SAAR

SAAR Health Information Asian Academy of Robotics

17/09/2023

প্রতিদিনের সুস্থতায় কার্যকরী ১০ টি স্বাস্থ্য টিপস জেনে নিন

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনি কি সুখে থাকবেন? পারবেন না। কারণ আপনার শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুতেই আপনি ভালো থাকা যায় না। তাই সবার আগে চাই সুস্থ শরীর। আর শরীর সবসময় সুস্থ রাখার জন্য আমাদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয় যা স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব প্রয়োজনীয়। কিছু সহজ টিপস যা মেনে চললে আপনি সর্বদাই ভালো থাকবেন। জেনে নিন নিয়মগুলো।

১। যখন আপনি খেতে বসবেন কখনোই একবারে বেশি খাবেন না। অল্প করে খান, তবে একটু পর পর। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

২। অফিসে সবসময় বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যান। তাহলে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।

৩। কাজের মঝে অবশ্যই টি ব্রেক নিন। কারণ একটানা কাজ করতে গেলে কিছুটা হলেও শরীরে চাপ পড়ে।

৪। যে কোন জায়গায় লিফট ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন সিঁড়ি বেয়ে উঠতে।

৫। সবসময় রান্না করার সময় খাবারে লবণের ব্যবহার কম করুন।

৬। প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমাতে যান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।

৭। সলিড ফ্যাট খাবার, যেমন- ফাস্টফুড, ঘি, মাখন, চিজ ইত্যাদি খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

৮। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে সবজি ও মাছ রাখুন। এবং ফল খেতে ভুলবেন না।

৯। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বাইরে সম্ভব না হলে বাসাতেই ১৫ থকে ২০ মিনিট নিজে নিজে ব্যায়াম করুন। তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

১০। নিয়মিত নিজের ওজন, ব্লাড প্রেশার, শরীরে গ্লুকোজ এর পরিমাণ চেক করুন। মাসে অন্তত একবার রেগুলার চেকআপ এর জন্য ডাক্তার এর কাছে যান।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসাহঠাৎ করে কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার মুখ ...
16/09/2023

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা

হঠাৎ করে কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার মুখ একদিকে বেঁকে গেছে! কুলি করতে গেলে পানি ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে, চোখ বন্ধ করতে পারছেন না! কী ভয়ংকর অনুভূতি হবে তখন, তাই না? ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ কী, এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না! চলুন আজ এই রোগ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেই ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট এন্ড জেরোন্টলজিস্ট এর কাছ থেকে।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস
এটা এক ধরনের প্যারালাইসিস। আমাদের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভটিকে ফেসিয়াল নার্ভ বলে। যখন এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন তাকে ফেসিয়াল পলসি বা ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বলে। জন বেল নামের এক ভদ্রলোক এই রোগটি প্রথম আবিষ্কার করেন, সেজন্য একে বেলস পলসিও বলা হয়।

এটা কি পুরোপুরি ভালো হয়?
এই ক্ষেত্রে মুখের পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায় বা একপাশে প্যারালাইজড হয়ে যায়। এটি মুখের মাংসপেশীর সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। তবে এই পেশীগুলো কিন্তু সাময়িকভাবে আক্রান্ত হয় এবং নিয়মিত চিকিৎসার ফলে এই রোগ সাধারণত পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। ফেসিয়াল পলসি সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো হতে শুরু করে। নার্ভ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে।

কাদের বেশি হয়?
এটি যেকোনো বয়সের মহিলা ও পুরুষের হতে পারে, তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এছাড়াও প্রেগনেন্সির সময়, ফুসফুসের ইনফেকশন, ডায়াবেটিস এবং পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হবার ইতিহাস থাকলে ফেসিয়াল পলসি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস এর কারণ
ভাইরাল ইনফেকশন
মধ্য কর্ণে ইনফেকশন
ঠান্ডাজনিত কারণ
আঘাতজনিত ও মস্তিষ্কের স্ট্রোকজনিত কারণ
ফেসিয়াল টিউমার
কানের অপারেশন পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি
লক্ষণগুলো কী কী?
এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মুখ সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে যায়। তবে শতকরা এক ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে মুখের দুই পাশ আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগীর মুখের যে পাশ আক্রান্ত হয়েছে, সে পাশের চোখ বন্ধ হয় না এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। অনেক সময় চোখ পুরোপুরি খুলতেও কষ্ট হয়ে থাকে। রোগী কপাল ভাঁজ করতে পারে না। এছাড়াও কিছু লক্ষণ থাকে, জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে।

চোখে জ্বালা-পোড়া করতে পারে
অনেক সময় ‘ড্রাই আই’ সমস্যা দেখা দেয়
কুলি করতে গেলে পানি গড়িয়ে পড়ে যায়
গালের মাংসপেশি ঝুলে যেতে পারে
খাবার চিবাতে ও গিলতে কষ্ট হয়
মুখের হাসি বেঁকে যায়
লালা ঝরতে থাকে
জিভ শুকিয়ে যায়
এছাড়াও জিভের সামনের অংশের স্বাদের অনুভূতি কমে যেতে পারে
মুখের আক্রান্ত পাশে ব্যথা হয়
বিশেষ করে চোয়াল এবং মাথায় ব্যথা হয়ে থাকে
অনেক সময় কথা বলতে কষ্ট হয়
রোগ নির্ণয়

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ও রোগীর ইতিহাস জেনে রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে অনেক সময় কিছু প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা
এর চিকিৎসা রোগের কারণের উপর নির্ভর করে। কী কারণে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে মেডিসিন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে সব ক্ষেত্রেই মেডিসিনেরর পাশাপাশি মূল চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। ফেসিয়াল পলসিতে আক্রান্ত হবার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর দ্রুত ভালো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এই রোগের জন্য স্টেরয়েড মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। ‘ড্রাই আই’ প্রতিরোধ করার জন্য আই ড্রপ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া চোখ একেবারে বন্ধ না হলে ঘুমানোর সময় সার্জিক্যাল টেপ দিয়ে চোখ বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ফিজিওথেরাপি
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান করে থাকেন। তার মধ্যে ফেসিয়াল মাসল এক্সারসাইজ, স্পিচ রি-এডুকেশন, বেলুনিং এক্সারসাইজ, ইলেক্ট্রো থেরাপি রয়েছে। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। যদি নার্ভ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে রোগী সুস্থ হতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে যায়।

ঘরোয়া চিকিৎসা

১। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।

২। চোখের জ্বালা-পোড়া এবং ব্যথা কমাতে নরম টাওয়াল উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে চোখে সেঁক দেওয়া যায়।

৩। একটা গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তার ভেতর স্ট্র দিয়ে বুদবুদ তুলবেন। এতে ঠোঁটের চারপাশের মাংসপেশী শক্তিশালী হবে, পানি পান করার সময় আর গাল বেয়ে পড়ে যাবে না।

৪। কথা বলুন, এতে করে কথা বলার জড়তা কমে আসবে। কোনো শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হলে প্রথমে স্বরবর্ণগুলো জোরে জোরে উচ্চারণ করুন। তারপর ব্যঞ্জনবর্ণ অনুশীলন করবেন।

৫। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। ব্রেথিং এক্সারসাইজ, ইয়োগা এগুলো আপনাকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করবে।

৬। নিয়মিত ফিজিওথেরাপিস্টের শেখানো এক্সারসাইজ করবেন।

৭। নিয়মিত ৮ ঘন্টার ঘুম, হেলদি ডায়েট এবং প্রচুর পানি পানি করবেন। এসব ক্ষেত্রে হেলদি লাইফস্টাইল আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আমরা অনেক কিছুই জানলাম। আজ এই পর্যন্তই, আবারও চলে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

লিখেছেন
মাহমুদা রোজী

ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ...
28/08/2023

ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ২৩৪ ক্যালোরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় ফলটি থেকে। নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব সুমিষ্ট ফল ডালিম খেলে। জেনে নিন ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা সম্পর্কে।

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের সমৃদ্ধ উৎস ডালিম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ডালিম খেলে।

২. ডালিমের যৌগগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি টিউমারের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৩. হৃদরোগীদের জন্য দালিম বেশ উপকারী ফল। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস পান করলে বুকে ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়। সেইসাথে হার্টের স্বাস্থ্যের উপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে ফলটি।

৪. প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় ডালিম থেকে। রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন প্রতিদিন।

৫. ২০১৪ সালের এক গবেষণায বলছে, ডালিমের নির্যাস রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।

৬. ডালিমে এমন যৌগ রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে মুখের জীবাণু যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে।

৭. ডালিমের নির্যাস ক্লান্তি দূর করে ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৮. ডালিমে রয়েছে এলাজিটানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৯. মস্তিষ্ক ভালো রাখে ডালিম। আলঝেইমার এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ফলটি।

১০. ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম হজমের গণ্ডগোল দূর করতে পারে।

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেশন যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেনমাপমত জুতা না পরলে ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ হতে পারেমাপমত জুতা না পরলে ড...
23/08/2023

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেশন যে লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন

মাপমত জুতা না পরলে ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ হতে পারে
মাপমত জুতা না পরলে ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ হতে পারেছবি: পেক্সেলস
ডায়াবেটিসজনিত পায়ের সংক্রমণ (ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন) একটি জটিল সমস্যা। ডায়াবেটিসের অনেক রোগীই এ সমস্যায় ভোগেন। এমনকি এই সমস্যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদের পায়ে সংবেদনশীলতা ও রক্ত চলাচলের সমস্যা থাকে। যে কারণে সৃষ্ট ক্ষত দ্রুত চিকিৎসা না করলে জটিল হয়ে পড়তে পারে। তাই এ সমন্ধে ডায়াবেটিসের রোগীর জানা থাকা জরুরি।

কখন সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি

বেশ কয়েকটি অবস্থায় ডায়াবেটিসের রোগীর পায়ে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। এর মধ্যে আছে—

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে।

যথাযথভাবে পায়ের যত্ন না নিলে।

মাপমতো জুতা না পরলে।

পায়ের চামড়া বেশি শুষ্ক থাকলে।

এই সংক্রমণে পায়ের নখের কোনা মাংসের মধ্যে দেবে যেতে থাকে
এই সংক্রমণে পায়ের নখের কোনা মাংসের মধ্যে দেবে যেতে থাকেছবি: পেক্সেলস
কীভাবে হয় সংক্রমণ

ডায়েবেটিসের রোগীদের পায়ের বোধ কম থাকায় সহজে তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া আঘাতের পরে ব্যথা অনুভব না করায় ক্ষত জটিল আকার ধারণ করে। রক্তের উচ্চ শর্করা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে তা বিভিন্ন জীবাণুর বংশবিস্তারে সাহায্য করে।

সাধারণত স্ট্যাফ অরিয়াস নামক জীবাণু দিয়ে বেশির ভাগ সংক্রমণ হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় একসঙ্গে কয়েকটি জীবাণু দিয়ে সংক্রমণ হতে পারে।

যেভাবে বুঝবেন

সংক্রমণ হলে সাধারণত পা ও পায়ের পাতা ফুলে যায়। পায়ের চামড়ার রং বদলে যায়। পা ও পায়ের পাতায় জ্বালাপোড়া ও শিরশিরে অনুভূতি হলে সতর্ক থাকুন। পায়ের বোধ কমে যাওয়া, পায়ের আঙুলে যন্ত্রণা ও আঙুলের ফাঁকে ফাটল, পায়ের নখের কোনা ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া, পায়ের যেকোনো ক্ষত সারতে দেরি হওয়ার মতো ঘটনা ডায়াবেটিক রোগীর সঙ্গে ঘটলে বুঝতে হবে তিনি ডায়াবেটিক ফুট ইনফেশনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই উপসর্গ ও লক্ষণগুলো খারাপ। এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশনের কিছু পর্যায় বা গ্রেডিং আছে। সেটাও জেনে রাখুন

গ্রেড ০: পায়ে ব্যথা ও চামড়ার রং পরিবর্তন।

গ্রেড ১: পায়ের চামড়ায় ক্ষত তৈরি হওয়া।

গ্রেড ২: পায়ের মাংস, টেন্ডন ও লিগামেন্টে ক্ষত সৃষ্টি।

গ্রেড ৩: পায়ের হাড়ে ক্ষত তৈরি হওয়া।

গ্রেড ৪: পায়ের সামনের অংশে পচন ধরে যাওয়া।

গ্রেড ৫: পুরো পায়ের পাতায় পচন ধরে যাওয়া।

পায়ের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে
পায়ের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যত্ন নিতে হবেছবি: পেক্সেলস
চিকিৎসা কী

ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন বারবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাঁদের বারবার ইনফেকশন হয়, তাঁদের ১০-৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে আঙুল, পায়ের কিছু অংশ অথবা পুরো পা কেটে ফেলতে হয়। তাই পায়ের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। সংক্রমণ সেরে উঠতে দুই সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে। অনেক সময় পায়ের রক্তনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রক্তনালির চিকিৎসা করা লাগতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় হিসেবে কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন।

১. রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

২. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটাচলা করুন।

৩. পায়ের যত্ন নিন। এর মধ্যে আছে—পা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়মিত নখ কাটা, বাইরে বেরুলে মোজা পরা, সঠিক মাপের জুতা পরা, পায়ে তেল বা ভ্যাসলিন দিয়ে ম্যাসাজ করা ও কুসুম গরম পানিতে পায়ে সেঁক নেওয়া।

গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয়গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে আমরা সচরাচর কী করি? প্রথমেই পানি পান করি, তারপর এক মুঠো ভাত এক...
08/02/2015

গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয়

গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে আমরা সচরাচর কী করি? প্রথমেই পানি পান করি, তারপর এক মুঠো ভাত একবারে গিলে ফেলি। কিন্তু এতেও যদি কাঁটা না নামে তাহলে কী করণীয়? নিচে তেমনই ৭টি ভিন্নরকম কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. শুধু পানি পান করলেই হবে না। হালকা গরম পানির সঙ্গে অল্প লবণ গুলিয়ে পান করুন। দেখবেন কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
২. কিছু ভাত নিয়ে এগুলো দিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। তারপর পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। তবে শুধু ভাতের গোলা চিবিয়ে খেলে কিন্তু কাঁটা নামবে না। পানি দিয়ে গিলে ফেলতে হবে।
৩. আরেকটি সহজ একটি উপায় আছে। তা হলো কলা খাওয়া। কলা খেতে খেতে দেখবেন কাঁটা নেমে গেছে।
৪. লেবু দিয়ে কাঁটা নিচে নামাতে পারেন। এজন্য এক টুকরো লেবু নিয়ে তাতে একটু লবণ মাখিয়ে চুষে লেবুর রস খেয়ে ফেলুন। দেখবেন, আপনার গলায় কাঁটা আছে বলে মনেই হবে না!
৫. পানির সঙ্গে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও ঠিক লেবুর মতই কাঁটা দূর করতে সহায়তা করবে।
৬. সামান্য অলিভ অয়েল পান করেও কাঁটা সরাতে পারেন।
৭. মজার একটা উপায় আছে। তা হলো কোমল পানীয় পান। এক গ্লাস কোমল পানীয় পান করুন। দেখবেন, কাঁটা যেন হাওয়ায় মিশে গেছে!

ক্যান্সার : ভয় নয় জয় করুন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহক্যান্সার শব্দটি শুনলে যে কেউ অাঁতকে উঠেন। অনেকের দৃষ্টিতে ক্যান্সা...
08/02/2015

ক্যান্সার : ভয় নয় জয় করুন

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

ক্যান্সার শব্দটি শুনলে যে কেউ অাঁতকে উঠেন। অনেকের দৃষ্টিতে ক্যান্সার মানেই মৃত্যুদণ্ড। এক সময় মনে করা হতো, ক্যান্সারের কোনো অ্যানসার (উত্তর) নেই। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির উন্নতি ও অগ্রগতির ফলে এ ধারণাগুলো আর মোটেই সত্য নয়, ক্যান্সারের চিকিৎসাও আর অজেয় নয়। খুব সহজেই অনেক ক্যান্সারের নিরাময় সম্ভব। শুধু দরকার সময় মতো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা। ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের যা যা করতে হবে তা হলো জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যান্সারের এক-তৃতীয়াংশ কারণ জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত, যা অনেকে ইচ্ছা করলেই নিয়ন্ত্রণ করে ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। নিচের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত- * ধূমপানসহ তামাকের যে কোনো ধরনের ব্যবহার পরিহার করা। * মদপান পরিহার করা। * শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণসহ অন্য যে কোনো নেশা পরিহার করা। * সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সুষম খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে অাঁশ (ফাইবার) ও এন্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খাওয়া, বিশেষ করে তাজা মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া, চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া, প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যালযুক্ত খাবার বর্জন, ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় বর্জন ইত্যাদি। * আর্সেনিকমুক্ত পানি পান।
* শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, এজন্য নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম এবং সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। * দীর্ঘসময় সরাসরি সূর্যের নিচে না থাকা, প্রয়োজনে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করা। * যৌনাভ্যাসের ক্ষেত্রে সামাজিক নৈতিকতা মেনে চলা, বহু যৌনসঙ্গী বা পেশাদার যৌন কর্মীর সঙ্গে যৌনকর্ম এবং অস্বাভাবিক যৌনাচার পরিহার করা। * রক্তদান বা গ্রহণ অথবা যে কোনো ইঞ্জেকশন গ্রহণের সময় এবং এন্ডোস্কপি, কলোনোস্কপি ইত্যাদি পরীক্ষার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। * বেশ কিছু জীবাণুর বিরুদ্ধে টিকা নিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব, যেমন হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা ইত্যাদি। * যেসব জীবাণু ক্যান্সার তৈরি করতে পারে তা শরীরে ধরা পড়া মাত্র চিকিৎসা করে ফেলা। * কর্মক্ষেত্রে ক্যান্সার তৈরিকারী রেডিয়েশন বা কেমিক্যালের সংস্পর্শ পরিহার করা। * সন্দেহজনক যে কোনো উপসর্গ যেমন চাকা বা গোটা, ক্ষত, তিলের রঙ পরিবর্তন, দীর্ঘদিনের জ্বর ইত্যাদি দেখা দিলে অবহেলা না করা। * এছাড়া প্রত্যেক সুস্থ ব্যক্তিরই উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো যাতে শরীরে কোনো ক্যান্সার দানা বাঁধতে শুরু করলে তা প্রাথমিক অবস্থাতেই দমন করা সম্ভব হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের বৃহদান্ত্র বা কোলন, মহিলাদের জরায়ুমুখ ও স্তন, পুরুষদের প্রোস্টেট ইত্যাদি নিয়মিত পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বীকৃত। এখন আর ক্যান্সার মানেই অবধারিত মৃত্যু নয়। একটু সচেতন হলেই ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই বিভীষিকার হাত থেকে বেঁচে থাকতে হলে দরকার যথাযথ শিক্ষা ও সচেতনতা।

কিডনির ক্ষতি করছেন যেভাবেমানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি তার ২০ শতাংশ কাজ ঠিকঠাক করতে পারলেই স্বাভাবিকভাবে জ...
08/02/2015

কিডনির ক্ষতি করছেন যেভাবে

মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি তার ২০ শতাংশ কাজ ঠিকঠাক করতে পারলেই স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করা যায়। কিন্তু তাও যদি না হয়, তখন জীবন বাচাঁনোই দায় হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া কিডনি যে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা বুঝতেও পড়তে হয় বেকায়দায়। তাই এ ব্যাপারে আগে থেকে জেনে রাখা দরকার। সাধারণত হরমোন উত্পাদন থেকে শুরু করে রক্ত ফিল্টার, ইউরিন নিঃসরণ, শরীরের বর্জ নিঃসরণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খনিজ লবণ নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি।
তবে এ অঙ্গটির ক্ষতি করে এমন কারণগুলো জেনে নিন।
অতিরিক্ত সোডা পান: গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত সোডা পান করলে কিডনি ধ্বংস হতে পারে। যে ব্যক্তি দুই বা তিন গ্লাস সোডা পান করে তার কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রসাবের মাধ্যমে প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়াটাই কিডনি ধ্বংসের একটি প্রাথমিক লক্ষণ। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ নির্ণয় করা গেলে তা প্রতিকার করা সম্ভব।
ভিটামিন বি-৬'র ঘাটতি : এটা কিডনি ক্ষতির অন্য একটি কারণ। কিডনিকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি-৬ এর অভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। দৈনিক ১.৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-৬ গ্রহণ একটি কিডনিকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। যেসব খাবারে এই ভিটামিন বেশি থাকে তা হলো- মাছ, মুরগীর বাচ্চা, গরুর কলিজা, আলু, আঁশ যুক্ত খাবার এবং ফর্মালিনমুক্ত ফলমূল।
ব্যায়ামের অভাব : কিডনিকে ভালো রাখার আরও একটি উপায় হচ্ছে ব্যায়াম। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে ব্যক্তি নিয়মিত ব্যায়াম করে তার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি ৩১ শতাংশ কম থাকে।
ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি : শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে ম্যাগনেসিয়ামের জুড়ি নেই। একই সঙ্গে খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক-সবজি , মটরশুটি, দানাজাতীয় খাবার, বাদাম এবং অ্যাভাকাদো রাখা যেতে পারে।
কম ঘুম : কম ঘুম কিডনি নষ্টের আরেকটি কারণ। রাতের ঘুম আপনার কিডনি ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এক গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন একটু পর পর ঘুম ভাঙ্গার সমস্যাও কিডনি রোগের অন্য একটি কারণ। রাতে কিডনির টিস্যুতৈরি হয় , তাই রাতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটলে সরাসরি তা এই ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি করে।
অপর্যাপ্ত পানি পান : প্রতিদিন যেসব কারণে কিডনির ক্ষতি হয় তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পর্যাপ্ত পানি পান না করা। কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ শরীর থেকে পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ করা এবং লোহিত রক্তকণিকার ভারসাম্য রক্ষা করা। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বৃক্বের রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এর ফলে রক্তে দূষিত রাসায়নিক জমা হতে থাকে।
প্রস্রাব আটকে রাখা : প্রস্রাব আটকে রাখলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত। কারণ এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পরে। ফলে কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই এই কাজটি করা উচিত নয়।
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ : বিভিন্ন খাবার-দাবারে মিশে থাকা লবণকে পরিপাক করা কিডনির আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রান্না করা বা প্যাকেটজাত খাবারে ব্যবহার করা লবণ আমাদের শরীরে সোডিয়ামের বড় উৎস। কিন্তু পরিপাকের মধ্য দিয়ে এই সোডিয়ামের বেশির ভাগটাই বর্জ্য হিসেবে শরীর থেকে বের করে দিতে হয়। আমরা যখন বেশি বেশি লবণ খাই, তখন এই সোডিয়াম প্রক্রিয়াজাত করা নিয়ে কিডনিকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে কিডনির ওপর প্রবল চাপ পড়ে।
এক গবেষণায় দেখা যায়, লবণ শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে এবং কিডনিতে প্রেসার পড়ে। প্রতিদিন ৫.৮ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন
ক্যাফেইন আসক্তি : তৃষ্ণা পেলে আমরা অনেক সময় পানি পান না করে নানা ধরনের কোমল পানীয় পান করি। কিন্তু এসব পানীয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন মেশানো থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তচাপ কিডনির ওপরও চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যথানাশকের প্রতি নির্ভরশীলতা : মাথাব্যথা, গলাব্যথা যা-ই হোক না কেন কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ খাওয়ার বাজে অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু প্রায় সব ব্যথানাশক ওষুধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কিডনিসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য এসব ওষুধ ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরতা রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে: আপনার জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে দুটি কমন রোগ- উচ্চমাত্রার ব্লাড প্রেসার এবং ডায়েবেটিকস হয়। তবে ইতোমধ্যে যাদের এ রোগগুলো আছে, তাদের কিডনি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে। তবে হ্যা যদি আপনি নিয়মিত আপনার চিকিৎসা চালিয়ে যান তবে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই শরীরের এই মূল্যবান অঙ্গকে রক্ষা করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
অতিমাত্রায় প্রোটিন : গবেষণায় দেখা যায়, আপনার খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে তা কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। এই প্রোটিনের পঁচনই হচ্ছে অ্যামোনিয়া। এটা এক ধরণের বিষক্রিয়া; যা কিডনির কাজকে ব্যহত করে।
অতিরিক্ত মদ্যপান: অ্যালকোহলে যে বিষ থাকে তা শুধু লিভারই ক্ষতি করে না এটা কিডনির ক্ষতি করে থাকে। ফলে কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় পান করা উচিত।দ্রুত চিকিৎসা না নিলে: কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না তা জানতে আমাদের ঢের সময় লেগে যায়। চিকিৎসকের গেলেও সেখানেও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেটে যায় আরও কিছু সময়। আর ততক্ষণে রোগীর অবস্থা আরও বেকায়দা। তাই আগে থেকেই এ ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। কোনো ধরনের সমস্য অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
ধূমপানে আসক্তি : ধূমপানও কিডনি নষ্টের বড় একটি কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের অভিমত অনুসারে ধূমপান কিডনিসহ শরীরে সব অঙ্গের জন্যই ক্ষতিকর। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণাতেই ধূমপানের সঙ্গে কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। সুস্থ কিডনি চাইলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

যে খাবারে মগজ খোলেসত্যিই কি এমন কোনো খাবার আছে, যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো? কীভাবে কাজ করে সেসব খাবার? এ ব্যাপারে গবেষণা হয়...
29/01/2015

যে খাবারে মগজ খোলে

সত্যিই কি এমন কোনো খাবার আছে, যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো? কীভাবে কাজ করে সেসব খাবার? এ ব্যাপারে গবেষণা হয়েছে অনেক। গবেষণা থেকে দেখা গেছে, আপনার শরীরকে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখার জন্য যেমন ভিটামিন ও মিনারেল প্রয়োজন, তেমনি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুগুলোকেও সচল রাখার জন্য এসব খাবারের প্রয়োজন। গবেষকেরা তাই এসব খাবারের নাম দিয়েছেন ব্রেইন ফুড বা মস্তিষ্কের খাদ্য।

বেশির ভাগ বি-ভিটামিন এবং ফলিক অ্যাসিড গ্রহণের ফলে আপনার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র বিশেষ লাভবান হয়।

ভিটামিন বি১ (থায়ামিন): সুস্থ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষগুলোর জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য এবং খাদ্যশস্য থেকে তৈরি খাবার যেমন রুটি, ভাত ও পেস্তায় এই ভিটামিন থাকে।

ভিটামিন বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড): এটা কো-এনজাইম গঠন করে, যা স্নায়ুর উদ্দীপনা প্রেরণে সাহায্য করে। এই ভিটামিন আপনি পেতে পারেন মাংস, মাছ, সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য, শিম বা মটরশুঁটি, দুধ, শাকসবজি ও ফল থেকে।

ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন): এই ভিটামিন ট্রিপটোফ্যানকে সেরোটোনিনে রূপান্তর করে। সেরোটোনিন হলো মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান। এই ভিটামিন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে পাওয়া যায়। যেমন মুরগির মাংস, মাছ, লিভার ও কিডনি। সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য, বাদাম ও শিম থেকেও আপনি এই ভিটামিন পেতে পারেন।
ভিটামিন বি১২ (সায়ানোকোবেলামিন): এটা রক্তের লোহিত কণিকার পরিপক্বতায় সাহায্য করে, প্রোটিন গঠনে সাহায্য করে এবং স্নায়ুকোষগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করে। ডিম, মাংস, মাছ, দুধ এবং দুধজাত খাবার থেকে আপনি এই ভিটামিন পেতে পারেন।

ফলিক অ্যাসিড: মস্তিষ্কের ফ্যাটি অ্যাসিডের বিপাকক্রিয়ায় এই ভিটামিন অপরিহার্য। ফলিক অ্যাসিড বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে পাওয়া যায় যেমন—কলা, কমলার রস, খাদ্যশস্য থেকে প্রস্তুতকৃত খাবার, লেবু, স্ট্রবেরি, ফুটি বা তরমুজ, শাকযুক্ত সবজি, শিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফলিক অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা কম থাকলে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের স্নায়ুজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্নায়ুকে ক্ষয় করবেন না: স্নায়ুগুলোর কাজ সঠিকভাবে পালন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কিছু মিনারেল বা খনিজ উপাদান। আপনার স্নায়ু যদি ক্ষয় হতে থাকে, তা হলে আপনার মস্তিষ্ক তথা সারা শরীর অকেজো হয়ে পড়বে। তাই স্নায়ুর ক্ষয় রোধ করতে এবং স্নায়ুগুলোকে উজ্জীবিত করতে আপনাকে নিচের মিনারেলগুলো গ্রহণ করতে হবে: ম্যাগনেশিয়াম: এটা পাওয়া যায় সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য, শিম বা মটর-জাতীয় বীজ, বাদাম এবং সবুজ শাকসবজিতে।
পটাশিয়াম: এটা পাওয়া যায় খুবানি, আভোকাদো, কলা, খরমুজ, মোসম্বি লেবু, কমলা, শুকনো খেজুর বা আলুবোখারা, স্ট্রবেরি, আলু, মাংস, মাছ প্রভৃতি খাবারে।

ক্যালসিয়াম: এটা পাওয়া যায় দুধ ও দুধজাত খাদ্য যেমন পনির ও দই; শিম, ফুলকপি, বিট, ভক্ষণীয় কাঁটাযুক্ত মাছ ইত্যাদি খাবারে।
মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে খাবার খান: আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখতে অবিরাম জ্বালানি প্রয়োজন। আর এ জন্য দিনে দুবার বা তিনবার বড় ধরনের খাবারের বদলে বারবার অল্প করে খাবার খাবেন। পানি পান করবেন প্রচুর পরিমাণে। আপনার মস্তিষ্কের কাজের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। মানসিক চাপে আপনার মস্তিষ্ক পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই যখনই আপনি ক্লান্ত থাকবেন, দুশ্চিন্তায় থাকবেন কিংবা চাপের মধ্যে থাকবেন তখন অতিরিক্ত পানি পান করবেন। কফি এবং কোলা সীমিত পরিমাণ গ্রহণ করবেন। কারণ, এসব পানীয়তে ক্যাফিন থাকে, যা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

শীতে পালংশাকপালংশাক শীতকালীন শাক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন মানুষের দেহে জমা থাকে না বা তৈরিও হয়...
29/01/2015

শীতে পালংশাক

পালংশাক শীতকালীন শাক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন মানুষের দেহে জমা থাকে না বা তৈরিও হয় না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে চলে যায়। ভিটামিন ‘সি’ প্রতিদিন খাওয়া উচিত। ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে এই শাকে, যা চোখের ভেতর ও বাইরের অংশগুলোতে পুষ্টি জোগায়। অকাল অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে চোখকে। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য পালংশাক ভীষণ উপকারী। এতে নেই কোনো চিনির পরিমাণ। তাই মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস বা ওজন খুব বেশি এমন ব্যক্তিদের জন্য এই শাক নিরাপদ। কচি পালংশাকের স্যুপ দেহে জোগায় অফুরন্ত শক্তি। শরীরের শিরা-উপশিরায় এই শাকের উপাদানগুলো মিশে ত্বকে পুষ্টি জোগায়। চুল পড়া রোধ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গর্ভস্থ শিশুর মেধা বিকাশে এই শাকের গুরুত্ব অপরিসীম।
পালংশাকের ডাঁটায় রয়েছে ডায়াটারি, ফাইবার বা আঁশ-জাতীয় উপাদান, যা খাবার হজমে সাহায্য করে, পেটে গ্যাসের পরিমাণ কমায়, রোধ করে পাকস্থলীসহ পেটের যাবতীয় অঙ্গের ক্যানসার। শীতকালের রোদে থাকে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, যা ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় পালংশাক।
এতে আয়রনও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে, যা গর্ভবতী মা, বয়োবৃদ্ধসহ সবার জন্য যথেষ্ট উপকারী। খানিক লবণ আমাদের দাঁত, ঘাড়, চুলকে করে মজবুত। পালংশাকে খানিক লবণও রয়েছে কিন্তু কিছু পরিমাণে। তবে এই শাকের খনিজ লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় না। তাই হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীরা খেতে পারেন এই শাক। যেসব শিশু খিচুড়ি খায়, তাদের খিচুড়িতে সামান্য পালং পাতা দিতে পারেন। এতে শিশুর শরীরে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’র ঘাটতি পূরণ হবে। টাটকা ও কম তেল, মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়াই উত্তম। শাক সবাই রাতে হজম করতে পারেন না। নিজের হজম ক্ষমতা বুঝে খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শাকের ভূমিকা অপরিসীম। তারুণ্য বজায় রাখতে এই শাক হোক আপনার শীতকালীন সঙ্গী। পালংশাকে রয়েছে অ্যান্টি এজিং ফ্যাক্টর, অর্থাৎ যে উপাদানটি বয়স বৃদ্ধিজনিত জটিলতাগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

চুল পড়া রোধ করুনসাধারন ভাবেই আমরা প্রতিদিন কিছু চুল হারাই। কিন্তু এই চুল পড়ার হার যদি স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি হয় এবং ...
29/01/2015

চুল পড়া রোধ করুন

সাধারন ভাবেই আমরা প্রতিদিন কিছু চুল হারাই। কিন্তু এই চুল পড়ার হার যদি স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি হয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে আমাদের বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে চুল পড়ার এই ব্যপারটা আমাদের হাতের নাগালের বইরে চলে না যায়। এই ব্যবস্থা গুল নিয়েই আজকে আমাদের আলোচনা।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের শরিরে আয়রন এর অভাবে আমাদের চুল পড়ে যায়। আয়রন এর অভাবে আমাদের দেহে লহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোঁড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ। খুব সহজেই একটি ছোট ডায়াগনস্টিক টেস্ট এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার শরিরে লহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কম কিনা। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমানে লাল শাক, কচুর শাক খেতে হবে। এতেও যদি লহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা না বাড়ে তাহলে আয়রন ও ভিটামিন সি (শরীরে আয়রন গ্রহনে সহায়তা করে) এর সংমিস্রনে কিছু ট্যাবলেট পাওয়া যায়, তা খেতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি ভাল কাজে দেয়।

ওমেগা - থ্রী (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুবি কার্যকর। সাধারনত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদান টি থাকে। তবে সেই সব মাছ আমাদের দেশে পাওয়া যায় বলে জানা নেই (স্যামন, ম্যাকারেল ইত্যাদি)। তবে আমাদের দেশে একটি জিনিশ পাওয়া যায়, তা হল তিশির তেল। এই তিশির তেল এ প্রচুর পরিমানে ওমেগা - থ্রী (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, এই তিশির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয়। অথবা রান্নায় ব্যাবহার করার জন্য ও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমান তিশির তেল সালাদ এর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। ওমেগা - থ্রী (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ফর্ম এ ও পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিনা নিশ্চিত নই। আপনার নিকতস্থ ফার্মেসি তে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।

যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে, তারা চেষ্টা করবেন চুলে উল্টা পাল্টা কিছু ব্যাবহার না করতে। গাল ভরা বিজ্ঞাপন এ বিভ্রান্ত হবেন না। তেল, তা যত দামিই হোক, চুল এর পুষ্টি যোগাতে পারে না। হয়ত দেখতে কিছুটা সুন্দর দেখাতে পারে। সব সময় চুলে তেল দিলেও ১ ঘণ্টা রেখে স্যাম্পু করে ফেলবেন। হেয়ার স্টাইল জেল ব্যাবহার না করাই ভাল।

অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য চুল পড়ে যেতে পারে। যেমন, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড সমস্যা, রক্ত শূন্যতা, হৃদ রোগ এ ব্যাবহার করা ঔষধ ইত্যাদি। এই সব সমস্যা আপনার আছে কিনা, অথবা থাকলে কি করতে হবে তা আপনি আপনার জেনারেল ফিজিসিয়ান বা ফ্যামিলি ফিজিসিয়ান এর সাথে কথা বলে সেই মত চলবেন। (আপনি চাইলে স্বাস্থ্য বাংলার ফ্রী ফিজিসিয়ান সাপোর্ট নিয়ে আপনার ভেতরের কোন সমস্যার কারনে চুল পরছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন)।

মনে রাখবেন, সবচেয়ে বেশি চুল পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে বংশগতির কারনে। তবে যাদের বংশে চুল পড়ার ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রেও চুল পড়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে উপরোক্ত পারিপার্শ্বিক অবস্থা সমুহের কারনে।

ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধপৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফুসফুস ক্যানসার পুরুষের এক নম্বর ক্যানসার। ক্যানসারজনিত মৃ...
29/01/2015

ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধ

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফুসফুস ক্যানসার পুরুষের এক নম্বর ক্যানসার। ক্যানসারজনিত মৃত্যুর তালিকার শীর্ষেও ফুসফুস ক্যানসার। সাধারণত ৪৫ বছরের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের হারও বাড়তে থাকে। ইদানীং নারীদের মধ্যেও ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধূমপান, নেশাজাতীয় দ্রব্য, তামাক পাতা সেবন, দূষিত (বায়ু) পরিবেশে জীবনযাপন এবং অন্যান্য কারণে শ্বাসপ্রণালি ও ফুসফুসের কোষে ক্ষত দেখা দেয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়, রোগজীবাণু আক্রমণ করে। ফুসফুসের নালি-প্রণালিতে প্রদাহ হয়। ফুসফুসের কোষে ক্ষত হতে হতে কোনো একসময় ক্যানসারের সূচনা করে।

ফুসফুস ক্যানসার কী?
ফুসফুসের কোনো কোষ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে ক্যানসার কোষে রূপ নেয়। এ কোষ স্বাভাবিক কোষ থেকে আলাদা। যেমন আকার-আকৃতিতে, তেমনই কার্যকারিতায়। একসময় এই কোষই জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ক্যানসার কোষটি দ্রুত বিভাজন হয়ে কোষসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটাতে থাকে। কোষসংখ্যার এ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন ও অস্বাভাবিক। এক্স-রে ও সিটিস্ক্যান প্লেটে এর ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

ফুসফুস ক্যানসারের কারণ কী?
ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ। ১৯৫০ সাল থেকে অসংখ্য গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। ফুসফুস ক্যানসারের ৯০ শতাংশ কারণ প্রত্যক্ষ ধূমপান।
সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রায় ৪০০ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। যে ব্যক্তি দিনে এক প্যাকেট সিগারেট খান, তাঁর ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীর চেয়ে ২৫-৩০ গুণ বেশি। যে মুহূর্ত থেকে ধূমপান বন্ধ করা হয়, ঠিক তখন থেকেই তাঁর ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে শুরু হয়।
অন্যান্য কারণ
পরোক্ষ ধূমপান। ব্যক্তি নিজে ধূমপান করেন না; তবে দীর্ঘদিন পাশে থেকে অন্যের ধূমপানের ধোঁয়া গ্রহণ করেন। পরোক্ষ ধূমপায়ীও এ রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বায়ুদূষণ; গাড়ি, কলকারখানা, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত কাঠ, কয়লা ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে। কলকারখানায় ব্যবহূত হয় এসবেস্টোস। এসবেস্টোস এক ধরনের আঁশজাতীয় পদার্থ, যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এসবেস্টোস ফুসফুসের ক্ষত সৃষ্টি করে এবং ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি নয় গুণ বাড়িয়ে দেয়।

ফুসফুস ক্যানসারের সংকেত কী কী?
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে প্রায় সব ধরনের ক্যানসারই নিরাময় করা সম্ভব। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুস ক্যানসারের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোকে ফুসফুস ক্যানসারের সংকেত হিসেবে গণ্য করা হয়।

দীর্ঘদিন স্থায়ী কাশি। কাশির জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কাশি সারছে না। কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া। এমনিতে তেমন কোনো শ্বাসকষ্ট নেই। তবে কাজকর্ম করতে গেলে বা সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট বোধ হওয়া।
বুকে, পিঠে, বাহুতে ব্যথা অনুভব করা বা অস্বস্তিবোধ হওয়া। কাশি বা শ্বাসকষ্ট হওয়ার আগেও এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া, প্রায়ই ফুসফুসে প্রদাহ (ব্রঙ্কাইটিস) হওয়া। ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা।
ক্যানসার শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে গেলে আরও অনেক উপসর্গ ও চিহ্ন দেখা দিতে পারে।

ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধের উপায় কী?
কিছু কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে আসে। কখনো ধূমপান না করা। পরিবারের অন্যরাও যাতে ধূমপান করতে না পারে, সে রকম পরিবেশ গড়ে তোলা। পরোক্ষ ধূমপানের শিকার না হওয়া। যেসব জায়গায় সব সময় ধূমপান চলে, সেসব জায়গায় অবস্থান না করা।
কর্মক্ষেত্রের কার্সিনোজেন এড়িয়ে চলা। কর্মক্ষেত্রে যদি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তাহলে চাকরির বিধিতে শারীরিক সুরক্ষার জন্য যেসব সতর্ক নিয়মকানুন আছে, তা ঠিকভাবে মেনে চলা। রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত কাঠ, পাতা, কয়লা, পাটখড়ি, ময়লা কাগজ ইত্যাদি পোড়ানোর ধোঁয়া ঘরের ভেতরে গিয়ে পরিবেশদূষণ ঘটায়। ঘরের ভেতরের বাতাস যাতে বাইরে চলাচল করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা। এমনকি সপ্তাহে দুই দিন হালকা ধরনের ব্যায়ামও ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজিতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে, তা প্রক্রিয়াজাত ওষুধে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে ইন-অরগানিক ফসফেটযুক্ত খাবার ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ইন-অরগানিক ফসফেটযুক্ত খাবারের মধ্যে আছে প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন—মাংস, ফাস্টফুড, বেকারি খাবার, পনির ও বিভিন্ন কার্বোনেটেড কোলা ড্রিংক ইত্যাদি। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবারও ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। গ্রিন-টি খাওয়ার অভ্যাস করা। নিয়মিত গ্রিন-টি পান করলে ধূমপানে সৃষ্ট কোষের ক্ষতি কিছুটা কম হয়। এর ফলে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে।

29/01/2015

মন ভালো তো হৃদযন্ত্র ভালো

হৃদয় বা মন, এর সঙ্গে হৃদ্‌যন্ত্রের সত্যিকারের যোগাযোগ কতটুকু, তা নিয়ে যতই বিতর্ক আর গবেষণা চলুক, এ কথা আজ নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত যে মনের সমস্যার সঙ্গে হৃদরোগের একটা সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তিত্বের ধরন, মনের অসুখ, চাপ, উৎকণ্ঠা, বিষণ্নতা ইত্যাদি মানসিক অবস্থা হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলে আবিষ্কৃত হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বহু গবেষণা হচ্ছে, মনের সমস্যার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক এখন প্রমাণিত সত্য, কিন্তু বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এইচ এফ ডাম্বার তাঁর ইমোশন অ্যান্ড বডিলি চেঞ্জ গ্রন্থে এ বিষয়ে গবেষণাপ্রসূত তথ্য দেন।
তিনি বলেন, আবেগের নানা রকম সমস্যা, মানসিক চাপ ও ব্যক্তিত্বের ধরন হৃদরোগের অন্যতম একটি কারণ। তিনি সর্বপ্রথম ‘করোনারি পারসোনালিটি’ নামে ব্যক্তিত্বের প্রকরণ ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন, এ ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তির হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেশি। এ ধরনের ব্যক্তিত্বের আচরণকে পরে ১৯৬০ সালে ফ্রাইডম্যান ও রোসেনম্যান ‘টাইপ-এ আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
পরবর্তী আরও গবেষণায় ১৯৭৫ সালে ফ্রাইডম্যান ও তাঁর সহযোগীরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করেন, যাদের মধ্যে টাইপ-এ আচরণ দেখা যায় বা যারা করোনারি পারসোনালিটির অধিকারী, তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি! কেমন আচরণ হয় করোনারি পারসোনালিটির মানুষের, আর টাইপ-এ আচরণই বা কী?
গবেষণায় এ ধরনের ব্যক্তিত্বের যে বৈশিষ্ট্য ও আচরণগুলো বের হয়ে এসেছে, তা হলোঃ
ক্রমাগত আবেগের সমস্যায় থাকা, সামান্য মনখারাপের বিষয়ে বেশি ভেঙে পড়া বা কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অত্যধিক আবেগ প্রকাশ করা। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে আশপাশের মানুষের চেয়ে সুবিধাবঞ্চিত থাকা। অতিরিক্ত কাজের চাপ ও কর্মপরিধির মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মানসিক চাপ বোধ করা। কোনো কারণ ছাড়াই পারিপার্শ্বিকতার প্রতি বৈরী ভাব পোষণ করা (যেমন-এ দেশের সবাই খারাপ, সব মানুষ লোভী, কেউ ভালো নয়, সবাই আমার শত্রু ইত্যাদি মনে করা)।
সব সময় একটা প্রতিযোগিতামূলক আচরণ করা, বেশি পরিমাণে উচ্চাভিলাষী হওয়া (যেমন-অমুকের চেয়ে আমার এ বিষয়ে ভালো করতেই হবে, ওর আগে আমার প্রমোশন হতেই হবে, আমার সন্তানকে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেতেই হবে ইত্যাদি মনোভাব)। কারণে-অকারণে সব কাজে তাড়াহুড়ো করা। সব সময় একটা পূর্বনির্ধারিত ‘ডেডলাইন’ মাথায় রাখা যে এ সময়ের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে হবে, সময়মতো না হলে তীব্র মানসিক চাপে ভোগা। হুট করে রেগে যাওয়া, অধৈর্য হওয়া, খিটখিটে আচরণ করা। এ ধরনের আচরণ আর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিরা আক্রান্ত হতে পারে হৃদ্‌যন্ত্রের যেকোনো রোগে, বিশেষত রক্ত সরবরাহ-সংক্রান্ত জটিলতায় (ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ), যার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে বুকে ব্যথা আর পরিণতিতে মৃত্যু।
এ তো গেল আচরণ আর ব্যক্তিত্বের কথা। এদিকে কিছু মানসিক রোগের সঙ্গেও সরাসরি হৃদরোগের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা।
যেমন উৎকণ্ঠা (অ্যাংজাইটি) আর অনিয়ন্ত্রিত রাগের কারণে হতে পারে এনজিনা বা ব্যথাযুক্ত হৃদরোগ। তীব্র বিষণ্নতা ও উৎকণ্ঠার যদি চিকিৎসা করা না হয়, তবে এ দুটি রোগ থেকে হতে পারে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’ নামের মারাত্মক হৃদরোগ, যাতে মৃত্যুঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এ ছাড়া আরেকটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়াসহ নানা রকম মানসিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দু-একটি ওষুধ হৃদ্‌যন্ত্রের ওপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোনো কোনো ওষুধ বিষণ্নতাসহ আরও কিছু মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি আরেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যাদের সফলভাবে করোনারি বাইপাস সার্জারি বা হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ পরবর্তী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে মাঝারি থেকে তীব্র বিষণ্নতা ও মানিয়ে চলার সমস্যায় (অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিজঅর্ডার) আক্রান্ত হতে পারে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয় ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এসব রোগীকে অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি নিয়মিত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হচ্ছে। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কেবল খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ব্যায়াম আর ওষুধ সেবনই যথেষ্ট নয়; জীবনযাত্রার পরিবর্তন, আচরণের পরিবর্তন এবং সঠিক মানসিক সাম্যাবস্থাও প্রতিরোধ করতে পারে জীবনবিনাশী হৃদরোগ। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে সবাইকে।

Address

Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SAAR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram