আল-রাজী ওয়েলনেস এন্ড কাপিং-হিজামা সেন্টার

  • Home
  • Bangladesh
  • Satkhira
  • আল-রাজী ওয়েলনেস এন্ড কাপিং-হিজামা সেন্টার

আল-রাজী ওয়েলনেস এন্ড কাপিং-হিজামা সেন্টার Consultation, Hijama Therapy, Cupping Therapy, Counselling, Psychotherapy, PRP Therapy

23/10/2025

মস্তিষ্ক থেকে কৃমি অপসারণ: একটি বিরল অস্ত্রোপচার

​একজন নিউরোসর্জন অসাধারণ পদ্ধতি অবলম্বন করে একজন মহিলার মস্তিষ্ক থেকে ৮ সেন্টিমিটার লম্বা একটি জীবন্ত কৃমি বের করে এনেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়াতে ২০২৩ সালে।

​বিজ্ঞানীরা একটি অভূতপূর্ব ঘটনা প্রকাশ করেছেন যেখানে তারা সফলভাবে একজন ৬৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান মহিলার মস্তিষ্ক থেকে একটি জীবন্ত পরজীবী কৃমি আবিষ্কার করে তা অপসারণ করেছেন।
​একটি বায়োপসির সময়, নিউরোসার্জন ফোরসেপস ব্যবহার করে এমআরআই স্ক্যানে দৃশ্যমান একটি ক্ষতস্থান (হালকা ধূসর অংশ) থেকে পরজীবীটিকে চিহ্নিত করে তা বের করে আনেন।

​নিউরোসর্জন ব্যাখ্যা করেছেন, "আমি টিউমার-ধারণকারী ফোরসেপস ব্যবহার করি এবং অপ্রত্যাশিতভাবে একটি সরল, কিলবিল করা রেখা বের করে আনি। আমার জুনিয়র ডাক্তার প্রথমে এটিকে একটি ধমনী বলে ভুল করেছিলেন, কিন্তু আমি স্পষ্ট করে দিই যে আমরা কোনো ধমনী থেকে অনেক দূরে আছি। আমি নড়াচড়া লক্ষ্য করি এবং দ্রুত এটি আমার ফোরসেপস থেকে সরিয়ে নিতে বলি। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এটিকে একটি প্যাথলজি পাত্রে রাখি এবং এটি ছিল একটি জোরালোভাবে কিলবিল করা কৃমি।"

​মহিলাটি সপ্তাহ ধরে পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া-তে ভুগেছিলেন, যা অবশেষে রাতে ঘাম এবং শুষ্ক কাশি-তে পরিণত হয়। তবে, এই লক্ষণগুলি আরও গুরুতর সমস্যা, যেমন ভুলে যাওয়া এবং বিষণ্ণতা-তে বিকশিত হয়, যা সম্ভবত কৃমির কার্যকলাপের কারণে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলকে প্রভাবিত করেছিল।
​প্রায় ৮ সেন্টিমিটার (৩ ইঞ্চির বেশি) লম্বা এই কৃমিটি একটি বিরল পরজীবী যা অফিডাসকারিস রবার্টসি (Ophidascaris Robertsi) নামে পরিচিত। এটি গোলকৃমি (Roundworm) বা হেলমিন্থ (Helminth) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, এই গোলকৃমি কার্পেট পাইথন (Carpet Pythons)-এর মধ্যে থাকে। কৃমির ডিমগুলি সাপের মলের মধ্যে পাওয়া যায়, যা ঘাসকে দূষিত করে। ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলি সেই দূষিত ঘাস খায় এবং এই স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলি পরবর্তীতে কার্পেট পাইথনদের শিকার হয়, যা এর দুটি পোষকের মধ্যে কৃমির জীবনচক্র সম্পূর্ণ করে।

​এই ক্ষেত্রে, মহিলাটি একজন "আকস্মিক পোষক (accidental host)" হয়েছিলেন। তিনি কার্পেট পাইথনের আবাসস্থলের কাছাকাছি থাকতেন এবং রান্নার জন্য স্থানীয় গাছপালা খুঁজতে গিয়ে অসাবধানতাবশত কৃমির ডিম খেয়ে ফেলেন।
​কৃমিটি তার অন্ত্রের মধ্যে বিকশিত হয় এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে তার মস্তিষ্কে চলে যায়।

​কৃমির উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায়, শরীর একটি প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া (inflammatory response) শুরু করে, যার ফলে মস্তিষ্কে প্রদাহজনক টিস্যু বা গ্রানুলোমা (granuloma) গঠিত হয়। আক্রান্ত স্থানের উপর নির্ভর করে, এই প্রদাহের কারণে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে চাপ-সম্পর্কিত সমস্যা যেমন মাথাব্যথা, বমি, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, বিভ্রান্তি, পরিবর্তিত সংবেদনশীল উপলব্ধি, এবং জ্ঞানীয় দুর্বলতা (cognitive impairments) যেমন ভুলে যাওয়া, বুঝতে অসুবিধা, গণনা করতে অসুবিধা, দিশেহারা ভাব, খিঁচুনি এবং এপিলেপসি (epilepsy)—এ সবই প্রদাহজনক টিস্যু দ্বারা মস্তিষ্কের উত্তেজনার কারণে ঘটে।

ডাঃ মোঃ সাইফুল আলম
আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre

20/10/2025

Alhamdulillah, Abdominal acupuncture at আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre, Satkhira.










নাম তার চন্দনা। সে জানেনা তার কী অসুখ।   কেউ বলেনি কোনদিন! যতদিন যতবার সে জ্বরের জন্য নাপা বড়ি খেয়েছে  - ততদিন ততবার তা...
16/10/2025

নাম তার চন্দনা। সে জানেনা তার কী অসুখ। কেউ বলেনি কোনদিন!

যতদিন যতবার সে জ্বরের জন্য নাপা বড়ি খেয়েছে - ততদিন ততবার তার ঠোঁটের এই দশা হয়েছে! নাপার জেনেরিক নাম প্যারাসিটামল।

আসলে চন্দনার প্যারাসিটামলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হত যার নাম Fixed drug reaction বা এফ ডি আর।

চন্দনার প্যারাসিটামল খেলে চন্দনার দূ'ঠোঁট কালো হয়ে যায়।অনেকদিন থাকে। কোন ঔষধ ছাড়াই আবার মিলিয়ে যায়।

চন্দনা আজ তার নিজের রোগ সন্মন্ধে জানলো। সে আর কোনদিন প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাবে না।

সুতরাং নিজের ইচ্ছামত ঔষধ না খেয়ে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।

[সংগৃহীত ও পরিমার্জিত ]

12/10/2025

আজ ১২ অক্টোবর বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—অ্যাচিভ ইওর ড্রিমস (তোমার স্বপ্ন অর্জন করো)। একজন আর্থ্রাইটিস রোগী চেষ্টা করলে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন, লক্ষ্য জয় করতে পারবেন। "শারীরিক কোনো বাধা তাঁর প্রতিবন্ধকতা হতে পারবে না", এটিই এই বছরের বার্তা।

আর্থ্রাইটিস অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ। জীবনযাত্রার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। সমাজের আর্থসামাজিক বোঝা হিসেবে এই রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আর্থ্রাইটিসের আক্ষরিক অর্থ হলো এটি এমন একটি রোগ, যেখানে শরীরের সব জয়েন্টে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি হয়। তবে এ রোগ সম্পর্কে অসচেতনতা ও অজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে মানুষ নানারকম ধারণার বশবর্তী হয়ে পড়ে। আর সেই ধারণাগুলো কাটিয়ে সচেতনতা বিস্তার করতেই বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস।

১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ্রাইটিস ডে’ দিবসটি ‘আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল’-এর তত্ত্বাবধানে পালিত হয়ে আসছে। জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথার মূল কারণ এর প্রদাহ। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিশ্বব্যাপী আর্থ্রাইটিস আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়।

রিউমাটয়েট আর্থ্রাইটিস, স্পনডাইলো আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিসসহ ১২০টি বড় ধরনের রোগসহ প্রায় ৭০০ রোগের সমন্বয় হলো আর্থ্রাইটিস।

বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস বা বাতব্যথায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ২৪ শতাংশের কর্মক্ষমতা কম।

আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা থাকে এবং এ ব্যথা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। হাত-পায়ের ছোট ছোট জোড়া বেশি আক্রান্ত হয়। প্রায়ই সমানভাবে দুই পাশের অর্থাৎ ডান ও বাঁদিকের জোড়াগুলোতে হয়। অনেক সময় ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে। এ রোগের ব্যথা কাজ করলে কমে, বিশ্রাম নিলে বেড়ে যায়।

কনভেনশনাল বা ওয়েস্টার্ন মেডিসিনের পাশাপাশি
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নিরাময়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত ইউনানী বা আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও রেজিমেন্টাল থেরাপি সমূহ যেমন পঞ্চকর্ম, অগ্নিকর্ম, আকুপাংচার, রক্তমোক্ষণ বা হিজামা ইত্যাদি বেশ কার্যকরী। আয়ুর্বেদিক বা ইউনানী মেডিসিন, ডায়েট, সংযত জীবনাচরণ ও বিভিন্ন ধরনের থেরাপির মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থাইটিস সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় সম্ভব। তবে, দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও গবেষণা।

ডাঃ মোঃ সাইফুল আলম
কনসালটেন্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট
আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার, সাতক্ষীরা
আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre





🏖️স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাফির (USG) ভূমিকা🏖️🇧🇩বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের হার দ্রুত বাড়ছে, আর প্রাথমিক পর্য...
10/10/2025

🏖️স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাফির (USG) ভূমিকা🏖️

🇧🇩বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের হার দ্রুত বাড়ছে, আর প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিকভাবে শনাক্ত করা গেলে সম্পূর্ণ নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এজন্য শুধুমাত্র “ম্যামোগ্রাফি” নয়, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি (USG)-ও এখন ব্রেস্ট ক্যান্সার ম্যানেজমেন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

➡️USG কীভাবে কাজ করে?

USG বা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে স্তনের টিস্যুর ভেতরের গঠনকে দৃশ্যমান করে। এটি রেডিয়েশন-মুক্ত, ব্যথাহীন, এবং নিরাপদ একটি পদ্ধতি — যা টিস্যুর ঘনত্ব, টিউমারের প্রকৃতি এবং অবস্থান স্পষ্টভাবে দেখাতে পারে।

➡️স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে USG এর ভূমিকা:

১. Dense Breast এ বেশি কার্যকর:
যেসব মহিলার স্তন টিস্যু dense বা ঘন (সাধারণত ৪০ বছরের নিচে বয়স), তাদের ক্ষেত্রে ম্যামোগ্রাফিতে ছোট ক্ষুদ্র টিউমার খুঁজে পাওয়া নাও যেতে পারে। সেখানে USG অনেক সময় সেই টিউমার শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

২. Solid vs Cystic পার্থক্য নির্ণয়:
USG দ্বারা বোঝা যায় চাকা বা দলাটি solid নাকি তরল (cystic) — যা পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. বায়োপসি গাইড হিসেবে ব্যবহৃত হয়:
যখন টিস্যু সংগ্রহ (core biopsy / FNAC) প্রয়োজন হয়, তখন USG-guided biopsy সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভুল উপায়।

৪. চিকিৎসার পর ফলো-আপ:
কেমোথেরাপির পর রোগীর টিউমারের আকার কমছে কি না, বা নতুন কোনো লেশান তৈরি হয়েছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য USG খুব কার্যকর।

৫. নোডাল ইনভলভমেন্ট মূল্যায়ন:
বগলের (axillary) লিম্ফ নোডে ছড়িয়েছে কি না, সেটিও USG দ্বারা প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।

➡️USG এর বিশেষ সুবিধাসমূহ:

ক. কোনো রেডিয়েশন ঝুঁকি নেই
খ. গর্ভবতী নারী ও তরুণ রোগীদের জন্য নিরাপদ
গ. সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য
ঘ. রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনা উভয় ক্ষেত্রেই সহায়ক

প্রাথমিক স্তরে ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্ত করতে “Triple Assessment” অর্থাৎ
1️⃣ ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা
2️⃣ ইমেজিং (USG ± Mammography)
3️⃣ বায়োপসি
— এই তিনটি ধাপই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমন্বিত পদ্ধতি।

তাই স্তনে কোনো চাকা বা দলা , ব্যথা বা চামড়ার পরিবর্তন অনুভব করলে অবহেলা করবেন না। প্রথম ধাপে একটি ব্রেস্ট USG করান এবং অভিজ্ঞ অনকোলজিস্ট বা সার্জনের পরামর্শ নিন।সময়মতো সঠিক পদক্ষেপই বাঁচাতে পারে ।
শেয়ার করুন, অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।







10/10/2025

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১০ অক্টোবর পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। পৃথিবীর সবার মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, সচেতনতার উদ্দেশ্যে দিনটি ১৯৯২ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। ২০২৫ সালের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের বিশ্বব্যাপী প্রতিপাদ্য হলো ‘পরিষেবাগুলোতে প্রবেশ: বিপর্যয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য’। সহজ কথায় বলা যায়, মানবিক জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য।

এই প্রতিপাদ্য বিশ্বব্যাপী সংঘাত, দুর্যোগ এবং বাস্তুচ্যুতিতে ক্ষতির শিকার ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মন:সামাজিক সহায়তা প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

থিমের মূল দিকগুলো নিম্নরূপ:

প্রবেশাধিকারের ওপর মনোযোগ দিন: এটি সংকট পরিস্থিতিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো প্রবেশযোগ্য করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

জরুরি পটভূমি: থিমটি বিশেষভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবিক সংকটের মতো বিপর্যয় এবং জরুরি অবস্থার সময় মানসিক স্বাস্থ্যের চাহিদাগুলোকে সম্বোধন করে।

ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদা: ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী মানবিক চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশেষভাবে তীব্রতর হচ্ছে।

প্রতিপাদ্যটি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মতো সংস্থাগুলো দ্বারা সমর্থিত।

লেখা:ডা. সরদার আতিক, সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

30/09/2025
❤️বিশ্ব হার্ট দিবস: সুস্থ হৃদয়ই প্রকৃত সম্পদ❤️প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। দিনটির মূল ...
29/09/2025

❤️বিশ্ব হার্ট দিবস: সুস্থ হৃদয়ই প্রকৃত সম্পদ❤️

প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো— হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং মানুষকে একটি সুস্থ হৃদয়ের অধিকারী হতে উদ্বুদ্ধ করা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগ বর্তমানে পৃথিবীতে মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ।

❤️দিবসের ইতিহাস ও থিমঃ

১৯৯৯ সালে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি বায়েস দে লুনা প্রথম হার্ট দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। এরপর ২০০০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এটি প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়। প্রথমে এটি সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার পালিত হলেও ২০১১ সাল থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিকেই নির্দিষ্ট করা হয়। বর্তমানে ৯০টিরও বেশি দেশ বিভিন্ন প্রচারাভিযান ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করে।

বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন প্রতি বছর একটি বিশেষ থিম ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের থিম হলো— ‘Don't Miss a Beat’। এই থিমের মাধ্যমে হৃদরোগের লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মানার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পালিত থিমগুলোর মধ্যে ছিল ‘Use Heart for Action’ এবং ‘Use Heart, Know Heart’।

এই দিবসটির মূল গুরুত্ব হলো— হৃদরোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় অনুপ্রাণিত করা। এর মধ্যে রয়েছে: নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্য উদ্যোগ জোরদার করা।

❤️দিনটি যেভাবে পালিত হয়ঃ

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—স্কুল, কলেজ ও অফিসে সচেতনতামূলক আলোচনা ও সেমিনার আয়োজন, বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে হার্ট চেক-আপ ক্যাম্প স্থাপন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক পোস্ট, ওয়েবিনার, পোস্টার প্রতিযোগিতা, ওয়াকাথন, র‍্যালি এবং বিশেষজ্ঞের বক্তব্য ও প্রচারের আয়োজন ইত্যাদি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘সুস্থ হৃদয়ই প্রকৃত সম্পদ’ এবং ‘প্রতিটি হৃদস্পন্দন মূল্যবান’। দ্রুতগতির যান্ত্রিক জীবনযাত্রার কারণে আজকের প্রজন্ম মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শারীরিক অনিয়মের শিকার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ২০২২’ বা এসভিআরএস-২০২২ (প্রকাশ ২০২৪) তথ্য অনুসারে, দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশ ঘটছে হৃদরোগের কারণে। মোট মৃত্যুর ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশের কারণ হার্ট অ্যাটাক।
অন্যদিকে, তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে নানা ধরনের হৃদরোগ, যা মোট মৃত্যুর ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। হার্ট অ্যাটাক ও নানা ধরনের হৃদরোগ মিলিয়ে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। অর্থাৎ দেশে প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর একটি হচ্ছে হৃদরোগে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষ মৃত্যুবরণ করে তার শতকরা ৩১ শতাংশ হৃদরোগের কারণে। বাংলাদেশেও হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। উন্নত আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর জীবনাভ্যাস, অসচেতনতা এসব কারণে হৃদরোগ শুধু বড়দের নয় শিশু-কিশোরদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

তাই হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে হলে দৈনন্দিন জীবনযাপনে ছোট ছোট বেশ কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা ইত্যাদি।

বিশ্ব হার্ট ডে শুধু একটি দিন নয়, বরং এটি আমাদের হৃদয়ের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতিদিনের এক অনস্বীকার্য অঙ্গীকার। বিশেষজ্ঞরা এই দিনটির স্লোগানকে সামনে রেখে বলছেন, ‘ভালোবাসুন আপনার হৃদয়কে, এ টাই আপনার জীবন। আজ যত্ন নিন, কাল বাঁচুন।’

সব মিলিয়ে,
সুস্থ হৃদয় মানে সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু এবং একটি সুখী সমৃদ্ধ জীবন।
তাই এই দিনের জন্য শুধুমাত্র সচেতনতা নয় বরং প্রতিদিনের জীবনাচরণে পরিবর্তন আনাই আসল লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।

ডাঃ মোঃ সাইফুল আলম

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য কি?পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেরই মাঝ...
26/09/2025

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য কি?
পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেরই মাঝে মাঝে পায়খানা খুব শক্ত হয়ে যায়, মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ কসরত করতে হয়। এ ছাড়া পায়খানার পর মনে হয় পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়খানা শক্ত হয়, যার কারণে অনেকে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব করেন। কারো কারো ক্ষেত্রে একটানা তিন–চারদিন পায়খানা নাও হতে পারে। এগুলো সবই সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাইলস বা অর্শ রোগ কিংবা এনাল ফিসার বা গেজ রোগ এর মতো পায়ুপথের রোগ তৈরি হতে পারে। পায়খানা কষা কেন হয় তা জেনে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে কোনো প্রকার ঔষধ ছাড়াই সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ কী কী?
সাধারণত সপ্তাহে যদি তিন বারের কম পায়খানা হয়, তবে সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যেসব লক্ষণ থাকতে পারে সেগুলো হলো—
➡️পায়খানা শুকনো, শক্ত চাকার মত হওয়া
➡️পায়খানার আকৃতি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া
➡️পায়খানা করতে কষ্ট হওয়া
➡️পেট পরিষ্কার হচ্ছে না এমন মনে হওয়া
➡️পেটে ব্যথা হওয়া, পেট ফাঁপা লাগা, বা বমি বমি ভাব হওয়া।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
নানাবিধ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কারণ হলো—

১. খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ না থাকা
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
৩. শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
৫. মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
৬. ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই কারণগুলো কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা সহজ হবে।

১. যথেষ্ট ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া
ফাইবার বা আঁশ হলো এক ধরনের শর্করা। পেট পরিষ্কার হওয়ার জন্য ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের যে জায়গায় পায়খানা তৈরি হয় ও জমা থাকে, সেখানে ফাইবার অনেকটা স্পঞ্জের মত কাজ করে।

পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে ফাইবার পায়খানায় পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে পায়খানা নরম ও ভারী হয়, সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে আসে। কিন্তু খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার না থাকলে পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
পানি খাবারের ফাইবারের সাথে মিলে পায়খানাকে ভারী ও নরম করে। এর ফলে পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে পায়খানা চলাচল সহজ হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

৩. শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র অর্থাৎ পেটের ভেতরে থাকা নাড়িভুঁড়ি সচল হয়। এতে স্বাভাবিকভাবে পায়খানা বেরিয়ে আসে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হলে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
পায়খানা শক্ত হলে অনেকে টয়লেটে যেতে চায় না, কারণ তখন মলত্যাগ করতে কিছুটা কষ্ট হয়। কিন্তু পায়খানার বেগ আসলে তা যদি আটকে রাখা হয়, তাহলে শরীর ক্রমশ সেখান থেকে পানি শুষে নিতে থাকে। পেটের ভেতর পায়খানা জমিয়ে রাখলে সেটা দিন দিন আরও শক্ত হতে থাকে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

৫. মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
অনেক সময় মানসিক চাপ, কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকা বা বিষণ্ণতায় ভোগার ফলে শরীরের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতির ছন্দপতন হয়, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে —
➡️ট্রামাডল বা ওপিয়েট জাতীয় ব্যথার ঔষধ
➡️আইবুপ্রোফেন
➡️আয়রন ট্যাবলেট
➡️ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট
➡️কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত কিছু ঔষধ
➡️এ ছাড়া একসাথে পাঁচটার বেশি ঔষধ খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কী?
যেসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নিচে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করা যায় তা তুলে ধরা হয়েছে।

১. খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে এমন খাবার খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল আটা ও লাল চালের মতো গোটা শস্যদানা বেশি করে খাওয়া উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।তবে খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ হুট করে বাড়ানো উচিত নয়। কারণ হঠাৎ ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেললে বায়ুর সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া পেট ফাঁপা, তলপেটে তীব্র ব্যথাসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।

তাই খাদ্য তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। গতকাল যদি শুধু একটি ফল খেয়ে থাকেন, তাহলে আজ দুটো খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন। সাথে কিছু বাদাম খান। রান্না করা সবজি খেতে না চাইলে ভাতের সাথে টমেটো, শসা, গাজর কেটে সালাদ খাওয়া শুরু করতে পারেন।

২. দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে
পানি পায়খানা নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কর‍তে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফাইবারজাতীয় খাবার প্রচুর পানি শোষণ করে। তাই ডায়েটে ফাইবার বাড়ানোর সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণও বাড়াতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার ও পানি খেলে সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

ফাইবারের সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করা না হলে পেটের ভেতরে থাকা নাড়িভুঁড়ির মুখ আটকে যেতে পারে। এমন অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে।

৩. প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে হবে
নিয়মিত শরীরচর্চা বা হালকা ব্যায়াম করতে হবে। শরীর সচল রাখলে তা পায়খানা নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

আপনার বয়স যদি ১৯ থেকে ৬৪ এর মধ্যে হলে সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম, যেমন দ্রুত হাঁটা বা সাইকেল চালানো উচিত। যদি আরেকটু বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করতে চান তাহলে দৌড়ানো, ফুটবল খেলা, দড়ি লাফ, সাঁতার কাটা — এগুলো বেছে নিতে পারেন। ভারী ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত সোয়া ১ ঘণ্টা বা ৭৫ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।

ব্যায়ামের মধ্যে ভারী ব্যায়াম বা প্রতিদিন দৌড়ানো বেছে নিতে হবে, তা নয়। শরীরকে চলমান রাখতে হাঁটাচলা, হালকা স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম ইত্যাদির মধ্যে যেকোনোটাই বেছে নেওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে হাঁটাহাঁটি বা হালকা শরীরচর্চাও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

অন্যকিছু করার সুযোগ না হলে প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে শুরু করতে পারেন। এক বেলা দিয়ে শুরু করুন, এরপর সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলা করে হাঁটুন। প্রথমে সপ্তাহে তিন দিন এভাবে হেঁটে আস্তে আস্তে সেটা পাঁচ দিনে নিয়ে আসুন। এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে থাকুন। এতে কিছুটা হলেও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা যাবে না
পায়খানা চেপে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা গুরুতর হতে থাকে। এর ফলে পাইলস ও এনাল ফিসার বা গেজ রোগ সহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পায়খানার বেগ আসলে যত দ্রুত সম্ভব টয়লেটে চলে যেতে হবে।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য মলত্যাগের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্যান বা লো কমোডে বসা। তাই সম্ভব হলে লো কমোড ব্যবহার করতে পারেন।আর যদি হাই কমোড ব্যবহার করতে হয় সেক্ষেত্রে পায়ের নিচে ছোট টুল দিয়ে পা উঁচু করে বসতে পারেন, যাতে হাঁটু দুটি কোমরের উপরে থাকে। এতে মলত্যাগ সহজ হবে। নিচে বোঝার সুবিধার জন্য আমরা একটি ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছি।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার ব্যবস্থা নিতে হবে
মন ভালো হয় এমন প্রশান্তিমূলক কাজ করতে পারেন। এটা হতে পারে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, গান শোনা, প্রার্থনা করা বা আপনজনের সাথে সময় কাটানো। যদি আপনি ডিপ্রেশন কিংবা উদ্বিগ্নতা (Anxiety) রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা নিন। আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যও আস্তে আস্তে সেরে উঠবে।

৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে নতুন ঔষধ শুরু করার পরে যদি মনে হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে গেছে, তাহলে আপনার ডাক্তারকে জানান। তিনি প্রয়োজনে ঔষধ বদলে দিতে পারেন, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য অন্য আরেকটি ঔষধ যোগ করতে পারেন।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে?
নিচের ৯টি অবস্থায় দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন—

১. ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান না হলে
২. দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগা বা পেট ফাঁপা লাগলে
৩. অনেকদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার পর ডায়রিয়া শুরু হলে
৪. পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া বা আলকাতরার মতো কালো পায়খানা হলে
৫. পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে পেট ব্যথা বা জ্বর আসলে
৭. সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগলে
৮. কোনো কারণ বা চেষ্টা ছাড়াই ওজন অনেক কমে গেলে কিংবা শুকিয়ে গেলে
৯. রক্তশূন্যতায় ভুগলে

🛑দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী কী সমস্যা হয়?
অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ‘ফিকাল ইম্প্যাকশান’ হতে পারে। এর অর্থ আপনার মলদ্বারে পায়খানা জমা হয়ে আটকে থাকতে পারে। ফিকাল ইম্প্যাকশান এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার পরে ডায়রিয়া হওয়া।

এমনটা হলে চিকিৎসার জন্য সাধারণত নিচের চারটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়—
১. জোলাপ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ বা জোলাপ সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়।
২. সাপোজিটোরি: মলদ্বার দিয়ে পিচ্ছিলকারী ঔষধ দেওয়া হয়, যাতে পায়খানা নরম হয়ে বেরিয়ে আসে।
৩. মিনি এনেমা: মলদ্বার দিয়ে তরল ঔষধ প্রবেশ করানো হয়, যাতে পায়খানা বেরিয়ে আসে।
৪. কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি বা যন্ত্রপাতির সাহায্যে মলদ্বার থেকে পায়খানা অপসারণ করা হয়।








Address

Al-Razi Health & Hijama Centre, Bina Kuthir (2-B, 2nd Floor), Narkeltola More
Satkhira

Opening Hours

Monday 14:00 - 21:00
Tuesday 14:00 - 21:00
Wednesday 14:00 - 21:00
Thursday 14:00 - 21:00
Saturday 14:00 - 21:00
Sunday 14:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আল-রাজী ওয়েলনেস এন্ড কাপিং-হিজামা সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram