17/11/2025
আলহামদুলিল্লাহ,
দীর্ঘ ৭ মাস নিয়মিত চিকিৎসা করার পর আজকে আমার ছোট রোগীটা সুস্থ হয়ে চেম্বার থেকে বিদায় নিলো।
গল্পটা প্রায় বছর ৩ আগের, হঠাৎ করেই ছেলেটার এই অল্প বয়সে চুল পরা শুরু হয়, আস্তে আস্তে প্রায় সকল চুল উঠে যায় ,শুধু পেছনে কিছু চুল থেকে যায়। শুরু হয় তার অবর্ণনীয় দুর্দশার জীবন। টাংগাইলের অনেকগুলো ডাক্তারের কাছে নানা ধরনের চিকিৎসা করেও উন্নতি হয়নি। তারপর শুরু হয়েছে কবিরাজি চিকিৎসা তাতেও উন্নতি না হওয়ায় এক সময় পরিবার হাল ছেড়ে দেয়। গ্রামের ছোট ছেলে মেয়েরা সবাই তাকে টাকলা বলে ইনসাল্ট শুরু করে। একটা সময় ছেলেটা মানসিক ভাবে এতোটাই ভেঙে পরে, বাসা থেকে বের হয় না, স্কুলে যেতে চায় না, সব বন্ধ ।
এমন গরীব একটা পরিবার যে উন্নত চিকিৎসার সকল পথ তাদের প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এভাবেই কাটে ২ বছর।গ্রামের প্রায় সবাই ওর কথা জনেন।
তার এলাকার এক চাচা যিনি সিংগাপুর প্রবাসী উনি একদিন আমার ভিডিও দেখে দেশে ফিরেই নিজ উদ্যোগে নিজ খরচে আমার কাছে নিয়ে আসে,
আমাকে যখন বিস্তারিত সব বললেন তিনি, আমারো খুব খারাপ লাগলো ছেলেটার জন্য। আল্লাহর উপর ভরসা করে চিকিৎসা শুরু করলাম। প্রবাসী চাচা যেমন ছেলেটার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমিও চেস্টা করলাম সবচেয়ে কম খরচে কিভাবে ছেলেটাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রতি মাস যায় আল্লাহর কাছে দোয়া করি
আল্লাহ তুমি মানুষকে জ্ঞান দিয়েছে, কিন্তু সুস্থ করে দেওয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র তোমার।
প্রতি মাসে ১ বার আসতো মা বাবাকে নিয়ে,
অভাব অনটনের সংসারে প্রতি মাসে গ্রাম থেকে এসেছেন নিয়োমিত।
আলহামদুলিল্লাহ আজকে ৭ সেশন শেষ।
রেজাল্ট আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ।
ছেলেটা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে, নিয়োমিত স্কুলেও যাচ্ছে । কৃতজ্ঞতা জানাই ছেলেটার প্রবাসী চাচাকে, যিনি নিজে উদ্দোগ নিয়ে আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
অনেক মিস করবো ছেলেটাকে, আর চেম্বারে হয়তো দেখা হবে না।আল্লাহ যেন এই রোগ আর তার জীবনে ফিরিয়ে না দেন।
আমিন।।