02/12/2025
সচরাচর চিকিৎসকগণ চিকিৎসককে পেশা হিসেবে গণ্য করেন।অন্যান্য দশটি পেশার মত চিকিৎসা কর্মও একটি পেশা। পেশার বশবর্তী হইয়া মানুষ দুর্নীতি, লোভ-লালশাই নিজেকে ভাসাইয়া দেয়, চরিত্রহীন ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন হইয়া পড়ে, নীতিহীন হইয়া অসৎ আচরণে লিপ্ত হয়। কিন্তু মহান চিকিৎসা কর্মকে তাই সাধারণ পেশা হিসেবে কিছুতেই গণ্য করা যাবে না।
রোগকাতর মানুষ চিকিৎসকের নিকট আসে রোগ যন্ত্রণা হতে মুক্তি পাবার জন্য। রোগে মানুষের স্বাস্থ্য বিকৃত হয়, জীবন হয় বিপন্ন। রোগীর জীবন-মরণ চিকিৎসকের হাতেই ন্যস্ত। রোগমুক্তি, স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার সবকিছুই নির্ভর করে চিকিৎসকের উপর। একজন পীড়িত ব্যক্তি রোগ যন্ত্রণা হতে মুক্তি পাবার জন্য সর্বস্ব বিক্রি করিতেও পিছ-পা হয় না। চিকিৎসা পেশায় তাই অর্থ উপার্জন করা মোটামুটি সহজ। রোগ হতে মুক্তির পরিবর্তে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢোলিয়া পড়িতেছে আর এদিকে শুধু পেশার দ্বারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করিতেছে এরূপ শোচনীয় অবস্থায় হ্যানিমান শুধু নীরব দর্শক হইয়া থাকিতে পারেন নাই। এজন্য চিকিৎসক জীবনের মহান উদ্দেশ্য ও কর্তব্য কি হইবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট অভিমত ব্যক্ত করেন। মহাত্মা হ্যানিমান চিকিৎসককে পেশাদারী না হইয়া সেবক রূপে চিকিৎসার মহান ব্রত পালনে উপদেশ দিয়েছেন। রোগীকে প্রকৃতভাবে নিরোগ করা এবং তাহার হারানো স্বাস্থ্য ও পুনঃস্থাপন করাই চিকিৎসকের একমাত্র মহান উদ্দেশ্য। এজন্যই চিকিৎসাকে হ্যানিমান পেশা না বলিয়া জীবনের মহান উদ্দেশ্য ও কর্তব্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।