Yeasmin Medical Hall

Yeasmin Medical Hall Here you will get Every Health Solution

01/05/2025

পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁ'য়া'চে রো'গ ‘স্ক্যা'বি'স’
স্ক্যাবিস (Scabies) একটি ছোঁয়াচে ত্বকের রোগ। এটি Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র মাকড়সার (mite) কারণে হয়ে থাকে। এই মাকড়সা ত্বকের উপরিভাগে গর্ত তৈরি করে এবং ডিম পাড়ে, যার ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি এবং ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
* তীব্র চুলকানি: বিশেষ করে রাতে চুলকানি বাড়ে।
* ফুসকুড়ি: ছোট ছোট লালচে দানা বা ফোস্কার মতো দেখা যায়।
* গর্তের চিহ্ন: ত্বকের উপর ছোট, আঁকাবাঁকা, ধূসর বা সাদা রঙের সরু রেখা দেখা যেতে পারে, যা মাকড়সার তৈরি করা গর্ত।
স্ক্যাবিস সাধারণত নিম্নলিখিত স্থানগুলোতে বেশি দেখা যায়:
* আঙুল ও পায়ের আঙুলের মাঝে
* কবজি
* কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে
* বগলের নিচে
* কোমর
* নিতম্ব
স্ক্যাবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং সরাসরি চামড়ার সংস্পর্শে আসা, অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়, বিছানা ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
যদি আপনার মনে হয় আপনার স্ক্যাবিস হয়েছে, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে ত্বকের নমুনা নিয়ে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। স্ক্যাবিসের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ধরনের ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায় যা মাকড়সা এবং তাদের ডিম ধ্বংস করে। পরিবারের সকল সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও একই সময়ে চিকিৎসা করানো উচিত, এমনকি তাদের লক্ষণ না থাকলেও। এছাড়া, ব্যবহৃত কাপড় ও বিছানা গরম পানিতে ধুয়ে বা ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা জরুরি।

রোজ রাতে জ্বর আসছে? লক্ষণ স্বাভাবিক নয়, কী কী কারণে হতে পারে এমনরাতে জ্বর হওয়া সাধারণ কোনও বিষয় নয়। জ্বরের কারণে কেবল ...
11/12/2024

রোজ রাতে জ্বর আসছে? লক্ষণ স্বাভাবিক নয়, কী কী কারণে হতে পারে এমন
রাতে জ্বর হওয়া সাধারণ কোনও বিষয় নয়। জ্বরের কারণে কেবল রাতে আপনার অস্বস্তি হয় না, সকালেও মধ্যে ক্লান্তি অনুভব করেন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিজন চেঞ্জের সময় একটু আধটু ঠান্ডা কম বেশি সকলেরই লাগে! আবার কখনও কখনও গায়ে হালকা তাপমাত্রাও আঁচ করা যায়। কখনও কখনও সারাদিন শরীর ঠিক থাকলেও রাতে গা বেশ গরম হয়! নেহাত সামান্য জ্বর বলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না কিন্তু! জ্বরের কারণ অন্যকিছুও হতে পারে, তাই ফেলে রাখবেন না।

রাতে জ্বর হওয়া সাধারণ কোনও বিষয় নয়। জ্বরের কারণে কেবল রাতে আপনার অস্বস্তি হয় না, সকালেও ক্লান্তি অনুভব করেন। শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনি, খিদের অভাব, ডিহাইড্রেশন, ডিপ্রেশন, ঘুম ঘুম ভাব থাকে। অনেক সময়ে জ্বর বাড়লে প্রলাপ বকার মতো লক্ষণও দেখা যেতে পারে। রাতে জ্বর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যেগুলি আপনার অবশ্যই জানা উচিত এবং ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা দরকার এ ব্যাপারে।

যে কারণে রাতে জ্বর আসতে পারে-

প্রচণ্ড স্ট্রেস

কখনও কখনও স্ট্রেস এবং ক্লান্তি থেকেও রাতে হঠাৎ করে জ্বর আসতে পারে। অতিরিক্ত টেনশন, প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন যাঁরা, তাঁদের এমন উপসর্গ দেখা দেয়। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, সারাদিনের কাজে শেষে নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য মেডিটেশন খুব উপকারি।

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও রাতের জ্বরের জন্য দায়ী। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে এন্ডোকার্ডাইটিস, যক্ষা হতে পারে। যার কারণে রাতে আপনার জ্বর হতে পারে।

মূত্রনালীর সংক্রমণ

যদি মূত্রনালীর সংক্রমণ হয়, তাহলে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রাতের দিকে কাঁপুনি, শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। শীত শীত ভাব থাকবে। প্রায় প্রতিদিন এমন লক্ষণ দেখা দিলে ইউটিআই টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
অ্যালার্জি

অ্যালার্জি হলেও রাতে জ্বর হতে পারে। কিছু ওষুধ থেকেও এই অ্যালার্জি হয়ে থাকতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সানবার্ন

অনেকক্ষণ প্রখর রোদে থাকার পরে সানবার্ন হলে, সমুদ্রতটে সময় কাটিয়ে সিলিকা ডাস্ট থেকে লাং ইনফেকশন হলেও জ্বর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। জ্বরের পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণগুলি বিচার করে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন সমস্যাটি কতটা গুরুতর।

ত্বকের সংক্রমণ

ত্বকের সংক্রমণ থেকেও রাতে জ্বর হতে পারে। কী কারণে সংক্রমণ হচ্ছে সেটা ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভাল। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ থেকেও ত্বকের নানা রোগ হয়।

শ্বাসজনিত রোগসর্দি-কাশি ও ফ্লুএসব রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু উপদেশ মেনে চল...
09/12/2024

শ্বাসজনিত রোগ
সর্দি-কাশি ও ফ্লু
এসব রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু উপদেশ মেনে চললে ঘরে বসেই যত্ন নেয়া যায়।
সারাবছর জুড়েই সর্দি-কাশি ও ফ্লু এর সমস্যা হলেও ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে, বিশেষত শীত ও বসন্ত কালে সমস্যাগুলো বেড়ে যায়।

এসব রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু উপদেশ মেনে চললে ঘরে বসেই নিজের যত্ন নেয়া যায়। তা ছাড়া কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমানো যায়।

ফ্লু ও সর্দি-কাশি বা ঠান্ডার লক্ষণ
ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ প্রায় একই রকম। তবে সাধারণ সর্দি-কাশির তুলনায় ফ্লু এর লক্ষণগুলোর তীব্রতা বেশি হতে পারে এবং সেরে উঠতেও বেশি সময় লাগতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো লক্ষণগুলো বড়দের তুলনায় বেশিদিন ধরে থাকতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ফ্লু হয়েছে না কি সর্দি-কাশি?
এ ছাড়া ফ্লুতে শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা বেশি দেখা যায়। সেই সাথে শিশুর কান ব্যথা হতে পারে এবং চঞ্চলতা কমে যেতে পারে।

জ্বর, নতুন করে একটানা কাশি হওয়া, অস্বাভাবিক স্বাদ-গন্ধ পাওয়া অথবা স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা কোভিড-১৯ ইনফেকশন বা করোনার লক্ষণ হতে পারে।

ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা
কারণ ও লক্ষণে পার্থক্য থাকলেও ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা প্রায় কাছাকাছি।

ঘরোয়া চিকিৎসা
দ্রুত সর্দি-কাশি ও ফ্লু সারাতে প্রাথমিকভাবে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন—

বিশ্রাম নিন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
শরীর উষ্ণ রাখুন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানির পাশাপাশি তরল খাবারও উপকারী। যেমন: ফলের জুস, চিড়া পানি, ডাবের পানি, স্যুপ, ইত্যাদি। পানিশূন্যতা এড়াতে এমন পরিমাণে তরল খাওয়া উচিত যেন প্রস্রাবের রঙ স্বচ্ছ অথবা হালকা হলুদ হয়
গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। তবে ছোটো শিশুরা ঠিকমতো গড়গড়া করতে পারে না বলে তাদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ প্রযোজ্য নয়
কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য এই পরামর্শ প্রযোজ্য নয়
অনেকে ধারণা করেন যে ভিটামিন সি, রসুন ও একানেশিয়া নামের হারবাল ঔষধ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে কিংবা সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। তবে এই ধারণার পক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ফ্লু ও সর্দি কাশির ঔষধ
সাধারণ সর্দি-কাশি সাধারণত কোনো ঔষধ ছাড়াই ৭–১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। ফ্লু-ও সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়। তবে লক্ষণ উপশমে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন—

প্যারাসিটামল: জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। তবে প্যারাসিটামল সেবন চলাকালে অন্য কোনো ব্যথার ঔষধ, কফ সিরাপ অথবা সর্দি-কাশির হারবাল ঔষধ সেবনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এসবের অনেকগুলোতে প্যারাসিটামল থাকে। ফলে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল সেবন করার ঝুঁকি থাকে।

নাক বন্ধের ড্রপ: এগুলোকে ‘ন্যাসাল ডিকনজেসট্যান্ট’ বলা হয়। নাক বন্ধ উপশমে এসব ড্রপ ব্যবহার করা যায়। তবে টানা ১ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করবেন না, তাতে নাক বন্ধের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। ১ সপ্তাহেও উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের এসব ড্রপ দিবেন না। ডাক্তারের পরামর্শে ৬–১২ বছর বয়সী শিশুদের এই ধরনের ড্রপ দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রেও সাধারণত পাঁচ দিনের বেশি দেয়া হয় না।

কফ সিরাপ: কাশি বেশি হলে সর্দি-কাশির ঔষধ বা কফ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যান্টিহিস্টামিন: নাক থেকে পানি পড়া এবং হাঁচি কমানোর জন্য ডাক্তার এই ধরনের ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। এগুলো কারও কারও কাছে ‘অ্যালার্জির ঔষধ’ হিসেবেও পরিচিত।

অ্যান্টিভাইরাল: সাধারণত ফ্লু এর চিকিৎসায় বিশেষ কোনো ঔষধের দরকার হয় না। তবে যাদের ফ্লু এর তীব্র লক্ষণ দেখা দেয় এবং জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ সেবন করতে পারেন৷

ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া শিশুদের কোনো ধরনের ঔষধ দিবেন না।

১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ফ্লু হয়েছে বলে সন্দেহ হলে তাদের অ্যাসপিরিন ও স্যালিসাইলেট যুক্ত সব ধরনের ঔষধ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্যালিসাইলেট যুক্ত ঔষধের মধ্যে রয়েছে পিংক-বিসমল, পেপ্টো, পেপ্টোফিট ও পেপ্টোসিড জাতীয় পেট খারাপের ঔষধ।

ঔষধ সেবনের পূর্বে সতর্কতা
সব ধরনের ঔষধ সেবন করার আগেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। লক্ষণ দেখা গেলেই হুট করে কোনো ঔষধ সেবন করলে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সর্দি-কাশির ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন—

ঔষধ সেবনের আগে সেটির গায়ে লাগানো লেবেল দেখে নিবেন। ঔষধের সাথে থাকা নির্দেশনাগুলো মেনে চলবেন
অনেক সর্দি-কাশির ঔষধের মধ্যে ব্যথানাশক ঔষধের উপাদান থাকে, যেমন প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আলাদা করে ব্যথানাশক ব্যবহার করলে ঔষধের মাত্রা ক্ষতিকর পর্যায়ে চলে যেতে পারে
গর্ভাবস্থায় অনেক ঔষধ সেবন করাই মা ও গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের যেকোনো ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকা উচিত
দুই বছরের ছোটো শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য কোনো ঔষধ দেওয়া উচিত নয়
শিশুদের অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ দেওয়া উচিত নয়
অ্যান্টিবায়োটিক কেন নয়?

সর্দি-কাশি ও ফ্লু এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়। কারণ সর্দি-কাশি ও ফ্লু ভাইরাস বাহিত রোগ। আর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়। তাই অযথা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে অন্যান্য জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উল্লেখ্য, ফ্লু এর চিকিৎসায় ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ ব্যবহৃত হতে পারে। ডাক্তার আপনার লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে ঔষধ সেবন করতে হবে কি না সেটি নির্ধারণ করবেন।

যখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
নিচের লক্ষণগুলো দেখা গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে—

ফ্লু এর ক্ষেত্রে সাত দিনের বেশি এবং সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লক্ষণ থাকলে
তিন মাসের কম বয়সী শিশুর জ্বর আসলে অথবা খুব নিস্তেজ হয়ে পড়লে, কিংবা যেকোনো বয়সী শিশুকে নিয়ে শঙ্কা থাকলে
বয়স ৬৫ বছরের বেশি হলে কিংবা গর্ভবতী হলে
দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে। যেমন: ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও ফুসফুসের রোগ
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এমন চিকিৎসা নিলে। যেমন: কেমোথেরাপি ও লম্বা সময় ধরে স্টেরয়েড সেবন
অনেক জ্বর আসলে অথবা জ্বরের সাথে কাঁপুনি থাকলে
যেসব লক্ষণ দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নিতে হবে—

শিশুদের ক্ষেত্রে

খিঁচুনি
ঠোঁট ও মুখ নীল হয়ে যাওয়া
পানিশূন্যতা। এর কিছু লক্ষণ হলো—৮ ঘন্টায় একবারও প্রস্রাব না হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং কান্না করলে চোখে পানি না আসা। ছোটো শিশুদের মাথার সামনের দিক বসে যেতে পারে
সজাগ অবস্থাতেও পুরোপুরি সচেতন না থাকা এবং অন্যদের সাথে না মেশা
দ্রুত শ্বাস নেওয়া অথবা শ্বাসকষ্ট হওয়া
শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে পাঁজরের হাড় ভেতরে ঢুকে যাওয়া
বুকে ব্যথা
মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা। ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে শিশু হাঁটাচলা করতে চায় না
জ্বর ১০৪° ফারেনহাইট এর ওপরে চলে যাওয়া
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে

শ্বাসকষ্ট
বুকে অথবা তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা অথবা চাপ চাপ লাগা
ক্রমাগত মাথা ঘোরানো, বিভ্রান্তি ও ঝিমুনি
খিঁচুনি
প্রস্রাব না হওয়া
মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা
প্রচণ্ড দুর্বলতা ও অস্থিরতা
কাশির সাথে রক্ত যাওয়া
এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী অন্যান্য রোগের লক্ষণগুলো বেড়ে গেলে, জ্বর-কাশি কিছুটা কমার পরে আবার ফিরে আসলে, অথবা হঠাৎ করে লক্ষণগুলো বেড়ে গেলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধের উপায়
এই রোগগুলো সহজেই একজন থেকে আরেকজনে ছড়াতে পারে। তবে সহজ কিছু পদক্ষেপ দিয়ে তা ঠেকানো সম্বব। ফ্লু এর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ দিনে ইনফেকশন ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলো পুরোপুরি সেরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়াতে পারে।

পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো প্রতিরোধ
সম্ভব হলে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নিজের ঘরে থাকুন। মানুষের সংস্পর্শে আসা হতে বিরত থাকুন।
ফ্লু হলে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর অন্তত ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগে পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। এক্ষেত্রে জ্বর কমানোর ঔষধ খাওয়া ছাড়াই জ্বর চলে যাওয়া উচিত।
সুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। কারও সাথে হ্যান্ডশেক অথবা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময়ে অন্যদের থেকে দূরে সরে যান এবং টিস্যু দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকুন। ব্যবহারের পর টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে দিন। হাতের কাছে টিস্যু না থাকলে কনুই এর ফাঁকে হাঁচি-কাশি দিন। হাঁচি-কাশি দিয়ে সাথে সাথে হাত ধুয়ে ফেলুন।
দরজার হাতল, মোবাইল ফোন ও শিশুদের খেলনার মতো দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য জিনিসগুলো কিছুক্ষণ পর পর জীবাণুমুক্ত করুন।
বারবার সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।
ফ্লু ও সর্দি-কাশি থেকে সুরক্ষা
ফ্লু ও সর্দি-কাশি রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে নিচের পাঁচটি উপায় অবলম্বন করুন—

নিয়মিত কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। যদি পানি-সাবান হাতের কাছে না থাকে, অ্যালকোহল জাতীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। না হলে ভাইরাস শরীরে ঢুকে ইনফেকশন করতে পারে।
অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তাদের ব্যবহৃত জিনিস ও বাসনপত্রও ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ব্যায়াম করুন ও সুস্থ জীবনধারা মেনে চলুন।
সাধারণ সর্দি-কাশির কার্যকর ভ্যাকসিন নেই। তবে নিয়মিত ফ্লু এর ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে ফ্লু রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। প্রয়োজনবোধে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে পারেন।
রোগ পরবর্তী জটিলতা
সর্দি-কাশি সাধারণত ৭–১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম কিংবা অ্যাজমার মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ আছে, তাদের সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার মতো জটিলতায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে।

অন্যদিকে ফ্লু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে নিউমোনিয়াসহ নানান জটিলতা হতে পারে। এমনকি কিছু জটিলতা থেকে মৃত্যু হতে পারে।

ফ্লু এর জটিলতার মধ্যে রয়েছে—

নিউমোনিয়া
সাইনোসাইটিস
কানের ইনফেকশন
হার্টের প্রদাহ বা মায়োকার্ডাইটিস
ব্রেইনে প্রদাহ বা এনসেফালাইটিস
মাংসপেশির প্রদাহ
ফুসফুস ও কিডনির মতো একাধিক অঙ্গের কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়া
গুরুতর ইনফেকশন থেকে শরীরে ‘সেপসিস’ নামক জীবনঘাতী প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া
এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফ্লু হলে সেটি রোগের তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন, অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে এবং হার্টের রোগীদের অবস্থার অবনতি হতে পারে।

যাদের জন্য ফ্লু বেশী ঝুঁকিপূর্ণ
যে কেউই ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারেন এবং ফ্লু সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগতে পারেন। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ফ্লু হওয়ার পর ভোগার সম্ভাবনা বেশি। যেমন—

৬৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তি
গর্ভবতী নারী
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু
ইতোমধ্যে কোনো রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তি
এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ফ্লু এর ভ্যাক্সিন নিতে পারেন। আর ফ্লু থেকে বাঁচার উপায়গুলো মেনে চলবেন।

শীতকাল হল সর্দি-কাশির মরসুম। শীতকালে ঘরে ঘরে জ্বর, নাক টানা, সর্দির সমস্যা লেগেই থাকে। তবে ইদানীং সর্দি-জ্বর আর মরসুমি র...
09/12/2024

শীতকাল হল সর্দি-কাশির মরসুম। শীতকালে ঘরে ঘরে জ্বর, নাক টানা, সর্দির সমস্যা লেগেই থাকে। তবে ইদানীং সর্দি-জ্বর আর মরসুমি রোগ নয়। কারণ সারা বছরই ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বৃষ্টিতে ভিজেও ঠান্ডা লাগতে পারে, তেমনই প্রচণ্ড রোদে ঘাম বসেও হালকা জ্বর, সর্দির মতো সমস্যা হতে পারে। তবে এই ধরনের সমস্যা যে হতে পারে, তা আগে থেকে বোঝা যায়। নাকবন্ধ, গলাব্যথা, কাশি, হালকা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ জানান দেয় যে, ঠান্ডা লেগেছে। এই পরিস্থিতি যাতে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ না করে, তার জন্য এই লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়া মাত্রেই যদি কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা হলে আর সমস্যা নেই। একই কথা বলছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘আট থেকে আশি সর্দি-কাশি, জ্বর কাউকেই ছাড়ে না। আর এই ধরনের সমস্যা বছরের যে কোনও সময় হতে পারে। তাই একটু সাবধানে চলাফেরা করা জরুরি। তবে সাবধানে থেকেও অনেক সময় এমন হয়। তাই শুধু সাবধান নয়, একই সঙ্গে সতর্কও থাকতে হবে। ঠান্ডা লাগার সমস্যা এড়িয়ে গেলে চলবে না। বরং গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’’ঠান্ডা লাগার লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়া মাত্রেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি?

বেশি করে জল খান

জল যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা হলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে রোগের সঙ্গে লড়াই করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তাই ঠান্ডা লেগেছে মনে হলেই জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।পর্যাপ্ত বিশ্রাম

ঠান্ডা লাগলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। ভারী কোনও কাজ করলে সমস্যা হতে পারে। শারীরিক সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সেই ঝুঁকি না নিয়ে বরং বিশ্রাম নিন।

সুষম খাবার খাওয়া ঠান্ডা লাগলে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ায় জোর দিতে হবে। বাইরের খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। বাড়ির খাবার বেশি করে খান। তেল-ঝাল-মশলদার খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।

মধু খেতে পারেন

কোনও কারণে ঠান্ডা লেগেছে বুঝতে পারলেই এক চামচ মধু খান। সর্দি-কাশি সেরে যাবে দ্রুত। মধু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী। ফলে জ্বর জ্বর মনে হলেই মধু খেয়ে নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।

শিশু-কিশোরদের মাথাব্যথা করে কেনশিশু–কিশোরদের মধ্যে মাথাব্যথা বেশ পরিচিত সমস্যা। অনেক কারণেই তাদের মাথাব্যথা হতে পারে। অত...
28/08/2023

শিশু-কিশোরদের মাথাব্যথা করে কেন

শিশু–কিশোরদের মধ্যে মাথাব্যথা বেশ পরিচিত সমস্যা। অনেক কারণেই তাদের মাথাব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার থেকে শুরু করে দুশ্চিন্তা, অনেক কিছুই মাথাব্যথার কারণ। আবার মস্তিষ্কের জটিল ইনফেকশন বা টিউমার, এসবের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা।
মাথাব্যথার কারণকে দুইভাবে ভাগ করা যেতে পারে:
১. প্রাথমিক মাথাব্যথা: মাইগ্রেন ও দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা।
২. অন্য কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে মাথাব্যথা: চোখ-কানের সমস্যা, সাইনোসাইটিস, আঘাত, মস্তিষ্কের প্রদাহ, টিউমার, এমনকি মানসিক কোনো সমস্যার উপসর্গ হিসেবেও মাথাব্যথা হতে পারে।
এই বয়সীদের ক্ষেত্রে মাথাব্যথার প্রকৃতি বিবেচনা করে আসল কারণ বের করাটা খুব দরকার। মাইগ্রেন বা দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা এবং সাইনোসাইটিসের জন্য ছোটদের বেশি ভুগতে দেখা যায়।
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার একপাশে হয়। তীব্রতা মাঝারি থেকে খুব বেশি হতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। যদিও বাচ্চারা অনেক ক্ষেত্রেই মাথার এক পাশের বদলে দুই পাশেও ব্যথা অনুভব করতে পারে। এই ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস থাকতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় তীব্র আলো, শব্দ, অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা, রাত জাগা, অতিরিক্ত চকলেট বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পর ব্যথা শুরু হয়। কী কারণে ব্যথা বাড়ে, নির্ণয় করতে পারলে কিছু প্রতিরোধক ওষুধের সাহায্যে মাইগ্রেনজনিত ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার তীব্রতা মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথার চেয়ে কিছুটা কম। কিন্তু স্থায়িত্ব কখনো কখনো এক সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত পরীক্ষা বা কোনো মানসিক চাপে থাকলে এই ব্যথা দেখা দিতে পারে।
চোখ ও কানের সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে চশমা ব্যবহার করতে হবে। পরিমিত ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া, চকলেট বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার, শিশুকে চাপমুক্ত রেখে সঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস করলে অনেকাংশে এই ব্যথা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধেই নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।
তবে নিচের লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই দ্রুত শিশু নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে—
১। মাথাব্যথার সঙ্গে খিঁচুনি।
২। প্রথমবারেই অতিরিক্ত তীব্র মাথাব্যথা।
৩। মাথাব্যথা কাশির সঙ্গে যদি বাড়ে, সকালের দিকে বেশি হয়, সঙ্গে বমি এবং চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
৪। যে মাথাব্যথায় বাচ্চা ঘুম থেকে জেগে যায়।
ছয় বছরের নিচের বাচ্চাদের যেকোনো মাথাব্যথাকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
মাথাব্যথা হলে সেটিকে উড়িয়ে না দিয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার। সাধারণ মাথাব্যথা যেমন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তেমনি জটিল কোনো রোগ হলেও দ্রুত নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

ডেঙ্গু জ্বরে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা এত জরুরি কেন?এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু এখন শুধু ঢাকা ...
28/08/2023

ডেঙ্গু জ্বরে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা এত জরুরি কেন?

এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু এখন শুধু ঢাকা শহর নয়, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। আগের তুলনায় এবার ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা অনেক বেশি।
ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এ ক্ষেত্রে রক্তনালি থেকে প্লাজমা বের হয়ে যায়। এতে শরীরে তরল পদার্থের পরিমাণ কমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আক্রান্ত হয়ে কার্যকারিতা হারায়, রোগীর মৃত্যু হয়।
ম্যাক্রফেজ অ্যাকটিভেশন সিনড্রোমও কিছু মৃত্যুর জন্যে দায়ী। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মারাত্মক ও জটিল ডেঙ্গু জ্বরের সঙ্গে ভিটামিন ডির অভাবের সম্ভাব্য সম্পর্ক রয়েছে।
মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বরে কী সমস্যা হয়
মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে অতিরিক্ত ডেঙ্গু ভাইরাস লোডের কারণে বিভিন্ন কোষ (টি সেল, মনোসাইট/ ম্যাক্রফেজ, এন্ডথেলিয়াল সেল) থেকে অতিমাত্রায় সাইটোকাইন নিঃসরিত হয়। আর এই প্রো-ইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনস ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও শক সিনড্রোম হওয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

ভিটামিন ডি কী কাজ করে
আমরা সবাই জানি, ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা মূলত আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। তা ছাড়া এই ভিটামিন আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও দ্রুত রোগমুক্তিতে বিশাল ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতা সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়ে তা কমাতে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন ডি মানবদেহে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোষের পরিমাণ কমায়, যা প্রকারান্তরে বিভিন্ন প্রো-ইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনসের নিঃসরণ কমায়। ফলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা হ্রাস পায়। এ ছাড়া ভিটামিন ডি ম্যাক্রফেজ নামক কোষের পৃথক্‌করণে সাহায্য করে; যা শরীরে দ্রুত ভাইরাস বৃদ্ধি হতে বাধা দেয় এবং ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কমাতে সহায়তা করে। উল্লেখ্য, আমাদের দেশের প্রায় ৭৫-৯০ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ভিটামিন ডির স্বল্পতায় ভুগছেন।
এই মুহূর্তে করণীয়
বাস্তবতা হলো, দেশে এখন ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা অনেক বেশি। অন্যদিকে আমাদের দেশের মানুষের ভিটামিন ডি সার্বিকভাবে কম। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে পরিচালিত দুটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের শরীরে দৈনিক ৪০০০ ইউনিট হারে ১০ দিন অথবা এক ডোজ ২০০০০০ ইউনিট ভিটামিন ডি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মারাত্মক ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় কমেছে। যেহেতু ভিটামিন ডি ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা কমাতে সহায়তা করে, তাই আমাদের লক্ষ্য হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত সবার শরীরে যেকোনো উপায়ে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডির জোগান নিশ্চিত করা।

ডা. রবি বিশ্বাস: শিশু হরমোন রোগবিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা শিশু হাসপাতাল

হারপিস জোস্টার কীডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজি, মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা|হারপিস জোস্টার এক ধরনের ভাইরাসজ...
28/08/2023

হারপিস জোস্টার কী
ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজি, মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা|

হারপিস জোস্টার এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। হারপিস ভাইরাস স্নায়ুকোষে আক্রমণ করে এই রোগ সৃষ্টি করে। হঠাৎ একদিন ত্বকের একটি নির্দিষ্ট অংশে তীব্র জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এর পরপরই সেখানে ফুসকুড়ি ওঠে।

কারও জলবসন্ত ভালো হয়ে যাওয়ার অনেক দিন পরেও এর জীবাণু স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে। পরবর্তীতে কোনো কারণে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে এই জীবাণু সুপ্ত অবস্থা থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং আবারও আক্রমণ করতে পারে। মূলত একে ‘হারপিস জোস্টার’ বলে।
লক্ষণ: হঠাৎ করে ত্বকের এক পার্শ্বে তীব্র জ্বালাপোড়া ও ব্যথা করা। একই স্থানে জলবসন্তের ফুসকুড়ির মতো হয়। এটি সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট জায়গায় হয় এবং ডান অথবা বাম যেকোনো এক পাশে হয়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা: হারপিস জোস্টার নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরীক্ষা লাগে না। রোগীর ইতিহাস ও ত্বকের ফুসকুড়ি দেখেই হারপিস নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ দেখার জন্য ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু পরীক্ষা করা যেতে পারে।
চিকিৎসা: জোস্টার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ক্রিম খুবই কার্যকর। ব্যথা কমানোর জন্য প্রিগাবালিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের দানা অথবা ফুসকুড়ি চুলকাবেন না। প্রয়োজনে ঠান্ডা সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।

দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা: হারপিস জোস্টারের ফুসকুড়ি চলে যাওয়ার পরেও জ্বালাপোড়া অথবা ব্যথা অনেক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, একে ‘পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া’ বলে। পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া চিকিৎসায় প্রিগাবালিন অথবা এমিট্রিপটাইলিন জাতীয় ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি সেবন করতে হতে পারে। যত দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করুন, জোস্টার পুরোপুরি ভালো হতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগে। পোস্ট হারপেটিক নিউরালজিয়ার চিকিৎসা আরও দীর্ঘমেয়াদি; ক্ষেত্রবিশেষে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

27/08/2023

গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া :
কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার ঃ
------------------------------

গর্ভবতী মহিলাদের অ্যানিমিয়া হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। রক্তশূন্যতা হালকা অবস্থা যা উদ্বেগের কারণ নয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এটি সহজেই নিরাময়যোগ্য। তবে যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি মা ও শিশু উভয়ের পক্ষেই বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।

রক্তশূন্যতা কি? :
-------------------
একজন পূর্ণাঙ্গ বয়সের মানুষের যদি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১০-এর কম থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা একে রক্তশূন্যতা বলে অভিহিত করি। এর বিভিন্ন গ্রেড থাকে—মাইল্ড, মডারেট, সিভিয়ার। যদি কারো হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০ বা দশের বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা ধরে নিই, সে একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ। তার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণটা ঠিক রয়েছে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত, গর্ভাবস্থার আগে থেকেই রক্তস্বল্পতা থাকতে পারে। গর্ভাবস্থার পরেও এটি হয়তো থাকছে। আর দ্বিতীয়ত হলো, গর্ভাবস্থার কারণে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। কারণ, গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরের যে পানীয় উপাদান, সেটি বেড়ে যায়। তখন দেখা যায় যে সেলুলার যে কম্পোনেন্টগুলো থাকে, সেগুলো কমে যাওয়ার কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এক কথায় শরীরে রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের মোট পরিমাণ কমে যাওয়ার চিকিৎসাগত অবস্থাকে রক্তশূন্যতা বলে । ফলস্বরূপ, গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে, দেহে টিস্যু এবং ভ্রূণের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বহন করার জন্য পর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা থাকে না।

অন্যান্য পুষ্টির পাশাপাশি, একজন গর্ভবতী মা শিশুর বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য আরও রক্ত উৎপাদন করার জন্য আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ একটি খাবার প্রয়োজন। যখন এই খাদ্যতালিকাগত প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয় না, তখন আপনার রক্তস্বল্পতা হতে পারে।

সাধারণত একজন মহিলা তার দেহে প্রায় ৫ লিটার রক্ত ​​বহন করেন। গর্ভাবস্থায়, ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের চাহিদা মেটাতে, এই পরিমাণ তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে রক্ত ৭–৮ লিটারে পৌঁছায় যায়।

গর্ভবতী মহিলারা জন্য রক্তস্বল্পতা বেশি সংবেদনশীল, কারণ দেহ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্ত উৎপাদন করে। এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর লাল রক্তকণিকা এবং হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে অতিরিক্ত আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি১২ প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার ডায়েটের যত্ন না নেন তবে আপনার শরীরে এর অভাব হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়ার প্রকারগুলি:

আপনি কি জানেন যে ৪০০টিরও বেশি ধরণের রক্তাল্পতা রয়েছে? এর মধ্যে কয়েকটি গর্ভাবস্থায় সাধারণ। গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে যে রক্তাল্পতাগুলি দেখা যায়, তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ:

০১) আয়রন–ঘাটতি জনিত রক্তাল্পতা:

হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রোটিন, যা ফুসফুস থেকে সারা শরীরের অক্সিজেন বহন করে। আয়রনের ঘাটতি জনিত রক্তাল্পতা এমন একটি শর্ত যা শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করার জন্য পর্যাপ্ত আয়রন থাকে না। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতির লক্ষণগুলি গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে বেশ সাধারণ।
আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্ত ​​শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন বহন করে না। এটি মা এবং ভ্রূণ, উভয়কেই প্রভাবিত করে।

০২) ফোলেট–অভাবজনিত রক্তাল্পতা:

ফোলেট হল এক ধরণের ভিটামিন বি, যা দেহের জন্য নতুন কোষ তৈরি করতে প্রয়োজন। এটি স্বাস্থ্যকর লাল রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায়, ফোলেটের প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। ফোলেটের অভাবের কারণে স্বাস্থ্যকর লাল রক্ত ​​কণিকার পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে।

ফোলেটের অভাবজনিত রক্তাল্পতা নিউরাল টিউবের অস্বাভাবিকতা (স্পিনা বিফিডা) এবং জন্মের কম ওজনের মতো মারাত্মক জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

০৩) ভিটামিন বি১২–র অভাবজনিত রক্তাল্পতা:

কোবালামিন বা ভিটামিন বি১২ লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল মহিলা তাদের ডায়েটে দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, মাংস অন্তর্ভুক্ত করেন না, তারা ভিটামিন বি১২–র অভাবজনিত রক্তাল্পতায় ভোগেন। এই অবস্থায়, প্রয়োজনীয় পরিমাণে রক্তের উৎপাদনে প্রতিবন্ধক হয়।

কখনও কখনও, একজন গর্ভবতী মা প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি১২ গ্রহণ করতে পারে, তবে শরীর ভিটামিন প্রক্রিয়া করতে অক্ষম হতে পারে। এটি হবু মায়ের মধ্যে রক্তাল্পতার বিকাশ হতে পারে।

ভিটামিন বি১২–র অভাবটি প্রাক–মেয়াদ বা অকাল প্রসব অথবা গুরুতর জন্মগত ত্রুটি যেমন নিউরাল টিউবাল অস্বাভাবিকতার কারণ হিসাবে পরিচিত।

গর্ভবতী অবস্থায় অ্যানিমিয়ার লক্ষণসমূহ:

প্রাথমিকভাবে, গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার লক্ষণগুলি হালকা হতে পারে; তবে এগুলি উপেক্ষা করলে ঝুঁকি হয়। সময়ের সাথে সাথে লক্ষণগুলি আরও খারাপ হতে পারে এবং চিকিৎসা করতে হবে যাতে পরে জটিলতা না ঘটে। হালকা রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে, কেউ কোন লক্ষণ দেখায় না। তবে, এটি গুরুতর আকার ধারণ করার সাথে সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি বিকাশ করতে পারে:

ক্লান্তি ও দুর্বলতা
মাথা ঘোরা
শ্বাস–প্রশ্বাসের দুর্বলতা
ফ্যাকাশে ত্বক
দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
বুক ব্যথা
ঠান্ডা হাত পা
রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা বা চুলকানির সমস্যা।

আপনি যদি এই লক্ষণগুলির কোনটি অনুভব করেন, তবে আপনাকে অবশ্যই অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

এই লক্ষণগুলি সাধারণত আয়রণ ট্যাবলেট, ফোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি১২ পরিপূরকের মত খাদ্য পরিপূরক দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা যায়।

মনে রাখবেন, কিছু পরিমাণ ক্লান্তি ও দুর্বলতা গর্ভাবস্থায় অপরিহার্য, এবং এটি দেহে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের কারণে স্বাভাবিক হয়। আতঙ্কিত হবেন না, ডাক্তার আপনাকে সেরা গাইড করবে।

গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার কারণ কী?:

বিভিন্ন কারণ রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলাদের রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। ঝুঁকি বেশি থাকে যখন:

-মহিলা একাধিক শিশু সহ গর্ভবতী
-গর্ভবতী মহিলার অতিরিক্ত বমি হলে
-গর্ভবতী হওয়ার আগেও মহিলার রক্তাল্পতা ছিল
-গর্ভবতী মা আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার খান না
-একসাথে দুটি গর্ভাবস্থা আছে
-কিশোরী বয়সে গর্ভবতী।

অ্যানিমিয়ার ঝুঁকিগুলি:

আয়রন, ফোলেট বা ভিটামিন বি১২–র অভাবজনিত কারণে গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি শিশু এবং মায়ের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিকার :

১. গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

২. রক্তে হিমোগ্লোবিন শতকরা ১০ গ্রামের কম থাকলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩. কলিজা, মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি, মটরশুঁটি, শিম, কলা, পেয়ারা, আনারের মতো আমিষ, ভিটামিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।

৪. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে।

৫. কোনো সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিত্‍সা করাতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত চেকআপ ও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতি তিন মাসে অন্তত একবার করে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করাতে হবে।

৬. রক্তাল্পতা থাকলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্‍সা করাতে হবে।

সুস্থ শিশুর জন্মের প্রধান শর্ত মায়ের পূর্ণ সুস্থতা। তাই উভয়ের সার্বিক সুস্থতার জন্য গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে |

10/08/2023
10/08/2023

Address

256/1 Nobinbagh, Khilgoan. Dhaka 1219
Dhaka

Telephone

+8801919584198

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yeasmin Medical Hall posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Yeasmin Medical Hall:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram