Dr.Bk Saha, Registered Medical Practitioner

20/10/2025

🌿 **আপনার কিডনি ঠিক আছে তো?**
জানেন কি❓
**রক্তে ক্রিয়েটিনিন** হলো কিডনির স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ সূচক 🩸

🧠 **ক্রিয়েটিনিন কী?**
এটি শরীরে পেশির কাজের ফলে তৈরি এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ, যা কিডনি দিয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।

🚨 **ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে সতর্ক সংকেত:**
⚠️ মুখ বা পা ফোলা
⚠️ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
⚠️ দুর্বলতা, বমি বমি ভাব
⚠️ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া

👩‍⚕️ **কারা নিয়মিত ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করবেন:**
✅ ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ রোগী
✅ কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে
✅ দীর্ঘদিন ওষুধ গ্রহণকারী
✅ বয়স্ক ব্যক্তি

💡 **কিডনি ভালো রাখুন এভাবে:**
💧 পর্যাপ্ত পানি পান করুন (চিকিৎসকের পরামর্শে)
❌ অপ্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ বা হার্বাল ওষুধ খাবেন না
💪 রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
🩺 বছরে অন্তত একবার কিডনি পরীক্ষা করুন

💬 **মনে রাখবেন:**
সময়ে পরীক্ষা মানেই— কিডনি সুস্থ, জীবন নিরাপদ! ❤️

---

📍 **ডা. বিলাস কুমার সাহা**
কিডনি, ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট চিকিৎসক
এক্স-সহকারী রেজিস্ট্রার (কিডনি বিভাগ)
জাতীয় কিডনি রোগ ইনস্টিটিউট ও ইউরোলজি, ঢাকা

18/10/2025

# # 🩺 সুস্থ কিডনি রাখার ৪টি সহজ উপায়

1️⃣ **পর্যাপ্ত পানি পান করুন**

প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে কিডনিকে সুস্থ রাখে।

2️⃣ **রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন**

নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা পরীক্ষা করুন। এগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

3️⃣ **অতিরিক্ত লবণ ও ব্যথানাশক ওষুধ থেকে বিরত থাকুন**

খাবারে অতিরিক্ত লবণ কমান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করবেন না।

4️⃣ **স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন**

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন,
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন এবং
ওজন স্বাভাবিক রাখুন।

🩵 **আপনার কিডনি আপনার জীবন—সতর্ক থাকুন, যত্ন নিন।**

# # # 👨‍⚕️

**ডা. বিলাস কুমার সাহা**
কিডনি, ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট চিকিৎসক
এক্স-সহকারি রেজিস্ট্রার (কিডনি বিভাগ)
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি, শের-ই-বাংলানগর, ঢাকা।

02/10/2025

শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা সবাইকে।

17/09/2025

ওমেপ্রাজল (Omeprazole) একটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, যা মূলত গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও এসিডিটির চিকিৎসায় খাওয়ানো হয়। স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবহার সাধারণত নিরাপদ হলেও, দীর্ঘদিন নিয়মিত খেলে কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

# # # দীর্ঘমেয়াদে ওমেপ্রাজল ব্যবহারে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি

1. **একিউট ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটিস (Acute Interstitial Nephritis)**
– এটি কিডনির এক ধরনের প্রদাহ। দীর্ঘ সময় ওমেপ্রাজল খেলে হঠাৎ কিডনিতে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, শরীর ফুলে যাওয়া, এমনকি জ্বর বা শরীরে অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

2. **ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (Chronic Kidney Disease - CKD)**
– দীর্ঘদিন ধরে খেলে ধীরে ধীরে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় শুরুতে কোনো উপসর্গ থাকে না, কিন্তু পরবর্তীতে ক্লান্তি, শরীর ফুলে যাওয়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।

3. **কিডনি ফাংশন কমে যাওয়া**
– ওমেপ্রাজল দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে কিডনির কাজের ক্ষমতা কমতে পারে। এতে শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমে যায় এবং অন্যান্য জটিলতা তৈরি হয়।

# # # কী করণীয়

* ডাক্তার ছাড়া দীর্ঘদিন ওমেপ্রাজল খাওয়া উচিত নয়।
* যদি বারবার এসিডিটি হয়, তবে জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি (যেমন: মশলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, সময়মতো খাবার খাওয়া ইত্যাদি)।
* যারা দীর্ঘ সময় ওষুধটি খাচ্ছেন, তাদের নিয়মিত রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির অবস্থা পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

👉 সহজভাবে বললে, ওমেপ্রাজল হঠাৎ ক্ষতি না করলেও বছরের পর বছর খেলে কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করবেন না।

08/09/2025

ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জানতে হবে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি সম্পর্কে---

# # # ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি কী?

ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি হলো ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে কিডনি ধীরে ধীরে রক্ত ফিল্টার করার ক্ষমতা হারাতে থাকে।

---

# # # কেন হয়?

* রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘসময় বেশি থাকা
* অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ
* ধূমপান
* স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন
* দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকা

---

# # # প্রাথমিক লক্ষণ

শুরুতে সাধারণত কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। নিয়মিত পরীক্ষা না করলে ধরা পড়ে না। তবে সময়ের সাথে –

* প্রস্রাবে ফেনা দেখা যেতে পারে (প্রোটিন লিক হওয়া)
* হাত-পা ফুলে যাওয়া
* শরীরে ক্লান্তি
* প্রস্রাবের পরিমাণ পরিবর্তন হওয়া

---

# # # কিভাবে ধরা পড়ে?

* প্রস্রাব পরীক্ষায় অল্প অল্প প্রোটিন ধরা পড়ে (মাইক্রোঅ্যালবুমিনুরিয়া)
* রক্ত পরীক্ষায় কিডনির কার্যকারিতা (ক্রিয়েটিনিন, eGFR) দেখা হয়
* ডাক্তার নিয়মিত ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন

---

# # # প্রতিরোধ কিভাবে করা যায়?

* রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা
* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা
* ধূমপান বন্ধ করা
* ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা
* নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করা (প্রস্রাবে প্রোটিন, রক্তে ক্রিয়েটিনিন)

---

# # # চিকিৎসা

* রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
* কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিশেষ কিছু ওষুধ কিডনিকে সুরক্ষা দেয়
* কিডনি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হতে পারে

---

👉 সংক্ষেপে: ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি হলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। তবে নিয়মিত চিকিৎসক পরামর্শ, রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে এটি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

07/09/2025

# # ইন্ট্রাডায়ালাইটিক হাইপারটেনশন (Intradialytic Hypertension)

**কি এটা?**
কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস চলাকালীন বা শেষে অনেক সময় রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যায়। একে ইন্ট্রাডায়ালাইটিক হাইপারটেনশন বলে।

**কারণসমূহ**

* শরীরে অতিরিক্ত লবণ ও পানি থাকা
* ডায়ালাইসিসের সময় অতিরিক্ত পানি বের না হওয়া
* ডায়ালাইসিসের তরলে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকা
* ডায়ালাইসিস চলাকালীন কিছু হরমোন নিঃসরণের কারণে রক্তচাপ বাড়া
* সঠিকভাবে রক্তচাপের ওষুধ না খাওয়া

**লক্ষণ**

* মাথাব্যথা
* মাথা ঘোরা বা ঝাপসা দেখা
* বুক ধড়ফড় করা
* শ্বাসকষ্ট
* অতিরিক্ত ঘাম

**সমস্যা হলে ঝুঁকি**

* স্ট্রোক
* হার্ট অ্যাটাক
* ডায়ালাইসিস সঠিকভাবে সম্পন্ন না হওয়া

**কি করবেন?**

* নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে
* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রক্তচাপের ওষুধ বন্ধ করবেন না
* লবণ কম খাবেন
* নির্ধারিত তরল (পানি, স্যুপ, ঝোল) সীমার বাইরে খাবেন না
* প্রতিবার ডায়ালাইসিসের আগে ও পরে রক্তচাপ নোট করুন এবং ডাক্তারকে জানান

---

👉 **মনে রাখবেন:** ডায়ালাইসিস রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। কোনো অস্বাভাবিকতা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে জানান।

07/09/2025

12/06/2025

🩺 **বিশ্ব ফ্যাটি লিভার দিবস ২০২৫**
**তারিখ:** ১২ জুন

🌿 **সুস্থ লিভার, সুস্থ জীবন**

ফ্যাটি লিভার এখন একটি নীরব মহামারি। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, কম শারীরিক পরিশ্রম এবং অতিরিক্ত ওজন এই রোগের মূল কারণ। অনেক ক্ষেত্রেই কোনো উপসর্গ না থাকায় রোগটি নিরবেই অগ্রসর হয় এবং সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে।

🔔 আসুন আজকের এই দিনে আমরা শপথ করি:

✅ সুষম ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করব
✅ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটবো বা ব্যায়াম করবো
✅ মদ্যপান পরিহার করবো
✅ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবো

🧠 মনে রাখুন:
**"আগে জানতে পারলে, প্রতিরোধ সম্ভব!"**

আপনার লিভার ভালো থাকলে, আপনি ভালো থাকবেন।

📢 ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে আরও জানতে আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

07/06/2025

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়।উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে নিচের নির্দেশিকা সকলের মেনে চলা উচিত।

07/06/2025

সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।