তিব্বে নববী হিজামা কাপিং সেন্টার

তিব্বে নববী হিজামা কাপিং সেন্টার There are no side effects of hemzema cupping therapy.

23/08/2025

হিজামা (কাপিং থেরাপি) – সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা
আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সুন্নাহসম্মত ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হিজামা থেরাপি (কাপিং থেরাপি)। এটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে দিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
হিজামার উপকারিতা:
✅ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
✅ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন দূর করতে সহায়ক
✅ জয়েন্ট পেইন ও ব্যাকপেইন কমায়
✅ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
✅ শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়
✅ মানসিক চাপ ও অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে
বিশেষ সুবিধা:
✔️ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা
✔️ মহিলাদের জন্য অভিজ্ঞ মহিলা থেরাপিস্ট দ্বারা হিজামার ব্যবস্থা
✔️ পরিপূর্ণ ইসলামী পরিবেশে বিশ্বস্ত চিকিৎসা
✔️ আধুনিক সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা করা হয়
📍 অবস্থান: নগর কসবা, মাস্তান বাজার, মিরকাদিম পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ
📞 অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন:
📲 ০১৮২৬০৯২৯০৯ | ০১৬৭৬২৭৭৬০৯ | ০১৬৭১৩৫৬৩৩৬
✅ সুন্নাহর এই বরকতময় চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং সুস্থ জীবন লাভ করুন!

হিজামা কি হার্ড স্টোক পরবর্তী এবং হার্ট স্টোক এড়ানোর জন্য এবং সেক্স প্রবলেম থেকে উদ্ধার হওয়ার উপকার করতে  পারে আপনার প...
02/07/2025

হিজামা কি হার্ড স্টোক পরবর্তী এবং হার্ট স্টোক এড়ানোর জন্য এবং সেক্স প্রবলেম থেকে উদ্ধার হওয়ার উপকার করতে পারে
আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীর দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়—বিশেষত হিজামা (cupping therapy) এর ইসলামী গুরুত্ব, চিকিৎসাগত উপকারিতা, এবং হার্ট বা যৌন সমস্যায় এটি কতটা কার্যকর সে বিষয়ে।
নিচে হাদীস, চিকিৎসা-বিজ্ঞান এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা—তিনটি দিক থেকেই স্পষ্ট ব্যাখ্যা করছি:

🕌 ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হিজামা (হিজামা করার ফজিলত)
📜 হাদীস:
✅ নবী (ﷺ) বলেছেন:
"তোমরা হিজামা গ্রহণ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম চিকিৎসা।"
— (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫৬৯৬)
✅ জিবরাঈল (আঃ) হিজামা করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
নবীজি বলেছেন:
"আমি হিজামার মতো উত্তম চিকিৎসা আর দেখিনি।"
— (তিরমিজি, হাদীস: ২০৫১)
🔹 হাদীসগুলোতে স্পষ্টভাবে হিজামার উপকারিতা এবং উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। নবীজি নিজেও বিভিন্ন সময়ে মাথা, ঘাড়, পিঠে হিজামা করিয়েছেন।

⚕️ চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হিজামা (Cupping Therapy)
🩸 হিজামা কীভাবে কাজ করে:
ড্রাই হিজামা: শুধু কাপ লাগিয়ে ভ্যাকুয়াম টান দেওয়া হয় (রক্ত বের হয় না)

ওয়েট হিজামা: কাপ দিয়ে ভ্যাকুয়াম করে এরপর হালকা চামড়া কাটে দিয়ে পুরাতন, জমাটবাঁধা বিষাক্ত রক্ত বের করা হয়

🧠 আধুনিক চিকিৎসা অনুযায়ী হিজামার উপকারিতা:
রোগ বা সমস্যা
হিজামার সম্ভাব্য উপকারিতা
✅ রক্তচাপ কমানো
হিজামা রক্তপ্রবাহ উন্নত করে
✅ ব্যথা কমানো
ব্যাক পেইন, মাইগ্রেন ইত্যাদিতে কার্যকর
✅ রক্তচলাচল উন্নত
নাইট্রিক অক্সাইড বাড়ায় বলে প্রমাণ আছে
✅ হরমোন ভারসাম্য
শরীরে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে
✅ মানসিক প্রশান্তি
উদ্বেগ, বিষণ্নতা হ্রাসে উপকারী
✅ যৌন দুর্বলতা
বিশেষ করে যারা স্ট্রেস, হরমোন, প্রেসারজনিত কারণে দুর্বলতায় ভোগেন

❤️ হৃদরোগ ও হিজামা: সম্পর্ক ব্যাখ্যা
হিজামা রক্তে জমে থাকা টক্সিন কমায়

রক্তনালীর উপর চাপ কমায়, এতে রক্তচাপ ও হার্টের ওভারলোড হ্রাস পায়

স্ট্রোকের পর বা ব্লকেজের আগে নিয়মিত হিজামা করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে
তবে স্ট্রোক/হার্ট অ্যাটাক হবার অল্প সময় পরেই হিজামা করা নিষেধ — পুরোপুরি সুস্থ হলে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে করাই নিরাপদ

🔞 যৌন দুর্বলতা ও হিজামা:
যারা নিম্নলিখিত কারণে যৌন দুর্বলতায় ভোগেন তাদের জন্য হিজামা উপকারী:
রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা (poor circulation)

হরমোন ভারসাম্যহীনতা
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও টেনশন

পিঠ বা কোমরের রক্তচলাচল কমে যাওয়া

✅ সাধারণত পিঠে, কোমরের নিচে (lumbar), কাঁধের পাশে ও ঘাড়ে হিজামা করা হয়।
বিশেষ করে L1–L5 অঞ্চল (কোমরের নিচে) হিজামা করলে যৌনস্বাস্থ্য উন্নত হতে দেখা যায়।

📌 তবে সতর্ক থাকুন!
যদি ব্যক্তির:
হার্টে পেসমেকার থাকে

ব্লাড থিনার (aspirin/clopidogrel) চালু থাকে

খুব দুর্বল শরীর থাকে

তবে তখন হিজামা না করে, আগে চিকিৎসক অনুমতি নেওয়া জরুরি।

✅ উপসংহার:
প্রশ্ন
উত্তর
নবীজি কি হিজামাকে সেরা চিকিৎসা বলেছেন?
হ্যাঁ, একাধিক হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে
হিজামা কি হার্ট ও যৌন সমস্যায় উপকারী?
হ্যাঁ, বৈজ্ঞানিকভাবেও অনেক প্রমাণ আছে
কি কি উপকার?
রক্তচাপ কমানো, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো, টক্সিন দূর, টেস্টোস্টেরন উন্নয়ন
হার্ট স্ট্রোকের পরে কি হিজামা করা যাবে?
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না
যৌন দুর্বলতার জন্য হিজামা কতটা কার্যকর?
যদি রক্তচলাচল ও হরমোনজনিত সমস্যা হয়, তবে উপকারী হতে পারে

27/06/2025

হিজামা কাপিং থেরাপি নবাব গেইট মুন্সীগঞ্জ

16/06/2025
09/06/2025

বাংলাদেশের বেশিরভাগ সমাজে মসজিদের ইমাম তিনি মসজিদের ইমাম ইমাম মানি নেতা
সে মসজিদে বসে জনগণ ইল্লাল্লাহ জিকির করে কুফরি জিকির এটাকে সেই বাধা
দেয় না দ্বিতীয়ত এসে জাল হাদিস বর্ণনা করে নবীজির জুমার দিনে বসে কোন
খুতবা দেননি সে বসে একটি খুতবা দেয় এবং বাংলায় আরেকটি খুতবাতে দাঁড়িয়ে
দুটি করতে টোটাল সে তিনটি খুতবাতে নবীজি যেটা করেননি,নবীজি জানাজার
পরে দাফনের পর সম্মানিত মোনাজাত করেননি অসংখ্য বিদাতে লিপ্ত তার পিছনে
সালাত আদায় করা বৈধ হবে কি আমার জানামতে আব্দুল্লাহ বিন ওমর বিধাতি
ইমামের পিছনে সালাত আদায় করেননি যেহেতু নবীজির যুগে বা সাহাবাদের যুগে
কেমন বিচার ছিল না দুই একটি ঘটনা পাওয়া যায় তাও তারা সেই সাহাবাগণ সে
বেদাতির পিছনে সালাত আদায় করেননি। আমার করণীয় কি?

আব্দুল্লাহ ভাই, আপনি যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন, সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
এবং হৃদয়বিদারক বাস্তবতা। আজ বহু মসজিদে এমন **ইমাম, মুতাওয়াল্লি বা দল** দায়িত্বে
আছে যারা বিদআতের মধ্যে ডুবে আছে, জাল হাদীস প্রচার করে, মৃতের নামে কোরআন
খতম করায়, চারদিন, চল্লিশা, বার্ষিক মিলাদ উদযাপন করে, এবং এমন অনেক কিছু
করে যার **কোনো ভিত্তি নেই কুরআন ও সহীহ হাদীসে**।

---

# # 🟥 **সরাসরি আপনার প্রশ্ন:**

# # # ❓ **এমন বিদআত প্রচারকারী ইমামের পিছনে সালাত আদায় করব কিনা?**

# # # 📌 **উত্তর: না, আপনার উপর ওয়াজিব নয় এমন ইমামের পিছনে সালাত
আদায় করা, বরং তা পরিত্যাগ করাই তাকওয়ার কাজ এবং সাহাবায়ে কেরামের আদর্শের অনুসরণ।**

---

# # 🔥 **আপনি যেসব বিদআতের কথা বললেন, তার সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ ও শরঈ অবস্থান:**

# # # ১. **বসা অবস্থায় খুতবা দেওয়া (নিয়মিত)**

✅ **বিদআত** — নবীজী ও সাহাবীরা খুতবার সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন। (সহীহ মুসলিম)

---

# # # ২. **জাল হাদীস বর্ণনা করে তা প্রচার করা**

✅ **হারাম এবং কবিরা গুনাহ**
➡️ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

> **"যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নামে মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।"**
> — (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

---

# # # ৩. **সালাত শেষে সম্মিলিত মোনাজাত (বাধ্যতামূলকভাবে)**

✅ **বিদআত** — নবীজী ও সাহাবিরা এমন কিছু করেননি। কখনও আলাদা
করে দোআ করেছেন, কিন্তু জোর করে সম্মিলিত নয়।

---

# # # ৪. **চল্লিশা/চারদিন/বার্ষিক মৃত্যুবার্ষিকীতে খতম কোরআন**

✅ **বিদআত** — এটি ইসলামিক শরীয়তের কোথাও নেই। কুরআন ও
হাদীসে এমন কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

---

# # # ৫. **ইল্লাল্লাহ জিকির (সামূহিকভাবে, উচ্চস্বরে)**

✅ **বিদআত** — সাহাবারা কখনও এভাবে সম্মিলিতভাবে 'ইল্লাল্লাহ'
বলে জিকির করতেন না।

---

# # 📚 **সাহাবীদের মনোভাব এ বিষয়ে:**

# # # 🔹 **ইবনে ওমর (রাঃ)** – বিদআতকারীর পিছনে সালাত আদায়
না করে চলে যেতেন।

🔹 **ইবনে আব্বাস (রাঃ)** – বিদআতের একটি ছায়া দেখলে প্রতিবাদ করতেন।
🔹 **ইমাম মালেক (রহ.)** বলেন:

> "যে ব্যক্তি এই উম্মতের প্রথম প্রজন্মের কাজ ছেড়ে দিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার

করল, সে ভ্রষ্ট পথেই আছে।"
> (আল-ইতিসাম, ইমাম শাতিবী)

---

# # 📌 **সারকথা:**

* আপনি যেভাবে চিন্তিত হচ্ছেন—এটা **ঈমানের নিদর্শন**।
* আপনি তাদের পিছনে সালাত আদায় না করে সুন্নাহর অনুসরণ
করছেন—এটা **সাহাবীদের পথ**।
* এইসব বিদআতি ইমামগণ চতুরতা ও মিষ্টি কথার মাধ্যমে মানুষকে
ধোঁকা দিচ্ছে—এটা **শয়তানের ফাঁদ**।

---

# # ✅ **আপনার করণীয় কী?**

1. **নিজে সালাত আদায়ের জন্য বিকল্প খুঁজুন** — কোনো সুন্নাহর
অনুসারী ইমাম খুঁজে সেখানে যান।
2. **সুন্নাহর আলোকে মানুষকে সচেতন করুন** — যেন তারা বিদআতের
ভয়াবহতা বুঝে।
3. **প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে দাওয়াহ ও হালকা গঠন করুন** — যেন
সুন্নাহভিত্তিক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা যায়।

01/02/2025

হিজামা (কাপিং থেরাপি) – সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা
আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সুন্নাহসম্মত ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হিজামা থেরাপি (কাপিং থেরাপি)। এটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে দিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হিজামার উপকারিতা:

✅ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
✅ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন দূর করতে সহায়ক
✅ জয়েন্ট পেইন ও ব্যাকপেইন কমায়
✅ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
✅ শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়
✅ মানসিক চাপ ও অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে

বিশেষ সুবিধা:

✔️ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা
✔️ মহিলাদের জন্য অভিজ্ঞ মহিলা থেরাপিস্ট দ্বারা হিজামার ব্যবস্থা
✔️ পরিপূর্ণ ইসলামী পরিবেশে বিশ্বস্ত চিকিৎসা
✔️ আধুনিক সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা করা হয়
📍 অবস্থান: নগর কসবা, মাস্তান বাজার, মিরকাদিম পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ
📞 অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন:
📲 ০১৮২৬০৯২৯০৯ | ০১৬৭৬২৭৭৬০৯ | ০১৬৭১৩৫৬৩৩৬
✅ সুন্নাহর এই বরকতময় চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং সুস্থ জীবন লাভ করুন!

30/01/2025

# # # **হিজামা ও রক্তদান: বিজ্ঞানের আলোকে এক বাস্তব সত্য**

অনেকে মনে করেন, হিজামার মাধ্যমে রক্ত বের করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে বা জীবন সংকটে পড়বে। অথচ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং ইসলামি চিকিৎসা—দুই ক্ষেত্রেই হিজামার উপকারিতা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।

🩸 **হিজামা ও রক্তদান: পার্থক্য কোথায়?**
রক্তদানের সময় শরীর থেকে রগের মধ্য দিয়ে বিশুদ্ধ ও কার্যকর রক্ত বের হয়, যা অন্য রোগীর কাজে লাগে। পক্ষান্তরে, **হিজামার মাধ্যমে শরীর থেকে চামড়ার নিচে জমে থাকা দূষিত ও অবাঞ্ছিত রক্ত বের হয়**, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

🔬 **বিজ্ঞান কী বলে?**
গবেষণায় দেখা গেছে, **হিজামার মাধ্যমে যে রক্ত বের হয়, তার মাত্র ১০% সাধারণ রক্ত, বাকি ৯০% টক্সিন ও দূষিত পদার্থ**। এই টক্সিন শরীরে জমতে জমতে নানা রোগের সৃষ্টি করে—যেমন:
✅ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন
✅ উচ্চ রক্তচাপ
✅ জয়েন্ট ব্যথা
✅ দুর্বল ইমিউন সিস্টেম

📖 **রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহ**
রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে হিজামা করাতেন এবং সাহাবিদেরও এটি করতে উৎসাহ দিতেন। তিনি বলেছেন:
**"যদি তোমাদের চিকিৎসার কোনো মাধ্যম থাকে, তবে তা হলো হিজামা।"** (সহিহ মুসলিম ২২২২)

💡 **সত্য জানতে হবে, গুজবে কান দিলে চলবে না**
যারা বলে, “এত রক্ত বের হলে মানুষ বাঁচবে কিভাবে?”—তারা হয়তো জানেন না, হিজামায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর রক্তই বের হয়, যা শরীরকে আরও সুস্থ ও সতেজ করে। তাই না জেনে ভুল ধারণা ছড়ানো উচিত নয়।

🔄 **সুন্নাহ অনুসরণ করুন, সুস্থ থাকুন!**
হিজামা শুধু সুন্নাহ নয়, এটি একটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত থেরাপিও। নিয়মিত হিজামা করলে শরীর থাকবে দূষণমুক্ত, মন থাকবে প্রফুল্ল!

#হিজামা #সুন্নাহ_ও_বিজ্ঞান #প্রাকৃতিক_চিকিৎসা

হিজামা (Cupping Therapy): ইসলামি ঐতিহ্য এবং স্বাস্থ্য উপকারিতাহিজামা কি?হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি যা চামড়ার উপ...
09/01/2025

হিজামা (Cupping Therapy): ইসলামি ঐতিহ্য এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা

হিজামা কি?
হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি যা চামড়ার উপর কাপ লাগিয়ে রক্ত বের করে দেয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করা হয়। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ হিসাবে পরিচিত এবং শরীর ও মনের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য প্রমাণিত উপায়।

হিজামা কেন করা হয়?
হিজামা মূলত শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এটি বিভিন্ন ব্যথা, ক্লান্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কার্যকর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"তোমরা হিজামার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করো, কেননা এতে আরোগ্য রয়েছে।"
(সহীহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৯৬)

হিজামার উপকারিতা:
১. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে: এটি রক্তনালীর জমাট বাঁধা দূর করে এবং নতুন রক্ত কোষ তৈরিতে সহায়তা করে।
২. ব্যথা উপশম করে: পিঠ, কোমর, মাথা, গলা এবং পেশির ব্যথা উপশমে হিজামা কার্যকর।
৩. ডিটক্সিফিকেশন: শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে।
৪. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. মানসিক স্বস্তি: হিজামা মানসিক চাপ কমাতে এবং ঘুমের গুণগত মান বাড়াতে সহায়তা করে।
৬. চর্মরোগে উপকার: ব্রণ, সোরিয়াসিস এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সমাধানে হিজামা উপকারী।

কখন হিজামা করা উচিত?
হিজামা করার উত্তম সময় চন্দ্র মাসের ১৭, ১৯, এবং ২১ তারিখ, বিশেষ করে সোমবার, মঙ্গলবার, এবং বৃহস্পতিবার। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে সময় নির্ধারণ করা ভালো।

সতর্কতা:

হিজামা অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাধ্যমে করতে হবে।

ডায়াবেটিস, রক্তজমাট বাঁধার সমস্যা বা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

উপসংহার:
হিজামা শুধু একটি চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, বরং এটি একটি সুন্নাহ যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। এটি সঠিক নিয়মে এবং দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে করালে আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায়। আপনি যদি সুন্নাহ অনুসরণ করতে চান এবং সুস্থ থাকতে চান, তাহলে হিজামা অবশ্যই একটি কার্যকর পদ্ধতি।

[নোট]: সুস্থ জীবন ও সুন্নাহর চর্চায় আমাদের সবার উচিত হিজামার গুরুত্ব উপলব্ধি করা।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সুস্থতা ও সুন্নাহ পালনের তৌফিক দিন। আমিন।

17/10/2024

বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি যদি চূড়ান্ত এবং সঠিক হয় তাহলে কেন আমরা রোগমুক্ত হতে পারছি না!
তাই নববী চিকিৎসা হিজামা গ্ৰহন করুন।
★হিজামা কি??
★কেন হিজামা করা হয়??
★এতে কি কি উপকার রয়েছে?
★হিজামা (حِجَامَة ) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
★হিজামা বা Wet Cupping অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে। হিজামা বা Cupping Therapy এখন বিশ্বের জনপ্রিয় চিকিতৎসা গুলোর মধ্যে একটি। এটিতে কোন ধরনের ঔষধের প্রয়োজন হয় না।
★ রসুল (সা:)বলেছেন-
জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসকল পন্থা অবলম্বন করে তার মধ্যে হিজামাই হল সর্ব উত্তম।
আল-হাকিম, হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭০
★ পদ্ধতিঃ
শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে দূষিত রক্ত (Toxins) চুশে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, হিজামায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করা উত্তম এবং প্রত্যেকের চিকিৎসায় ভিন্ন ভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যাতে রক্তজীবাণুর মাধ্যমে রোগ সংক্রমিত হতে না পারে।
★হিজামা করার ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনাঃ
১। নিয়তকে একেবারে পরিশুদ্ধ রাখা যে শিফা/রোগ মুক্তি শুধু মাত্র আল্লাহ্‌সুবহানাহু ওয়া ওয়ালার পক্ষ থেকে আশে।
২। খালি পেটে হিজামা করা উওম ।
৩। গোসল করে হিজামা করাটা ভালো, তবে গোসলের তিন ঘণ্টা পর হিজামা করতে হবে।
৪। হিজামার আগের দিন ও পরের দিন সঙ্গম না করা ভালো।
৫। ইহরাম/সাওম অবস্থায় হিজামা করা যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে মুহরিম ও
সাওম অবস্থায়ও হিজামা করেছেন।
৬। স্বাভাবিক অবস্থায় সপ্তাহের সোম, মজ্ঞল ও বৃহস্পতি বার করা ভালো। এছাড়াও আরবি মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ হিজামা করানো উওম। তবে প্রয়োজনে যে কোন দিন যে কোন সময়েও হিজামা করা যায়।
★ হিজামা কেন করাবেন?
---------*----------
আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।
হিজামা এক ধরণের চিকিৎসা যা শরীর থেকে রোগের জন্য দায়ী জীবাণু বের করে ফেলে। এর মাধ্যমে বর্তমানে সংক্রামক সকল রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়া অসংক্রামক অনেক রোগ ও ভালো হয় নিয়মিত হিজামা করালে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধ করে ও রক্ত পরিষ্কার রাখে।
হিজামাকে নববী চিকিৎসা বলা হয়। কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং ফেরেশতাগণ আল্লাহ্‌র নবী রাসূল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কে এ বিশেষ চিকিৎসাটি তাঁকে ও তাঁর উম্মাতদের করাতে বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিরাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তারাই বলেন, ‘হে আল্লাহর মোহাম্মদ (সে:) আপনি অবশ্যই হিজামা করুনএবং আপনার উম্মাতদের হিজামার হুকুম করুন।(সুনানে তিরমিযী-৩৪৬২) “আপনার উম্মাতদের হিজামা নিতে বলুন।” (সুনানে তিরমিযী-৩৪৭৯)
হিজামা ফেরেশতাদের দ্বারা সুফারিশকৃত : হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও তাঁর উম্মতের জন্য এটি ফেরেশতাদের দ্বারা সুপারিশকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এজন্য কেউ বলতে পারে না যে, এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমান আধুনিক যুগে অচল। বরং এটি সাফল্যপূর্ণ প্রতিষেধক সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য। কারণ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে।
সহীহ তিরমিযী হা/২০৫২, ২০৫৩; সহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৭৭।
★হিজামা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে অন্যান্য মেডিক্যাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবাহনাল্লাহ) । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের জন্য এ চিকিৎসাটি করিয়েছিলেন। ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে এবং তাঁকে বিষ দ্বারা আক্রমণ করা হলে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন যে, “এক ইহুদী মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বিষযুক্ত গোশত খেতে দিয়েছিল। তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? মহিলাটি উত্তরে বলল, যদি তুমি সত্যিই আল্লাহর রাসূল হও, তবে আল্লাহ তোমাকে জানিয়ে দিবেন। আর তুমি যদি তাঁর রাসূল না হও, তবে আমি মানুষকে তোমার থেকে নিরাপদ রাখব! যখন আল্লাহর রাসূল (সা.) এর যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলেন, তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন।
একদা ইহরাম অবস্থায় তিনি ভ্রমণে বের হ’লেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রণা বোধ করলেন, তখন তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন।”(মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৫, সনদ হাসান)
ইবনুল ক্বাইয়ুম (রহ.) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন যাদু দ্বারা পীড়িত হন তখন তিনি মাথায় হিজামা লাগান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ, যদি সঠিকভাবে করা হয়।”(যাদুল মা‘আদ ৪/১২৫-১২৬)
হযরতজাবির (রাযি.) হ’তে বর্ণিত যে, নবী করীম (সা.)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।(নাসাঈ হা/২৮৫২)
বহু দেশেই এ চিকিৎসাটি এখন করা হচ্ছে। বিশেষ করে UK ও USA তে এ চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝতে পেরে এর উপর রীতিমত হিজামা রিসার্চ সেন্টার করে রিসার্চ করা হচ্ছে। ক্যানসারের মত মরণ ঘাতক অসংক্রামক রোগের চিকিৎসাও সম্ভব সুলভ-মূল্যের এ চিকিৎসা দ্বারা।
★হিজামা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে নিয়েছেন ও অন্যদের করতে বলেছেন। “তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক”। (মুসলিম হা/৩৯৩০).
এটি যদি উপকারি নাই হত তাহলে নবী করীম সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি নিতে বলতেন না।
সুতরাং এটি একটি সুন্নাহ চিকিৎসা যা হাদীস দ্বারা বিশদভাবে আলোচিত। বিজ্ঞান দ্বারা এখন প্রমাণিত।এটা যে কোন রোগের জন্য করাতে পারেন।
যেমন: মাথাব্যথায় হিজামা : হযরত সালমা (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, ‘যখন কেউ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে মাথাব্যথার কথা বলত, তখন তিনি তাদের হিজামা করার কথা বলতেন। (আবুদাঊদ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর মাথায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।
(বুখারী হা/৫৬৯৯)
★হিজামার মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত বর্জ্য পানি বের করে ফেলা হয় যার ভেতর থাকে CPS, CRS and pathogens যার প্রকৃত উপকারিতা অনেক গুণ বেশি। যা সকল রোগ সারানোর একক ভূমিকা পালন করে। এর কোন সাইড ইফেক্ট ও নেই যদি তা expert দের দ্বারা করানো হয়।
★আধুনিক গবেষণা হিজামা নিয়ে বিস্ময়কর সব তথ্য দিচ্ছে। যা যা আল্লাহর রাসূল ১৪০০ শত বছর আগে বলে গেছেন সেগুলোরই বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মিলছে বর্তমানের রিসার্চ পেপার গুলো থেকে। সেগুলোই আমরা তুলে ধরব আস্তে আস্তে।
একাধিক হাদীসের রেওয়াত থেকে এটা প্রমাণিত জীবনুযুক্ত রক্ত অপসারণের এ চিকিৎসা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময় নিয়েছেন যেটা হিজামা হিসেবে বহু হাদীসে এসেছে। এছাড়া ড্রাই কাপিং ও করানো যায়(যেখানে কোন স্ক্রাচ করা হয় না।
হিজামার উপর গবেষণা প্রাপ্ত উপাত্ত বলে পৃথিবী তে এরকম আর দ্বিতীয় কোন চিকিৎসা নেই যা একই সাথে এত রোগের চিকিৎসা করে। হিজামা একই সাথে সংক্রামক ও অসংক্রামক উভয় ধরনের অসংখ্য রোগের চিকিৎসা।
অনেকে আল্লাহ প্রদত্ত চিকিৎসা বলে এক বা দুই সেশন নিয়েই হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু রোগের প্রকারভেদ ও স্থায়িত্ব এর জন্য একের অধিক সেশন নিতে হতে পারে।
পৃথিবী জুড়ে বর্তমানে যেসব রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ বিজ্ঞান কোন কার্যকরী ফল দিতে পারেনি ( neck pain, frozen shoulder, immune disorder, hhypertension, low back pain, IHD-ischemic heart disease, Asthma etc) সেসব রোগের একক চিকিৎসা হিসেবেও হিজামা ব্যবহৃত হচ্ছে। রোগের মেয়াদ যত দিনের চিকিৎসার জন্য তো সেরকম সময়ই লাগবে।
তারপর ব্যথার জন্য যেসব সার্জারি করা হয় এসব অপারেশন থেকে কিছু কিছু স্থায়ী শারীরিক ক্ষতির ও আশংকা থেকে যায়। অথচ হিজামা তে কোন সাইড ইফেক্ট নেই। এভাবে শরীর জীবাণু মুক্ত করণ মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কোন ডাক্তারও দিতে পারবেন না যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে দিয়েছেন।
★এসব কোন সমস্যা না থাকলেও কি হিজামা করানো যাবে?
হ্যা, করানো যাবে। এক. এতে সুন্নাহ পালন হবে দুই. নিয়মিত সুন্নাহ হিজামা করালে চুল বৃদ্ধি পায়, চুল পড়া কমে, স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, অলসতা, অবসাদগ্রস্ততা বিদূরিত হয়, রোগজীবাণু সহজেই আক্রান্ত করতে পারে না, রক্ত পরিশুদ্ধ হয়, শরীর রোগ প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠে অনেকটা disease-proof এর মত।
★হিজামা ও কিছু জিজ্ঞাসাঃ
১। ব্যাথা লাগবে...??
জী লাগবে । তবে এতোটাই সামান্ন যে সেটাকে ব্যাথা না বলে অসস্তি বলা যায়।
২। কত সময় লাগবে...??
১ থেকে ১.৫ ঘন্টা।
৩। দাগ যাবে কত দিনে...??
কালার নরমাল হবে ৩-৭ ঘন্টাএবং দাগ যাবে ৩-৭ দিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ্‌।
৪। কয়টা সেশন লাগবে...??
যে কোন রোগিকে কম পক্ষে দুইটা তবে রোগ ও তার উপশন অনুযায়ী শেসন সংখ্যা ভিন্ন হয়।
৫। মাথায় করতে কি চুল কাটতে হয়...??
না কাটলেও করা যায় তবে চুল কাটলে/ছোট থাকলে ভালো।
হিজামা সংক্রান্ত কিছু হাদিসঃ
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।
” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩
হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।
” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫
★হিজামা বা কাপিং
# COSMETIC CUPPING MASSAGE:
এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র স্বল্প মাত্রার বাতাসের নেগেটিভ সাকশানকে কাজে লাগিয়ে মুখের বা গলার স্কিন সারফেসে রক্ত প্রবাহকে বাড়ানো হয, ফলে স্কিনের রিংকেল বা ভাজ চলে গিয়ে স্কিনের টানটান ভাব ফিরে আসে।
# DRY CUPPING MASSAGE:
এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র বাতাসের নেগেটিভ সাকশানকে কাজে লাগিয়ে স্কিন সারফেসে রক্ত প্রবাহকে বাড়ানো হয়।
# WET CUPPING:
এই পদ্ধতিতে নেগেটিভ সাকশানকে কাজে লাগিয়ে চামরার নিচের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে রক্ত চুষে নেওয়া হয়।
# DEEP TISSUE MASSAGE:
এই পদ্ধতিতে উচ্চ মাত্রার নেগেটিভ সাকশান ব্যাবহার করে কাপিং এর স্থানের নিচের টিস্যুকে মাসাজ করা হয়।
# হিজামা (Cupping) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা (Migraine)
২। দূষিত রক্ত পরিষ্কারকরণ (Purify Blood)
৩। উচ্চরক্তচাপ (High Blood Pressure)
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিহীনতা (Parkinson's disease)
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/গেটে বাত/বাতের ব্যথা (Arthritis/Rheumatism)
7। জয়েন্টের ব্যথা (Gout Pain)
8। পিঠে বা সারা শরীরের (Backache/scabies)
9। হাঁটু ব্যাথা (Knee Pain)
10। পায়ের তালুর ব্যথা(heel pain)
১১। সায়াটিক ব্যথা (Sciatica)
১২। মাথা ব্যথা (Head-ache)
১৩। ঘাড়ে ব্যাথা ও কাঁধে ব্যথা (Neck & Shoulder Pain)
১৪। কোমর ব্যাথা (Waist Pain)
১৫। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscles spasm)
১৬। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা (Adbominal Pain)
১৭। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা, ফ্র্যাকচার পেইন
১৮। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা (Thyroid Problem)
১৯। রক্তসংবহন তন্ত্রের ইনফেকশন(Blood circulation system)
২০। ত্বকের বর্জ্য নিষ্কাশন (remove toxin)
২১। বিভিন্নরকম চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
২২। সাইনুসাইটিস (Sinuses problem)
২৩। এজমা/হাঁপানি (asthma)
২৪। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২৫। টনসিলের সমস্যা (Tonsillitis )
২৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Low Immunity)
২৭। দাঁত,মুখ, গলা ব্যথা (Larynx, Gums and dental disease)
২৮। গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি, esophageal varices (Gastric/Ulcer)
২৯। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
৩০। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases)
৩১। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ,
৩২। ডায়াবেটিস (Diabetes) ও ডায়াবেটিক ফুট,
৩৩। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান,
৩৪। চুল পড়া (Hair fall),
৩৫। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder),
৩৬। পারকিনসন্স ডিজিজ
৩৭। কিডনির সমস্যা (Kidney Disease)
৩৮। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
৩৯। কানের সমস্যা
৪০। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন,
৪১। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান,
৪২। হরমোনাল সমস্যা,
৪৩। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার,
৪৪। ক্রনিক কফ/ফুসফুসের রোগ (Chronic Chugh/Lung Disease)
৪৫। Erectile Dysfunction (ED)
৪৬। ব্রন,
৪৭। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE),
৪৮। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা,
৪৯। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য)
৫০। TMJ Dysfunction Syndrome
৫১। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল’স পলসি প্রভৃতি)
৫২। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
৫৩। Post menopsusal hot flush
৫০। Vaginismus
৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
৫২। আইবিএস (কোলন ক্যানসার)
৫৪। অর্শ্বরোগ (Piles)
৫৫। ভগন্দর (Fistula, A**l Fissure)
৫৬। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য (Chroic Constipation)
৫৭। বিষন্নতা ও স্নায়বিক চাপ (Depression & Nervous Stress)
৫৮। শ্বেত রোগ (ধবল, চামড়া সাদা হয়ে যাওয়া)
…..............................................এবং আরও অনেক রোগ।
# মাথায় হিজামা লাগানোর দ্বারা বিশেষভাবে কিছু রোগের উপকার হয় সেটা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হল।
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘ মেয়াদী মাথাব্যথা এবং সাধারন মাথাব্যথা।
২। উচ্চ রক্তচাপ।৩। রক্তদূষন।৪। ঘুমের ব্যঘাত
৫। স্মৃতি ভ্রষ্টতা।৬। ঘাড়ে ব্যথা।৭। হরমোনাল সমস্যা ।৮। সাইনুসাইটিস।৯। মানসিক সমস্যা।
১০। চুল পড়া।১১। পারকিনসন্স ডিজিজ।
১২। ব্রেইন ডিজিজ।১৩। মাদকাসক্তি।
১৪। প্যরালাইসিস।১৫। যাদু টোনার সমস্যা ইত্যাদি।
# হিজামার পরে করনীয় বিষয়সমূহ
১। হিজামার ১ ঘণ্টা পর গোসল করা উত্তম, অন্যথায়, শরীর খারাপ হতে পারে।
২। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কোন ব্যয়াম এবং স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।
৩। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লম্বা সফর করা যাবেনা।
৪। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কোন গরম সেক ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
আমর বিন আমির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী করীম (সঃ) হিজামা লাগাতেন এবং কোন লোকের পারিশ্রমিক কম দিতেন না। বুখারী হা/২২৮০।
হিজামার ফযীলত : হিজামার ফযীলত সম্বলিত বহু হাদীছ রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু হাদীছ উল্লেখ করা হল।
হুমাইদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আনাস বিন মালিক (রাঃ)-এর নিকট হিজামার উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হিজামা লাগিয়েছেন। আবু তায়বা তাকে হিজামা করেছেন। তিনি তাকে দুই সা‘ (প্রায় ৫ কেজি) খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মালিকদের সাথে আলোচনা করেন। এতে তারা তার উপর ধার্যকৃত কর কমিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক’। মুসলিম হা/৩৯৩০
আছেম বিন ওমর বিন ক্বাতাদা থেকে বর্ণিত আছে যে, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) অসুস্থ মুকান্নাকে দেখতে যান। এরপর তিনি বলেন, আমি সরব না, যতক্ষণ না তুমি হিজামা লাগাবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই এর (হিজামার) মধ্যে নিরাময় রয়েছে’।
বুখারী হা/৫৬৯৭।
ইবনু আববাস (রাঃ)-এর সূত্রে নবী করীম (সঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। হিজামা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেয়ার মধ্যে। তবে আমি আমার উম্মাতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি’। বুখারী হা/৫৬৮১
আছেম বিন ওমর বিন ক্বাতাদা হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের বাড়ীতে আসেন। বাড়ির একজন লোক তার ক্ষত রোগের কথা বলল। জাবির (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি সমস্যা? সে বলল, ক্ষত হয়েছে যা আমার কাছে অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাবির (রাঃ) বলেন, বৎস! আমার কাছে একজন হিজামাকারী ডেকে নিয়ে এসো। সে বলল, হে আবু আবদুল্লাহ! হিজামাকারীকে দিয়ে কি করবেন? তিনি বললেন, ক্ষতস্থানে হিজামা লাগাতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ! মাছি আমাকে উত্যক্ত করবে কিংবা (ক্ষতস্থানে) কাপড় লেগে গেলে আমার কষ্ট হবে। হিজামা করাতে তার অসম্মতি দেখে জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যদি তোমাদের কোন ঔষধে কল্যাণ থেকে থাকে তাহ’লে তা আছে (১) হিজামা করানো (২) মধু পান করা এবং (৩) আগুনের টুকরা দিয়ে দাগ দেয়া’। রাসূলুল্লাহ (সঃ) আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আগুন দিয়ে দাগ লাগানোর পসন্দ করি না। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি হিজামাকারীকে আনালেন। অতঃপর সে তাকে হিজামা করল। এতেই সে আরোগ্য লাভ করল’। মুসলিম হা/৫৬৩৬
হিজামার পদ্ধতি : হিজামার পূর্বে আগের রাতে গোসল করে নেওয়া উত্তম। যদি গোসল না করেন, তবে হিজামার পূর্বে ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
খালি পেটে হিজামা করা বা হিজামা লাগানো ভাল : ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বাসি মুখে হিজামা লাগালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়’।
ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৭, ৩৪৮৮, সনদ হাসান।
হিজামার উত্তম সময় : সাধারণত হিজামার জন্য উত্তম সময় হচ্ছে চান্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ। আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঘাড়ের দুই পাশের শিরায় এবং ঘাড়ের কাছাকাছি পিঠের ফুলা অংশে হিজামা করাতেন। তিনি মাসের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করাতেন।
তিরমিযী হা/২০৫১, ২০৫৩;সহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৮৩; আবুদাঊদ হা/৩৮৬১, সনদ সহীহ।
যদি অসুস্থতা বা ব্যথা অনুভূত হয় তবে উক্ত তারিখের অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হিজামা করানো যাবে।
হিজামার জন্য উত্তম দিন হচ্ছে সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পীবার।
উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হিজামা করেছেন মাসের বিভিন্ন সময়ে। যেমন হজ্জের সময়, চান্দ্র মাসের প্রথমে। কারণ তিনি খারাপ মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে বুঝা যায়, প্রয়োজনে যে কোন সময় হিজামা করা যায়।
হিজামা থেকে বিরত থাকা : অসুস্থ, হায়েয, অন্তঃসত্তা, নেফাস এবং দুর্বল শরীরের অধিকারীদেরকে হিজামা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
সিয়াম বা ইহরাম বাধা অবস্থায় হিজামা লাগানো : আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইহরাম অবস্থায় আধ কপালির কারণে তাঁর মাথায় শিক্ষা লাগান।
বুখারী হা/৫৭০১।
আবু কাবশাহ আনমারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সঃ) মাথার মাঝখানে এবং দুই কাঁধের মাঝে হিজামা করতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি নিজ শরীরের এ অংশে হিজামা করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও কোন ক্ষতি হবে না।
আবুদাঊদ হা/৩৮৫৯; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৪, সনদ সহীহ।
জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হাড় মচকে গেলে তিনি এর জন্য হিজামা করান।
আবুদাঊদ হা/৩৮৬৩; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৫, সনদ সহীহ।
আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ব্যথার কারণে ইহরাম অবস্থায় তাঁর পায়ের উপরিভাগে হিজামা করিয়েছেন।
আবুদাঊদ হা/১৮৩৭, সনদ সহীহ।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন, ‘দাঁতে, মুখে এবং গলায় ব্যথা হ’লে থুতনির নীচে হিজামা লাগালে উপকার পাওয়া যায়, যদি তা সঠিক সময়ে করা হয়। এটা মাথা ও চোয়াল শোধন করে।
পায়ের সাফিনায় (যা গোড়ালির বড় শিরা) পাংচারিং করার পরিবর্তে পায়ের পাতার সম্মুখে হিজামা লাগানো যেতে পারে। থাই এবং পায়ের পিছনের গোশতের আলসারের চিকিৎসায় এটি উপকারী। তাছাড়া রক্তস্রাবে বাধা ও অন্ড কোষের চামড়ার ক্ষতে তা ব্যবহারযোগ্য।
উরুতে ব্যথা, চুলকানী ও খোসপাঁচড়ার চিকিৎসা হিসাবে বুকের নিচে হিজামা লাগানো উপকারী। এতে পিঠের গেঁটে বাত, অর্শ, গোদ রোগ, খোসপাঁচড়ার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
যাদুল মা‘আদ ৪/৫৮।
মহিলাদের জন্য হিজামা : জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে হিজামা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে হিজামা লাগিয়ে দিতে আবু তাইবা (রাঃ)-কে আদেশ দিলেন। জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমার মনে হয়, আবু তাইবা তার (উম্মে সালামার) দুধভাই অথবা একজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বালক ছিলেন। আবুদাঊদ হা/৪১০৫; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮০, সনদ সহীহ।

আমাদের সেবায় অন্তর্ভুক্ত :-

* অপারেশন ছাড়া মলদ্বারের পাইলস, অর্শ্ব, গেজ এর চিকিৎসা করা হয়।
এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হিজামা থেরাপিষ্টের মাধ্যমে হিজামা থেরাপি দেয়া হয়।
যোগাযোগ :
উরাইসিদ হিজামা সেন্টার নগর কসবা , নবাব গেইট মীর কাদিম পৌরসভা মুন্সিগঞ্জ ।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 01826092909*
01676277609

21/05/2024

বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি যদি চূড়ান্ত এবং সঠিক হয় তাহলে কেন আমরা রোগমুক্ত হতে পারছি না!
তাই নববী চিকিৎসা হিজামা গ্ৰহন করুন।
★হিজামা কি??
★কেন হিজামা করা হয়??
★এতে কি কি উপকার রয়েছে?
★হিজামা (حِجَامَة ) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।
★হিজামা বা Wet Cupping অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। এ হিজামা থেরাপী ৩০০০ বৎসরেরও পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উৎপত্তি হ’লেও চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু পূর্বে থেকেই এটি প্রচলিত ছিল। ১৮ শতক থেকে ইউরোপেও এর প্রচলন রয়েছে। হিজামা বা Cupping Therapy এখন বিশ্বের জনপ্রিয় চিকিতৎসা গুলোর মধ্যে একটি। এটিতে কোন ধরনের ঔষধের প্রয়োজন হয় না।
★ রসুল (সা:)বলেছেন-
জিবরীল আমাকে জানিয়েছেন যে মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসকল পন্থা অবলম্বন করে তার মধ্যে হিজামাই হল সর্ব উত্তম।
আল-হাকিম, হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭০
★ পদ্ধতিঃ
শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে দূষিত রক্ত (Toxins) চুশে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, হিজামায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করা উত্তম এবং প্রত্যেকের চিকিৎসায় ভিন্ন ভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যাতে রক্তজীবাণুর মাধ্যমে রোগ সংক্রমিত হতে না পারে।
★হিজামা করার ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনাঃ
১। নিয়তকে একেবারে পরিশুদ্ধ রাখা যে শিফা/রোগ মুক্তি শুধু মাত্র আল্লাহ্‌সুবহানাহু ওয়া ওয়ালার পক্ষ থেকে আশে।
২। খালি পেটে হিজামা করা উওম ।
৩। গোসল করে হিজামা করাটা ভালো, তবে গোসলের তিন ঘণ্টা পর হিজামা করতে হবে।
৪। হিজামার আগের দিন ও পরের দিন সঙ্গম না করা ভালো।
৫। ইহরাম/সাওম অবস্থায় হিজামা করা যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে মুহরিম ও
সাওম অবস্থায়ও হিজামা করেছেন।
৬। স্বাভাবিক অবস্থায় সপ্তাহের সোম, মজ্ঞল ও বৃহস্পতি বার করা ভালো। এছাড়াও আরবি মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ হিজামা করানো উওম। তবে প্রয়োজনে যে কোন দিন যে কোন সময়েও হিজামা করা যায়।
★ হিজামা কেন করাবেন?
---------*----------
আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার রোগের জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাঃ এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হলো।
হিজামা এক ধরণের চিকিৎসা যা শরীর থেকে রোগের জন্য দায়ী জীবাণু বের করে ফেলে। এর মাধ্যমে বর্তমানে সংক্রামক সকল রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়া অসংক্রামক অনেক রোগ ও ভালো হয় নিয়মিত হিজামা করালে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধ করে ও রক্ত পরিষ্কার রাখে।
হিজামাকে নববী চিকিৎসা বলা হয়। কারণ মেরাজের রাতে স্বয়ং ফেরেশতাগণ আল্লাহ্‌র নবী রাসূল্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কে এ বিশেষ চিকিৎসাটি তাঁকে ও তাঁর উম্মাতদের করাতে বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিরাজে যাওয়ার সময় তিনি ফিরিশতাদের যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তারাই বলেন, ‘হে আল্লাহর মোহাম্মদ (সে:) আপনি অবশ্যই হিজামা করুনএবং আপনার উম্মাতদের হিজামার হুকুম করুন।(সুনানে তিরমিযী-৩৪৬২) “আপনার উম্মাতদের হিজামা নিতে বলুন।” (সুনানে তিরমিযী-৩৪৭৯)
হিজামা ফেরেশতাদের দ্বারা সুফারিশকৃত : হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও তাঁর উম্মতের জন্য এটি ফেরেশতাদের দ্বারা সুপারিশকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এজন্য কেউ বলতে পারে না যে, এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমান আধুনিক যুগে অচল। বরং এটি সাফল্যপূর্ণ প্রতিষেধক সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য। কারণ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে।
সহীহ তিরমিযী হা/২০৫২, ২০৫৩; সহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৭৭।
★হিজামা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে অন্যান্য মেডিক্যাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবাহনাল্লাহ) । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের জন্য এ চিকিৎসাটি করিয়েছিলেন। ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে এবং তাঁকে বিষ দ্বারা আক্রমণ করা হলে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন যে, “এক ইহুদী মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বিষযুক্ত গোশত খেতে দিয়েছিল। তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? মহিলাটি উত্তরে বলল, যদি তুমি সত্যিই আল্লাহর রাসূল হও, তবে আল্লাহ তোমাকে জানিয়ে দিবেন। আর তুমি যদি তাঁর রাসূল না হও, তবে আমি মানুষকে তোমার থেকে নিরাপদ রাখব! যখন আল্লাহর রাসূল (সা.) এর যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলেন, তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন।
একদা ইহরাম অবস্থায় তিনি ভ্রমণে বের হ’লেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রণা বোধ করলেন, তখন তিনি হিজামা ব্যবহার করলেন।”(মুসনাদে আহমাদ ১/৩০৫, সনদ হাসান)
ইবনুল ক্বাইয়ুম (রহ.) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন যাদু দ্বারা পীড়িত হন তখন তিনি মাথায় হিজামা লাগান এবং এটাই সবচেয়ে উত্তম ঔষধ, যদি সঠিকভাবে করা হয়।”(যাদুল মা‘আদ ৪/১২৫-১২৬)
হযরতজাবির (রাযি.) হ’তে বর্ণিত যে, নবী করীম (সা.)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।(নাসাঈ হা/২৮৫২)
বহু দেশেই এ চিকিৎসাটি এখন করা হচ্ছে। বিশেষ করে UK ও USA তে এ চিকিৎসার গুরুত্ব বুঝতে পেরে এর উপর রীতিমত হিজামা রিসার্চ সেন্টার করে রিসার্চ করা হচ্ছে। ক্যানসারের মত মরণ ঘাতক অসংক্রামক রোগের চিকিৎসাও সম্ভব সুলভ-মূল্যের এ চিকিৎসা দ্বারা।
★হিজামা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে নিয়েছেন ও অন্যদের করতে বলেছেন। “তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক”। (মুসলিম হা/৩৯৩০).
এটি যদি উপকারি নাই হত তাহলে নবী করীম সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি নিতে বলতেন না।
সুতরাং এটি একটি সুন্নাহ চিকিৎসা যা হাদীস দ্বারা বিশদভাবে আলোচিত। বিজ্ঞান দ্বারা এখন প্রমাণিত।এটা যে কোন রোগের জন্য করাতে পারেন।
যেমন: মাথাব্যথায় হিজামা : হযরত সালমা (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, ‘যখন কেউ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে মাথাব্যথার কথা বলত, তখন তিনি তাদের হিজামা করার কথা বলতেন। (আবুদাঊদ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর মাথায় হিজামা লাগিয়েছিলেন।
(বুখারী হা/৫৬৯৯)
★হিজামার মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত বর্জ্য পানি বের করে ফেলা হয় যার ভেতর থাকে CPS, CRS and pathogens যার প্রকৃত উপকারিতা অনেক গুণ বেশি। যা সকল রোগ সারানোর একক ভূমিকা পালন করে। এর কোন সাইড ইফেক্ট ও নেই যদি তা expert দের দ্বারা করানো হয়।
★আধুনিক গবেষণা হিজামা নিয়ে বিস্ময়কর সব তথ্য দিচ্ছে। যা যা আল্লাহর রাসূল ১৪০০ শত বছর আগে বলে গেছেন সেগুলোরই বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মিলছে বর্তমানের রিসার্চ পেপার গুলো থেকে। সেগুলোই আমরা তুলে ধরব আস্তে আস্তে।
একাধিক হাদীসের রেওয়াত থেকে এটা প্রমাণিত জীবনুযুক্ত রক্ত অপসারণের এ চিকিৎসা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময় নিয়েছেন যেটা হিজামা হিসেবে বহু হাদীসে এসেছে। এছাড়া ড্রাই কাপিং ও করানো যায়(যেখানে কোন স্ক্রাচ করা হয় না।
হিজামার উপর গবেষণা প্রাপ্ত উপাত্ত বলে পৃথিবী তে এরকম আর দ্বিতীয় কোন চিকিৎসা নেই যা একই সাথে এত রোগের চিকিৎসা করে। হিজামা একই সাথে সংক্রামক ও অসংক্রামক উভয় ধরনের অসংখ্য রোগের চিকিৎসা।
অনেকে আল্লাহ প্রদত্ত চিকিৎসা বলে এক বা দুই সেশন নিয়েই হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু রোগের প্রকারভেদ ও স্থায়িত্ব এর জন্য একের অধিক সেশন নিতে হতে পারে।
পৃথিবী জুড়ে বর্তমানে যেসব রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ বিজ্ঞান কোন কার্যকরী ফল দিতে পারেনি ( neck pain, frozen shoulder, immune disorder, hhypertension, low back pain, IHD-ischemic heart disease, Asthma etc) সেসব রোগের একক চিকিৎসা হিসেবেও হিজামা ব্যবহৃত হচ্ছে। রোগের মেয়াদ যত দিনের চিকিৎসার জন্য তো সেরকম সময়ই লাগবে।
তারপর ব্যথার জন্য যেসব সার্জারি করা হয় এসব অপারেশন থেকে কিছু কিছু স্থায়ী শারীরিক ক্ষতির ও আশংকা থেকে যায়। অথচ হিজামা তে কোন সাইড ইফেক্ট নেই। এভাবে শরীর জীবাণু মুক্ত করণ মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কোন ডাক্তারও দিতে পারবেন না যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে দিয়েছেন।
★এসব কোন সমস্যা না থাকলেও কি হিজামা করানো যাবে?
হ্যা, করানো যাবে। এক. এতে সুন্নাহ পালন হবে দুই. নিয়মিত সুন্নাহ হিজামা করালে চুল বৃদ্ধি পায়, চুল পড়া কমে, স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, অলসতা, অবসাদগ্রস্ততা বিদূরিত হয়, রোগজীবাণু সহজেই আক্রান্ত করতে পারে না, রক্ত পরিশুদ্ধ হয়, শরীর রোগ প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠে অনেকটা disease-proof এর মত।
★হিজামা ও কিছু জিজ্ঞাসাঃ
১। ব্যাথা লাগবে...??
জী লাগবে । তবে এতোটাই সামান্ন যে সেটাকে ব্যাথা না বলে অসস্তি বলা যায়।
২। কত সময় লাগবে...??
১ থেকে ১.৫ ঘন্টা।
৩। দাগ যাবে কত দিনে...??
কালার নরমাল হবে ৩-৭ ঘন্টাএবং দাগ যাবে ৩-৭ দিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ্‌।
৪। কয়টা সেশন লাগবে...??
যে কোন রোগিকে কম পক্ষে দুইটা তবে রোগ ও তার উপশন অনুযায়ী শেসন সংখ্যা ভিন্ন হয়।
৫। মাথায় করতে কি চুল কাটতে হয়...??
না কাটলেও করা যায় তবে চুল কাটলে/ছোট থাকলে ভালো।
হিজামা সংক্রান্ত কিছু হাদিসঃ
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।
” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩
হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।
” সহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫
★হিজামা বা কাপিং
# COSMETIC CUPPING MASSAGE:
এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র স্বল্প মাত্রার বাতাসের নেগেটিভ সাকশানকে কাজে লাগিয়ে মুখের বা গলার স্কিন সারফেসে রক্ত প্রবাহকে বাড়ানো হয, ফলে স্কিনের রিংকেল বা ভাজ চলে গিয়ে স্কিনের টানটান ভাব ফিরে আসে।
# DRY CUPPING MASSAGE:
এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র বাতাসের নেগেটিভ সাকশানকে কাজে লাগিয়ে স্কিন সারফেসে রক্ত প্রবাহকে বাড়ানো হয়।
# WET CUPPING:
এই পদ্ধতিতে নেগেটিভ সাকশানকে কাজে লাগিয়ে চামরার নিচের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে রক্ত চুষে নেওয়া হয়।
# DEEP TISSUE MASSAGE:
এই পদ্ধতিতে উচ্চ মাত্রার নেগেটিভ সাকশান ব্যাবহার করে কাপিং এর স্থানের নিচের টিস্যুকে মাসাজ করা হয়।
# হিজামা (Cupping) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা (Migraine)
২। দূষিত রক্ত পরিষ্কারকরণ (Purify Blood)
৩। উচ্চরক্তচাপ (High Blood Pressure)
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিহীনতা (Parkinson's disease)
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/গেটে বাত/বাতের ব্যথা (Arthritis/Rheumatism)
7। জয়েন্টের ব্যথা (Gout Pain)
8। পিঠে বা সারা শরীরের (Backache/scabies)
9। হাঁটু ব্যাথা (Knee Pain)
10। পায়ের তালুর ব্যথা(heel pain)
১১। সায়াটিক ব্যথা (Sciatica)
১২। মাথা ব্যথা (Head-ache)
১৩। ঘাড়ে ব্যাথা ও কাঁধে ব্যথা (Neck & Shoulder Pain)
১৪। কোমর ব্যাথা (Waist Pain)
১৫। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscles spasm)
১৬। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা (Adbominal Pain)
১৭। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা, ফ্র্যাকচার পেইন
১৮। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা (Thyroid Problem)
১৯। রক্তসংবহন তন্ত্রের ইনফেকশন(Blood circulation system)
২০। ত্বকের বর্জ্য নিষ্কাশন (remove toxin)
২১। বিভিন্নরকম চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
২২। সাইনুসাইটিস (Sinuses problem)
২৩। এজমা/হাঁপানি (asthma)
২৪। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২৫। টনসিলের সমস্যা (Tonsillitis )
২৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Low Immunity)
২৭। দাঁত,মুখ, গলা ব্যথা (Larynx, Gums and dental disease)
২৮। গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি, esophageal varices (Gastric/Ulcer)
২৯। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
৩০। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases)
৩১। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ,
৩২। ডায়াবেটিস (Diabetes) ও ডায়াবেটিক ফুট,
৩৩। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান,
৩৪। চুল পড়া (Hair fall),
৩৫। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder),
৩৬। পারকিনসন্স ডিজিজ
৩৭। কিডনির সমস্যা (Kidney Disease)
৩৮। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
৩৯। কানের সমস্যা
৪০। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন,
৪১। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান,
৪২। হরমোনাল সমস্যা,
৪৩। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার,
৪৪। ক্রনিক কফ/ফুসফুসের রোগ (Chronic Chugh/Lung Disease)
৪৫। Erectile Dysfunction (ED)
৪৬। ব্রন,
৪৭। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE),
৪৮। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা,
৪৯। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য)
৫০। TMJ Dysfunction Syndrome
৫১। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল’স পলসি প্রভৃতি)
৫২। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
৫৩। Post menopsusal hot flush
৫০। Vaginismus
৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
৫২। আইবিএস (কোলন ক্যানসার)
৫৪। অর্শ্বরোগ (Piles)
৫৫। ভগন্দর (Fistula, A**l Fissure)
৫৬। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য (Chroic Constipation)
৫৭। বিষন্নতা ও স্নায়বিক চাপ (Depression & Nervous Stress)
৫৮। শ্বেত রোগ (ধবল, চামড়া সাদা হয়ে যাওয়া)
…..............................................এবং আরও অনেক রোগ।
# মাথায় হিজামা লাগানোর দ্বারা বিশেষভাবে কিছু রোগের উপকার হয় সেটা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হল।
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘ মেয়াদী মাথাব্যথা এবং সাধারন মাথাব্যথা।
২। উচ্চ রক্তচাপ।৩। রক্তদূষন।৪। ঘুমের ব্যঘাত
৫। স্মৃতি ভ্রষ্টতা।৬। ঘাড়ে ব্যথা।৭। হরমোনাল সমস্যা ।৮। সাইনুসাইটিস।৯। মানসিক সমস্যা।
১০। চুল পড়া।১১। পারকিনসন্স ডিজিজ।
১২। ব্রেইন ডিজিজ।১৩। মাদকাসক্তি।
১৪। প্যরালাইসিস।১৫। যাদু টোনার সমস্যা ইত্যাদি।
# হিজামার পরে করনীয় বিষয়সমূহ
১। হিজামার ১ ঘণ্টা পর গোসল করা উত্তম, অন্যথায়, শরীর খারাপ হতে পারে।
২। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত কোন ব্যয়াম এবং স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।
৩। ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত লম্বা সফর করা যাবেনা।
৪। ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কোন গরম সেক ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
আমর বিন আমির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী করীম (সঃ) হিজামা লাগাতেন এবং কোন লোকের পারিশ্রমিক কম দিতেন না। বুখারী হা/২২৮০।
হিজামার ফযীলত : হিজামার ফযীলত সম্বলিত বহু হাদীছ রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু হাদীছ উল্লেখ করা হল।
হুমাইদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আনাস বিন মালিক (রাঃ)-এর নিকট হিজামার উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হিজামা লাগিয়েছেন। আবু তায়বা তাকে হিজামা করেছেন। তিনি তাকে দুই সা‘ (প্রায় ৫ কেজি) খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মালিকদের সাথে আলোচনা করেন। এতে তারা তার উপর ধার্যকৃত কর কমিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সেগুলোর মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক’। মুসলিম হা/৩৯৩০
আছেম বিন ওমর বিন ক্বাতাদা থেকে বর্ণিত আছে যে, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) অসুস্থ মুকান্নাকে দেখতে যান। এরপর তিনি বলেন, আমি সরব না, যতক্ষণ না তুমি হিজামা লাগাবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই এর (হিজামার) মধ্যে নিরাময় রয়েছে’।
বুখারী হা/৫৬৯৭।
ইবনু আববাস (রাঃ)-এর সূত্রে নবী করীম (সঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। হিজামা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেয়ার মধ্যে। তবে আমি আমার উম্মাতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি’। বুখারী হা/৫৬৮১
আছেম বিন ওমর বিন ক্বাতাদা হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের বাড়ীতে আসেন। বাড়ির একজন লোক তার ক্ষত রোগের কথা বলল। জাবির (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি সমস্যা? সে বলল, ক্ষত হয়েছে যা আমার কাছে অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাবির (রাঃ) বলেন, বৎস! আমার কাছে একজন হিজামাকারী ডেকে নিয়ে এসো। সে বলল, হে আবু আবদুল্লাহ! হিজামাকারীকে দিয়ে কি করবেন? তিনি বললেন, ক্ষতস্থানে হিজামা লাগাতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ! মাছি আমাকে উত্যক্ত করবে কিংবা (ক্ষতস্থানে) কাপড় লেগে গেলে আমার কষ্ট হবে। হিজামা করাতে তার অসম্মতি দেখে জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যদি তোমাদের কোন ঔষধে কল্যাণ থেকে থাকে তাহ’লে তা আছে (১) হিজামা করানো (২) মধু পান করা এবং (৩) আগুনের টুকরা দিয়ে দাগ দেয়া’। রাসূলুল্লাহ (সঃ) আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আগুন দিয়ে দাগ লাগানোর পসন্দ করি না। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি হিজামাকারীকে আনালেন। অতঃপর সে তাকে হিজামা করল। এতেই সে আরোগ্য লাভ করল’। মুসলিম হা/৫৬৩৬
হিজামার পদ্ধতি : হিজামার পূর্বে আগের রাতে গোসল করে নেওয়া উত্তম। যদি গোসল না করেন, তবে হিজামার পূর্বে ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম নেওয়া ভালো।
খালি পেটে হিজামা করা বা হিজামা লাগানো ভাল : ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বাসি মুখে হিজামা লাগালে তাতে নিরাময় ও বরকত লাভ হয় এবং জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়’।
ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৭, ৩৪৮৮, সনদ হাসান।
হিজামার উত্তম সময় : সাধারণত হিজামার জন্য উত্তম সময় হচ্ছে চান্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ। আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঘাড়ের দুই পাশের শিরায় এবং ঘাড়ের কাছাকাছি পিঠের ফুলা অংশে হিজামা করাতেন। তিনি মাসের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করাতেন।
তিরমিযী হা/২০৫১, ২০৫৩;সহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৮৩; আবুদাঊদ হা/৩৮৬১, সনদ সহীহ।
যদি অসুস্থতা বা ব্যথা অনুভূত হয় তবে উক্ত তারিখের অপেক্ষা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হিজামা করানো যাবে।
হিজামার জন্য উত্তম দিন হচ্ছে সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পীবার।
উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হিজামা করেছেন মাসের বিভিন্ন সময়ে। যেমন হজ্জের সময়, চান্দ্র মাসের প্রথমে। কারণ তিনি খারাপ মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে বুঝা যায়, প্রয়োজনে যে কোন সময় হিজামা করা যায়।
হিজামা থেকে বিরত থাকা : অসুস্থ, হায়েয, অন্তঃসত্তা, নেফাস এবং দুর্বল শরীরের অধিকারীদেরকে হিজামা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
সিয়াম বা ইহরাম বাধা অবস্থায় হিজামা লাগানো : আব্দুল্লাহ বিন আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইহরাম অবস্থায় আধ কপালির কারণে তাঁর মাথায় শিক্ষা লাগান।
বুখারী হা/৫৭০১।
আবু কাবশাহ আনমারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সঃ) মাথার মাঝখানে এবং দুই কাঁধের মাঝে হিজামা করতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি নিজ শরীরের এ অংশে হিজামা করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও কোন ক্ষতি হবে না।
আবুদাঊদ হা/৩৮৫৯; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৪, সনদ সহীহ।
জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হাড় মচকে গেলে তিনি এর জন্য হিজামা করান।
আবুদাঊদ হা/৩৮৬৩; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৫, সনদ সহীহ।
আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ব্যথার কারণে ইহরাম অবস্থায় তাঁর পায়ের উপরিভাগে হিজামা করিয়েছেন।
আবুদাঊদ হা/১৮৩৭, সনদ সহীহ।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন, ‘দাঁতে, মুখে এবং গলায় ব্যথা হ’লে থুতনির নীচে হিজামা লাগালে উপকার পাওয়া যায়, যদি তা সঠিক সময়ে করা হয়। এটা মাথা ও চোয়াল শোধন করে।
পায়ের সাফিনায় (যা গোড়ালির বড় শিরা) পাংচারিং করার পরিবর্তে পায়ের পাতার সম্মুখে হিজামা লাগানো যেতে পারে। থাই এবং পায়ের পিছনের গোশতের আলসারের চিকিৎসায় এটি উপকারী। তাছাড়া রক্তস্রাবে বাধা ও অন্ড কোষের চামড়ার ক্ষতে তা ব্যবহারযোগ্য।
উরুতে ব্যথা, চুলকানী ও খোসপাঁচড়ার চিকিৎসা হিসাবে বুকের নিচে হিজামা লাগানো উপকারী। এতে পিঠের গেঁটে বাত, অর্শ, গোদ রোগ, খোসপাঁচড়ার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
যাদুল মা‘আদ ৪/৫৮।
মহিলাদের জন্য হিজামা : জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে হিজামা করার জন্য অনুমতি চাইলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে হিজামা লাগিয়ে দিতে আবু তাইবা (রাঃ)-কে আদেশ দিলেন। জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমার মনে হয়, আবু তাইবা তার (উম্মে সালামার) দুধভাই অথবা একজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বালক ছিলেন। আবুদাঊদ হা/৪১০৫; ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮০, সনদ সহীহ।
উরাইসিদ হিজামা সেন্টার 01826092909
আমাদের সেবায় অন্তর্ভুক্ত :-
* অপারেশন ছাড়া ও ব্যাথামুক্ত চিকিৎসায় পলিপাস বা নাকে মাংশ বৃদ্ধি সম্পূর্ণরুপে নিমূল করা হয়।
* অপারেশন ছাড়া মলদ্বারের পাইলস, অর্শ্ব, গেজ আজীবনের জন্য ভালো করা হয়।
* টিউমার, আঁচিল, মেদ-ভুড়ি, যৌন ও চর্ম রোগ, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা, বাত ব্যাথা, মহিলাদের সাদাস্রাব সহ বিভিন্ন রোগের সুচিকিৎসা কর হয়।
* এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হিজামা থেরাপিষ্টের মাধ্যমে হিজামা থেরাপি দেয়া হয়।
যোগাযোগ :
উরাইসিদ হিজামা সেন্টার নগর কসবা , নবাব গেইট মীর কাদিম পৌরসভা মুন্সিগঞ্জ ।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন 01826092909
(আসার আগে ফোন দিয়ে সিরিয়াল নিন এবং ফ্রিতে চেকআপ করুন)

Address

Munshiganj
1501

Opening Hours

Monday 09:30 - 21:30
Tuesday 09:30 - 21:30
Wednesday 09:30 - 21:30
Thursday 09:30 - 21:30
Saturday 09:30 - 21:30
Sunday 09:30 - 21:30

Telephone

+8801727426668

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তিব্বে নববী হিজামা কাপিং সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to তিব্বে নববী হিজামা কাপিং সেন্টার:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram