Ruqyah center Bangladesh

Ruqyah center Bangladesh Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ruqyah center Bangladesh, dasergong, Narayanganj.
(1)

সমস্ত চিকিৎসার উপরে আল্লাহর কালামের চিকিৎসা, আসুন আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখি, কোরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহন করি। YouTube Link https://youtube.com/?si=gDBTlv20HekqtJN0

রুকইয়াহ কি অনলাইনে করা যায়ইসলামী শরীয়তে রুকইয়াহ বলতে মূলত কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামসমূহ এবং সহিহ দোয়া দ্বারা চিকিৎসা করা...
03/12/2025

রুকইয়াহ কি অনলাইনে করা যায়

ইসলামী শরীয়তে রুকইয়াহ বলতে মূলত কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামসমূহ এবং সহিহ দোয়া দ্বারা চিকিৎসা করাকে বোঝায়। এটি মূলত দোয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা। তাই রুকইয়াহর আসল শক্তি সুরের মধ্যে নয়, বরং তিলাওয়াত, নিয়ত, দোয়া এবং আল্লাহর রহমতের উপর নির্ভরশীল।

রুকইয়াহ কি অনলাইনে করা যায়
হ্যাঁ, রুকইয়াহ অনলাইনে করা সম্ভব, যদি রুকইয়াহকারী সরাসরি তিলাওয়াত করেন এবং রোগী তা শোনেন। কারণ রুকইয়াহর জন্য রোগীর সামনে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়। মূল বিষয় হচ্ছে কোরআনের তিলাওয়াত শোনা, দোয়া করা এবং ভরসা রাখা। কেউ চাইলে নিজের জন্য নিজেই রুকইয়াহ করতে পারে। নবী করিম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের জন্য নিজেই রুকইয়াহ করে, তা এক উত্তম আমল।

সহিহ হাদিসে রুকইয়াহর প্রমাণ
নবী করিম বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি তার ভাইয়ের উপকার করতে পারে রুকইয়াহর মাধ্যমে, তাহলে তা করুক। আবার অন্য হাদিসে উল্লেখ আছে, সাহাবারা সূরা ফাতেহা পড়ে একজন অসুস্থ ব্যক্তির ওপর দম করেছিলেন এবং তিনি সুস্থ হন। এতে প্রমাণ হয়, কোরআন তিলাওয়াতই রুকইয়াহর মূল পদ্ধতি।

কোরআনে রুকইয়াহর প্রমাণ
কোরআনে আল্লাহ বলেন যে এই কোরআন মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ কোরআনকে রোগের চিকিৎসার জন্য নাযিল করেছেন। অর্থাৎ শিফা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, কোরআন হচ্ছে সেই মাধ্যম।

অনলাইনে রুকইয়াহ গ্রহণের শর্ত
রুকইয়াহকারী যেন সহিহ আকিদার মানুষ হয়
ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, জিন ডাকার মত শরীয়তবিরোধী কাজ না করে
শুধু কোরআন ও সহিহ দোয়া পড়ে
অনলাইনে পড়া শব্দ যেন স্পষ্ট শোনা যায়
রোগী যেন কুসংস্কারীয় ভরসা না করে, বরং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল রাখে

রুকইয়াহ নিজে করার সহজ পদ্ধতি
সূরা ফাতেহা
আয়াতুল কুরসি
সূরা ইখলাস
সূরা ফালাক
সূরা নাস
এইগুলো পড়ে নিজের ওপর বা পানিতে দম দিতে পারেন। হাত বুলিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহর কাছে শিফা চাইতে পারেন।

শেষ কথা
রুকইয়াহ শিরক, তাবিজ বা জাদুটোনা নয়। এটি কোরআন ও দোয়ার মাধ্যমে শিফার জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন। তাই অনলাইনে রুকইয়াহ শুনে দোয়া করা জায়েজ, যতক্ষণ তা সহিহ পদ্ধতির মধ্যে থাকে। আল্লাহই শিফাদাতা, রুকইয়াহ শুধু একটি মাধ্যম।

পিরিয়ডের সময় কি রুকইয়াহ করা যায়মাসিক অবস্থায় রুকইয়াহ করা পুরোপুরি জায়েজ। রুকইয়াহ মূলত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া দোয়া পড়...
03/12/2025

