16/07/2024
অপারেশন ছাড়াই শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে জরায়ুর টিউমারের চিকিৎসা।
আজকাল নারীদের জরায়ুর টিউমারের কথা প্রায়ই শোনা যায় এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সাধারনত এই জাতীয় টিউমার প্রথম অবস্থায় ধরা যায় না। কারন আকারে খুব ছোট থাকে কিন্ত আকারে যখন বড় হয় তখন ধরা পড়ে।
এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা যেমনঃ USG বা আল্ট্রাসনো TVS এবং Blood CBC ইত্যাদি পরীক্ষা ছাড়াও বিশেষ কিছু লক্ষনের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। টিউমার জরায়ুর বিভিন্ন স্থানে হতে পারে যেমনঃ জরায়ুর বাইরে বা ভেতরে এবং জরায়ুর নালীতে ইত্যাদি।অনেক সময় এই জাতীয় টিউমার জরায়ুর দেয়ালে ছোট আকারে গঠিত হতে পারে এবং পেশীর স্তর ও ভেতরের স্তরের সঙ্গে জড়িত হতে পারে। আবার জরায়ুর যতটা অংশ পেরিটোনিয়াম বা সেরাস কোট দিয়ে আবৃত থাকে সেই অংশে ইহা হতে পারে। তখন ইহা জরায়ুর বাইরের গাত্রে দেখা যায়। আবার কখনো ইহা পেশীর উপর থেকে সাবমিউকাস কোটে হয় এবং জরায়ুর ঠিক ভিতরের দিকে প্রকাশ পায়। টিউমার বড় হলে তার জন্য Hyaline Degeneration হতে পারে এবং টিউমার ধীরে ধীরে নরম হতে থাকে।
এই জাতীয় টিউমারের ফলে জননতন্ত্রের বৃদ্ধি পায়, জরায়ু নেমে আসে; জরায়ুর পেশীর বন্ধন শিথিল হয়ে পড়ে, ঋতুস্রাব অনিয়মিতভাবে দেখা যায় এবং নানা প্রকার ইনফেকশন হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে নেক্রেসিস হতে পারে এবং উহার ফলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ বা আটকে যেতে পারে। সাধারনত টিউমার গোলাকৃতির, কিছুটা লম্বাটে প্রকৃতির এবং ডিম্ব সাদৃশ্য হয়ে থাকে। একসঙ্গে অনেকগুলো টিউমার হতে পারে কোনটা ছোট আবার কোনটা বড় হয়। জরায়ুর টিউমার হলে জরায়ুর আকার বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মাসিক স্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমত অবস্থায় অনেক সময় টিউমার গর্ভ বলে ভুল করা স্বাভাবিক। কোন কোন সময় এই টিউমার বেদনার সৃষ্টি করে এবং ইহার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
যোনী ক্ষমতা বা প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। রক্তহীনতার ভাব প্রকাশ পায়। জরায়ু প্রদেশে পুঁজ, ঘা, ফোঁড়া, ইনফেকশন প্রভৃতি হতে পারে এবং ইহা থেকে নানা প্রকার জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এই জাতীয় টিউমার থেকে অনেক সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের জন্য এ্যানিমিয়া বা রক্তশুন্যতা হতে পারে, পেরিটোনাইটিস বা উদরী হতে পারে। রক্ত প্রবাহের পরিবর্তন কখনো কখনো edma র লিম্ফ প্রবাহে বাধা এবং রক্তপ্রবাহের বাধার সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় জরায়ুর টিউমারের জন্য ওভারি ডিম্বনালী ডিম্বাশয় এবং মুত্রনালীতে বেদনার সৃষ্টি হতে পারে। টিউমার যদি ম্যালিগন্যান্ট হয় তবে উহা থেকে নাানা প্রকার কঠিন লক্ষন দেখা দিতে পারে এবং ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। আবার কখনো কখনো গুটি শুকিয়ে ছোট হয়ে যায় তখন ইহাকে Atrophie বলে। কখনো কখনো এতবেশী ফ্যাট জমে যায় যে জরায়ু এবং অন্যান্য pelvic যন্ত্রাদির ক্রিয়া ব্যহত হতে পারে। অনেক সময় ক্যালসিয়াম শক্তি কমে শক্ত হয়ে যায়, সাধারনত ঋতু বন্ধের সময় তা হয়।
চিকিৎসা / বেপটরী দ্রষ্টব্যঃ তবে লক্ষনুসারে Calcaria iod - secali cor - Nitnic Acid- Thlaspi Bersa - Graphitis – Thuja – Carcinoma – Iodium – Nat mur – Merc sol – Lachasis – Aurum – Mur nut thiroedinum - bovista - sipea- silicea ইত্যাদি এছাড়া লক্ষন সাদৃশ্য রোগীর যে ঔষধ নির্বাচিত হবে সেই ঔষধেই অপারেশন ছাড়াই রোগী সুস্থ হবেন ইনশাআল্লাহ। সেক্ষেত্রে একজন রেজিঃপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ও তত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহন করাই যুক্তিযুক্ত। চিকিৎসক ঔষধের মাত্রা ও শক্তি নির্ধারন করার পাশাপাশি সু-পরামর্শ প্রদান করে আপনার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। নচেৎ নিজে নিজে ডাক্তার না হয়ে আন্দাজে - অনুমানে ঔষধ কিনে খাওয়া নেহায়েত বোকামি হবে।
পোস্টটি লিখেছেনঃ ডাঃ কে. এম. বি. ইসলাম ( বুলবুল )
ডি. এইচ. এম. এস ( বি. এইচ. এম. ই. সি ) ঢাকা, পি. ডি. টি (বি. এইচ. এম. সি. এইচ ) ঢাকা
হোমিওপ্যাথি গবেষক, লেখক ও কনসালট্যান্ট। পুরাতন ও জটিল রোগীর অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক।
চিকিৎসা - স্বাস্থ্য – বিজ্ঞান ও ইসলাম সংক্রান্ত বিষয়ের আলোচক, বাংলাদেশ বেতার (খুলনা রেডিও সেন্টার)।
গভঃ রেজিঃ ২৬৫২৮, মোবাঃ 01974-918918
চেম্বারঃ মুঈনউদ্দীন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয়
স্থানঃ খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার গেটের বিপরীতে নীচতলায়।