Nutritionist Helena Akter

Nutritionist Helena Akter Certified Nutritionist & Diet Consultant specializing in child nutrition, weight management, and personalized dietary solutions.

Dedicated to promoting lifelong healthy eating habits and informed choices for all age groups. Helena Akter is a passionate and dedicated Nutritionist & Diet Consultant specializing in child nutrition, maternal health, and therapeutic diet planning. With a strong academic background in Nutrition and Food Science and hands-on experience working in both clinical and field settings, Helena is committed to helping individuals and families build healthier lives through informed dietary choices. As a mother herself, Helena brings empathy, real-life experience, and scientific knowledge into her counseling sessions. She understands the everyday challenges parents face and offers practical, personalized nutrition solutions that are both culturally appropriate and achievable.

I am delighted to receive this thoughtful and delicious complimentary gift.My sincere thanks to BNWA-Bangladesh Nutritio...
24/11/2025

I am delighted to receive this thoughtful and delicious complimentary gift.
My sincere thanks to BNWA-Bangladesh Nutrition & Wellness Academy for inviting me as a jury member to the "Nutri Debate Championship 2025"
and for this generous token of appreciation.

It was truly an honor to be part of this educational initiative.

ডায়াবেটিস আজ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে সুখবর হলো, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও জীবনযাত্রার সঠি...
14/11/2025

ডায়াবেটিস আজ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে সুখবর হলো, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও জীবনযাত্রার সঠিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

এ বছর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য:

"know more and do more for diabetes at work"

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে:

➡️ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা
➡️ প্লেটের অর্ধেক রাখুন শাকসবজি ও ফল
➡️ সাদা ভাত/ময়দার খাবারের বদলে বেছে নিন উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার
➡️ অতিরিক্ত চিনি, সফট ড্রিংক ও জাঙ্ক ফুড কমান
➡️ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
➡️ স্ট্রেস কমান ও পর্যাপ্ত ঘুমান
➡️ নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন

শিশুদের ক্ষেত্রেও সতর্ক হন :

চিনি-সমৃদ্ধ খাবার, স্ক্রিন টাইম ও শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ার কারণে শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে!
আজ থেকেই শিশুদেরকেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শেখাতে শুরু করুন।

আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি-

ডায়াবেটিস যেন নিয়ন্ত্রণ না নেয় আমাদের জীবনের উপর,
বরং আমরাই নিয়ন্ত্রণ করবো ডায়াবেটিসকে!

📞 Nutrition Counseling | Child Nutrition
✉️ Inbox for personalized guidance

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

নবজাতকের চোখে হলুদ রং দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে কি করবেন? সোনামণির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি বার্তা: নবজাতকের জন্ডিস একটি খ...
10/11/2025

নবজাতকের চোখে হলুদ রং দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে কি করবেন?
সোনামণির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি বার্তা: নবজাতকের জন্ডিস একটি খুবই সাধারণ ঘটনা, কিন্তু খেয়াল রাখুন সব জন্ডিসই নিরীহ নয়!

​জন্ডিস কেন হয়?

​শিশুর রক্তে বিলিরুবিন নামক হলুদ রঞ্জক পদার্থ জমে গেলে ত্বক ও চোখ হলুদ দেখায়। ​বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক (ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস)। কারণ জন্মের পর লোহিত রক্তকণিকা দ্রুত ভাঙে এবং অপরিণত যকৃৎ (লিভার) সেই অতিরিক্ত বিলিরুবিন দ্রুত সরাতে পারে না।

​কখন সতর্ক হবেন?

​সাধারণত জন্ডিস ২ সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই চলে যায়।
​কিন্তু, যদি আপনার শিশুর চোখ বা ত্বকের হলুদ রং ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তবে সতর্ক হোন।

​২ সপ্তাহের বেশি জন্ডিস থাকলে কী করতে হবে?

​➡️ তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ: একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যান।

➡️ বিলিরুবিন পরীক্ষা: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা ও ধরন নির্ণয় করুন। সরাসরি বিলিরুবিন বেশি থাকা গুরুতর সমস্যার লক্ষণ।

➡️ অন্যান্য পরীক্ষা: ডাক্তার প্রয়োজনে লিভার ফাংশন টেস্ট, থাইরয়েড টেস্ট বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে পারেন।

​দীর্ঘস্থায়ী জন্ডিস কিছু গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন:

​পিত্তনালীর অ্যাট্রেসিয়া : পিত্তনালী বন্ধ থাকলে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুর মল সাদা হয়।

​হাইপোথাইরয়েডিজম: থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি।

​কিছু বিপাকীয় রোগ বা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ।

​সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় হলে সহজ চিকিৎসায় (যেমন ফটোথেরাপি) বা প্রয়োজনে বিশেষ চিকিৎসায় শিশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

​সচেতনতা, সঠিক পর্যবেক্ষণ এবং সময়মতো বিশেষজ্ঞের পরামর্শই আপনার শিশুর সুস্থ শৈশবের চাবিকাঠি।

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

সিজারের পর মায়ের বুকে দুধ আসে না!সবার মুখে মুখে কথাটি প্রায় প্রচলিত হয়ে যাচ্ছে।  সিজারে বাবু হয়েছে তাই বাবু দুধ পায় না।...
06/11/2025

সিজারের পর মায়ের বুকে দুধ আসে না!
সবার মুখে মুখে কথাটি প্রায় প্রচলিত হয়ে যাচ্ছে। সিজারে বাবু হয়েছে তাই বাবু দুধ পায় না।

​প্রথমেই বলি: এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা!

​সিজারিয়ান ডেলিভারি মানেই আপনার শিশুর জন্য বুকের দুধ আসবে না, এটা একদমই সত্যি নয়। এই ভুল ধারণাটি অনেক নতুন মাকে হতাশ করে, যা একেবারেই কাম্য নয়।

বুকের দুধ নামা নির্ভর করে মায়ের আত্মবিশ্বাসের উপর। এমন কোন ধারনা যদি প্রচলিত হয়ে যায় যে সিজার হয়েছে তাই দুধ খাওয়াতে পারবো না তাহলে সত্যিই সেই মা শিশুকে দুধ দিতে পারবেন না। বিষয় টা মনস্তাত্ত্বিক ও বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল।

​আত্মবিশ্বাস ও ​হরমোনের খেলা, ডেলিভারির ধরন নয়। দুধ উৎপাদন নির্ভর করে দুটি প্রধান হরমোন - প্রোল্যাক্টিন এবং অক্সিটোসিন এর ওপর। প্রসবের পদ্ধতি সিজার হোক বা স্বাভাবিক হোক এটা এই হরমোনগুলোর নিঃসরণকে থামাতে পারে না। প্রবল আত্মবিশ্বাস এই হরমোন নিঃসরণতে ত্বরান্বিত করে।

দেরি হতে পারে, তবে দুধ আসবে না এমন নয়। সিজারের কারণে মায়ের শরীরে ধকল, ব্যথানাশক ওষুধের প্রভাব এবং শিশুর সাথে ত্বকের স্পর্শ (Skin-to-Skin) শুরু করতে দেরি হওয়ার জন্য দুধ আসতে ১-২ দিন দেরি হতে পারে, কিন্তু দুধ আসবেই।

দ্রুত শুরু করুন: সাফল্যের চাবিকাঠি হলো অপারেশনের পর মা যখনই একটু সুস্থ বোধ করবেন, তখনই যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে স্তন্যপান করানো শুরু করুন। শিশুর ত্বকের স্পর্শ মায়ের আবেগ তরান্বিত করে। তাই শিশুকে জন্মের পর পরিবারের অন্য সদস্যদের বা আত্মীয় স্বজনের কোলে কোলে রেখে মায়ের থেকে দূরত্ব বাড়াবেন না।
শিশুর চোষাই হলো দুধ উৎপাদনের সেরা উদ্দীপক!

​ত্বকের সাথে ত্বকের স্পর্শ: মা ও শিশুকে যত বেশি সম্ভব একসাথে রাখুন।

​ঘন ঘন স্তন্যপান: প্রতি ১-২ ঘণ্টা অন্তর শিশুকে বুকের দুধ দিন।

​আশ্বস্ত হোন: মানসিক চাপ দুধ উৎপাদনে বাধা দেয়। নিজেকে শান্ত ও আশ্বস্ত রাখুন।

প্রয়োজনে ল্যাক্টেশন এক্সপার্ট এর সাহায্য নিন।

সিজার ডেলিভারির মা-বাবারা, আপনারা পারবেন! শুধু ধৈর্য ধরুন, আস্থা রাখুন এবং নিয়মিত স্তন্যপান করান। আপনার শরীরের উপর বিশ্বাস রাখুন!

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়াতে করণীয়: আপনার সোনামণির জন্য সেরা পুষ্টি নিশ্চিত করুন!বুকের দুধ উৎপাদন একটি জটিল কিন্তু প্রাকৃতি...
02/11/2025

মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়াতে করণীয়:
আপনার সোনামণির জন্য সেরা পুষ্টি নিশ্চিত করুন!
বুকের দুধ উৎপাদন একটি জটিল কিন্তু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা মূলত হরমোন এবং চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে।
অর্থাৎ, স্তন থেকে যত বেশি দুধ বের হবে, তত বেশি দুধ তৈরি হবে। সঠিক কৌশল এবং যত্নের মাধ্যমে বেশিরভাগ মা-ই পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করতে পারেন।
চলুন জেনে নিই, মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়াতে কী কী করা উচিত।

মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে কার্যকরী উপায়সমূহ:

>> ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ান:

- হরমোন উদ্দীপনা: এটি বুকের দুধ বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। শিশু যত বেশি এবং ঘন ঘন স্তন চুষবে, মায়ের শরীর থেকে প্রোলাক্টিন হরমোন তত বেশি নিঃসৃত হবে, যা সরাসরি দুধ উৎপাদন বাড়াবে।

- চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ানো: নবজাতককে নির্দিষ্ট সময় অন্তর না খাইয়ে, যখনই সে ক্ষুধার লক্ষণ দেখাবে (যেমন – মুখ নড়াচড়া করা, হাত চুষা, স্তনের দিকে মুখ ঘোরানো), তখনই দুধ খাওয়ান। দিনে অন্তত ৮-১২ বার দুধ খাওয়ানো উচিত।
- রাতে খাওয়ানো জরুরি: রাতে প্রোলাক্টিন হরমোনের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবেই বেশি থাকে, তাই রাতের বেলা দুধ খাওয়ানো দুধের সরবরাহ বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

>> সঠিক অ্যাটাচমেন্ট ও পজিশন নিশ্চিত করুন:

- কার্যকরী দুধ গ্রহণ: শিশু যদি সঠিকভাবে স্তনের সাথে সংযুক্ত না হয় (সঠিক অ্যাটাচমেন্ট), তবে সে পর্যাপ্ত দুধ টানতে পারে না এবং স্তনও ভালোভাবে খালি হয় না। ফলে পর্যাপ্ত উদ্দীপনার অভাবে দুধ উৎপাদন কমে যায়।

- সঠিক অ্যাটাচমেন্টের লক্ষণ: শিশুর মুখ যতটা সম্ভব হাঁ করিয়ে স্তনের বেশিরভাগ অংশ (শুধু বোঁটা নয়, তার আশেপাশের কালো অংশও) মুখে প্রবেশ করান। শিশুর নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে বাঁকানো থাকবে এবং চিবুক মায়ের স্তনে লেগে থাকবে।

- সহায়তা নিন: প্রয়োজন হলে একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, ধাত্রী বা ল্যাকটেশন কনসালটেন্টের সাহায্য নিন সঠিক অ্যাটাচমেন্ট ও পজিশন শিখতে।

>> উভয় স্তন থেকে দুধ খাওয়ান:

- প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর সময় উভয় স্তন থেকে দুধ খাওয়ান। একটি স্তন খালি হয়ে গেলে (বা শিশু নিজে ছেড়ে দিলে) অন্য স্তন থেকে খাওয়ান। এতে উভয় স্তনই ভালোভাবে উদ্দীপিত হবে এবং দুধ উৎপাদন বাড়বে।

>> পর্যাপ্ত তরল পান করুন:

- শরীরের হাইড্রেশন: দুধের প্রধান উপাদান পানি। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন (শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকা) দুধ উৎপাদনের জন্য খুবই জরুরি। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

- অন্যান্য তরল: এছাড়াও ফলের রস, স্যুপ, ডাবের পানি, বা হারবাল চা (যেমন – মেথি চা, মৌরি চা) পান করতে পারেন। তবে মিষ্টি পানীয় বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

>> পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন:

- শক্তি ও পুষ্টি: মায়ের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার দুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি যোগায়। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন (যেমন – মাছ, মাংস, ডিম, ডাল), জটিল শর্করা (যেমন – ভাত, রুটি, আলু), স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ (যেমন – সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফলমূল) রাখুন।

- নির্দিষ্ট খাবার নয়: কোনো বিশেষ খাবার (যেমন – লাউ, পেঁপে) দুধ বাড়ায় বলে প্রচলিত থাকলেও, এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। বরং, সামগ্রিক সুষম খাদ্যাভ্যাসই গুরুত্বপূর্ণ।

>> পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন:

- শারীরিক পুনরুদ্ধার ও হরমোন: নতুন মায়ের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম খুবই জরুরি। মায়ের ক্লান্তি দুধ উৎপাদনকারী হরমোন প্রোলাক্টিনের নিঃসরণ কমিয়ে দিতে পারে। যখনই সুযোগ পান, বিশ্রাম নিন বা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, এমনকি দিনের বেলাতেও।

>> মানসিক চাপ কমান:

- অক্সিটোসিনের প্রভাব: অতিরিক্ত মানসিক চাপ দুধ উৎপাদনকারী হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণে বাধা দিতে পারে, যা দুধ নির্গমনে সমস্যা সৃষ্টি করে। অক্সিটোসিন নিঃসৃত না হলে দুধ স্তন থেকে সহজে বেরিয়ে আসে না।

- চাপমুক্ত থাকুন: যতটা সম্ভব চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিন, বন্ধুদের সাথে কথা বলুন বা প্রয়োজনে কাউন্সিলিংয়ের সাহায্য নিন। আরামদায়ক কার্যকলাপ (যেমন – হালকা সঙ্গীত শোনা, বই পড়া) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

>> ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করুন (প্রয়োজনে):

- অতিরিক্ত উদ্দীপনা: যদি শিশু পর্যাপ্ত দুধ টানতে না পারে বা আপনার দুধের পরিমাণ কম মনে হয়, তাহলে পাম্প ব্যবহার করে স্তন থেকে দুধ বের করুন। এতে স্তন উদ্দীপিত হবে এবং প্রোলাক্টিনের মাত্রা বাড়বে, ফলে দুধ উৎপাদনও বাড়বে।

- নিয়মিত পাম্পিং: দিনে ২-৩ বার পাম্পিং করলে দুধের সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। কাজের সময়ও পাম্প করে দুধ সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে যদি কারো পাম্পিং এর মাধ্যমে দুধ না আসে তবে এটা মনে করবেন না যে বাবু যখন সাক করে তখনও আসে না৷ কারন পাম্পে আবেগ নেই।

>> ত্বকের সাথে ত্বকের সংস্পর্শ (Skin-to-Skin Contact):

- নবজাতককে পোশাক ছাড়া মায়ের বুকে সরাসরি শুইয়ে দিন। এই ত্বকের সাথে ত্বকের সংস্পর্শ মায়ের অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা দুধ নির্গমন (লেট-ডাউন রিফ্লেক্স) এবং দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে। এটি মা ও শিশুর বন্ধনকেও দৃঢ় করে।

>> চিকিৎসকের পরামর্শ:

- যদি উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পরও দুধের পরিমাণ না বাড়ে বা আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা (যেমন – থাইরয়েডের সমস্যা), জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা অন্য কোনো শারীরিক কারণে দুধ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে, যার জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

বুকের দুধ উৎপাদনে হরমোনের ভূমিকা:

বুকের দুধ উৎপাদন মূলত দুটি প্রধান হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়:

১. প্রোলাক্টিন (Prolactin): এই হরমোনটি দুধ উৎপাদনের জন্য দায়ী। শিশু যখন স্তন চুষতে শুরু করে, তখন মায়ের শরীর থেকে প্রোলাক্টিন নিঃসৃত হয়। যত বেশি এবং ঘন ঘন স্তন উদ্দীপিত হয়, প্রোলাক্টিনের মাত্রা তত বাড়ে এবং দুধ উৎপাদন তত বেশি হয়।

২. অক্সিটোসিন (Oxytocin): এই হরমোনটি 'লাভ হরমোন' নামেও পরিচিত। অক্সিটোসিন দুধ নির্গমনে (let-down reflex) সাহায্য করে, অর্থাৎ এটি স্তন থেকে দুধ বের করে আনে। মা যখন তার শিশুকে দেখেন, স্পর্শ করেন বা ভালোবাসেন, তখন অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। মায়ের মানসিক অবস্থা (যেমন – চাপ বা উদ্বেগ) অক্সিটোসিনের নিঃসরণে বাধা দিতে পারে।

বুকের দুধ খাওয়ানো একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা মা ও শিশুর মধ্যে এক গভীর বন্ধন তৈরি করে। ধৈর্য ধরুন এবং নিজের প্রতি আস্থা রাখুন এবং আত্মবিশ্বাসী হোন। সঠিক হরমোন উদ্দীপনা এবং পুষ্টিকর জীবনযাপন আপনার সোনামণির সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।

আপনার বুকের দুধ বাড়ানোর অভিজ্ঞতা কেমন? নিচে মন্তব্য করে আমাদের সাথে আপনার মূল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

দুগ্ধদানকারী মায়েদের প্রতি জরুরি বার্তা: আপনার দুধ কি সত্যিই কম আসছে? ​আমাদের শরীর প্রয়োজনের চেয়েও ১/৩ ভাগ বেশি দুধ তৈরি...
31/10/2025

দুগ্ধদানকারী মায়েদের প্রতি জরুরি বার্তা: আপনার দুধ কি সত্যিই কম আসছে?
​আমাদের শরীর প্রয়োজনের চেয়েও ১/৩ ভাগ বেশি দুধ তৈরি করে কোনো বাড়তি চেষ্টা ছাড়াই!

তাহলে অধিকাংশ মায়েদেরই কেনো বলতে শুনি আমার বাবু দুধ পায় না! ​অধিকাংশ মায়ের দুশ্চিন্তার কারণগুলো আসলে ভুল ধারণা।

ভুল ধারণা, যা আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে:

​"কান্না মানেই ক্ষুধা?"
​সব সময় কান্না মানে ক্ষুধা নয়! ভিজা ডায়াপার, গ্যাস, ঘুম, গরম বা শুধু আপনার আদর পাওয়ার জন্যও শিশু কাঁদে।
হাত মুখে দেওয়া মানেও সব সময় ক্ষুধা নয়, এটা পৃথিবী এক্সপ্লোর করার উপায়।

​"বুকের দুধ কম আসছে?"
​পাম্পে কম এলেই দুশ্চিন্তা করবেন না। শিশুর কার্যকর চোষণ আপনার দুধ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উদ্দীপক। কারন পাম্পে কোন আবেগ নেই। শিশু যখন খায় তখন একটি আবেগময় সংকেত মায়ের মস্তিষ্কে পৌছায় এবং হরমোন সক্রিয় হয় যা পাম্পে কখনো হওয়া সম্ভব নয়।

ব্রেস্ট নরম/খালি লাগছে!
এর মানেই দুধ নেই এটা ভাবাও ভুল। খালি হলেই বরং আবার প্রোডাকশন হবে। যত দুধ বের হবে, তত নতুন করে তৈরি হবে (Demand = Supply)। নরম ব্রেস্ট মানেই ভালো রেগুলেশন।

একটু পরপর খেতে চাচ্ছে! (ক্লাস্টার ফিডিং)
একটু পর পর খেতে চাওয়া গ্রোথ স্পার্টের সংকেত! শিশু বেশি খেয়ে আপনার শরীরকে "বেশি দুধ তৈরি করো" অর্ডার দিচ্ছে। এর মানে আপনার সাপ্লাই ঠিকই বাড়বে।

আপনার শিশু দিনে ৮-১২ বার দুধ খেতে চাইতেই পারে। কারণ নবজাতকের পেট ছোট, আর মায়ের দুধ দ্রুত হজম হয়ে যায়। ঘন ঘন দুধ চাওয়া মানেই আপনার দুধ কম নয়, বরং এটি একটি স্বাভাবিক চাহিদা!

একজন নতুন মা হিসেবে আপনার মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে আপনার শিশু পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে কিনা।

শিশুর পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাওয়ার লক্ষণগুলো খুব সূক্ষ্ম, তবে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার সোনামণি যথেষ্ট পুষ্টি পাচ্ছে কিনা:

>> মলমূত্র ত্যাগ: এটি শিশুর পর্যাপ্ত দুধ পাওয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য লক্ষণ।

- প্রস্রাব: শিশুর জন্মের প্রথম কিছু দিনে প্রস্রাবের পরিমাণ কম থাকলেও, ৫-৭ দিনের মধ্যে দিনে ৬-৮ বার প্রস্রাব করা উচিত। নবজাতকের প্রস্রাব হালকা হলুদ রঙের হবে এবং কোনো তীব্র গন্ধ থাকবে না।
- মল: প্রথম কয়েকদিন শিশুর মল কালো বা গাঢ় সবুজ (মেকোনিয়াম) থাকবে। এরপর থেকে শিশুর মল নরম, হলুদ রঙের হবে এবং দিনে ৩-৪ বার বা তার বেশি মলত্যাগ করবে। প্রথম মাসগুলোতে প্রতিবার দুধ খাওয়ার পর মলত্যাগ করাও স্বাভাবিক।

>> ওজন বৃদ্ধি: জন্মের পর প্রথম ১৫ দিনে শিশুর ওজন কিছুটা কমে যাওয়া (সাধারণত জন্ম ওজনের ৫-১০% পর্যন্ত) খুবই স্বাভাবিক। এরপর থেকে শিশুর ওজন নিয়মিত বাড়তে শুরু করবে। ২ সপ্তাহের মধ্যে শিশুর জন্ম ওজন ফিরে আসা উচিত এবং এরপর প্রতি সপ্তাহে ১৫০-২০০ গ্রাম ওজন বাড়লে বুঝতে হবে সে পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে। নিয়মিত শিশুর ওজন পরিমাপ করান।

>> সন্তুষ্টি ও প্রশান্তি: দুধ খাওয়ার পর শিশু যদি সন্তুষ্ট ও শান্ত থাকে এবং কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ে, তবে এটি পর্যাপ্ত দুধ পাওয়ার লক্ষণ। শিশু দুধ খাওয়ার পর চটপটে ও সক্রিয় থাকলে বুঝতে হবে সে পুষ্টি পাচ্ছে।

​যদি উপরের লক্ষণগুলো দেখেও আপনি উদ্বিগ্ন থাকেন, তবে দেরি না করে একজন ব্রেস্টফিডিং কাউন্সিলর বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

​আত্মবিশ্বাসী হোন! আপনার শরীর আপনার সন্তানের জন্য সেরাটাই তৈরি করছে!

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

সিজার বা ডেলিভারির পর মাকে কি সত্যিই পুষ্টিকর খাবার দেয়া বন্ধ করে 'ঘরে তালা' দিয়ে রাখা উচিত?​প্রচলিত কুসংস্কার ও অনিয়ম:​...
24/10/2025

সিজার বা ডেলিভারির পর মাকে কি সত্যিই পুষ্টিকর খাবার দেয়া বন্ধ করে 'ঘরে তালা' দিয়ে রাখা উচিত?
​প্রচলিত কুসংস্কার ও অনিয়ম:

​আমাদের সমাজে প্রসব পরবর্তী মায়ের যত্ন নিয়ে কিছু পুরনো প্রথা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে, যা মায়েদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

​অপুষ্টিকর খাবার: কিছু কুসংস্কার অনুযায়ী প্রসবের পর মাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার (যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এবং বিভিন্ন একজাতীয় ফল) খেতে দেওয়া হয় না, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে এতে রোগ বাড়ে বা সেলাইয়ের ক্ষতি হয়। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং প্রসবের পর মায়ের সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন, কারণ তার শরীরকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে এবং বুকের দুধ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তির দরকার।

​অনেকে মনে করেন সিজারের পর টক জাতীয় ফল খেলে সেলাই পাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিটামিন-সি কাটা ছেড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। তাই বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য না জেনে নতুন মায়ের খাবারে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। মা পুষ্টিকর খাবার না পেলে শিশু বুকের দুধ থেকে বঞ্চিত হয়। সুতরাং একজন নবজাতক শিশু যেনো মায়ের বুকের দুধ খেয়ে সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেইভাবে মায়ের যত্ন নিন।

​ঘরে আবদ্ধ রাখা: অনেক ক্ষেত্রে প্রসবের পর মাকে দিনের পর দিন ঘরের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না, এমনকি সূর্যের আলোতেও যেতে বারণ করা হয় আতুর ঘর নামের এক নিয়ম পালনের দোহাই দিয়ে।
এতে মা মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবেও ভুগতে পারেন। হালকা হাঁটাচলা এবং সূর্যের আলো মায়ের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

মাকে ঠান্ডা লাগানো থেকে অতিরিক্ত ভয়: অনেক সময় মাকে ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচানোর নামে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা হয়, এমনকি গোসল করতেও নিষেধ করা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল। মায়ের সঠিক পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলকারী ঘরে থাকাই স্বাস্থ্যকর।

​ব্যথা কমানোর নামে ভুল চিকিৎসা: প্রসব পরবর্তী ব্যথা কমানোর জন্য অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত লোক দিয়ে শরীর মালিশ করানো হয় বা বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা হয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে এবং মায়ের শরীরে আঘাত লাগতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

​অতিরিক্ত গরম পোশাক পরানো: মাকে ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে অতিরিক্ত গরম কাপড় পরানো হয়, এমনকি গরমের দিনেও। এতে মা'র অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। ঋতু এবং আবহাওয়ার তারতম্য অনুযায়ী পোশাক পরিধান করা উচিত।

​জ্বীন-ভূতের ভয় বা নজর লাগার ভয়: নবজাতক এবং মা'কে জ্বীন-ভূতের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন তাবিজ-কবচ বা টোটকা ব্যবহার করা হয়। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এটি অপ্রয়োজনীয়। এই ধরনের কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা উচিত।

​চিকিৎসকের পরামর্শের বদলে গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসা: অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে গ্রাম্য হাতুড়ে বা অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তির কাছে চিকিৎসা নেওয়া হয়, যা মায়ের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে। সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে যাওয়া আবশ্যক।

​এই কুসংস্কারগুলো পরিহার করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি পরিবারে প্রসব পরবর্তী সময়ে সঠিক সচেতনতা নিশ্চিত করা গেলে মা'কে দ্রুত সুস্থ করে তোলা এবং তাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে শক্তিশালী রাখা সম্ভব।

মা আত্মবিশ্বাসী ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী হলে শিশু প্রথম দিন থেকে শালদুধ খাওয়া থেকে শুরু করে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ এবং ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত ঘরে তৈরি বাড়তি খাবারের পাশাপাশি মায়ের দুধ নিশ্চিত করা সম্ভব। এবং সেইসাথে মায়ের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন যা আমাদের দেশে প্রায় মহামারী পর্যায়ে চলে গেছে, এই মহামারী দূর করাও সম্ভব।

​আপনার পরিবারে কি প্রসব পরবর্তী মায়ের যত্ন নিয়ে কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতা বা কুসংস্কার প্রচলিত আছে? নিচে মন্তব্য করে জানাতে পারেন।


​©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এক আপু যিনি দেখতে সুন্দর এবং স্লিম তিনি বাচ্চা হওয়ার পরও নিজেকে কিভাবে ফিট রে...
21/10/2025

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এক আপু যিনি দেখতে সুন্দর এবং স্লিম তিনি বাচ্চা হওয়ার পরও নিজেকে কিভাবে ফিট রেখেছেন সেই টিপস শেয়ার করেছেন।

তিনি বলেছেন "ডাক্তাররা বাচ্চা হবার পর বেশি বেশি খেতে বলেন কিন্তু আমি প্রোটিন-ফ্যাট কমিয়ে শসা, লাউ, ফল সবজি বেশি খেয়েছি। বাবুর বুকের দুধ পেতেও সমস্যা হয় নাই।
এধরনের টিপস নন-টেকনিক্যাল পারসনরা সোসাল মিডিয়াতে অহরহ দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কি জানি বিষয় টা কতটা মারাত্মক?

ডাক্তাররা বাচ্চা হবার পর বেশি বেশি খেতে বলেন কেনো? নিশ্চয়ই কোন গুরুত্বপূর্ণ কারন আছে! এটা কি এতোটা হেলাফেলা করে উড়িয়ে দেবার মতো বিষয়?

এধরনের ফিটনেস টিপসগুলি পুষ্টিবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে একজন প্রসূতি মায়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও ভয়ংকর হতে পারে। বিশেষ করে যখন মা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছেন।

ফিটনেস ঠিক রাখতে গিয়ে যদি মা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন প্রোটিন ও ফ্যাট সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার কম খান, তবে মায়ের শরীর শিশুর পুষ্টি চাহিদা মেটাতে তার নিজের সঞ্চিত উপাদান ব্যবহার করতে থাকে।

এর ফলে, ভবিষ্যতে মায়ের শরীরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

​দীর্ঘমেয়াদি অপর্যাপ্ত খাদ্যাভ্যাসের কারণে মায়ের শরীরে যে প্রধান ঘাটতিগুলো দেখা যেতে পারে:

​১. ক্যালসিয়ামের ঘাটতি:

​কারণ: বুকের দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। মা যদি খাবার থেকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করেন, তবে শরীর শিশুকে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে মায়ের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম টেনে নেয়।

​সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা:

​অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়: ঘন ঘন গর্ভধারণ এবং অপর্যাপ্ত পুষ্টির সাথে দীর্ঘকাল স্তন্যপান করালে ভবিষ্যতে মায়ের হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে।

​দাঁতের সমস্যা: ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁত দুর্বল হয়ে যাওয়া বা ক্ষয় হওয়া।

​২. আয়রনের ঘাটতি:

​কারণ: গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় রক্তপাতের কারণে মায়ের শরীরে এমনিতেই আয়রনের ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রসবের পর সঞ্চিত আয়রন পুনরুদ্ধার না হলে এবং খাবার থেকে পর্যাপ্ত আয়রন না পেলে ভবিষ্যতে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া হতে পারে।

​সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা:
​ক্রনিক ফ্যাটিগ : দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা ও ক্লান্তি।

​রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস: রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি।

​৩. ভিটামিন ডি এর ঘাটতি :
​কারণ: ভিটামিন ডি প্রধানত সূর্যের আলো এবং কিছু ফ্যাটযুক্ত খাবার থেকে আসে। ফ্যাট কমানোর চেষ্টা করলে এবং পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পেলে এই ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

​সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা:
​হাড় দুর্বল হওয়া: ক্যালসিয়াম শোষণে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর অভাবে হাড়ের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

​অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি: ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করতে পারে।

​৪. ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি :

​কারণ: ভিটামিন বি১২ প্রধানত প্রাণীজ উৎস (যেমন মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার) থেকে আসে। যদি মা কঠোরভাবে নিরামিষাশী হন এবং সাপ্লিমেন্ট না নেন, তবে এই ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

​সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা:
​স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি: মায়ের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
​অ্যানিমিয়া।

​৫. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি:
​কারণ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (DHA) প্রধানত ফ্যাটযুক্ত মাছ এবং কিছু বীজ থেকে আসে। এই ফ্যাট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য দুধে সরবরাহ হতে থাকে। মা খাবার থেকে কম গ্রহণ করলে তার নিজের শরীরের সঞ্চিত ভান্ডার কমে যায়।

​সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা:
​মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব: ভবিষ্যতে মায়ের স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মেজাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

​মায়ের শরীর সবসময় শিশুর জন্য দুধের গুণগত মান বজায় রাখার চেষ্টা করে, ফলে মায়ের নিজস্ব স্বাস্থ্য সঞ্চয়ের মাধ্যমেই শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত হয়। তাই মা যদি প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার না খান, তবে সেই ঘাটতি শিশুর নয়, বরং মায়ের নিজের শরীরেই দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলে।

এই কারণে ব্রেস্টফিডিং মায়েদের সুষম খাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক “ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার” নিজেদের অভিজ্ঞতাকে বিজ্ঞান হিসেবে শেয়ার করেন,
যা অন্য মায়েদের ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে।

ফিট থাকা মানে ওজন কমানো নয়,
ফিট থাকা মানে হলো শরীর, মন, ও পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করা।

তাই কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের টিপস ফলো করার আগে,
যোগ্য পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কারণ, আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ
ফেসবুক পোস্টের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

আমি ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পে পুষ্টি এবং স্বাস্হ্য সেক্টরে কাজ করার সুযোগ ...
19/10/2025

আমি ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পে পুষ্টি এবং স্বাস্হ্য সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্তান প্রসবের বিষয়ে সচেতন করা—যাতে কোনো শিশু বাড়িতে অপ্রশিক্ষিত দায়ির হাতে জন্ম না নেয়।

​প্রসবকালীন ঝুঁকি কমানোর জন্য সঠিক স্থানে এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর হাতে প্রসব কতটা জরুরি সেটা আজ প্রায় অধিকাংশ রোহিঙ্গা মায়েরা ঠিকই শিখে গেছে ।

অথচ আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে শিক্ষিত বাঙালিরা এই যুগে উল্টো পথে হাটা শুরু করার জন্য কিছু কিছু গ্রুপ ক্যাম্পেইন করছি। পর্দার দোহাই দিয়ে!! নারী ডাক্তার, নার্সের সামনেও নাকি পর্দা লাগবে! 🤦‍♀️
তাই বাড়িতে নরমাল ডেলিভারিতে উৎসাহ প্রদান করে তালিম করা হয়! 😢

জীবনের এমন একটা জটিল মুহূর্তে লজ্জা ধরে রেখে বিপদেও পড়তে রাজি আছেন। মরে গেলে তো বলাই যায় - হায়াত ময়ত আল্লাহর হাতে!

আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মকে বাড়িতে প্রসবের কারণে যেসব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির মাধ্যমে আমরা আজ সেসব সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত।

​আগের দিনে বাড়িতে প্রসব করানোর কারণে মা ও শিশু উভয়ের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ত:

​অপরিষ্কার পরিবেশ এবং জীবাণুমুক্তকরণের জ্ঞানের অভাবে প্রসব-পরবর্তী সংক্রমণ বা 'সেপসিস' ছিল মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ। শিশুরাও নাভিতে ইনফেকশন বা ধনুষ্টঙ্কারের শিকার হতো।

​প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তপাত হলে তা সামাল দেওয়ার কোনো উপায় বাড়িতে ছিল না। সঠিক সময়ে রক্ত বন্ধ করার ব্যবস্থা না থাকায় বহু মা অকালে মারা যেতেন।

​দীর্ঘস্থায়ী প্রসবের ফলে প্রস্রাবের থলি বা মলদ্বারে ছিদ্র হয়ে যাওয়া (ফিস্টুলা) ছিল খুবই সাধারণ ও দুরারোগ্য সমস্যা, যা নারীকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করে দিত।

​প্রসব বিলম্বিত হলে শিশুর মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব বা শ্বাসকষ্টের কারণে নবজাতকের মৃত্যু অথবা দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতো।

​প্রসবকালীন কোনো মারাত্মক জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত অস্ত্রোপচার বা বিশেষ চিকিৎসা পাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

​হাসপাতালে প্রসবের মাধ্যমে যে সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে:

​প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিশ্চিত করার ফলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে:

​মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস হয়েছে।
​সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
​তাৎক্ষণিক জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।
​জন্মের পর যে সকল শিশুর নিবিড় পরিচর্যা (NICU) প্রয়োজন, হাসপাতালে সেই অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে।
ব্যথা ব্যবস্থাপনার সুযোগ রয়েছে।

​প্রত্যেক মা এবং শিশুর নিরাপদ প্রসব একটি মৌলিক অধিকার। ​নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের তালিম গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন যেখানে আপনাকে পর্দার দোহাই দিয়ে বাড়িতে প্রসোব করানোর জন্য উৎসাহ প্রদানকরা হয়।

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

আমরা প্রায়ই একটা অদ্ভুত ভুল করি। আমরা ভাবি, যিনি যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাঁর নিজের সেই সমস্যা বা রোগ থাকা চলবে না।​আমাদের ধা...
19/10/2025

আমরা প্রায়ই একটা অদ্ভুত ভুল করি।
আমরা ভাবি, যিনি যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাঁর নিজের সেই সমস্যা বা রোগ থাকা চলবে না।

​আমাদের ধারনাগুলো অনেকটা এরকম-

কার্ডিওলজিস্টের কখনো হার্ট অ্যাটাক হতে পারে না! সাইকোলজিস্টের কখনো ডিপ্রেশন হতে পারে না!
ডেন্টিস্টের কোন দাঁতের সমস্যা হতেই পারবে না! 🤦‍♀️

আপনার কি মনে হয় -

একজন ফায়ারম্যানের বাড়িতেও কি আগুন লাগতে পারে না?
একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার-এর বাড়িতেও কি ফাটল ধরতে পারে না?
একজন ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজর-এরও কি আর্থিক ক্ষতি হতে পারে না?
একজন আইনজীবী-রও কি আইনি জটিলতা আসতে পারে না?

​ঠিক একই ভাবে, আমরা যখন কোনো পুষ্টিবিদকে তাঁর শারীরিক গঠন (বিশেষ করে যদি তাঁর ওজন একটু বেশি বা কম হয়) তখন আমরা বলি:

"পুষ্টিবিদ হয়েও আপনি মোটা বা চিকন? আপনি অন্যদের কি পরামর্শ দিবেন?"

​এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল এবং ক্ষতিকারক। ✋

​প্রথমত, একজন বিশেষজ্ঞ তাঁর জ্ঞানের মাধ্যমে অন্যের চিকিৎসা বা সমস্যা সমাধানে সাহায্য করেন। তাঁদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, শারীরিক গঠন, বা অসুস্থতা—তাঁদের জ্ঞানের মূল্য বা পেশাদারিত্বকে কোনোভাবেই কমাতে পারে না।
আর পুষ্টিবিদের কাজ শুধু ওজন কমানো না।

পুষ্টিবিদের কাজ আসলে কী?

একজন পুষ্টিবিদের কাজ কেবল ওজন কমানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়;
বরং তাঁদের প্রধান ভূমিকা হলো —

ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, বয়স, জীবনযাপন ও রোগের যেমন - গর্ভাবস্হা, দুগ্ধদানকারী মা, নবজাতকের পুষ্টি, শিশুর খাদ্য ব্যবস্হাপনা, অটিজম ম্যানেজম্যান্ট বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের খাদ্যব্যবস্হাপনা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি, ক্যান্সার, পোস্ট সার্জারী, বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগ ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের ও বিশেষ শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যক্তিগত খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করা,
যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, পুষ্টির ভারসাম্য এবং রোগের সঠিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে এবং রোগীকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া আরো কিছু কাজ হলো —
খাদ্য শিক্ষা প্রদান করা,
খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা,
দেশের সামগ্রিক অপুষ্টি দূর করা,
স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গঠনে উৎসাহ দেয়া,
বিশেষ পরিস্থিতি যেমন গর্ভাবস্থা, শিশু বৃদ্ধি কিংবা ক্রীড়াবিদ এবং সেনাবাহিনীর পারফরম্যান্স বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করা।

অর্থাৎ, একজন পুষ্টিবিদের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য—
শুধু “ওজন কমানো” নয়।

একজন পুষ্টিবিদের নিজের ওজন বেশি থাকতেই পারে, কারণ তাঁর জীবনধারা, হরমোন, জেনেটিক্স বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা শিশু জন্মদানের পরের অবস্হানের জন্য ওজন কিছুটা বাড়তি থাকতেই পারে, যা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।

​সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: বডি শেমিং বন্ধ করুন!

​শারীরিক গঠন, ওজন বা চেহারার ওপর ভিত্তি করে কাউকে বিচার করা, অপমান করা বা খোঁচা দেওয়া শুধু অভদ্রতা নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

একজন পুষ্টিবিদ, মডেল, শিক্ষক, ফায়ারম্যান বা সাধারণ মানুষ—কারও শরীর নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার আমাদের নেই। ​শরীরের আকার যেমনই হোক, প্রত্যেকের সুস্থ ও সম্মানের সাথে বাঁচার অধিকার আছে।

আসুন, বিশেষজ্ঞ বা সাধারণ মানুষ—কারও শরীর নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। তাঁদের কাজ বা জ্ঞানের ওপর ফোকাস করি, শরীর নয়।

​সচেতন হোন, ইতিবাচক হোন, বডি শেমিং রুখে দিন!

©পুষ্টিবিদ হেলেনা আক্তার

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।​শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবুও মনের যত্ন নেওয়...
10/10/2025

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।

​শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবুও মনের যত্ন নেওয়ার কথা এলে আমরা অনেকেই চুপ থাকি বা লজ্জাবোধ করি।

​আসুন, আজ থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলি। সাহায্য চাওয়া সাহসিকতার লক্ষণ, দুর্বলতার নয়।

আপনার মানসিক সুস্থতা আপনার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

​আপনি যদি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যান, তবে আপনি একা নন। কথা বলুন, সাহায্য নিন। আপনার গল্প অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।


#বিশ্বমানসিকস্বাস্থ্যদিবস #মানসিকস্বাস্থ্য #মনেরযত্ন #কথা_বলুন

Address

Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Helena Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category