Desh Hospital

Desh Hospital সঠিক রোগ নির্ণয় ও উন্নত সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ

গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যকর খাদ‍্যাভ‍্যাসএকটি সুস্থ্য-স্বাভাবিক শিশু জন্ম দানের জন‍্য একজন গর্ভবতী মায়ের দৈনিক প্রায় অতিরি...
10/02/2023

গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যকর খাদ‍্যাভ‍্যাস

একটি সুস্থ্য-স্বাভাবিক শিশু জন্ম দানের জন‍্য একজন গর্ভবতী মায়ের দৈনিক প্রায় অতিরিক্ত ৩০০ ক‍্যালরি প্রয়োজন, যা স্বাস্থ্যকর খাদ‍্যাভ‍্যাসের মাধ‍্যমে খুব সহজেই পাওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ‍্যাভ‍্যাস বলতে সহজভাবে বলা যায় যে, যেসকল খাদ‍্য গ্রহন করতে হবে তা সঠিক পরিমাণ ও সঠিক সময়ে গ্রহন এবং যেসকল খাদ‍্য বর্জনীয় তা বর্জন করার অভ‍্যাস।

একটি গর্ভস্থ শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন‍্য গর্ভবতী মায়ের আদর্শ খাবার হলো-

১। শাক-সবজিঃ- গাঁজর, টমেটো, পালংশাক, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, আলু ইত্যাদি।

২। আমিষঃ মটরশুঁটি, শিম, মশুর ডাল, বাদাম, মাছ, চর্বিবিহীন মাংস ইত‍্যাদি।

৩। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারঃ দই, পনির

৪। ফলমূলঃ কলা, খেঁজুর, আম, কমলা, আঙ্গুর ইত‍্যাদি।

৫। পর্যাপ্ত পরিমান (৮-১০ গ্লাস) বিশুদ্ধ খাবার পানি।

৬। আয়রন, ক‍্যাসিয়াম ফলিক এসিড সাপলিমেন্টঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

এছাড়া একজন গর্ভবতী মায়ের জন‍্য সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাটা এবং দৈনিক ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।

যা অবশ্যই পরিহার করতে হবে তা হলোঃ

এলকোহল ও এলকোহল জাতীয় পানীয়,

জাঙ্ক ফুড,

কাঁচা কিংবা কম সিদ্ধ মাংস, মাছ, ডিম ইত‍্যাদি।

--------------------------
আপেল মাহমুদ
বিএসসি ইন হেল্থ টেকনোলজি
এমপিএইচ (ইনকোর্স)
মাস্টার ইন নিউট্রিশান এন্ড ফুড সায়েন্স (ইনকোর্স)

09/02/2023

আসুন জেনে নিই- কেন দেশ হসপিটাল আপামর জনতার!

09/10/2022
শুভ জন্মদিনApel Mahmudপরিচালকদেশ হসপিটাল, বগুড়া
10/10/2021

শুভ জন্মদিন
Apel Mahmud
পরিচালক
দেশ হসপিটাল, বগুড়া

সকল পরীক্ষায় ৩০% ছাড়!
31/12/2020

সকল পরীক্ষায় ৩০% ছাড়!

চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রতীক হিসেবে সাপ ও লাঠি:আমরা বিভিন্ন হসপিটাল, এ্যাম্বুলেন্স কিংবা চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এমন জায়গায় নীচে...
25/12/2020

চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রতীক হিসেবে সাপ ও লাঠি:
আমরা বিভিন্ন হসপিটাল, এ্যাম্বুলেন্স কিংবা চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এমন জায়গায় নীচের প্রতীক গুলো প্রায় দেখি। কিন্তু দূর থেকে এসব প্রতীককে অনেকেই ডাক্তারদের ব্যবহৃত স্টেথোস্কোপ ভেবে ভুল করেন। মজার ব্যাপার হল এটি স্টেথোস্কোপ তো নয় ই বরং অনেকের জন্য তাদের সবচেয়ে ভয় পাওয়া সরিসৃপ সাপ। আজ আমরা জানব কিভাবে চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রতীক হিসেবে সাপ ও লাঠি আসলো!
Caduceus) ক্যাডুসিয়াসঃ ক্যাডুসিয়াস গ্রীক দেবতা হার্মিসের প্রতীক। এটি নিয়ে একটু বলা যাক। গ্রীক মিথলজি অনুসারে দেবতা জিউসের ছেলেদের মধ্যে একজন ছিলেন হার্মিস। হার্মিস নিজেও দেবতা ছিলেন। হার্মিসের প্রতীক ছিল একটি উড়ন্ত লাঠির মত বস্তু, যাকে দুটি সাপ পেঁচিয়ে আছে। ঠিক উপরের চিত্রের প্রথম ছবিটির মত। এটি দিয়ে ব্যবসা, বাগপটুতা, আলাপ-আলোচনা, মধ্যযুগীয় রসায়ন শাস্ত্র আলকেমি এবং জ্ঞান এই সকল জিনিসের মাঝে সম্পর্ক বোঝানো হত। হার্মিস ছিলেন প্রকৃতপক্ষে একজন বার্তাবাহক। যিনি দেবতা এবং মানুষের মাঝে বার্তা বহন করতেন।
শুরু থেকেই হারমিসের এই দুই সাপ ওয়ালা লাঠি চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রতীক হিসেবে প্রচলিত ছিলনা। কারণ দেবতা হার্মিস কখনো চিকিৎসা শাস্ত্রের সাথে কোনোভাবে সম্পর্কিত ছিলন না। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আমেরিকা তে প্রথম এই প্রতীক কে চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। আর এই প্রতীক জনপ্রিয় হয় আমেরিকান মেডিকেল কোর এর কারণে।
নবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আমেরিকান মেডিকেল কোরে একটি লোগো ব্যবহারের দরকার পড়ে। তখন এর দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি ভুলে ক্যাডুসিয়াস (Caduceus) কে চিকিৎসা শাস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত মনে করেন এবং এটিই লোগো হিসেবে ব্যবহার করেন। কারণ Rod Of Asclepius আর ক্যাডুসিয়াস(Caduceus) এর মাঝে তিনি বিভ্রান্ত হয়ে যান। Rod Of Asclepius নিয়ে লিখার শেষের দিকে বলা আছে।
পরে ক্যাডুসিয়াস(Caduceus) দেখতে বেশী আকর্ষণীয় হওয়ায় চিকিৎসার প্রতীক হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। সামান্য একটি ভুলের কারণে এই প্রতীক ব্যবহার শুরু হয় এবং জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় একসময়।
Optometry বা চক্ষু চিকিৎসাঃ এই প্রতীক দিয়ে চক্ষু চিকিৎসা সম্পর্কিত সব বোঝানো হয়। যেমন, চোখ পরীক্ষা, প্রয়োজনমত লেন্স প্রেসক্রাইব করা ইত্যাদি। এই প্রতীকটি মূলত একটি ক্যাডুসিয়াস(Caduceus) প্রতীক-ই। তবে পার্থক্য হল এতে উপরের দিকে একজোড়া চোখ আছে যাতে বোঝা যায় এটি কিসের সাথে সম্পর্কিত।
veterinary বা পশু চিকিৎসাঃ এটি দিয়ে পশু চিকিৎসার প্রতীক বোঝানো হয়। আমেরিকান ভেটেরিনারি মেডিকেল এসোসিয়েশান(AVMA) ১৯৭১ সালে আগের প্রতীক পরিবর্তন করে উক্ত প্রতীক নির্ধারণ করে। এই প্রতীকে Rod Of Asclepius ব্যবহার করা হয় যেখানে সামনে ভেটেরিনারি চিকিৎসা বোঝাতে বড় অক্ষরের একটি "V" রয়েছে।
Dentistry বা দন্ত চিকিৎসাঃ এটি দন্ত চিকিৎসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রতীকে ক্যাডুসিয়াস(Caduceus) এর উপর নিচের ছবির মত আরেকটি প্রতীক রয়েছে।
সেই প্রতীক এর মাঝখানে Rod Of Asclepius এবং দুইপাশে ১৬ টি করে মোট ৩২ টি পাতা রয়েছে। যা আমাদের দাঁতের সংখ্যা নির্দেশ করে। দুই পাশেই পাতার মাঝে ছোট ছোট ২০ টি জামের মত ফল রয়েছে যা আমাদের দুধ দাঁত এর সংখ্যা বোঝায়। উপরের ছবিটি তে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সেটা।
আর বাহিরে ত্রিভুজ আকৃতির যে চিহ্ন টি রয়েছে এটি মূলত ডেলটা (Δ)। গ্রীক ভাষায় ডেলটা মানে "D" যা দিয়ে "Dentistry" বুঝায়। আর গ্রীক ভাষায় Ο(omicron) দিয়ে বুঝায় "odont" যার অর্থ দাঁত।
Chiropractic বা অভ্যন্তরীণ গঠন চিকিৎসাঃ এতে আমাদের বিভিন্ন জয়েন্ট এবং বিশেষ করে মেরুদণ্ডের চিকিৎসা বোঝায়। বিশেষ করে যখন বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা পেশী কিংবা স্নায়বিক কারণে আমাদের মেরুদণ্ড কিংবা কোন জয়েন্ট এ কোন সমস্যা দেখা দেয়।
Symbol of Life)সিম্বল অফ লাইফঃ এটি স্টার অফ লাইফে(Star of Life) নামেও পরিচিত।এই প্রতীক টি আমরা অনেক জায়গায় ই দেখে থাকি। যেমন, হসপিটাল রিলেটেড কোনো ইউনিফর্ম, এম্বুলেন্স, চিকিৎসা বিষয়ক ওয়েবসাইট ইত্যাদি জায়গায়। এমনকি অনেক লিফটের সামনে ও এই চিহ্ন দেখা যায়। লিফটের সামনে এই প্রতীক থাকার অর্থ হলে উক্ত লিফটে রোগীর জন্য ২৪ ইঞ্চি*৮৪ ইঞ্চির স্ট্রেচার ও ঢুকানো যাবে।
এই প্রতীক টি ডিজাইন করেছিলো আমেরিকার National Highway Traffic Safety Administration (NHTSA)। আমেরিকায় এই প্রতীক ব্যবহার করা হয় যে কোনো এম্বুলেন্স সহ, চিকিৎসা সহকারী কিংবা জরুরি চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করমীবৃন্দের প্রমাণ হিসেবে। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে এটি দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা (emergency medical services) বোঝানো হয়।
সিম্বল অফ লাইফ এর ৬ টা বাহু দিয়ে উদ্ধারকর্মীদের ৬ টা কাজ বোঝানো হয়ঃ
Detection বা সনাক্তকরণঃ এটি দিয়ে বোঝানো হয় উদ্ধারকর্মী প্রথমে কোনো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবে, সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবে, বিপদের মাত্রা সনাক্ত করার চেষ্টা করবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
Reporting বা বিবৃতি দেয়াঃ পেশাদার ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রেরণ করা হবে।
Response বা প্রতিক্রিয়াঃ এই ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে যে ব্যক্তির সংস্পর্শে আসবে উক্ত ব্যক্তি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে।
On scene care বা তাথক্ষণিক সেবাঃ জরুরি চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি পৌঁছানোর সাথে সাথে তাদের সাধ্য অনুসারে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে।
care in transit বা পরিবহন সময়কালীন সেবাঃ জরুরি চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে প্রেরণ করবে। কোনো এম্বুলেন্স কিংবা হেলিকপ্টার বা কোনো বিশেষ ব্যবস্থায় আক্রান্ত রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এবং উক্ত পরিবহন সময়ে রোগীকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে।
Transfer to definitive care বা চূড়ান্ত সেবা প্রদান কেন্দ্রে স্থানান্তরঃ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় বিশেষ সেবা প্রদান করা হবে।
Rod Of Asclepius বা এসক্লেপিয়াস এর লাঠি ঃ
এসক্লেপিয়াস এর পরিচিতিঃ
এটি "এসক্লেপিয়াস এর লাঠি" বা Rod Of Asclepius নামে পরিচিত। গ্রীক মিথলজির আরেক দেবতা এসক্লেপিয়াস এর প্রতীক এটি। এসক্লেপিয়াস ছিলেন দেবতা এপোলোর ছেলে। এপোলো ছিলেন দেবতা জিউস এর ছেলে। এসক্লেপিয়াস এর আরেকটা পরিচয় হল, গ্রীক মিথলজি অনুসারে এসক্লেপিয়াস হল পৃথিবীর প্রথম পেট কেটে বের করা বাচ্চা। যা এখন সিজারিয়ান নামে পরিচিত। এসক্লেপিয়াস এর মায়ের নাম ছিল করনিস(Coronis)। এসক্লেপিয়াস পেটে থাকা অবস্থায় করনিস অন্য এক পুরুষের প্রেমে পড়ে। দেবতা এপোলো যখন এটি শুনে, তিনি রাগান্বিত হয়ে পড়েন এবং করনিস কে আগুনে নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। আগুনে যখন করনিস এর শরীর জ্বলে যাচ্ছিল তখন এপোলো এর মাথায় করনিস এর পেটে তাদের সন্তানের কথা আসে। তার তো কোনো দোষ ছিলনা। তাই দ্রুত তিনি হার্মিস এর সাহায্যে করনিস এর পেট কেটে এসক্লেপিয়াস কে বের করে আনেন।
এসক্লেপিয়াস কে রোগ সারানোর দেবতা বলা হয়। তিনি তার পিতা এপোলো এর কাছে থেকে মানুষকে সুস্থ করা শিখেছিলেন। একসময় তিনি বিভিন্ন শল্য চিকিৎসা এবং বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগেও অনেক দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। গ্রীক মিথলজির অনুসারে তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা ও বলা হয়। প্রাচীন গ্রীসের যে শহরে(Epidaurus) তিনি জন্মেছিলেন সেখানে এক পবিত্র জায়গা তার নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
বিশ্বাস করা হয় তিনি মৃতকেও জীবিত করতে পারতেন। গ্রীক মিথলজি অনুসারে জিউস একসময় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তার এই ক্ষমতা নিয়ে। তার মনে হচ্ছিল এসক্লেপিয়াস এই ক্ষমতা দিয়ে মানবজাতিকে অমর করে ফেলবে। তাই তিনি এক বজ্রপাত দিয়ে এসক্লেপিয়াস কে মেরে ফেলেন।
এসক্লেপিয়াস এর লাঠি ঃ
এসক্লেপিয়াস সাথে সবসময় একটি লাঠি থাকত। এবং তাতে পেঁচানো অবস্থায় একটি সাপ থাকত। সেই সময় সাপের কামড় কে সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ মনে করা হত। সাপে কামড় দিলে আর বাঁচার কোনো উপায় নেই। তাই সবাই ভাবত এসক্লেপিয়াস এর লাঠি দিয়ে সাহায্যে সব রোগ সারিয়ে তোলা যাবে।
এসক্লেপিয়াস মারা যাওয়ার পর তার ভক্তরা তাকে মনে রেখে অনেক মন্দির তৈরি করেছিল। এবং সেসব মন্দিরে চিকিৎসা সেবা দেয়া হত। সেসব মন্দিরেও অনেক সাপ থাকত। যদিও সেসব সাপ বিষাক্ত ছিলনা।
কথিত আছে সেসব মন্দিরে যখন বিভিন্ন রোগী রোগমুক্তির আশায় আসতেন রাতে তারা মন্দিরের মেঝেতে ঘুমাতেন। সেই মেঝেতে সেইসব অবিষাক্ত সাপ ও থাকত। রাতে রোগীরা এসক্লেপিয়াস কে স্বপ্নে দেখতেন। তারা দেখতেন এসক্লেপিয়াস তাদের কিভাবে রোগমুক্তি হবে তা বলছেন। ঘুম থেকে উঠে তারা সেটা মন্দিরের দায়িত্বে থাকা লোকজনদের বলতেন। তখন তারা উক্ত রোগীর জন্য স্বপ্ন অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতেন।
এসক্লেপিয়াস এর এই লাঠিই এখন আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশান সহ আরো অনেক মেডিকেল সোসাইটির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে অনেকে এসক্লেপিয়াস এর প্রতীক কে ক্যাডুসিয়াস এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন। এসক্লেপিয়াস এর প্রতীকে ছিল একটি সাপ আর ক্যাডুসিয়াসে ছিল দুটি সাপ।
তথ্যসূত্রঃ- ইন্টারনেট

28/10/2020

এই রোগীটি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থোপেডিস্ক সার্জন ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম স্যার, সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিস্ক বিভাগ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ। রোগীটির পায়ের আঙ্গুলে বিগত পায় এক মাস হল এই ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয়। ইতিপূর্বে রোগীটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় আঙ্গুলটি কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ডাঃ রেজাউল করিম স্যারের সরনাপন্ন হলে স্যার আঙ্গুলটি না কেটে PRP থেরাপির জন্য আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা তাকে প্রথম ডোজ PRP দেই। আল্লাহ মেহেরবানী করলে ভালো কিছুর অপেক্ষায় রইলাম । পরবর্তীতে আপনাদেরকে আপডেট জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

24/10/2020

আলোকিত যারা। পর্ব/১৪ (পেশাজীবি)

আলোকিত যারা এর জন্য তথ্য দিন পেইজের ইনবক্সে।

মোঃ আপেল মাহমুদ
পরিচালক
দেশ গ্রুপ

মোঃ আপেল মাহমুদ৷ ১৯৮৮ সালের ১১ অক্টোবর বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দী থানার ফুলবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মোঃ আতাউর রহমান এবং মাতার নাম মোছাঃ আমেনা বেগম।

তিনি ২০০৪ সালে ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পাশ করেন । তিনি ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষে আইএইচটি ভর্তি পরিক্ষায় রাজশাহী আইএইচটিতে ল্যাব-মেডিসিন বিভাগে ৫ম স্থান অধিকার করেন। ২০০৮ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে আই.এইচ.টি পাশ করেন।

আইএইচটিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। শুধু সামাজিক সংগঠন নয়, সেই সময়ের ছাত্র ও বর্তমানে পেশাজীবি সংগঠন এর হয়ে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন পেশাকে ভালোবেসে।

তিনি ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.এস.এস এ ভর্তি হন এবং ২০১৪ সালে কৃতিত্বের সাথে বি.এস.এস ডিগ্রি অজন করেন।

তিনি ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে (যা বর্তমান ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে) বিএসসি ইন ল্যাব-মেডিসিনে ভর্তি হন এবং কৃতিত্বের সাথে ২০১৯ সালে বিএসসি ইন ল্যাব-মেডিসিন ডিগ্রি অজন করেন ।

২০১৪ সালে তার লেখা একটি কবিতার জন্য প্রথম আলো কতৃক বগুড়া জেলার শ্রেষ্ঠ কবিতাকার নির্বাচিত হন ।

তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ (বিএমটিপি) বগুড়া জেলা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া জেলা ডায়াগনস্টিক কল্যান সমিতির দপ্তর সম্পাদক, সৃষ্টি হিউম্যান রাইট্স সোসাইটির বগুড়া জেলা শাখার গ্রন্থ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক, আলোকবর্তিকা ফুলবাড়ি এর সভাপতিসহ আরো অনেক সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ।

এরপর তিনি কিছুদিন নিউরন কোচিং সেন্টার বগুড়া শাখায় পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ।

২০১০ সালের ১লা জুলাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দেশ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্ম। যা বর্তমানে বগুড়া জেলার সনামধন্য হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম ।

২০২০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দেশ মেডিকেয়ার যেখানে সকল প্রকার মেডিকেল ও স্যর্জিক্যাল সকল সামগ্রী সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হয়। এছাড়াও তিনি ২০২০ সাল থেকে নিউরন পাবলিক স্কুল, বগুড়া এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।

©Diploma Medical Student's Network - DMSN এর বিশেষ আয়োজন "আলোকিত যারা" এর পর্ব ১৪ (শিক্ষার্থী)


11/10/2020

হাঁটু ব্যথা ও পিআরপি থেরাপি

হাঁটু ব্যথা শুধু আমাদের দেশেই না সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ এই সমস্যার ভুক্তভুগী। আমাদের প্রত্যেকের ঘরে আমাদের বৃদ্ধ বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নানী ও অন্যান্য কারো না কারো এই সমস্যা থাকতেই পারে। তাই আজকের লেখাটি এই বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

হাঁটু আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট। আমাদের পুরো শরীরের উপরিভাগের ওজন অভিকর্ষের টানে মাটিতে স্থানান্তরের একমাত্র মাধ্যম এই দুই হাঁটু।এর সাথে যদি মাথায় বা কাঁধে কোন বোঝা নেয়া হয় তাও এর সাথে যুক্ত হয়। এ কারণে হাঁটু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আমাদের শরীরের যে কোনো অংশে ব্যথার জন্য চারটি বিষয় জড়িত। মাংশপেশি, লিগামেন্টস, হাড় ও স্নায়ুতে ইনজুরি বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এখানেও এর ব্যাতিক্রম নয়। শরীরের সব থেকে বড় দুটি হাড় বেশ কিছু মাংসপেশি ও লিগামেন্টস এই শক্তিশালী জয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে।

হাঁটু ব্যথার কারণ কি?
আঘাত: আঘাত হাঁটু ব্যথার অন্যতম একটি কারণ। আঘাতের মাধ্যমে হাঁটু নিয়ন্ত্রণকারী মাংসপেশি, লিগামেন্টস, হাড় ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে সকল কারণে আঘাতজনিত কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে।
১. একসিডেন্ট: মোটরযান বা অন্যান্য যানবাহন একসিডেন্ট আমাদের দেশে হাঁটুসহ অন্যান্য ব্যথার কারণ। কোনো কোনো সময় এটা তাৎক্ষণিক বোঝা না গেলেও পরে ব্যথা অনুভূত হয়।
২. অস্বাভাবিক ভার বহন করা: কুলি ও মজুরেরা যদি অস্বাভাবিক ওজন বহন করে সেক্ষেত্রেও হাঁটুর উপর চাপ পড়ে ভেতরের বা বাইরের লিগামেন্টস ক্ষতিগ্রস্ত।
৩. অনিয়ন্ত্রিত এক্সারসাইজ: যে সব এক্সারসাইজ হাঁটুর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে সব ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত এক্সারসাইজজনিত অতিরিক্ত চাপে ছোট মাংসপেশি বা লিগামেন্টস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যথা হতে পারে।
৪. যারা খেলাধুলা করেন তাদের ক্ষেত্রে হাঁটুর ভেতরে ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট থাকে সেটা ইনজুরি হতে পারে। এতে সঠিক ভাবে দাঁড়ানো যায় না ও সিঁড়িতে ওঠা যায় না। দাঁড়াতে বা সিঁড়িতে ওঠার সময় এই লিগামেন্টসগুলো লক করার কাজ করে।
৫. ছোট খাটো ইনজুরি অবজ্ঞা করার কারণে অনেক সময় তা হাঁটুতে ক্রনিক ব্যথার কারণ হতে পারে। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্টস তাই অবজ্ঞা করা ঠিক না।

হাঁটুর বিভিন্ন রোগ যাতে হাঁটুর ব্যথা হয়:
১. ওস্টিও আরথ্রাইটিস
২. রিউম্যটয়েড আরথ্রাইটিস
৩. বাত
৪. জয়েন্টে ইনফেকশন

অস্টিও আরথ্রাইটিস:
হাঁটু ব্যথার একটি খুব সাধারণ একটি কারণ। মাঝ বয়েসী থেকে শুরু করে অধিক বয়স্ক ব্যক্তিদের মাঝে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে এক নম্বর হলো জেনেটিক বিষয়। সাধারণত এটা জন্মগতভাবেই পেয়ে থাকেন বাবা-মায়ের কাছ থেকে। আর যাঁরা বিভিন্ন মেকানিক্যাল কাজ বেশি করেন, যেমন, ড্রিল মেশিন চালান, কাঠ কাটেন, করাতের কাজ করেন, ভারী জিনিস তোলেন এই ধরনের কারণে জয়েন্টগুলো একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা ছাড়া যাঁরা খেলাধুলা করেন তাঁদেরও অন্যান্য মানুষের থেকে অস্টিও আরথ্রাইটিসের আশঙ্কা বেশি।

এরপর নারীর ৪৫ বছর পর, মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, মেনোপোজ হয়ে যাওয়ার পর, অস্টিও আরথ্রাইটিসের আশঙ্কা থাকে। পুরুষের চেয়ে নারীর অস্টিও আরথ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ধূমপান যাঁরা করেন, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদেরও অস্টিও আরথ্রাইটিস হওয়ার প্রবণতা বেশি। আবার জন্মগত কতগুলো হাঁড়ের রোগ আছে তাদেরও অস্টিও আরথ্রাইটিস হতে পারে। এসব হাড়ের রোগের জন্য ১০ বছর বয়সেই এই রোগ কারো কারো ক্ষেত্রে হতে পারে।

অস্টিও আরথ্রাইটিস রোগে মূলত হাঁটুর মধ্যে যে দুটি হাড় সংযুক্ত থাকে তাদের মধ্যেকার দূরত্ব কমে যায় এবং দুটি হাড়ের মাথায় আরটিকুলার কারটিলেজ নামে এক ধরনের পদার্থ থাকে যা হাড়কে পিচ্ছিল করে ও জয়েন্টের মধ্যে ফ্রি মুভমেন্টে সাহায্য করে সেটি ক্ষয় হয় বা নষ্ট হয়। এতে তাদের মধ্যে ঘর্ষণ হয় এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু সক্রিয় হয়ে ব্যথা করে।

অপরদিকে, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে হাড়ের সংযোগস্থলের আস্তরণের ক্ষতি হয় ও ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ফুলে যায়। যার ফলে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে ও হাড়ের গঠনে বিকৃতি দেখা দেয়। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে এটি ৪০ বছর বয়সের পর বেশি হয়। নারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

এছাড়াও গাউট নামের আরেকটি অবস্থা হয়ে হাঁটু তে ব্যথা হতে পারে। অস্থি সন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হয়ে এই রোগের উৎপত্তি হয়। মূত্রের মাধ্যমে প্রয়োজনের অধিক পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। কোন কারণে যদি আমাদের যকৃৎ অধিক পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে তখন রক্তে এর পরিমাণ বেড়ে যায়।

হাঁটু ব্যথায় ব্যায়াম:
ব্যায়ামের মাধ্যমে জয়েন্টে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং জয়েন্ট নিয়ন্ত্রণকারী মাংস পেশী, লিগামেন্টস, স্নায়ু নিউট্রিশন পায় ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। যে কারণে ব্যথা কমে যায়। নিচে হাঁটুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম দেয়া হলো:

১. স্ট্রেইট লেগ রাইজ্র: ফ্লোরে শুয়ে আপনার এক পা সোজা করে উপরে উঠান এবং পায়ের পাতা উপরের দিকে বাকা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এতে আপনার হ্যমেস্ট্রিংমাসল শক্তিশালী হবে। এভাবে প্রক্রিয়া টি উভয় পায়ে ৫-১০ বার করুন।

২. হ্যমেওস্ট্রিং কারল: চেয়ারের পেছনে দাঁড়ান। চেয়ারে হাত রাখুন। এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আরেক পায়ের হাঁটু পেছনের দিকে ভাঁজ করুন। ধীরে ধীরে পা বাটক বরাবর যতদূর পর্যন্ত আনা যায় অনুন এবং ধরে রাখুন ৫-১০ সেকেন্ড। প্রক্রিয়াটি উভয় পায়ে ৫-১০ বার করুন।

৩. প্রন স্ট্রেইট লেগ রাইজ: ফ্লোরে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার যে কোনো এক পা হাঁটু ভাজ না করে সোজা করে উপরের দিকে উঠান যতটুকু পারেন। পায়ের পাতা নিচের দিকে সোজা রাখুন। এভাবে ধরে রাখুন ৩-৫ সেকেন্ড। প্রক্রিয়াটি উভয় পায়ে ৩-৫ বার করুন।

৪. ওয়াল স্কোয়াট: আপনার শরীরের পেছনের অংশ দিয়ে দেয়াল ঘেঁষে দাড়ান। হাঁটু ভাঁজ করে চেয়ারে বসায় মতো অবস্থানে আসুন ও ধরে রাখুন ৫-১০ সেকেন্ড। এভাবে প্রক্রিয়াটি ৫-১০ বার করুন।

৫. মনে রাখতে হবে ব্যথা অবস্থায় ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যায়াম করার সময় ব্যথা হলে ব্যায়াম বন্ধ করুন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হাঁটু ব্যথায় চিকিৎসা পদ্ধতি ও ইন্টারভেনশন:
হাটু ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ঔষধ হিসাবে NSAID ব্যাবহার করা হয়। দীর্ঘ মেয়াদি এসকল ওষুধ সেবনে কিডনি সমস্যাগ্রস্ত হতে পারে। প্রেশার বেড়ে যেতে পারে। রক্তক্ষরণ জনত সমস্যা ও আলসারের মতো সমস্যাও হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে NSAID এর বিকল্পও থাকে না। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এই সমস্যাগুলোর কারণে এখন হাঁটু ব্যথায় ইন্টারভেনশন চিকিৎসা খুবই কার্যকারী। এতে গুরুতর কোন সাইড ইফেক্ট নেই আবার দীর্ঘ মেয়াদে NSAID এর ব্যবহার কমে যায়। এতে মূলত ব্যথার চক্র ভেঙে দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একবারই যথেষ্ঠ হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে একাধিক প্রয়োজন হতে পারে। ইন্টারভেনশনগুলো প্রায় ব্যথা মুক্তভাবে করা হয়। ইন্টারভেনশনাল থেরাপির মধ্যে পিআরপি (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা) থেরাপি একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি।

হাঁটুব্যথার অত্যাধুনিক চিকিৎসা পিআরপি:
পিআরপি বা প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা ইন্টারভেনশন চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে একটি অত্যাধুনিক ও কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। বিভিন্ন চিকিৎসায় এখন এটি ব্যবহার হচ্ছে। ব্যথার চিকিৎসায় বিশেষ করে হাঁটুব্যথায় এটি খুবই কার্যকারী একটি পদ্ধতি। পিআরপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে রুগীর শরীর থেকে ২০ সিসি রক্ত নেয়া হয়। সেটি নির্দিষ্ট কনটেইনারে রেখে সেন্ট্রিফিউজ মেশিনে দিয়ে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করা হয়। যেটিতে প্রচুর পরিমাণে প্লাটিলেট ও অন্যান্য ফ্যাক্টর থাকে। পরে এই প্লাজমা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দেয়া হয়।

কিছু ক্ষেত্রে আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের সাহায্যে আক্রান্ত স্থান দেখে এই পি আর পি দেয়া হয়। ব্যথার স্থানে এটি দেয়া হলে লোকাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিলিজ করে যা মাংস পেশী টেন্ডন বা লিগামেন্টস এর ক্ষত পূরনে সাহায্য করে ও ব্যথা কমিয়ে দেয়। এটি মূলত ব্যথার মূল কারণের চিকিৎসা করে তাই এটা খুবই কার্যকারী চিকিৎসা পদ্ধতি। পাশাপাশি ব্যথার ঔষধ শুধু ব্যথা কমিয়ে রাখে কিন্তু মূল কারণ থেকেই যায় এবং আরো গভীর হয়। হাঁটুব্যথার যে কোনো ধরনের ইনজুরির জন্য পিআরপি অত্যন্ত কার্যকরী।

অস্টিও আরথ্রাইটিস চিকিৎসায় পিআরপি:
অনেকের ধারণা অস্টিও আরথ্রাইটিসের চিকিৎসা নেই। একবার হলে আর রক্ষা নেই। এটি ভুল ধারণা। বিভিন্ন গবেষণা দ্বারা এটি প্রমাণিত যে পিআরপি চিকিৎসা অস্টিও আরথ্রাইটিস এ খুবই কার্যকারী। অস্টিও আরথ্রাইটিস এ হাড়ের সংযোগস্থলে আরটিকুলার কারটিলেজ এ যে ক্ষয় হয় পিআরপি দেয়ার ফলে তা সেই ক্ষতস্থানে লোকাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিলিজের মাধ্যমে ক্ষতপূরণে ভূমিকা রাখে। অস্টিও আরথ্রাইটিসের প্রথম ও দ্বিতীয় স্টেজে এটি খুবই কার্যকরী। তৃতীয় বা শেষ স্টেজে এটি ব্যথা কমিয়ে দেয় ও হাঁটু প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অপারেশনকে অনেক ক্ষেত্রে রহিত করে।

হাঁটুব্যথায় বিভিন্ন সময় স্টেরয়েড ইনজেকশন, ওজন ইনজেকশন ও পিচ্ছিলকারক পদার্থ হায়ালিউরনিক অ্যাসিড ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এগুলোর মূল সমস্যা বার বার দেয়া লাগে ও দীরঘমেয়াদী ইঞ্জেকশনে কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। গবেষণায় দেখা গেছে পিআরপি এই সব পদ্ধতি থেকে অধিক কার্যকরী পদ্ধতি। পিআরপির পাশাপাশি স্টেম সেল ইনজেকশন আরো একটি কার্যকরী পদ্ধতি।

শেষ কথা:
হাঁটু আমাদের শরীরের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যথায় আক্রান্ত হলে আমরা শারীরিকভাবে মানসিকভাবে ও অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হই। তাই এই হাঁটু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হোন। ব্যথায় আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সঠিক পদ্ধতির চিকিৎসা গ্রহণ করুন। চিকিৎসা শুরুর আগে সঠিক রোগ নির্ণয় জরুরি। সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক এর হাঁটু দেখে পরীক্ষা করা ও কিছু ল্যাব পরীক্ষার( এক্সরে ও অন্যান্য কিছু রক্তের পরীক্ষা) দরকার হয়। এই সব বিষয়ে দেরি করা ঠিক নয়। অসুস্থ হওয়ার আগেই সুস্থতাকে প্রাধান্য দিন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
লেখক ডা: মো: আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ

Address

Puran Bogra
5800

Telephone

+8801718788598

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Desh Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Desh Hospital:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category