06/09/2017
আমরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারী, আমাদের কি করতে হয়না একটু চিন্তা করেছেন,একটা মানুষের মাতৃ গর্ভে থাকার আগে থেকে, তার জন্ম ও বড় হওয়া, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত তাকে সেবা দিয়ে যেতে হয়, কিন্তু প্রচারের অভাবে অনেকে তা জানেন না, বুঝেন না,বলেনও না সব। কি কাজ আমরা করিনা?
যা করি তার সামান্য অংশ তুলে ধরলাম।
* বাড়ি বাড়ি গিয়ে সক্ষম দম্পতি রেজিষ্ট্রেশন।
*দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহনের জন্য মোটিভেশন।
*আগ্রহী ক্লায়েন্টদের নিয়ে সেবা কেন্দ্রে গমনও তাদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি প্রদান,ও পরবর্তীতে তাদের পর্যবেক্ষন।
* গর্ভবতী রেজিষ্ট্রেশন,
*গর্ভকালীন সেবা দান,
*প্রসোবোত্তর সেবাদান।
*নিরাপদ প্রসব সেবাদান
*প্রসব পরবর্তী সেবা,
*বন্ধ্যা দম্পতির তথ্য সংগ্রহ,পরামর্শ প্রদান,ও প্রয়োজনে অন্যত্র রেফার।
*খাবার বড়ি,কনডম,ইনজেকটেবলের ডিও ডোজ প্রদান,মিসোপ্রোষ্টল ট্যাবলেট বিতরন।
*শিশু সেবা (০-৫)বছর,ও রেফার।
*পুষ্টি সেবা, গর্ভবতী ও(০-২৩) মাস বয়সী, সাথে শিশুর মাকে সেবা দান।
*(০-৫৯) মাস বয়সী শিশুর পুষ্টি সেবা।
* কিশোর কিশোরী সেবা (১০-১৯) বছর বয়সি।
* জন্ম রেজিষ্ট্রেশন,
* শিশুদের টিকাদান এর সময় সুচির কলাম পূরন,
* মূত্যুর তালিকা প্রদান,ও রেজিষ্ট্রেশন,
* ই,পি, আই, কেন্দ্রে সেবা দান মা ও শিশুস্বাস্থ্য কার্যক্রম।
* কমিউনিটি ক্লিনিকে, সেবা প্রদান।
* মাতৃ মৃত্যু রোধ, শিশু মৃত্যু রোধে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
* জনসংখ্যা গণণা।
জনপ্রতিনিধিদের সাথে মিটিং।
স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদি পদ্ধতিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চাপ।
*তাছাড়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত সকল কাজ,।
কিন্তু এত সব কাজ করার পরও প্রচারের অভাবে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।তারপরও যত অভিযোগ মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের।পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতিগত ভাবে ব্যক্তির নিজস্বতা বজায় রাখতে হয় বিধায় পাশের মানুষের বিষয়টিও আমরা গোপন রাখি লাখতে হয়।তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে ধর্মীয় বিধি নিষেধের গোড়ামির বিষয়টি সবসময় সামনে চলে আসে।তবুও আমরা নিরলস চেষ্টা করি আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে।তবুও কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে অনুযোগটা বাড়িয়ে কাজ করার স্পৃহা সৃষ্টি করে সেটায় প্রত্যাশা।