Nutritionist Gourpada Biswas, PhD Fellow

Nutritionist Gourpada Biswas, PhD Fellow Nutrition is a critical part of health and development. Better nutrition is related to improved infan

স্বাদে গুণে ভরা চুইঝালদেশের দক্ষিণ পশ্চিমের খুলনা অঞ্চলের মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে চুইঝালের কদর দেশজুড়ে। এসব অঞ্চলে এখন বাণ...
28/04/2023

স্বাদে গুণে ভরা চুইঝাল
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের খুলনা অঞ্চলের মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে চুইঝালের কদর দেশজুড়ে। এসব অঞ্চলে এখন বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা হচ্ছে চুইঝালের। জিভে জল আনা চুই ঝালের মাংস খেয়েছেন অনেকে। তবে আমরা অনেকেই এই মজাদার মসলাটি সম্পর্কে তেমন জানি না।

চুইঝাল গাছ দেখতে পানের লতার মতো। পাতা কিছুটা লম্বা ও পুরু। পাতায় ঝাল নেই। এই কাণ্ড বা লতা কেটে টুকরো টুকরো করে মাছ-মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রান্নার পর সেসব টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। খুব ঝাল হলেও এর একটা অন্য রকম স্বাদ ও ঘ্রাণ আছে।

চুইঝাল দেশি ইউনিক মসলা জাতীয় গাছ যা বড় কোনো গাছের সাথে পেঁচিয়ে পরগাছার মতো বেড়ে ওঠে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তুমুল জনপ্রিয় এই চুইঝালের বৈজ্ঞানিক নাম (Piper chaba) পেপার চাবা।

পান ও চুইঝাল একই পরিবারের দুই সহোদর। উঁচু জায়গায় চুইঝাল গাছ ভালো হয়, গোড়ায় পানি জমলে গাছ পচে যায়। যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় এর চাষ বেশি দেখা যায়। গাছে ফুল-ফল হয়। বীজ থেকে চারাও হয়। তবে শিকড়সহ গিঁট কেটে লাগালে সহজে চারা হয়।

চুইঝাল খেতে ঝাল হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ। চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল- ফল সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। এছাড়াও মসলা হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। তবে ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাংস রান্না করতে।

চুইঝালের উপকারিতা

ক্যান্সার,হৃদরোগ,গায়ে ব্যথা,ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্ট্রিক,এ্যাজমা, অনিন্দ্রাসহ অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক হিসেবে দেশের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে খুবই পরিচিত এই চুইঝাল।

সংরক্ষণের নিয়ম

চুইঝাল ছাল বাকলসহ পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রীজে রেখে দীর্ঘদিন পর্যন্ত করা উণসংরক্ষণ যায়। তাছাড়া ফ্রীজে ছাড়াও চটের বস্তায় মুড়ে মাঝে মাঝে জলের ছিটা দিয়ে বা কেটে ওয়াটার প্রুফ বক্সে ভরে ডিপ ফ্রীজে রেখে সংরক্ষণ করা যায় ।

চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম

বেশিরভাগই মাংসের সাথে রান্না করে খাওয়া হয়, মাংস ছাড়াও বড় মাছ খিচুড়ি,ডাল মোট কথা ভারি পাকের প্রায় সব ধরনের তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। খাওয়ার সময় ডাটার মতো চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। দেশি চুইঝালের আঠালো স্বাদের ঝাঝালো স্বাদে বিমহিত হবে যে কেউ।

খাদ্য ও পুষ্টিখাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের পুষ্টিসাধন হয়। তবে আমরা যা কিছু খাই তার সবই খাদ্য নয়। যেসব দ্রব্য আহারের ...
29/11/2022

খাদ্য ও পুষ্টি
খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের পুষ্টিসাধন হয়। তবে আমরা যা কিছু খাই তার সবই খাদ্য নয়। যেসব দ্রব্য আহারের পর দেহের গঠন, বৃদ্ধি, ক্ষয়পুরণ, রক্ষণাবেক্ষণ, তাপ ও শক্তি উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করে দেহকে সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম ও রোগমুক্ত রাখে তাকেই খাদ্য বলে।

খাদ্যের উপাদান
সারা জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাদা খেয়ে থাকি। বর্ণ, গন্ধ, ঘনত্ব, আকার, আকৃতি, গঠন প্রকৃতি ইত্যাদি দিক থেকে এগুলো একেক রকম। তাই যাবতীয় খাদ্যকে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদেরকে খাদ্যের একেকটি উপাদান বলা হয়। খাদ্যের উপাদান ৬টি এগুলো হলো -
১. আমিষ বা প্রোটিন :

আমিষজাতীয় খাদ্য প্রধানত দেহ গঠন, বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণের কাজ করে। প্রোটিন হতে দেহের প্রয়োজনে শক্তি উৎপন্ন হয়। রোগ প্রতিরোধ ও অভ্যন্তরীণ ক্রিয়ায় প্রোটিন বিশেষ ভূমিকা রাখে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পনির, ছানা, ডাল, শিমের বিচি, বাদাম, মটরশুঁটি ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।

২. শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট :

শর্করা বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য হতে প্রধানত তাপ ও শক্তি উৎপন্ন হয়। ভাত, রুটি, ভুট্টা, গম, যব, চিড়া, মুড়ি, চিনি, মধু, মিষ্টি ফল, ফলের রস, গুড়, আলু ইত্যাদি শর্করার ভালো উৎস।

৩. স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট :

দেহ পদার্থ বা ফ্যাটের প্রধান কাজ দেহের জন্য তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করা। ফ্যাটজাতীয় খাদ্য হতেই সর্বাধিক পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। মাছ ও মাংসের তেল ও চর্বি, ঘি, মাখন, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, নারিকেল তেল, অন্যান্য তেল, বাদাম, ডিমের কুসুম ইত্যাদি স্নেহজাতীয় খাদ্যের প্রধান উৎস।

৪. ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ :

ভিটামিন ৬ প্রকার। যথা: ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই এবং কে। রোগ প্রতিরোধ করে দেহকে সুস্থ রাখাই ভিটামিনের প্রধান কাজ। সব ধরনের শাক-সবজি, ফল, ঢেকি ছাঁটা চাল, তেল বীজ অঙ্কুরিত বীজ ইত্যাদি ভিটামিনের উৎস।

৫. খনিজ লবণ বা মিনারেল :

দেহের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-বিক্রিয়া, হাড় ও দাঁতের গঠন, রক্ত তৈরি, মস্তিষ্কের বিকাশ, দেহের পানি সমতা রক্ষা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনে বিভিন্ন খনিজ পদার্থসমূহ অপরিহার্য। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য খনিজ লবণ হলো- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ বা আচরণ, আয়োডিন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।

দুধ, ছোট মাছ, মাংস, ডিমের কুসুম, ডাল, শাক-সবজি, বিভিন্ন ফল, ডাবের পানি, লবণ ইত্যাদি বিভিন্ন খনিজ লবণের উৎস।

৬. জল :

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দেহের প্রায় ৭০% জল থাকে। দেহ অভ্যন্তরের সব ক্রিয়া-বিক্রিয়া সংঘটন, রক্ত সঞ্চালন, পুষ্টি উপাদানসমূহ দেহের এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলাচলে জল অপরিহার্য। দেহের সামগ্রিক সজীবতা রক্ষায় জল প্রয়োজন।

খাদ্যের সাধারণ কাজ
১. দেহের গঠন, বৃদ্ধি, ক্ষয়পুরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।

২. দেহের জন্য প্রয়োজনীয় তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করা।

৩. রোগ প্রতিরোধ করে দেহকে সুস্থ রাখা।

৪. দেহের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ সচল রাখা।

পুষ্টি
যে ধারাবাহিক ও উপচিতি বিপাক পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ, পরিপাক, শোষণ, আত্তীকরণ ও বহিষ্করণের মাধ্যমে (প্রাণীদের ক্ষেত্রে) অথবা সংশ্লেষ ও আত্তীকরণের মাধ্যমে (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে) জীব তার প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করে, দেহের ক্ষ্য়পূরণ, বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায়, জীবের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে ওঠে এবং জীবনের মৌলিক ধর্মগুলি সুষ্ঠভাবে পালিত হয়, তাকে পুষ্টি বা নিউট্রিশন বলে।

পুষ্টির গুরুত্ব ও তাৎপর্য
(i) জীব দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন বিপাকীয় কাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্তি সংগ্রহ করা হল পুষ্টির প্রধান কাজ।

(ii) পুষ্টির ফলে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধি এবং পরিস্ফুটন ঘটে। (iii) পুষ্টির মাধ্যমে খাদ্য স্থৈতিক শক্তি ব্যবহারোপযোগী শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে জীবদের চলন- গমন, রেচন, জনন ইত্যাদি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলি সম্পন্ন হওয়া জীবনের মৌলিক ধর্মগুলি সুষ্ঠভাবে পালিত হয়।

(iv) পুষ্টির মাধ্যমে জীবদেহে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে ওঠে।

(v) পুষ্টির মাধ্যমে জীবদেহে ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চিত থাকে, যা থেকে খাদ্যের অভাব ঘটলে ওই খাদ্য জীবদেহে শক্তি উৎপাদন করে।

(vi) প্রাণীদেহে তাপ উৎপাদন এবং সংরক্ষণেও পুষ্টির বিশেষ ভূমিকা আছে।

Address

Bogura
Puran Bogra
5800

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Gourpada Biswas, PhD Fellow posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nutritionist Gourpada Biswas, PhD Fellow:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category