পিরিয়ডের সময় কি রুকইয়াহ করা যায়

মাসিক অবস্থায় রুকইয়াহ করা পুরোপুরি জায়েজ। রুকইয়াহ মূলত আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া দোয়া পড়া এবং কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়ার একটি উপায়। মাসিক অবস্থায় নারীর ওপর নামাজ ও রোজার বিধান ছাড়া অন্য ইবাদত নিষিদ্ধ নয়। দোয়া করা আল্লাহর স্মরণ করা বা নিজের উপর রুকইয়াহ করা নিষিদ্ধ হয়নি।

হাদিসে রুকইয়াহর অনুমতি স্পষ্টভাবে আছে এবং কোথাও মাসিক নারীর জন্য রুকইয়াহ নিষিদ্ধ করা হয়নি। সাহাবিয়াতরাও দোয়া যিকির এবং রুকইয়াহ করতেন। রুকইয়াহ যেহেতু চিকিৎসার মতো একটি আমল এবং দোয়া করা সব অবস্থায় বৈধ তাই মাসিক অবস্থায়ও এটি করা যাবে।

কোরআনের আয়াত হাতে স্পর্শ না করে রুকইয়াহর উদ্দেশ্যে মুখে পড়া বা শুনে নেওয়া বেশিরভাগ আলেমের মতে বৈধ। কারণ এটি তিলাওয়াত হিসেবে নয় বরং দোয়া ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে করা হয়। রুকইয়াহ করতে বা করাতে রাসুলের হাদিসে স্পষ্ট অনুমতি রয়েছে এবং এতে কোনো কুসংস্কার না থাকলে এটি সুন্নাহসম্মত।

তাই পিরিয়ডের সময় রুকইয়াহ করতে পারবেন। দোয়া পড়া নিজের উপর ফুঁ দেওয়া রুকইয়াহ শুনা বা প্রয়োজনে কাউকে দিয়ে রুকইয়াহ করানো সবই বৈধ। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া কোনো সময়েই বন্ধ থাকে না।

রুকইয়াহ কি শুধু মুসলমানরাই করতে পারেইসলামে রুকইয়াহ হলো কোরআনের আয়াত, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ এবং সহিহ হাদিসে প্রমাণিত দোয়...
03/12/2025

রুকইয়াহ কি শুধু মুসলমানরাই করতে পারে

ইসলামে রুকইয়াহ হলো কোরআনের আয়াত, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ এবং সহিহ হাদিসে প্রমাণিত দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে শিফা প্রার্থনা করার একটি বৈধ আমল। রুকইয়াহকে ইবাদত বলা হয়, কারণ এতে পুরোপুরি আল্লাহর ওপর ভরসা করে সাহায্য চাওয়া হয় এবং এতে কোনো ধরনের শিরক থাকা চলবে না।

কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে কোরআন মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। রুকইয়াহ সেই শিফারই একটি বাস্তব প্রয়োগ, যেখানে মানুষ নিজের দুঃখ, রোগ বা মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নিজে রুকইয়াহ করতেন, তিন কুল পড়ে নিজের শরীরে মাসহ করতেন এবং সাহাবীদেরও তা করতে শিখিয়েছেন।

রুকইয়াহের মূল শর্ত হলো এতে যেন শিরক না থাকে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে শিরকমুক্ত রুকইয়াহ বৈধ। অর্থাৎ কোরআন, দোয়া, আল্লাহর নাম—এগুলোর মাধ্যমেই রুকইয়াহ করতে হবে। কোনো তাবিজ, ঝাড়ফুঁক, জ্বিন ডাক, অদ্ভুত মন্ত্র এসব রুকইয়াহ নয়, বরং হারাম ও বিপজ্জনক।

রুকইয়াহ মূলত ঈমানভিত্তিক আমল হওয়ায় এই কাজ সাধারণত মুসলমানরাই সম্পাদন করে এবং মুসলমানরাই এর ওপর বিশ্বাস রাখে। একজন মুসলিম কোরআনকে শিফার উৎস হিসেবে মানে, আল্লাহর কাছে দোয়া করে এবং রাসুলের শেখানো দোয়া মেনে চলে। মুসলিম নয় এমন ব্যক্তি কোরআন ও সুন্নাহর ওপর সেই ঈমান না থাকার কারণে বাস্তবে রুকইয়াহ তাদের মাধ্যমে হয় না।

নিজে নিজে রুকইয়াহ করা সবচেয়ে উত্তম। নিজের উপর তিন কুল, আয়াতুল কুরসি, ফাতিহা ইত্যাদি পড়ে দোয়া করা সুন্নাহ। তবে বিশ্বাসযোগ্য, সুন্নাহ মানা এমন কাউকে দিয়ে রুকইয়াহ করানোও বৈধ—যতক্ষণ সে শুধুই কোরআন ও সহিহ দোয়া পড়ে এবং কোনো কুসংস্কার ব্যবহার না করে।

সংক্ষেপে বলা যায়, রুকইয়াহ হলো আল্লাহর কাছে শিফা চাওয়ার একটি পবিত্র আমল, যা কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক। এটি শুধুই মুসলমানদের আমল, কারণ এর ভিত্তিই হলো ঈমান, তাওহিদ এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা।

ছিটানো জাদু কী?ছিটানো জাদু সাধারণত সেই ধরনের জাদু, যেখানে কোনো তাবিজ, গুঁড়া, মাটি, নখ–চুল, বা বিশেষ কিছু পদার্থ কারও দ্ব...
02/12/2025

ছিটানো জাদু কী?
ছিটানো জাদু সাধারণত সেই ধরনের জাদু, যেখানে কোনো তাবিজ, গুঁড়া, মাটি, নখ–চুল, বা বিশেষ কিছু পদার্থ কারও দ্বারে, বারান্দায়, দরজার সামনে, জামাকাপড়ে, কিংবা ব্যবহৃত জিনিসে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে মানুষকে মানসিক কষ্ট, অশান্তি, রিজিকের সমস্যা, ঝগড়া, অসুস্থতা বা কাজের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়।

লক্ষণগুলো কী হতে পারে?

বাড়িতে অকারণে অশান্তি

কাজে বাধা ও রিজিক সংকট

বারবার সমস্যা হওয়া

হঠাৎ করে মন খারাপ, ভয় বা দুশ্চিন্তা

ঘুমের সমস্যা

ঘর ভারী মনে হওয়া

জাদু সত্য, এবং এর প্রভাব থাকতে পারে। তবে মুমিনের তাওহীদ শক্ত হলে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোনো জাদু কারও ক্ষতি করতে পারে না। রুকইয়াহ করা, কুরআনের আয়াত পড়া, ঘরকে পবিত্র রাখা—এসবই আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার মাধ্যম।

প্রতিদিন সকালে ও রাতে সূরা ফালাক, নাস ও আয়াতুল কুরসি পড়ুন।

নিজের ঘরে নিয়মিত সুরা বাকারা চালান।

যে জায়গায় সন্দেহ করেন, সেখানে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে ফুঁ দিন বা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন—তিনিই রক্ষা করেন।

02/12/2025

🤲আতরের মাধ্যমে জ্বীন হাজীর করার শক্তিশালী আমল🤲
অভীজ্ঞ কোন আলেম বা রাকী ছাড়া এ আমল টি করতে যাবেন না।
📌আমল টি করার জন্য অনুমতি লাগবে। #

কেন মনে হচ্ছে দুষ্ট জ্বীন ও শয়তানি প্রভাব দিন দিন বাড়ছেবর্তমানে অনেক মানুষ দুষ্ট জ্বীন বা শয়তানি প্রভাবের সমস্যায় ভুগছেন...
02/12/2025

কেন মনে হচ্ছে দুষ্ট জ্বীন ও শয়তানি প্রভাব দিন দিন বাড়ছে

বর্তমানে অনেক মানুষ দুষ্ট জ্বীন বা শয়তানি প্রভাবের সমস্যায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করছেন। সমাজে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে মনে হওয়ার কিছু বাস্তব কারণ রয়েছে:

১. ধর্মীয় অনুশীলন কমে যাওয়া
দৈনন্দিন আমল, নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া-মাসনুন ছেড়ে দেওয়ার ফলে আত্মিক দুর্বলতা বাড়ে। আত্মিক দুর্বলতা মানুষকে ভয়, উদ্বেগ ও নেতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।

২. হারাম ও গুনাহের প্রতি ঝুঁকে যাওয়া
গান, মিউজিক, অশ্লীলতা, হারাম সম্পর্ক, জিনা, সুদ—এসব গুনাহ আত্মাকে দুর্বল করে। পাপ বাড়লে শয়তানি ওয়াসওয়াসা ও মানসিক অস্থিরতার প্রবণতাও বাড়ে, যা মানুষকে ধারণা দেয় যে সে আধ্যাত্মিক ক্ষতির শিকার।

৩. কালোজাদু, তাবিজ, শিরক ও কুসংস্কার বাড়ছে
অনেকে সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে তাবিজ, তুকতাক বা জাদুকরদের কাছে যাচ্ছে। এগুলোর মাধ্যমে বাস্তবেই মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ে, কারণ শিরক ও জাদুর সাথে জ্বীনদের সংশ্লিষ্টতা ইসলাম স্বীকৃতভাবে বিপজ্জনক।

৪. মানসিক চাপ ও মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধি
স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, ঘুম সমস্যা, উদ্বেগ—এসব বাড়ার কারণে অনেকেই শারীরিক বা মানসিক সমস্যাকে আধ্যাত্মিক সমস্যা মনে করেন। এতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে মনে হয়।

৫. সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
এখন যে কোনো বিষয় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একটি ঘটনার ভিডিও বা অভিজ্ঞতা ভাইরাল হলে অনেকেই নিজের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নেন, ফলে সমস্যাটি বাস্তবের চেয়ে বেশি মনে হয়।

৬. শরীয়াহসম্মত চিকিৎসা এড়িয়ে চলা
অনেকে রুকইয়াহ না করে জাদুকর, কবিরাজ বা কুসংস্কারের দিকে যায়। এতে তাদের সমস্যা আরও গভীর হয়, আর মনে হয় দুষ্ট জ্বীনের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে।

৭. গুনাহকে গুনাহ মনে না করা
গুনাহকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়ায় আত্মার পরিশুদ্ধতা নষ্ট হয়। আল্লাহর বারাকাহ কমে যায়, আর মানুষ আধ্যাত্মিক দুর্বলতায় ভুগে। এই দুর্বলতা শয়তানকে সুযোগ দেয়।

কালো জাদুর প্রভাব—যে লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়অনেক সময় মানুষ স্বাভাবিকভাবে বুঝতেই পারে না যে ওর উপর কালো জাদুর প্রভাব পড়েছ...
02/12/2025

কালো জাদুর প্রভাব—যে লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়

অনেক সময় মানুষ স্বাভাবিকভাবে বুঝতেই পারে না যে ওর উপর কালো জাদুর প্রভাব পড়েছে কি না। কিন্তু কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়—

১. হঠাৎ করে অতিরিক্ত ভয়, দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক অনুভব করা
আগে যেসব জিনিসে ভয় পেত না, এখন অকারণে ভীত হয়ে যাওয়া।

২. মাথা ভার ভার লাগা, চাপ অনুভব করা
টানা মাথাব্যাথা বা মাথা যেন কুয়াশায় ঢেকে আছে—এমন অনুভূতি।

৩. ঘুমের সমস্যা বা দুঃস্বপ্ন দেখা
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া, রাতে চাপা শব্দ বা উপস্থিতি অনুভব করা।

৪. অকারণে রাগ হয়ে যাওয়া বা আচরণ বদলে যাওয়া
আগে শান্ত মানুষ হঠাৎ রেগে যাওয়া, পরিবারে অশান্তি তৈরি হওয়া।

৫. শরীরে অস্বাভাবিক ব্যথা
হাসপাতালে রিপোর্ট নরমাল, কিন্তু শরীর ভারী, ব্যথা বা অসাড় অনুভব করা।

৬. কোন কাজ করতে ইচ্ছে না করা, উদ্যম হারানো
হঠাৎ সবকিছু বিরক্তিকর মনে হওয়া, চেষ্টা করলেও মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা।

৭. বেজায় ক্লান্ত লাগা
যেন সারাদিন কাজ করেছি—এমন অনুভূতি, যদিও আসলে কিছুই করিনি।

৮. রিজিক, সম্পর্ক বা জীবনের কাজে অদ্ভুত বাধা
যে কাজশই করেন—শেষ মুহূর্তে নষ্ট হয়ে যাওয়া।

এই লক্ষণগুলো থাকলেই কালো জাদু নিশ্চিত নয়

কারণ অনেক সময় মানসিক চাপ, শারীরিক সমস্যা বা স্ট্রেস থেকেও এমন হতে পারে।
তাই ভয় না পেয়ে, কুরআন অনুযায়ী রুকইয়াহ করা—এটাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

যে মুখ মানুষের নয়, গর্তের ভিতর থেকে শ্বাসের শব্দ—এটি অনেক সময় দোয়াত বা নফসানি ক্ষুদ্র জিন, বদ আত্মা বা শয়তানের সঙ্গেই স...
01/12/2025

যে মুখ মানুষের নয়, গর্তের ভিতর থেকে শ্বাসের শব্দ—এটি অনেক সময় দোয়াত বা নফসানি ক্ষুদ্র জিন, বদ আত্মা বা শয়তানের সঙ্গেই সম্পর্কিত হতে পারে। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে পারি।

কোরআনে আল্লাহ বলেন, “বলো, আমি আশ্রয় চাই প্রত্যেক মানুষ ও জিনের উপর প্রভাব ফেলা দুষ্ট শক্তি থেকে”। এছাড়া হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রাতে বা দিনে এমন অবস্থার মুখোমুখি হয়, সে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ার মাধ্যমে এবং আয়াতুল কুরসি পাঠের মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

রুকইয়াহ শিফা কেবল শরীর নয়, মন ও আত্মার শান্তিও দেয়। যখন আমরা রোজগারের সময় বা রাতে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ ও রুকইয়াহ পাঠ আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করে।

যে কোনো অদ্ভুত বা অচেনা শ্বাসের শব্দ বা গর্তের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখলে হঠাৎ ভয় পাওয়ার দরকার নেই, বরং আল্লাহর আশ্রয় নিন এবং নিয়মিত রুকইয়াহ করুন। আল্লাহ সব ধরনের বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম।

মুমূর্ষু অবস্থায় রুকইয়াহ করার উপকারিতাকোরআন হাদিসের আলোকে সংক্ষিপ্ত আলোচনারুকইয়াহ হলো কোরআনের আয়াত, দোয়া এবং নববী সুন্না...
01/12/2025

মুমূর্ষু অবস্থায় রুকইয়াহ করার উপকারিতা
কোরআন হাদিসের আলোকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা

রুকইয়াহ হলো কোরআনের আয়াত, দোয়া এবং নববী সুন্নাহ অনুযায়ী জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শিফা চাওয়া। যখন কোনো মানুষ মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে, তখন ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি রুকইয়াহ করা ইমানী শক্তি বাড়ায় এবং শরীর ও মনে প্রশান্তি আনে।

রুকইয়াহ মূলত শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক কষ্ট, জিন বা শয়তানের কুমন্ত্রণা, নজর লাগা ইত্যাদি থেকে মুক্তির জন্য করা হয়। তবে মুমূর্ষু অবস্থায় রুকইয়াহ বেশি উপকারী, কারণ তখন মানুষ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর সাহায্যই তার সবচেয়ে বড় আশ্রয়।

কোরআনের আলোকে
আল্লাহ বলেন কোরআন মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। তাই মুমূর্ষু অবস্থায় কোরআনের আয়াত শুনানো বা পড়া মানুষকে আধ্যাত্মিক শান্তি দেয়। রুকইয়াহ করার সময় সাধারণত ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়া হয়। এসব আয়াতে শিফা, প্রশান্তি এবং নিরাপত্তার বার্তা রয়েছে।

হাদিসের আলোকে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থদের ওপর রুকইয়াহ করতেন এবং সহাবীরাও করেছেন। এক সাহাবী সূরা ফাতিহা পড়ে একজন অসুস্থকে সুস্থ করেছিলেন, এবং নবীজি সেটিকে রুকইয়াহ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। নবীজি বলেছেন রুকইয়াহ করলে কোনো সমস্যা নেই, যতক্ষণ তা কোরআন, দোয়া ও আল্লাহর ওপর ভরসার ভিত্তিতে হয়।

মুমূর্ষু অবস্থায় রুকইয়াহ কেন উপকারী
প্রথমত কোরআনের শব্দ হৃদয়ে প্রশান্তি আনে।
দ্বিতীয়ত আল্লাহর সাহায্যের প্রতি দৃঢ় ভরসা তৈরি হয়।
তৃতীয়ত মানসিক ভয় কমে এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করায় মন নরম হয়।
চতুর্থত আল্লাহর রহমত নাযিল হওয়ার আশা থাকে, যা অসুস্থের মনোবল বাড়ায়।

রুকইয়াহ করার সময় নিয়ত থাকে আল্লাহই শিফা দিবেন। এটি কোনো জাদুবিদ্যা নয়, বরং দোয়া এবং কোরআনের বারাকাতে শিফা চাওয়ার একটি Sunnah পদ্ধতি।

রুকইয়াহ করার কিছু পরামর্শ
অসুস্থের পাশে বসে নরম স্বরে কোরআন তিলাওয়াত করা।
ফাতিহা বা অন্য দোয়া পড়ে আলতোভাবে দোয়া করা।
আল্লাহর কাছে শিফা কামনা করা।
অসুস্থকে ভয় না দেখিয়ে তাকে শান্ত করা।

খাবারের মাধ্যমে করা জাদু কিভাবে শরীরকে ধ্বংস করে দেয়ইলমে জাদুর সবচেয়ে কূট বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মানুষের অজান্তেই শরীর ও মনে...
01/12/2025

খাবারের মাধ্যমে করা জাদু কিভাবে শরীরকে ধ্বংস করে দেয়

ইলমে জাদুর সবচেয়ে কূট বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মানুষের অজান্তেই শরীর ও মনে প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে খাবারের মাধ্যমে করা জাদু খুবই বিপজ্জনক। কারণ খাবার এমন এক জিনিস যেটি মানুষ নির্ভয়ে গ্রহণ করে, আর সেই সুযোগেই শয়তানি আমলকারী ব্যক্তি জাদুর উপকরণ খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে জাদু সত্য এবং এটি মানুষের উপর বাস্তব ক্ষতি করতে পারে। কোরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে শয়তান ও জাদুকরেরা মানুষকে ক্ষতি করতে চায়, কিন্তু আল্লাহর অনুমতি ছাড়া তারা কিছুই করতে পারে না।

ইসলামে বর্ণিত আছে যে জাদুর প্রভাব কখনো শরীরকে দুর্বল করে দেয়, খাবারের প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি করে, ঘুমের সমস্যা, অস্বাভাবিক ব্যথা, হঠাৎ মানসিক চাপে পড়ে যাওয়া, বুকে ভার অনুভব হওয়া, এবং কোন কারণ ছাড়াই শারীরিক অস্থিরতা দেখা যায়। অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে করা জাদু পাকস্থলী, লিভার, অন্ত্র বা স্নায়ুতন্ত্র পর্যন্ত ক্ষতি করে ফেলতে পারে। এমনকি মানুষ নিজের সমস্যার মূল বুঝতেই পারে না, চিকিৎসা নিলেও উপকার পায় না।

কোরআনে সূরা বাকারা তে বলা হয়েছে যে ফেরাউনের সময়কার জাদুকরেরাও মানুষের চোখে প্রতারণা সৃষ্টি করত এবং ক্ষতি করতে পারত। আর সূরা ফালাক ও সূরা নাস এ আল্লাহ আমাদের জাদু এবং হিংসুকদের ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাইতে শিখিয়েছেন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকইয়াহর মাধ্যমে অনেককে শিফা দিয়েছেন এবং আমাদেরও তা শেখার ও আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

খাবারের মাধ্যমে করা জাদুর লক্ষণগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। যেমন
হঠাৎ খাবার খেলে বমি বমি ভাব, পেটের তীব্র জ্বালা, শরীর ও অঙ্গে অকারণ ব্যথা
বারবার অসুস্থ হয়ে পড়া
মাথায় যেন কুয়াশা নেমে আসা
চিন্তা শক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া
নামাজে মনোসংযোগ কমে যাওয়া
সবকিছু থেকে বিরক্তি এবং ভয় কাজ করা
নিজেকে অকারণে দুর্বল মনে হওয়া

এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে রুকইয়াহ শারই করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রুকইয়াহ মূলত কোরআন ও সহিহ দোয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শিফা চাওয়ার একটি সুন্নাহ পদ্ধতি। এতে শিরক নেই, ঝাড়ফুঁক নেই, কোন জাদুটোনা নেই। কেবল আল্লাহর কালাম এবং তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা।

রুকইয়াহ করার উপায়
প্রতিদিন বেলা এবং রাতে সূরা ফালাক, সূরা নাস এবং সূরা ইখলাস পড়ে নিজের উপর ফুঁক দেওয়া
আয়াতুল কুরসি পড়ে পানি বা খাবারের উপর দম করা
সূরা বাকারা নিয়মিত ঘরে চালানো
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত প্রতিদিন রাতে পড়া
নবীজির শেখানো দোয়া “বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মা আসমিহি শাইউন” সকাল সন্ধ্যায় পড়া
বিশুদ্ধ তওবা করা এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখা

যদি কেউ নিশ্চিত হয় বা সন্দেহ করে যে খাবারের মাধ্যমে জাদু করা হয়েছে, তাহলে প্রথমে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, নিজের ঈমান শক্ত করা এবং রুকইয়াহ নিয়মিত করা উচিত। আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেন, কোরআন মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। তাই রুকইয়াহর মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি অবশ্যই উপকার করবেন।

পরিশেষে বলা যায়, খাবারের মাধ্যমে করা জাদু শরীরকে ধীরে ধীরে ক্ষতি করে দেয়, কিন্তু আল্লাহর কালাম তার চেয়ে শক্তিশালী। নিয়মিত রুকইয়াহ, নামাজ, তওবা এবং halal জীবনযাপন জাদুর সব প্রভাবকে ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, ইনশাআল্লাহ তিনি আপনাকে সব ধরনের অদৃশ্য ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন।

রুকইয়াহ: যে আয়াতের শুরুতেই তান্ডব দেখা দেয়, সেটা কখনো অবহেলা করা উচিত নয়। কোরআন ও হাদিস স্পষ্টভাবে নির্দেশ করেছে যে জ্বী...
30/11/2025

রুকইয়াহ: যে আয়াতের শুরুতেই তান্ডব দেখা দেয়, সেটা কখনো অবহেলা করা উচিত নয়। কোরআন ও হাদিস স্পষ্টভাবে নির্দেশ করেছে যে জ্বীন মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিয়ে রুকইয়াহ পাঠ করবে, সে নিরাপদ থাকবে”। রুকইয়াহ হলো আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা, যা কেবল শব্দ নয়, বরং বিশ্বাস ও Tawakkul-এর মাধ্যমে প্রভাব ফেলে।

কোরআনে আল্লাহ বলেন, “আমরা মানুষ ও জ্বীনকে কেবল তাইই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা আমাদের ইবাদত করে”। যখন জ্বীন মানুষকে ভয় বা দুর্বলতার মাধ্যমে প্রভাবিত করে, তখন রুকইয়াহ পাঠ করা এক ধরনের আত্মরক্ষা।

মনে রাখবেন, রুকইয়াহ পাঠের সময় বিশ্বাস ও ধৈর্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া জ্বীনের কোনো প্রভাব টিকতে পারে না। তাই নিয়মিত কোরআনের আয়াত পাঠ, দোয়া ও রুকইয়াহ পালন করুন।

রহস্যময় ছায়ার ফিসফিসানি অনেক সময় আমাদের জীবনে অদৃশ্য শক্তি হিসেবে উপস্থিত থাকে। ইসলামে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য...
30/11/2025

রহস্যময় ছায়ার ফিসফিসানি অনেক সময় আমাদের জীবনে অদৃশ্য শক্তি হিসেবে উপস্থিত থাকে। ইসলামে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য রুকইয়াহ করা সুন্নাত। কোরআনে আল্লাহ তাআলার বলেন, সূরা ফালাক ও সূরা নাসে আশ্রয় চাইতে হবে প্রতিটি ক্ষতিকর জিনিস থেকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি রাতে এবং সকালে এই সূরা দুটি পড়বে, আল্লাহ তাকে প্রতিটি ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।"

রুকইয়াহ করার সময় শুধু আল্লাহর কাছে ভরসা রাখুন, নিজের বিশ্বাস শক্ত রাখুন এবং সুন্নাহ অনুসারে কোরআন তিলাওয়াত করুন। কখনোও অন্য কিছুতে নির্ভর করবেন না। এটি শুধু আমাদের আধ্যাত্মিক নিরাপত্তা নয়, মন ও শরীরের শান্তিও দেয়।

আমরা সকলেই অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলা করতে পারি আল্লাহর সাহায্যে। তাই প্রতিদিনের জীবনেই ছোট ছোট রুকইয়াহ পড়া শুরু করুন এবং বিশ্বাস রাখুন যে আল্লাহ সর্বদা আমাদের রক্ষা করবেন।

Address

Dasergong
Narayanganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ruqyah center Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ruqyah center Bangladesh:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram