Dr.Raifur Rahman Rifat

Dr.Raifur Rahman Rifat ডা.রাইফুর রহমান রিফাত
আমরা স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করে থাকি।

ডাক্তারের কাজ কেবল লক্ষণগুলি ঠিক করার জন্য ওষুধ লিখে দেওয়া না।  লক্ষণগুলির পিছনে লুকিয়ে থাকা  রোগ নির্ণয় এবং  সেই রোগে...
17/11/2025

ডাক্তারের কাজ কেবল লক্ষণগুলি ঠিক করার জন্য ওষুধ লিখে দেওয়া না।
লক্ষণগুলির পিছনে লুকিয়ে থাকা রোগ নির্ণয় এবং সেই রোগের চিকিৎসা।৷
আরোগ্যে দিবেন আল্লাহতায়ালা,এটাও একটা রিযিক। আমার কাজ রোগ নির্নয়ের চেষ্টা এবং সাইড ইফেক্ট কম করে রোগ সারানোর ঔষধ দেয়া।

লক্ষণগুলি সারালে লক্ষণই কমবে,রোগ রোগের মত রয়ে যাবে। একজন রোগী বরিশালে ৪ বার আর আমতলি অগনিত দেখিয়েছেন শুধু সমস্যা তার গ্যাস্ট্রিক।পেট ফাপা পেটে ব্যাথা,আর কোন সমস্যা নাই।সবাই তার গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য উঠে পড়ে লাগছে,যাযা আছে এ দুনিয়ায় সব দেয়া শেষ।অতপর রোগীর টাকাও শেষ,জীবন প্রায় শেষ।
এবার এসেছেন গরীব ডাক্তারের কাছে।তার অনুমতি নিয়ে কথা রেকর্ড করলাম, নিচে AI দিয়ে Transcribe এর সারসংক্ষেপ দিলাম--
তার শুধু পেট ফাপা দিয়ে কতশত ইনফরমেশন পেলাম-
*পেট ফাঁপা এবং অস্বস্তি অনুভব করে, বাথরুম ব্যবহার করার তাগিদ।
* এই সমস্যাটি কেবল গত দুই মাস নয়, বহু বছর ধরে চলছে।
* গত দুই মাস ধরে রাতে ঠান্ডা লাগা অনুভব করে।
* পায়ে ব্যথা এবং হাত ও পায়ে ঝিঁঝিঁ
* শুয়া থেকে দাঁড়িয়ে বা বসে থেকে উঠার সময় মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথা ব্যথা অনুভব করে।
* মাথা ভারী এবং গরম অনুভূত হয়, মাঝে মাঝে মাথা ঘোরা।
* মনোযোগ দিতে এবং চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয়।
* উদ্বিগ্ন এবং অস্থির বোধ করে, বিশেষ করে সীমিত স্থানে বা তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের সংস্পর্শে এলে।

* আতঙ্কের মতো লক্ষণ অনুভব করে, যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং মরে যাওয়ার অনুভূতি।
* অতিরিক্ত ঘাম।
* উচ্চতা এবং দ্রুতগামী যানবাহনের ভয়।
*অ্যালার্জিজনিত সমস্যা অনুভব করে।
* **সাধারণ স্বাস্থ্য:**
* *মনে হয় তার চেহারা বদলে গেছে, "অন্ধকার" বা কম প্রাণবন্ত দেখাচ্ছে।
* অসঙ্গত মলত্যাগের অভিজ্ঞতা, কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি দেখা যাচ্ছে।
* রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব করার জন্য ঘুম থেকে ওঠে (২-৩ বার)।
* *রাতে পা গরম অনুভব করে।
* মূত্রাশয় অসম্পূর্ণ খালি হওয়ার অনুভূতি।

সবশেষে পেলাম -প্যানিক ডিসওরডার+আইবিএস-সি+জেনারালাইজড আ্যনস্কাইটি ডিসওরডার।।আজ ২ মাস রোগীর ঔষধ শেষ আল্লাহ সুস্থতা দিয়েছেন তাকে,দেখা করে দোয়া করে গেলেন।
একটা কথাই বলবো সব রোগ শরীরে নয় কৈউ কৈউ মনে এসে উকি দেয়,তার ফল ভোগে শরীর......

এক পেশেন্ট এলো ব্যাথার ঔষধ খেয়ে।তো আমি ভাবলাম ৫০ বছরের রোগী কি না কি হাই পাওয়ারের ব্যাথার ঔষধ দিলো!!পেশেন্ট এর ব্যাথা কম...
14/11/2025

এক পেশেন্ট এলো ব্যাথার ঔষধ খেয়ে।তো আমি ভাবলাম ৫০ বছরের রোগী কি না কি হাই পাওয়ারের ব্যাথার ঔষধ দিলো!!
পেশেন্ট এর ব্যাথা কমে না দেখে ফার্মেসীওয়ালার দরদ উতলে উঠলো।।।।।
এবং জীবনের মনে রোগীর ব্যাথা কমিয়ে দিলো।
কলাপাড়ার চাপলী বাজার থেকে এসেছেন উনি।চাপলীর ঘটনা গুলি দেখে মাঝেমধ্যে মনে হয় গরু ছগলকেও বোধহয় এত নির্মম ভাবে ধ্বংস করে না কোথাও।
ভদ্র মহিলা দিনে দুইবার করে ৩ টা আলাদা ব্যাথার ঔষধ পাচ্ছেন।
১.ন্যাপ্রোসিন ৫০০ দুইবেলা
২.ইন্ডমেট ৭৫ দুইবেলা
৩.Xtrafen(অ্যাসিক্লোফেনাক ২০০) এটাও দুইবেলা
৪.সাথে ফ্রেনস্কিট,সেফাক্লাভ,অ্যাজিথ্রমাইসিন একসাথে
বেশীকিছু না ফলাফল AKI( অ্যাকুউট কিডনি ইনজুরি-
ক্রিয়িটিনিন -৩.৪
এই খুনের বিচার পাবে কই মানুষ।
কলাপাড়া এমন ফার্মেসী দিয়ে উপকারের নামে খুন করে চলছে অনেকে,তারা আবার মানুষের কাছে ফেরেশতা।আল্লাহ কিন্তুু সবই দেখেন।
দোষ অনেকটা আমাদের ডাক্তারদেরও গরীবের দেশে আমরা পড়ি ইংল্যান্ডের গাইডলাইন আর আমাদের লোভ।এইদুইটার সুযোগ নেয় এরা।দিনশেষে আমাদেরই জীবন ধ্বংস।
কেউ কষ্ট পেলে পাবেন,শুধু তিলে তিলে খুন করা খুনী আার লোভী চিকিৎসকরাই পাবেন।।।

চেম্বারে বেশীরভাগ রোগী আসে যাদের ব্যাথার গল্প ৫-১৫ বছরের।ঢাকা বরিশাল অনেক দেখানো শেষ,শেষ মেষ আমার মতো এক মফস্বলের চেম্বা...
18/10/2025

চেম্বারে বেশীরভাগ রোগী আসে যাদের ব্যাথার গল্প ৫-১৫ বছরের।ঢাকা বরিশাল অনেক দেখানো শেষ,শেষ মেষ আমার মতো এক মফস্বলের চেম্বার করা ডাক্তার।কারন কোথাও গেলে ভালো হতে পারবে এই বিশ্বাসে,হয়তো যদি কিছু ঠিক হয়!!
যার জন্য পোস্ট দেয়া,৯০% রোগীদের একটাই কথা আগের ডাক্তাররা বলেছেন হাড়ে খয়ে গেছে।তাই সারাজীবন বিভিন্ন ঔষধ,ক্যালসিয়াম আর ব্যাথার বড়ি।কিন্তুু রোগ আর পিছু ছাড়ে না।
ভাই একটা কথাই বলবো হাড় কেনো খয় হলো কারনটা আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন।না বলতে পারলে কোথায় দেখানো উচিত ঐটা জিজ্ঞেস করুন।আমরা ডাক্তার রোগ ধরা আমাদের কাজ।ব্যাথার জন্য ব্যাথার বড়ি দেয়া ফার্মেসীওয়ালার কাজ। ডাক্তার ব্যাথার কারন খুজে নিরাময় করে,ব্যাথার বড়ি দিয়ে জীবন বাতি নিভায় না

তাই অবশ্যই আমাকে জিজ্ঞেস করুন রোগ কি আপনার।আমি না পারলে অন্য কেউ পারবে।তাই সচেতন হোন আর জিজ্ঞেস করেন।তবে ভাই সবার আগে ডাক্তারীর মতো কঠিন জিনিস না জানা ভন্ড থেকে ঔষধ খাইয়েন না,ঔষধের দোকানে ঔষধ বেচা লোক বসে,সে নিজের সন্তানকে ঔষধ দিতে পারে না কিন্তু আপনাকে দিতে পারে।সাবধান হোন জীবন টা শেষ কইরেন না

হামিদ বিন ইসমাইল হল পাকিস্তানের প্রথম রেকর্ডকৃত জলাতঙ্ক রোগ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং বিশ্বব্যাপী একমাত্র ২১তম পরিচি...
05/10/2025

হামিদ বিন ইসমাইল হল পাকিস্তানের প্রথম রেকর্ডকৃত জলাতঙ্ক রোগ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং বিশ্বব্যাপী একমাত্র ২১তম পরিচিত কেস। রাওয়ালপিন্ডির আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অফ প্যাথলজি এই মাইলফলক নিশ্চিত করেছে। সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড এবং লালার নমুনার রিয়েল-টাইম পিসিআর পরীক্ষায় রেবিস ভাইরাস আরএনএ নেগেটিভ আসার পর, যা সম্পূর্ণ সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। এই অভূতপূর্ব ফলাফল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশার আলো জাগায় এবং হামিদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের জন্য স্বস্তির মুহূর্ত আনে.....।বলে রাখি রেবিস হলে ১০০% মৃত্যু হত।

এক দাদী আসল কোমরে পায়ে ব্যাথা নিয়ে,অনেক ব্যাথা।আসলেই অনেক, বেশী না ৬৮ বছর বয়সে ২ টা রোলাক ইনজেকশন দিয়ে আসছে।আমিই খালি আজ...
28/09/2025

এক দাদী আসল কোমরে পায়ে ব্যাথা নিয়ে,অনেক ব্যাথা।আসলেই অনেক, বেশী না ৬৮ বছর বয়সে ২ টা রোলাক ইনজেকশন দিয়ে আসছে।আমিই খালি আজ পর্যন্ত দিতে পারলাম নাহ।জীবনযুদ্ধে মাঝে মাঝে এভাবেই পিছিয়ে যাই।যা হোক সব হিস্ট্রি নিলাম।ঔষধ কি খান বলতে প্রেশার,ব্যাথার ঔষধ মাঝে মাঝে।আর কিছু খান না, অনেকবার বলার পরও উত্তর একই।গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খান না দাদী? ও ওটা তো সবাই খায়,আমিও ডেইলি খাই। কত বছর?মনে নাই,৮-১০ বছরতো খাই ই,২০ এ ধরে না ৪০ লাগে। বাহ ভালো তো মুড়িড় মত মুড়ির ঔষধ।
তাহ দাদী কোমর তো দুনিয়া ছেড়ে যাবে ই।
আল্লাহ তো আর এসিড এমনে বানাই নাই কাজের জন্য তো বানাইছে।আল্লাহর দেয়া জিনিস বন্ধ করবেন, ভুগবেন না তা কি হয়।।
এই এসিডের কাজ কি জানেন,একটু বলি,

*খাবার হজমে সাহায্য করে (বিশেষ করে প্রোটিন, পেপসিন সক্রিয় করে)।

*খনিজ শোষণে সাহায্য করে (ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক)।

*ভিটামিন B12 শোষণে প্রয়োজনীয় Intrinsic factor সক্রিয় করে।

*ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করে সুরক্ষা দেয়।
তো আমাদের দাদীর হইছে-ক্যালসিয়াম কম শোষিত → হাড় ভাঙা
আসেন মুড়ীর ঔষধ কিনি,তেলে ভেজে খাই,ডাক্তার খারাপ ওরা কসাই।
বাট আমার বাড়ীর পাশের দোকানদার ফেরেশতা তিনি তো ঠিক টা ই দিবেন।
মনে রাখবেন নাপা লাগে জ্বরে কিন্তু এর খারাপ দিক আছে ৩০ পদের।

রোগী অনেক কবিরাজ, ফার্মেসির সবজান্তা প্রফেসর এবং জনৈক পরা টরা খেয়ে এসেছেন।সমস্যা ছিল জ্বর, হালকা কাশি অনেক কফ বের হত সকা...
26/09/2025

রোগী অনেক কবিরাজ, ফার্মেসির সবজান্তা প্রফেসর এবং জনৈক পরা টরা খেয়ে এসেছেন।
সমস্যা ছিল জ্বর, হালকা কাশি অনেক কফ বের হত সকালে,মুখে গন্ধ থাকত পরিষৃকারের পরও।উনি টিবির ঔষধ ও খেয়েছেন।শেষে,সব শেষ করে এলেন।হাত থেকে ফুসফুস সব খুজে পাওয়া গেল ফুসফুসের আ্যাবসেস।সাথে বাকিরা মিলে ওনাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগী বানিয়ে দিল সারাজীবনের জন্য।ডাক্তারী এত সোজা হলে, এত পড়া সারাজীবন শেষ করে পড়া লাগত না। খারাপ ভালো মিলিয়েই সমাজ(ডাক্তার মূলত)।তাই বলে এমন সর্বনাশ করার কি দরকার বাকীদের,কসাই নামটা শুধু ডাক্তারদের জন্যই তোলা থাকত।যেই ঔষধ দিবে বা খেতে বলবে, বলবেন এই ঔষধের ৫ টা খারাপ দিক বলুন,না পারলে কেটে পড়েন,আর কত মারবেন নিজেকে।(একটা কথা ডাক্তার বাদে যারা ঔষধ দিয়ে আপনাদের তথাকথিত উপকার করে, তারা কি তাদের সন্তানদের সেই ঔষধটা দিতে পারবে?)

ফ্যাটি লিভার সাধারণত খাবারের অভ্যাস, জীবনযাপন এবং ওজন বৃদ্ধির কারণে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ ছাড়াও জীবনযাত্রা ও খাদ্য...
21/09/2025

ফ্যাটি লিভার সাধারণত খাবারের অভ্যাস, জীবনযাপন এবং ওজন বৃদ্ধির কারণে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ ছাড়াও জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিচে ফ্যাটি লিভারের ঘরোয়া প্রতিকার ও জীবনধারা পরিবর্তনের কিছু পরামর্শ বাংলায় দেওয়া হলো:

ফ্যাটি লিভারের ঘরোয়া প্রতিকার

1. ওজন কমানো

ধীরে ধীরে ওজন কমাতে হবে (প্রতি সপ্তাহে ০.৫-১ কেজি)।

অতিরিক্ত দ্রুত ওজন কমানো লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

2. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

ভাজা-পোড়া, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি ও সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।

লবণ ও চিনি কমিয়ে দিন।

প্রতিদিন প্রচুর শাক-সবজি, ফল, ডাল ও আঁশযুক্ত খাবার খান।

লাল মাংস কমিয়ে মাছ, মুরগি (চামড়া ছাড়া) খান।

অলিভ অয়েল, সরিষার তেল বা সয়াবিন তেলের পরিমাণ সীমিত রেখে ব্যবহার করুন।

3. শারীরিক ব্যায়াম

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং, যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করুন।

সপ্তাহে ৫ দিন অন্তত চেষ্টা করুন।

4. অ্যালকোহল পরিহার

অ্যালকোহল সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন।

5. পর্যাপ্ত পানি পান

দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।

6. ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপায়

গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।

লেবু পানি: ভিটামিন সি লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।

হলুদ দুধ (গোল্ডেন মিল্ক): প্রদাহ কমায়।

রসুন: ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করে।

7. পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ

নিয়মিত ঘুম (৭–৮ ঘণ্টা) এবং ধ্যান/রিল্যাক্সেশন করুন।

👉 তবে মনে রাখবেন, যদি ফ্যাটি লিভারের সাথে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ফলো-আপ করানো প্রয়োজন।

বয়স কমানো বা স্কিনে ভাজ (wrinkle) কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল ও হেলদি ফ্যাট স...
17/09/2025

বয়স কমানো বা স্কিনে ভাজ (wrinkle) কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল ও হেলদি ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার। এগুলো ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ত্বককে টাইট ও মসৃণ রাখে।

বয়স কমাতে ও ভাজ কমাতে উপকারী খাবার

1. ফলমূল (Rich in Vitamin C & antioxidants):

কমলা, লেবু, মাল্টা

কিউই, স্ট্রবেরি, পেয়ারা

আঙুর, ব্লুবেরি, ডালিম

2. শাকসবজি (Anti-aging nutrients):

পালং শাক, কালে শাক

ব্রকোলি, গাজর, টমেটো

লাল বিট, লাল মরিচ

3. হেলদি ফ্যাট:

অলিভ অয়েল, এভোকাডো

বাদাম (আমন্ড, আখরোট, কাজু)

তিল, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড

4. প্রোটিন:

মাছ (বিশেষ করে স্যামন, সারডিন – ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ)

ডিম (বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ – কোলাজেনের জন্য ভালো)

ডাল ও ছোলা

5. ডেইরি ও অন্যান্য:

দই (প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ – ত্বকের গ্লো বাড়ায়)

গ্রিন টি (ক্যাটেচিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ)

ডার্ক চকলেট (৭০% বা তার বেশি কোকো – ত্বক হাইড্রেশন ও সান-ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে)

কোন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত

অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার (glycation → ত্বকের কোলাজেন ক্ষয় করে)

ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার

অতিরিক্ত লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস (processed meat)
অ্যালকোহল ও ধূমপান

👉 নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়ামও স্কিনকে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

হাঁটুর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলোঃ১. বিশ্রাম ও কাজের ধরন পরিবর্তনবেশি দৌড়ঝাঁপ, সিঁড়ি ওঠা, ভারী জিনিস তোলা এড়...
16/09/2025

হাঁটুর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলোঃ

১. বিশ্রাম ও কাজের ধরন পরিবর্তন

বেশি দৌড়ঝাঁপ, সিঁড়ি ওঠা, ভারী জিনিস তোলা এড়িয়ে চলুন।

হালকা হাঁটা বা স্ট্রেচিং করতে পারেন, তবে দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকা উচিত নয়।

২. গরম বা ঠান্ডা সেঁক

ঠান্ডা সেঁক (বরফের প্যাক ১৫–২০ মিনিট, দিনে ৩–৪ বার) ফোলা ও তীব্র ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

গরম সেঁক (গরম পানির ব্যাগ) জড়তা বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে ব্যথা হলে আরাম দেয়।

৩. পা উঁচু করে রাখা ও সাপোর্ট

শোয়ার সময় হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে পা সামান্য উঁচু করে রাখুন।

প্রয়োজনে হাঁটুর ব্রেস বা ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ ব্যবহার করতে পারেন।

৪. হালকা ব্যায়াম

কোয়াড্রিসেপস ব্যায়াম: সোজা পা মেঝেতে রেখে ধীরে ধীরে উপরে তুলুন।

স্ট্রেচিং: হ্যামস্ট্রিং ও কাফ মাংসপেশির হালকা টান ব্যথা ও জড়তা কমায়।

ভারী বা হঠাৎ চাপ দেয় এমন ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।

৫. তেল মালিশ

গরম সরিষার তেল, নারকেল তেল বা জলপাই তেল হালকা মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও ব্যথা কমে।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ

ওজন বেশি থাকলে হাঁটুর উপর চাপ বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

৭. খাবারে সহায়তা

ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান (দুধ, মাছ, বাদাম, শাকসবজি)।

হলুদ দুধে মিশিয়ে খেলে প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৮. ওষুধ (প্রয়োজনে)

প্যারাসিটামল হালকা ব্যথার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডাইক্লোফেনাক বা ক্যাপসাইসিন জেল/মলম হাঁটুর উপরে লাগানো যেতে পারে।

⚠️ ডাক্তারের কাছে যাবেন—

ব্যথা ১–২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।

হাঁটু ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় বা জ্বর আসে।

হাঁটু লক হয়ে যায়, হঠাৎ নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়, বা দাঁড়াতে কষ্ট হয়।

🏠 ব্রণের এর ঘরোয়া প্রতিকার🌿 সহজ যত্নপ্রতিদিন দু’বার মৃদু ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।গরমে বা ঘাম হলে মুখ মুছ...
12/09/2025

🏠 ব্রণের এর ঘরোয়া প্রতিকার

🌿 সহজ যত্ন

প্রতিদিন দু’বার মৃদু ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

গরমে বা ঘাম হলে মুখ মুছে ফেলুন।

হাত দিয়ে মুখ ঘন ঘন না ছোঁয়া।

🍋 প্রাকৃতিক উপায়

1. লেবুর রস

লেবুর রসে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে।

তুলার সাহায্যে ব্রণের জায়গায় হালকা করে লাগান, ১০–১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

2. হলুদ ও মধু

১ চা চামচ হলুদ + ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

ব্রণের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

3. অ্যালোভেরা জেল

ত্বক ঠান্ডা রাখে ও প্রদাহ কমায়।

তাজা অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

4. টি ট্রি অয়েল (যদি পাওয়া যায়)

তুলায় ১–২ ফোঁটা মিশিয়ে ব্রণের জায়গায় লাগান।

এতে জীবাণু কমে।

🍎 খাদ্যাভ্যাস

বেশি পানি পান করুন।

তেল-ঝাল ও ফাস্টফুড কম খান।

শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খান।

⚠️ সতর্কতা

ব্রণ চেপে ধরবেন না, এতে দাগ থেকে যায়।

যদি ব্রণ খুব বেশি হয় বা পুঁজ হয়ে যায়, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

🌿 চুল পড়া রোধের ঘরোয়া উপায়🌿🟢 ঘরোয়া প্রতিকার1. পেঁয়াজের রস → মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।2. আলোভেরা জ...
10/09/2025

🌿 চুল পড়া রোধের ঘরোয়া উপায়🌿

🟢 ঘরোয়া প্রতিকার

1. পেঁয়াজের রস → মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
2. আলোভেরা জেল → খুশকি কমায় ও গোড়া মজবুত করে।
3. নারিকেল তেল → হালকা গরম করে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
4. মেথি বীজ পেস্ট → সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে।
5. আমলা ও নারিকেল তেল → আগেভাগে চুল পাকা রোধ করে।

🌿 অনন্য টিপস

✨ কালোজিরার তেল – নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
✨ গ্রিন টি রিন্স – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল মজবুত করে।
✨ রোজমেরি অয়েল – বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হেয়ার গ্রোথ অয়েল।
✨ পেয়ারা পাতার পানি – খুশকি ও চুল পড়া রোধ করে।(পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানিটা দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।)
✨ ডিম + দই মাস্ক – চুলে প্রোটিন যোগায়, ভাঙা রোধ করে।(১টা ডিম + ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে চুলে লাগান।৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।)
✨ আদা রস – রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে গোড়া শক্ত করে।
✨ তিলের তেল – চুল কালো ও ঘন রাখে।

🍎 খাবার ও পুষ্টি

✅ বেশি খান – সবুজ শাক, মাছ, ডিম, ডাল, দুধ।
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
✅ জিঙ্ক, আয়রন, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।

🌸 জীবনযাপন টিপস

প্রতিদিন ১০–১৫ মিনিট যোগ/মেডিটেশন।
আঁটসাঁট হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলুন।
রোদে বের হলে স্কার্ফ/টুপি ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে অন্তত ২–৩ বার স্কাল্প ম্যাসাজ করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।

⚠️ সতর্কতা
প্রতিদিন ১০০টির বেশি চুল ঝরা, মাথার ত্বকে ক্ষত/চুলকানি বা খুশকি বেড়ে গেলে ডাক্তার দেখান।
#রাইফুররহমানরিফাত

পায়ের ক্র্যাম্প বা টান ধরার ঘরোয়া উপশমের কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলোঃপায়ের ক্র্যাম্প হলে করণীয় (ঘরোয়া উপায়):1. হালকা স্ট্রে...
09/09/2025

পায়ের ক্র্যাম্প বা টান ধরার ঘরোয়া উপশমের কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলোঃ

পায়ের ক্র্যাম্প হলে করণীয় (ঘরোয়া উপায়):

1. হালকা স্ট্রেচিং – টান ধরা পা সোজা করে আস্তে আস্তে পায়ের আঙুল নিজের দিকে টেনে আনুন। এতে পেশি ঢিলে হবে।

2. ম্যাসাজ করুন – হাতে আস্তে আস্তে পেশিতে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ব্যথা কমবে।

3. গরম সেঁক – গরম পানির ব্যাগ দিয়ে টান ধরা জায়গায় সেঁক দিলে পেশি শিথিল হবে।

4. ঠাণ্ডা সেঁক – যদি ফোলা বা ব্যাথা থাকে তবে বরফের সেঁক দেওয়া যেতে পারে।

5. পানি পান করুন – ডিহাইড্রেশন ক্র্যাম্পের একটি প্রধান কারণ। প্রচুর পানি বা ওআরএস খেলে উপকার পাবেন।

6. কলা, কমলা, ডাবের পানি – পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পেশির খিঁচুনি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

7. পা উঁচু করে রাখা – টান ধরলে কিছুক্ষণ পা উঁচু করে রাখলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হবে।

8. হালকা হাঁটা – ধীরে ধীরে হাঁটলে পেশি ঢিলে হয়ে যায়।

প্রতিরোধের জন্যঃ

নিয়মিত ব্যায়ামের আগে ও পরে স্ট্রেচিং করুন।

দীর্ঘ সময় একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না।

পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন।

রাতে ঘুমানোর আগে হালকা স্ট্রেচ করলে রাত্রিকালীন ক্র্যাম্প কমে।

👉 যদি বারবার পায়ের ক্র্যাম্প হয়, সাথে পা ফোলা, লালচে বা হাঁটতে সমস্যা হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Address

Kalapara
Kalapara
8650

Opening Hours

Monday 10:00 - 22:00
Tuesday 10:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801814404070

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Raifur Rahman Rifat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Raifur Rahman Rifat:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram