islam.medicinecornere

06/12/2025

রাতে বাচ্চাদের সাথে

06/12/2025

🕌 পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম কানুন
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ হলো: ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব, ও এশা। প্রতিটি নামাজের নিজস্ব রাকাত সংখ্যা এবং নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। নিচে একটি সারণিতে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো, এবং এরপর প্রতিটি ধাপের সাধারণ নিয়মাবলী দেওয়া হলো।
১. রাকাত সংখ্যা এবং সময়
| নামাজ | ওয়াক্ত | মোট রাকাত | ফরজ রাকাত | সুন্নত (মুয়াক্কাদা) | বিতর (ওয়াজিব) |
|---|---|---|---|---|---|
| ফজর | ভোরের শুরু থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত | ৪ | ২ | ২ | - |
| যোহর | দুপুরের পর থেকে আসর পর্যন্ত | ১২ | ৪ | ৪+২ | - |
| আসর | যোহরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত | ৮ | ৪ | (৪) - গায়রে মুয়াক্কাদা | - |
| মাগরিব | সূর্যাস্তের পর থেকে এশা পর্যন্ত | ৭ | ৩ | ২ | - |
| এশা | মাগরিবের পর থেকে ফজর পর্যন্ত | ১৭ | ৪ | ৪+২ | ৩ |
> দ্রষ্টব্য: এই মোট রাকাত সংখ্যায় ( ) দিয়ে চিহ্নিত আসরের ৪ রাকাত সুন্নতটি হলো সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা (নফল/ঐচ্ছিক)। বাকিগুলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা (অত্যাবশ্যকীয়) এবং ওয়াজিব (আবশ্যক)।
>
২. নামাজের সাধারণ ধাপসমূহ
প্রতিটি নামাজ শুরু করার আগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি, যা নামাজের শর্তাবলী।
ক. নামাজের পূর্বশর্ত (শর্তাবলী)
* পবিত্রতা: শরীর, পোশাক এবং নামাজের জায়গা পাক (পবিত্র) হতে হবে। ওযু বা গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।
* সতর ঢাকা: পুরুষের নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীর মুখমণ্ডল ও দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত বাদে পুরো শরীর ঢাকা।
* সময়: ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর নামাজ পড়া।
* কিবলামুখী হওয়া: কাবা শরীফ (পশ্চিম) দিকে মুখ করে দাঁড়ানো।
* নিয়ত: কোন ওয়াক্তের কত রাকাত নামাজ পড়ছেন, তার নিয়ত করা (মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়, অন্তরের ইচ্ছাই যথেষ্ট)।
খ. নামাজের ভেতরের ধাপসমূহ (আরকান)
১. দাঁড়ানো (কিয়াম): কিবলামুখী হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
২. তাকবিরে তাহরিমা: হাত কান পর্যন্ত তুলে "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করা।
৩. হাত বাঁধা: পুরুষের নাভির নিচে এবং নারীর বুকের উপর হাত বাঁধা।
৪. সানা পড়া: (সুবহানাকাল্লাহুম্মা...)
৫. সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়া: প্রথমে সূরা ফাতিহা, এরপর কুরআন থেকে অন্য কোনো সূরা বা তার অংশ পড়া।
৬. রুকু: "আল্লাহু আকবার" বলে ঝুঁকে যাওয়া এবং রুকুর তাসবিহ (সুবহানা রব্বিয়াল আজীম) কমপক্ষে তিনবার পড়া।
৭. রুকু থেকে উঠা: "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলে সোজা হয়ে দাঁড়ানো এবং "রব্বানা লাকাল হামদ" বলা।
৮. সিজদা: "আল্লাহু আকবার" বলে মাটিতে কপাল, নাক, দুই হাত, দুই হাঁটু ও দুই পায়ের আঙ্গুল রেখে সিজদা করা এবং সিজদার তাসবিহ (সুবহানা রব্বিয়াল আলা) কমপক্ষে তিনবার পড়া।
৯. দুই সিজদার মাঝখানে বসা: প্রথম সিজদা থেকে উঠে সামান্য সময়ের জন্য বসা।
১০. দ্বিতীয় সিজদা: পুনরায় "আল্লাহু আকবার" বলে দ্বিতীয় সিজদা করা।
১১. তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু): শেষ বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়া।
১২. দুরুদ শরীফ ও দু'আ: শেষ রাকাতে তাশাহহুদের পর দুরুদ শরীফ (আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা...) ও অন্যান্য দু'আ পড়া।
১৩. সালাম ফেরানো: প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে মুখ ঘুরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ" বলে নামাজ শেষ করা।
৩. বিশেষ নিয়ম (যেমন: বিতর)
* বিতর নামাজ: এটি এশার ওয়াক্তের সাথে ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাজ। এর ৩য় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ার পর পুনরায় "আল্লাহু আকবার" বলে হাত তুলে বিশেষ দু'আ (দু'আ কুনূত) পড়তে হয়, এরপর রুকু ও সিজদা করতে হয়।
এই হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মূল ও সংক্ষিপ্ত নিয়মাবলী। আপনার কি নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্তের নামাজের ধাপগুলো ধাপে ধাপে জানতে চান?

06/12/2025

ভূমিকম্পের পর অনেক দিন ধরে মাথা ঘোরানো বা চক্কর (Dizziness/Vertigo) অনুভব করাটা বেশ কিছু কারণে হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলি হল:
* পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস (Post-Traumatic Stress): ভূমিকম্পের ভীতি ও মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে মাথা ঘোরার মতো শারীরিক লক্ষণ দেখা যায়।
* বেনাইন প্যারোক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV): তীব্র ঝাঁকুনি বা আঘাতের কারণে কানের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গ (inner ear) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা BPPV নামে পরিচিত এক ধরনের ভার্টিগো সৃষ্টি করে।
* মাইগ্রেন (Migraine): মানসিক চাপ বা আঘাতের ফলে মাইগ্রেন ট্রিগার হতে পারে, যা মাথা ঘোরার কারণ।
* সাধারণ দুর্বলতা/পুষ্টির অভাব: ভূমিকম্পের পরের পরিস্থিতিতে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া বা বিশ্রাম না হলে দুর্বলতা থেকে মাথা ঘুরতে পারে।
🩺 করণীয় এবং পরামর্শ
১. প্রাথমিক চিকিৎসা এবং বিশ্রাম:
* মাথা ঘোরার সময় বসে পড়ুন বা শুয়ে পড়ুন যাতে পড়ে গিয়ে আঘাত না লাগে।
* মাথা বা শরীরের হঠাৎ নড়াচড়া এড়িয়ে চলুন। ধীরে ধীরে উঠুন এবং বসুন।
* পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং সুষম খাবার খান।
২. চিকিৎসকের পরামর্শ (Doctor Consultation) অপরিহার্য:
* যেহেতু এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা, তাই যত দ্রুত সম্ভব একজন নিউরোলজিস্ট (স্নায়ু বিশেষজ্ঞ) অথবা একজন ইএনটি (কান, নাক, গলা) বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
* ভারসাম্যজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসক BPPV নির্ণয় করতে পারেন এবং এপ্লি ম্যানুভার (Epley Maneuver)-এর মতো সহজ কৌশল বা কিছু ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন।
* মানসিক চাপ বা উদ্বেগের জন্য প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিস্ট বা সাইকোলজিস্টের কাছে যাওয়ার দরকার হতে পারে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন (Mental Health Care):
* নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Breathing exercises) এবং হালকা মেডিটেশন করুন, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
* শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
* যদি সম্ভব হয়, কাউন্সেলিং বা সাপোর্ট গ্রুপের সাহায্য নিন। ভূমিকম্পের মতো বড় ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে এটি সহায়ক।
৪. শারীরিক কার্যকলাপ:
* চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অল্প অল্প করে হাঁটাচলা শুরু করুন।
* বিশেষ করে ভারসাম্যজনিত ব্যায়াম (Vestibular Rehabilitation)-এর জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

25/11/2025

ইসলাম মেডিসিন কর্ণারের
দু জন ফার্মাসিস্ট
আমরা সকলের সেবাই।
সবসময় প্রস্তুত।
সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত

21/11/2025