20/01/2024
স্বামী স্ত্রী বশীকরন:
(একটি ফানি পোস্ট)
হুম! কথায় বলে ভালোমতো যত্ন নিলে বনের হিংস্র বাঘও নাকি পোষ মানে। তাহলে মনুষ্যকুলে জন্ম নেওয়া স্বামী বা স্ত্রী নামক প্রানীকে বশীভুত করতে কেন বছরের পর বছর লেগে যায়? প্রশ্ন ঘুরেফিরে সবার মনে.....
একটি সাইনবোর্ডে দেখেছিলাম "এখানে অবাধ্য স্বামী ও স্ত্রীকে বাধ্য করা হয়"
বশীকরন নিয়ে ঝাড়ফুক, কবিরাজিও কম হয় না। বশে আনতে গোপনে পানি পড়ে স্বামী ও স্ত্রীকে খাওয়ানো, তাবিজ কবজ পড়ে হাতে বেধে দেওয়া, গুটি পড়া, বাটি চালান কত কিছু যে হয় তার ইয়ত্তা নেই। তারপরও বশ আর হয় না..
স্বামী স্ত্রীর ঝগড়াতে- স্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমি বলে তোমার ভাত খেয়ে গেলাম, তোমার ঘর করে গেলাম... স্বামীও কম যায় না। সুন্দরবনের বাঘের মতো গর্জন করে বলে, থামস শা.... আমি না হলে তোর মত ডাইনীকে নিয়ে কে ঘর করত দেখতাম... ব্যস লেগে গেল মল্লযুদ্ধ..
বাঙালি রেগে গেলে ঝগড়ার সময় যেসব খেস্তি খেউড় বলে সেটা আর না বলি। মনে হয় মুখ তেজপাতা দিয়ে ভেঁজে এনেছে.. প্রণাম গুরু প্রণাম..
এরপর একসময় মাথা ঠান্ডা হয়। ক্লান্ত স্ত্রী-
হায়রে পতিধন কবে তোর মন পাব! জীবন যৌবন মাটি করে দিয়েও তোর মন পেলাম না..
এদিকে স্বামী-
হায়রে!! আমার বুকের পাজরের হাড়, নিজেকে শেষ করে দিয়েও কেন তোমার হতে পারলাম না! আফসোস..
এর চূড়ান্ত রুপ আমরা বিবাহবার্ষিকীর পোস্টেও দেখতে পাই, যেমন-
একসাথে উনিশ বছর পার করলাম বাবা.. দোয়া কর যেন বাকী জীবনটাও একসাথে কাটাতে পারি....
বাবুরে.. যেন হাঁপিয়ে উঠেছে। বাকী জীবন নিয়ে দোঁটানায় আছে। আচ্ছা বিয়ের সময় কি দশ বা বিশ বছরের চুক্তিতে বিয়ে হয়েছিল?? তাহলে কিসের এত হাঁপাহাঁপি? কিসের এত বছর গণনা?
.আচ্ছা এমন পোস্ট দেওয়া যায় না, সুখময় বিশ বছরের সমাপ্তিতে সকলের আশীর্বাদ চাই....
আবার অবিবাহিতদের উদ্দেশ্য করে বিবাহিতদের বলতে শোনা যায়-- বিয়ে তো করনি, করলে বুঝতে ঠেলা কাকে বলে...
মানে, ওরা ঠেলা সামলাতে সামলাতে যেন কাঞ্চনজঙ্ঘাতে এসে আটকে গেছে। দিল্লিকা লাড্ডুর মতো অবস্থা। বিয়ের আগেও আফসুস পরেও আফসুস....
যাহোক, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হোক। সেজন্য পরস্পর পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করুন, যত্ন নিন, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন ও একে অন্যের মতামতকে সন্মান করুন। আর ছাড় দেওয়ার মানসিকতা গ্রহন করুন। একে অপরের প্রতিদ্বন্ধী হওয়ার পরিবর্তে সহযোগী হউন।
বশীকরন করার কোনই দরকার নেই.....