Matritto - মাতৃত্ব

Matritto - মাতৃত্ব A social business solving problems around pregnancy, parenting and motherhood

মাতৃত্ব ডট কম বাংলা ভাষায় মাতৃত্ব, গর্ভধারণ ও শিশুপালন সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আমরা বাংলাভাষী মা-বাবাদের প্রাথমিক তথ্যের উৎসে পরিণত হবার লক্ষ্যে প্রতিদিন এমন সব কন্টেন্ট যোগ করছি, যা মা-বাবাদের প্রতিদিনকার জীবন সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

"মম ব্রেইন" বা "বেইবি ব্রেইন" বলতে গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের পর অনেক মায়ের যে সাময়িক ভুলোমনা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং মস্...
04/11/2025

"মম ব্রেইন" বা "বেইবি ব্রেইন" বলতে গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের পর অনেক মায়ের যে সাময়িক ভুলোমনা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং মস্তিষ্কে ঝাপসাভাব (brain fog) দেখা যায়, সেটাকেই বোঝানো হয়। এর মূল কারণ হলো হরমোনের পরিবর্তন, ঘুমের ঘাটতি এবং শিশুর যত্ন নেওয়ার মানসিক চাপ। এই পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক এবং মাতৃত্বে মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতার মানিয়ে নেওয়ার ফলাফল।
মায়ের মস্তিষ্কে ধূসর পদার্থের (gray matter) পরিবর্তন হয় এই সময়। নতুন মা কে তার দায়িত্বের সাথে মানিয়ে নিতে এবং সন্তান লালনপালন সম্পর্কিত প্রক্রিয়ার প্রতি বাড়তি মনোযোগ সৃষ্টি করতে এই পরিবর্তন আসে। এসব মানসিক পরিবর্তন মা হয়ে ওঠা এবং অভিভাবকত্ব শেখার জটিল প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ।

একজন মা বুঝতে পারবেন তিনি "মম ব্রেইন" সিম্পটম এ ভুগছেন কিনা, যদি গর্ভাবস্থা বা মাতৃত্বের শুরুর সময় থেকে তিনি অস্বাভাবিক রকমের ভুলোমনা হয়ে ওঠেন, চিন্তাশক্তিতে ব্যাঘাত বা মনোযোগহীনতা অনুভব করেন। আগের মতো যেকোন কাজ সঠিক সময়ের মধ্যে করতে না পারা, যেকোন তথ্য মনে রাখতে না পারা, টানা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা ইত্যাদি। এসব মানসিক ও আবেগগত পরিবর্তন বাস্তব, যদিও একে ফরমালি রোগ হিসেবে ধরা হয় না। মূলত এগুলো হয় শরীরে হরমোনের পরিবর্তন, ঘুমের অভাব এবং নতুন দায়িত্বের চাপে।

যদিও মাঝে মাঝে ভুলে যাওয়া সবার জীবনেই ঘটে। কিন্তু একজন মা যিনি "মম ব্রেইন" ইস্যুতে ভুগছেন তার ক্ষেত্রে এটি আরও ব্যাপকভাবে এবং নিয়মিতভাবে ঘটে। একটি মূল লক্ষণ হল এই সমস্যাগুলো গর্ভাবস্থার আগের স্বাভাবিক মানসিক অবস্থার তুলনায় অনেক ভিন্নভাবে দেখা দেয়। স্বাভাবিক সময়ে একজন নারী যেকোন কাজে যেভাবে মনোনিবেশ করতে পারে, সেভাবে গর্ভাবস্থায় বা পরবর্তী সময়ে পারেনা। উল্ল্যেখযোগ্য পার্থক্য অনুভূত হয়। এটি অবশ্যই সাধারণ মনোযোগ বিচ্ছিন্নতার মতো নয়, "মম ব্রেইন" মস্তিষ্কে মাতৃত্বের জন্য ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের ফল, পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া কারণগুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী ঘুমের ঘাটতি, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ক্লান্তি, পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ও এতে বড় ভূমিকা রাখে।

ওয়াসিফা নূর তামান্না
আমানি চাইল্ডবার্থ এডুকেটর এবং ডুলা
Matritto - মাতৃত্ব

ইকটপিক প্রেগন্যান্সিডাঃ আব্দুর রহমানএই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাম ফলোপিয়ান টিউবে বিকশিত এক ইকটপিক প্রেগন্যান্সি — অর্থাৎ নিষি...
03/11/2025

ইকটপিক প্রেগন্যান্সি
ডাঃ আব্দুর রহমান

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাম ফলোপিয়ান টিউবে বিকশিত এক ইকটপিক প্রেগন্যান্সি — অর্থাৎ নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুর বাইরে, সাধারণত ফলোপিয়ান টিউবেই গিয়ে বসেছে।

– ফলোপিয়ান টিউব কখনোই জরায়ুর মতো প্রসারিত হতে পারে না, তাই ভ্রূণ বাড়তে থাকলে একসময় টিউব ফেটে যায় এবং শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
– ইকটপিক প্রেগন্যান্সির ক্লাসিক তিনটি লক্ষণ হলো:
১. তলপেট বা পেলভিক এলাকায় ব্যথা
২. মাসিক বন্ধ থাকা
৩. যোনিপথে রক্তপাত
– কাঁধে ব্যথা অনুভব হলে বুঝতে হবে শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে ডায়াফ্রাম উত্তেজিত হচ্ছে — এটি একেবারে অস্ত্রোপচারের জরুরি অবস্থা।

একবার টিউব ফেটে গেলে চিকিৎসা একটাই — অস্ত্রোপচার।
কখনও কেবল ভ্রূণটি অপসারণ করা হয় (salpingostomy), আর গুরুতর ক্ষেত্রে পুরো টিউবটাই কেটে ফেলা হয় (salpingectomy)।

ইকটপিক প্রেগন্যান্সি টিকে থাকার মতো গর্ভ নয়, কারণ ফলোপিয়ান টিউবে ভ্রূণ বিকাশ সম্ভব নয়।
সময়মতো চিনতে না পারলে এটি ভয়াবহ রক্তক্ষরণ ও মায়ের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

যেভাবে টিনএইজ সন্তানের প্রেম হ্যান্ডেল করবেন।বাদল সৈয়দ গতকাল টিনএইজ প্রেমের সমস্যা নিয়ে লিখেছিলাম। আজ লিখছি, এধরনের সমস্...
02/11/2025

যেভাবে টিনএইজ সন্তানের প্রেম হ্যান্ডেল করবেন।
বাদল সৈয়দ

গতকাল টিনএইজ প্রেমের সমস্যা নিয়ে লিখেছিলাম। আজ লিখছি, এধরনের সমস্যা বাবা-মা কীভাবে হ্যান্ডেল করবেন সে ব্যাপারে। একমাত্র ভুক্তভোগী জানেন এটি কত বড় সমস্যা। তাই এ লেখার মাধ্যমে একজন উপকৃত হলেও ধন্য হবো।

১। প্রথমে নিজেকে সামলান।

টিনএইজ বাচ্চার প্রেমের খবর জানলে মা-বাবা সাধারণত খুব দ্রুত রিয়্যাক্ট করেন। সাধারণত তা হয় রাগারাগি, কান্নাকাটি, চেঁচামেচি, মারধোর। দয়া করে এগুলো করবেন না। শান্ত থাকুন। এ ধরনের সমস্যা কমন। আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রথম হয়নি। তাই রাগারাগি বা খুব ইমোশোনাল আচরণ না করে ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করুন। এটা নিয়ে যত চেঁচামেচিই করুন না কেন সমস্যার সমাধান হবে না।বরং আপনার সন্তান আরো জেদি হয়ে উঠবে এবং কোনো কথা শুনবে না। তাই সবার আগে নিজেকে সামলান।

২। পার্টনারের সাথে আলোচনা করুন।

এ সমস্যার মুখোমুখি হলে স্বামী-স্ত্রী একান্তে তা কীভাবে মোকাবেলা করবেন সে ব্যাপারে আলোচনা করুন। এক্ষেত্রে মায়েরা অনেক সময় একটি ভুল করেন। তাহলো, ব্যাপারটি জানলে স্বামী রাগ করবেন ভেবে তা তাঁর কাছে গোপন রাখেন।নিজে নিজে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত বাচ্চার বাবা যখন জানতে পারেন তখন সমস্যাটি এত প্রকট হয়ে যায় যে, সমাধান অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই মা কিংবা বাবা যেই প্রথম ব্যাপারটি জানবেন, তিনি তা অপরজনকে জানাবেন। একার বুদ্ধিতে নয়, দুজনের বুদ্ধিতে সমস্যাটি মোকাবেলা করুন।

৩। সন্তানের সাথে খোলামেলা আলাপ করুন।

রাগারাগি না করে ব্যাপারটি নিয়ে সন্তানের সাথে খোলামেলা আলাপ করুন। বোঝার চেষ্টা করুন ব্যাপারটি কতদূর এগিয়েছে। তাকে নির্ভয়ে কথা বলার সুযোগ দিন। শোনার আগেই বিচারের রায় না দিয়ে তার বক্তব্য কী, কেন সে এ পছন্দে জড়ালো তা বলতে দিন। ওর বক্তব্য হয়ত আপনার পছন্দ হবে না, তারপরও শুনুন। এধরনের সমস্যা সমাধানে তার কথা শোনা অনেক কাজে লাগবে।

৪। ঠান্ডা মাথায় বোঝান।

তার বক্তব্য শোনার পর খুব ঠান্ডা মাথায় কেন আপনি এ সম্পর্ক সমর্থন করেন না তা বোঝান। বিপক্ষে বলার অনেক ক্লু ওর কথাতেই পেয়ে যাবেন। যেমন, যার সাথে সম্পর্ক তার অনিশ্চিত ভবিষ্যত, পারিবারিক ঝামেলা, যা ভবিষ্যতে সমস্যা করবে, এরকম অনেক ক্লু। তবে যাকে ওর পছন্দ তার বদনাম করবেন না, তার পরিবারকে টেনে এনে ছোটো কথা বলবেন না। এটি উলটো সমস্যা করবে। বরং ওকে বোঝান কেন এ সম্পর্ক প্র্যাকটিক্যাল নয়। ও যদি বুঝতে পারে আসলেই সম্পর্কটির ভবিষ্যত নেই তাহলে নিজেই সরে আসবে।

৫। টিনএইজ প্রেমের সমস্যা সম্পর্কে বলুন।

ওকে উদাহরণ দিয়ে টিনএইজ প্রেমে কী কী সমস্যা হয় তা বুঝিয়ে বলুন। আপনার আশেপাশেই এরকম উদাহরণ আছে। আমি গতকাল এধরনের প্রেমে কী সমস্যা হয় তা লিখেছি। চাইলে আমার পেইজ স্ক্রল করে তা পড়তে পারেন।

৬। ওর বন্ধুদের সাহায্য নিন।

এ বয়সের ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কথা যত শুনে তার চেয়ে বেশি শুনে ওদের বন্ধু বা সমবয়স্কদের কথা। তাই ওর সবচে কাছের বন্ধবান্ধব বা কাজিনের সাথে কথা বলুন। তাদের অনুরোধ করুন ওকে বুঝিয়ে বলতে। ওরা বোঝালে কাজ হতে পারে।

৭। হুমকি দেবেন না।

অনেক মা-বাবা এধরনের সম্পর্কের কথা শুনে যার সাথে সম্পর্ক তাকে হুমকি দেন, ভয় দেখান, ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করেন। প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে এর ফলাফল নেগেটিভ। এতে দুজনে জেদ আরো বাড়ে এবং শুধু জেদের কারণে আরো গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

৮। বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন।

এরকম সমস্যায় পড়লে নিজেকে সন্তানের কাছে শত্রু বানাবেন না। বরং তার বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন। সে বিশ্বাস করবে, আপনি মান-সম্মান বা নিজ স্বার্থে নয়, ওর ভালোর জন্য উপদেশ দিচ্ছেন। এরকম একটি জায়গা তৈরি করলে সে আপনার উপর আস্থা রাখবে এবং ভুল সম্পর্ক থেকে সরে আসবে।


৯। সবাইকে বলে বেড়াবেন না।

দয়া করে জনে জনে আলাপ করে পরামর্শ চাইবেন না। এতে আপনার সন্তান অপমানিতবোধ করবে এবং আরো জেদি হয়ে উঠবে। ফলাফল হচ্ছে, সম্পর্কচ্ছেদ না করে সে জিদ করে আরো বেশি জড়াবে।

১০। ওর অনুভূতিকে অপমান করবেন না।

টিনএইজ বাচ্চারা খুব অনুভূতিপ্রবণ। ওদের অনুভূতিতে আঘাত করলে ওরা কখনোই তা মেনে নেয় না। বরং উল্টো আচরণ করে। তাই ওর অনুভূতিকে আঘাত না করেই ওকে বোঝান। মাথায় হাত বুলান, বলুন, 'এ সম্পর্ক শেষ করার কষ্ট আমি বুঝি। কিন্তু জীবনের বাস্তবতায় আমাদের অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। তোমার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তোমাকেও মানতে হবে।'

১১। বিশ্বস্ত কারো পরামর্শ চাইতে পারেন।

জনে জনে না বললেও, খুব বিশ্বস্ত এবং আস্থা রাখা যায় এরকম কারো সাথে আলাপ করতে পারেন। যিনি পুরো প্রাইভেসি বজায় রেখে আপনাকে পরামর্শ দেবেন।

১২। ঘরে আটকে রাখবেন না: পড়াশোনা বন্ধ করবেন না।

পারতপক্ষে প্রেমের কারণে ওকে ঘরে আটকে রাখবেন না। যোগাযোগের এ যুগে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রেখে প্রেম আটকে রাখা যায় না। ওকে স্কুল-কলেজে যেতে দিন। তবে তাকে একটি কথা বলবেন, তাহলো, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করছি, এর অমর্যাদা করো না।‘ তার প্রতি এ শ্রদ্ধা ও আস্থা তাকে বন্দি রাখার চাইতে বেশি কাজ করবে বলে আমার ধারণা। তবে কতক্ষণ বাইরে থাকবে তা ঠিক করে দিন। যেমন, স্কুল বা কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে হবে। অন্যকোথাও গেলে কোথায় যাচ্ছে তা জানাতে হবে। নির্ধারিত সময়ে বাড়ি ফিরতে হবে। এধরনের পরিস্থিতিতে কখনোই পড়াশোনা বন্ধ করবেন না।এতে তার জীবন ধ্বং*স হয়ে যাবে।

১৩। একে অন্যকে দোষ দেবেন না।

এধরনের সমস্যায় অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে দোষারোপ করেন। বিশেষ করে বাচ্চার মাদের দায়ী করা হয়। দয়া করে তা করবেন না। বরং দুজনে একসাথে সমস্যা মোকাবেলা করুন। নিজেরা ঝগড়াঝাটি করলে বাচ্চাকে সামলাবেন কখন?

১৪। ইট'স অ্যা পিউর মাইন্ড গেইম।

মনে রাখবেন, আপনার সন্তানকে এ সমস্যা থেকে বের করে আনার জন্য আপনি একটি মাইন্ড গেইম খেলছেন। এতে কে জিতবে আপনি না আপনার সন্তানের সর্বনাশা প্রেম? আপনি জিতবেন, যদি কৌশলী হন।যে কৌশলগুলোর কথা বলেছি সেগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। মাইন্ড গেইম সাপ-লুডু খেলার মতো। একটি ভুল চাল দিলেন তো সাপ আপনাকে খেয়ে ফেলবে। তাই সাবধানে খেলুন। ভেবেচিন্তে খেলুন। আপনার জেতার উপর নির্ভর করছে সন্তানের ভবিষ্যত।


১৫। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর।

অপ্রিয় সত্য হলো, টিনএইজ এমন একটি বয়স যখন কথা শোনানো খুব কঠিন। তাই সম্পর্কে জড়ালে তা থেকে সরিয়ে আনা খুব কঠিন। সেজন্য তাতে যাতে না জড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এর জন্য যা করা দরকার তাহলো,

ক) টিন এইজে পা দিলেই সন্তানের সাথে এ ধরনের সম্পর্কের খারাপ পরিণতি নিয়ে খোলামেলা আচরণ করুন। আমার মেয়ে এ বয়সে পড়লে তার মা ব্যাপারটি নিয়ে ওর সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন। এটি খুব কাজে লেগেছে।

খ) তার প্রতি সতর্ক নজর রাখুন। কার সাথে মিশছে খেয়াল রাখুন। বন্ধুদের মাঝে মাঝে বাসায় ডাকুন।তাহলে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

গ। স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন। রাতে ঘুমানোর সময় ওর নাগালে এ দুটো বস্তু যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করুন। বাসায় ওয়াইফাই থাকলে তা রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ রাখুন। মোবাইল সেট আপনার কাছে জমা দিতে বলুন। একেবারে প্রথমদিকে যদি এ নিয়মগুলো বেঁধে দেন ও মেনে নেবে। তাই স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার আগেই এ শর্ত ক্লিয়ার করুন। গভীর রাতে বাচ্চার হাতে মোবাইল ফোন ‘ইবলিশ’ হয়ে উঠতে পারে।

শেষ কথা হচ্ছে, টিনএইজ সন্তানের প্রেমের কথা জানলে ঝাঁটা নিয়ে 'তোর প্রেম বের করছি' বলে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। লম্বা দম নিন, তারপর ভাবুন, 'আমি একটু যুদ্ধে নামছি এবং যুদ্ধে জিতে ঠান্ডা মাথা, গরম মাথা নয়। তাই আমার মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।'
তারপর যুদ্ধে নামুন। দেখবেন, আপনি জিতবেন।

#আসুনমায়াছড়াই



টিনএইজ প্রেম: তাহার চোখে তোমার সর্বনাশ।বাদল সৈয়দ আমার বয়স যখন পনের তখন মনে প্রেমভাব জাগ্রত হয়েছিল। উড়ুউড়ু প্রেমরোগ। এ রো...
01/11/2025

টিনএইজ প্রেম: তাহার চোখে তোমার সর্বনাশ।
বাদল সৈয়দ

আমার বয়স যখন পনের তখন মনে প্রেমভাব জাগ্রত হয়েছিল। উড়ুউড়ু প্রেমরোগ। এ রোগ ঝেঁটিয়ে দূর করেছিল, যাকে ভালো লাগত সে। কঠিন হৃদয়ের মেয়েটি ঠান্ডা গলায় বলেছিল, ' তুমি কি আমাকে পছন্দ করো?'
লজ্জিত চেহারা নিয়ে মাথা নাড়লাম।
সে মৃদু হেসে বলল, 'তোমাকে একটি কথা বলি। মেয়েদের কলেজ/ইউনিভার্সিটি গেলেই বিয়ে হয়ে যায়। আমারও সম্ভবত তাই হবে। তুমি তখনও ছাত্র। বিয়ে করার ক্ষমতা হবে না। নিজেই চলতে পারবা না। আবার বিয়ে! বউকে কী খাওয়াবা? ঘাস? কী বলছি বুঝছ?' তারপর কিছুটা ঝাঁঝালো গলায় বলল, 'আচ্ছা যাও, আর বিরক্ত করো না। বাসার নিচে হা করে দাঁড়িয়ে থেকে আমার দাঁত মাজা দেখার দরকার নাই।'
সেখানেই আমার বাল্যপ্রেমের সমাপ্তি।আমি খুব সৌভাগ্যবান কারণ মেয়েটি ছিল বুদ্ধিমতি। তাই আমার প্রেমের ডানায় আগুন ঢেলে দিয়েছিল। নয়ত নিশ্চিত বিপদে পড়তাম। কেন বিপদে পড়তাম? বিপদে পড়তাম, কারণ টিনএইজ প্রেমের সমস্যা অনেক। এটি এমন একটি সরল অঙ্ক যার ফলাফল অধিকাংশ ক্ষেত্রে শূন্য এবং এ প্রেম ব্যাকফায়ার করার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কীভাবে?
নিচে ব্যাখ্যা করলাম।

১। পড়াশোনার সর্বনাশ: ঘোর কেটে গেলে অন্ধকার।

টিনএইজে প্রেমভাব অস্বাভাবিক নয়। এটি এ বয়সের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য।বয়সটিই রঙিন। তাই সবকিছু রঙিন লাগে। সমস্যা হচ্ছে, জীবন আসলে রঙিন নয়। সাদা-কালো বাস্তব। সেই বাস্তবতায় টিকতেব হলে ভুল করা যাবে না। এ বয়সের প্রেম একটি বড়ো ভুল। তা জীবনকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে থমকে দেয়। কারণ প্রেমের ভুবনে থাকে ঘোর।সে ঘোর সবার আগে পড়ার টেবিল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ঘাড় সোজা হওয়ার আগেই সেটিকে কুঁজো করে ফেলে।শেষ পর্যন্ত জীবনটাই কুঁজো হয়ে যায়। তখন কেবল 'চারিদিকে অন্ধকার অমানিশার নিশা।'

২। জীবন গল্প-উপন্যাস নয়।

টিনএইজে জীবনটাকে গল্প-উপন্যাস মনে হয়। কিন্তু জীবন বইয়ের পাতার মতো রোমান্টিক নয়। কঠিন শিলাপাথর। গল্প-উপন্যাসে লেখকের কলমের খোঁচায় সব সমস্যার সমাধান হয়। প্রেমিক ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়, ভালো চাকুরি পেয়ে গাড়ি হাঁকায়, প্রেমিকাকে বিয়ে করে সুইজারল্যান্ডে হানিমুনে যায়। বাস্তবে প্রেমিক হয়ত পাস করে, কিন্তু চাকুরি পায় না, টেম্পুতে চরে, বাসে ঝুলে, সুইজারল্যান্ড তো দূরের কথা, ঈদেচাঁদে ভাড়ার টাকা না থাকায় গ্রামের বাড়ি যেতে পারে না। তাই জীবনকে গল্প-উপন্যাস না ভেবে এ বয়সে প্রেমফ্রেম না করে পড়ালেখা করলে একদিন হয়ত সুইস আল্পসে সত্যিই হানিমুনে যাওয়া হবে।

৩। খিটিমিটি মেজাজ।

টিনএইজ প্রেমের কারণে মন থাকে অস্থির। ব্যক্তিগত টানাপোড়েন, মান-অভিমান এসব কারণে মেজাজ হয়ে যায় খিটমিট। যার কারণে তারা সবার সাথে দুর্ব্যবহার করে। ফলে সবার সাথে দূরত্ব তৈরি হয় এ দূরত্ব পরে কোনো সেতু দিয়েই অতিক্রম করা যায় না।

৪। শারিরীক সমস্যা।

টিনএইজ প্রেম মনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলায় খাওয়াদাওয়া, ঘুম, ডেইলি রুটিন সবকিছুতে উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। যার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে শারীরিক সমস্যা। কিছুদিন আগে এক মা জানিয়েছিলেন, এ সমস্যার পড়ে তাঁর মেয়ে সারাদিন বন্ধ ঘরে দিন কাটায়। কখনো ইচ্ছে হলে খায়, নয়ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা না খেয়ে থাকে। রাত জেগে মোবাইল ফোনে কথা বলে। কোনো শাসন মানে না। একমাসে নাকি তার ওজন কমেছে দশ কেজি! দাঁড়ালে শরীর কাঁপে।

৫।সাপকে রশি ভাবা।

সবচে ভয়া*বহ হচ্ছে, এসময় সাপকে রশি ভেবে মারাত্মক ভুল করা হয়। কারণ এ বয়সে ম্যাচুউরিটি থাকে কম। তাই চিন্তাভাবনার ক্ষমতাও থাকে কম। সেজন্য মানুষ চিনতে ভুল হয়। এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি অনেককে সাপকে রশি ভাবার কারণে ধুঁকতে দেখেছি। মাসদুয়েক আগেই এ ভুলের কারণে পরিচিত একটি মেয়ে মারা গেছে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে তার মারা যাওয়াটাকে স্লো পয়*জনের সাথে তুলনা করা যায়।

৬। ব্ল্যাকমেইল।

এ বয়সে প্রেম ভেঙে গেলে বিশেষ করে মেয়েরা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে পারে। তাদের মেসেজ, চিঠি, কল রেকর্ড, এগুলো ব্যবহার করে জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। আর ভুল করে আরেকটু এগুলে তো বিপদের সীমা থাকে না। 'কালো হাতে' বন্দি হয়ে জীবন বরবাদ হয়ে যায়।

৭। মা*দ*কের নীল ছো*বল।

অনেক সময় টিনএইজ প্রেমের অন্যপ্রান্তে অপেক্ষা করে মা*দ*কের ছো*বল। বিশেষ করে ছেলেরা প্রেমে ব্যর্থ হলে এ ফাঁদে পা দেয়।আর মাদকের কবলে পড়া মানে দুনিয়াকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলা। আমি অনেককেই ব্যর্থ প্রেমের পরবর্তী ধাপে মাদকাসক্ত হিসেবে আবিষ্কার করেছি। তারা কখনোই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ভেঙেচুরে খান খান হয়ে গেছে। আমি নিজের চোখে একজন খুবই প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়কে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারাতে দেখেছি।

আমি জানি না আমার এ লেখা টিনএজাররা পড়বে কি না? পড়লেও অবশ্যই পছন্দ করবে না। ভাববে, বয়স্ক মানুষ , আবোলতাবোল কথা বলে। তাদের বলি, আমি আবোলতাবোল বলছি না। ঠিক কথা বলছি। কারণ তোমার বয়স আমি পার হয়ে এসেছি। তাই ওই বয়সের ভুলগুলো আমি বুঝি। তুমি বুঝো না। আমার বয়স হলে বুঝবে। তখন হয়ত একদিন এ ব্যাপারে আমার মতো তুমিও লিখবে। এভাবেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সমস্যা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। সর্বনাশটা নাভির নিচে ঘুষি মারলে শিক্ষা নেয়। 'কাঙালের কথা বাসী হলে ফলে'- কথাটি তো আর এমনি এমনি আসেনি।

পাদটীকা: আগামীকাল সম্ভব হলে মা-বাবারা কীভাবে বাচ্চাদের এ সমস্যা মোকাবেলা করবেন তা নিয়ে লিখব। ভালো কথা, আমার বাল্যপ্রেমে আগুন জ্বালানো মেয়েটি এখন নামকরা চিকিৎসক। আমরা প্রায়ই সেদিনের ঘটনা নিয়ে হাসাহাসি করি। তবে তাকে কখনো কৃতজ্ঞতা জানানো হয়নি। আজ জানিয়ে দিলাম।সে অতি কঠিন না হলে হয়ত আমারও সর্বনাশ হতো।

(লেখাটি শেয়ার করা যাবে)


#আসুনমায়াছড়াই



সন্তান হারা এক মায়ের আর্তনাদ- সামসুন নাহার প্রিয়া০১.১১.২০২৫সকাল ৯.৪৫টা। প্রিয় জোহা, আমার প্রিয় একেএম সলিহান সাকিন সিদ্দি...
01/11/2025

সন্তান হারা এক মায়ের আর্তনাদ
- সামসুন নাহার প্রিয়া

০১.১১.২০২৫
সকাল ৯.৪৫টা।

প্রিয় জোহা,
আমার প্রিয় একেএম সলিহান সাকিন সিদ্দিকী জোহা,
কিইইইইইইইইইইইইইইইই বিশাল নাম!
আর কি এইটুকুন একটা পাখি!!
কেমন আছো তুমি?
তোমার আম্মু ফাইটব্যাকের প্রগ্রেসে গতোকাল একটু
বেশিই লোড নিয়ে ফেলসিলো।
খিঁচুনি উঠে গেছে। বমি করে দিছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে।
এরপর ফাইনালি, দশদিন পর, তোমার দাদাবাড়ি থেকে তোমার আম্মুকে এক গ্লাস বীটরুটের জুস দেয়া হইসে। আমি জানি তুমি ওই ফাইটব্যাকের সময়টাতে অনেক কষ্ট পাইসো। আমিও পাইসি।
আমি তো খুশিই হয়ে গেছিলাম বোধয় ফাইনালি তোমার সাথে আমার দেখা হয়েই যাচ্ছে!
কিন্তু স্যাড!
বেকার খাটনি!
ঘুমটা সেই ঠিক ঠিক ভেঙ্গেই গেলো।
এই দুক্ষের পৃথিবীতে আরো একটা সকাল দেখতে হলো যেই সকালে আমার কোলে আমার বাবুনপাখি জোহা নাই।
জোহা পাখি, আমি এই দশদিন সবাইকে একটা কথাই জিজ্ঞেস করসি।
"আল্লাহ জোহাকে আমার কোলে একবার দিয়ে আল্লাহর কাছে নিয়ে গেলো। আমাকে একবার আল্লাহর কাছে নিয়ে গিয়ে আবার এই বিচ্ছিরি দুনিয়াতে ফেরত দিয়ে গেলো।"
কেন??
কেন আল্লাহ আমাকেও নিলো না?
কেন রেশমা আপা আর দশটা মিনিট লেট করে ওটিতে ঢুকলো না?
পেশেন্ট মরে যাবে এই ভয়ে সিএমসি পাঠিয়ে দিতে গিয়েও কেন পার্কভিউকে রেশমা আপা কল দিয়ে বললো "ওকে রাখো, ও আমার সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল পেশেন্ট। ওর বাচ্চা আমার কাছে সবচেয়ে ভ্যালুয়েবল কেইস।"????
কেন আমিই ওয়ান ইন মিলিয়ন কেইস হলাম?
কেন কাহিনি আমার সাথেই হইলো??
আমার ছেলে আমার কোলে নাই কেন??
জোহাবাবুন আমার কাছে নাই কেন??
কেন??
কেন???
কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন?
জানো পাখি,
আমি না ফাইনালি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি আলহামদুলিল্লাহ। কারণ আমি সবর করতাম। ধৈর্য ধরতাম। ধৈর্য ধরতে ধরতে তোমার আম্মুর জরায়ু শীতকালের টাটকা শিমের মতো মাঝখানে দুইভাগ হয়ে তুমি পুরো স্যাক সহ ইনট্যাক্ট বের হয়ে এসেছো।
তোমার এক্সিস্ট্যান্সের মধ্যে দিয়ে আল্লাহ আমাকে মেসেজ দিয়েছেন, "প্রিয়াবাবুন তুমি ইনফারটাইল না। কখনোই ছিলা না। তুমি একটা সুস্থ বাবুন জন্ম দিতে সক্ষম। দিয়েছোও। কিন্তু এটুকুই। এবার ওকে আমার কাছে দিয়ে দাও পাখি। এই দুনিয়াতে জোহার সাথে তোমার ক্রসওভার এতোটুকুই ছিলো। তোমার জন্যে আমার অনেক প্ল্যান আছে। তুমি সেই প্ল্যানের মেইন ক্যারেক্টার। তোমাকে অনেক কিছু করতে হবে। সব সাইকেল ভাঙতে হবে। তোমাকে একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট দিচ্ছি। এই নাটকের নাম " ছোটো আম্মু এবং তার আন্ডা বাচ্চা"। এই নাটকের মেইন ক্যারেক্টার তুমি। চাইলে বাঁশখালীর উঙ্গা বেগম, সাতকানিয়ার চুঙ্গা বেগম, তোমার শ্বাশুড়ি নাসিমা অথবা তোমার মা ফাতেমা যেকোনো কাউকেই সিলেক্ট করতাম। কিন্তু তোমাকে করলাম প্রিয়া পাখি। কারণ, তুমি One in a million.
তোমাকে এই নাটকটার শেষ পর্যন্ত প্লে করে যেতে হবে। কষ্ট হবে। আমি জানি। অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু থেমে থাকা যাবেনা। কষ্ট হলেও হাসতে হবে। বেশি বেশি ফ্রুটস খেতে হবে। তোমার কামব্যাক হবেই। আমি তোমার কামব্যাক হওয়াবোই। তোমার সবচেয়ে বড়, সবার প্রথম ফ্যানবয় তোমার ছেলে। ও উপরে বসে বসে তোমার এক্টিং দেখবে। তোমার সাথে হাসবে, তোমার সাথে কাঁদবে। তুমি যেদিন বেস্ট এক্ট্রেস ইন লীড রোল পাবে, সেদিন তোমার ছেলে তোমার সাথে স্টেজে উঠবে। ততোদিন পর্যন্ত এই দুনিয়াতে তোমার আমার স্ক্রিপ্টের সাথে এডজাস্ট করতে হবে। কিছু করার নেই পিও। এই নাটক শেষ হলে আমি তোমাকে জান্নাতে নিয়ে আসবো। সেটা হবে তোমার জন্য আলটিমেট হ্যাপি এন্ডিং।
তুমি সূরা দ্বুহা পছন্দ করো। দ্বুহা থেকে অরিজিনেট হওয়া নাম রেখেছো বাবুনের। জোহা। জিজিজোয়ির ছোট্ট বাবুন জোহা। তোমার লাইট, তোমার রেডিয়েন্স। তোমার জোহা। দুনিয়ার বুকে তোমার হ্যাপি এন্ডিং।
জোহাকে আমি আমার কাছে নিয়ে নিলাম। শুধু এটা বুঝানোর জন্য যে দুনিয়াতে কোনো হ্যাপি এন্ডিং হয়না। যেদিন আমার কাছে আসবে সেদিনই ওকে মন ভরে চুমু খেতে পারবে। ততোদিন জমিনে তুমি নাটক করো। তোমার দরকার শুধু সাপোর্ট। তোমাকে উপর থেকে আমি সাপোর্ট দিবো, আর নিচে আমার জমিনের প্রত্যেকটা মহিলা সাপোর্ট দিবে। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তুমি শুধু সুস্থ হও দ্রুত। বেশি বেশি ফ্রুটস খাও। আর কিলিগবাজি করো। এই বাসায় তোমার আরো পাঁচটা বাচ্চা আছে। মন খারাপ হলে ওদের চুমু খেয়ে নিও। আপাতত ব্রেইনের উপর চাপ বেশি নিও না। তোমার ব্রেইনের তার ছিড়া।
তাছাড়া, তোমার ডাকনাম প্রিয়াপু রাখলাম। ফেসবুকের সব শারীরিক, বাস্তবিক, মানসিক মা হারা বাচ্চা তোমারে এখন থেকে আম্মা/আম্মি/আম্মু ডাকবে। যার যেটা ইচ্ছা হয়। তুমি চিল করো। আপাতত বিদায়। চুমু নিও।💋♥️"

আমার জোহা,
আমার সোনাপাখি জোহা,
আমার কলিজার টুকরা না, আমার পুরো কলিজাই তুমি। আমার পুরা দুনিয়া তুমি, আমার মা তুমি, আমার পাখি তুমি, আমার জিজিজোয়ির ভাই তুমি, আমার সাহস তুমি, আমার সাইনশাইন, আমার আলো, আমার ভালোবাসা, আমার আত্মা, আমার প্রেতাত্মা, আমার অন্ধকার, আমার সাহস, আমার রাগ, আমার জিদ, আমার ঘৃণা, আমার ক্ষোভ, আমার অসহায়ত্ব, আমার প্রার্থনা, আমার অনুরোধ, আমার চিৎকার, আমার আবদার সব তুমি, সব সব সব সব সব সব সব সব সব তুমি। ইউনিভার্স থেকে আমার একটাই চাওয়া ছিলো। একটা সুন্দর গুলুমুলু ছেলে বাবুন। ফেসবুকে প্রিয়াপুর ভক্ত সবাই তোমার খাম্মি হয় পাখি।
উমরাহতে গিয়ে চাইলাম, দুনিয়ায় যতোজনের সাথে দেখা হলো সবাইকে বলে বলে দুয়া করায়েও চাইলাম।
রাস্তার পেগু পেগু কুকুরবাচ্চাদের বিস্কুট ঘুষ দিয়ে দিয়ে চাইতাম। জিজিজোয়িকে বলতাম "তোদেরকে এতো বছর ধরে নিজের টাকা দিয়ে খাওয়াচ্ছি, আল্লাহকে অন্তত একটু মেও মেও করে বল একটা ভাই দিতে!"

জোহা পাখি, আমার বাবুন। আমার ছেলে! আমার পাখি!! আমার কলিজা বাচ্চা!
সাতাশ বছরের এডজাস্টমেন্টস, একটা কমপ্লিট ইউটেরাইন রাপচার, বারো বছরের এন্ডোমেট্রিওসিস স্ট্রাগল, এক বছর বাচ্চা নেয়ার ট্রিটমেন্ট, এরপর ফাইনালি তুমি পেটে আসার পর আট মাসের মধ্যে অন্তত চল্লিশটা স্যালাইন, বারোটা আয়রন ইনফিউশন, সতেরোটা প্রজেস্টেরন শট নেয়ার পর, পুরো প্রেগন্যান্সির একা একা খালি বাসায় কাটায়, র‍্যান্ডমলি ফ্লোরে পাসড আউট হয়ে পড়ে থাকার পর আবার উঠে গিয়ে নিজের খাবার নিজে রেডি করে খেয়ে, সাথে চিটাইংগা ফ্যামিলি চোদাইন্না রেওয়াজ অনুযায়ী নিজের সাতমাসের খাবার নিজে একা একা দাঁড়ায় দাঁড়ায় রান্না করে দুইটা পাঁচ বাটির টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে তোমার দাদারবাড়িতে পাঠায়, অক্টোবরের ১৮ তারিখ রাত ২টা থেকে পরদিন অক্টোবরের ১৯ তারিখ সকাল ১২টায় আমাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগ পর্যন্ত মিনমিন করে কন্টিনিউয়াসলি জিকিরের মতো "আমাকে বাঁচান, আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান বলতে বলতে মরে গিয়ে, আবার সেখান থেকে আল্লাহর দয়ার আর বান্দার কিলিগবাজিতে বেঁচে ফিরে আসার পর, ২১ তারিখ বাদ মাগরিব আমার হাতে প্রথমবারের জন্য তোমাকে কোলে তুলে দেয়া হইসে।
আমার কোলে নেয়া লাগসে তোমার ডেডবডি।
এই দুনিয়াতে আমার আর কিছু দেখার বাকি নাই বাবা।
এই দুনিয়াতে আমার শোনারও কিছু বাকি নাই।
এই দুনিয়াতে আমি বেঁচে আছি শুধু কথা বলার জন্য। আর কিলিগবাজি করার জন্য।
আমার কলিজা, তুমি উপরে নানাভাই আর Tahmina Liza খাম্মির বিল্লু মেটেন ভাইয়ের সাথে খেলু খেলু করো। তোমার দাদাবাড়ির সব লোক সবর করুক।
জমিনে যা যা করতে হয়, আল্লাহর ইচ্ছায় সব তোমার মা করবে।
আল্লাহর ইচ্ছায় তুমি বাঁচোনাই, কিন্তু এই বাসায় তোমার বাকি ভাইবোনরা বাঁচবে। হাসবে। খেলবে। ছোটো আম্মু ওদের জন্য জান দিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।

০১.১১.২০২৫
১০.৩৩টা।

31/10/2025

৩০% ছাড়ে মাত্র ১০৪২ টাকায় প্রিনাটাল রেকর্ড কোর্সে ভর্তির শেষ দিন আজ

ব্রেস্টফিডিং মায়েদের  জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি:ব্রেস্টফিডিং নিজেই একটি জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। তবে এটা জন্মবিরতিকরণ হিসেবে কার্য...
29/10/2025

ব্রেস্টফিডিং মায়েদের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি:

ব্রেস্টফিডিং নিজেই একটি জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। তবে এটা জন্মবিরতিকরণ হিসেবে কার্যকর হওয়ার জন্য কিছু পূর্বশর্ত আছে। সেগুলো হল:
📌 বুকের দুধ ছাড়া শিশু অন্যকোন ধরনের খাবার খায় না।
📌📌📌 দিনের বেলায় দুই ফিডিং এর মধ্যেবর্তী সময় ৪ঘন্টার বেশি নয় এবং রাতের বেলা তা ৬ ঘন্টার বেশী নয়।
📌 শিশু ছয় মাসের কম বয়সী।
যদি মায়ের পিরিয়ড নতুন করে শুরু হয় বা শিশুকে ফর্মুলা বা অন্য কোন খাবার দিচ্ছেন বা উপরে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময়ের চেয়েও বেশি সময় বিরতিতে দুধ দিচ্ছেন তাহলে পুনরায় গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।
কিন্তু উপরের শর্তগুলো পূরণ হলে জন্মবিরতিকরণ হিসেবে কেবল বুকের দুধ খাওয়ামোর উপায় ৯৮ % পর্যন্ত কার্যকর হয়।

✅প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা : ডিম্বস্খলনের দিনগুলো খেয়াল করে সহবাস থেকে বিরত থাকা। একটা ২৮ দিনের চক্রে পিরিয়ড শুরুর ১২ তম দিন থেকে শুরু করে ২২ তম দিন পর্যন্ত ডিম্বস্খলন হতে পারে।

✅ব্যারিয়ার পদ্ধতি : কনডম, ডায়াফ্রাম, সার্ভিক্যাল ক্যাপ, ইত্যাদি। এগুলো দামে সস্তা ও কার্যকরী। ব্রেস্টফিডিংয়ের উপরও কোন প্রভাব ফেলে না।

✅ নন-হরমোনাল IUDs : Intra Uterine Devices. যেমন, কপার টি। এগুলোও ব্রেস্টফিডিংয়ে কোন প্রভাব ফেলে না। প্রসবের পর ২-৪ দিনের মধ্যে এগুলো লাগালে ভাল হয়। অথবা, ৬ সপ্তাহ পরেও লাগানো যায়।

✅ হরমোনাল IUDs : বিভিন্ন ধরনের পিল, ইমপ্লান্ট। কৃত্রিম হরমোন দুধের সরবরাহে প্রভাব ফেলে, এজন্য ব্রেস্টফিডিং মায়েদের এটা প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত নয়।
তবে,শুধুমাত্র প্রোজেস্টিন থাকা পিল হলে সমস্যা নাই (১)। ৬-৮ সপ্তাহের আগে ইমপ্লান্ট (নরপ্ল্যান্ট) নয়।

এস্ট্রোজেন থাকা পিল খেলে দুধের ফ্লো কমে যাবে।যদি এস্ট্রোজেন থাকা পিল খেতেই হয় ছয় মাস পর থেকে খাবেন।

🔎আমি কি আবারও প্রেগন্যান্ট হয়ে যেতে পারি?
মনে রাখবেন,
➡️যদি আপনার বাচ্চার বয়স ছয় মাসের কম হয়।
➡️যদি এখনও আপনার পিরিয়ড শুরু না হয়ে থাকে।
➡️যদি আপনার বাচ্চা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং বেবি হয় এবং সে বুকের দুধই খায়, কোন ফিডিং মিস করে না৷ অন্য কিছু এমনকি পানিও খায় না।
তাহলে ধরা যায়, ৯৮-৯৯% কার্যকর Lactational Amenorrhea Method (LAM)। অর্থাৎ ব্রেস্টফিডিংয়ে জন্মবিরতিকরণের সুফল পাওয়া যায়।

♻️ কিছু কথা:
নিজের শারীরিক অবস্থা ও সুস্থতার উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য সঠিক ও নিরাপদ স্বল্পমেয়াদী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতিটি বেছে নিন। তবে একজন মুসলিম মা হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি বেছে নেয়ার আগে নিজ নিজ মাযহাবের ফতোয়া অনুসরণ করুন। ifatwa, আলকাউসার, Islamqa ইত্যাদি যেকোন নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে ফতোয়া দেখে নিতে পারেন।

নাসরিন সুলতানা
আমানি চাইল্ডবার্থ এডুকেটর এন্ড ডুলা,
মাতৃত্ব।

তথ্যসূত্র:
(১) American Academy of Pediatrics Committee on Drugs (AAP). 2001. The transfer of drugs and other chemicals into human milk. Pediatrics 108:776-89.
বই :
1.The Womenly Art of Breastfeeding by La Lache League.
2. Breastfeeding Made Simple by Nancy Mohrbacher.

রেকর্ড প্রিনাটাল কোর্সে ৩০% ছাড় আর মাত্র ২ দিন। ছাড়সহ অর্ডার লিংক কমেন্টে
28/10/2025

রেকর্ড প্রিনাটাল কোর্সে ৩০% ছাড় আর মাত্র ২ দিন। ছাড়সহ অর্ডার লিংক কমেন্টে

26/10/2025

নাজমার প্রসববেদনা উঠেছে ভোর রাত থেকে। এটা তার দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সি । সে হিসেবে সবকিছু সহজ হওয়ার কথা । কিন্তু লেবার বেশ দীর্ঘ হওয়ায় শেষের দিকে গিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল, অথচ সেটা তার পুশ করার সময় । এদিকে বার্থ ক্যানালে বাচ্চা!

প্রসবকারী এই মা'কে সঙ্গ দিচ্ছিলেন আমাদের দৌলা ইন্টার্ণ নাসরিন সুলতানা ।

কী হয়েছিল শেষ পর্যন্ত? নাজমা কি সুস্থভাবে সন্তান প্রসব করতে পেরেছিল? টিয়ার হয়েছিল কি? সন্তান সুস্থ ছিল তো?

প্রায় সাত ঘন্টা ধরে কীভাবে নাজমাকে কোচ করলেন আমাদের দৌলা ইন্টার্ণ? অফলাইন ডুলা সেবা কেমন হয়? কী কী চ্যালেঞ্জ ছিল?

এই সবকিছুর উত্তর নিয়ে আমানিবার্থ CBE & Doula ট্রেইনি ও আমাদের দৌলা ইন্টার্ণ নাসরিন সুলতানা আসছেন অফলাইনে তার প্রথম দৌলা সেবার গল্প শোনাতে

শুধু নারীদের জন্য এই সেশন। link in comment

জানার শেষ না থাকলেও জানার চেষ্টা কখনোই বৃথা নাজীবনের জন্য উপকারী জ্ঞান অর্জন করতে প্রিনাটাল কোর্স করুন
25/10/2025

জানার শেষ না থাকলেও জানার চেষ্টা কখনোই বৃথা না

জীবনের জন্য উপকারী জ্ঞান অর্জন করতে প্রিনাটাল কোর্স করুন

প্রিনাটাল রেকর্ড ব্যাচে ভর্তিতে বিশাল ছাড়!১০৪৩ টাকায় ০৬ মাসের জন্য রেকর্ড কোর্সে ভর্তি চলছে।কোর্সে যা যা থাকছে- ১৬টি রেক...
23/10/2025

প্রিনাটাল রেকর্ড ব্যাচে ভর্তিতে বিশাল ছাড়!

১০৪৩ টাকায় ০৬ মাসের জন্য রেকর্ড কোর্সে ভর্তি চলছে।

কোর্সে যা যা থাকছে

- ১৬টি রেকর্ডকৃত ক্লাস, ০৬ মাস এক্সেস
- ১০টি বাছাইকৃত ইউটিউবের ব্যায়ামের ভিডিও
- প্রিনেটাল বুকলেট
- ফেসবুক গ্রুপে ও মাতৃত্ব ফোরামে প্রশ্ন করতে প্রয়োরিটি সাপোর্ট
- ৫৫০ টাকায় পুনঃভর্তি (যদি ০৬ মাস পর এক্সেস দরকার হয়)

ক্লাস টপিক
1. Prenatal Care
2. Pregnancy exercise
3. Pregnancy Nutrition
4. Pregnancy physiology
5. Pregnancy hormones
6. Labor and its stages
7. Expectation during birth and labor
8. Birth plan
9. Birth positions
10. Pregnancy complications
11. Preparation of Labor
12. Medical intervention & c section
13. Reduce medical intervention
14. Newborn care
15. Breastfeeding
16. Postpartum care

ভর্তির লিংক কমেন্টে

যেকোন বিষয় নিয়ে হাউকাউ করা সহজ, বিশেষ করে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তো আরো!তবে কাজের কাজ কয়জনেই বা করে?একটু আগে প্রিনাটাল ...
14/10/2025

যেকোন বিষয় নিয়ে হাউকাউ করা সহজ, বিশেষ করে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তো আরো!

তবে কাজের কাজ কয়জনেই বা করে?

একটু আগে প্রিনাটাল কোর্সের ১৪তম ব্যাচে এক আপু জয়েন করলেন।

"এই কোর্স থেকে আপনার বিশেষ কোন প্রত্যাশা" এই প্রশ্নের উত্তরে আপু লিখেছেনঃ

"আমি নরমাল ডেলিভারির জন্য শারীরিক মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে চাই, তাই এই কোর্সে জয়েন করছি।"

এবং উনি এখনো কনসিভ করেন নি।

আবার পড়ুনঃ এখনো কনসিভ করেন নি।

হাউকাউ না করে কোন বিষয় নিয়ে স্টাডি করা, রিসার্চ করা কিংবা শারীরিক, মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেয়াই হলো কাজের কাজ।

এই কাজের কাজী আপুটিকে স্যালুট

পুনশ্চঃ আজ সন্ধ্যা থেকে ১৪ ব্যাচের ক্লাস শুরু। ভর্তি হতে ইনবক্স করুন

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Matritto - মাতৃত্ব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Matritto - মাতৃত্ব:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram