04/09/2025
PCOS:
পিসিওএসের সাথে একটা জিনিসের সম্পর্ক খুব নিবিড় – ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।
এই রিলেশনশিপটা একটু ব্রেকডাউন করিঃ
- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মানে, আপনার শরীর অল্প ইনসুলিন দিয়ে যে কাজ সারতে পারতো, সেই একই কাজ করতে তাকে বেশি ইনসুলিন প্রোডিউস করতে হচ্ছে।
- এই বেশি ইনসুলিন গিয়ে মহিলাদের ওভারিকে একটা গুঁতা দেয়। আর সেই গুঁতা খেয়ে ওভারি তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।
- যেহেতু আপনি অন্য কাজ করার টাইম পাচ্ছেন না, সেসব কাজ জমে যাচ্ছে, অর্ধেক করে আর শেষ হচ্ছে না।
দিন শেষে, এই অর্ধেক ফেলে রাখা কাজই হচ্ছে ওভারির “পলি-সিস্ট” অর্থাৎ একাধিক সিস্ট।
আরেকটু যদি ব্যাখ্যা করি, ওভারিতে কিছু “ডিম্বাণুর থলি” জন্ম নেয় যাদের কাজ ডিম্বাণু রিলিজ করা। তারা যখন এই কাজটা ঠিকমতো করতে পারে না, এই ডিম্বাণুর থলিগুলো ওভারিতে জমে থাকে, বের হয় না। এই থলিগুলোই সেই সিস্ট। (পিসিওএস = পলি-সিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।)
★★ এইটা ম্যানেজ করবেন কি করে
পিসিওএস যদি ঠিক করতে চান, সেই সব কাজ করতে হবে, যা ইনসুলিন রেজিসট্যান্সকে ঠিক করে। যেমন-
১। স্ট্রেংথ ট্রেইনিং কিংবা ভারী এক্সারসাইজ।
এইটা আপনার ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ৫-১৫ গুণ পর্যন্ত বাড়াবে, দিস ইজ দ্য বিগেস্ট ফ্যাক্টর।
না, হাঁটাহাঁটি, সাঁতার এইসব দিয়ে হবে না। আপনি যদি আসলেই সিরিয়াস হন, কিছু ডাম্বেল কিনেন। সিরিয়াসলি ডাম্বেল ট্রেইনিং শুরু করেন।
২। ডায়েটে পর্যাপ্ত এনিম্যাল প্রোটিন রাখতে হবে।
প্রতি কেজি ওজনের জন্য অন্তত ১ গ্রাম প্রোটিন ফ্রম চিকেন, ফিশ, এগ। আরো বেশি হলে আরো ভালো।
৩। চিনির কথা ভুলে যান, কার্বোহাইড্রেট যথাসম্ভব ম্যানেজ করতে হবে।
অর্থাৎ কম মিষ্টি ফল, সবজি, ওটস, ডাল – এগুলো হবে মূল কার্বোহাইড্রেট সোর্স। ভাত বা রুটি যথাসাধ্য কমিয়ে আনতে হবে।
৪। ঘুম ঠিক করেন, রাত ১১ টার মধ্যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে হবে। ঘুম ঠিক না করে যে কোন হরমোনাল ইস্যু ঠিক করা স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার সামিল।