍ، وَأَنْ تَصَدَّقُوْا خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ»

‘‘আর যদি তোমরা সুদ খাওয়া থেকে তাওবা করে নাও তা হলে তোমাদের জন্য রয়েছে শুধু তোমাদের মূলধনটুকু। তোমরা কারোর উপর অত্যাচার করবে না এবং তেমনিভাবে তোমাদের উপরও কোন অত্যাচার করা হবে না। আর যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি খুব অভাবগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে তার স্বচ্ছলতার প্রতীক্ষা করো। আর যদি তোমরা তোমাদের মূলধনটুকুও দরিদ্র ঋণগ্রস্তদেরকে দান করে দাও তা হলে তা হবে তোমাদের জন্য আরো কল্যাণকর। যদি তোমরা তা জানো বা বুঝে থাকো তা হলে তা অতিসত্বর বাস্তবায়ন করো’’। (সূরা বাক্বারাহ্ : ২৭৯-২৮০)

সুদ খাওয়া, খাওয়ানো, লেখা ও সে ব্যাপারে সাক্ষী দেয়া যেমন হারাম অথবা কবীরা গুনাহ্ তেমনিভাবে সুদী ব্যাংকে টাকা রাখা, পাহারাদারি করা অথবা সুদী ব্যাংকের সাথে জড়িত থাকা কিংবা যে কোন ধরনের লেনদেন করাও শরীয়ত বিরোধী কাজ তথা অবৈধ।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«تَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى، وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، وَاتَّقُوْا اللهَ، إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ»

‘‘তোমরা নেক কাজ ও আল্লাহ ভীরুতায় পরস্পরকে সহযোগিতা করো। তবে পাপাচার ও অত্যাচার করতে কাউকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তিনি কঠিন শাস্তিদাতা’’। (সূরা মা’য়িদাহ্ : ২)

***সুদের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারা অবশ্যই যালিম***

আর-

وَ لَا تَحۡسَبَنَّ اللّٰهَ غَافِلًا عَمَّا یَعۡمَلُ الظّٰلِمُوۡنَ ۬ؕ اِنَّمَا یُؤَخِّرُهُمۡ لِیَوۡمٍ تَشۡخَصُ فِیۡهِ الۡاَبۡصَارُ ﴿ۙ۴۲﴾

যালিমরা যা করছে সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে কক্ষনো উদাসীন মনে কর না। তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত ঢিল দিচ্ছেন যেদিন ভয়ে আতঙ্কে চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। (সূরা ইবরাহীম আয়াতঃ ৪২)

আল্লাহ্ তা‘আলা পবিত্র এবং তিনি একমাত্র পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করে থাকেন। আর সুদ হচ্ছে অপবিত্র। সুতরাং তিনি তা কখনোই গ্রহণ করবেন না। সুদের টাকা খাদ্য, পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদির খাতে অথবা স্ত্রী-সন্তান এবং মাতা-পিতার ভরণ-পোষণ তথা কোন কাজেই ব্যয় করা যাবে না। তেমনিভাবে হজ্জ্ব কিংবা যাকাত আদায়সহ এরকম কোনক্ষেত্রেই তা ব্যয় করা যাবে না।

পুনশ্চঃ মানুষকে খুশি করা আমাদের কাজ নয়(!) আমাদের কাজ মহান আল্লাহকে খুশি করা, তাঁর সত্য বাণী পৌঁছিয়ে দেয়া পর্যন্তই। নিজের পছন্দ না হলেও মহান আল্লাহর বিধান অন্তরে মেনে নেয়া-মুখে স্বীকার করা ও সে অনুযায়ী আমল করার নামই প্রকৃত ঈমান, আর যারা এটা করতে পারবে তারাই মূলত মুসলিম।

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
(সূরা আল ইমরান, আয়াত ১০২)

الله أعلم

“যোগ্যতা থাকলেই টাকা দিয়ে চাকরী নেয়া যাবে”-এটা একটা মিথ্যে ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়! শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিটিই যে উক্ত পদের ...
17/08/2025

“যোগ্যতা থাকলেই টাকা দিয়ে চাকরী নেয়া যাবে”-এটা একটা মিথ্যে ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়! শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিটিই যে উক্ত পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি, সেটার প্রমাণ কী?

একটা চাকরী পরীক্ষায় কমপক্ষে ২/৩ জন(বা তারও বেশী)চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এখন একজন যদি টাকা দিয়ে চাকরী নেয়, তবে রোজ হাশরে তাকে প্রমাণ করতে হবে সে বাকী সবার চাইতে অধিক যোগ্য ছিল এই চাকরীর জন্য। অন্যথায় বান্দার হক নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি পেতে হবে ইন শা আল্লাহ । আর এটা নিঃসন্দেহেই মিথ্যে-ধোঁকা-প্রতারণার শামিল, যা মূলত সে নিজের বিবেকের সাথে ও একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য সবার সাথেও করে থাকে !

এখন, চাকরী নাহয় টাকা দিয়েই নিয়েছে কিন্তু সে তো সময়, মেধা আর পরিশ্রম দিয়েই উপার্জন করে-সেটা তো অবশ্যই হালাল। সুদী ব্যাংকে যে কাজ করে সেও বলে-আমি তো নিজে সুদ খাই না, সারাদিন সময়, মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে উপার্জন করি-সেগুলোর একটা মূল্য আছে না?

“চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ সকল অন্যায়কারীরাও তাদের সময়-মেধা-পরিশ্রম দিয়েই উপার্জন করে থাকে !” এজন্য তাদের উপার্জন কখনো হালাল হয়ে যায় না কি ?! (নেক সুরতে শয়তানের ধোঁকা)

ইবাদাত কবুলের প্রধাণ শর্ত-নিজে পবিত্র হওয়া, হালাল উপার্জনের হালাল খাবার ভক্ষণ করা ও হালাল উপার্জনের পবিত্র পোশাক হালাল উপায়ে পরিধান করা। বান্দা যত কষ্ট করেই ইবাদাত করুক না কেন, উপরোক্ত শর্ত পালন ব্যতিরেকে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় ইন শা আল্লাহ ।

রসূল (স) বলেছেন, যে প্রতারণা করে বা ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না।’ (রেফারেন্সঃ সহীহ মুসলিম ১০২, মিশকাত)

তিনি আরও বলেন-من غشنا فليس منا : ‘যে ধোঁকা দেয়; সে আমাদের (মুসলিম) অন্তর্ভূক্ত নয়।’ (রেফারেন্সঃ সহীহ মুসলিম, ১৮৪-১৬৪/১০১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ধোঁকা ও চালবাজ জাহান্নামে যাবে।’ (রেফারেন্সঃ তাবারানির কাবির ও সাগির, ইবনে হিব্বান)

***যেখানে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতারক ব্যক্তিকে তার উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। একজন মুমিন বান্দার জন্য এর চেয়ে বড় ক্ষতিকর বিষয় আর কী হতে পারে?***

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরও বলেছেন:
يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوا
“হে আমার বান্দাগণ! আমি যুলুমকে আমার জন্য হারাম করে দিয়েছি, আর তা তোমাদের মধ্যেও হারাম করে দিয়েছি; অতএব তোমরা একে অপরের উপর যুলুম করো না।” রেফারেন্সঃ ৬৪৬৬-(৫৫/২৫৭৭-সহীহ মুসলিম)

باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ ‏‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
حدثنا قتيبة بن سعيد، وعلي بن حجر، قالا حدثنا اسماعيل، - وهو ابن جعفر - عن العلاء، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اتدرون ما المفلس ‏"‏ ‏.‏ قالوا المفلس فينا من لا درهم له ولا متاع ‏.‏ فقال ‏"‏ ان المفلس من امتي ياتي يوم القيامة بصلاة وصيام وزكاة وياتي قد شتم هذا وقذف هذا واكل مال هذا وسفك دم هذا وضرب هذا فيعطى هذا من حسناته وهذا من حسناته فان فنيت حسناته قبل ان يقضى ما عليه اخذ من خطاياهم فطرحت عليه ثم طرح في النار ‏"‏ ‏.‏

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি বলতে পার, অভাবী লোক কে? তারা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে (বান্দার হক সংশ্লিষ্ট অন্যায় করেছে)। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ’আমল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক আমল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হক তার নেক ’আমল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
সহীহ মুসলিম ৬৪৭৩-(৫৯/২৫৮১ (ইক ফা ৬৩৪৩, ইক সে ৬৩৯৩)

রসূল (সা) বলেন, “তুমি মানুষকে ক্ষতি করা থেকে দূরে থাকবে-সেটাই হবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার জানের সাদাকাহ”
تَدَعُ النَّاسَ مِنْ الشَّرِّ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ تَصَدَّقُ بِهَا عَلَى نَفْسِكَ
রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারি ২৫১৮

আর যারা যুলম করেছে তোমরা তাদের পক্ষ অবলম্বন করো না; অন্যথায় আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। অতঃপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। [সূরা হূদ, আয়াত ১১৩]

হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং তোমরা মুসলিম (পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী) না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না।
[সূরা আল-ইমরান, আয়াতঃ ১০২]

আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎ পথে পরিচালিত করতে পারতাম; কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্যঃ আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব। [সূরা আস সাজদাহ, আয়াত ১৩]

سيأتي عليهم زمان إن خالفوا أمر الله قالوا: الله غفور رحيم، وإذا فعلوا ما نهى الله عنه قالوا: لولا أن أشركنا لغفر لنا، وإن كل ما يقولونه غرور أمل لا حقيقة له.

“শিগগিরই এমন যুগ আসবে যখন আল্লাহর কোন আদেশ না মানতে পারলে তারা বলবে, “আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”
আবার যখন আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করবে তখন বলবে, “আমরা আল্লাহর সাথে শিরক না করলেই তো হল, আমাদের সব(গুণাহ) ক্ষমা করে দেয়া হবে”।
আফসোস ! তাদের (এ) সব কিছু আশার ছলনা, সত্যের লেশমাত্র নেই "!
রেফারেন্সঃ আয-যুহদ, ইমাম আহমদ (১৭১৪)

الله أعلم

ইতিহাস প্রমাণ করেঃ কাফির-মুনাফিকেরাও মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করতো, স্বীকার করতো। কিন্তু রসূল (স) এর মাধ্যমে আসা মহান আল্লা...
13/08/2025

ইতিহাস প্রমাণ করেঃ কাফির-মুনাফিকেরাও মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করতো, স্বীকার করতো। কিন্তু রসূল (স) এর মাধ্যমে আসা মহান আল্লাহর বিধান, যে বিধান সকল অন্যায়-অপরাধ-অত্যাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে, সেই বিধান মানতেই তাদের যত সমস্যা ছিল। ঠিক যেমনটা এখনকার অধিকাংশ মুসলিম নামধারীদের মাঝেও রয়েছে !

নামের শুরুতে “মোঃ” কিংবা নামের শেষে “ইসলাম” নামধারী অসংখ্য মানুষও সেদিন জাহান্নামে থাকবে ইন শা আল্লাহ।

নামে কিংবা বংশানুক্রমে কখনো মুসলিম হওয়া যায় না, মুসলিম হতে হয় কাজে-কর্মে-আখলাকে।

مَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نسبه» . رَوَاهُ مُسلم
আর যার ’আমল তাকে পিছিয়ে দেয় তার বংশ-পরিচয় তাকে এগিয়ে দিতে পারে না। (সহীহ : মুসলিম ২৬৯৯)

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ
হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা মুসলিম (আল্লাহর বিধানের কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী) না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না। [সূরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ১০২]

وَ لَوۡ شِئۡنَا لَاٰتَیۡنَا كُلَّ نَفۡسٍ هُدٰىهَا وَ لٰكِنۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ مِنِّیۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ
আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎ পথে (সঠিক পথ) পরিচালিত করতে পারতাম; কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্যঃ আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব। [সূরা আস সাজদাহ, আয়াত ১৩]

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরও বলেছেন:
يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوا
“হে আমার বান্দাগণ! আমি যুলুমকে আমার জন্য হারাম করে দিয়েছি, আর তা তোমাদের মধ্যেও হারাম করে দিয়েছি; অতএব তোমরা একে অপরের উপর যুলুম করো না।” রেফারেন্সঃ ৬৪৬৬-(৫৫/২৫৭৭-সহীহ মুসলিম)

باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ ‏‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
حدثنا قتيبة بن سعيد، وعلي بن حجر، قالا حدثنا اسماعيل، - وهو ابن جعفر - عن العلاء، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اتدرون ما المفلس ‏"‏ ‏.‏ قالوا المفلس فينا من لا درهم له ولا متاع ‏.‏ فقال ‏"‏ ان المفلس من امتي ياتي يوم القيامة بصلاة وصيام وزكاة وياتي قد شتم هذا وقذف هذا واكل مال هذا وسفك دم هذا وضرب هذا فيعطى هذا من حسناته وهذا من حسناته فان فنيت حسناته قبل ان يقضى ما عليه اخذ من خطاياهم فطرحت عليه ثم طرح في النار ‏"‏ ‏.‏

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি বলতে পার, অভাবী লোক কে? তারা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে (বান্দার হক সংশ্লিষ্ট অন্যায় করেছে)। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ’আমল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক আমল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হক তার নেক ’আমল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
সহীহ মুসলিম ৬৪৭৩-(৫৯/২৫৮১ (ইক ফা ৬৩৪৩, ইক সে ৬৩৯৩)

سيأتي عليهم زمان إن خالفوا أمر الله قالوا: الله غفور رحيم، وإذا فعلوا ما نهى الله عنه قالوا: لولا أن أشركنا لغفر لنا، وإن كل ما يقولونه غرور أمل لا حقيقة له.

“শিগগিরই এমন যুগ আসবে যখন আল্লাহর কোন আদেশ না মানতে পারলে তারা বলবে, “আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”
আবার যখন আল্লাহর নিষিদ্ধ কোন কাজ করবে তখন বলবে, “আমরা আল্লাহর সাথে শিরক না করলেই তো হল, আমাদের সব(গুণাহ) ক্ষমা করে দেয়া হবে”।
আফসোস ! তাদের (এ) সব কিছু আশার ছলনা, সত্যের লেশমাত্র নেই "!
রেফারেন্সঃ আয-যুহদ, ইমাম আহমদ (১৭১৪)

اَللّٰهُ أَعْلَم

Address

Dhaka

Telephone

+8801676060877

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sunnah Medicare posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram