20/10/2025
দমের সাধন কি?(পর্ব-০১)একের ভেতর সবপর্ব
আমাদের দেহের মাঝে যত কার্য হচ্ছে তার মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসই প্রধান কার্য।
আধ্যাত্মিক সাধনায় এর গুরুত্ব বলে শেষ করা সম্ভব নয়। দেহের সব খবর এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই একজন সাধক জানতে পারে।
তাই লালন সাঁইজি বলেছেন "ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতে"।
শ্বাস-প্রশ্বাসের খবর জানতে পারলেই দেহের মধ্যে সংঘটিত সকল কার্যের অগ্রীম সংবাদ পাওয়া যায়, এমন কি মৃত্যুর সংবাদ পর্যন্ত বলে দেওয়া যায় মৃত্যুর অনেক পূর্বেই।
এসব শুধু সেইসব সাধকদের জন্য, যাদের সাথে প্রভুর বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই
#ছেলে সন্তান বা #কন্যা সন্তান লাভ করা যায়,
তবে যারা তাবিজ বা মন্ত্রের মাধ্যমে ছেলে সন্তান লাভের কথা বলে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন,
কারন তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ।
সেসব ভন্ড ফকিরদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
কারন সন্তান জন্মের বিষয়টা ছেলেদের বীর্যের সাথে সম্পর্কিত।
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষকে বশেও আনা যায় ইত্যাদি আরো কত কি গুনাগুন ও কার্য আছে এই শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত তা বলে শেষ করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তত্ত্ব তুলে ধরা হল।
দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টায় ২১৬০০ বার শ্বাস-প্রশ্বাস আসা-যাওয়া করে।
মানুষ যখন চুপচাপ বসে থাকে, অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে , তখন শ্বাস বায়ু ১২ আঙুলী পরিমিত দূরে আসে, আর ভিতরে যায় ১০ আঙুল।
খাওয়া দাওয়া ও কথা বলার সময় ১৮ আঙুল, হাটাহাটি করার সময় ২৪, দৌড়া দৌড়ী করলে ৩৪, মৈথুনকালে ৬৫ এবং নিদ্রাকালে ১০০ আঙুলী দূরে আসে।
কিন্তু ভিতরে যায় মাত্র ১০ আঙুল।
যত পরিশ্রম কাজ করা হবে শ্বাসবায়ু তত বেশি পরিমানে ঘাটতি হয়।
দুই আঙুল ঘাটতিতেই প্রতিদিন ৪৩২০০ আঙুল পরিমিত শ্বাসবায়ু ঘাটতি হয়।
আগামী এই বিষয়ে মানুষের চাহিদা ও আগ্রহ অনুযায়ী পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।
তবে বিস্তারিত গুরুর কাছ থেকেই জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
তিনি চাইলে মুহুর্তেই আপনাকে সকল জ্ঞান দান করতে পারেন।
#দমের_খবর (পর্ব- ০২)
____________________
দমের ঘরে নিগুম খেলা খেলছেন প্রভু দয়াময়,
করিলে সেই দমের সাধন ত্রিভুবন তার অধীন হয়।।
আল্লাহ-আদম-রাসূল আসে আর যায়
তিনজনা মিলে সুলতান নাছিরায়,
উজান, ভাটা, পূর্ণিমা হয়, হয় অমবস্যার উদয়।।
দম'কে রুদ্ধ করে ব্রহ্মদ্বারে
সাধক ভাটির চন্দ্র উজান করে,
তখন শত নারী ভোগ করে তবুও রতি তাহার অটল রয়।।ঐ
দমের খবর যে জেনেছে আশানুরূপ সন্তান সে পেয়েছে
তখন পুত্র-কন্যা যা চেয়েছে গুরু কৃপায় সে সেটাই পায়।
ভূত-ভবিষ্যৎ আর যা গোপন সব যায় জানা করে দম সাধন, সাধক সাধনায় দম করে নিরূপণ আগুম-নিগুম করতে নির্নয়।।ঐ
সাধক দমের ঘরে ডুব দিয়ে
আপন দয়ালকে সে সঙ্গে নিয়ে
ফকিরি সে করছে জমিয়ে, তখন তাহার দমে কথা কয়।।
মৃত্যুর আগাম খবর যায়রে জানা করে এই মহা দমের সাধনা।
দেওয়ান রাহাতের হয় এসব জানা দয়াল হান্নান শাহ্'র কৃপায়।।ঐ
বিঃদ্রঃ অনেকেই একটা বিষয় ভুল বুঝেছে, সেটা হলো 'শত নারী ভোগ'।
এটা মূলত সাধকের যৌন ক্ষমতা বুঝানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রকৃত ভাবে কোনো সাধক শতাধিক নারী ত দূরের কথা একজন নারীও অনেক সাধক গ্রহন করেন না।
কারন তখন তারা দুনিয়ার এই কাম বাসনার উর্ধ্বে চলে যায়।
#দমের_খবর (পর্ব -০৩)
_______________________
পূর্বে দম সাধনার সামান্য ধারনা ও দম সাধনার মাধ্যমে সাধক কি কি মহাশক্তি অর্জন করতে পারে সেব্যাপারে ধারনে দিয়েছি।
এবার বলতে চাই কিভাবে দমের ঘরে সাধক তালা মারে ও শত নারী ভোগ করার ক্ষমতা অর্জন করে।
আমাদের দৈনিক ২১ হাজার ৬ শত বার দম তথা শ্বাস-প্রশ্বাস যাওয়া আসা করে।
এক্ষেত্রে যারা পরিশ্রম অনেক বেশি করে তাদের আরো বেশিবার যাওয়া আসা করে।
সাধকগন দম সাধনার মাধ্যমে এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা কমিয়ে আনে।
তারা চেষ্টা কর যত কম দম বের করা নেওয়া যায়। ২১৬০০ বার এর থেকে কমিয়ে এনে তারা ১০ হাজার বার করার চেষ্টা করে।
আর যখন এই দম এর ব্যবহার কমিয়ে আনা হয়, তখন সাধকের বীর্য গাঢ় থেকে আরো গাঢ় বা ঘন হতে থাকে। যখন এই বীর্য গাঢ় হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস কম গতিতে চলতে থাকে, অর্থা দম নেওয়া ও আসার মধ্যকার সময়সীমা সাধারন ভাবে সাধারন মানুষের সর্বোচ্চ সেকেন্ড এর মত হবে (আমার হিসেবে, আপনিও চেক করে দেখতে পারেন)।
কিন্তু সাধক গন চেষ্টা করেন এটাকে ১০ সেকেন্ড এরমত করার জন্য, আর সাধনার সময় ত প্রায় ৩০ সেকেন্ড প্রথম পর্যায়ে, এবং আস্তে আস্তে ১ মিনিটের চেয়ে বেশি সময় নেয়।
যখন দম এরকম কন্ট্রোল এ আসে দম সাধনার মাধ্যমে তখন সাধকের যৌন মিলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে অনেক দীর্ঘ সময় মিলনের পরেও তার বীর্য নির্গত হয় না।
কিন্তু এক সময় সাধকের বীর্য নির্গত হয়ে যায়।
কিন্তু দমের সাধনা ভাল মত জানতে পারলে ও করতে পারলে সাধক মিলনের ভাটার চন্দ্রকে (নিন্মমুখী বীর্য) উজান করে নিতে পারেন (উপরের দিকে তুলে নিতে পারেন)।
তখন সাধক দমকে ব্রহ্মদ্বারে রুদ্ধ করে রাখার ফলে বীর্য তার ইচ্ছার বাইরে নির্গত হতে পারে না তার দেহ থেকে।
আর এভাবেই সাধক শত শত এমনকি সহস্র নারী ভোগ করার পরেও অটল ও অক্ষয় থাকে (এটা ক্ষমতা, মূলত সাধকরা নারী ভোগই করে না, কারন তারা জাগতিক কামনা বাসনার উর্ধ্বে থাকেন)।
তার রতি কখনো টলে না তার ইচ্ছার বাইরে।
তখন সাধক পুত্র কন্যা চাইলে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তান চাইলে কন্যা সন্তান অর্থাৎ আশানুরূপ সন্তান লাভ করতে সক্ষম হয়।
ভাটার সময় চন্দ্রকে উজানে টানা তেমন কোনো কষ্টের সাধনা নয়, যদি গুরু কৃপা করে আপনাকে সে ভেব জানায়।
তবে সামান্য কিছুদিন সাধনা করলেই আপনি নিন্মমুখী বীর্যকে বাইরে পরার আগেই উর্দ্ধ মুখী করতে পারবেন। তবে দেহ অটল রাখার সাধনা অনেকটা কষ্টের, তবে গুরু কৃপা করলে তিনি সহজ পন্থা বাতিয়ে দিতে পারেন তার ভক্তকে।
আর আশানুরূপ সন্তান অর্থাৎ পুত্র চাইলে পুত্র ও কন্যা চাইলে কন্যা সন্তান লাভ করার বিষয় টা অনেক সহজ। এর জন্য আপনাকে আলাদা ভাবে সাধনা করতে হবে না।
গুরু কৃপা করে দমের এই মহাভেব টা জানিয়ে দিলেই আপনি মিলনের সময় বিষয় টা একটু খেয়লা রাখলেই আশানুরূপ সন্তান লাভ করতে সক্ষম হবেন।
কারন XX, XY, YY ক্রোমোজোম কখন নির্গত হবে সেটা আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
#দমের_খবর (পর্ব-০৪)
_____________________
আপন দেহের মাঝেই পঞ্চতত্ত্বের উদয় হইতেছে প্রতি ঘন্টায় ক্রমান্বয়ে এক তত্ত্বের পর অন্য তত্ত্ব।
তত্ত্ব গুলো হল নূর, বাদ, আতস, আব ও খাক তথা আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও পৃথিবী তত্ত্ব।
অনেকেই শুধু জানেন যে এই পঞ্চ তত্ত্ব দিয়ে দেহ গঠন করা হইয়াছে।
কিন্তু ইহা অধিকাংশ মানুষই জানে না যে, এই দেহের মাঝেই প্রতি ঘন্টায় এই পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হইতেছে।
দম সাধনা করিতে হইলে আপনাকে অবশ্যই আগে তত্ত্ব উদয় সম্পর্কে জানিতে হইবে।
জানিতে হইবে কোন তত্ত্ব কতক্ষন উদিত থাকে, কোন তত্ত্বের পর কোন তত্ত্বের উদয় হয় ইত্যাদি।
ইহা না জানিলে দম সাধনা করা সম্ভব নয়।
কুম্ভুক রেচক পূরক যোগ সাধনা করিয়া আপনি হয়তো দেহের অনেক উন্নতি করিতে পারিবেন, কিন্তু ভূত ভবিষ্যৎ তথা আগুম নিগুন নির্নয়, ইচ্ছানুযায়ী পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ, মরার আগে মরার খবর জানিতে পারিবেন না।
সাধককে আগে নির্নয় করিতে হইবে যে তাহার দেহে এই মূহুর্তে কোন তত্ত্বের উদয় হইয়াছে।
তত্ত্ব নির্নয় না করিতে পারিলে সে কখনো দমের সাধক হইতে পারিবে না।
হয়তো বড় জোর একজন যোগ সাধক হইতে পারিবে।
তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক সহজ সহজ পদ্ধতি রইয়াছে। সাধক গন এমনিতেই তত্ত্ব নির্নয় করিতে পারেন।
তবে আপনারা যারা দম সাধনা সম্পর্কে অজ্ঞ তাহারাই যাতে তত্ত্ব নির্নয় করিতে পারেন, তাই সাধক গন তত্ত্ব নির্নয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি জানিয়ে গেছেন জগতের কল্যানের জন্য।
যে পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া যে কোনো মানুষ নিজের তত্ত্ব নির্নয় করতে পারবে।
#দমের_খবর (পর্ব -০৫)
_____________________
পূর্বের একটি (পর্ব-০৪) পোস্টে তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম।
শর্তানুযায়ী তত্ত্বের উদয় ও সময়সীমা সম্পর্কে আলোচনা করব এই পর্বে।
প্রতি ঘন্টায় আমাদের দেহে নূর, বাদ, আতস, আব, খাক এই পঞ্চের তত্ত্বের উদয় হচ্ছে।
এক নাসিকায় শ্বাস প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রথমেই বাদ তথা বায়ু তত্ত্বের উদয় হয়।
বায়ু তত্ত্ব উদয় হয়ে ২০ পল সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। বায়ু তত্ত্বের অস্তমিত হওয়ার পর আতস তথা অগ্নি তত্ত্বের উদয় হয়ে ৪০ পল পর্যন্ত সময় স্থায়ীত্ব থাকে। তারপরেই খাক তথা পৃথিবী তত্ত্বের উদয় হয়।
পৃথিবী তত্ত্বের সময়সীমা ৫০ পল। পৃথিবী তত্ত্বের আব তথা জল তত্ত্বের উদয় হয়ে ৬০ পল সময় পর্যন্ত উদিত থাকে।
জল তত্ত্বের অস্ত্র যাবার পর সর্বশ্রেষ্ঠ নূর বা ছাফা তথা আকাশ তত্ত্বের উদয় হয়।
এটার সময়সীম মাত্র ১০ পল।এই সময় সাধনা ব্যতীত অন্য যে কোনো কাজ করিলেই তা ধ্বংস হবে বা কৃতকার্য হবে না।
আর এটাই সাধনার সর্বোত্তম সময়।
এই সময় সাধনা করলেই দ্রুত অগ্রগামী হওয়া যায়।
যেই সময় যে নাকে বাতাস প্রবাহিত হবে তখন সেই নাকে উপরে উল্লেখিত পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হয়ে সমস্ত দেহে বিরাজ করবে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কোনো কারনে এটার তারতম্য ঘটতেও পারে।
এই তত্ত্ব নির্নয়ের মাধ্যমেই সাধক আগুম নিগুম অর্থাৎ ভবিষ্যতের কোনো কার্যের সফলতা বা অন্য কিছু তা ঘটার আগেই বলতে পারেন।
আর এটা নির্নয়ের মাধ্যমেই পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ করা যায় ইচ্ছানুযায়ী।
এমনকি কাউকে ভালবেসে কোনো পুরুষ যে কোনো নারীকে বা কোনো নারী যেকোনো পুরুষকে তাঁর বশে আনতে পারবেন (অর্থাৎ প্রেম সফল হবে)।
এমনকি মৃত্যুর আগাম বার্তাও এখান থেকেই নির্নয় করতে হয়।
এই ভেদ গুলো গুরুর কাছ থেকেই জানতে হবে আপনাকে।
আমাকে প্রশ্ন করে লাভ নাই :)।
তবে আমার লিস্টে অনেককেই দেখেছি দম সাধনা নিয়ে ভালই মন্তব্য করে, তারা অনেক সময় আপনাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য আপনার ফোন নাম্বার নিয়ে জোর করে আপনাকে জ্ঞান দানও করে tongue emoticon ( এদেরকে দেখলে লজ্জা লাগে, জ্ঞান কারো কাছে যায় না, সবাই জ্ঞানের কাছেই আসে, তাও আবার বিনয়ের সাথে)।
আগামী পর্ব গুলোতে তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি ও রঙ এবং স্বাদ সম্পর্কে আলোচনা করব এই পোস্টের উপর ভিত্তি করে।
কারন অনেকের বাকা দৃষ্টির মন্তব্য আমাকে হতাশ করে মাঝে মাঝে।
বিঃদ্রঃ ১০ পল = বর্তমান ৪ মিনিট :)।
দম সাধকগন মূলত আধুনিক হিসাব নয়, বরং আদি হিসাব দ্বারাই গননা করে থাকেন এইসব বিষয়। আপনাদের বুঝার জন্য আমি পরিষ্কার করে দিলাম বিষয়টা।
#দমের_খবর (পর্ব -০৬)
_____________________
পঞ্চ তত্ত্বের আলাদা আলাদা রঙ রয়েছে।
যার মাধ্যমে আপনি তত্ত্ব নির্নয় করতে পারবেন। আগামী পোস্টে আমি তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি উল্লেখ করব অথবা তত্ত্বের লজ্জত বা স্বাদ প্রকাশ করব।
যেটা আপনাদের জানা থাকতেই হবে নিজে নিজে দেহের তত্ত্ব নির্নয়ের ক্ষেত্রে।
নিন্মে তত্ত্বের রঙ গুলো উপস্থাপন করা হল।
#আকাশ তত্ত্বের রঙ হল রঙহীন বা বিভিন্ন বর্ণ একত্রে।
#বায়ু তত্ত্বের রং হল সবুজ।
#অগ্নি তত্ত্বের রঙ হল কালো।
#জল তত্ত্বের রঙ হল লাল।
#পৃথিবী তত্ত্বের রঙ হল হলুদ।
আপনি দেহের মাঝেই এই রঙ দেখতে পারবেন তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতির মাধ্যমে।
পদ্ধতিগুলো আমি আগামী পোস্ট গুলোতে দেওয়ার চেষ্টা করব।
এগুলো আপনার মাঝে হচ্ছে, কিন্তু জানা না থাকার কারনে আপনি বুঝতে পারছেন না।
বিঃদ্রঃ রং গুলো আমাদের ৪০ শে তালিম থেকে নেওয়া, অন্য শাস্ত্রে ভিন্নভাবে আছে।
যে যেটা জানেন, সেই রঙ উদয় হওয়া নির্নয় করলেই হবে।।
ভিন্ন মতঃ
আকাশ= ধূম্র বর্ন। বায়ু= শ্যামল বর্ণ। অগ্নি= ভষ্ম বর্ণ। জল= গৌর বর্ণ এবং পৃথিবী =শুভ্র বর্ণ বা রঙ।
মোতালেব চিসতি।
#দমের_খবর (পর্ব- ০৭)
_____________________
পূর্বের পোস্ট গুলোতে দমের ঘরের অনেক বিষয় জানিয়েছে এবং তত্ত্ব সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা দিয়েছি। আমার অঙ্গীকার অনুযায়ী আজ আমি তত্ত্ব নির্নয় করার পদ্ধতি জানাবো সবাই, যাতে নিজে নিজেই গুরু ছাড়া তত্ত্ব নির্নয় করতে পারেন।
তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক পদ্ধতি আছে, আমি একটি উল্লেখ করতেছি, মূলত সাধকদের এভাবে তত্ত্ব নির্নয় করতে হয় না।
তারা এমনিতেই বুঝতে পারে সাধনা সাধনা করতে করতে।
একটি দর্পন তথা আয়না নাকের নিন্মে ধরে দম অর্থাৎ নিশ্বাস ত্যাগ করবে, তখন আয়নার উপর নাকের বাষ্প পতিত হবে, এখন শীতকাল তাই বেশি সহজেই বুঝতে পারবেন আশাকরি।
সেই বাষ্পের দিকে মনোযোগ দিন। দেখবেন বাষ্প কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে। এই মিশে যাওয়ার সময় যদি চার কোনা হয়ে মিশে যায়, তাহলে খাক তত্ত্ব উদয় হয়েছে বুঝতে হবে। এভাবে যথাক্রমে যদি অর্ধ চন্দ্র আকারে, মিশে যায় তাহলে আব তত।দমের সাধন কি?(পর্ব-০১)একের ভেতর সবপর্ব
আমাদের দেহের মাঝে যত কার্য হচ্ছে তার মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসই প্রধান কার্য।
আধ্যাত্মিক সাধনায় এর গুরুত্ব বলে শেষ করা সম্ভব নয়। দেহের সব খবর এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই একজন সাধক জানতে পারে।
তাই লালন সাঁইজি বলেছেন "ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতে"।
শ্বাস-প্রশ্বাসের খবর জানতে পারলেই দেহের মধ্যে সংঘটিত সকল কার্যের অগ্রীম সংবাদ পাওয়া যায়, এমন কি মৃত্যুর সংবাদ পর্যন্ত বলে দেওয়া যায় মৃত্যুর অনেক পূর্বেই।
এসব শুধু সেইসব সাধকদের জন্য, যাদের সাথে প্রভুর বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই
#ছেলে সন্তান বা #কন্যা সন্তান লাভ করা যায়,
তবে যারা তাবিজ বা মন্ত্রের মাধ্যমে ছেলে সন্তান লাভের কথা বলে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন,
কারন তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ।
সেসব ভন্ড ফকিরদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
কারন সন্তান জন্মের বিষয়টা ছেলেদের বীর্যের সাথে সম্পর্কিত।
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষকে বশেও আনা যায় ইত্যাদি আরো কত কি গুনাগুন ও কার্য আছে এই শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত তা বলে শেষ করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তত্ত্ব তুলে ধরা হল।
দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টায় ২১৬০০ বার শ্বাস-প্রশ্বাস আসা-যাওয়া করে।
মানুষ যখন চুপচাপ বসে থাকে, অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে , তখন শ্বাস বায়ু ১২ আঙুলী পরিমিত দূরে আসে, আর ভিতরে যায় ১০ আঙুল।
খাওয়া দাওয়া ও কথা বলার সময় ১৮ আঙুল, হাটাহাটি করার সময় ২৪, দৌড়া দৌড়ী করলে ৩৪, মৈথুনকালে ৬৫ এবং নিদ্রাকালে ১০০ আঙুলী দূরে আসে।
কিন্তু ভিতরে যায় মাত্র ১০ আঙুল।
যত পরিশ্রম কাজ করা হবে শ্বাসবায়ু তত বেশি পরিমানে ঘাটতি হয়।
দুই আঙুল ঘাটতিতেই প্রতিদিন ৪৩২০০ আঙুল পরিমিত শ্বাসবায়ু ঘাটতি হয়।
আগামী এই বিষয়ে মানুষের চাহিদা ও আগ্রহ অনুযায়ী পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।
তবে বিস্তারিত গুরুর কাছ থেকেই জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
তিনি চাইলে মুহুর্তেই আপনাকে সকল জ্ঞান দান করতে পারেন।
#দমের_খবর (পর্ব- ০২)
____________________
দমের ঘরে নিগুম খেলা খেলছেন প্রভু দয়াময়,
করিলে সেই দমের সাধন ত্রিভুবন তার অধীন হয়।।
আল্লাহ-আদম-রাসূল আসে আর যায়
তিনজনা মিলে সুলতান নাছিরায়,
উজান, ভাটা, পূর্ণিমা হয়, হয় অমবস্যার উদয়।।
দম'কে রুদ্ধ করে ব্রহ্মদ্বারে
সাধক ভাটির চন্দ্র উজান করে,
তখন শত নারী ভোগ করে তবুও রতি তাহার অটল রয়।।ঐ
দমের খবর যে জেনেছে আশানুরূপ সন্তান সে পেয়েছে
তখন পুত্র-কন্যা যা চেয়েছে গুরু কৃপায় সে সেটাই পায়।
ভূত-ভবিষ্যৎ আর যা গোপন সব যায় জানা করে দম সাধন, সাধক সাধনায় দম করে নিরূপণ আগুম-নিগুম করতে নির্নয়।।ঐ
সাধক দমের ঘরে ডুব দিয়ে
আপন দয়ালকে সে সঙ্গে নিয়ে
ফকিরি সে করছে জমিয়ে, তখন তাহার দমে কথা কয়।।
মৃত্যুর আগাম খবর যায়রে জানা করে এই মহা দমের সাধনা।
দেওয়ান রাহাতের হয় এসব জানা দয়াল হান্নান শাহ্'র কৃপায়।।ঐ
বিঃদ্রঃ অনেকেই একটা বিষয় ভুল বুঝেছে, সেটা হলো 'শত নারী ভোগ'।
এটা মূলত সাধকের যৌন ক্ষমতা বুঝানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রকৃত ভাবে কোনো সাধক শতাধিক নারী ত দূরের কথা একজন নারীও অনেক সাধক গ্রহন করেন না।
কারন তখন তারা দুনিয়ার এই কাম বাসনার উর্ধ্বে চলে যায়।
#দমের_খবর (পর্ব -০৩)
_______________________
পূর্বে দম সাধনার সামান্য ধারনা ও দম সাধনার মাধ্যমে সাধক কি কি মহাশক্তি অর্জন করতে পারে সেব্যাপারে ধারনে দিয়েছি।
এবার বলতে চাই কিভাবে দমের ঘরে সাধক তালা মারে ও শত নারী ভোগ করার ক্ষমতা অর্জন করে।
আমাদের দৈনিক ২১ হাজার ৬ শত বার দম তথা শ্বাস-প্রশ্বাস যাওয়া আসা করে।
এক্ষেত্রে যারা পরিশ্রম অনেক বেশি করে তাদের আরো বেশিবার যাওয়া আসা করে।
সাধকগন দম সাধনার মাধ্যমে এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা কমিয়ে আনে।
তারা চেষ্টা কর যত কম দম বের করা নেওয়া যায়। ২১৬০০ বার এর থেকে কমিয়ে এনে তারা ১০ হাজার বার করার চেষ্টা করে।
আর যখন এই দম এর ব্যবহার কমিয়ে আনা হয়, তখন সাধকের বীর্য গাঢ় থেকে আরো গাঢ় বা ঘন হতে থাকে। যখন এই বীর্য গাঢ় হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস কম গতিতে চলতে থাকে, অর্থা দম নেওয়া ও আসার মধ্যকার সময়সীমা সাধারন ভাবে সাধারন মানুষের সর্বোচ্চ সেকেন্ড এর মত হবে (আমার হিসেবে, আপনিও চেক করে দেখতে পারেন)।
কিন্তু সাধক গন চেষ্টা করেন এটাকে ১০ সেকেন্ড এরমত করার জন্য, আর সাধনার সময় ত প্রায় ৩০ সেকেন্ড প্রথম পর্যায়ে, এবং আস্তে আস্তে ১ মিনিটের চেয়ে বেশি সময় নেয়।
যখন দম এরকম কন্ট্রোল এ আসে দম সাধনার মাধ্যমে তখন সাধকের যৌন মিলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে অনেক দীর্ঘ সময় মিলনের পরেও তার বীর্য নির্গত হয় না।
কিন্তু এক সময় সাধকের বীর্য নির্গত হয়ে যায়।
কিন্তু দমের সাধনা ভাল মত জানতে পারলে ও করতে পারলে সাধক মিলনের ভাটার চন্দ্রকে (নিন্মমুখী বীর্য) উজান করে নিতে পারেন (উপরের দিকে তুলে নিতে পারেন)।
তখন সাধক দমকে ব্রহ্মদ্বারে রুদ্ধ করে রাখার ফলে বীর্য তার ইচ্ছার বাইরে নির্গত হতে পারে না তার দেহ থেকে।
আর এভাবেই সাধক শত শত এমনকি সহস্র নারী ভোগ করার পরেও অটল ও অক্ষয় থাকে (এটা ক্ষমতা, মূলত সাধকরা নারী ভোগই করে না, কারন তারা জাগতিক কামনা বাসনার উর্ধ্বে থাকেন)।
তার রতি কখনো টলে না তার ইচ্ছার বাইরে।
তখন সাধক পুত্র কন্যা চাইলে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তান চাইলে কন্যা সন্তান অর্থাৎ আশানুরূপ সন্তান লাভ করতে সক্ষম হয়।
ভাটার সময় চন্দ্রকে উজানে টানা তেমন কোনো কষ্টের সাধনা নয়, যদি গুরু কৃপা করে আপনাকে সে ভেব জানায়।
তবে সামান্য কিছুদিন সাধনা করলেই আপনি নিন্মমুখী বীর্যকে বাইরে পরার আগেই উর্দ্ধ মুখী করতে পারবেন। তবে দেহ অটল রাখার সাধনা অনেকটা কষ্টের, তবে গুরু কৃপা করলে তিনি সহজ পন্থা বাতিয়ে দিতে পারেন তার ভক্তকে।
আর আশানুরূপ সন্তান অর্থাৎ পুত্র চাইলে পুত্র ও কন্যা চাইলে কন্যা সন্তান লাভ করার বিষয় টা অনেক সহজ। এর জন্য আপনাকে আলাদা ভাবে সাধনা করতে হবে না।
গুরু কৃপা করে দমের এই মহাভেব টা জানিয়ে দিলেই আপনি মিলনের সময় বিষয় টা একটু খেয়লা রাখলেই আশানুরূপ সন্তান লাভ করতে সক্ষম হবেন।
কারন XX, XY, YY ক্রোমোজোম কখন নির্গত হবে সেটা আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
#দমের_খবর (পর্ব-০৪)
_____________________
আপন দেহের মাঝেই পঞ্চতত্ত্বের উদয় হইতেছে প্রতি ঘন্টায় ক্রমান্বয়ে এক তত্ত্বের পর অন্য তত্ত্ব।
তত্ত্ব গুলো হল নূর, বাদ, আতস, আব ও খাক তথা আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও পৃথিবী তত্ত্ব।
অনেকেই শুধু জানেন যে এই পঞ্চ তত্ত্ব দিয়ে দেহ গঠন করা হইয়াছে।
কিন্তু ইহা অধিকাংশ মানুষই জানে না যে, এই দেহের মাঝেই প্রতি ঘন্টায় এই পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হইতেছে।
দম সাধনা করিতে হইলে আপনাকে অবশ্যই আগে তত্ত্ব উদয় সম্পর্কে জানিতে হইবে।
জানিতে হইবে কোন তত্ত্ব কতক্ষন উদিত থাকে, কোন তত্ত্বের পর কোন তত্ত্বের উদয় হয় ইত্যাদি।
ইহা না জানিলে দম সাধনা করা সম্ভব নয়।
কুম্ভুক রেচক পূরক যোগ সাধনা করিয়া আপনি হয়তো দেহের অনেক উন্নতি করিতে পারিবেন, কিন্তু ভূত ভবিষ্যৎ তথা আগুম নিগুন নির্নয়, ইচ্ছানুযায়ী পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ, মরার আগে মরার খবর জানিতে পারিবেন না।
সাধককে আগে নির্নয় করিতে হইবে যে তাহার দেহে এই মূহুর্তে কোন তত্ত্বের উদয় হইয়াছে।
তত্ত্ব নির্নয় না করিতে পারিলে সে কখনো দমের সাধক হইতে পারিবে না।
হয়তো বড় জোর একজন যোগ সাধক হইতে পারিবে।
তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক সহজ সহজ পদ্ধতি রইয়াছে। সাধক গন এমনিতেই তত্ত্ব নির্নয় করিতে পারেন।
তবে আপনারা যারা দম সাধনা সম্পর্কে অজ্ঞ তাহারাই যাতে তত্ত্ব নির্নয় করিতে পারেন, তাই সাধক গন তত্ত্ব নির্নয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি জানিয়ে গেছেন জগতের কল্যানের জন্য।
যে পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া যে কোনো মানুষ নিজের তত্ত্ব নির্নয় করতে পারবে।
#দমের_খবর (পর্ব -০৫)
_____________________
পূর্বের একটি (পর্ব-০৪) পোস্টে তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম।
শর্তানুযায়ী তত্ত্বের উদয় ও সময়সীমা সম্পর্কে আলোচনা করব এই পর্বে।
প্রতি ঘন্টায় আমাদের দেহে নূর, বাদ, আতস, আব, খাক এই পঞ্চের তত্ত্বের উদয় হচ্ছে।
এক নাসিকায় শ্বাস প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রথমেই বাদ তথা বায়ু তত্ত্বের উদয় হয়।
বায়ু তত্ত্ব উদয় হয়ে ২০ পল সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। বায়ু তত্ত্বের অস্তমিত হওয়ার পর আতস তথা অগ্নি তত্ত্বের উদয় হয়ে ৪০ পল পর্যন্ত সময় স্থায়ীত্ব থাকে। তারপরেই খাক তথা পৃথিবী তত্ত্বের উদয় হয়।
পৃথিবী তত্ত্বের সময়সীমা ৫০ পল। পৃথিবী তত্ত্বের আব তথা জল তত্ত্বের উদয় হয়ে ৬০ পল সময় পর্যন্ত উদিত থাকে।
জল তত্ত্বের অস্ত্র যাবার পর সর্বশ্রেষ্ঠ নূর বা ছাফা তথা আকাশ তত্ত্বের উদয় হয়।
এটার সময়সীম মাত্র ১০ পল।এই সময় সাধনা ব্যতীত অন্য যে কোনো কাজ করিলেই তা ধ্বংস হবে বা কৃতকার্য হবে না।
আর এটাই সাধনার সর্বোত্তম সময়।
এই সময় সাধনা করলেই দ্রুত অগ্রগামী হওয়া যায়।
যেই সময় যে নাকে বাতাস প্রবাহিত হবে তখন সেই নাকে উপরে উল্লেখিত পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হয়ে সমস্ত দেহে বিরাজ করবে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কোনো কারনে এটার তারতম্য ঘটতেও পারে।
এই তত্ত্ব নির্নয়ের মাধ্যমেই সাধক আগুম নিগুম অর্থাৎ ভবিষ্যতের কোনো কার্যের সফলতা বা অন্য কিছু তা ঘটার আগেই বলতে পারেন।
আর এটা নির্নয়ের মাধ্যমেই পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ করা যায় ইচ্ছানুযায়ী।
এমনকি কাউকে ভালবেসে কোনো পুরুষ যে কোনো নারীকে বা কোনো নারী যেকোনো পুরুষকে তাঁর বশে আনতে পারবেন (অর্থাৎ প্রেম সফল হবে)।
এমনকি মৃত্যুর আগাম বার্তাও এখান থেকেই নির্নয় করতে হয়।
এই ভেদ গুলো গুরুর কাছ থেকেই জানতে হবে আপনাকে।
আমাকে প্রশ্ন করে লাভ নাই :)।
তবে আমার লিস্টে অনেককেই দেখেছি দম সাধনা নিয়ে ভালই মন্তব্য করে, তারা অনেক সময় আপনাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য আপনার ফোন নাম্বার নিয়ে জোর করে আপনাকে জ্ঞান দানও করে tongue emoticon ( এদেরকে দেখলে লজ্জা লাগে, জ্ঞান কারো কাছে যায় না, সবাই জ্ঞানের কাছেই আসে, তাও আবার বিনয়ের সাথে)।
আগামী পর্ব গুলোতে তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি ও রঙ এবং স্বাদ সম্পর্কে আলোচনা করব এই পোস্টের উপর ভিত্তি করে।
কারন অনেকের বাকা দৃষ্টির মন্তব্য আমাকে হতাশ করে মাঝে মাঝে।
বিঃদ্রঃ ১০ পল = বর্তমান ৪ মিনিট :)।
দম সাধকগন মূলত আধুনিক হিসাব নয়, বরং আদি হিসাব দ্বারাই গননা করে থাকেন এইসব বিষয়। আপনাদের বুঝার জন্য আমি পরিষ্কার করে দিলাম বিষয়টা।
#দমের_খবর (পর্ব -০৬)
_____________________
পঞ্চ তত্ত্বের আলাদা আলাদা রঙ রয়েছে।
যার মাধ্যমে আপনি তত্ত্ব নির্নয় করতে পারবেন। আগামী পোস্টে আমি তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি উল্লেখ করব অথবা তত্ত্বের লজ্জত বা স্বাদ প্রকাশ করব।
যেটা আপনাদের জানা থাকতেই হবে নিজে নিজে দেহের তত্ত্ব নির্নয়ের ক্ষেত্রে।
নিন্মে তত্ত্বের রঙ গুলো উপস্থাপন করা হল।
#আকাশ তত্ত্বের রঙ হল রঙহীন বা বিভিন্ন বর্ণ একত্রে।
#বায়ু তত্ত্বের রং হল সবুজ।
#অগ্নি তত্ত্বের রঙ হল কালো।
#জল তত্ত্বের রঙ হল লাল।
#পৃথিবী তত্ত্বের রঙ হল হলুদ।
আপনি দেহের মাঝেই এই রঙ দেখতে পারবেন তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতির মাধ্যমে।
পদ্ধতিগুলো আমি আগামী পোস্ট গুলোতে দেওয়ার চেষ্টা করব।
এগুলো আপনার মাঝে হচ্ছে, কিন্তু জানা না থাকার কারনে আপনি বুঝতে পারছেন না।
বিঃদ্রঃ রং গুলো আমাদের ৪০ শে তালিম থেকে নেওয়া, অন্য শাস্ত্রে ভিন্নভাবে আছে।
যে যেটা জানেন, সেই রঙ উদয় হওয়া নির্নয় করলেই হবে।।
ভিন্ন মতঃ
আকাশ= ধূম্র বর্ন। বায়ু= শ্যামল বর্ণ। অগ্নি= ভষ্ম বর্ণ। জল= গৌর বর্ণ এবং পৃথিবী =শুভ্র বর্ণ বা রঙ।
মোতালেব চিসতি।
#দমের_খবর (পর্ব- ০৭)
_____________________
পূর্বের পোস্ট গুলোতে দমের ঘরের অনেক বিষয় জানিয়েছে এবং তত্ত্ব সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা দিয়েছি। আমার অঙ্গীকার অনুযায়ী আজ আমি তত্ত্ব নির্নয় করার পদ্ধতি জানাবো সবাই, যাতে নিজে নিজেই গুরু ছাড়া তত্ত্ব নির্নয় করতে পারেন।
তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক পদ্ধতি আছে, আমি একটি উল্লেখ করতেছি, মূলত সাধকদের এভাবে তত্ত্ব নির্নয় করতে হয় না।
তারা এমনিতেই বুঝতে পারে সাধনা সাধনা করতে করতে।
একটি দর্পন তথা আয়না নাকের নিন্মে ধরে দম অর্থাৎ নিশ্বাস ত্যাগ করবে, তখন আয়নার উপর নাকের বাষ্প পতিত হবে, এখন শীতকাল তাই বেশি সহজেই বুঝতে পারবেন আশাকরি।
সেই বাষ্পের দিকে মনোযোগ দিন। দেখবেন বাষ্প কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে। এই মিশে যাওয়ার সময় যদি চার কোনা হয়ে মিশে যায়, তাহলে খাক তত্ত্ব উদয় হয়েছে বুঝতে হবে। এভাবে যথাক্রমে যদি অর্ধ চন্দ্র আকারে, মিশে যায় তাহলে আব তত।